সময় হাতে বেশি বাকি নেই..
প্রস্তুতি গ্রহণের এখনই সময়
.
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর প্রায় সবক'টি মুসলিম দেশে যে পরিস্থিতি চলছে এবং বিশ্বব্যাপী ইসলাম ও কুফরের সংঘাত সামগ্রিক বিচারে ক্রমশঃ যে তীব্রতা ধারণ করছে, সর্বোপরি এত স্বল্পতম সময়ের ব্যবধানে পরিস্থিতি যে হারে বদলে যাচ্ছে সেসব কিছুর আলোকে আমি অনেকটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাদের আর বেশি সময় বাকি নেই। যেকোন সময়, যেকোন মুহূর্তে দেশে বড় ধরনের কিছু একটা ঘটে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে যেন কেবল। এবং কিছু একটা শুরু হয়ে গেলে দেশের মানুষ আক্রান্ত অন্যান্য মুসলিম দেশগুলির মত স্বাভাবিক চার ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে।
.
প্রথম ভাগ : যারা উচ্চবিত্ত, বিলাসী প্রকৃতির, সমাজের এলিট শ্রেণীর লোকজন, বিভিন্ন দেশের সাথে যাদের রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক যোগসাজশ আছে তারা নিশ্চিন্তে সোজা ওইসব দেশে গিয়ে ঠাঁই নেবে।
.
দ্বিতীয় ভাগ : যারা মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সাধারণ শ্রেণীর লোকজন, দ্বীনধর্মের সাথে যাদের বিশেষ একটা সম্পর্ক নেই, মানে যারা জিহাদ-কিতালের ব্যাপারে, কাফেরদের প্রতিরোধের ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুত না (সংঘাতটা যেহেতু ইসলামী ইস্যুতে হবে। জাতীয়তাবাদ বা অন্যকোন ইস্যু না) তো এরা দলে দলে, লাখে লাখে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিবে।
.
তৃতীয় ভাগ : উপরোল্লিখিত উভয় শ্রেণীর অনেকেই পার্থিব স্বার্থ রক্ষায় শত্রুপক্ষের দালাল হয়ে কাজ করবে। এদের মধ্যে অনেক আলেম উলামাও থাকবে।
.
চতুর্থ ভাগ : দ্বীনধর্মের সাথে যাদের সম্পর্ক ভাল। এক কথায় যারা প্র্যাকটিসিং মুসলিম, সেইসাথে আগ থেকেই শারীরিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিকভাবে না হলেও অন্ততঃ মানসিকভাবে যারা জিহাদের ব্যাপারে প্রস্তুত ছিলেন তারা এবং একমাত্র তারাই আগ্রাসী শত্রুর মুকাবেলায় জীবন-মরণ প্রতিরোধ চালিয়ে যাবেন। তারাই কেবল ইসলামের দুশমনদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন। অন্য কেউ নয়।
.
এখন প্রত্যেকে নিজের অবস্থার দিকে গভীর মনযোগ দেয়া জরুরি যে, সেই পরিস্থিতিতে আমি উল্লেখিত চার শ্রেণীর কোন্ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হবো?
.
এজন্য এখন থেকেই যদি নিজেকে সেই কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত করে না তুলি, সেই রূঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য আগাম প্রস্তুতি না নেই তাহলে সেইসময় কাজের কাজ কিছু করতে পারা দূরে থাক, ময়দানে থেকে গেলেও 'কাজের মানুষদের' জন্য কেবলই বোঝা হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা।
.
তো, অন্ততঃ কাজের সময় 'কাজের মানুষদের' বোঝা না হয়ে সহযোগিতামূলক যেন কিছু করতে পারি, তাদের 'আনসার' এর ভূমিকায় থাকতে পারি সেই বিষয়ে বাস্তবসম্মত জরুরী দিকনির্দেশনা মূলক কিছু আলোচনা করার ইচ্ছা করছি। আল্লাহই উত্তম তাকফীকদাতা।
.
