হে জাতি!তুমি আজ কত পরিপক্ক পরিপাটি কিন্তু তোমার দেমাগে কেন পরিবর্তন আসেনি?
তুমি শত্রু মিত্রর তফাৎ করতে পারোনা,দুশমনের খেয়ালিপনাকে তুমি গ্রহন করো আর বন্ধুর হামদর্দীকে তুমি এড়িয়ে যাও।
শুধু এড়িয়ে গেলেও ব্যথা ছিলোনা কোন অন্তরে।কিন্তু তুমি যখন গলা উচিয়ে, আঙ্গুল তুলে,শত্রুর কাধে কাধ মিলিয়ে চিৎকার করে গালি দিয়ে আমাকে বলোঃ তুই সন্ত্রাসী,তুই জঙ্গি,তুই উগ্র রাষ্ট্রদ্রোহী! তখন বড় ব্যথা লাগে দিলে।
না! তুমি ভেবোনা যে,আমাকে গালি দিয়েছো বলে আমি ব্যথা পেয়েছি।
আমিতো কবেই নিন্দুকের নিন্দাকে পরোয়া করা ছেরে দিয়েছি।
রাখাল যদি দেখে বকরী তার পাল ছেরে হায়েনার সাথে যোগ দিয়ে ম্যা...ম্যা... করে ডাকছে আর হাসছে; তখন রাখাল বকরীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই কাঁদে। কারণ রাখালই জানে কিছুক্ষণ পর বন্ধু রূপী হায়েনার আসল চেহারা নির্বোধ বকরী দেখতে পাবে।
বকরীর সাথে উপমা দেওয়াতে কষ্ট নিয়োনা হে জাতি ! আমি তো দেখছি বকরীর চেয়েও বড় অবুঝ তুমি!
পৃথিবীতে আজও দেখা যায়নিতো কভু হায়েনার সাথে বকরী করেছে বন্ধুত্ব।জন্তু জানোয়াররা পর্যন্ত তাদের শত্রুকে খুব ভালো করেই চিনে এবং এড়িয়ে চলে।এটাই তাদের ধর্ম।
আর তুমি! তুমিতো শত্রুর মুখে নিজ ভাইয়ের রক্ত দেখেও তাকে চিনলেনা। ক্র্যাকডাউনের নামে বাড়ি ঘেড়াও করে জঙ্গি অপবাদ দিয়ে তোমারি চোখের সামনে কালিমা পড়া কত মুসলিম ভাই-বোনদেরকে গ্রেনেডের আগুনে ওরা পুড়িয়ে মেরেছে । বুলেটের আঘাতে জাঝরা করে দিয়েছে মুমিনের বক্ষ।আর তুমি মুমিনের বিপক্ষে গিয়ে নিলে হায়েনাদের পক্ষ!
এটাই কি ছিলো তোমার ধর্ম!
তুমি আমাকে গালি দাও! তুমি বলে বেড়াও, আমি নাকি ব্রেন ওয়াশড পথ বিচ্যুত এক যুবক! জঙ্গি তকমা লাগিয়ে আমাকে জেলে ভরার গানও তোমরা গাও!
হে জাতি! তুমি ভাবলেনা! তুমি বুঝলেওনা!একটু চিন্তা করেও দেখলেনা,কেন আমি বাঁকা পথ ছেড়ে সোজা পথে হাঁটছি,কেন বুলেটের জবাবে বুলেট ছুড়েছি,কেন জীবনের মায়া ভুলে ,মায়ের আঁচল ছেরে বালুময় তপ্ত জিহাদী ময়দানে পা বাড়িয়েছি।,কেন ভোগ-বিলাস,আহার-বিহার আরাম আয়েশ দূরে ঠেলে অভাবময় অনাহার আর ক*ষ্টের জীবনকে আলিঙ্গন করেছি, কেন মায়ের চোখের পানি আর বাবার কাকুতি মিনুতিকে হৃদয়ে পাথর চাপা দিয়ে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছি,কেন দুনিয়াবী ক্যারিয়ার না গড়ে জেল জুলুম রিমান্ড অত্যাচারের পথে কদম বাড়িয়েছি,কেন নারী বাড়ি গাড়ি ছেরে ক্বিতালকে আপন করেছি ...
তোমাকে আমার ত্যাগের মহা ফিরিস্তি শোনাতে আর ভালো লাগছেনা কিন্ত না শুনিয়েও তো আর পারছিনা!
