Announcement

Collapse
No announcement yet.

পিডিএফ/ওয়ার্ড || সৌদি রাজপরিবার ও আমেরিকার গোপন আঁতাতের ইতিহাস -শাইখ হামযা উসামা বিন লা÷

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পিডিএফ/ওয়ার্ড || সৌদি রাজপরিবার ও আমেরিকার গোপন আঁতাতের ইতিহাস -শাইখ হামযা উসামা বিন লা÷

    আহলুল হারামের আন্দোলনে খাইরুল উমামের নেতৃত্ব
    মজলিস: ৬


    সৌদি রাজপরিবার ও আমেরিকার গোপন আঁতাতের ইতিহাস
    -শাইখ হামযা উসামা বিন লাদেন হাফিজাহুল্লাহ




    অনলাইনে পড়ুন- http://risala.ga/ce3a/

    ডাউনলোডঃ
    পিডিএফ (1.2 MB)







    ওয়ার্ড (1.1 MB)




    https://mega.nz/#!2HByQThB!gl6LdaR5v...lXChch6j3Y5FrU
    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

  • #2
    আহলুল হারামের আন্দোলনে খাইরুল উমামের নেতৃত্ব
    মজলিস: ৬


    সৌদি রাজপরিবার ও আমেরিকার গোপন আঁতাতের ইতিহাস
    শাইখ হামযা উসামা বিন লাদেন হাফিজাহুল্লাহ




    الحمد للهِ الكريمِ الذي أسبغ نعمه علينا باطنة وظاهرة، العزيزِ الذي خضعت لعزّتِهِ رقاب الجبابرةِ، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له شهادة نرجو بها النجاة في الدارِ الآخرةِ، وأشهد أنّ محمدا عبده ورسوله صلى الله عليهِ وعلى آلهِ وصحبهِ وسلّم تسليما كثيرا.

    أما بعد:

    সব জায়গার মুসলিম ভাইদের প্রতি এবং হারামাইনের দেশে আমাদের অধিবাসীদের প্রতি-

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

    এটি ‘আহলুল হারামের আন্দোলনে খাইরুল উমামের নেতৃত্ব’-এর ৬নং হালাকা। এখানে আমরা জাযিরাতুল আরবের সম্মানিত অধিবাসীদেরকে রাষ্ট্রের তাগুতী শাসকবর্গের বিরুদ্ধে আন্দোলন, তাদেরকে অপসারণ ও তাদের থেকে প্রতিশোধ নিতে উৎসাহিত করেছি। আমরা উদ্বুদ্ধ করেছি খ্রিষ্টানদের কবল থেকে ওহির কেন্দ্রকে স্বাধীন করতে, ইয়াহুদীদের খপ্পর থেকে হারামাইন শরীফাইনকে হেফাজত করতে এবং এমন সত্যনিষ্ঠ ইসলামী নেযাম প্রতিষ্ঠা করতে, যার মাধ্যমে ইনসাফ ছড়িয়ে পড়বে, শূরা ব্যবস্থা প্রসারিত হবে, জিহাদ ফি সাবীলিল্লাহ জীবন্ত হয়ে উঠবে, গরিব-মিসকিন ও উপযুক্তদের উপর রাষ্ট্রীয় সম্পদ বণ্টনের ব্যবস্থাপনা তৈরি হবে, যাতে করে দেশের জনগণ রাব্বে কারীমের শরীয়তের ছায়াতলে সম্মানের সাথে থাকতে পারে।

    আমরা পূর্ববর্তী হালাকায় উল্লেখ করেছি যে, আল্লাহর ইচ্ছায় অচিরেই হারামাইনের দেশের পরিবর্তন পুরো উম্মাহর উপকারে আসবে। এ পরিবর্তনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য তাদের সম্মান-মর্যাদা ও নেতৃত্বের পথে ফিরে আসতে মূল উপকরণের ভূমিকা পালন করবে।

