বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
Announcement
Collapse
No announcement yet.
পিডিএফ/ওয়ার্ড || আমেরিকা মুসলমানদের প্রধান শত্রু -শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্ল&
আমেরিকা মুসলমানদের প্রধান শত্রু
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ
আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وصحبه ومن والاه
আল্লাহর নামে শুরু করছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তাআ’লার জন্য এবং দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবায়ে কেরাম ও যারা তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন তাঁদের প্রতি৷
সারাবিশ্বে অবস্থানরত মুসলিম ভাইয়েরা!
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
হামদ ও সালামের পর-
ক্রুসেডারদের ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ আমেরিকার আসল চেহারা ও মুসলিমদের ব্যাপারে অধিকাংশ মার্কিন জনগণের প্রকৃত মনোভাব প্রকাশ করে দিয়েছে৷ প্রকাশ করে দিয়েছে ঐ সমস্ত লোকদের প্রতারণাকে, যারা আমেরিকার নৈকট্য অর্জনের ও আমেরিকাকে এই সীদ্ধান্ত প্রদানের অনুশীলন করে যাচ্ছিল যে, আফগানিস্তানের মুসলমানদের সাথে আমেরিকার যুদ্ধ করার পূর্ণ অধিকার করেছে এবং সন্ত্রাসীরা (মুজাহিদীন) কোন মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না৷ সাথে সাথে নির্বোধ ক্রুসেডারদের আচরণ তাদের ঐ সকল ভিক্ষা, অধঃপতন ও বশ্যতার নীতিসমূহের ব্যর্থতাকেও স্পষ্ট করে দিয়েছে, যেগুলোকে তারা রাষ্ট্রিয় আইন ও আন্তর্জাতিক আইন বলে নাম দিয়েছিল৷ পাশাপাশি ঐ সকল ফিলিস্তিন বিক্রেতাদের হতাশাকেও প্রকাশ করে দিয়েছে, যারা ইসরাইলের নিরাপত্তাকর্মীতে পরিণত হয়েছিল৷ এবং ঐ সমস্ত লোকদের কাপুরুষতাকেও জাহির করে দিয়েছে, যারা এই আতঙ্কে থাকে যে, আমেরিকা তাদেরকে সেই লিস্টিতে ফেলে দিবে, যাদের মাঝে সে সন্ত্রাস করে থাকে৷
তেমনিভাবে স্পষ্ট করে দিয়েছে ইসরাইলের সাথে আত্মসমর্পণের চুক্তি মেনে চলার নীতির ও আমেরিকার সাথে সামরিক ও নিরাপত্তামূলক সহযোগীতার চুক্তি মেনে চলার নীতির বিফলতা৷ এবং তা আরব লীগ, ওআইসি ও জাতিসংঘের দুর্বলতাকেও প্রকাশ করে দিয়েছে৷ স্পষ্ট করে দিয়েছে আমেরিকার এজেন্ট ও দালাল মুসলিম শাসকদের লাঞ্চনা ও অপদস্থতার বিস্তৃতির কথা এবং আমেরিকানরা যে তাদেরকে গণনায়ও ধরে দেখে না সে কথা।
এবং আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে তাদের সহায়তা, অর্থ ও নির্দেশনায় একবার ভরসা করবে সে যদি তাতে স্থির না থাকে তাহলে তারা তাকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে ঠেলে দেয়৷ আমেরিকার রাষ্ট্রনীতি ও তার অত্যাচারী ক্রুসেডার প্রধানগণ আমাদেরকে এ কথাই পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তাদের এ সীমালঙ্ঘনের মুকাবিলায় মুসলমানদের কেবল একটিই পথ খোলা রয়েছে, আর তা হচ্ছে জিহাদ ও দাওয়াহর পথ৷
