Warning
গণহত্যা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহি (সা.)। আম্মাবা’আদ।গণহত্যা
“যদি তোমাদের পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্নীয় স্বজন, ব্যবসা, জায়গা সম্পত্তি আল্লাহ, আল্লাহর রসুল ও তার পথে জিহাদের চেয়ে বেশি প্রিয় হয়ে যায় তাহলে অপেক্ষা করো যন্ত্রণাদায়ক আযাব আসা পর্যন্ত। আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না।”
এই আয়াতে বর্ণিত বৈশিষ্ট্যের সবগুলোই আমাদের মাঝে বিদ্যমান। অতএব চলুন আমরা অপেক্ষা করি মর্মন্তুদ আযাব আসা পর্যন্ত।
আয়াতের অনুরূপ একটি হাদীস
“যদি তোমরা ঈনা নামক সুদের কারবারী ও গরুর লেজের পিছনে লেগে যাও (অর্থাৎ সুদী ব্যবসা ও দুনিয়ার কারবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়া) এবং আল্লাহ রাস্তায় জিহাদ ছেড়ে দাও তাহলে আল্লাহ তোমাদের উপর চাপিয়ে দেবেন মর্মন্তুদ শাস্তি এবং তা ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের থেকে ফিরিয়ে নিবেন না। যতক্ষণ না তোমরা দ্বীনে ফিরে আসো।এই হাদীসেও উপরোক্ত আয়াতের মতো বলা হয়েছে যে, দুনিয়ার মোহে ব্যস্ত হয়ে পড়া ও জিহাদ ছেড়ে দেওয়ার কারণে আমাদের উপর মর্মন্তুদ আযাব চাপিয়ে দেয়া হবে।
অতএব চলুন আমরা মর্মন্তুদ আযাবের জন্য প্রস্তুত হই। এবং তখনই আমরা এই শাস্তি থেকে মুক্তি পাবো যখন এই শাস্তিতে পড়ব এবং বুঝতে পারব যে এখন আমাদের কি করা উচিত। আর আমার তখন দ্বীনের মাঝে ফিরে যাবো আর আল্লাহ আমাদের থেকে আযাব তুলে নিবেন।
[এখানে উল্লেখ্য যে এই সতর্কবার্তায় কোনো বিষয়ের প্রতি উৎসাহিত / অনুৎসাহিত করা হয়নি। শুধু সামনের আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব সতর্কসংকেত বর্ণনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কুরআন ও হাদীসের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী বর্ণনা করা হচ্ছে। আল্লাহই সবচেয়ে উত্তম জানেন।]
কিন্তু প্রশ্ন হলো মর্মন্তুদ আযাব কি? মর্মন্তুদ শাস্তির ব্যাখ্যা নিচের হাদিসে।
মর্মন্তুদ শাস্তি
“সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন সকল কাফের গোষ্ঠী তোমাদেরকে হত্যা করার জন্য একে অপরকে এমন ভাবে আহবান করবে যেমন খাওয়ার দস্তরখানে সবাইকে খাবার জন্য আহবান করা হয়। (অর্থাৎ সকল কাফের গোষ্ঠী একত্র হয়ে মুসলমানদের পাইকারী হত্যা শুরু করবে)সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন যে, ঐদিন কি আমরা সংখ্যায় কম থাকবো। এজন্য সবাই আমাদেরকে হত্যা করতে পারবে।
রাসুল (সা.) বললেন যে, না বরং তোমরা সংখ্যায় বেশি থাকবে। কিন্তু তোমরা হবে ভেসে যাওয়া খড়কুটোর মতো। আর তোমাদের অন্তরে আল্লাহ ওয়াহহান ঢেলে দিবেন।
সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, ওয়াহান কি?
