আসসালামু আলাইকুম।
" ইসলাম আমার ধর্ম,ইসলাম আমার জীবন,ইসলাম ই আমার মরণ"
আজকে আমি ইসলাম এবং মুসলিম দের নিয়ে কিছু লিখার ইচ্ছা করেছি।
আজথেকে প্রায় ১৪৫২ বছর পূর্বে পৃথিবীর মাঝবুকে আরবের এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির নিকট ইসলামের দ্বায়ীত্ব অর্পিত হয়। সেই দ্বায়ীত্ব টি ছিল "সৃষ্টিকে তাদের শ্রষ্ঠার প্রতি ফিরিয়ে আনা।" তো সেই সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি হচ্ছেন আমাদের প্রীয় নবী মুহাম্মদ সাঃ যিনি তার পরিচয় এই ভাবে দিয়ে ছেন "আনা ইবনে আব্দুল মুত্বালিব "। তার উপরে যেই দ্বায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল তিনি ধীরেধীরে সেই দায়িত্ব পৃথিবী বাসি কে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এবং এক সময় তার উপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি আদায় ও করেছেন। বিদায় হজ্জের ভাষণে তিনি আল্লাহ কে সাক্ষী রেখে বলেছিলেন আমিকি তোমাদের নিকট আমার দায়িত্ব পৌছেদিয়েছি...!!!??? সকলেই একবাক্যে বকেছিল সেইদিন হ্যা আপনি আপনার দায়িত্ব পৌছে দিয়েছেন। এর কিছুদিন পরে আল্লাহর রাসুল সাঃ ইহধাম ত্যাগ করেন। এবং বিশ্ববাসীর জন্যে রেখেযান " কিতাবাল্লাহ ও সুন্নাতা রাসুলিহ" অর্থাৎ পবিত্র আল-কোরআন ও তার হাদীস সমুহ। " ইসলাম আমার ধর্ম,ইসলাম আমার জীবন,ইসলাম ই আমার মরণ"
আজকে আমি ইসলাম এবং মুসলিম দের নিয়ে কিছু লিখার ইচ্ছা করেছি।
তো রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ওয়াফাতের পরে কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী ফায়সালা হয় যে আল্লাহ তায়ালার এই দ্বীন কে নাবুয়াতের মানহাজেই খিলাফত এরমাধ্যমে পরিচালিত করা হবে। বাচিয়ে রাখা হবে দ্বীন ও শরিয়াহ কে। এ ভাবেই কেটে যায় বেশকিছু দিন। আস্তে আস্তে ইসলামের শত্রু রা ও চাঙ্গা হয়ে উঠে। এবং মুসলিম রা ও তাদের পরিচয় ভুলতে থাকে ধীরেধীরে। এর মাঝে অনেক উত্থান পতন এর সাক্ষি হিসেবে থেকে যায় পৃথিবী। সেই উত্থানপতন এর মাঝে স্পেন,সিন্ধু,ভারতবর্ষ,গোটা আরব এবং ইউরোপ তার জ্বলন্ত প্রমান। আর মুসলমান যে কিভাবে তাদের নিজেদের গৌরবকে ভুলে যাচ্ছে সেটা সে নিজেও বলতে পারবে না। বলতে পারবে না সে কি ছিলো আর কি হচ্ছে।
আজ গোটা বিশ্বের দিকে একটু দৃষ্টি দেয়া যাক। দেখুন আমাদের প্রতিবেশি দেশ মায়ানমারের আরাকান রাজ্যে; দেখুন ভারতের বিভিন্য রাজ্যের দিকে উল্যেখযোগ্যভাবে গুজরাট, জুম্মুকাস্মীর ইত্যাদি আরো প্রদেশ সমুহ। দেখুন সিরিয়ারর দিকে; আহ !!! কি অবস্থা গুতা এলাকার কি অবস্থা সেখানের জনগনের-মুসলিম দের !!! স্বচোখে দেখা ব্যতীত তা বুঝা সম্ভব নয়। আমি আপনাকে বুঝাতে পারবো না, পারবো না দেখাতে কি পরিমানে রক্ত খরণ হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর হৃয়ে । হায় !!! আজতো আমরা কুফফার দের দেওয়া জাতীয়তাবাদ নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে আছি। আমাদের মাঝে নেই আজকে মুসলিম হিসেবে কোন প্রকার টান-অনুভূতি। কারন আমাদের মাঝে প্রচার হয়ে আছে “নিজে বাঁচলে বাপের নাম”। আবার আমাদের মাঝে নেই ধর্মীয় কোন বিভেদ। কে হিন্দু কে মুসলিম। কতিপয় ধর্মের ধ্বজাধারি সুশীল ও দরবারী আলেম গন সাম্যের দোহাই দেখিয়ে স্লোগান তুলেছে “ধর্ম যার যার উৎসব সবার”। কিন্তু ইসলাম কি এমন ছিলো ? বা ইসলাম কি এই শিক্ষা দেয় ? আমরা মুহাম্মাদে আরাবী সাঃ এর উম্মত। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন সাম্যপ্রিতী কাকে বলে। আজ কি আমার কুফফার দের থেকে সাম্য শিখতে হবে ? আমার আল্লাহর দেওয়া সংবিধানে কি নেই কার সাথে কি সাম্যের প্রকাশ করতে হবে ? একজন ডাক্তার হিসেবে রুগীর প্রতি দয়া বা সাম্য হচ্ছে যদি তাঁর সুস্থতার জন্যে একটি অঙ্গ কেটে ফেলতে হয় তাহলে তা কেটে ফেলা। কিন্তু তিনি যদি উলটো সাম্যের কথা বের করে যে, না এই অঙ্গ না কেটে সস্থানে রেখে দেওয়াই উচিৎ তাহলে কি তাকে কেউ ডাক্তার বলবে ? তেমন ই কোন ব্যক্তি যদি ইসলাম বহির্ভুত কোন বিষয় কে সাম্যের নামে বা অন্য যেকোন নামে ইসলামের ভিতরে প্রচার করতে চাইবে তাকে মুসলিম বলা চলবে না। ইসলামি শরিয়াতে তাঁর যেই বিধান রাখা আছে ইনশাআল্লাহ তাই কার্জকর করা হবে।
