দাওয়াতের ক্ষেত্রে - ইনশাআল্লাহ - কার্যকরি কিছু পদ্ধতি ৷৷ নতুন ভাবনা-১ ৷৷
بسم الله الرحمن الرحيم
" وما علينا الا البلاغ"
"আমাদের দায়িত্ব শুধু পরিপূর্ণরুপে পৌছে দেয়া ৷
প্রিয় ভাইগণ..!! আখেরী নবীর উম্মত হিসেবে নিজে দ্বীন বুঝার পর অন্যের কাছেও দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়া আমাদের সকলের উপরই একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ৷ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন " بلغوا عني ولو ايه " আমার পক্ষ হতে একটি বাণী হলেও পৌছে দাও"
আমাদের মধ্যে অনেক ভাই এমন রয়েছে যারা অন্যকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার ইচ্ছা রাখে ৷ কিন্তু "কীভাবে তা সম্ভব হতে পারে?" এই চিন্তায় অনেক সময় পার হয়ে যায়, এবং চিন্তার এই জটিলতা পরবর্তীতে অনেকের ক্ষেত্রে দাওয়াতের কাজে বাধার কারণ হয়ে দাড়ায় ৷ তাই আমি ইচ্ছা করছি এমন কিছু পদ্ধতি ও কৌশল বর্ণনা করার, দাওয়াতের ক্ষেত্রে যা আমাদের জন্য সহায়ক হবে এবং চিন্তার জটিলতাকে দূর করবে ৷ ইনশাআল্লাহ ৷
এখন আমরা মূল আলোচনার দিকে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ ৷
সাধারণত দাওয়াতের দুইটি পদ্ধতি: ১ - সাধারণ দাওয়াত - নির্দিষ্ট কোন এলাকা বা কোন একটি দেশ বা পৃথিবীর সমস্ত মানুষ কে উদ্দেশ্য আ'ম ভাবে কোন কাজ করা ৷
২ - বিশেষ দাওয়াত - যে ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি কে নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য পূর্ণ করার জন্য প্রস্তুত করা হয় ৷
আমার সাধ্য অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে একাধিক পর্বে প্রত্যেকটা বিষয়ে কিছু আলোকপাত করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ ৷
সাধারণ দাওয়াত :
যেখানে সকল শ্রেণীর মানুষকে উদ্দেশ্য করে কাজ করা হবে ৷
# # প্রথম পর্ব ৷
21,8,2018 ইং
একটি এলাকা বা একটি সমাজকে সামনে রেখে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারি :
১# মাকতাবা, তথা লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা ৷
২# মাসিক ইসলামী পত্রিকা বিতরণ কর্মসূচী ৷
৩# বিশেষ সময়গুলোতে শরয়ী মাসআলা - মাসায়েল সম্বলিত লিফলেট বিতরণ ৷
৪# এলাকার বিভিন্ন দোকানগুলোতে ইসলামী সংগীত - সর্টফিল্ম - ওয়াজ - তেলাওয়াত - ও অন্যান্য ইসলামী প্রোগ্রামের ভিডিও সম্বলিত মেমরি কার্ড বিতরণ ৷
৫# কোন একজন হাক্কানী আলেম দাওয়াত করে দল ও মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে মহল্লার মসজিদে মাসিক এসলাহি মজলিসে আয়োজন করা ৷
★ এবার শিরোনামগুলির সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষন ৷
১# মাকতাবা তথা লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা ৷
