Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাংলা || আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু ০১-১৭ || pdf + word + image || আন নাসর মিডিয়া

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাংলা || আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু ০১-১৭ || pdf + word + image || আন নাসর মিডিয়া




    আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-০১
    “হে বিজয়দৃপ্ত উম্মাহ, অস্ত্র তুলে নাও, জিহাদ করো, এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর!”

    আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
    রজব || ১৪৩৫ হিজরী








    অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-01

    ডাউনলোড করুন
    ওয়ার্ড (১১০.১ কেবি)







    পিডিএফ (৩৫১.০ কেবি)







    আল্লাহর নামে শুরু করছি, এবং সকল প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূল, তাঁর পরিবার, তাঁর সাহাবাগণ, এবং যারা তাঁদের প্রতি অনুগত তাদের প্রতি।
    হে বিজয়দৃপ্ত উম্মাহ, অস্ত্র তুলে নাও, জিহাদ করো, এবং আনন্দিত হও!
    হে আমাদের মহামূল্যবান উম্মাহ, এই “আন-নাফির” বুলেটিনটি হচ্ছে সকল জায়গার মুজাহিদীনদের প্রতি সমর্থন।
    এটি আন-নাফির বুলেটিনের প্রথম ইস্যু, যা শুরু হচ্ছে আমির উল-মু’মিনীন মুল্লাহ মুহাম্মাদ উমার মুজাহিদ (আল্লাহ তাঁকে হেফাযত করুন) এর প্রতি তার বাইআত নবায়ন করার মাধ্যমে এবং এই বিষয়ে জোর দেয়ার মাধ্যমে যে, আল-কায়েদা তার সকল জায়গার শাখাসমূহ সহ, তাঁর সৈনিক, যারা তাঁর বিজয়দৃপ্ত পতাকাতলে আল্লাহর সাহায্য ও সমর্থন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যেন আল্লাহর কালেমাকে বিজয়ী করা যায়, এবং যেন ইসলামী শরীয়ত অন্য কোনো শাসনব্যবস্থার দ্বারা শাসিত না হয়ে বরং নিজে কর্তৃত্বশীল শাসনব্যবস্থার রূপে বিরাজমান হয়, যে আদেশ প্রাপ্ত হয় না বরং আদেশ দেয়, যেন ইসলামী ভূখন্ডের প্রতিটি স্থান স্বাধীন হতে পারে, যেন ইসলামের পতাকা বিজয়ীর বেশে উড়তে থাকে গ্রজনী, কাশগার, বুখারা, সমরকন্দ, কাবুল, মানিলা, জাকার্তর, বাগদাদ, দামেশক, মক্কা, মদীনা, সানা, মোগাদিশু, কায়রো, আলজেরিয়া, কেউটা এবং মেলিল্লা, এবং যেন ইসলামী বিজয়দৃপ্ত অভিযান পুনরায় চালু হয় এবং যেন মুক্ত করা যায় ও ফিরিয়ে আনা যায় ছিনিয়ে নেয়া আল-আন্দালুস এবং অপহৃত আল-আকসা এবং এভাবে সকল ছিনিয়ে নেয়া ইসলামী ভূখন্ডসমূহ এবং এভাবে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তা (ইসলামী বিজয়দৃপ্ত অভিযান) আসন্ন খিলাফতের দিকে অগ্রসরমান,
    “আন-নাফির” তার প্রথম ইস্যুটি শুরু করছে সমগ্র বিশ্বের সকল স্থানের অত্যাচারিত মুসলিমদের প্রতি এই বার্তা সহকারে যে, আমরা আপনাদের সাথে আছি এবং আমরা আপনাদেরকে ভুলে যাইনি।
    আপনাদের রক্ত হচ্ছে আমাদের রক্ত এবং আপনাদের জখম হচ্ছে আমাদের জখম। আপনাদের শহীদগণ, আহতগণ, এতীমগণ এবং বিধবাগণ হচ্ছে আমাদের পিতা, ভাই এবং বোন।
    রক্তের বদলে রক্ত এবং ধ্বংসের বদলে ধ্বংস।
    মধ্য আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, মালি, সমুদ্র উপকূলীয় রাষ্ট্রসমূহ, বার্মা, গুজরাট, আহমেদাবাদ, কাশ্মীর, ফিলিপাইন, চেচনিয়া, পূর্ব তুর্কিস্তান এবং প্রত্যেক দখলকৃত ও বাধ্যকৃত ইসলামী ভূমিসমূহে যে অপরাধ চালনা করা হচ্ছে, তা কোনো মূল্য ব্যতীত বিফলে যাবে না, আল্লাহর অনুমতিক্রমে।
    এবং আল্লাহর অনুমতিক্রমে, তাঁর শক্তি ও সাহায্যের দ্বারা, আমরা সেই সকল পুতুল সরকারসমূহ এবং তাদের সেবায় নিয়োজিত মুরতাদ গোষ্ঠীসমূহকে আক্রমণ করা এবং জনসাধারণকে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য আহবান করা কখনোও বন্ধ করবো না যাদেরকে আমাদের শত্রুরা আমাদের রাষ্ট্রসমূহে নিয়োগ করেছে।
    আল্লাহ চেচনিয়ার সেই সকল ইসলামী সিংহদেরকে হেফাযত করুন যারা সাড়ে চারশত বছর যাবত রাশিয়ার দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে আসছেন।
    আল্লাহ পূর্ব তুর্কিস্তানের ইসলামী সিংহদেরকে হেফাযত করুন যারা তাদের দ্বীন, সম্মান ও মর্যাদার প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত আছেন।
    আল্লাহ ইন্দোনেশিয়ার ইসলামী সিংহদেরকে হেফাযত করুন যারা ইসলামের বিজয়ের জন্য নিজেদের জীবন কোরবানি করছেন।
    আল্লাহ ইরাকের ইসলামী সিংহদেরকে হেফাযত করুন যারা সেই সাফাভি সরকারকে প্রতিরোধ করছেন, যা আমেরিকার মদদে সুন্নি মুসলিমদের রক্তপাত করছে।
    আল্লাহ জিহাদের ভূমি সিরিয়ার ইসলামী সিংহদেরকে হেফাযত করুন, যারা দামেশক এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং সেখান থেকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রাস্তার দিকে।
    আল্লাহ ধৈর্যশীল ফিলিস্তিন ও প্রতিরোধী গাযার সিংহদেরকে হেফাযত করুন যারা যায়নবাদী দখলদারিত্ব থাকা সত্ত্বেও থেমে যান নি এবং তারা হত্যা, বন্দীত্ব ও নিপীড়নের মুখে ধৈর্যধারণ করেছেন, যেন ইসলামী আইনের প্রতি অম্লান আহবান অক্ষুন্ন থাকে।
    আল্লাহ মিশরের ইসলামী সিংহদেরকে হেফাযত করুন যারা তাদের জিহাদের দ্বারা ধর্মনিরপেক্ষ সেনাবাহিনীর অপরাধসমূহ এবং আমেরিকা ও যায়নবাদী ঐক্যজোটকে প্রতিরোধ করে যাচ্ছেন যেন আল্লাহর কালেমাই সর্বশ্রেষ্ঠরূপে বিরাজ করে, এবং যেন মিশরকে মুক্ত করা যায় এবং এটিকে ইসলামের একটি ঘাঁটির রূপে ফিরিয়ে আনা যায় এবং যেন জেরুযালেমকে মুক্ত করা যায়।
    আল্লাহ পূর্ব আফ্রিকার ইসলামী সিংহদেরকে হেফাযত করুন যারা ভয়ংকর যুদ্ধ চালিয়ে মুসলিম উম্মাহকে আফ্রিকার শৃঙ্গে প্রতিরক্ষা প্রদান করছেন। ক্রুসেডার এবং মুরতাদদের সমরাভিযানগুলো ভেঙে চূরমার হয়ে যাচ্ছে তাদের পাথরের ন্যায় দৃঢ় অবিচলতার কারণে।
    আল্লাহ আরব উপদ্বীপসমূহের ইসলামী সিংহদেরকে হেফাযত করুন যেখানে উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা হয়েছিল এবং ঈমান ও প্রজ্ঞা যেখানে নিশ্চিত। তারা আমেরিকার বোমাবর্ষণ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার বিশ্বাসঘাতকতার দ্বারা পরাজিত হয়ে যান নি, বরং তা তাদের সুদৃঢ়তা ও সংকল্পই বৃদ্ধি করেছে, এবং তা ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিজয়ী হয়েছে আল্লাহর সাহায্য নিয়ে।
    আল্লাহ সযত্নে লালিত, গর্বিত মুজাহিদ গোত্রসমূহকে হেফাযত করুন যারা তাদের মুজাহিদীন সন্তানদেরকে আমেরিকা ও তার তুচ্ছ লোকদের শাসনের প্রতিরোধে উৎসর্গ করেছে।
    আল্লাহ মাগরিবের ইসলামী সিংহদেরকে হেফাযত করুন, যারা হলেন পশ্চিমের রণক্ষেত্রের অভিভাবক, যারা প্রতিহত করেন সেই সকল বিশ্বাসঘাতক সরকারদেরকে যাদেরকে ওয়াশিংটন ও প্যারিস হুইলচেয়ারে বসিয়ে পরিচালনা করে এবং সেখানে তারা এমন সব শাসকদেরকে বসায় যারা নিজেদের দ্বীন বিক্রয় করে দিয়ে ওয়াশিংটন ও প্যারিসের দখলদারিত্ব ও ঔদ্ধত্যকে সমর্থন করে।
    আল্লাহ রক্ষা করুন প্রত্যেক স্থানের মুজাহিদীনদেরকে এবং তাদেরকে যারা তাওহীদ, জিহাদ এবং শরীয়তের শাসনের সমর্থনে নিয়োজিত আছেন। নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ আপনাদের এই উম্মাহ এর পক্ষেই আছেন, তাই আপনারা এটির তরবারি ও ঢাল হিসেবে নিজেদের নিয়োজিত করুন; করুণা, সহিষ্ণুতা, ধৈর্যশীলতা, একতা ও গোষ্ঠীত্ব বজায় রাখা, ন্যায় বিচার এবং যুক্তির ব্যবহার ও শরীয়তের দিকে ফিরে আসার এক অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত হন।
    আল্লাহ ইসলামী উম্মাহকে হেফাযত করুন যার সম্ভ্রম ও পবিত্রতা রক্ষার্থে তার মুজাহিদগণ নিজেদের রক্ত উৎসর্গ করেন।
    হে আমাদের মুসলিম উম্মাহ, সম্ভবত গণতন্ত্রের মরীচিকা আজ আপনাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে, কারণ এটি তাদের জীবনই ছিনিয়ে নিয়েছে যারা নিজেদের দ্বীন ও দুনিয়ার ক্ষতি দেখে আকুলভাবে স্পন্দিত হয়েছে।
    আপনাদের প্রকৃত অভিভাবক হচ্ছে মুজাহিদগণ যারা শরীয়তকে সমর্থন করেন।
    হয়তো আরব বসন্ত আপনাদের কাছে পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, ধর্মনিরপেক্ষবাদী লোকেরা তা (আরব বসন্ত) এবং শরীয়তের শাসন প্রতিষ্ঠার আশায় অপর কোনো সংবিধানের (যা শরীয়ত নয়) সাথে মধ্যস্থতা করে গঠিত সেই অংশীদারী আন্দোলনকে চুরি করে নিয়েছে।
    আসুন, হে আমাদের উম্মাহ, দাওয়াহ ও জিহাদের ইসলামী বসন্তের দিকে, স্বাধীনতা ও মুক্তির বসন্তের দিকে, ন্যায় বিচার ও সম্মানের বসন্তের দিকে, পথপ্রদর্শনকারী কিতাব ও তার পক্ষাবলম্বনকারী তরবারি সহকারে।
    প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।
    আল্লাহর সালাত বর্ষিত হোক নবীজি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবারের প্রতি এবং সালাম।

    Last edited by An-Nasr Team; 10-23-2017, 12:38 PM.
    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

  • #2
    আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-০২
    প্রজ্ঞাময় জিহাদ খিলাফতে রাশেদার পথে...


    আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
    জুমাদাল আখিরাহ || ১৪৩৬ হিজরী










    অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-02

    ডাউনলোড করুন
    ওয়ার্ড (১১৭.৩৮ কেবি)







    পিডিএফ (৪৪৭.১ কেবি)







    আল্লাহর নামে শুরু করছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য, সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসুল, তার পরিবারবর্গ, সাহাবায়ে কেরাম ও যারা তাঁদের অনুসরণ করেন, তাঁদের উপর।
    প্রজ্ঞাময় জিহাদ খিলাফতে রাশেদার পথে...
    হে আমাদের মহামল্যবান উম্মাহ! সম্ভবত আপনাদের নিকট আরব বসন্ত নামে পরিচিত বিপ্লবসমূহের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মিসরে শরিয়াহ শাসনের প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত আন্দোলনের পরাজয়ের পর ধর্মনিরপেক্ষ সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। সুতরাং অপরাধীদের লিডাররা তাঁদেরকে হত্যা করা ও কারাগারে নিক্ষেপ করা ব্যতিত সন্তুষ্ট হবেনা।
    আর আমেরিকা লিবিয়াতে মুজাহিদদের হত্যা করার জন্য তার হোমরা-চমরাদের কোন প্রকার রাখঠাক ব্যতিত নির্লজ্জভাবে সমবেত করেছে। আর তিউনিসিয়াতে আরব বসন্ত থেমে গিয়েছে। অতঃপর আধিপত্যের জন্য সাড়া দিয়েছে। সুতরাং গণতন্ত্রের জন্য শরিয়াহ শাসনের পরাজয় হয়েছে। অতঃপর ঐক্যের খাতিরে গণতন্ত্রের পরাজয় হয়েছে। এভাবে লাগাতার পতন চলছেই। যাইহোক ক্ষতবিক্ষত শামকে পশ্চিমারা ও ইহুদীরা পর্যবেক্ষণ করছে। মুসলিমদের হত্যা করছে ও মুজাহিদিনদের উপর বোমাবর্ষণ করছে। শামের ভিতরে ও বাহিরে ফেতনা ছেয়ে যাচ্ছে।
    হে আমাদের মহামূল্যবান উম্মাহ! পথ ও পন্থা স্পষ্ট ও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। দাওয়াত ও জিহাদ ব্যতিত কোন সমাধান নেই। তাওহীদের কালিমার পতাকাতলে একত্রিত হওয়া ব্যতিত মুজাহিদদের কোন সমাধান নেই। প্রজ্ঞাময় জিহাদকে আঁকড়ে ধরা ব্যতিত তাঁদের কোন উপায় নেই। কেননা শুধু জিহাদের দাবি মন্দ পরিণতি ও অপরাধীদের অনুসরণ থেকে বাচাবেনা।
    পৃথিবীর সকল দেশের মুজাহিদদের জন্য আবশ্যক হল যে, তারা অতিতের দুই দশক থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন। মিশরে যখন মুজাহিদগণ ঐক্যের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলেন, তখন তাঁদের একটি বিশাল অংশ অধঃপতনের বিরানভূমিতে পতিত হলেন। আফগানিস্তানে যখন মুজাহিদগণ ক্ষমতা ও গনিমতের মাল নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন, তখন জিহাদ ডাকাত ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাঝে দন্দে পরিণত হল। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা বরকতময় তালেবান আন্দোলনের দ্বারা মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করেছেন। এবং আল জাযায়েরে যখন বাড়াবাড়ি, অহংকার, মূর্খতা ও অপরাধ তিব্র জিহাদি আন্দোলনকে পরাজয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছিল, অথচ তাঁরা তামকিনের অতিনিকটে ছিল। তখন আল্লাহ তায়ালা তাঁদের কাছে তাঁদের অবশিষ্ট কল্যাণ পাঠালেন। ফলে তা তাদেরকে বিকৃতি থেকে রক্ষা করলেন। এবং ইমারাতে ইসলামীর ছায়ায় জামাআত কায়েদাতুল জিহাদে ঐক্যের মিছিলে সংযুক্ত করে দিলেন।
    আজ আমরা শাম ও ইরাকে আফগানিস্তান ও আল জাযায়েরে সেই মর্মান্তিক পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি। সেখানে বাইয়াতের কোন সম্মান নেই। ইমারাহ এর কোন সম্মান নেই এবং অঙ্গীকারের কোন সম্মান নেই। সুতরাং আজ আমরা ওই সকল লোকদের দেখছি, যারা তাঁদের অনুসারীদের উপর অবাধ্যতা হারাম করছে অথচ তারাই স্বীয় আমীরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। আমরা ওই সকল লোকদের দেখছি, যারা নিজেদের জন্য বাইয়াহ কামনা করে, অথচ সে তার আমীরের উপর তার বাইয়াহকে প্রকাশ্যে ভঙ্গ করছে। আমরা ওই সকল লোকদের দেখছি, যারা নামকাওয়াস্তে বাইয়াতের দ্বারা প্রকাশ্য শরই আদালতকে নিয়ে খেলা করছে, যেন তারা শ্রবন থেকে পশ্চাদপসরন, শ্রবন থেকে পলায়ন ও জামাআত থেকে ছুটে যেতে চেষ্টা করছে। আমরা ওই সকল লোকদের দেখছি, যারা নিজেদেরকে ওই সকল অখ্যাত লোকদের বাইয়াতের দ্বারা খলিফা হিসেবে ঘোষণা করছে, মানুষ যাদের নাম এমনকি উপাধিও জানেনা। অতঃপর তারা এই দাবীও করছে যে, যারা তাদের বিরোধিতা করবে, তাদের মাথা বুলেটের উপযুক্ত হবে। আর সে খেলাফত অর্জন করেছে বিস্ফোরণ, ধোঁকা ও রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে। আর সকল জিহাদি গ্রুপ নাকি তাদের শরই বৈধতা হারিয়ে ফেলেছে। তারা সম্ভাব্য সকল পদ্ধতিতে জিহাদি জামাআতগুলোর মাঝে এমন সময়ে অনৈক্য সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে, যখন ক্রুসেডর, বাথপার্টি ও সাফাবিদের বোমাগুলো তাদের সবার উপরে বর্ষিত হচ্ছে। তাদের সকল প্রচেষ্টা এই যে, তারা শাম ও ইরাকের ফিতনাকে সকল জিহাদি ময়দানে ছড়িয়ে দিবে।
    নিশ্চই যে ব্যক্তি তার আমীরের বাইয়াহকে সম্মান করে না, সে অবশ্যই তার মামুর/অধিনস্তদেরকে প্রদত্ত অঙ্গীকারও সম্মান করবেনা। যে ব্যক্তি তার অকাট্য ও সুস্পষ্ট কথাকে জরুরি ভাবলো না, সে যে কোন লোভ অথবা নফসের প্ররোচনায় কিংবা নিজের মতের বিপরীত হলে, যে কোন শরই আদালতের সাথে প্রতারণা করবে। যে অঙ্গীকার পালন করতে পারেনি, সে শরই কর্তৃত্বসমূহের যোগ্য নয়। কেননা এর জন্য সর্বপ্রথম শর্ত হচ্ছে ন্যায়পরায়ণতা, যা সকল শর্তকে শামিল করে। সুতরাং যার থেকে এই বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়েছে, তার সাথে কিভাবে ঐক্যমত্য হবে? যে ব্যক্তি শরই আদালত থেকে পলায়ন করলো, সে অচিরেই তার অনুসারীদের যে কোন আদালত থেকে পলায়ন করবে। যে ব্যক্তি তার বিরোধী পক্ষকে সন্দেহের বশে অথবা সামান্য সন্দেহের বশে ও সন্দেহের কল্পনায় তাকফির করা বৈধ মনে করে, বরং লোভীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সে হামলার দ্বারা তার বিরোধীদের অপসারণ করতে উঠে পড়ে লাগবে, এ থেকে সে ও তার অনুসারীরা বিরত হবে না। আর এই সবগুলো বিষয় আমীরদের নির্দেশ ওয়াজিব হওয়ার দলীল দ্বারা তার নসিহতের পরিবর্তে আবশ্যক হল যে, তারা তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের ক্ষেত্রে সাহায্য পাবে।
    নিশ্চই এই লোকদের বাইয়াহ বাতিল। কেননা তা অঙ্গীকার ভঙ্গ ও অপরাধের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আর যা গড়ে উঠেছে বাতিলের উপর, তাও বাতিল। আর তাদের অগ্রবর্তীরা তাদেরকে তা অনুসন্ধানের যোগ্য বানাবেনা। অতঃপর শরই কর্তৃত্বসমূহ ওয়াজিব করে যে, তা কায়েমের জন্য উত্তমদের পসন্দ করা হবে, ওই লোকদের নয়, যারা ফাসাদ সৃষ্টি করে। অঙ্গীকারসমূহ ভঙ্গ করে। শরই আদালত থেকে পলায়ন করে। ইস্তিশহাদিদের প্রেরন করে তার বিরোধীদের ধ্বংস করা জন্য হামলা করে।
    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ইন্তেকালের পূর্ব মুহূর্তে বলেছেন-
    "مروا أبا بكر فليصل بالناس"
    আবু বকরকে লোকদের নিয়ে নামাজ পড়ার নির্দেশ দাও!
    এই হাদিসে তার খলিফা হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। সকল মুসলমান তাকে খলিফা হিসেবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন এবং আবু বকর উমরকে খলিফা বানিয়েছেন। এবং তিনিই তার পরে সবচে উত্তম ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর ব্যাপারেও মুসলমানগণ একমত হয়েছেন। এবং উমর রাঃ ছয়জনের মজলিসে শুরা গঠন করে গিয়েছেন, যাদের উপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু অবধি সন্তুষ্ট ছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকে উসমান রাঃ এর বাইয়াতের ব্যাপারে মুসলমানগণ একমত হয়েছেন। আর এটাই হচ্ছে খুলাফায়ে রাশিদিনের সুন্নাহ, যার অনুসরণের জন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
    হে শামবাসী! হে শামের অবশিষ্ট উত্তম মানুষেরা! তাওহীদের কালিমাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আপনারা স্বীয় ভাইদের প্রতি ছাড় দিন! মুমিনদের প্রতি কোমল হন! অন্যথায় জেনে রাখুন! গায়েব আল্লাহ তায়ালা ব্যতিত আর কেউই জানেনা।
    হে মিসরের ইসলাম ও জিহাদের অধিবাসীগণ! আপনাদের জন্য আবশ্যক হল যে আপনার ঐক্যবদ্ধ হয়ে যান! মিলিত হয়ে যান! হে লিবিয়ার ইসলাম ও রিবাতের উত্তম মানুষেরা! আপনারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পূর্বেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যান!
    হে খোরাসানের জিহাদের অধিবাসীগণ! আপনার আমিরুল মুমিনিন মোল্লা মুহাম্মাদ উমরের প্রতি আপনাদের শক্তিশালী বাইয়াহকে দুর্বল সন্দেহের কারণে ভেঙ্গে ফেলবেন না!
    হে পৃথিবীর সকল মুজাহিদ ভাইয়েরা! ক্রুসেডরদের মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা তাওহীদের কালিমা তলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যান, যে ক্রুসেডররা আমাদের উপর হামলা করে যাচ্ছে। ওই সকল লোকদের ক্ষমা করবেন না। যারা বিবাধ সৃষ্টি করতে চায়। যারা মুজাহিদদের কাতারগুলোতে ফাটল সৃষ্টি করতে চায়। তাঁদের ঐক্যবদ্ধের জন্য আমরা আরও অপেক্ষা করবো।
    আমাদের উপর আল্লাহ তায়ালার একটি নেয়ামত এই যে, আমরা আমিরুল মুমিনিন মোল্লা মুহাম্মাদ উমরের বাইয়াতে রয়েছি। আমরা ইমারাতে ইসলামীর অনেক ব্যাটালিয়নের মধ্য থেকে একটি ব্যাটালিয়ন। আমরা ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, দুখে-সুখে তাঁর কথা শুনবো ও তাঁর আনুগত্য করে যাবো। আর এটা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে একটি রহমত, যা তিনি আমাদের দান করেছেন। অনৈক্যের ফলে দলাদলি ও অশান্তি সৃষ্টি হয়। আর ঐক্যের ছায়ায় রয়েছে রহমত ও বরকত। এটা হচ্ছে একটি ঐতিহাসিক ফুরসত, যা খুব কমই পুনরাবৃত্তি হয় যে, পৃথিবীর সকল জিহাদি জামাআতকে একই পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করা।
    হে আমাদের মুসলিম ও মুজাহিদ ভাইয়েরা! নিশ্চই আমরা এমন খিলাফতে রাশেদার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যা একতা, সন্তুষ্টি ও শুরার উপর প্রতিষ্ঠিত হবে। তা গাদ্দারি, হত্যা, তাকফির ও বিস্ফোরণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হবেনা। আমরা নবুওয়াতের আলোকে খিলাফতে রাশেদা চাই। এমন খিলাফত নয়, যা নিষ্পাপ লোকদের রক্তের সমুদ্রের উপর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এবং যার পতাকা মুসলমানদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও মাথার খুলির উচ্চভূমিতে স্থাপিত হয়। এবং যা আমাদের পূর্বসূরিদের তাকফির করা ও নেককারদের অভিশাপ প্রদানের জন্য আওয়াজ উচু করছে।
    শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহএ একটি কথা শুনি, যা তিনি কোন এক রাফেজির আবু বকর (রাঃ) এর সম্পর্কে একটি কথার জবাবে বলেছিলেন,
    “যদি এমন হত, উমর ও তাঁর সহযোগী একটি জামাআত তাকে বাইয়াহ দিয়েছেন। আর সকল সাহাবা তা থেকে নিষেধ করেছেন, তাহলে এই কারণে তিনি ইমাম হতে পারতেন না। এবং তিনি ওই সকল জমহুর সাহাবায়ে কেরামের বাইয়াতের মাধ্যমে ইমাম হয়েছেন, শক্তি ও মর্যাদার অধিকারী।
    ... ... ... ... ...
    সুতরাং যে ব্যক্তি বলে যে তিনি ইমাম হয়েছেন এক, দুই বা চারজনের ইচ্ছায়, এবং তারা শক্তি ও মর্যাদার অধিকারী ছিলেন না, তাহলে সে ভুল করেছে।
    ... ... ... ... ...
    যে সকল জমহুর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বাইয়াহ দিয়েছেন, তারাই আবু বকর (রাঃ) কে বাইয়াহ দিয়েছেন।
    ... ... ... ... ...
    আর উমর (রাঃ) কে আবু বকর (রাঃ) নির্বাচন করেছেন, এবং আবু বকর (রাঃ) এর ইন্তেকালের পর সকল মুসলমান তাকে বাইয়াহ দিয়েছেন। সুতরাং তিনি ইমাম হয়েছেন ওই সকল লোকদের বাইয়াতের দ্বারা, যারা ক্ষমতা, শক্তি ও মর্যাদার অধিকারী।
    ... ... ... ... ...
    এটাও বলা হয় যে উসমান (রাঃ)ও গুটিকয়েক লোকের পসন্দে ইমাম হননি, বরং সকল মানুষের বাইয়াতের দ্বারা তিনি ইমাম হয়েছেন। সকল মুসলমান হজরত উসমান ইবনে আফফান রাঃকে বাইয়াহ দিয়েছেন। তাঁর বাইয়াতের ব্যাপারে কেউই বিরোধিতা করেননি।
    ... ... ... ... ...
    অন্যথায় যদি শুধু হজরত আব্দুর রহমান (রাঃ) তাকে বাইয়াহ দিতেন, আলী (রাঃ) ও প্রতিপত্তির অধিকারী সাহাবায়ে কেরাম তাকে বাইয়াহ না দিতেন , তাহলে তিনি ইমাম হতে পারতেন না।” (মিনহাজুস সুন্নাহ আন নাবাবিয়্যাহ-১/৩৬৫-৩৬৭)