১। প্রথমতঃ জিহাদ বিষয়ে নিজের মনে উঁকি দেয়া অথবা অন্যের পক্ষ থেকে আরোপিত যাবতীয় সন্দেহ-সংশয়, অভিযোগ-আপত্তি, বিভ্রান্তি ও অস্পষ্টতা দূর করা আবশ্যক। অন্যাথায় জিহাদ শুরু হয়ে যাওয়ার পর যখন দেখা যাবে, একদল দরবারী আলেম তাগুত-কাফেরের তোষামোদি ও দালালী করার বিনিময়ে পার্থিব বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও আরাম-আয়েশ ভোগ করছে তখন নিজের অবস্থান নড়বড় হয়ে যেতে পারে। তাই এক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার বিকল্প নেই। পড়তে হবে— জিহাদ বিষয়ক কুরআনের আয়াত সমূহের তরজমা ও তাফসীর নির্ভরযোগ্য কোন তাফসীরের আলোকে, এ বিষয়ক হাদীস সমূহ ও তার ব্যাখ্যা নির্ভরযোগ্য হাদীসের কিতাবাদী ও তার ব্যাখ্যাগ্রন্থের আলোকে। এ বিষয়ক ফিক্বহী মাসায়েল মুজতাহিদীন ফুক্বাহায়ে কেরামের ফিক্বহ ও ফতওয়ার আলোকে। এবং সেইসাথে সমকালীন মুজাহিদীন উলামা ও উমারার রচিত রাসায়েল (পুস্তিকা) ও মাক্বালাত ( প্রবন্ধ-নিবন্ধ) অধ্যয়ন করতে হবে।
২। এখন থেকেই নিয়মিত বিশ্বব্যাপী চলমান জিহাদে মুজাহিদীনের খোঁজ খবর রাখুন।
৩। প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে পঞ্চাশটি বুক ডন দিন। (বুক ডন দেয়ার সময় দৃষ্টি সামনের দিকে রাখুন) পেটের ভূরি / মেদ একেবারে কমিয়ে আনুন। ফজরের পরের ঘুম একেবারে বর্জন করুন।
৪। যেকোন রকম খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠার চেষ্টা করুন। যেমন, দেশি-বিদেশি, মশলাসহ, মশলা ছাড়া।
৫। বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য সকল প্রকারের প্রযুক্তিগত সুযোগসুবিধা ছাড়া চলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেমন, প্রচণ্ড গরমে ফ্যান ছাড়া, রাতে বৈদ্যুতিক লাইট ছাড়া, সফরে মোবাইল ছাড়া চলার চেষ্টা করুন।
৬। গরমের দিনে লাগাতার কয়েকদিন গোসল ছাড়া ও শীতের দিনে প্রতিদিন সকালে গোসল করার অভ্যাস করুন। এভাবে প্রচণ্ড শীতের রাতে মাত্র একটা মাফলার বা রুমাল এবং হালকা পাতলা একটি কম্বল জড়িয়ে রাত কাটিয়ে দেয়ার অভ্যাস করুন। খাবার ও গোসলের জন্য স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ পানি ছাড়াও চলার অভ্যাস করুন।
৭। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রিক্সায় / অটোতে চড়বেন না। যেমন, ২০/৩০ টাকা রিক্সা ভাড়ার পথ নিয়মিত হেটে চলার অভ্যাস করুন। বর্ণিত আছে, মাওলানা শামসুল হক ফরীদপুরী রহ. ত্রিশ কিলোমিটারের চেয়ে কম দীর্ঘ পথে কখনো যানবাহনে চড়তেন না। তাঁরাই ছিলেন আমাদের প্রকৃত পূর্বসূরি।
৮। ঘরকুনো স্বভাব বর্জন করুন। যেকোন সময়, যেকোন মুহূর্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য দূর থেকে দূর গন্তব্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফরের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার অভ্যাস করুন। যেমন, সফরের সিদ্ধান্ত ঘোষণার মাত্র আধা ঘন্টা বা তার চেয়ে কম সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে পাঁচ-ছয় শ' বা সাতশো কিলোমিটার দূরের সফরে বেরিয়ে পড়ুন।
৯। পনেরো / বিশ কেজি সামানা কাঁধে বহন করে দীর্ঘ পথ চলার অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। ( তাবলিগের চিল্লা এক্ষেত্রে খুব সহায়ক। )
১০। গভীর রাতে বনজঙ্গল বা পাহাড়ি এলাকায় দুয়েকজন মিলে বা একাকি চলার সাহস অর্জন করুন।
