একটি জাতির উন্নতিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে সে জাতির যুব সমাজ। আর সে যুব সমাজই যদি হয় জাতির উন্নতি বিমুখ, পথভ্রষ্ট তাহলে সে জাতির উন্নতি হবে না। সারা বিশ্বে কেবল মুসলিমরাই আল্লাহ তায়ালার পছন্দনীয় জাতি। বিশ্বের অন্যান্য জাতিগুলো মুসলিমদের প্রতি প্রচণ্ড বিদ্বেষ ভাবাপন্ন। তারা চাই, এ জাতিকে নিঃশেষ করে দিতে, নিক্ষেপ করতে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে। তাদের এই উদ্দেশ্য, আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা তাই মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের ষড়যন্ত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মুসলিম যুব সম্প্রদায়কে তাদের স্বীয় দ্বীন বিমুখ করে তোলা, যেন এ জাতি মাথা তুলে দাড়াতে না পারে। মুসলিম যুবকদেরকে পথভ্রষ্ট করার জন্য তারা সকল ধরণের ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন করেছে। যুবকদের মাঝে অশ্লীলতার বিস্তার ঘটিয়েছে, পর্নগ্রাফীর মাধ্যমে নিকৃষ্ট মানসিকতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। তবে, মুসলিম যুবকদেরকে এগুলোতে ডুবে গেলে চলবে না। শুনে রাখো, তোমার জাতি আজ গভীর সমুদ্রের অতল গহ্বরে ডুবতে চলেছে। স্মরণ করো রাসূলের( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই বাণী( অনেকটা এমন) ,“ফেতনা চারদিক থেকে অন্ধকার রাতের মত ধেয়ে আসবে। তখন একজন ব্যক্তি সকালবেলা মুমিন থাকবে, বিকাল বেলা কাফের হয়ে যাবে। আবার বিকাল বেলা মুমিন থাকলেও সকালে কাফের হয়ে যাবে। তখন ইমানের হেফাজত করা জ্বলন্ত অঙ্গার হাতের তালুতে রাখার মত হবে।” তাই, শপথ করে নাও হে আমার ভাইয়েরা! যত বিপদই আসুক, ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাক আমার দেহের প্রতিটা অঙ্গ, অামার শির দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক, তবু্ও তোমার মহান সম্মানিত প্রতিপালকের আনুগত্য করবে, অনুসরণ করবে তাঁর রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবনাদর্শকে। তবে, তিনি তোমাকে এমন এক জান্নাত দিবেন যা কোন চোখ কখনো দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি, আর না কোন মানবহৃদয় তা কল্পনা করতে পারে। সুবহানাল্লাহ। হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে ও আপনার দ্বীনের জন্য জান কুরবানকারী প্রতিটা যুবককে আপনার সাথে আমাদের করা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার তাওফীক দান করুন।আমীন ইয়া রাব্বুল মুজাহিদীন।
হে যুবক!!!
আবু উসাইমিন
আবু উসাইমিন
হে যুবক!
তোমার যৌবন তো একদিন ফুরিয়ে যাবে,সেদিন তো নয় বেশিদূর, যেদিন তুমি বৃদ্ধ হবে।
তোমার কামনা-বাসনারও একদিন হবে অবসান,
তাই তো তোমাকেই বলি, রবের পথে জীবন করে দাও কুরবান।
হে যুবক!
একটু চিন্তা করে দেখো, যদি দুটি চোখ তোমার না থাকে,
তবে কেমন করে দেখবে ধরা, দেখবে তোমার মাকে,
আর কেমন করেই পড়বে তুমি পবিত্র কোরআন।
শহীদের কাফেলাতে যোগ দিতে তোমাকেই করছি আহ্বান।
হে যুবক!
যদি কু-প্রবৃত্তির ছলে নফসের প্রতি থাকে ভালোবাসা,
তবে জিহাদের ময়দানে থেকেও তোমার বাড়বে হতাশা।
তাই, নফসের প্রতি আরো কঠোর হও ওহে বীর জওয়ান!
তবেই তুমি পাবে খুঁজে সত্য সুখের সন্ধান।
হে যুবক!
চারদিকেই আজ অশ্লীলতা আর বেহায়াহনার ঝড়,
সেই ঝড়েতে পড়লে তুমি হয়ে যাবে বর্বর।
শাহাদাতের আশা তোমার হয়ে যাবে শেষ,
জিহাদের চেতনাও তা করে দিবে নিঃশেষ।
হে যুবক!
তাই রবের সাথে শপথ করে চলো ময়দানে,
“তোমার রাহেই লড়ব সদা শাহাদাতের সন্ধানে,
জীবন বিলিয়ে করব আমি কায়েম আল-কুরআন,
মুক্ত করে আনব যত বন্দী আছে মুসলমান।
রক্ষার এবার করব আমি মা-বোনদের সম্মান,
মুমিনের দেহ আমারই দেহ, তাই সইব না অপমান।
ছাড়তে যদি হয় ঘরবাড়িসহ পরিবার-পরিজন,
ছেড়ে যাব তবু তোমার পথেই এটাই আমার পণ।”
কবিতার পিকচারটি দেখা না গেলে এই লিংকে দেখুন ইনশাআল্লাহ।
পিকচার লিংক:http://i.cubeupload.com/jRb7B4.jpg
Comment