এ পথচলাই জাতিকে শাইখ উসামা বিন লাদেন রহঃ স্বীয় কথায় ও কাজে শেখাতে চেষ্টা করেছেন ৷ তিনি বারংবার নিশ্চিত করেছেন যে, আমেরিকাই মুসলমানদের প্রধান শত্রু। আমেরিকাই কালের প্রবঞ্চক ও অজগরের মস্তক৷ তিনি তাঁর ভাষণ, সাক্ষাৎকার এবং বিশ্লেষণ ও বার্তা দ্বারা পরিষ্কার জানিয়েছেন যে, বর্তমানে আমেরিকা ও মুসলমানদের মধ্যকার যে শত্রুতা বিরাজ করছে তা মূলত বস্তুবাদী পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষ ক্ষিপ্ত ক্রুসেডারদের ও উম্মতে মুহাম্মাদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মধ্যকার একটি ধর্মীয় শত্রুতা৷ তিনি শুধুমাত্র কথাগুলো বলেই তৃপ্ত হননি; বরং বাস্তবিকপক্ষেও তিনি স্বীয় জাতির জন্য প্রায়োগিক নমুনা ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়ে দিয়ে গেছেন৷ তিনি স্বীয় জাতির নিকট স্পষ্ট করেছেন, যে ব্যক্তি আপন রবের প্রতি ভরসা রাখে, অতঃপর দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয় এবং পূর্ণ প্রচেষ্টা ব্যয় করে, তার জন্য আমেরিকাকে শায়েস্তা করা অসম্ভব কিছু না ৷
সুতরাং তাঁর সাথীরা মার্কিনীদেরকে ইয়েমেনের আদন শহরে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল। অতঃপর সোমালিয়ায়, অতঃপর নাইরোবিতে ও তানজানিয়ার দারুস সালাম শহরে, অতঃপর ইয়েমেনের আদন শহরে আরেকবার ইউএসএস কোলে বিস্ফোরণের মাধ্যমে, অতঃপর স্বয়ং মার্কিনিদেরই কেন্দ্রভূমিতে টুইন টাওয়ার হামলা করে মহা সাফল্য অর্জন করেছিলেন৷
শাইখ উসামা রহঃ ও তাঁর সাথীরা সেগুলোর আঞ্জাম দিয়েছিলেন খুবই সামান্য অস্ত্র-সরঞ্জাম দ্বারা, যা মার্কিনিদের অস্ত্র-সরঞ্জামের সামনে শূন্যের কোঠায় পড়ে। (আমরা আল্লাহর ওপর আগ বেড়ে তাঁদের প্রশংসা করছি না; বরং আমরা তাদের প্রতি ধারণা করছি যে,) তথাপি তাঁদের জন্য তা সম্ভব হয়েছিল আল্লাহর প্রতি তাঁদের তাওয়াক্কুল ও এমন প্রচণ্ড আগ্রহ ও দৃঢ় সঙ্কল্পের দরুণ যে, পাহাড় হেলে গেলেও তা হেলে না এবং পর্বতে কাঁপন ধরে গেলেও তাদের সঙ্কল্পে কোন হেরফের আসে না এবং মজবুত সুউচ্চ ভবনগুলো স্থানচ্যুত হয়ে গেলেও তাদের হিম্মতে কোন চিড় ধরে না৷
(তাঁর ও তাঁর শহীদ ভাইদের উপর আল্লাহ্ রহম করুন এবং বন্দিগণকে মুক্তি দান করুন।) তারা আমাদেরকে উত্তম নজির ও দৃষ্টান্ত দেখিয়ে দিয়ে গেছেন এবং পথ বাতলে দিয়েছেন ও রাস্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ তাই ইসলাম ও মুসলিমদের পক্ষ থেকে আল্লাহ্ তাআ’লা তাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করেন৷
আমেরিকা তার সামর্থ্যানুযায়ী ওই সকল মুজাহিদদের ভাবমূর্তি বিকৃত করে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে ও মুজাহিদিন যে বাস্তবতা সম্পর্কে উম্মাহ জ্ঞাত করে গেছেন, তা থেকে লোকদেরকে ফিরিয়ে রাখার জন্য আমেরিকা সাধ্যানুরূপ চেষ্টা করেছে৷ আর এ কাজে আমেরিকার প্রতি ভীত বা আগ্রহী লোকেরা তাদের ক্ষমতানুযায়ী প্রতিযোগীতায় লিপ্ত ছিল৷
