প্রিয় মুসলমান ভাইয়েরা, আসসালামু ওয়া আলাইকুম,
আরববিশ্বে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সাত বছর কেটে গেছে।এই আন্দোলন ও বিদ্রোহ তিউনিস থেকে শুরু হয়। পরে মিশর,ইয়েমেন,লিবিয়া ও সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
অবশ্য এখন এই বিদ্রোহ প্রশমিত হয়ে গেছে,আর আগের সেই তাগুর সরকার পুনরায় ক্ষমতার মসনদে আসীন হয়েছে এবং পূর্বের তুলনায় আরো বেশি ফ্যাসাদ ছড়াচ্ছে।
সুতরাং এই দীর্ঘ সাত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতায় আমরা কি শিখতে পারলাম?আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই সব আন্দোলন শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য ছিলো এবং জনগনকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিয়ে রাজপথে নামিয়েছিলো।
কিন্তু যখনই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখতে শুরু করল তখন স্বয়ং আন্দোলনের উদ্যোক্তারাই পূর্বের নীতি থেকে সরে এসে আন্দোলনকে অন্য খাতে প্রবাহিত করল।এভাবে একসময় আন্দোলনের হোতারাই গনতন্ত্রের মাঝে ঢুকে পড়ল এবং গনতান্ত্রীক নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশের নেতৃত্ব লুফে নিলো।এখন আমরা দেখতে পাই এই নেতা-মন্ত্রীরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবং তাগুত সেনাদের সহায়তা দিচ্ছে ও আমেরিকা-ইসরাইলের সাথে যোগসাজশ করছে।তারা নিজেদের হীনস্বার্থে তাগুত সরকারের সাথেও আপোষ করতেও দ্বীধা করেনা।পাশাপাশি তারা জিহাদ সম্পর্কে নিয়মিত প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যায়।এ সকল নেতৃবৃন্দের একটি কর্মপন্থা হলো বিভিন্ন নিয়ম কানুনের প্যাচে এবং সামরিক শক্তির মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলন দমন করা।কিন্তু ইতিহাস বলে এ সকল সরকারের ইসলামী ইন্তেফাদার কারনেই পতন ঘটেছিলো।
ইসলামী গনআন্দোলন দমনের জন্য এ ধরনের সরকার বিভিন্ন প্রতারনামূলক কথা বলে থাকে।যেমনঃ"সরকার ও জনগন হলো এক শক্তি" এবং "আন্দোলনের চেয়ে শান্তিপূর্ন অবস্থান বেশি উপকারী" এবং আরো বলে "যুদ্ধ নয় শান্তি চাই",প্রকারান্তরে তারা কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াতকে অস্বীকার করে,"তোমরা কাফেরদের বিরুদ্ধে সাধ্যমত শক্তি প্রস্তুত করো"।তো এইসব শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপের ফলাফল কি হলো? এই সরকারবাহিনীর কবলেই হাজার হাজার জনতা প্রান হারাল,এইসব হলো আরববিশ্বের দীর্ঘ ইসলামী আন্দোলন ব্যর্থ হবার কারন।সুতরাং, এ থেকে আমাদের পরিত্রানের উপায় কি? এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠার উপায় কি?