যাই হোক অন্য বিষয়ে চলে গিয়েছিলাম। কয়টা মুসলিম দেশের কথা বললে আপনার মন প্রশান্ত হবে যে না নিশ্চিত মুসলিমদের আজ বড় দুঃসময়। বাংলাদেশ,ভারত,আফগানিস্তা,কাশ্মির, ইরাক,ইয়ামান,সিরিয়া,ফিলিস্তিন,মালি, ফ্রান্স,চেসনিয়া,বসনিয়া,সোমালিয়া,আরাকান,লেবানন,বেলু চিস্তান আরো কত দেশ। সর্বত্র শুধুই মুসলিম মা-বোন দের আর্তনাদ আহাজারী কানে ভেসে আসে। কিন্তু ইসলামের এই কাল দিনে ইসলামের কতিপয় ধারক বাহক গণরাই ইসলাম কে গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করার বিফল চেষ্টা প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা হয়তো ভুলে যাচ্ছে নিজেদের ঐতিহ্য ও গৌরবে গাঁথা ইতিহাস গুলো। অর্ধ পৃথিবী করেছিলাম শাসন আমরা মুসলিমরাই !!! কিন্তু যুগের মীরজাফর দের কালো চক্রান্তের বিষফল ভোগ করতে হচ্ছে আজ আমাদের। কিন্তু এতো কিছুর পরেও আমাদের ঘুম আর ভাঙ্গেনা। জেগে উঠিনা আমরা আমাদের অলস সময়ের ঘুম থেক। উলটো আরো দুঃখ দূর্দশার নোংড়া চাদর দিয়ে ঢেকে ফেলতে চাচ্ছি আমাদের জাতী সত্বাকে। আজকে আমরা আরবের ঐ পবিত্র ভূমিতেই বেহায়া পনাকে উন্মুক্ত করেদিচ্ছি। ইসলামের পবিত্র প্রান কেন্দ্রতে কালিমা লেপন করছি। বিশ্ব কুফফার মোড়ল দের আশ্রয় স্থলে রুপান্তর করছি পবিত্র ভূমিকে। আর আমরাও সাথে সাথে ভেসে চলছি অজানা অচেনা এক দূর্গম পথে। যেই পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে অনেক মাশুল দিয়ে আসতে হবে। চাইলেই ফিরে আশা সম্ভবপর হবে না।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে আমার জাতী সেই পথে বিশ্ব কুফফার দের সাথে বহুদূর পর্যন্ত চলে গিয়েছে। আজ যখন তাকে বাচাতে কোরআন সুন্নাহের প্রতি ফিরে আশতে বলি তখন সে আমাকে সন্ত্রাসী, উগ্রবাদি, জঙ্গিবাদী বলে গালি দিচ্ছে। কোরআন সুন্নাহ কে তিরস্কার করছে। আল্লাহ রাসুল কে হেয় প্রতিপন্য করছে। সে ভুলেই যাচ্ছে আল্লাহ তা’য়ালা যে তাদের এই উধ্যতার পরিনাম কি ভয়াবহ রেখেছেন। জাতি আজ তাঁর ইতিহাস ছেড়ে দিয়ে কুফফার দের হলিউড বলিঊড নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। কিন্তু নিজেদের উত্তম আদর্শ রাসুল সাঃ কে ভুলেই যাচ্ছে।
“আমার জাতী তবে শোন তোমাকে উদ্দেশ্য করে বলছি !!! তুমি ফিরে এসো; ফিরে এসো তুমি তোমার ঠিকানায়। তুমি আজ ভুল ঠিকানায় শান্তির নীড় খুজে ফিরছো। এই পৃথিবী তোমাকে কিছু ই দিতে পারবে না আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন ছাড়া। মানব রচিত আইনে রয়েছে শুধু অকল্যান। একমাত্র স্রষ্ঠাই জানেন সৃষ্টির জন্যে কোন জিনিষ টি ভালো এবং উপকারি। কোন বিধান টি কেন এবং কিসের জন্যে। যদি তুমি ফিরে না আসো তবে মনে রেখ; আল্লাহ তা’য়ালা অচিরেই তাঁর মননিত এক জাতীকে প্রেরণ করবেন। আর তোমরা তাঁর কিছুই করতে পারবে না।
ওহে ওলামায়ে কেরাম গন !!! আমার আল্লাহ তাঁর রাসুল সাঃ এর উপর অর্পিত সেই দ্বায়ীত্ব আপনাদের উপরে ন্যস্ত করেছেন। কিন্তু আপনারাতো মন পূজায় লিপ্ত হয়ে আছেন। আলহামদুলিল্লাহ এখন ও আল্লাহর দ্বীন কে বিজয়ী রাখার জন্যে আল্লাহর কতিপয় মাকবুল বান্দা রয়েছেন বিনিদ্র ও অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে। তাদের মাঝে রয়েছেন যুগ স্রেষ্ঠ আল্লাহর ওলি ও আলেম গন। রাসুলে আরাবী সাঃ এর ভাষ্যমতে গুরাবাদের জামায়াত। সুতরাং হে আল্লাহর গোলাম মুসলিম ও মু’মীন গন আপনারা ও সামিল হোন গুরাবাদের কাতারে”।
Comment