তুমি তো আমার কাটা ঘায়ে নূনের ছিটা দিয়ে যাচ্ছো।জালিমের বুলেট বোমার আঘাত আমার দেহ ভেদ করে কখনো কলবে আঘাত করেনি কিন্তু তোমার প্রতিটা কটু কথা আমার হৃদয়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়।জালিমের বোমার আঘাতে আমার দেহ থেকে রক্তক্ষরণ হয় আর তোমার কথার আঘাত আমার অন্তরে রক্তক্ষরণ ঘটায়,সৃষ্টি করে গভীর ক্ষত... যে ক্ষতে মলম লাগানো যায়না !
তোমার পিঠের চাবুকের বাড়ি আমি আমার পিঠে নিয়েছি,তোমার দিকে ছোরা গুলি আ*মি আমার বুকে বিধিয়েছি,জালিমের জুলুমের সামনে তোমাকে আড়াল করে নিজ বক্ষ উন্মোচন করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি।তোমার চোখের পানি মুছতে গিয়ে আমি আমার রক্ত ঝরিয়েছি।
তোমার মুখে হাসি ফুটাতে গিয়ে আমি কেঁদেছি।
হে জাতি ! তুমি জানো কেন এত কুরবানী? কেন এত বিরহ কান্না কষ্টকে পুজি বানিয়েছি? কেন তোমার শত গালি গালাজ তিরস্কারের পরও আমি তোমাকে নিয়ে ভেবেছি?
আমার একটিই আকাঙ্খা, একটিই আশা তুমি মানুষ হয়ে মনুষের দাসত্ব ছেড়ে আল্লাহর দাসত্বের দিকে ফিরে আসবে।
তুমি মানব রচিত বিধানে লাথি ছুরে কুরআনের দিকে ফিরে আসবে।
তোমার প্রতি আমার কোন অভিযোগ অনুযোগ নেই।শত কটু কথা আর তিরস্কারের পরও আমি তোমাকে নিয়ে ভাববো।
কিন্তু আমার এত কুরবানীর পরও যদি তুমি তোমার রবের বিধানের দিকে না আসো
তাহলে...
আফসুস তোমার জন্য হে জাতি!
(প্রবন্ধে 'আমি' দ্বারা উদ্দেশ্য সমস্ত মুজাহিদীন, লেখক নয়)
তুমি শত্রু মিত্রর তফাৎ করতে পারোনা,দুশমনের খেয়ালিপনাকে তুমি গ্রহন করো আর বন্ধুর হামদর্দীকে তুমি এড়িয়ে যাও।
শুধু এড়িয়ে গেলেও ব্যথা ছিলোনা কোন অন্তরে।কিন্তু তুমি যখন গলা উচিয়ে, আঙ্গুল তুলে,শত্রুর কাধে কাধ মিলিয়ে চিৎকার করে গালি দিয়ে আমাকে বলোঃ তুই সন্ত্রাসী,তুই জঙ্গি,তুই উগ্র রাষ্ট্রদ্রোহী! তখন বড় ব্যথা লাগে দিলে।
না! তুমি ভেবোনা যে,আমাকে গালি দিয়েছো বলে আমি ব্যথা পেয়েছি।
আমিতো কবেই নিন্দুকের নিন্দাকে পরোয়া করা ছেরে দিয়েছি।
রাখাল যদি দেখে বকরী তার পাল ছেরে হায়েনার সাথে যোগ দিয়ে ম্যা...ম্যা... করে ডাকছে আর হাসছে; তখন রাখাল বকরীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই কাঁদে। কারণ রাখালই জানে কিছুক্ষণ পর বন্ধু রূপী হায়েনার আসল চেহারা নির্বোধ বকরী দেখতে পাবে।
বকরীর সাথে উপমা দেওয়াতে কষ্ট নিয়োনা হে জাতি ! আমি তো দেখছি বকরীর চেয়েও বড় অবুঝ তুমি!
পৃথিবীতে আজও দেখা যায়নিতো কভু হায়েনার সাথে বকরী করেছে বন্ধুত্ব।জন্তু জানোয়াররা পর্যন্ত তাদের শত্রুকে খুব ভালো করেই চিনে এবং এড়িয়ে চলে।এটাই তাদের ধর্ম।
আর তুমি! তুমিতো শত্রুর মুখে নিজ ভাইয়ের রক্ত দেখেও তাকে চিনলেনা। ক্র্যাকডাউনের নামে বাড়ি ঘেড়াও করে জঙ্গি অপবাদ দিয়ে তোমারি চোখের সামনে কালিমা পড়া কত মুসলিম ভাই-বোনদেরকে গ্রেনেডের আগুনে ওরা পুড়িয়ে মেরেছে । বুলেটের আঘাতে জাঝরা করে দিয়েছে মুমিনের বক্ষ।আর তুমি মুমিনের বিপক্ষে গিয়ে নিলে হায়েনাদের পক্ষ!