এজন্য আমাদের প্রথম কর্তব্য হলো,
জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। অর্থাৎ হক্ব বাতিলের পরিচয় জানা। এবং চিনে নেয়া , কে দোস্ত, কে দুশমন, সর্বোপরি আমাদের কর্তব্য ও করনীয় বুঝে নেয়া। আমাদেরকে দেশ বিদেশের শত্রুকে জানতে হবে এবং আল্লাহর ঐশী বানী সামনে রেখে পথ নির্ধারন করতে হবে।আর আমাদের সবাইকে দ্বীনের এক পতাকাতলে সমবেত হয়ে জিহাদের ঝান্ডা কাশগর থেকে সুদূর এন্টটার্কটিকা অবদি পৌছাতে হবে।এ হলো গোটা উম্মতের সর্বশ্রেণীর জিহাদ।এ হলো এক দীর্ঘ জিহাদ,এ হলো চিন্তা চেতনার জিহাদ,এ হলো আত্বসংশোধন ও বিশ্ব সংশোধনের জিহাদ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্।
আরববিশ্বে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সাত বছর কেটে গেছে।এই আন্দোলন ও বিদ্রোহ তিউনিস থেকে শুরু হয়। পরে মিশর,ইয়েমেন,লিবিয়া ও সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
অবশ্য এখন এই বিদ্রোহ প্রশমিত হয়ে গেছে,আর আগের সেই তাগুর সরকার পুনরায় ক্ষমতার মসনদে আসীন হয়েছে এবং পূর্বের তুলনায় আরো বেশি ফ্যাসাদ ছড়াচ্ছে।
সুতরাং এই দীর্ঘ সাত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতায় আমরা কি শিখতে পারলাম?আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই সব আন্দোলন শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য ছিলো এবং জনগনকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিয়ে রাজপথে নামিয়েছিলো।
কিন্তু যখনই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখতে শুরু করল তখন স্বয়ং আন্দোলনের উদ্যোক্তারাই পূর্বের নীতি থেকে সরে এসে আন্দোলনকে অন্য খাতে প্রবাহিত করল।এভাবে একসময় আন্দোলনের হোতারাই গনতন্ত্রের মাঝে ঢুকে পড়ল এবং গনতান্ত্রীক নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশের নেতৃত্ব লুফে নিলো।এখন আমরা দেখতে পাই এই নেতা-মন্ত্রীরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবং তাগুত সেনাদের সহায়তা দিচ্ছে ও আমেরিকা-ইসরাইলের সাথে যোগসাজশ করছে।তারা নিজেদের হীনস্বার্থে তাগুত সরকারের সাথেও আপোষ করতেও দ্বীধা করেনা।পাশাপাশি তারা জিহাদ সম্পর্কে নিয়মিত প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যায়।এ সকল নেতৃবৃন্দের একটি কর্মপন্থা হলো বিভিন্ন নিয়ম কানুনের প্যাচে এবং সামরিক শক্তির মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলন দমন করা।কিন্তু ইতিহাস বলে এ সকল সরকারের ইসলামী ইন্তেফাদার কারনেই পতন ঘটেছিলো।
ইসলামী গনআন্দোলন দমনের জন্য এ ধরনের সরকার বিভিন্ন প্রতারনামূলক কথা বলে থাকে।যেমনঃ"সরকার ও জনগন হলো এক শক্তি" এবং "আন্দোলনের চেয়ে শান্তিপূর্ন অবস্থান বেশি উপকারী" এবং আরো বলে "যুদ্ধ নয় শান্তি চাই",প্রকারান্তরে তারা কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াতকে অস্বীকার করে,"তোমরা কাফেরদের বিরুদ্ধে সাধ্যমত শক্তি প্রস্তুত করো"।তো এইসব শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপের ফলাফল কি হলো? এই সরকারবাহিনীর কবলেই হাজার হাজার জনতা প্রান হারাল,এইসব হলো আরববিশ্বের দীর্ঘ ইসলামী আন্দোলন ব্যর্থ হবার কারন।সুতরাং, এ থেকে আমাদের পরিত্রানের উপায় কি? এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠার উপায় কি?
এজন্য আমাদের প্রথম কর্তব্য হলো,
জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। অর্থাৎ হক্ব বাতিলের পরিচয় জানা। এবং চিনে নেয়া , কে দোস্ত, কে দুশমন, সর্বোপরি আমাদের কর্তব্য ও করনীয় বুঝে নেয়া। আমাদেরকে দেশ বিদেশের শত্রুকে জানতে হবে এবং আল্লাহর ঐশী বানী সামনে রেখে পথ নির্ধারন করতে হবে।আর আমাদের সবাইকে দ্বীনের এক পতাকাতলে সমবেত হয়ে জিহাদের ঝান্ডা কাশগর থেকে সুদূর এন্টটার্কটিকা অবদি পৌছাতে হবে।এ হলো গোটা উম্মতের সর্বশ্রেণীর জিহাদ।এ হলো এক দীর্ঘ জিহাদ,এ হলো চিন্তা চেতনার জিহাদ,এ হলো আত্বসংশোধন ও বিশ্ব সংশোধনের জিহাদ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্।
Comment