    কেউ কি শোনার আছে? কেউ কি বিশ্বাস করার আছে? নাকি আফগানিস্তান ও আল জাযায়েরের ব্যর্থতা ইরাক ও শামেও পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে।
    সুতরাং হে মুসলিম ও মুজাহিদগণ! তাওহীদের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হন! ঐক্যবদ্ধ হন! আমরা খেলাফতে রাশেদার জন্য প্রজ্ঞাময় জিহাদ দ্বারা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
    وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين. وصلى الله على سيدنا محمد وآله وصحبه وسلم


    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

    Comment


    • #3
      আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-০৩
      ইতিহাসের জন্য একটি প্রশ্ন

      আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
      রজব || ১৪৩৭ হিজরী




      অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-03

      ডাউনলোড করুন
      ওয়ার্ড (৯৭.৭ কেবি)







      পিডিএফ (৩০২.৫ কেবি)







      ওরাকজাইতে আল-বাগদাদীর এক সমর্থক দাবী করেছে যে, আমিরুল মুমিনীন মোল্লা মোহাম্মাদ উমার রহিমাহুল্লাহ-এর মৃত্যুর পর তালেবানদের নেতৃত্ব পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গিয়ে পড়েছে। একই সাথে, দাবিক ম্যাগাজিনও দাবি করেছে আমিরুল মুমিনীন মোল্লা আখতার মোহাম্মদ মানসুর পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার লোক।
      এই সকল মিথ্যাচার দিয়ে আল-বাদরী নিজের জন্য এমন এক দরজা খুলেছে যার জন্য সে শুধু নিজেকেই দোষারোপ করতে পারে।
      ইসলামী ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছে সেই সকল মুশরিক এবং মুরতাদদের জীবনচরিত যারা তওবা করেছিল এবং কেমন ছিল তাদের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণের (রাঃ) আচরণ।
      ইবরাহীম আল বাদরী কি সেই ইতিহাসকে স্মরণ করতে পারবেঃ তার দলে কারা সাদ্দামের বাথিস্ট গোয়েন্দা সংস্থার অফিসার? সাদ্দামের জন্য তাদের চাকরীকালে তারা মুসলিমদের সাথে কী কী অপরাধ করেছিলো? তারা কি সেগুলোর জন্য তাওবা করেছিলো? এবং কখন? তারা কি তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থদের শরঈ হক আদায় করেছিলো?
      তারা কখন বাথিস্ট গোয়েন্দা সংস্থার চাকরী ত্যাগ করেছিলো? এমন নয় তো যে বাথিস্ট সরকারের পতনের পর, তারা সেটা করতে বাধ্য হয়েছিলো, নাকি পতনের আগে?
      তারা যে তাগুতের সেবা করতো তার উপর কি তারা তাকফির করেছিলো? আর কিভাবে?
      আপনার দলে তাদের ভূমিকা কী? আর তারা নেতৃত্বের কী পদে অধিকৃত?
      তাদের কি আপনাকে দাওলাতুল ইরাক আলইসলামিয়্যাহ-এর আমীর নির্বাচনে ভূমিকা ছিল আর তারপর দাওলাতুল ইরাক ওয়াশশাম আলইসলামিয়্যাহ এর ঘোষণায়; অতঃপর আল কায়েদা-র নেতৃত্বের অমান্যতায় এবং এর তাকফীর ঘোষণা ও গালিগালাজে আর তাদের কি আপনাকে খলীফা নির্বাচনে ভূমিকা ছিল?
      শরীয়াহর হুকুম এড়িয়ে যাওয়ায় তাদের কি কোন ভূমিকা ছিল এবং মুসলিমদের ও তাদের মুজাহিদ দলগুলিকে তাকফীরে এবং তাদের শ্রেষ্ঠাংশকে হত্যায় এবং তাদের উপর যুদ্ধ ঘোষণায় আর তাদের নেতৃত্বে বিভক্তির চেষ্টায়?
      এগুলি হচ্ছে ইতিহাসের জন্য প্রশ্ন যার বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা অধিক জানে,আপনি কি সেগুলিকে মুসলিমদের থেকে লুকিয়ে রাখবেন?
      আমরা আপনার জবাবের জন্য অপেক্ষা করব। আমাদের অপেক্ষার প্রহর কি দীর্ঘ করা হবে?
      আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

      Comment


      • #4
        আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-০৪
        হে অপবাদের দাউলা! তোমাদের প্রমান কোথায়?


        আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
        শাবান || ১৪৩৭ হিজরী




        অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-04

        ডাউনলোড করুন
        ওয়ার্ড (৯৬.৬ কেবি)







        পিডিএফ (২৯৭.৮ কেবি)






        ইবরাহীম আল-বাদরী'র মুখপাত্র আল কায়েদার নেতৃবৃন্দকে এবং অন্যন্য মুজাহিদদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে এই বলে যে, তারা কুফুরি করেছে এবং মুরতাদ হয়ে গেছে! কায়েদাতুল জিহাদ তার দ্বীনকে পাল্টিয়ে ফেলেছে! তারা তাগুতকে অস্বিকার করে না! আর তারা অধিকাংশের পিছলে ছুটছে!
        অথচ আমরা এই মুখপাত্র থেকে কখনো এসবের কোন হুজ্জত বা প্রমান পাইনি, বরং যা পেয়েছি তাহলোঃ তাকফির, গালাগালি ও মিথ্য অপবাদ।
        তাই আমরা এখন স্বয়ং ইবরাহীম আল-বাদরীকেই জবাব দিতে বলছি যে, তাকে কি এসব বক্তব্য বা কাজের জন্য বাধ্য বা বল প্রয়োগ করা হচ্ছে? নাকি সে নিজেই এই মথ্যা অপবাদের মূল হোতা? যদিও উভয় কারণই ক্ষমার যোগ্য নয়।
        হে ইবরাহীম আল-বাদরী! বলা হয় যে, তুমি নাকি ডক্টরেড ডিগ্রি লাভ করেছো! যদি তাই হয় তাহলে তো তোমার তা জানার কথা যে কিভাবে ইলমী রিসালাহ বা পত্র লিখতে হয়, আর কিভাবেই বা দলীল আদিল্লা পেশ করতে হয়!
        তাই তোমাকে প্রশ্ন করছিঃ
        “আল কায়েদার নেতৃবৃন্দের কুফরির ব্যপারে তোমার বিস্তারিত ঘটনাবলী, প্রামান্যপত্র ও দলীল-প্রমান কি?”
        আমরা শুধু তোমার কাছ থেকে উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম, অন্য কারও থেকে নয়। আমাদের অপেক্ষার প্রহর কি দীর্ঘ করা হবে?



        আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

        Comment


        • #5
          আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-০৫
          আপনি কি জানেন আল বাদরী কে বাইয়াত দেওয়ার অর্থ কি?


          আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
          রমজান || ১৪৩৭ হিজরী






          অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-05

          ডাউনলোড করুন
          ওয়ার্ড (১০৪.০ কেবি)







          পিডিএফ (৩২৪.৪ কেবি)






          যারা ইবরাহীম আল বাদরী’র নিকট বাইয়াতের অঙ্গীকার করেছেন আমরা তাদের বলতে চাই, তার সকল অন্যায়, অপরাধ ও তার চরমপন্থায় আপনি অংশ গ্রহন করছেন। জেনে রাখুন যখন সত্য প্রকাশিত হবে তখন ইবরাহীম আল বাদরী আপনার কোন কল্যাণ সাধন করতে পারবে না।
          আপনি যদি বাদরীর নিকট বায়াতের অঙ্গীকার করেন, তবে তার শরীয়তের বিচার থেকে বিচ্যুতির আপনিও একজন অংশীদার।
          আপনি যদি তার নিকট বাইয়াতের অঙ্গীকার করেন, তবে তার মুসলিমদেরকে কোন প্রমাণ ছাড়া বরং মিথ্যা ও প্রতারনার দ্বারা তাকফির করাতে আপনিও একজন অংশীদার।
          আমাদের উপর তাকফিরির জন্য আমরা আল বাদরীর সাথে আপনারও প্রতিপক্ষ থাকব পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত।
          আপনি যদি তার নিকট বাইয়াতের অঙ্গীকার করেন, তবে আপনি তার সমস্ত মিথ্যার অংশীদার, যেগুলো আমরা প্রকাশ করেছি, তার মধ্যে এই মিথ্যাটিও যে আমরা ব্রাদারহুড সমর্থন করি ও শিয়াদেরকে কাফির বলে সাব্যস্ত করি না। আমাদের উপর আপনাদের এই মিথ্যারোপের জন্য আমরা পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত আল-বাদরীর সাথে আপনাদেরও প্রতিপক্ষ।
          আপনি যদি তার নিকট বাইয়াতের অঙ্গীকার করেন, তবে আপনি তার অংশীদার, যেখানে তার মুখপাত্রের ভাষ্যমতে, যারাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে তারাই কাফের।
          আপনি যদি তার নিকট বাইয়াতের অঙ্গীকার করেন, তবে আপনিও তার অংশীদার, যেখানে তার মুখপাত্র তাদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে যারা শরীয়াহ আইন কায়েম করতে চায়।
          আপনি যদি তার নিকট বাইয়াতের অঙ্গীকার করেন, তবে আপনি তার এই বিষয়ে তার অংশীদার যেখানে, তার ম্যাগাজিন মুজাহিদদের স্ত্রীদেরকে ব্যাভিচারিনী বলে সাব্যস্ত করেছে।
          আপনি যদি তার নিকট বাইয়াতের অঙ্গীকার করেন তবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে তার সমস্ত অভিশাপের অংশীদার আপনি, তার অন্তর্ভুক্ত এটাও যে, তার মুখপাত্র আল-কায়েদা সম্পর্কে মন্তব্য করেছে, তারা নাকি সেই অসতী নারীর ন্যায় যে তার সতীত্বের দাবি করে, এবং তার অনুসরণকারী তালেবানদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছে যে, তালেবানরা গোয়েন্দা সংস্থার গোলাম।
          আপনি যদি তার নিকট বাইয়াতের অঙ্গীকার করেন, তবে যে সমস্ত অঙ্গীকার ও প্রতিজ্ঞার ভঙ্গ সে করেছে তারও অংশীদার আপনি, যখন আল বদরী স্বীকার করত যে, আল কায়েদা’র আনুগত্য লাভ করতে পেরে সে আল্লাহের নিকট কৃতজ্ঞ।
          আপনি যদি তার নিকট বাইয়াতের অঙ্গীকার করেন তবে আপনিও হাজার হাজার মুজাহিদদেরকে হত্যা করায় অংশীদার, যাদের মধ্যে উত্তম নেতারাও বিদ্যমান ছিল।
          আপনি যদি তার নিকট বাইয়াতের অঙ্গীকার করেন তবে তার সম্মান ও সাধুবাদের এক নতুনত্ব উদ্ভাবনেরও আপনি একজন অংশীদার এবং এই নতুনত্বের ক্ষেত্রে, প্রতিপক্ষের লোভ লালসা কতটুকু সেটার সত্যতা যাচায় করাও অত্যন্ত জরুরী।
          আপনি যদি তার নিকট বাইয়াতের অঙ্গীকার করেন, তবে আপনি একটি শুরা ব্যতীত মিথ্যা ও জোর প্রয়োগের মাধ্যমে একটি প্রতারণাপূর্ণ রাজ্য কায়েমে লিপ্ত আছেন। আপনাদের সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’এর সম্মানিত সাহাবী হযরত উমর বিন আল-খাত্তাব (রাঃ) সতর্ক করেছেন, তিনি বলেন-
          “আল্লাহর ইচ্ছায়, আমি আজ রাতে মানুষের সামনে দাঁড়াবো এবং তাদেরকে সতর্ক করব সেই সমস্ত লোকদের বিরুদ্ধে যারা অন্যদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়।”
          আপনি এই সকল ক্ষেত্রেও তার অংশীদার।

          সুতরাং সেই দিনের জবাবদিহিতার জন্য প্রস্তুত হোন যেইদিন এক অংশীদার তার অপর অংশীদারের কোন উপকারে আসবে না।


          আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

          Comment


          • #6
            আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-০৬
            তোমাদের নিজেদের থেকে প্রথমে আরম্ভ কর!


            আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
            শাওয়াল || ১৪৩৭ হিজরী




            অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-06

            ডাউনলোড করুন
            ওয়ার্ড (৯৯.০ কেবি)








            পিডিএফ (৫০২.২ কেবি)







            ইবরাহীম আল বাদরী এবং তার সাথে যারা আছে তারা মিথ্যাভাবে এই অভিযোগ করে যে, তারা সহীহ আক্বীদা অনুসরণ করে এবং তারা ব্যতীত অন্যরা বিপথগামী হয়েছে যদিও তারা শরীয়াহর ফয়সালা থেকে পলায়ন করে। তারা কি সুবহানাহু তা’আলার বাণী পাঠ করে নি?

            وَيَقُولُونَ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالرَّسُولِ وَأَطَعْنَا ثُمَّ يَتَوَلَّىٰ فَرِيقٌ مِّنْهُم مِّن بَعْدِ ذَٰلِكَ ۚ وَمَا أُولَٰئِكَ بِالْمُؤْمِنِينَ (47) وَإِذَا دُعُوا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ إِذَا فَرِيقٌ مِّنْهُم مُّعْرِضُونَ (48) وَإِن يَكُن لَّهُمُ الْحَقُّ يَأْتُوا إِلَيْهِ مُذْعِنِينَ (49) أَفِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ أَمِ ارْتَابُوا أَمْ يَخَافُونَ أَن يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَرَسُولُهُ ۚ بَلْ أُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ (50) إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِينَ إِذَا دُعُوا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَن يَقُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ (51

            “তারা বলে, ‘আমরা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছি এবং আমরা আনুগত্য করেছি, তারপর তাদের একটি দল এর পরে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর তারা মুমিন নয়। আর যখন তাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি এ মর্মে আহবান করা হয় যে, তিনি তাদের মধ্যে বিচার-মীমাংসা করবেন, তখন তাদের একটি দল মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু যদি সত্য তাদের পক্ষে থাকে, তাহলে তারা তার কাছে একান্ত বিনীতভাবে ছুটে আসে। তাদের অন্তরে কি ব্যাধি রয়েছে? নাকি তারা সন্দেহ পোষণ করে, না তারা ভয় করে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তাদের উপর যুলম করবেন? বরং তারাই তো যালিম। মুমিনদেরকে যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি এ মর্মে আহবান করা হয় যে, তিনি তাদের মধ্যে বিচার, মীমাংসা করবেন, তাদের কথা তো এই হয় যে, তখন তারা বলে: ‘আমরা শুনলাম ও আনুগত্য করলাম। আর তারাই সফলকাম।”
            (সূরা আন-নূর: ৪৭-৫১)

            তারা কি সুবহানাহু তা’আলার বাণী পাঠ করে নি?

            فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا

            “অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে, তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোন দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়।”
            (সুরা আন-নিসা:৬৫)

            সর্বশেষে, সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর যিনি বিশ্বজগতসমূহের মালিক।

            আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

            Comment


            • #7
              আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-০৭
              “কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণভাবে বিকশিত করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।”


              আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
              জুমাদাল উলা || ১৪৩৮ হিজরী




              অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-07

              ডাউনলোড করুন
              ওয়ার্ড (৯৭.৩ কেবি)








              পিডিএফ (৩৮৭.২ কেবি)






              ট্রাম্প তার উদ্বোধনী বক্তব্যে ইসলামী সন্ত্রাসবাদকে হুমকি প্রদানের মাত্র সামান্য কয়েকদিন পরেই, আমরা ইয়েমেনের ক্বিফা এলাকায় আমেরিকান ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেছি।
              অতঃপর, এটা আবারো সকলের নিকট পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, এই হুমকি যে কেবলমাত্র মুসলিম উম্মাহর মুজাহিদদের লক্ষ্য করে ছিল তা নয়, বরং এর বদলে উম্মাহর নারী, পুরুষ এবং এমনকি শিশু যেই হোক না কেন, সকল সাধারণ মুসলিমকে লক্ষ্য করে এই হুমকি প্রদান করা হয়েছিল। কেননা, আমেরিকানরা এই হত্যাকাণ্ডে ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিত ভাবে আমাদের নারী ও শিশুদের হত্যা করেছে এবং এমনকি মায়ের গর্ভে থাকা শিশুও তাদের এই নৃশংসতা থেকে বাঁচতে পারে নি।
              এবং এ প্রেক্ষিতে আমরা এই মূর্খ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলছি: বিগত বছরগুলোতে তোমার দেশের প্রেসিডেন্ট পদে অনেকেই এসেছে, তারা সবাই আমেরিকান জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা মুজাহিদিনদের হত্যা করবে ও তাদের ছিন্নভিন্ন করে ফেলবে। যাইহোক, তাদের সবার পালা শেষ হয়ে গেছে এবং তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার আগেই হোয়াইট হাউস পরিত্যাগ করেছে, এমনকি যদিও এদের কেউ কেউ দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতায় এসেছিল।
              কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার ভাগ্যেও তাই জুটবে, কেননা জিহাদের অগ্নিশিখা জ্বলে উঠেছে আর বিশ্বের সর্বত্র তা পৌছে গেছে।

              وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
              “কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণভাবে বিকশিত করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।” সুরা আস-সফ (৬১:৮)
              Last edited by An-Nasr Team; 10-23-2017, 03:16 PM.
              আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

              Comment


              • #8
                আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-০৮
                “তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।”


                আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
                জুমাদাল উলা || ১৪৩৮ হিজরী




                অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-08

                ডাউনলোড করুন
                ওয়ার্ড (৯৮.১ কেবি)








                পিডিএফ (৪০৪.৯ কেবি)