রাসুল (সা.) বললেন, দুনিয়ার মহব্বত ও মৃত্যুর ভয় (মুসনাদে আহমাদের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে দুনিয়ার মহব্বত ও কিতালকে ভয় করা)
উপরের আয়াত ও হাদীসের ন্যায় এই হাদিসেও একই কথা বলা হয়েছে যে, দুনিয়ার মহব্বতে লেগে যাওয়া এবং মৃত্যু ও কিতালকে (আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যু) ভয় করার কারণেই মর্মন্তুদ শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু এই হাদিসে মর্মন্তুদ শাস্তির ব্যাখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেই মর্মন্তুদ শাস্তির ব্যাখ্যা হলো সকল কাফের গোষ্ঠী তোমাদেরকে হত্যার জন্য একে অপরকে আহবান করবে যেমন দস্তরখানে খাবার খাওয়ার জন্য একে অপরকে ডাকা হয়। অর্থাৎ সকল কাফেরগোষ্ঠী তোমাদেরকে হত্যার জন্য দাঁড়াবে।
[আবারো উল্লেখ্য যে, এই সতর্কবার্তায় কোনো বিষয়ের প্রতি উৎসাহিত / অনুৎসাহিত করা হয়নি। শুধু সামনের আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব সতর্কসংকেত বর্ণনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কুরআন ও হাদীসের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী বর্ণনা করা হচ্ছে। আল্লাহই সবচেয়ে উত্তম জানেন।]
আর বাস্তবতা হলো এই নির্যাতনের স্বীকার হয়েই আমারা তখন আমাদের দ্বীনে মধ্যে ফিরে যাবো। অর্থাৎ জিহাদের মধ্যে ফিরে যাবো। মায়ানমার, কাশ্মীর, ভারতের অনুরূপ হত্যাকাণ্ড আমাদের ঘাড়ে না আসা পর্যন্ত আমরা আমাদের দ্বীনে ফিরতে পারতেছিনা। বাস্তবতা এরকমই দেখা যাচ্ছে। আর আমরা আমাদের দ্বীনের মাঝে ফিরে যাওযার মধ্যে দিয়েই আল্লাহ আমাদের থেকে সমগ্র মুসলিম বিশ্বব্যাপী কাফেরদের নির্যাতনকে উঠিয়ে নিবেন।
অতএব warning/সতর্কবার্তা হলো একটি গণহত্যা আপনার দিকে হয়তো ধেয়ে আসছে। আপনি সেটাকে গ্রহণ করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন। এবং তারপরই আপনি আমি দ্বীনের মাঝে ফিরে যেতে শুরু করবো ইনশা-আল্লাহ।
গণহত্যার কথা শুনে আশ্চর্য হবেন না।
কারণ, এ পর্যন্ত মায়ানমার, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, বোখারা-সমরকন্দ সহ মুসলিম বিশ্বের যতগুলো জায়গা কাফেরদের দ্বারা গণহত্যার শিকার হয়েছে আমাদের ন্যায় তারাও বেশ কিছু বছর পূর্বে আমাদের মতোই শান্তিপূর্ণ জীবন-যাপন করছিলো। হয়তো কিছু ব্যতিক্রমতা আছে। আপনি ১০ বছর পূর্বের মুসলিম বিশ্ব আর বর্তমানের মুসলিম বিশ্বের নির্যাতনের হালচালের পরিসংখ্যান দেখলেই সহজে বুঝতে পারবেন। আমেরিকা ও ভারতের ইসলাম বিদ্বেষী নেতৃত্ব ও তাদের মনোভাবের দিকে তাকালে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। তাহলে সামনে বছরগুলোতে আপনার জন্য আল্লাহ ও তার রাসুলের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী মর্মন্তুদ শাস্তি এসেই যাচ্ছে। যেহেতু কুরআন ও হাদীসের কথা মিথ্যা হতে পারে না। আর মর্মন্তুদ শাস্তি যদি হয় গণহত্যা তাহলে আশ্চর্য হবেন না। কারণ আল্লাহ যেমন বড় তেমনি তার বিরুদ্ধে আমাদের নাফরমানীও তত বড়। আর তার মর্মন্তুদ শাস্তিও তত বড়। আর এর দ্বারা আমরা আমাদের দ্বীনে ফিরার পরই আমাদের থেকে এই শাস্তি উঠে যাবে।[উল্লেখ্য আমরা বাংলাদেশের মুসলিমরা ভৌগলিকভাবে তিন দিকে ভারতের হিন্দু ও মায়ানমারের বৌদ্ধ দ্বারা বেষ্ঠিত। আরো উল্লেখ্য যে, ভারতের কট্টর হিন্দুরা গোরক্ষার নামে ও হিন্দুত্ববাদের নামে মুসলিম হত্যাকাণ্ডে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে আর অপরদিকে মায়ানমারের বৌদ্ধরা তো মুসলিমদের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুরো বিশ্বের মাঝে তুলনাহীন।
অতএব তাদের গণহত্যার হাত যদি আমাদের উপর এসে পড়ে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। কারণ আমরা আছি ভারতের হিন্দু ও মায়ানমারের বৌদ্ধ দ্বারা তিন দিক বেষ্ঠিত। আর একদিকে আছে বঙ্গোপসাগর। ভালো করে মনে রাখুন যদি পরিস্থিতি এটাই হয় তবে রোহিঙ্গারা তো বাংলাদেশে পালানোর সুযোগ পেয়েছে কিন্তু আপনি বঙ্গোপসাগর ছাড়া কোনো পালানোর জায়গা পাবেন না। বাধ্য হয়েই আপনাকে দ্বীনের মাঝে ফিরে আসতে হবে।]
[সবশেষ আবারো উল্লেখ্য করা হলো যে, এই সতর্কবার্তায় কোনো বিষয়ের প্রতি উৎসাহিত / অনুৎসাহিত করা হয়নি। শুধু সামনের আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব সতর্কসংকেত বর্ণনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কুরআন ও হাদীসের আলোকে ভবিষ্যতবানী বর্ণনা করা হচ্ছে। আল্লাহই সবচেয়ে উত্তম জানেন।]
[নিশ্চয়ই আল্লাহই সবচেয়ে উত্তম জানেন। এই কথাগুলো বলা হলো শুধুমাত্র একজন মুসলিম হিসেবে আমার চোখ-কান খোলা রাখা প্রয়োজন, তাই। নতুবা, আল্লাহই তার ও তার রাসুলের সকল কথার ব্যাখ্যা জানেন। যদি এই কথাগুলোর মাঝে কোনো ভুল থেকে থাকে তবে আল্লাহ যেনো আপনাদের মাধ্যমে / অন্য কোনো মাধ্যমে আমার কথার ভুলগুলোকে শুধরে দিন।]
Warning
গণহত্যা
গণহত্যা
Comment