পরিশেষে নির্বোধ ক্রুসেডার ও তাদের লঘুচিত্ত জনগণ ঐ সকল প্রতারিত প্রবঞ্চকদের নিকট তাদের কথার মোড় উল্টে দিয়েছে ও তাদেরকে বলেছে যে, মুসলিমদের ও তাদের মধ্যকার এই যুদ্ধ একটি ধর্মীয় যুদ্ধ৷ সেই বিকৃত তাওরাতের যুদ্ধ, যা মূর্খ ক্রুসেডার ও তাদের বেকুফ ক্রুসেডার জনগণের ধারণানুযায়ী ইয়াহুদীদের জন্য ফুরাত নদী ও নীল নদের মধ্যবর্তী সমস্ত অঞ্চলের মঞ্জুরী দিয়ে দেয়; (তাদের এই দাবী) এমন কুরআনের বিরুদ্ধে, যা নিশ্চিত করে যে, গোটা পৃথিবী আল্লাহ্ তাআ’লার মালিকানাধীন, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে খুশি তাকেই এর ওয়ারিস বানান এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতই সেই সর্বশেষ উম্মত, যা ইতিপূর্বের সবকিছুর ওয়ারিস৷
এভাবেই পশ্চাদগামী ক্রুসেডার ও তাদের অত্যাচারী নির্বোধ জনগণ পূর্বেকার বিকৃত কিতাবসমূহ ও শাশ্বত কুরআনের মধ্যকার তাদের দলাপূর্ণ ধর্মীয় যুদ্ধের মেজাজ প্রকাশ করে দিল৷
অতএব হে আমার মুসলিম উম্মাহ্! এখনই উপযুক্ত সময় প্রত্যেক প্রতারণার শিকার চেতনাহীন ব্যক্তির চেতনা ফিরে পাওয়ার ও অলসতায় বিভোর ব্যক্তির আপন অলসতার নিদ ভেঙ্গে উঠে দাঁড়াবার৷ এখনই সময় প্রত্যেক দ্রুত মুনাফাকামী ব্যয়কুণ্ঠ ব্যক্তি ও আমেরিকার দাপটে কম্পমান ব্যক্তির জিহাদ ও দাওয়াহর পথে ফিরে আসার এবং দুনিয়ার প্রতি আসক্তি ও মৃত্যুভয়কে ঝেড়ে ফেলে দেয়ার৷
আমেরিকা কিছুতেই সেই আন্তর্জাতিক আইনের সম্মুখীন হয়ে তার ভ্রষ্টতা, অত্যাচার, দুরাচার ও সীমালঙ্ঘন থেকে বিরত হবে না, যা সে নিজেই তৈরী করেছে ও সে নিজেই যার অর্থায়ন করে থাকে৷ এবং ঐ সকল দালাল শাসকদের সামনেও সে নতি স্বিকার করবে না, যাদেরকে সে নিজেই প্রতিষ্ঠিত করেছে ও নিয়োগ দান করেছে। ঐ সমস্ত লোকদের দ্বারাও সে বিরত হবে না, যারা সদা তার ক্ষমতা ও লোকবলের ভয়ে আতঙ্কিত থাকে৷ বরং একমাত্র এমন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ-ই পারে আমেরিকাকে রুখতে; যা সম্পাদন করা হবে অস্ত্র-সরঞ্জাম, শরয়ী যুক্তি-প্রমাণ, দাওয়াত-তাবলীগ, আল্লাহর রাস্তায় দান-দক্ষিণা, আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল, দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি এবং ইসলামের আকিদা-বিশ্বাস ও শরীয়তের আহকামের ওপর অবিচল থাকার দ্বারা৷
আল্লাহর ইচ্ছায় আমেরিকাকে অচিরেই আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদগণ, সৎকর্মশীল আলেমগণ এবং সত্যনিষ্ঠ দায়ী’গণ ও তাওহীদের ঝান্ডা তলে সমবেত মুসলিম জাতি পরাস্ত করবেন৷
অতঃএব হে আমার মুসলিম উম্মাহ্! আসুন, আমরা সর্বস্থানে আমেরিকার সাথে জিহাদ করি, যেমন তারা সর্বস্থানে আমাদের প্রতি অত্যাচার নিপিড়ন চালিয়ে থাকে৷ যেন তারা আমাদের মুখোমুখি অবস্থানকালে আমরা সকলে এক থাকতে পারি এবং বিক্ষিপ্ত না হই ও সংঘবদ্ধ হয়ে থাকতে পারি এবং আমাদের মাঝে ফাটল না দেখা দেয়৷
হে সর্বস্থানের মুজাহিদগণ! আপনারা বিশ্বের যে কোন প্রান্তে অবস্থানরত আপনাদের মুসলিম উম্মাহকে প্রতিরক্ষার জন্য জিহাদ করুন এবং তাদের চিন্তায় চিন্তিত হোন ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকুন ও পরস্পরে একে অপরকে সহযোগীতা করুন এবং আপনারা বিচ্ছিন্ন হবেন না, বিভেদ সৃষ্টি করবেন না ও জুদা হবেন না বরং আপনারা এক সারিতে চলে আসুন, যেমন আপনাদের রব বলেছেন-