এটির জন্য একবারে খুব বড় কোন বাজেট কিংবা অনেক টাকা পয়সার কোনো প্রয়োজন নেই ৷ বরং আপনি আপনার বাড়িতে নির্দিষ্ট একটি রুম কিংবা শুধুমাত্র একটা আলমারিও নির্বাচন করতে পারেন ৷ এরপর প্রয়োজন একটি স্পাত কঠিন নিয়তের, তা হলো- যে করেই হোক প্রতি সাপ্তাহে অন্তত একটি করে কিতাব সংগ্রহ ৷ এভাবে কয়েক মাস যেতেই বুঝতে পারবেন আপনার মাকতাবা আপনার মনকে উৎফুল্ল করে তুলছে, ইনশাআল্লাহ ৷
* এরপর প্রথমে এলাকার যুবকদের থেকে এক এক দিন এক এক জন করে দাওয়াত করে আপনার সংগ্রহের কিতাবগুলো দেখান - এখানে হালকা কোন নাস্তা-পানিও হতে পারে - এবং তাদের কে কিতাব বিশেষ গুরুত্ব বুঝিয়ে তা অধ্যায়ন করতে উদ্বুদ্ধ করুন ৷ এভাবে কিছু যুবক যখন নিয়োমিত কিতাব পড়তে শুরু করবে তখন নিজেরাই সম্মিলিতভাবে মাকতাবার জন্য ছোট কোন ফান্ড তৈরী করুন ৷ অতপর কিতাব বিশেষ প্রশ্ন-উত্তর তৈরী করে মাসিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারেন, যেখানে পুরষ্কার হিসেবে ছোট কোন কিতাব থাকতে পারে ৷ এভাবে নিজ এলাকায় ইলমের আলো ছরিয়ে দিন এবং ইলম চর্চায় যুবকদেরকে উদ্বুদ্ধ করে তুলুন ৷
২# মাসিক ইসলামী পত্রিকা ৷
এলাকার বন্ধু বান্ধব এবং তাদের মাধ্যমে তাদের পরিবারগুলোতে মাসিক ইসলামী পত্রিকা বিতরণ করা ৷
মহিলাদের জন্য আলাদা কোন পত্রিকাও হতে পারে, যেমন "আদর্শ নারী" - "আল জান্নাত" এছারাও ভালো অন্য কোন পত্রিকা হতে পারে ৷
- মনে রাখতে হবে - এগুলো পরিপূর্ণ আদর্শ পত্রিকা না হলেও প্রাথমিক ভাবে চলতে পারে -
তবে যদি নিরাপত্তার সাথে সম্ভব হয় তাহলে বিভিন্ন জিহাদী মিডিয়া থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিনগুলোই সবচেয় ভালো ৷
৩# বিশেষ সময়গুলোতে শরয়ী মাসআলা - মাসায়েল সম্বলিত লিফলেট বিতরণ ৷
একটি বছর ধরে হিসাব করলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের আমলি মৌসুম আসে যেমন রমজান,শবে কদর,আশুরা,হজ্ব,কোরবানি,দুই ঈদ ইত্যাদি ৷ এই সময়গুলোতে এই বিষয় সংক্রান্ত শরয়ী বিধিবিধান এবং এই সময় গুলো আমাদের সমাজে প্রচলিত অপসাংস্কৃতি,বিদআত,গান বাজনা ও বিভিন্ন ফিতনার ব্যাপারে সতর্কতামূলক নসিহা সম্বলিত ১/২ পৃষ্ঠার লিফলেট বিতরণ করা ৷ এছারাও একটু বড় আকারে পোষ্টার সদৃশ্য মানুষের সমাগমস্থল যেমন - দোকান, রাস্তার মোর ইত্যাতি স্থানে টানিয়ে দেয়া ৷
বি.দ্রো: মাকতাবা'র কিতাব সংগ্রহের তালিকা ও লিফলেট অবশ্যই কোন আলেম ভাই থেকে সম্পাদনা করে নিতে হবে ৷
৪# এলাকার বিভিন্ন দোকানগুলোতে ইসলামী সংগিত - সর্টফিল্ম - ওয়াজ - তেলাওয়াত - ও অন্যান্য ইসলামী প্রোগ্রামের ভিডিও সম্বলিত মেমরি কার্ড বিতরণ ৷
গ্রাম কিংবা শহর, বিভিন্ন দোকানগুলোতে টেলিভিশন চালানো হয় শুধুমাত্র এই উদ্দেশ্যেই যে মানুষ যেন সব সময় জমে থাকে, কিংবা নিছক সময় কাটানোর জন্যই ৷