    আমরা আলোচনা করেছি হারামাইন শরীফাইনের প্রতি অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিভিন্ন আগ্রাসী শত্রুদের বিস্তৃতির ভয়াবহতা সম্পর্কে; অবাঞ্ছিত আলে সাউদ শুধু সেসব আগ্রাসীদের চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে-ই নয়, বরং তাদের কোনো এক দলের মোকাবেলা করতেও ব্যর্থ। আমরা পরিস্কার করে এও বলেছি যে, আলে সাউদ ও তার বাহিনী হারামাইন শরীফাইনকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলার যোগ্য নয়।

    জাযিরাতুল আরবে আমাদের অধিবাসীদের ওপর কর্তব্য হল, তারা যেন শক্তি ও সরঞ্জাম মওজুদ করেন, ইয়াহুদী অন্যান্য শত্রুদের কবল থেকে হারামাইন শরীফাইনকে রক্ষা করার প্রস্তুতি নেন এবং তাদের মুজাহিদ ভাইদেরকে জানে-মাল, ঈমান ও হিকমাহর দ্বারা শক্তিশালী করেন।

    হে মুসলিম ব্যবসায়ী! এখনই সময় হারামাইন শরীফাইনের রক্ষাকারী দলকে সজ্জিত করে সাফল্য অর্জন করার। হে মুসলিম যুবক! শক্তি-সম্বল থাকুক বা নাই থাকুক বেরিয়ে পড় তোমার মুজাহিদ ভাইদের উদ্দেশ্যে; ঈমানের ছায়াতলে শক্তি যোগাতে, তাদের থেকে উপযুক্ত অভিজ্ঞতা শিখতে। সম্মান-মর্যাদার অধিকারী তাঁরাই। তাঁরাই ঈমান ও হিকমার অধিকারী, বিশ্বস্ততা ও বীরত্বের অধিকারী। আমরা এমনটাই মনে করি। তাদের জন্য আল্লাহ তা’আলাই যথেষ্ট।

    পূর্ববর্তী হালকায় আব্দুল আযীয ইবনে সাউদ, যে তৃতীয় সৌদি রাষ্ট্রের শাসক ও নেতা এবং ভ্রষ্টতার দিকনির্দেষক- তার সম্পর্কেও আমরা এমনটাই আলোচনা করেছিলাম। সেইসাথে বলেছিলাম উসমানী খেলাফতের সাথে তার কী সম্পর্ক, খেলাফতের সাথে কী প্রতারণা সে করেছিল, বাইয়াত ভঙ্গ ও খেলাফতের সাথে সে কীভাবে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। আলোচনা করেছিলাম তার সাথে ব্রিটেনের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্বের কথা। যে বন্ধুত্বকে ব্রিটেন স্বাগত জানিয়ে ছিল, খুব পছন্দ করেছিল। এমনকি আব্দুল আযীয ইবনে সাউদ বলেছিল, কিয়ামত পর্যন্ত সে ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে না। বেদুইন ইখওয়ানের সাথে তার সম্পর্ক এবং তাদের শাসনকাল খতম হওয়ার পর তাদের সাথে তার প্রতারণার ব্যাপারে আলোচনা করেছিলাম। আলোচনা করেছিলাম ফিলিস্তিন নিয়ে তার প্রতারণা, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইয়াহুদী আধিপত্য প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতি, ফিলিস্তিনী সম্পত্তি ও তার উপর অবরোধ আরোপের ব্যাপারে তার অবস্থানের কথা। আরো আলোচনা করেছিলাম ইয়াহুদীদের সাথে তার গভীর ভালোবাসা ও আমাদের ফিলিস্তিনী অধীবাসীদের উপর তার কঠোর অবস্থানের কথাও।

    আল্লাহর ইচ্ছায় আজ আমাদের আলোচ্য বিষয়, ‘আব্দুল আযিয ইবনে সাউদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক।’

    তো তার মাঝে ও ব্রিটেনের মাঝে সব ধরণের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব ও মজবুত ঐক্য গঠনের পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন ব্রিটেনের শক্তি ফুরিয়ে এল এবং শক্তির সে জায়গাটি দখল আমেরিকা করল, তখন তার সম্পর্ক ব্রিটেন থেকে আমেরিকার দিকে স্থানান্তরিত হল। মুজাহিদদের অপারেশনের কারণে আলহামদুলিল্লাহ আমেরিকার শক্তিও এখন অস্তমিত হওয়ার পথে।