                প্রায় প্রত্যেকে- এমনকি ধর্মদ্রোহী পশ্চিমারাও সিআইএ (CIA) এর নাম শুনে বিরক্ত হয়, কেননা এই সংগঠনটির জঘন্য অপরাধ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সকলেই অবহিত। এবং ঈমানদার বান্দারা যখন তাদের দ্বারা বাঁধার সম্মুখীন হতে লাগল, মুরতাদ আল সাউদ পরিবার এযুগের হুবাল (মিথ্যা ইলাহ) আমেরিকার প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করল ও তাদের হয়ে কাজ করতে লাগল। এবং ইসলাম ও মুসলিম এবং জিহাদ ও মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিশাল ভুমিকা রাখার কারণে, এর প্রশংসাস্বরূপ সি আইএ তাদের যুবরাজকে অপমান ও লাঞ্ছনার এক মেডেল প্রদানপূর্বক সম্মানিত করেছে। সি আইএর নতুন প্রধান, মাইক (Mike Pompeo) তাকে এই মেডেল প্রদান করে। এই ঘৃণ্য ক্রুসেডার কর্মক্ষেত্রে যোগদানের পূর্বেই মুসলিম ও ইসলামবিরোধী বিবৃতির মধ্য দিয়ে তার ক্যারিয়ার পূর্ণ করে।
                আমরা এসকল মুরতাদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ক্ষেত্রে শাইখ উসামা বিন লাদেনের (রহিমাহুল্লাহ) দেখানো পথের অনুসরণ করি, যেমনটা তিনি বলেছেন যে,
                “এবং আমরা নিশ্চিত যে, মুসলিমদের মধ্যে যারা একনিষ্ঠ ও ন্যায়পরায়ণ, তারা অবশ্যই অগ্রসর হবে ও ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে উম্মাহকে অস্ত্রে সজ্জিত করবে, যাতে তারা আমেরিকার দাসত্বে বন্দী এই মুরতাদ প্রশাসনের দাসত্বের কবল থেকে উম্মাহকে মুক্ত করতে পারে, এবং এই যমীনে আল্লাহর আইনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে...”

                وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
                “তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।” (সুরা মায়িদাহ-৫:৫১)

                Last edited by An-Nasr Team; 10-23-2017, 03:18 PM.
                আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

                Comment


                • #9
                  আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-০৯
                  মুসলিম উম্মাহর প্রতি অসিয়ত-শায়েখ উমর আব্দুর রহমান রহ.



                  আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
                  জুমাদাল উলা || ১৪৩৮ হিজরী








                  অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-09

                  ডাউনলোড করুন
                  ওয়ার্ড (১১১.১ কেবি)








                  পিডিএফ (৪৮৪.৬ কেবি)







                  ওহে পৃথিবীর কোণায় কোণায় ছড়িয়ে থাকা মুসলমানগণ...

                  আমেরিকান সরকার আমার উপস্থিতি এবং কারাদণ্ডকে একটি সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে ধরে নিচ্ছে এবং এই সুযোগ নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে মুসলিমদের গর্ব-গরিমাকে ধ্বংস করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
                  অতএব, ওরা আমাকে অত্যাচার করছে, শুধুমাত্র মানসিকভাবে তাই নয় বরং নৈতিকভাবেও। তাঁরা আমাকে কোন প্রকার অনুবাদক, পরে শুনানোর মতো কেউ, রেডিও, রেকর্ডার এই সব কিছু থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে যার কারণে আমি অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃবিশ্বের কোন খবর জানতে পারছি না।
                  ওরা আমাকে অত্যাচার করেছে নির্জন নিরব কয়েদখানায়, আরবি জানা এমন কেউ নেই এখানে, যে আমার সাথে কথা বলতে পারে, এভাবে আমার পুরো দিন... মাস... বছর... অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু আমি কারও সাথে কথা বলার সুযোগ পাইনি। যদি আমি কুরআন তিলাওয়াত করতে না পারতাম, তাহলে নানাবিধ মানসিক ও আত্মিক রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতাম।
                  আরেক ধরণের নির্মম অত্যাচার ওরা আমাকে করছে, সেটি হল আমার সম্মুখে সকাল-রাত্র সব সময় একটি ক্যামেরা সচল থাকে, যখন আমি বাথরুমে গোসল এবং প্রয়োজনের জন্যে নগ্ন অবস্থায় থাকি তখনও এই ক্যামেরা সচল থাকে। তারপরও তাঁরা এতে সন্তুষ্ট হতে পারে না। অফিসাররা প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।
                  তারা তাদের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমার দৃষ্টি শক্তি নষ্ট করার জন্য জঘন্য ও ঘৃণিত পদ্ধতি প্রয়োগ করছে। ওরা আমাকে নগ্ন করে তল্লাশি নেয়, সুতরাং যতক্ষণ এই তল্লাশি চলে ততক্ষন আমি নগ্ন থাকি যেমন ছিলাম আমার মা আমাকে যখন প্রসব করেছিলেন। ওরা আমার সামনে এবং পিছনের ব্যক্তিগত অংশগুলোতেও তল্লাশি করে... ওরা কিসের প্রত্যাশা করে?? মাদকের নাকি বোমার? নাকি এই ধরণের কিছুর? প্রতিবারই ওরা এসে এভাবে তল্লাশি করে, এটা আমাকে ভীষণ অপমানিত করে এবং মনে হয় পৃথিবীটা যদি বিভক্ত হয়ে যেত আর আমি তার ভিতরে চলে যেতে পারতাম তাহলে তাঁরা আমার সাথে এমন করতে পারতো না।
                  তবে আমি পূর্বেই বলেছি ওরা এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে যাতে দুনিয়ার চোখে ওরা মুসলিম জাতিকে কলঙ্কিত করে ভঙ্গুর করে দিতে পারে।
                  ওরা আমাকে জুমআ’ এবং জামাতের সাথে সালাত আদায়সহ ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন এবং অন্য মুসলিমদের সাথে সাক্ষাত করতে দেয় না। এই ধরণের নানা বাঁধা আমাকে দেয়া হচ্ছে শুধু মাত্র মিথ্যা বানোয়াট বিচার আর অজুহাতের ভিত্তিতে।
                  আমি এই পরিস্থিতির গভীরতাও বেশ অনুভব করতে পারছি, ওরা আমাকে সন্দেহাতীত ভাবে হত্যা করবে... ওরা নিশ্চই আমাকে হত্যা করে ক্ষান্ত হবে। বিশেষ করে আমি যখন দুনিয়া থেকে এখন সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে আছি। কেউই সঠিকভাবে বলতে পারবে না ওরা আমার খাবার এবং পানীয়তে কি মিশ্রিত করছে! তাঁরা সম্ভবত আমাকে ধীর প্রক্রিয়ায় হত্যা করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যেখানে তাঁরা খাদ্যে এবং ইনজেকশনে বিষ দিচ্ছে এবং আমাকে নষ্ট ও ক্ষতিকারক ঔষধ দিচ্ছে অথবা প্রাণঘাতী ঔষধ অথবা পাগল বানানোর ইনজেকশন দিচ্ছে।
                  বিশেষ আরেকটি বিষয় যে, মেঝে থেকে একটি অদ্ভুত এবং বাজে গন্ধ আমার নাকে আসে। পাশাপাশি একটি শব্দ অব্যাহত ভাবে হতে থাকে। শব্দটা অনেকটা “ভুশ” এর মত যেমন পুরনো এয়ার কন্ডিশনারে হয়ে থাকে। এর সাথে গ্রেনেডের আওয়াজের ন্যায় টোকা, গোলমাল এবং হাতুড়ি পিটানোর শব্দ প্রতিটি ঘণ্টা, দিন ও রাতে হতেই থাকে।
                  ওরা আমাকে মিথ্যা এবং বানোয়াট অজুহাত লাগিয়েছে। সুতরাং ওরা যা বলে তাতে তোমরা কিছুই বিশ্বাস করো না! ওরা মিথ্যায় খুব পারদর্শী এবং এই চেহারা এবং আচরণ ওরা জন্মগতভাবে লালন করে। এই সব কিছুই ওদের থেকে আশা করা যায়।
                  আমেরিকা চায় ওই সকল উলামাদেরকে হত্যা করতে, যারা সত্যের বানী সব জায়গায় পৌঁছে দেয়। আর এই একই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে ওদেরই একনিষ্ঠ সমর্থক সৌদি আরব। তারা শাইখ সাফার আল হাওয়ালি, শাইখ সালমান আল আওদাহ সহ ওই সকল আলেমকে কারারুদ্ধ করলো যারা সত্যের বানী পৌঁছে দিতেন সর্বত্র, মিশরেও সৃষ্টি করা হল একই অবস্থা।
                  পবিত্র কুরআনে এই সকল ইহুদি এবং খৃস্টান সম্পর্কে বেশ কিছু আয়াত নাজিল হয়েছে যা এখন আমরা সম্পূর্ণ ভুলে গেছি অথবা আমরা ভুলে যাওয়ার ভান ধরেছি...

                  قال الله تعالى: {ولا يزالون يقاتلونكم حتى يردوكم عن دينكم إن استطاعوا}
                  “বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়।” (সুরা বাকারা ২:২১৭)

                  {ولن ترضى عنك اليهود ولا النصارى حتى تتبع ملتهم}
                  “আপনি ইহুদি নাসারাদের কখনোই সন্তুষ্ট করতে পারবেন না যতক্ষণ না আপনি তাদের ধর্ম অবলম্বী হচ্ছেন।” (সুরা বাকারাঃ- ১২০)

                  {كيف وإن يظهروا عليكم لا رقبوا فيكم إلا ولا ذمة يرضونكم بأفواههم وتأبى قلوبهم وأكثرهم فاسقون}
                  “কিরূপে? তারা তোমাদের উপর জয়ী হলে তোমাদের আত্নীয়তার ও অঙ্গীকারের কোন মর্যাদা দেবে না। তারা মুখে তোমাদের সন্তুষ্ট করে, কিন্তু তাদের অন্তরসমূহ তা অস্বীকার করে, আর তাদের অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী।” (সুরা তাওবা ৯:৮)

                  {لا يرقبون في مؤمن إلا ولا ذمة وأولائك هم المعتدون}
                  “তারা মর্যাদা দেয় না কোন মুসলমানের ক্ষেত্রে আত্নীয়তার, আর না অঙ্গীকারের। আর তারাই সীমালংঘনকারী।” (সুরা তাওবা ৯:১০)

                  {إن يثقفوكم يكونوا لكم أعداءً ويبسطوا إليكم أيديهم وألسنتهم بالسوء وودوا لو تكفرون}
                  “তোমাদেরকে করতলগত করতে পারলে তারা তোমাদের শত্রু হয়ে যাবে এবং মন্দ উদ্দেশ্যে তোমাদের প্রতি বাহু ও রসনা প্রসারিত করবে এবং চাইবে যে, কোনরূপে তোমরা ও কাফের হয়ে যাও।” (সুরা মুমতাহিনা ৬০:২)


                  এরা তারাই যারা বিশ্বের যেখানেই ইসলামী জাগরণ সৃষ্টি হয় সেখানেই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ওরা জিনা-ব্যভিচার ও সুদ সহ পৃথিবীর মাঝে যত দুর্নীতি আছে তা ছড়াতে সব সময় তৎপর।
                  ও আমার ভাইরা!
                  ওরা যদি আমাক হত্যা করে ফেলে, এবং অবধারিতভাবে ওরা তাই করবে, তাহলে আপনারা আমার মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করবেন এবং আমার লাশ আমার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন। আপনারা আমার রক্তকে ভুলে যাবেন না এবং এটি বৃথা যেতে দিবেন না! এর পরিবর্তে নিয়ম হিসেবে তোমরা ভয়াবহ শক্তিশালী প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন! আপনাদের মাঝে থেকে আরেকজনকে দলভুক্ত করে নিবেন, যিনি কিনা সত্য বলতে পারেন এবং নিজের জীবন আল্লাহ্*র রাস্তায় দিয়ে দিতে পারেন।
                  এই কিছু কথা ছিল আমার অন্তরে যা আপনাদের শুনানোর খুব ইচ্ছা ছিল।
                  আল্লাহ্* আপনাদের উপর রহম করুন এবং কাজে বরকত দান করুন।
                  আল্লাহ্* আপনাদের নিরাপদে রাখুন এবং যত্নে রাখুন এবং আপনাদের শক্তি দান করুন।
                  আপনাদের উপর আল্লাহ তাআলার রহমত, বরকত ও পরিপূর্ণ শান্তি বর্ষিত হোক।
                  -আপনাদের ভাই, উমর আব্দুর রহমান


                  Last edited by An-Nasr Team; 10-23-2017, 03:20 PM.
                  আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

                  Comment


                  • #10
                    আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-১০
                    আপনি সৌভাগ্যের জীবন ও শাহাদাতের মরণ পেয়েছেন!