إن الله يحب الذين يقاتلون في سبيله صفا كأنهم بنيان مرصوص
“নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর পথে সারিবদ্ধভাবে সীসা ঢালা সুদৃঢ় প্রাচীরের মত লড়াই করে, আল্লাহ্ তাদেরকে ভালোবাসেন”৷ (সুরা ছফ: ৪)
প্রতিটি মুজাহিদই যেন বিশ্বের যেকোন প্রান্তের তাঁর মুসলিম ভাইয়ের চিন্তায় বিষণ্ণ থাকে ও আপনাদের হিন্দুস্থানী ভাইয়েরা যেন পশ্চিমা ভাইদের ও সিরিয়ান ভাইয়েরা যেন আফগানী ভাইদের ও মিশরীয় ভাইয়েরা যেন তুর্কিস্তানী ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে আসে এবং সকলে ভাই ভাই হয়ে আল্লাহর বান্দায় পরিণত হয়ে যান৷ আর আপনারা সেই বিচ্ছিন্নতার আমন্ত্রণ থেকে দূরে থাকুন, যার দিকে আমেরিকা ও আমেরিকার নীতি অনুসরণকারীরা আপনাদেরকে ঠেলে দিচ্ছে; যদিওবা তারা সদয় হিতাকাঙ্ক্ষী বা সমব্যথী অর্থদাতারূপে আত্মপ্রকাশ করে৷
সুতরাং আমরা সকলে এক উম্মাহ্। আমরা চিনি না ঐ সকল ভৌগলিক সীমারেখা, যা নির্ধারণ করেছে দখলদার ও ঔপনিবেশিকেরা। আমরা চিনি না ঐ সকল চেক পয়েন্ট ও কাঁটাতার, যা ধার্য করেছে অত্যাচারী কাফেররা। আমরা চিনি না ঐ সকল ম্যাপ-মানচিত্র, যার সবক আমাদেরকে শিখিয়েছে মুরতাদ তাগুতরা৷
হে মুজাহিদগণ জেনে রাখুন! নিঃসন্দেহে আপনাদের সর্বোত্তম অস্ত্র হচ্ছেঃ সহীহ আকীদা ধারণ করা, ইবাদাত, সততা ও অঙ্গিকার পূরণকে নিজেদের জন্যে অপরিহার্য করে নেওয়া এবং গুনাহ পরিহার করা ও জিহাদের পথে অটল থাকা৷ অতএব আপনারা অবিচল থাকুন এবং ধৈর্যহারা ও পশ্চাদপদ হবেন না! আল্লাহ্ আপনাদেরকে বিজয় দান করবেন, যেমন বিজয় দান করেছিলেন আপনাদের পূর্ববর্তীদেরকে৷ আপনারা গুনাহ থেকে দূরে থাকুন ও মুসলমানদের হারাম রক্ত ও তাদের মর্যাদাক্ষুন্ন করা থেকে এবং বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যাচার ও জুলুম থেকে বিরত থাকুন, যেন আপনাদের তাওফীককে ছিনিয়ে না নেওয়া হয় ৷ আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা বলেন-
يا أيها الذين آمنوا إن تنصر الله ينصركم ويثنت أقدامكم
“হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, তবে তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান সুদৃঢ় করবেন”৷ (সুরা মুহাম্মাদ: ৭)
আর হে সৎকর্মশীল আলেমগণ! আপনারা সৎসাহসে উজ্জীবিত হোন এবং জাতির সামনে অত্যাচারী দখলদার ও মুরতাদ তাগুতদের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরজে আইন হওয়ার কথা তুলে ধরুন এবং তাদেরকে শিক্ষা দিন যে, শরীয়াহ শাসন তাওহীদের রোকন সমূহের মধ্য থেকে একটি শক্তিশালী রোকন, যার কোন সম্পূরক নেই ৷ আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা বলেন-
فلا وربك لا يؤمنون حتى يحكموك فيما شجر بينهم ثم لا يجدوا في أنفسهم حرجا مما قضيت ويسلموا تسليما
“অতএব তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা কখনও বিশ্বাস স্থাপনকারী হতে পারবে না, যে পর্যন্ত তারা তোমাকে তাদের আভ্যন্তরীণ বিরোধের বিচারক হিসেবে মেনে না নিবে, তৎপর তুমি যে বিচার করবে তা তারা দ্বিধাহীন অন্তরে গ্রহণ না করবে এবং ওটা শান্তভাবে পরিগ্রহণ না করবে”৷ (সুরা নিসা: ৬৫)