    এ বিষয়ে চুক্তিনামাগুলো আমেরিকার সাথে তার সম্পর্কের ব্যাপারটি আরো শক্তিশালী করে। ১৪/০২/১৯৪৫ ইংরেজি সাল মোতাবেক ১৩৬৪ হিজরীর রবিউল আওয়ালে মার্কিন ক্রুজার কুইন্সির উপর আব্দুল আযিয ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের মাঝে সংঘটিত আলোচিত মিটিংয়ে তারা সিদ্ধান্তে উপনিত হয় যে, সৌদি সরকার আমেরিকার প্রতি আনুগত্যের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে এবং আলে সাউদের বন্ধুত্ব ব্রিটেন থেকে আমেরিকার দিকে স্থানান্তরিত হবে।

    এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র ডকুমেন্টসের দু’টি রিপোর্ট রয়েছে, যা লিখেছে আলে সাউদের প্রতি আমেরিকা কর্তৃক নির্ধারিত মন্ত্রী উইলিয়াম এডি। যার একটিতে বলা হয়েছে, ‘দু’পক্ষের মাঝে দ্রুত গভীর ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। বাদশা এও বলে, দায়িত্বের ক্ষেত্রে সে প্রেসিডেন্টের যমজ ভাই...। রুজভেল্ট যখন আব্দুল আযিযকে চাকা বিশিষ্ট একটি চেয়ার উপহার দিল তখন আব্দুল আযিয শান্ত দিলে বলেছিল, ‘আমি অবশ্যই একে দৈনিক ব্যবহার করব এবং উপহার প্রদানকারী ও আমার মহান পবিত্র বন্ধুর ভালোবাসার কথা স্মরণ করব।’

    উইলিয়াম এডি তার রিপোর্টে লিখেছিল, ইবনে সাউদ তাকে একাধিকবার বলেছিল, ‘এমন কারো সাথে আমার আজো সাক্ষাত মিলেনি, যে ব্যক্তিত্ব, জ্ঞান ও ভদ্রতায় প্রেসিডেন্টের বরাবর হতে পারে।’

    আব্দুল আযিয শায়খ হাফেজ ওয়াহবাকে বলেছিল, ‘আমার পুরো জীবনের সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের সাথে মুলাকাত।’

    রুজভেল্টের সাথে আব্দুল আযিযের সাক্ষাতটি কোনো সাধারণ সাক্ষাত ছিল না; বরং তা ছিল ভয়ানক একটি সাক্ষাতকার, যা মুসলিম উম্মাহর উপর বিপদ ও মসিবতকে ডেকে আনে। এমনকি আমেরিকার সাথে বন্ধুত্বের কথা আলে সাউদ ব্রিটেনের চেয়ে আরো জোড়ালোভাবে প্রকাশ করে। ইবনে সাউদ মার্কিন জাহাজের জন্য সৌদিবন্দরগুলো ব্যবহার এবং বড় একটি মার্কিন বিমানঘাঁটি নির্মাণের অনুমোদন দেয়। মার্কিন সেনাদের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদে একটি এলাকা ভাড়া দেয়, যা পরবর্তীতে সবধরণের সুবিধাসহ আলে সাউদের কাছে ফিরে আসে।

    এটি এমন বিপজ্জনক পরিকল্পনা ছিল, যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যমানা থেকে এ পর্যন্ত হারামাইনের দেশে খ্রিষ্টান সেনাদের উপস্থিতির এই প্রথম ঘটনা। এ কাজের সাথে অতীতকালে আব্দুল আযিয আবু রিগাল নামে আরেকজন অতিবাহিত হয়েছে। চরম বিশ্বাসঘাতকতার কারণে তার নামের সাথে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল ‘আল-খা-ইনুল আকবার’।