                    আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
                    জুমাদাল উলা || ১৪৩৮ হিজরী






                    অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-10

                    ডাউনলোড করুন
                    ওয়ার্ড (১০৫.১ কেবি)








                    পিডিএফ (৪০৪.৮ কেবি)







                    মুজাহিদ ইমাম শায়েখ উমর আব্দুর রহমান রহমাতুল্লাহি আলাইহির জীবন ওই সকল গুণাবলী ও অবস্থান দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল, যা শুধু মহান মানুষদের অর্জিত থাকে। তাঁর জীবনের উদাহরণ হচ্ছে একটি আলোকিত চাঁদের ন্যায়, যে আলোতে সর্বস্তরের, সকল যুগের সত্যান্বেষী মানুষেরা পথের দিশা খুঁজে পায়। সমগ্র জীবনব্যাপী তাঁর মহান কীর্তিগুলো ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে খোদিত আছে, বাস্তবিকই তিনি ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে আছেন।
                    কোথায় সেই কারারক্ষীরা?
                    কোথায় তাঁর কারারক্ষীরা?
                    কোথায় তাঁর জল্লাদ?
                    কোথায় তার প্রতিপক্ষ দল যারা অন্যের জীবনের জন্য নিজের ঈমানকে বিক্রি করে দিয়েছিল?
                    ইতিহাস তাদের শুধুই আবু জাহেল ও আবু রিগালের ন্যায় স্মরণ করবে।

                    فَأَمَّا الزَّبَدُ فَيَذْهَبُ جُفَاءً ۖ وَأَمَّا مَا يَنْفَعُ النَّاسَ فَيَمْكُثُ فِي الْأَرْضِ ۚ كَذَٰلِكَ يَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ
                    “অতএব, ফেনা তো শুকিয়ে খতম হয়ে যায় এবং যা মানুষের উপকারে আসে, তা জমিতে অবশিষ্ট থাকে। আল্লাহ এমনিভাবে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন।” (সুরা রা’দ ১৩:১৭)
                    তাঁর স্নিগ্ধ ও সুরভিত জীবন যুগে যুগে উম্মাহর সন্তানদের পাথেয় হয়ে থাকবে এবং তাদের গৌরব ও সম্মানের পথে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এবং আল্লাহর তাকদিরের প্রতি ধৈর্য্যশীল ও পুরস্কার প্রত্যাশীদের জন্য তিনি এক জীবন্ত উদাহরণ। সূর্যোদয়ের পরে সিতারাগুলোর আর কোন প্রয়োজন নেই।
                    শায়খ অসাধারণ জীবনের অধিকারী ছিলেন, তথাপি তার মৃত্যুতে তিনি কৃতজ্ঞ হয়েছেন। তাঁর এই মৃত্যু তাঁর শত্রুদের উদ্দেশ্যে যেন বলে দিচ্ছে যে, এই জানাযার দিনটিই আমাদের এবং তোমাদের মাঝে পার্থক্য দেখিয়ে দিয়েছে। তাঁর জানাযায় ছিল বিপুল লোক সমাগম। ন্যায়পরায়ণ লোকদের একটা বিরাট অংশ এর সাক্ষী হয়ে আছে। পায়ে হেঁটে, যানবাহনে চড়ে এত বিপুল সংখ্যক লোক এসেছিল যে, রাস্তাঘাট এবং চারপাশের ঘরবাড়ি গুলো অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল, দোকানপাট গুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছিল এবং জানালাগুলোতেও ভীড় জমেছিল। ইতিহাসে এমন আর কোন গ্রাম নেই যেখানে তার জানাযার মত এত বিপুল লোক সমারোহ হয়েছিল।

                    মানুষ এক প্রকৃতিরই হয় ও দোষমুক্ত তো মৃতরাই হয়ে থাকে,
                    বিরোধীরা চিৎকার করে বলছেঃ পুরুষেরা সব কোথায়?
                    এখানে, ইবনে আব্দুর রহমান তাঁর খাটিয়ায় শুয়ে আছে।
                    চোখ মেলে দেখ, পর্বতসদৃশ ভীড়গুলো কিভাবে সম্মুখে অগ্রসর হচ্ছে।

                    আপনার জানাযা আমাদের আহলুস সুন্নাহর ইমাম, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ মহান ব্যক্তিত্বদের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, যিনি জেলে বন্দী হওয়ার দরুণ মৃত্যু বরণ করেছেন। আনুমানিক ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ তাঁর জানাযায় অংশগ্রহণ করেছিল। এছাড়াও, শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি দামেস্কের দুর্গে একাকী বন্দী থাকা অবস্থায়, তাঁর সেলের অভ্যন্তরে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তাঁর উপরে এর বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়ে নি। তাঁর জানাযাও আড়ম্বরপূর্ণ ছিল ও বিপুল পরিমাণ লোক সমাগম ঘটেছিল এবং ইমাম যাহাবি রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর বর্ণনামতে, হাজার হাজার ন্যায়পরায়ণ লোক এতে অংশগ্রহণ করেছিল।
                    আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন হে শায়েখ আব্দুর রহমান! আল্লাহ যেন আপনাকে নবী, সিদ্দিকীন ও শহীদদের সাথে জান্নাতের উচ্চস্তরে আসীন করেন। কতই না উত্তম সাথী তাঁরা!
                    ও আল্লাহ! আপনার বান্দা আব্দুর রহমানকে ক্ষমা করে দিন। হক্বের অনুসারীদের মধ্যে তাঁর মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করুন এবং জীবিতদের মধ্য হতে তাঁর প্রতিশোধ গ্রহণকারী বানিয়ে দিন। আমাদের ও তাঁকে ক্ষমা করুন। হে বিশ্ব জাহানের রব! তাঁর কবরকে আরো প্রশস্ত করুন এবং তাঁর কবরকে আলোকিত করে দিন।
                    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

                    Comment


                    • #11
                      আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-১১
                      কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই আমেরিকানদের হত্যা করুন!


                      আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
                      জুমাদাল আখিরাহ || ১৪৩৮ হিজরী






                      অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-11

                      ডাউনলোড করুন
                      ওয়ার্ড (১৬০.৭ কেবি)








                      পিডিএফ (৪৫৪.৬ কেবি)






                      আমেরিকা এবং তার অভিশপ্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনেক ঘৃন্য আপরাধের মধ্যে এক বীভৎস অপরাধের মধ্যে আমরা রাত পার করে দিলাম । (ইয়েমেনের) কিফার বিরোচিত এবং শহীদত্ত আত্বাদের মাতৃগর্ভেই হত্যা করা ঘুমন্ত শিশুদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি; আরেকটি কিফা আধ্যায়ের মঞ্চায়ন হল শামের বরকতময় আন্দোলনের ৭ম বিছর পূর্তির রাতে আলোপ্পোর অদূরে আল-জায়নাহতে ।
                      সেখানে ক্রুসেডার আমেরিকা আমাদের উপর জুলিমের এক নতুন ট্রেজেডি তৈরি করেছে; আমাদের উমার (রাঃ) এর মসজিদে শামের রিবাত এবং জিহাদের প্রায় তিন শত মুসুল্লির উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে যাদের অনেকে নিহত হয়েছে এবং কেও আহত হয়েছে। ত্রুশের বাহক, আমেরিকা,তাদের পূর্ব-পশ্চিমের সকল মিত্র এবং আরব ও দুরপ্রাচ্যের সকল মুরতাদ এজেন্টদের পক্ষ থেকে এটা এক স্পস্ট ও সহজবোধ্য বার্তা যে,
                      “হে মুসলিম! তোমরা অবশ্যই লাঞ্ছনার জীবন যাপন করবে; আমরা তোমাদের যত সম্পদ আছে সব কিছুর উপর লূটপাট চালাবো; বিনিময়ে যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করবো এবং তোমাদের পবিত্র স্থাপনাগুলো ধ্বংস ও অপবিত্র করবো।
                      আর যদি তা করতে দাও তাহলে তোমাদের সন্তানদের আমরা ভুমিস্ট হবার পূর্বেই হত্যা করব; তোমাদের মিহরাবে থাকা শাইখদের অপর আমরা আঘাত হানবো; তোমাদের আলেমদের আমরা কারাগারে রেখে তাদের অপর নির্যাতন চালাবো এবং পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় যুদ্ধরত মুজাহিদিনদের আমরা হত্যা করবো।”
                      আমাদের পক্ষ থেকে আমেরিকা এবং মিত্রদের তাই বলব যা মুজাহিদ শাইখ উসামা বিন লাদিন (রঃ) বলেছিলেন-
                      “সকল প্রশংসার মালিক আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, ‘না আমেরিকা , না আমেরিকায় বসবাসকারী কোন বাসিন্দা নিরাপদের থাকার স্বপ্ন ও দেখবে না যতদিন না ফিলিস্থিনের বাসিন্দারা তা দেখতে পারে এবং যতদিন না মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভুমি থেকে সকল কুফফার বাহিনীকে বিতাড়িত করতে পারি।”
                      আমরা ইসলামে থাকা সাধারন মুসলিম বিশেষত যুবকদের প্রতি আরও বলতে চাই যা আমাদের শহীদ শাইখ উসামা (রঃ) তাদের উদ্দেশ্য বলেছিলেন-
                      “আমাদের নবী (সা) যুবক ইবনে আব্বাসকে (রাঃ) বলেছিলেন-
                      “হে যুবক আমি তোমাকে কিছু জিনিস শিক্ষা দিচ্ছি,
                      আল্লাহ্*কে সুরক্ষির রাখো তাহলে তিনি তোমাকে সুরক্ষা দিবেন; তাকে নিরাপত্তা দাও তাহলে তুমি সবসময় তোমার বিপদে তাকে সামনে পাবে। তুমি যদি কাউকে ডাক তাহলে আল্লাহ্*কে ডাক; এবং যদি তুমি কারোও সাহায্য কামনা কর তাহলে আল্লাহ্*র সাহায্য কামনা কর। এবং জেনে রাখো সমস্ত উম্মহত যদি একত্রিত হয় তোমাকে সাহায্য করার জন্য তাহলে তারা ততটুকুই সাহায্য করতে পারবে যা আল্লাহ তোমার জন্য নির্ধারন করে রেখেছেন। আর সমস্ত উম্মত যদি তোমার ক্ষতি করতে চায় তাহলে তারা ততটুকুই করতে পারবে যা ইতিমধ্যে আল্লাহ তোমার জন্য নির্ধারিত করে রেখেছে। কলম উঠিয়ে নেয়ে হয়েছে, কালি শুকিয়ে গেছে।””

