৭-৮শ’ লোকের কথিত মহাসমাবেশে ইমরানের দম্ভোক্তি : শাহবাগ শান্ত হবে হেফাজতে ইসলামের রক্ত দিয়ে
লংমার্চ ও মহাসমাবেশ শেষে রাজধানীর মতিঝিল থেকে ফেরার পথে রমনা পার্ক এলাকায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা গতকাল বিকালে শাহবাগি, ছাত্রলীগ ক্যাডার ও পুলিশের আক্রমণের শিকার হন। হেফাজতে ইসলামের নিরস্ত্র কর্মীদের ওপর শাহবাগি, ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার ঘটনায় আহত হন অর্ধশত কর্মী। লংমার্চ শেষে ঘরে ফেরার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে হেফাজতের কর্মীরা মতিঝিল থেকে রাজধানীর রমনা পার্ক এলাকা দিয়ে আসছিলেন। তারা রমনায় পৌঁছানোর পরই হামলার কবলে পড়েন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও অস্ত্র হাতে হেফাজত কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশও শাহবাগি এবং ছাত্রলীগ ক্যাডারদের পক্ষ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলে পড়ে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয় বলেও জানা যায়। তবে এ বিষয়ে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলার সময় রমনা থানা পুলিশ হেফাজতের দশ কর্মীকে আটক করে। গত ২৬ মার্চ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শাহবাগিদের কথিত আন্দোলনে অংশ না নিলেও গতকাল ছাত্রলীগ আবার শাহবাগিদের সঙ্গে হামলায় অংশ নেয়। এছাড়া গতকাল দুপুরের পর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাহবাগে লাঠিসোটা হাতে উগ্র মিছিল করতে দেখা যায়। এতে গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিকালে হেফাজতের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার পর কথিত শাহবাগি আন্দোলনের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার ঘোষণা দেন, ‘শাহবাগ শান্ত হবে হেফাজতে ইসলামের রক্ত দিয়ে।’ ইমরান ইসলামপন্থীদের প্রতিহত করতে সবাইকে গজারি লাঠি হাতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। তবে হামলার পর শাহবাগিরা দাবি করে, ‘শাহবাগ ভাঙতে হেফাজতে ইসলামের মিছিল আসছে, এই খবরে শনিবার বিকালে তাদের আমরা প্রতিহত করি।’
গতকাল অনুষ্ঠিত শাহবাগের পূর্বঘোষিত কথিত সমাবেশে ছাত্রলীগ ও বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী মিলিয়ে মাত্র ৬০০ থেকে ৭০০ লোকের সমাবেশ ঘটে। হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ওপর হামলা করতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখে শাহবাগিরা। হেফাজতের কর্মীরা শাহবাগে আক্রমণ করতে আসছেন, গতকাল সকাল থেকেই এমন গুজব ছড়াতে থাকে শাহবাগিরা। সকালে ও দুপুরে কয়েকবার শাহবাগিরা লাঠিসোটা হাতে মত্স্য ভবন এলাকার দিকে, এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে লাঠিসোটা-অস্ত্র নিয়ে শাহবাগিরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে এগিয়ে যায়। বিকালে শাহবাগিরা আবার গুজব ছড়িয়ে দেয়, মত্স্যভবনের সামনে দিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হেফাজতের মিছিল শাহবাগের দিকে আসছে। হেফাজতের কর্মীরা রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর ঢুকে হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। গুজব ছড়িয়ে শাহবাগিরা বিকালে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে রমনা পার্কের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগ ও শাহবাগিদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষকও লাঠিহাতে যোগ দেন। একই সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল খবর দেয়, দোয়েল চত্বরের দিক থেকেও হেফাজতের কর্মীরা এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে। হোটেল রূপসী বাংলার মোড় দিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে। শাহবাগি ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আক্রমণ করতে গেলে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরাও তাদের ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ মিলে হেফাজতের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে। হেফাজতের কর্মীরা এগিয়ে এলে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকালে সমাবেশ শেষে হেফাজতের কর্মীরা মতিঝিল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিক হয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। তারা রমনা পার্কের ভেতর দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় শাহবাগি ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও তাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার নেতাকর্মী রাজধানীর রমনা পার্কে প্রবেশ করে শাহবাগের দিকে এগুতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ-ছাত্রলীগ ও হেফাজতের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৫০ জন আহত ও শিশুপার্কের কাউন্টারম্যানসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে হেফাজতের এক কর্মীকে ছাত্রলীগ কর্মীরা ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। রমনা জোনের পুলিশের উপকমিশনার মারুফ হাসান পাঁচজনকে আটক করার খবর নিশ্চিত করেছেন।