১১। ড্রাইভিং শিখুন। বিশেষত, মোটরসাইকেল চালানো শিখুন। অন্তত ৭০/৮০ কি.মি. বেগে চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।
১২। সাঁতার শিখুন। বিশেষত, ডুব সাঁতার এবং খরস্রোতা নদীতে এবং প্রচণ্ড ঢেউয়ের মাঝে সাঁতার কাটা শিখুন।
১৩। গাছে চড়া, পাহাড়ে চড়া শিখুন। পাহাড়ে উঠানামার জন্য সাধারণ পর্যটকদের পথ (যথা, ইকোপার্ক বা পাহাড় কাটা সিঁড়ি) বাদ দিয়ে পাহাড়ের গা বেয়ে লত বেয়ে উঠানামা করা শিখুন। এভাবে সিঁড়ি ছাড়া (জানালার সানসেট ও ভেন্টিলেটর দিয়ে ) বিল্ডিং থেকে নেমে যাওয়া শিখুন।
১৪। ঘোড়ায় চড়া এবং ঘোড়দৌড় শিখুন।
১৫। নিশানা তাক করা শিখুন। প্রথমে হাতে, তারপর গুলাইল দিয়ে অতঃপর পাখি শিকার করার এয়ারগান দিয়ে।
১৬। কুংফু, ক্যারাতে শিখুন।
১৭। রান্নাবান্না করা শিখুন।
১৮। প্রয়োজনীয় সেলাইর কাজ শিখুন।
১৯। জরুরি দাতব্য চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করা শিখুন।
২০। কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের বেসিক প্রোগ্রামগুলি শিখুন। যেমন, কম্পোজ করা, প্রিন্ট দেয়া, ওয়েব ব্রাউজিং, ডাউনলোড, বিভিন্ন ফাইল আপলোড এবং কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের জেনারেল সিকিউরিটি সিস্টেমগুলো শিখুন।
২১। প্রতি মাসে উপার্জিত আয়ের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার অভ্যাস করুন।
২২। বালিশ ছাড়া, বিছানা ছাড়া খালি ফ্লোরে বা সরাসরি মাটির উপর ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
প্রস্তুতি গ্রহণের এখনই সময়
.
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর প্রায় সবক'টি মুসলিম দেশে যে পরিস্থিতি চলছে এবং বিশ্বব্যাপী ইসলাম ও কুফরের সংঘাত সামগ্রিক বিচারে ক্রমশঃ যে তীব্রতা ধারণ করছে, সর্বোপরি এত স্বল্পতম সময়ের ব্যবধানে পরিস্থিতি যে হারে বদলে যাচ্ছে সেসব কিছুর আলোকে আমি অনেকটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাদের আর বেশি সময় বাকি নেই। যেকোন সময়, যেকোন মুহূর্তে দেশে বড় ধরনের কিছু একটা ঘটে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে যেন কেবল। এবং কিছু একটা শুরু হয়ে গেলে দেশের মানুষ আক্রান্ত অন্যান্য মুসলিম দেশগুলির মত স্বাভাবিক চার ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে।
.
প্রথম ভাগ : যারা উচ্চবিত্ত, বিলাসী প্রকৃতির, সমাজের এলিট শ্রেণীর লোকজন, বিভিন্ন দেশের সাথে যাদের রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক যোগসাজশ আছে তারা নিশ্চিন্তে সোজা ওইসব দেশে গিয়ে ঠাঁই নেবে।
.
দ্বিতীয় ভাগ : যারা মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সাধারণ শ্রেণীর লোকজন, দ্বীনধর্মের সাথে যাদের বিশেষ একটা সম্পর্ক নেই, মানে যারা জিহাদ-কিতালের ব্যাপারে, কাফেরদের প্রতিরোধের ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুত না (সংঘাতটা যেহেতু ইসলামী ইস্যুতে হবে। জাতীয়তাবাদ বা অন্যকোন ইস্যু না) তো এরা দলে দলে, লাখে লাখে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিবে।
.
তৃতীয় ভাগ : উপরোল্লিখিত উভয় শ্রেণীর অনেকেই পার্থিব স্বার্থ রক্ষায় শত্রুপক্ষের দালাল হয়ে কাজ করবে। এদের মধ্যে অনেক আলেম উলামাও থাকবে।
.