                      আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

                      Comment


                      • #12
                        আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-১২
                        “আর তারা মুমিনদের সাথে যা করেছিল, নিজেরাই তার সাক্ষী। এবং তারা তাদেরকে শুধু এই কারণে শাস্তি দিয়েছিল যে, তারা মহাপরাক্রমশালী প্রশংসাভাজন আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল।”


                        আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
                        জুমাদাল আখিরাহ || ১৪৩৮ হিজরী






                        অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-12

                        ডাউনলোড করুন
                        ওয়ার্ড (১২৬.০ কেবি)








                        পিডিএফ (৪১৯.০ কেবি)







                        মুসলিম উম্মাহর করুণচিত্র কোন দিন শেষ হবার না, যতদিন না শুকর ও বানরের উত্তরসূরিরা আমাদের পবিত্র মাসজিদুল আকসা দখল করে রেখেছে এবং আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইরা তাদের নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে...
                        এবং তাদের দুর্ভোগের এই করুণচিত্র কোন দিন শেষ হবে না, যতদিন না শয়তান রাফিদা ও নিকৃষ্ট নুসাইরিদের হাতে ইরাক ও সিরিয়াতে আমাদের সুন্নী ভাইবোনরা নির্যাতিত হচ্ছে...
                        যা কিছু উল্লেখ করেছি আর যা কিছু অগোচরে রয়ে গেছে তার কিছুই বন্ধ হবে না, যতদিন না আমরা জেগে উঠি এবং উপযুক্ত বদলা আদায় করি! আমাদের এরূপ কর্মকাণ্ড উম্মাহর শত্রুদের (মুনাফিক) লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং তারা একে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে! অথচ যখন সারাবিশ্বের সামনে প্রকাশ্যে পশ্চিমা ক্রুসেডাররা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, যখন তারা আমাদের ভূমিগুলো দখল করে এবং তাদের ট্যাংকবহর গুলো সাধারণ জনগণের অধিকার, সম্মান আর স্বাধীনতার খর্ব করে.. তখন ওদের থেকে কোন টুঁ শব্দ শুনতে পাওয়া যায় না..
                        বিদেশী কুত্তারাও তাদের মত এত লজ্জিত হয় না..
                        আমেরিকান সন্ত্রাসী দলের এজেন্ট হাফতার (লিবিয়ার মুরতাদ সরকার প্রধান) ও নিজেদের সালাফীদের অনুসারী দাবি করা কিছু লোক -এবং নিশ্চয়ই সালাফরা ওদের জঘন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত- আর সেই সাথে মৃত গাদ্দাফির অনুসারীদের কেউ কেউ উমার মুখতারের এইসব বীর উত্তরসূরিদের প্রতি সীমাহীন ঘৃণা প্রকাশ করে, যারা তাদের ইজ্জত ও সম্মান রক্ষার্থে এবং তাদের রবের আনীত দ্বীনকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে উঠে দাঁড়িয়েছে...
                        সুতরাং সন্ত্রাসী মিলিশিয়ারা তাদের জীবিতদের পবিত্রতা ও সম্মানে আঘাত হানার পর, অতঃপর তাদের মৃতদের পবিত্রতার উপর হস্তক্ষেপ করেছে। বিকৃত আত্মার অধিকারী এই কুকুররা শহীদদের কবর খুঁড়ে বিপ্লবী ও মুজাহিদিনদের লাশগুলো বের করে আনে এবং বেনগাজি সড়কের উপর দিয়ে মৃতদেহগুলো টেনে হেঁচড়ে নিয়ে আসে, অতঃপর সেগুলো তাদের মিলিটারি ব্যারাকের গেটে ঝুলিয়ে রাখে.. নারী কিংবা পুরুষ, বৃদ্ধা অথবা শিশু কারো মৃতদেহ এ থেকে রেহাই পায় না.. রাফিদা, বৌদ্ধ আর ইহুদিদের মতই ওদের অন্তরগুলো ঘৃণা আর প্রতিহিংসায় পূর্ণ হয়ে আছে, ওদের কাছে জীবিত কিংবা মৃত কারো কোন পবিত্রতা নেই।
                        নিশ্চয়ই একদিন আল্লাহ সুবহানুওয়া তা'আলা দেহগুলোকে শয়তানের এসব দোসরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও প্রমাণ হিসেবে উপস্থিত করবেন। আল্লাহ সুবহানুওয়া তা'আলা সেদিন এই পচে যাওয়া লাশগুলোকে অক্ষত অবস্থায় উঠাবেন, দেখে মনে হবে তারা যেন এইমাত্র শহীদ হয়েছেন...
                        এই ঘৃণিত অপরাধ সংঘটনের পূর্বে তারা আরও বহু অপরাধ করেছে, কুনফুদাহ শহরে মাজলুম মুসলিমদের উপর অবরোধ জারি করেছে, যাদের অধিকাংশই খাবার আর পানির অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে, অবিরাম বোমাবর্ষণের ভয়াবহ ঘটনা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। আমেরিকা ও ফ্রান্সের প্রকাশ্য সহযোগিতায় আরব আমিরাত, মিসরের সিসি ও তার মুরতাদ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে আরব এজেন্ট ও তাদের মুরতাদ প্রশাসন এতে অংশগ্রহণ করে।
                        এই ধোঁকাময় পৃথিবীতে এ এক সীমাহীন লজ্জা, মুসলিম উম্মাহ ললাটে তা যেন কলঙ্কের কালিমা একে দিয়েছে.. মুসলিমদেরকে উস্কে দেওয়া এই হীন জঘন্য কর্মকাণ্ডগুলোকে দূরীভূত করার একমাত্র কাণ্ডারি হচ্ছে হক্বের ঝাণ্ডাবাহী ইসলামের তরুণ যুবক দল। সকল অত্যাচারী.. জীবিত কি মৃত কোন মুসলিম যাদের থেকে রেহাই পায়নি, একমাত্র উম্মাহর তরুণরাই পারে মুসলিমদের প্রতি বাড়ানো ওদের নাপাক হাতগুলো ছিন্ন করে দিতে। এবং এই তাওহিদের সন্তানেরা অত্যাচারীদের গর্দানে আঘাত হানার মাধ্যমে ওদের মূলোৎপাটন করে ছাড়বে বিইযনিল্লাহ, যাতে অত্যাচারীরা তাদের পূর্ববর্তীদের ন্যায় ইতিহাসের আস্তাকুড়ে জায়গা করে নিতে পারে...

                        وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنْقَلَبٍ يَنْقَلِبُونَ
                        “...এবং শীঘ্রই অত্যাচারীরা জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কোথায়।”
                        (সূরা আশ শু’আরা: আয়াত ২২৭)


                        আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

                        Comment


                        • #13
                          আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-১৩
                          “তোমাদের ভালোবাসার বস্তু থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত, কিছুতেই তোমরা কল্যাণ লাভ করতে পারবে না । আর তোমরা সত্য সহকারে যা কিছু ব্যয় করবে আল্লাহ তা ভালভাবে জানেন।”


                          আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
                          জুমাদাল আখিরাহ || ১৪৩৮ হিজরী






                          অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-13

                          ডাউনলোড করুন
                          ওয়ার্ড (১৫৪.১ কেবি)








                          পিডিএফ (৩৬০.৫ কেবি)







                          সোমালিয়াতে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ চলাকালীন সময়ে, দখলদার আফ্রিকান সেনাবাহিনী কিংবা পশ্চিমা দেশগুলো হতে সেখানকার জনগণের জন্য কেউ এক লোকমা পরিমাণ খাবারও পাঠায়নি যা দিয়ে তাদের ক্ষুধা নিবারণ করা সম্ভব। এমনকি তাদের পক্ষ হতে এক ফোটা পানিও কেউ পায়নি যা দিয়ে তারা তৃষ্ণা নিবারণ করবে। অথচ এরাই আবার দাবি করে থাকে যে, তারা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্ত করে নিরাপদ, স্বচ্ছল ও সুন্দর জীবন উপহার দেবে। একই সাথে আপনারা হারাকাত আশশাবাবের মুজাহিদিনদের বেলায় দেখতে পাবেন যে, তারা দক্ষিণ সোমালিয়ার হিরাণ, মধ্য সাবেলী, নিম্ন সাবেলী, বায় ও বাকুল এবং জিদো প্রভৃতি এলাকা এবং মুদুগ প্রদেশের দুর্ভিক্ষপীড়িত অসহায় মুসলিমদের সাহায্যার্থে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার ক্যাম্পেইনের আয়োজন করছে। একই সাথে তারা ত্রাণ ও খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখে। মধ্য সোমালিয়ায় মুদুগ অঞ্চলের গালকায়ো শহরে হারাকাত আশশাবাবের মুজাহিদগণ হাজার হাজার দুর্ভিক্ষ কবলিত পরিবার এবং নিম্ন সাবেলীর ইসলামিক প্রদেশে অবস্থানরত হারাকাত ও কংগোর শত শত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করে। তারা এই ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখে যতক্ষণ না তা সকল দুর্দশাগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে। কিন্তু স্থানীয় মুরতাদ সরকার ও তাদের ক্রুসেডার জোট এসব মুজাহিদিনদের উগ্রপন্থী ও জনগণবিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করে।
                          হে আমার সোমালিয়ার নিরীহ ভাইরা! আজ এই মর্মান্তিক মুহূর্তে তাদের অভিযোগ ও সত্যবাদিতার মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। দুর্ভিক্ষ সময়কালীন এই নাজুক পরিস্থিতে, বিগত কয়েক বছর যাবত এবং এখনো আপনারা আপনাদের মুজাহিদিন সন্তান ও ভাইদের সততা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন। অন্যদিকে, এজেন্ট সরকার আপনাদেরকে দখলদার জাতিগুলোর হাতে ছেড়ে দিয়েছে যারা কেবলমাত্র আপনাদের দুর্ভোগই বৃদ্ধি করছে। যেমন, ইথিওপিয়া সাবেলী নদীর উপর তাদের বাধ নির্মাণ করার কারণে আপনাদের অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে এবং এটি এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের অন্যতম প্রধান নিয়ামকগুলোর একটি।
                          সুতরাং হে আমার মুসলিম ভাইরা! সর্বত্র আপনাদের অভাবগ্রস্ত মুসলিম ভাইদের প্রয়োজন পূরণে ঝাঁপিয়ে পড়ুন এবং নিজেদের মাঝে একই উম্মাহর ধারণাকে উজ্জীবিত করুন ও আপনাদের ভাইদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।
                          শায়খ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ, যিনি প্রকৃত অর্থেই উম্মাহর প্রতি দরদী ছিলেন, তিনি বলেন-
                          “আমাদের এ বিষয়টিও স্মরণ রাখা উচিত, যা আমাদের সবচেয়ে জটিল সমস্যাগুলোর একটি এবং দুর্ভিক্ষ ও সাহায্য ঘাটতির এটাই হচ্ছে মূল কারণ যে, বিস্তৃত উম্মাহর অর্থনৈতিক ধ্যানধারণার উপর আজ সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী মনোভাব একেবারে জেকে বসেছে। আরব উপদ্বীপের অর্থভাণ্ডার গড়ে উঠেছে মুসলিমদের সম্পদ দ্বারা এবং মুসলিম ভূমির তেল প্রাপ্তির অধিকার শুধু মুসলিমদের জন্যই। কিন্তু বাস্তবতা এই যে, মুসলিমরা যখন বন্যা, খরা, মহামারী, খাদ্য সংকটে ভুগছে এবং অবহেলার সম্মুখীন ও মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে, ওদিকে মুসলিমদের সম্পদগুলো তখন অসাধুভাবে ও অনর্থক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং সম্পদের অপচয় ঘটছে।”
                          আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