তাই যদি তাদেরকে ইসলামী সংগীত, ইসলামী শট ফিল্ম, বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর ওয়াজ মাহফিল, শেইখ তামিম আল আদনানী'র ভিডিও লেকচার সমূহের মত ইসলামী ডকুমেন্টে দেয়া হয় তাহলে আশা করি তারা অানন্দের সাথেই তা গ্রহণ করবে ৷
আর এতে করে মানুষ গুনাহ থেকে তো বাঁচবেই পাশাপাশি অনেক সওয়াব লাভ করতে পারবে ৷ যার একটি অংশ আপনিও পাবেন, ইনশাল্লাহ ৷
৫# কোন একজন হাক্কানী আলেম দাওয়াত করে দল ও মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে মহল্লার মসজিদে মাসিক এসলাহি মজলিসে আয়োজন করা ৷
আমাদের দেশে শুধুমাত্র একটি মৌসুমেই ব্যাপকভাবে ওয়াজ-নসিহত হয়ে থাকে এবং তাও আসলে অতটা গুরুত্বের সাথে হয়ে ওঠে না যতটা গুরুত্বের সাথে হওয়া দরকার ৷ আর নির্দিষ্ট সেই মৌসুম ছাড়া বছরের বেশির ভাগ সময় মানুষ এলেম ও আলেমদের থেকে অনেক দূরেই থেকে যায় ৷ তাই আমাদের উচিত মহল্লার যুবকদের মাধ্যমে একটি সংগঠন তৈরী করে নিয়মিত প্রতিমাসে মহল্লার মসজিদে ইসলাহী মজলিসের আয়োজন করা, যেখানে দ্বীনের মৌলিক বিষয় সহ ধারাবাহিক ভাবে বর্তমান যামানার প্রতিটি বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে ৷ আর এক্ষেত্রে একজন বক্তা হিসেবে বিজ্ঞ কোন আলেমকে নির্বাচন করতে হবে ৷ একেক মাসে একেক জন - এভাবেও হতে পারে ৷
আর এক্ষেত্রে দাওয়াত ও প্রচারনার মাধ্যমে এলাকার জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ কে বাস্তবায়ন করতে পারলে আশা করি অনেক ফায়দা হবে, ইনশাআল্লাহ ৷
ওয়াস সালাম ৷
চলবে ইনশাআল্লাহ ... ...
بسم الله الرحمن الرحيم
" وما علينا الا البلاغ"
"আমাদের দায়িত্ব শুধু পরিপূর্ণরুপে পৌছে দেয়া ৷
প্রিয় ভাইগণ..!! আখেরী নবীর উম্মত হিসেবে নিজে দ্বীন বুঝার পর অন্যের কাছেও দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়া আমাদের সকলের উপরই একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ৷ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন " بلغوا عني ولو ايه " আমার পক্ষ হতে একটি বাণী হলেও পৌছে দাও"
আমাদের মধ্যে অনেক ভাই এমন রয়েছে যারা অন্যকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার ইচ্ছা রাখে ৷ কিন্তু "কীভাবে তা সম্ভব হতে পারে?" এই চিন্তায় অনেক সময় পার হয়ে যায়, এবং চিন্তার এই জটিলতা পরবর্তীতে অনেকের ক্ষেত্রে দাওয়াতের কাজে বাধার কারণ হয়ে দাড়ায় ৷ তাই আমি ইচ্ছা করছি এমন কিছু পদ্ধতি ও কৌশল বর্ণনা করার, দাওয়াতের ক্ষেত্রে যা আমাদের জন্য সহায়ক হবে এবং চিন্তার জটিলতাকে দূর করবে ৷ ইনশাআল্লাহ ৷
এখন আমরা মূল আলোচনার দিকে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ ৷
সাধারণত দাওয়াতের দুইটি পদ্ধতি: ১ - সাধারণ দাওয়াত - নির্দিষ্ট কোন এলাকা বা কোন একটি দেশ বা পৃথিবীর সমস্ত মানুষ কে উদ্দেশ্য আ'ম ভাবে কোন কাজ করা ৷