    এমনিভাবে রুজভেল্ট ও ইবনে সাউদ ‘আমেরিকান-সৌদি বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠান’ গড়ে তুলে, যা এখনো পর্যন্ত বহাল রয়েছে। এর কারণেই হারামাইনের দেশ অধিকৃত হয়ে আছে। প্রবেশ করেছে মার্কিন আর্মি ইউনিট ও ব্যাটেলিয়ন। হত্যা করছে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে। কেড়ে নিচ্ছে মুসলিম উম্মাহর, গরিবদের ধন-সম্পদ, যার হিসাব আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। এসবের মাধ্যমে হচ্ছে আব্দুল আযিয ইবনে সাউদ, যে এই নিকৃষ্ট রীতিকে তার ছেলে-সন্তান, নাতি-পুতিদের জন্য চালু করেছে এবং এই লাঞ্ছনাকর ইতিহাস নিজ হাতে রচনা করেছে।

    এ হালকাগুলোতে যা আলোচনা হল, তা থেকে পরিস্কার হয়ে গেল যে, আব্দুল আযিযের সময়ে বিশ্বব্যাপী তিনটি শক্তি বিদ্যমান ছিল। তাদের সাথে সে যে আচরণ করেছে তা এই,

    ১. উসমানী শাসন।

    উসমানী শাসনের সাথে সে প্রতারণা করেছে, তার বাইআত ভঙ্গ করেছে এবং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।

    ২. ব্রিটিশ ক্রুসেডার সাম্রাজ্য।

    ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাথে সে চুক্তি করেছে, তার সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করেছে, এর কারণে ফিলিস্তিনকে পরিত্যাগ করেছে।

    ৩. মার্কিন ক্রুসেডার সাম্রাজ্য।

    মার্কিন সাম্রাজ্যকে সে হারামাইনের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে।

    সুতরাং আব্দুল আযিয উসমানী খেলাফতের সাথে প্রতারণা করল, ফিলিস্তিনকে পরিত্যাগ করল, হারামাইনের দেশে শত্রুদের অনুপ্রবেশের দরোজা খুলে দিল, পবিত্র তিন মসজিদকে ক্রুসেডারদের হাতে বিক্রি করে দিল।

    আমাদের জন্য আল্লাহ তা’আলাই যথেষ্ট, তিনিই উত্তম কার্যনির্বাহী।

    তাওহীদরাষ্ট্রের প্রবর্তক এমন হতে পারে!?


    সারকথা হল, আব্দুল আযিয ইবনে সাউ হলদ শাসক পরিবারের দাদা, হারামাইনের দেশে ক্রসেডার সৈন্য-শক্তিকে প্রবেশের অনুমতি দানকারী, ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি সবচে’ বড় প্রতারক – যার সমতুল্য অন্য কোন দৃষ্টান্ত হতে পারে না। সে ফিলিস্তিন ও মসজিদুল আকসাকে পরিত্যাগকারী, উসমানী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী, ব্রিটিশ ও মার্কিন সাম্রাজ্যের অভিভাবক, তাদের সাথে গভীর বন্ধুত্ব স্থাপনকারী। সে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট কাফের ক্রুসেডার রুজভেল্ট সম্পর্কে বলেছিল যে, রুজভেল্ট তার যমজ ভাই, পবিত্র মহান বন্ধু। ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে তার সমকক্ষ কেউ নেই। তার সাথে সাক্ষাত করতে পারাটা তার জীবনের সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

    তার সন্তানাদী ও নাতি-পুতি কিয়ামত পর্যন্ত সে পথেই চলবে, যা তাদের বাবা তাদের জন্য এঁকেছিল।

    وإذا كان ربّ البيتِ بالدّفِّ ضارِبا *** فشيمة أهلِ البيتِ الرّقص والطّبل

    ‘যখন বাড়ির মালিক দফ বাজাতে শেখে, তখন বাড়ির অধিবাসীরা নাচ ও তবলায় অভ্যস্ত হয়’


    পরিশেষে আমাকে, সকল মুসলমানকে, বিশেষকরে হারামাইনের মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করে বলছি-