                          Comment


                          • #14
                            আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-১৪
                            আরব শাসক এবং আমেরিকান হাই হিল জুতোর গল্প


                            আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
                            রজব || ১৪৩৮ হিজরী






                            অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-14

                            ডাউনলোড করুন
                            ওয়ার্ড (১০০.৭ কেবি)








                            পিডিএফ (৪১২.৩ কেবি)







                            রাতের আরবে মৃত সাগরে অনুষ্ঠিত আরবের মৃত সেই অনুষ্ঠানে আমেরিকান প্রতিনিধিরা আরবের শাসকদের প্রতি ভীতিকর এবং ঠাট্টায় পরিপূর্ণ এক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। এক ইহুদী AIPAC এর সেই মিটিং এ বলে – “আমি হাই হিল পরি, কিন্তু তা ফ্যাশন এর জন্য নয়। এটা এমন যে কাউকে লাথি দেয়ার জন্য যারা ইসরাইলের সাথে সরাসরি কোন নিন্দায় লিপ্ত হয়।”এটা আমেরিকা, যুগের হুবল দেবতার পক্ষ থেকে তাদের পূজায় রত আরব শাসক, তাদের সেবায় নিয়োজিত পুতুল এবং তাদের সেবায় রত শয়তান আলিমের দল এবং মূর্খ সাংবাদিকদের প্রতি বার্তা, যে তুমি তোমার গণ্ডির বাইরে যেতে পারবে না, এবং তুমি হাই হিলের লাথি খেয়ে শাস্তি পাবে প্রভুর বিরুদ্ধে যে কোন বক্তব্যের জন্য, যদিও প্যালেস্টাইন ও অনন্য মুসলিম ভূমিতে ইহুদীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখেও তোমার চোখে ছাই দিয়ে রাখতে হয়।
                            ক্রুশের ধারক আমেরিকার এই বার্তা সেই মুসলিম উম্মাহর জন্য, যারা অনাচার এবং স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে গেছে, যার অর্থ ভারী বোমা এবং সরাসরি নিক্ষিপ্ত রকেট যা আল্লেপ্পর সালাহ’তে অবস্থানরত মানুষকে হত্যা করার জন্য বর্ষণ করা হচ্ছে, মসুল এবং রাক্কাহ’র শরণার্থীদের রক্ত প্রবাহিত করার জন্য করা হচ্ছে, এবং আফগানিস্তানের জানাজা অনুষ্ঠানসমূহ এবং হাসপাতাল গুলোকে পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে, ইয়েমেনের মার পেটে থাকা বাচ্চাটাকে ধুঁয়ার স্বাদ আস্বাদন করানো হচ্ছে, লিবিয়াতে মানুষ পুড়ানো হচ্ছে... এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যেন কোন শেষ নেই।
                            এই বার্তার দুটি দিক হল, এক তো এটা বুঝিয়ে দেয়া যে আমেরিকা এবং তাদের ক্রুসেডর সহযোগীরা ইহুদী এবং আরব মুরতাদ এবং মুসলিম নামধারী তাদের অনুগত শাসকদের প্রতি তাদের সমর্থনের বিরুদ্ধে কোন অবস্থানকে মেনে নিবে না। এরা এটাও বুঝিয়ে দিয়েছে, যে মুসলিম উম্মাহর সৌভাগ্য এবং সম্পদের যে ডাকাতি তারা করে আসছে সেটা কোনোভাবেই তারা বন্ধ করতে প্রস্তুত নয়, এমন কাউকে মেনে নিতেও প্রস্তুত নয়, যারা কোন কর্মপন্থার মাধ্যমে শরিয়াহ কায়েম করতে চায়, যারা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যারা মুসলিম উম্মাহর ভাগ্য বদলে দিতে চায়, যদি এমন কেউ চায়, তাহলে তার জন্য জুটবে বোমা আর লক্ষ্যবস্তু বানানো রকেট, সেই সব মুরতাদ শাসকদের সমর্থনে যারা কিনা যিওনের কওমের সাথে যে কোন বাড়াবাড়ি করার কারণে ইহুদীদের হাই হিলের লাথি খাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
                            এই লড়াইকে বুঝে নেয়া এবং মুকাবিলা করার জন্য এই উম্মাহ আজ দুর্বলতার সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার বিভ্রম থেকে উঠে আসতে বাধ্য, যা মুজাহিদগণ বুঝতে পেরেছেন এবং তাঁদের আলিম এবং নেতাদেরকে উদ্দেশ্য করে এর গুরুত্ব বুঝিয়েছেন, সেই সাথে উম্মাহ এবং তরুণ সম্প্রদায়ের প্রতি উদ্দেশ্য করে জানিয়েছেন –ক্রুসেডর আমেরিকা, শিয়া, মুরতাদ আরব এবং ক্রুসেডের সহযোগী অনন্য সব বিদেশীদের উদ্দেশ্য উম্মাহ শরিয়াহ কায়েম করে এবং ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করে যে শান্তির শ্বাস নিতে চাচ্ছে তাতে বাঁধ তৈরি করা, যা কিনা তাঁদের নাস্তিক্যবাদের উপর হুমকি।
                            হে ইসলামের যুবাগণ! আমেরিকার তৈরি বিশ্ব নাস্তিক্যবাদের উপর হামলা চালাও, আল্লাহ্*কে দেখাও যে তাদের সিংহাসন কাঁপিয়ে দেয়ার জন্য তোমরা কি কি করতে পারো। এবং তাদের আগ্রহকে ধূলিসাৎ করে দাও, তাদের সাথের শত্রুদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানাও, এবং এই সব কিছু করো একমাত্র আল্লাহ্* সুবাহানুহু ওয়া তাআলাকে ভয় পেয়ে , ধৈর্য এবং আন্তরিকতার সাথে।



                            আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

                            Comment


                            • #15
                              আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-১৫
                              ‘যে তার সম্পদ রক্ষার জন্য নিহত হল, সে শহীদ...’


                              আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
                              শাবান || ১৪৩৮ হিজরী







                              অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/AnNafirBulletin-15

                              ডাউনলোড করুন
                              ওয়ার্ড (১৬০.৫ কেবি)







                              পিডিএফ (৪১৬.৪ কেবি)






                              আল সাউদ শাসকেরা, এবং অন্য সকল ধর্মত্যাগীরা আজ বাতিল, ধ্বংসের উপযুক্ত কিছু লৌকিকতা ও আনুষ্ঠানিকতা দ্বারা হোয়াইট হাউসের ঘৃণিত ক্রুসেডরদের প্রধান, ট্রাম্পের কাছে আনুগত্য স্বীকার এবং তার প্রতি এই শাসকরা বায়াহ নতুন করে আদায় করে তাদের অবস্থান আমাদের কাছে প্রকাশ করেছে। আল সাউদের এই শাসকদের সাথে অংশগ্রহণের খাতিরে ক্রুসেডর ট্রাম্প আল সাউদের এই শাসকদের কাছে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্ধেক(৫০০ বিলিয়ন ডলার) এর চুক্তির প্রস্তাব করেছে জামানার হুবাল দেবতা আমেরিকার গোলামীর বিনিময়ে, যাতে করে এরা নিজেদের সিংহাসন এর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পায় এবং তাদের পরবর্তীতে তাদের সন্তানেরা বিলাদুল হারামাইনকে নিশ্চিতভাবে শাসন করতে পারে।
                              আমরা যদি এই অর্থের পরিমান টাকে যোগ করে ১ ট্রিলিয়ন (১০০০ বিলিয়ন) ধরে নেই, যা আল সাউদের এই পথভ্রষ্ট শাসকেরা ক্রুসেডরদের ভূমি আমেরিকায় বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে, এই ‘জিজিয়া’ যা আল সাউদ ক্রুসেডর আমেরিকাকে বিলাদুল হারামাইনে তাদের কার্যক্রমকে চালিয়ে যাওয়ার জন্য, তাদের সিংহাসন রক্ষা এবং মুসলিম বিশ্বের উপর তাদের প্রভাবকে ধরে রাখার জন্য দিতে যাচ্ছে, একটা সহজ সমীকরণে আমরা দেখতে পাই, যদি এই বিরাট অঙ্কটি আমাদের বিলাদুল হারামাইনের জনগণের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়, তাহলে প্রতিটি পরিবার ২,০০,০০০ ডলার, মানে ৭৫০ রিয়াল করে ভাগে পাবে। যা বিলাদুল হারামাইনের জনগণের দীনতা, প্রয়োজন, বেকারত্ব সব ঘুচিয়ে দিতে পারে, জাতি এই মিলিয়ন ডলার থেকে উপকারী হতে পারতো, বিশ্বের হতদরিদ্র মুসলিমরাও এই মিলিয়নসম অর্থ থেকে উপকারী হত।
                              আল সাউদের শাসকরা সহ মুসলিম বিশ্বের নামধারী নেতারা বিশ্বাসঘাতকতায় ভর্তি এই সভায় নিজেরা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে, এবং এমন এক ধর্মত্যাগী, মুরতাদ বাহিনী প্রস্তুত করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছে যারা সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ধোঁয়া তুলে প্রকৃতপক্ষে জিহাদের বিরুদ্ধে, মুজাহিদিনদের সাথে যুদ্ধ করবে। এবং এই ঘোষণার পর্বটি ঘটেছে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত এক রাজধানীতে, রিয়াদ; যা চরমপন্থা, পশ্চাৎপদতা এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের নামের আড়ালে মূলত বিশ্বাস, পবিত্রতা এবং বিশুদ্ধ অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য একটি কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং আল্লাহ্* সুবাহানুহুই আমাদের একমাত্র কার্যনির্বাহী।
                              এ হচ্ছে রিয়াদে ঘটে যাওয়া ন্যাক্কারজনক সেই সামিটের সারমর্ম মাত্র। তো, মুসলিমরা এবং তাদের আলিমগণ, সামনের কঠিন দিনগুলোর জন্য কি করার প্রস্তুতি নিয়েছেন যা দিয়ে এই ভয়ংকর মুরতাদদের জঘন্য চিন্তা, তাদের এই পরিস্কার বিশ্বাসঘাতকতা এবং এই অভূতপূর্ব চৌর্যবৃত্তির মুখোমুখি হওয়া যায়?
                              রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সহিহ হাদিসে বলেছেন –
                              “যে তার সম্পদ রক্ষার জন্য নিহত হল সে শহীদ। যে তার ধর্ম রক্ষার জন্য নিহত হল, সে শহীদ। যে তার রক্ত রক্ষার জন্য নিহত হল, সে শহীদ। যে তার পরিবার রক্ষার জন্য নিহত হল, সে শহীদ।”
                              তো, এই হল সেই ক্রুসেডর এবং মুরতাদের দলেরা; যারা তোমার অর্থ চুরি করেছে, তোমার ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়েছে, তোমার রক্তকে প্রবাহিত করেছে, তোমার সম্মানকে লুণ্ঠিত করেছে। আর কখন তোমরা আল্লাহ্* সুবাহানুহু ওয়া তাআলার দিকে ফেরত আসবে আর একমাত্র আল্লাহ্*র জন্যই যুদ্ধ করবে?
                              আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

                              Comment

                              Working...
                              X