লংমার্চ ও মহাসমাবেশ শেষে রাজধানীর মতিঝিল থেকে ফেরার পথে রমনা পার্ক এলাকায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা গতকাল বিকালে শাহবাগি, ছাত্রলীগ ক্যাডার ও পুলিশের আক্রমণের শিকার হন। হেফাজতে ইসলামের নিরস্ত্র কর্মীদের ওপর শাহবাগি, ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার ঘটনায় আহত হন অর্ধশত কর্মী। লংমার্চ শেষে ঘরে ফেরার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে হেফাজতের কর্মীরা মতিঝিল থেকে রাজধানীর রমনা পার্ক এলাকা দিয়ে আসছিলেন। তারা রমনায় পৌঁছানোর পরই হামলার কবলে পড়েন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও অস্ত্র হাতে হেফাজত কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশও শাহবাগি এবং ছাত্রলীগ ক্যাডারদের পক্ষ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলে পড়ে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয় বলেও জানা যায়। তবে এ বিষয়ে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলার সময় রমনা থানা পুলিশ হেফাজতের দশ কর্মীকে আটক করে। গত ২৬ মার্চ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শাহবাগিদের কথিত আন্দোলনে অংশ না নিলেও গতকাল ছাত্রলীগ আবার শাহবাগিদের সঙ্গে হামলায় অংশ নেয়। এছাড়া গতকাল দুপুরের পর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাহবাগে লাঠিসোটা হাতে উগ্র মিছিল করতে দেখা যায়। এতে গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিকালে হেফাজতের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার পর কথিত শাহবাগি আন্দোলনের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার ঘোষণা দেন, ‘শাহবাগ শান্ত হবে হেফাজতে ইসলামের রক্ত দিয়ে।’ ইমরান ইসলামপন্থীদের প্রতিহত করতে সবাইকে গজারি লাঠি হাতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। তবে হামলার পর শাহবাগিরা দাবি করে, ‘শাহবাগ ভাঙতে হেফাজতে ইসলামের মিছিল আসছে, এই খবরে শনিবার বিকালে তাদের আমরা প্রতিহত করি।’
গতকাল অনুষ্ঠিত শাহবাগের পূর্বঘোষিত কথিত সমাবেশে ছাত্রলীগ ও বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী মিলিয়ে মাত্র ৬০০ থেকে ৭০০ লোকের সমাবেশ ঘটে। হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ওপর হামলা করতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখে শাহবাগিরা। হেফাজতের কর্মীরা শাহবাগে আক্রমণ করতে আসছেন, গতকাল সকাল থেকেই এমন গুজব ছড়াতে থাকে শাহবাগিরা। সকালে ও দুপুরে কয়েকবার শাহবাগিরা লাঠিসোটা হাতে মত্স্য ভবন এলাকার দিকে, এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে লাঠিসোটা-অস্ত্র নিয়ে শাহবাগিরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে এগিয়ে যায়। বিকালে শাহবাগিরা আবার গুজব ছড়িয়ে দেয়, মত্স্যভবনের সামনে দিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হেফাজতের মিছিল শাহবাগের দিকে আসছে। হেফাজতের কর্মীরা রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর ঢুকে হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। গুজব ছড়িয়ে শাহবাগিরা বিকালে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে রমনা পার্কের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগ ও শাহবাগিদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষকও লাঠিহাতে যোগ দেন। একই সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল খবর দেয়, দোয়েল চত্বরের দিক থেকেও হেফাজতের কর্মীরা এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে। হোটেল রূপসী বাংলার মোড় দিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে। শাহবাগি ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আক্রমণ করতে গেলে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরাও তাদের ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ মিলে হেফাজতের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে। হেফাজতের কর্মীরা এগিয়ে এলে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকালে সমাবেশ শেষে হেফাজতের কর্মীরা মতিঝিল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিক হয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। তারা রমনা পার্কের ভেতর দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় শাহবাগি ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও তাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার নেতাকর্মী রাজধানীর রমনা পার্কে প্রবেশ করে শাহবাগের দিকে এগুতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ-ছাত্রলীগ ও হেফাজতের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৫০ জন আহত ও শিশুপার্কের কাউন্টারম্যানসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে হেফাজতের এক কর্মীকে ছাত্রলীগ কর্মীরা ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। রমনা জোনের পুলিশের উপকমিশনার মারুফ হাসান পাঁচজনকে আটক করার খবর নিশ্চিত করেছেন।
Comment