এটাই কি ছিলো তোমার ধর্ম!
তুমি আমাকে গালি দাও! তুমি বলে বেড়াও, আমি নাকি ব্রেন ওয়াশড পথ বিচ্যুত এক যুবক! জঙ্গি তকমা লাগিয়ে আমাকে জেলে ভরার গানও তোমরা গাও!
হে জাতি! তুমি ভাবলেনা! তুমি বুঝলেওনা!একটু চিন্তা করেও দেখলেনা,কেন আমি বাঁকা পথ ছেড়ে সোজা পথে হাঁটছি,কেন বুলেটের জবাবে বুলেট ছুড়েছি,কেন জীবনের মায়া ভুলে ,মায়ের আঁচল ছেরে বালুময় তপ্ত জিহাদী ময়দানে পা বাড়িয়েছি।,কেন ভোগ-বিলাস,আহার-বিহার আরাম আয়েশ দূরে ঠেলে অভাবময় অনাহার আর ক*ষ্টের জীবনকে আলিঙ্গন করেছি, কেন মায়ের চোখের পানি আর বাবার কাকুতি মিনুতিকে হৃদয়ে পাথর চাপা দিয়ে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছি,কেন দুনিয়াবী ক্যারিয়ার না গড়ে জেল জুলুম রিমান্ড অত্যাচারের পথে কদম বাড়িয়েছি,কেন নারী বাড়ি গাড়ি ছেরে ক্বিতালকে আপন করেছি ...
তোমাকে আমার ত্যাগের মহা ফিরিস্তি শোনাতে আর ভালো লাগছেনা কিন্ত না শুনিয়েও তো আর পারছিনা!
তুমি তো আমার কাটা ঘায়ে নূনের ছিটা দিয়ে যাচ্ছো।জালিমের বুলেট বোমার আঘাত আমার দেহ ভেদ করে কখনো কলবে আঘাত করেনি কিন্তু তোমার প্রতিটা কটু কথা আমার হৃদয়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়।জালিমের বোমার আঘাতে আমার দেহ থেকে রক্তক্ষরণ হয় আর তোমার কথার আঘাত আমার অন্তরে রক্তক্ষরণ ঘটায়,সৃষ্টি করে গভীর ক্ষত... যে ক্ষতে মলম লাগানো যায়না !
তোমার পিঠের চাবুকের বাড়ি আমি আমার পিঠে নিয়েছি,তোমার দিকে ছোরা গুলি আ*মি আমার বুকে বিধিয়েছি,জালিমের জুলুমের সামনে তোমাকে আড়াল করে নিজ বক্ষ উন্মোচন করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি।তোমার চোখের পানি মুছতে গিয়ে আমি আমার রক্ত ঝরিয়েছি।
তোমার মুখে হাসি ফুটাতে গিয়ে আমি কেঁদেছি।
হে জাতি ! তুমি জানো কেন এত কুরবানী? কেন এত বিরহ কান্না কষ্টকে পুজি বানিয়েছি? কেন তোমার শত গালি গালাজ তিরস্কারের পরও আমি তোমাকে নিয়ে ভেবেছি?
আমার একটিই আকাঙ্খা, একটিই আশা তুমি মানুষ হয়ে মনুষের দাসত্ব ছেড়ে আল্লাহর দাসত্বের দিকে ফিরে আসবে।
তুমি মানব রচিত বিধানে লাথি ছুরে কুরআনের দিকে ফিরে আসবে।
তোমার প্রতি আমার কোন অভিযোগ অনুযোগ নেই।শত কটু কথা আর তিরস্কারের পরও আমি তোমাকে নিয়ে ভাববো।
কিন্তু আমার এত কুরবানীর পরও যদি তুমি তোমার রবের বিধানের দিকে না আসো
তাহলে...
আফসুস তোমার জন্য হে জাতি!
(প্রবন্ধে 'আমি' দ্বারা উদ্দেশ্য সমস্ত মুজাহিদীন, লেখক নয়)
Comment