চতুর্থ ভাগ : দ্বীনধর্মের সাথে যাদের সম্পর্ক ভাল। এক কথায় যারা প্র্যাকটিসিং মুসলিম, সেইসাথে আগ থেকেই শারীরিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিকভাবে না হলেও অন্ততঃ মানসিকভাবে যারা জিহাদের ব্যাপারে প্রস্তুত ছিলেন তারা এবং একমাত্র তারাই আগ্রাসী শত্রুর মুকাবেলায় জীবন-মরণ প্রতিরোধ চালিয়ে যাবেন। তারাই কেবল ইসলামের দুশমনদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন। অন্য কেউ নয়।
.
এখন প্রত্যেকে নিজের অবস্থার দিকে গভীর মনযোগ দেয়া জরুরি যে, সেই পরিস্থিতিতে আমি উল্লেখিত চার শ্রেণীর কোন্ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হবো?
.
এজন্য এখন থেকেই যদি নিজেকে সেই কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত করে না তুলি, সেই রূঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য আগাম প্রস্তুতি না নেই তাহলে সেইসময় কাজের কাজ কিছু করতে পারা দূরে থাক, ময়দানে থেকে গেলেও 'কাজের মানুষদের' জন্য কেবলই বোঝা হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা।
.
তো, অন্ততঃ কাজের সময় 'কাজের মানুষদের' বোঝা না হয়ে সহযোগিতামূলক যেন কিছু করতে পারি, তাদের 'আনসার' এর ভূমিকায় থাকতে পারি সেই বিষয়ে বাস্তবসম্মত জরুরী দিকনির্দেশনা মূলক কিছু আলোচনা করার ইচ্ছা করছি। আল্লাহই উত্তম তাকফীকদাতা।
.
১। প্রথমতঃ জিহাদ বিষয়ে নিজের মনে উঁকি দেয়া অথবা অন্যের পক্ষ থেকে আরোপিত যাবতীয় সন্দেহ-সংশয়, অভিযোগ-আপত্তি, বিভ্রান্তি ও অস্পষ্টতা দূর করা আবশ্যক। অন্যাথায় জিহাদ শুরু হয়ে যাওয়ার পর যখন দেখা যাবে, একদল দরবারী আলেম তাগুত-কাফেরের তোষামোদি ও দালালী করার বিনিময়ে পার্থিব বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও আরাম-আয়েশ ভোগ করছে তখন নিজের অবস্থান নড়বড় হয়ে যেতে পারে। তাই এক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার বিকল্প নেই। পড়তে হবে— জিহাদ বিষয়ক কুরআনের আয়াত সমূহের তরজমা ও তাফসীর নির্ভরযোগ্য কোন তাফসীরের আলোকে, এ বিষয়ক হাদীস সমূহ ও তার ব্যাখ্যা নির্ভরযোগ্য হাদীসের কিতাবাদী ও তার ব্যাখ্যাগ্রন্থের আলোকে। এ বিষয়ক ফিক্বহী মাসায়েল মুজতাহিদীন ফুক্বাহায়ে কেরামের ফিক্বহ ও ফতওয়ার আলোকে। এবং সেইসাথে সমকালীন মুজাহিদীন উলামা ও উমারার রচিত রাসায়েল (পুস্তিকা) ও মাক্বালাত ( প্রবন্ধ-নিবন্ধ) অধ্যয়ন করতে হবে।
২। এখন থেকেই নিয়মিত বিশ্বব্যাপী চলমান জিহাদে মুজাহিদীনের খোঁজ খবর রাখুন।
৩। প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে পঞ্চাশটি বুক ডন দিন। (বুক ডন দেয়ার সময় দৃষ্টি সামনের দিকে রাখুন) পেটের ভূরি / মেদ একেবারে কমিয়ে আনুন। ফজরের পরের ঘুম একেবারে বর্জন করুন।
৪। যেকোন রকম খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠার চেষ্টা করুন। যেমন, দেশি-বিদেশি, মশলাসহ, মশলা ছাড়া।
৫। বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য সকল প্রকারের প্রযুক্তিগত সুযোগসুবিধা ছাড়া চলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেমন, প্রচণ্ড গরমে ফ্যান ছাড়া, রাতে বৈদ্যুতিক লাইট ছাড়া, সফরে মোবাইল ছাড়া চলার চেষ্টা করুন।