২ - বিশেষ দাওয়াত - যে ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি কে নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য পূর্ণ করার জন্য প্রস্তুত করা হয় ৷
আমার সাধ্য অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে একাধিক পর্বে প্রত্যেকটা বিষয়ে কিছু আলোকপাত করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ ৷
সাধারণ দাওয়াত :
যেখানে সকল শ্রেণীর মানুষকে উদ্দেশ্য করে কাজ করা হবে ৷
# # প্রথম পর্ব ৷
21,8,2018 ইং
একটি এলাকা বা একটি সমাজকে সামনে রেখে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারি :
১# মাকতাবা, তথা লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা ৷
২# মাসিক ইসলামী পত্রিকা বিতরণ কর্মসূচী ৷
৩# বিশেষ সময়গুলোতে শরয়ী মাসআলা - মাসায়েল সম্বলিত লিফলেট বিতরণ ৷
৪# এলাকার বিভিন্ন দোকানগুলোতে ইসলামী সংগীত - সর্টফিল্ম - ওয়াজ - তেলাওয়াত - ও অন্যান্য ইসলামী প্রোগ্রামের ভিডিও সম্বলিত মেমরি কার্ড বিতরণ ৷
৫# কোন একজন হাক্কানী আলেম দাওয়াত করে দল ও মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে মহল্লার মসজিদে মাসিক এসলাহি মজলিসে আয়োজন করা ৷
★ এবার শিরোনামগুলির সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষন ৷
১# মাকতাবা তথা লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা ৷
এটির জন্য একবারে খুব বড় কোন বাজেট কিংবা অনেক টাকা পয়সার কোনো প্রয়োজন নেই ৷ বরং আপনি আপনার বাড়িতে নির্দিষ্ট একটি রুম কিংবা শুধুমাত্র একটা আলমারিও নির্বাচন করতে পারেন ৷ এরপর প্রয়োজন একটি স্পাত কঠিন নিয়তের, তা হলো- যে করেই হোক প্রতি সাপ্তাহে অন্তত একটি করে কিতাব সংগ্রহ ৷ এভাবে কয়েক মাস যেতেই বুঝতে পারবেন আপনার মাকতাবা আপনার মনকে উৎফুল্ল করে তুলছে, ইনশাআল্লাহ ৷
* এরপর প্রথমে এলাকার যুবকদের থেকে এক এক দিন এক এক জন করে দাওয়াত করে আপনার সংগ্রহের কিতাবগুলো দেখান - এখানে হালকা কোন নাস্তা-পানিও হতে পারে - এবং তাদের কে কিতাব বিশেষ গুরুত্ব বুঝিয়ে তা অধ্যায়ন করতে উদ্বুদ্ধ করুন ৷ এভাবে কিছু যুবক যখন নিয়োমিত কিতাব পড়তে শুরু করবে তখন নিজেরাই সম্মিলিতভাবে মাকতাবার জন্য ছোট কোন ফান্ড তৈরী করুন ৷ অতপর কিতাব বিশেষ প্রশ্ন-উত্তর তৈরী করে মাসিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারেন, যেখানে পুরষ্কার হিসেবে ছোট কোন কিতাব থাকতে পারে ৷ এভাবে নিজ এলাকায় ইলমের আলো ছরিয়ে দিন এবং ইলম চর্চায় যুবকদেরকে উদ্বুদ্ধ করে তুলুন ৷
২# মাসিক ইসলামী পত্রিকা ৷
এলাকার বন্ধু বান্ধব এবং তাদের মাধ্যমে তাদের পরিবারগুলোতে মাসিক ইসলামী পত্রিকা বিতরণ করা ৷
মহিলাদের জন্য আলাদা কোন পত্রিকাও হতে পারে, যেমন "আদর্শ নারী" - "আল জান্নাত" এছারাও ভালো অন্য কোন পত্রিকা হতে পারে ৷
- মনে রাখতে হবে - এগুলো পরিপূর্ণ আদর্শ পত্রিকা না হলেও প্রাথমিক ভাবে চলতে পারে -