এবং তাদের নিকট বর্ণনা করুন যে, একতা বজায় রাখা ফরজ ও সকল মুসলমান ভাই ভাই, সকল মুসলিম ভূখণ্ড একটি শহরের ন্যায়, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপর মুসলমানের জান মাল ও ইজ্জত-আবরু হরণ করা হারাম এবং আমাদের আমাদের জিহাদের মূল লক্ষ্য হল দুনিয়ার বুকে পুনরায় খেলাফতে রাশেদা ফিরিয়ে আনা, যা পরিচালিত হবে মজলিসে শুরার মাধ্যমে৷ যেমন আল্লাহ্ তাআ’লা বলেছেন-
وأمرهم شورى بينهم
“এবং তাদের কর্ম তারা নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে সম্পাদন করে”৷ (সুরা শুরা: ৩৮)
আর হে জাতির কর্ণধার, উপদেষ্টা, নেতৃবর্গ ও ব্যবসায়ীরা! আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের সম্মিলিত শত্রুর মুকাবিলা করি৷ অপরাধীদের গুরুঠাকুরদের আইনের কাছে এবং বিশ্বাসঘাতক ও চোর-ডাকাত সরকারের কাছে এবং ফিলিস্তিন বিক্রেতা ও ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের নির্বাচনে আশ্রয় গ্রহণ করার দ্বারা কস্মিনকালেও আমাদের কোন ফায়দা হবে না৷ সুতরাং এখন আমাদের জন্য আমাদের বিপক্ষে জড়ো হওয়া সম্মিলিত শত্রুর বিরুদ্ধে এক দেহের ন্যয় সংঘবদ্ধ হয়ে জিহাদ করার কোন বিকল্প নেই৷ আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা বলেন-
وقاتلوا المشركين كافة كما يقاتلونكم كافة
“আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে”৷ (সুরা তাওবাহ্: ৩৬)
হে মুসলিম উম্মাহ! অচিরেই (মুসলিম নামধারী) ভ্ৰষ্ট ভিক্ষুকেরা আপনাদের জন্য আমেরিকার সাথে শত্রুতার ইস্যু হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমকে ধর্মনিরপেক্ষ ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষনা করার ইস্যুকে দাঁড় করাবার চেষ্টা করবে৷ এটি তাদের ভ্রষ্টতা ও অন্যকে ভ্রষ্ট করার ফাঁদ৷ কেননা পূর্ব ও পশ্চিম উভয় জেরুজালেমই আমাদের এবং হাইফা, আকা, জাফ্ফা ও সম্পূর্ণ ফিলিস্তিনই আমাদের এবং গ্রোযনী, ম্যানিলা ও আন্দালুসও আমাদের৷ এ সবগুলোই দখলকৃত মুসলিম ভূখণ্ড, আমরা আল্লাহর শক্তি ও সাহায্যে এগুলো কিছুতেই ছাড়বো না৷
আমরা জিহাদ করি দামেস্ক প্রতিরক্ষার জন্য, যেমন প্রতিরক্ষা করে থাকি কাবুলের। এবং কাবুলকে তেমন প্রতিরক্ষা করে থাকি যেমন প্রতিরক্ষা করে থাকি গ্রোযনীর। এবং গ্রোযনীকে তেমন প্রতিরক্ষা করে থাকি যেমন করে থাকি কাশগর ও সকল মুসলিম ভূখণ্ডগুলোর, যেন সেগুলোকে আমরা ঔপনিবেশিক দখলদার ও মুরতাদ পাপাচারদের হাত থেকে মুক্ত করতে পারি৷
অতএব জাতির প্রতি আমাদের অতিশয় সংক্ষিপ্ত বার্তা হচ্ছে এই যে, আপনারা কালের প্রবঞ্চক ও অজগরের মস্তক আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য উঠে দাঁড়ান, উঠে দাঁড়ান দুনিয়ার ইজ্জত ও আখেরাতের সফলতার জন এবং যাত্রা করুন এমন জান্নাতের দিকে যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও জমিন৷
وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين، وصلى الله على سيدنا محمد وآله صحبه وسلم. والسلام عليكم ورحمة الله وبركاته
Comment