ধর্ষণের একটি রিপোর্ট
বাংলাদেশ
২০১৭ সালে ধর্ষিত হয় ৮১৮ নারী -আসকবাংলাদেশ
উল্লেখ্য গত ২০১৬ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৫৯। এ বছর ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৭ নারী এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১১ নারী। মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় বিচার না পেয়ে গত ২৯ এপ্রিল গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন হযরত আলী ও তাঁর মেয়ে আয়েশা আক্তার। ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে পরিবহন শ্রমিকরা চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে আইডিয়াল ল› কলেজের শিক্ষার্থী রূপা হককে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় তাঁকে। ১৭ জুলাই এক শিক্ষার্থীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহŸায়ক তুফান সরকার। এরপর ২৮ জুলাই ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে ঐ শিক্ষার্থী ও তার মাকে বেধড়ক পেটানোর পর চুল কেটে দেয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পুলিশের এসআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
২০১৭ সালে দেশে ৫৯৩ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ৪৪৬ শিশু। অর্থাৎ এক বছরে শিশু ধর্ষনের হার বেড়েছে শতকরা ৩৩ ভাগ।
গত বছর গণধর্ষনের শিকার হয়েছে ৭০ জন শিশু। কিন্তু এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে গণধর্ষনের শিকার হয়েছিল ৬৮ জন শিশু। একইভাবে ধর্ষনের পর হত্যার পরিমাণও বেড়েছে ২০১৭ সালে। এ বছর ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে ২২ জন শিশু। কিন্তু তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে এ সংখ্যা ছিল ২১।
ভারত
ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৯২ নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে
ভারতের জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর (এনসিআরবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায় যে, ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৯২ নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতেই শিকার হচ্ছে গড়ে ৪ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ২০১৩ সালে ৩৩ হাজার ৭০৭টি ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০১২ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৯২৩টি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ২০১৩ সালে ৩৩ হাজার ৭০৭টি ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০১২ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৯২৩টি। গত বছর নথিভুক্ত হওয়া ধর্ষণের অভিযোগগুলোর মধ্যে ১৫ হাজার ৫৫৬ নির্যাতিতার বয়স ১৮ থেকে ৩০-এর মধ্যে। এদিকে দিল্লিতে ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে ধর্ষণের ঘটনা দ্বিগুণ ।
ভারতে একবছরে ২০ হাজার কন্যাশিশুকে ধর্ষণ
অমিতাভ ভট্টশালী বিবিসি বাংলা, কলকাতা
• ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে ২০১৬ সালে প্রায় কুড়ি হাজার শিশু ধর্ষিত হয়েছে, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে আরও প্রায় ১২,০০০ শিশু।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আট মাসের একটি কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। তার আগে কোথাও তিন বছর, কোথাও ১০ বা ১১ বছর বয়সী কন্যাশিশুদের ধর্ষণের খবর উঠে এসেছে সেদেশের সংবাদ শিরোনামে।আর শিরোনামে না আসা শিশু ধর্ষণের সংখ্যাটা আরও বহুগুণ বেশি।
প্রায় ১০ বছর আগে প্রকাশিত একমাত্র পরিসংখ্যানে দেখা গেছে মোট যত শিশুর ওপরে যৌন হেনস্থা হয়, তার অর্ধেকেরও বেশি ছেলেশিশু বা কিশোর। কিন্তু সমাজকর্মীরা বলছেন, ভারতে শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের প্রকাশিত পরিসংখ্যানটি মোট ঘটনার কিছু অংশমাত্র।তারই পূর্বাঞ্চলীয় ডিরেক্টর অতীন্দ্রনাথ দাস ব্যাখ্যা করছিলেন, "শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে গত প্রায় এক দশক ধরে। কিন্তু গত তিনবছরে সংখ্যাটা লাফিয়ে বেড়েছে। তার অর্থ এই নয় যে এরকম ঘটনা আগে হত না। কিন্তু হঠাৎ করে সংখ্যাটা বেড়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।"
শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার কারণ কী ?
শিশুদের ধর্ষণ বা তাদের ওপরে যৌন নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার কারণ রয়েছে একাধিক।
কেউ বলছেন ইন্টারনেটে পর্ণোগ্রাফি সহজলভ্য হয়ে যাওয়া। কারও মতে বিকৃত যৌন চাহিদা মেটানোর সব থেকে সহজ টার্গেট হয়ে উঠছে শিশুরা, কারণ তারা অরক্ষিত আর তাদের ওপরে কী ঘটছে, সেটা তারা বুঝতে অক্ষম।
এইসব নানা কারণেই শিশু ধর্ষন বা শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
কলকাতায় যৌন হেনস্থার ব্যাপারে শিশুদের সচেতন করে তোলার কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দীক্ষা। তার প্রধান পারমিতা ব্যানার্জীর কথায়, "অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে পিডোফিলিয়া নিশ্চিতভাবেই মানসিক বিকৃতি। কিন্তু বাসে-ট্রামে মেয়েদের শরীর ছোঁয়ার মতো যেসব ঘটনা ঘটে, সেগুলো কিন্তু ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য। এর বাইরে একটা কারণ হল ছোটবেলায় যেসব পুরুষ হেনস্থার শিকার হয়েছেন কোনও না কোনও ভাবে, তাদের একটা অংশও কিন্তু পরবর্তীতে নিজেরা হেনস্থা করছেন মেয়েদের।"
ভারতে প্রতিদিন ২৪টি শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে!
বার্তাবাংলা রিপোর্ট ::
ভারতে নাবালিকা ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তা লজ্জায় গোটা জাতির মাথা হেঁট হবার পক্ষে যথেষ্ট৷ গত ৬ বছরে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী শিশুদের ওপর যৌন নিগ্রহের ঘটনা বেড়েছে ৩০০ শতাংশ৷সম্প্রতি রাজধানী দিল্লিতে পাঁচ বছরের একটি শিশু পাশবিক যৌন নির্যাতনের শিকার হলে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঢল নামে৷ অপরাধীকে কঠোরতম শাস্তির দেবার দাবি জানানো হয়৷ জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান তুলে এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস-এর রিপোর্টে বলা হয়, গত দশ বছরে শিশু ও নাবালিকা ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের ৪৮৩৩৮টি ঘটনা ঘটে৷ গত বছর, অর্থাৎ ২০১২ সালেই ঘটেছে শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মোট ৮৫৪১টি ঘটনা৷ তার মানে দৈনিক গড়ে অন্তত ২৪টি শিশু যৌন নিগ্রহের শিকার হচ্ছে৷ এরকম ঘটনা সবথেকে বেশি হয়েছে মিজোরামে৷ এছাড়া, সাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা তো আলাদা৷
Comment