তবে যদি নিরাপত্তার সাথে সম্ভব হয় তাহলে বিভিন্ন জিহাদী মিডিয়া থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিনগুলোই সবচেয় ভালো ৷
৩# বিশেষ সময়গুলোতে শরয়ী মাসআলা - মাসায়েল সম্বলিত লিফলেট বিতরণ ৷
একটি বছর ধরে হিসাব করলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের আমলি মৌসুম আসে যেমন রমজান,শবে কদর,আশুরা,হজ্ব,কোরবানি,দুই ঈদ ইত্যাদি ৷ এই সময়গুলোতে এই বিষয় সংক্রান্ত শরয়ী বিধিবিধান এবং এই সময় গুলো আমাদের সমাজে প্রচলিত অপসাংস্কৃতি,বিদআত,গান বাজনা ও বিভিন্ন ফিতনার ব্যাপারে সতর্কতামূলক নসিহা সম্বলিত ১/২ পৃষ্ঠার লিফলেট বিতরণ করা ৷ এছারাও একটু বড় আকারে পোষ্টার সদৃশ্য মানুষের সমাগমস্থল যেমন - দোকান, রাস্তার মোর ইত্যাতি স্থানে টানিয়ে দেয়া ৷
বি.দ্রো: মাকতাবা'র কিতাব সংগ্রহের তালিকা ও লিফলেট অবশ্যই কোন আলেম ভাই থেকে সম্পাদনা করে নিতে হবে ৷
৪# এলাকার বিভিন্ন দোকানগুলোতে ইসলামী সংগিত - সর্টফিল্ম - ওয়াজ - তেলাওয়াত - ও অন্যান্য ইসলামী প্রোগ্রামের ভিডিও সম্বলিত মেমরি কার্ড বিতরণ ৷
গ্রাম কিংবা শহর, বিভিন্ন দোকানগুলোতে টেলিভিশন চালানো হয় শুধুমাত্র এই উদ্দেশ্যেই যে মানুষ যেন সব সময় জমে থাকে, কিংবা নিছক সময় কাটানোর জন্যই ৷
তাই যদি তাদেরকে ইসলামী সংগীত, ইসলামী শট ফিল্ম, বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর ওয়াজ মাহফিল, শেইখ তামিম আল আদনানী'র ভিডিও লেকচার সমূহের মত ইসলামী ডকুমেন্টে দেয়া হয় তাহলে আশা করি তারা অানন্দের সাথেই তা গ্রহণ করবে ৷
আর এতে করে মানুষ গুনাহ থেকে তো বাঁচবেই পাশাপাশি অনেক সওয়াব লাভ করতে পারবে ৷ যার একটি অংশ আপনিও পাবেন, ইনশাল্লাহ ৷
৫# কোন একজন হাক্কানী আলেম দাওয়াত করে দল ও মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে মহল্লার মসজিদে মাসিক এসলাহি মজলিসে আয়োজন করা ৷
আমাদের দেশে শুধুমাত্র একটি মৌসুমেই ব্যাপকভাবে ওয়াজ-নসিহত হয়ে থাকে এবং তাও আসলে অতটা গুরুত্বের সাথে হয়ে ওঠে না যতটা গুরুত্বের সাথে হওয়া দরকার ৷ আর নির্দিষ্ট সেই মৌসুম ছাড়া বছরের বেশির ভাগ সময় মানুষ এলেম ও আলেমদের থেকে অনেক দূরেই থেকে যায় ৷ তাই আমাদের উচিত মহল্লার যুবকদের মাধ্যমে একটি সংগঠন তৈরী করে নিয়মিত প্রতিমাসে মহল্লার মসজিদে ইসলাহী মজলিসের আয়োজন করা, যেখানে দ্বীনের মৌলিক বিষয় সহ ধারাবাহিক ভাবে বর্তমান যামানার প্রতিটি বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে ৷ আর এক্ষেত্রে একজন বক্তা হিসেবে বিজ্ঞ কোন আলেমকে নির্বাচন করতে হবে ৷ একেক মাসে একেক জন - এভাবেও হতে পারে ৷
আর এক্ষেত্রে দাওয়াত ও প্রচারনার মাধ্যমে এলাকার জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ কে বাস্তবায়ন করতে পারলে আশা করি অনেক ফায়দা হবে, ইনশাআল্লাহ ৷
ওয়াস সালাম ৷
চলবে ইনশাআল্লাহ ... ...
Comment