    دروس الـعـزِّ إيمانا
    فلم يضعف ولا لانا
    وقـد عانوا كما عانى
    وما ذلّوا لأعدانا
    فِـدا الإسلامِ قتلانا
    لـم يرضوه سلطانا
    بِغيرِ الــدِّينِ مِيزانا
    وإن نقتل فبشرانا
    ويــوم النّصرِ قد حانا





    رسول الـلـهِ أعـطـانا
    مِـن الكـفّارِ كـم عانى
    ولـلإيـمـانِ أنـصـار
    عـلى الأخشابِ قد حمِلوا
    لهـذا الدِّينِ قد صرِعت
    ولم يـخشوا حِمى الطّاغوتِ
    ونـحن اليوم لا نرضى
    نطـيـع الله لا نـعصِي
    فـعـهد الكـفرِ قد ولى

    ***

    আল্লাহর রাসূল আমাদেরকে ঈমানের দরস দিয়েছেন।

    কাফেরদেরে পক্ষ থেকে কত কষ্ট সহ্য করেছেন, তারপরও দুর্বল হয়ে যাননি, ভেঙ্গে পড়েননি।

    ঈমানের অনেক সাহায্যকারী রয়েছে, তারাও কষ্ট সহ্য করেছে, যেভাবে তিনি সহ্য করেছেন।

    তারা কাষ্ঠ বহন করেছে, তারপরও শত্রুদের বশ্যতা স্বীকার করেনি।

    ইসলামের অনেক উৎসর্গকারীরা দ্বীনের জন্য শহীদ হয়েছেন।

    তাগুতের দাপটকে ভয় পাননি, তাদের রাজত্বে সন্তুষ্টও ছিলেন না।

    আজো আমরা গাইরে দ্বীনকে মানদণ্ড মানতে রাজি নই।

    আমরা আল্লাহর ইতা’আত করি, তাঁর অবাধ্যতা করি না। নিহত হলেও সুসংবাদ গ্রহণ করি।

    কুফুরীকাল পিছুটান দিয়েছে, সাহয্যের দিন এসে গেছে।


    اللّهمّ أصلِح لنا ديننا الذي هو عِصمة أمرِنا، وأصلِح لنا دنيانا التي فيها معاشنا، وأصلِح لنا آخِرتنا التي إليها معادنا، واجعلِ الحياة زيادة لنا في كلِّ خير، واجعل الموت راحة لنا مِن كلِّ شر.

    ربّنا اغفِر لنا.. ولِوالِدِينا.. ولمن له حقّ الدعاءِ علينا.. ولسائِرِ المسلمِين.

    হে আল্লাহ! আমাদের দ্বীনকে বিশুদ্ধ করে দিন, যা আমাদের আশ্রয়। আমাদের দুনিয়াকে সংশোধন করে দিন, যেখানে রয়েছে আমাদের জীবনব্যবস্থা। আমাদের জন্য আখেরাতকে কল্যানময় করুন, যা আমাদের প্রত্যাবর্তণস্থল। প্রত্যেক ভাল কাজে আমাদের হায়াতকে বাড়িয়ে দিন। সব ধরণের মন্দ থেকে রক্ষা করে আমাদের মৃত্যুকে শান্তিময় করুন।

    হে আমাদের প্রভূ! আমাদেরকে, আমাদের পিতা-মাতাকে, আমাদের উপর যাদের দোয়ার হক রয়েছে এবং সকল মুসলমানকে ক্ষমা করে দিন।

    والله غالِب على أمرِهِ ولكنّ أكثر الناسِ لا يعلمون

    وآخر دعوانا أنِ الحمد للهِ ربِّ العالمِين.

    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

    Comment


    • #3
      আলহামদু লিল্লাহ বার্তাটি টেলিগ্রামে আরব ভাইদের বিভিন্ন চ্যানেলে পোস্ট করা হয়েছে দেখলাম। আমাদের ভাইয়েরাও খুব প্রচার করুন আন নাসরের বার্তাগুলো।

      Comment


      • #4
        জাজাকুমুল্লাহ ।

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ

          Comment

          Working...
          X