৬। গরমের দিনে লাগাতার কয়েকদিন গোসল ছাড়া ও শীতের দিনে প্রতিদিন সকালে গোসল করার অভ্যাস করুন। এভাবে প্রচণ্ড শীতের রাতে মাত্র একটা মাফলার বা রুমাল এবং হালকা পাতলা একটি কম্বল জড়িয়ে রাত কাটিয়ে দেয়ার অভ্যাস করুন। খাবার ও গোসলের জন্য স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ পানি ছাড়াও চলার অভ্যাস করুন।
৭। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রিক্সায় / অটোতে চড়বেন না। যেমন, ২০/৩০ টাকা রিক্সা ভাড়ার পথ নিয়মিত হেটে চলার অভ্যাস করুন। বর্ণিত আছে, মাওলানা শামসুল হক ফরীদপুরী রহ. ত্রিশ কিলোমিটারের চেয়ে কম দীর্ঘ পথে কখনো যানবাহনে চড়তেন না। তাঁরাই ছিলেন আমাদের প্রকৃত পূর্বসূরি।
৮। ঘরকুনো স্বভাব বর্জন করুন। যেকোন সময়, যেকোন মুহূর্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য দূর থেকে দূর গন্তব্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফরের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার অভ্যাস করুন। যেমন, সফরের সিদ্ধান্ত ঘোষণার মাত্র আধা ঘন্টা বা তার চেয়ে কম সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে পাঁচ-ছয় শ' বা সাতশো কিলোমিটার দূরের সফরে বেরিয়ে পড়ুন।
৯। পনেরো / বিশ কেজি সামানা কাঁধে বহন করে দীর্ঘ পথ চলার অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। ( তাবলিগের চিল্লা এক্ষেত্রে খুব সহায়ক। )
১০। গভীর রাতে বনজঙ্গল বা পাহাড়ি এলাকায় দুয়েকজন মিলে বা একাকি চলার সাহস অর্জন করুন।
১১। ড্রাইভিং শিখুন। বিশেষত, মোটরসাইকেল চালানো শিখুন। অন্তত ৭০/৮০ কি.মি. বেগে চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।
১২। সাঁতার শিখুন। বিশেষত, ডুব সাঁতার এবং খরস্রোতা নদীতে এবং প্রচণ্ড ঢেউয়ের মাঝে সাঁতার কাটা শিখুন।
১৩। গাছে চড়া, পাহাড়ে চড়া শিখুন। পাহাড়ে উঠানামার জন্য সাধারণ পর্যটকদের পথ (যথা, ইকোপার্ক বা পাহাড় কাটা সিঁড়ি) বাদ দিয়ে পাহাড়ের গা বেয়ে লত বেয়ে উঠানামা করা শিখুন। এভাবে সিঁড়ি ছাড়া (জানালার সানসেট ও ভেন্টিলেটর দিয়ে ) বিল্ডিং থেকে নেমে যাওয়া শিখুন।
১৪। ঘোড়ায় চড়া এবং ঘোড়দৌড় শিখুন।
১৫। নিশানা তাক করা শিখুন। প্রথমে হাতে, তারপর গুলাইল দিয়ে অতঃপর পাখি শিকার করার এয়ারগান দিয়ে।
১৬। কুংফু, ক্যারাতে শিখুন।
১৭। রান্নাবান্না করা শিখুন।
১৮। প্রয়োজনীয় সেলাইর কাজ শিখুন।
১৯। জরুরি দাতব্য চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করা শিখুন।
২০। কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের বেসিক প্রোগ্রামগুলি শিখুন। যেমন, কম্পোজ করা, প্রিন্ট দেয়া, ওয়েব ব্রাউজিং, ডাউনলোড, বিভিন্ন ফাইল আপলোড এবং কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের জেনারেল সিকিউরিটি সিস্টেমগুলো শিখুন।
২১। প্রতি মাসে উপার্জিত আয়ের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার অভ্যাস করুন।
২২। বালিশ ছাড়া, বিছানা ছাড়া খালি ফ্লোরে বা সরাসরি মাটির উপর ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
Comment