ট্রাম্প কর্তৃক জেরুজালেমকে ইহুদি দখলদারদের রাজধানী ঘোষণার প্রেক্ষিতে বার্তা
http://i.cubeupload.com/NFaWR8.jpg
ডাউনলোড করুন
সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি বিশ্বজগতের মালিক এবং শান্তি ও সালাত বর্ষিত হোক
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, তাঁর পরিবারবর্গ এবং তাঁর সাহাবিদের উপর।
“জেরুজালেম হচ্ছে জায়োনিস্ট ইহুদি দখলদারদের রাজধানী”–এ ঘোষণার মাধ্যমে আমেরিকা মুসলিম উম্মাহকে অপমান করেছে এবং জায়নিস্ট ইহুদিদের পক্ষে এ জোরালো পদক্ষেপের মাধ্যমে পাপিষ্ঠ ট্রাম্প দখলদার ইহুদি ও আমেরিকার মধ্যকার শক্তিশালী সম্পর্কের ব্যাপারে লেখক জন পিটারের এই কথাকে আবারো সত্য প্রমাণ করেছে- “আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এবং তাদের সহযোগীরা জায়োনিস্টদের সামনে এমনভাবে মাথা নত করে যেভাবে একজন উপাসক কবরের সামনে মাথা ঝুঁকায়।”
এই সিদ্ধান্ত হলো উক্ত অঞ্চলের অল্পকিছু শাসকেরা (যাদের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর শাসকবর্গ) ইহুদিদের সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার জন্য উদগ্রীব হয়ে যেসব নির্লজ্জ পদক্ষেপ নিয়েছে, তার ফলাফল মাত্র। শাসকদের নেওয়া এসব পদক্ষেপ ছাড়া পবিত্র ভূমিকে ইহুদিদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া কখনোই সম্ভব হতো না। এ ঘোষণার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে, কারণ উম্মাহ ফিলিস্তিনের বিষয়টিকে একটি কেন্দ্রীয় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করে।
এই উম্মাহর অংশ হিসেবে আমরা বলতে চাই-
“ফিলিস্তিন অথবা জেরুজালেমের মাটির উপর, এমনকি একবিন্দু বালুকনার উপরও ইহুদিদের কোনো অধিকার নেই এবং প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিরাজের স্থান ও পবিত্র ভূমির মালিকানাও ট্রাম্পের নয় যে, সে তার ইচ্ছেমতো ইহুদিদেরকে তা দিয়ে দেবে। বিজয়ী উমার আল-ফারুক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এবং সালাহুদ্দীন আইয়ুবির (রাহিমাহুল্লাহ) উত্তরসূরিরা কখনোই এ পবিত্র ভূমিকে পরিত্যাগ করবে না এবং ইনশাআল্লাহ! অতিশীঘ্রই তারা একে পুনরুদ্ধার করবে। স্বাধীন, গর্বিত এবং সম্মানিত করবে।
গুরুত্বপূর্ণ এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা ঘোষণা করছি যে, আমরা ফিলিস্তিনে থাকা আমাদের জনগণের সাথেই আছি এবং আমাদের যা কিছু আছে তা দিয়ে আমরা তাদের সাহায্য করব ইনশাআল্লাহ! এমনকি যদি আমাদেরকে হামাগুড়ি দিয়েও মরুভূমি পার হতে হয়। আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের আমরা ধৈর্য ধারণ করার এবং এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার পরামর্শ দেব। যারা ইসলামের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, বিশেষ করে মুজাহিদীনের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আপনাদের মধ্যকার সকল প্রকার বিভক্তি ও দ্বন্দ্ব নিরসন করুন এবং ফিলিস্তিনের মাজলুম জনগণকে সাহায্য করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিন। যে অত্যাচার ও জুলুমের শিকার তারা হচ্ছেন তা থেকে তাদের উদ্ধারের কোনো প্রচেষ্টাই যেন আপনাদের দিক থেকে বাদ না থাকে। তারা অধীর আগ্রহে আপনাদের অপেক্ষা করছে। তাই তাদের জন্য এগিয়ে আসুন এমন এক সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায়, যা পেছনে থেকে যাওয়া লোকেদের কারণে থেমে যাবে না।
সারা বিশ্বের মুসলিমদের বলছি, ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে উদগ্রীব আরব শাসকদের নেওয়া নানা নির্লজ্জ পদক্ষেপের সুযোগে আমেরিকা জেরুজালেমকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনাদের ভূমিকা কী? ফিলিস্তিনিদের অর্থ, অস্ত্র এবং সৈনিক দিয়ে সাহায্য করার যে দায়িত্ব শারিয়াহ আপনাদের জন্য নির্ধারিত করেছে তার কী হবে? আজ যদি আপনারা এগিয়ে না আসেন তবে আল্লাহ না করুন! আগামীকাল সবচেয়ে পবিত্র মাসজিদুল হারাম এবং মুসলিমদের প্রিয় মক্কাও বিক্রি হয়ে যাবে আর আমরা তখন কোনো প্রতিরক্ষাকারীকেই খুঁজে পাব না।
আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা
১৯ রবিউল আউয়াল, ১৪৩৯ হিজরি। ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭ ইং.
http://i.cubeupload.com/NFaWR8.jpg
ডাউনলোড করুন
সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি বিশ্বজগতের মালিক এবং শান্তি ও সালাত বর্ষিত হোক
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, তাঁর পরিবারবর্গ এবং তাঁর সাহাবিদের উপর।
“জেরুজালেম হচ্ছে জায়োনিস্ট ইহুদি দখলদারদের রাজধানী”–এ ঘোষণার মাধ্যমে আমেরিকা মুসলিম উম্মাহকে অপমান করেছে এবং জায়নিস্ট ইহুদিদের পক্ষে এ জোরালো পদক্ষেপের মাধ্যমে পাপিষ্ঠ ট্রাম্প দখলদার ইহুদি ও আমেরিকার মধ্যকার শক্তিশালী সম্পর্কের ব্যাপারে লেখক জন পিটারের এই কথাকে আবারো সত্য প্রমাণ করেছে- “আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এবং তাদের সহযোগীরা জায়োনিস্টদের সামনে এমনভাবে মাথা নত করে যেভাবে একজন উপাসক কবরের সামনে মাথা ঝুঁকায়।”
এই সিদ্ধান্ত হলো উক্ত অঞ্চলের অল্পকিছু শাসকেরা (যাদের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর শাসকবর্গ) ইহুদিদের সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার জন্য উদগ্রীব হয়ে যেসব নির্লজ্জ পদক্ষেপ নিয়েছে, তার ফলাফল মাত্র। শাসকদের নেওয়া এসব পদক্ষেপ ছাড়া পবিত্র ভূমিকে ইহুদিদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া কখনোই সম্ভব হতো না। এ ঘোষণার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে, কারণ উম্মাহ ফিলিস্তিনের বিষয়টিকে একটি কেন্দ্রীয় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করে।
এই উম্মাহর অংশ হিসেবে আমরা বলতে চাই-
“ফিলিস্তিন অথবা জেরুজালেমের মাটির উপর, এমনকি একবিন্দু বালুকনার উপরও ইহুদিদের কোনো অধিকার নেই এবং প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিরাজের স্থান ও পবিত্র ভূমির মালিকানাও ট্রাম্পের নয় যে, সে তার ইচ্ছেমতো ইহুদিদেরকে তা দিয়ে দেবে। বিজয়ী উমার আল-ফারুক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এবং সালাহুদ্দীন আইয়ুবির (রাহিমাহুল্লাহ) উত্তরসূরিরা কখনোই এ পবিত্র ভূমিকে পরিত্যাগ করবে না এবং ইনশাআল্লাহ! অতিশীঘ্রই তারা একে পুনরুদ্ধার করবে। স্বাধীন, গর্বিত এবং সম্মানিত করবে।
গুরুত্বপূর্ণ এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা ঘোষণা করছি যে, আমরা ফিলিস্তিনে থাকা আমাদের জনগণের সাথেই আছি এবং আমাদের যা কিছু আছে তা দিয়ে আমরা তাদের সাহায্য করব ইনশাআল্লাহ! এমনকি যদি আমাদেরকে হামাগুড়ি দিয়েও মরুভূমি পার হতে হয়। আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের আমরা ধৈর্য ধারণ করার এবং এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার পরামর্শ দেব। যারা ইসলামের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, বিশেষ করে মুজাহিদীনের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আপনাদের মধ্যকার সকল প্রকার বিভক্তি ও দ্বন্দ্ব নিরসন করুন এবং ফিলিস্তিনের মাজলুম জনগণকে সাহায্য করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিন। যে অত্যাচার ও জুলুমের শিকার তারা হচ্ছেন তা থেকে তাদের উদ্ধারের কোনো প্রচেষ্টাই যেন আপনাদের দিক থেকে বাদ না থাকে। তারা অধীর আগ্রহে আপনাদের অপেক্ষা করছে। তাই তাদের জন্য এগিয়ে আসুন এমন এক সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায়, যা পেছনে থেকে যাওয়া লোকেদের কারণে থেমে যাবে না।
সারা বিশ্বের মুসলিমদের বলছি, ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে উদগ্রীব আরব শাসকদের নেওয়া নানা নির্লজ্জ পদক্ষেপের সুযোগে আমেরিকা জেরুজালেমকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনাদের ভূমিকা কী? ফিলিস্তিনিদের অর্থ, অস্ত্র এবং সৈনিক দিয়ে সাহায্য করার যে দায়িত্ব শারিয়াহ আপনাদের জন্য নির্ধারিত করেছে তার কী হবে? আজ যদি আপনারা এগিয়ে না আসেন তবে আল্লাহ না করুন! আগামীকাল সবচেয়ে পবিত্র মাসজিদুল হারাম এবং মুসলিমদের প্রিয় মক্কাও বিক্রি হয়ে যাবে আর আমরা তখন কোনো প্রতিরক্ষাকারীকেই খুঁজে পাব না।
আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা
১৯ রবিউল আউয়াল, ১৪৩৯ হিজরি। ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭ ইং.
Comment