(1)
المقدمة التمهیدیة لهدم الجاسوسیة
"হাদমুল জয়সুসিয়্যাহ"(গুপ্তচরবৃত্তির বিনাশ শীর্ষক) ডকুমেন্টারির প্রাথমিক পরিচিতি ও ভূমিকা।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
وَقُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا (80) وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا (81)
“আর বলুন, ‘হে আমার রব, আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে । আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে দান কর সাহায্যকারী শক্তি’। এবং বলুন, ‘হক এসেছে এবং বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় বাতিল বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল’।” (সূরা বনী ইসরাঈল: ৮০-৮১)
আলকায়েদা জাজীরাতুল আরব(একিউএপি)শাখার
নিরাপত্তা বিভাগের বিবৃতি
তারিখ: যিলহজ্ব, ১৪৩৯হি.
الحمد لله الذي بنعمته تتم الصالحات، والصلاة والسلام على أشرف خلق الله وعلى آله وصحبه ومن والاه
أما بعد
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর-যার অনুগ্রহে সুসমাপ্ত হয় সকল কল্যাণকর কাজ,দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সকল সৃষ্টির সেরা হযরত মুহাম্মাদ (সা এর প্রতি,এবং তাঁর সাহাবী ও অনুসারীদের প্রতি...
পূর্ণ এক বৎসর নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানের পর আল্লাহ তাআলা জাযিরাতুল আরবের মুজাহিদগণকে সউদি গোয়েন্দা বিভাগের অনুগত (মুজাহিদদের মাঝে ঢুকে পড়া) গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে গ্রেফতার করার তাওফিক দিয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে কেবলই আল্লাহ তাআলার তাওফিকে ও অনুগ্রহে।
ইয়ামানের মুজাহিদদের উপর মার্কিন ড্রোনবিমানের অধিকাংশ হামলার পেছনে এবং তানজীমের অভ্যন্তরে সৃষ্ট অধিকাংশ সমস্যার পেছনে গ্রেফতারকৃত এই গোয়েন্দা সেলটিই দায়ী। এছাড়াও এই সেলটি শত্রুপক্ষের বিমান হামলার পরিকল্পনা ও নীলনকশা বাস্তবায়নের দায়িত্বও পালন করতো।
এই সেলটি শুধু ড্রোনহামলা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ভিকটিমের উপর ইলেকট্রনিক চিপ স্থাপনেই সীমাবদ্ধ থাকতো না, বরং তানজীমের সাথে দুশমনদের কর্মপরিকল্পনার ক্ষেত্রে তাদের উপদেষ্টার ভূমিকাও পালন করতো।
এই সেলের সদস্যরা হল:
১. গোয়েন্দা: ইয়াকুব আলহাজরামি (আসল নাম- খালেদ বিন সালেম।)
২. গোয়েন্দা: আবু উমার আশশিহরি (আসল নাম– উসমান ইবনে আলী আশশিহরি।)
৩. গোয়েন্দা: আবু তুরাব আসসুদানী (আসল নাম– রাশাদ কুরাশী উসমান।)
৪. গোয়েন্দা: আবু আয়েজ আশশারুরী (আসল নাম- জাবনুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল্লাহ্ আশশারুরী।)
৫. গোয়েন্দা: হামযা আশশারুরী (আসল নাম– সালেহ বিন আলী আশশারুরী।)
৬. গোয়েন্দা: আবু আমের আলমক্কী(আসল নাম- আব্দুল্লাহ ইবনে না’আম আসসুলামী।)
৭. গোয়েন্দা: ফারেস আলকাছিমী(আসল নাম- আব্দুররহমান ইবনে মুহাম্মাদ আলকাছিমী।)
পরিশেষে-
গোয়েন্দা সেল অনুসন্ধান, পর্যবেক্ষণ,তদন্ত ও বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা এজেন্টদের গ্রেফতারে নিযুক্ত মুজাহিদ টিমগুলোর সম্মানিত সকল ভাইয়ের প্রতি নিরাপত্তা বিভাগ পূর্ণ কৃতজ্ঞতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে। তদ্রূপ নিরাপত্তা বিভাগ ঐ সকল ভাইদের প্রতি প্রভূত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে, যারা নিরাপত্তা বিভাগের সাথে এই প্রচেষ্টায় শরীক হয়েছেন, এর গোপনীয়তা রক্ষা করেছেন, তাদের সাথে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন এবং এ পথে সীমাহীন কষ্ট বরদাশত করেছেন। আমরা তাদেরকে বলবো- উমর আপনাদের না চিনলেও আপনাদের কোন ক্ষতি নেই, যদি আল্লাহ তাআলা আপনাদের চিনে থাকেন।
وصلى الله و سلم وبارك على نبيننا محمد وعلى آله و صحبه،والحمد لله رب العلمین
নিরাপত্তা বিভাগ, তানজীম আলকায়েদা,
জাযিরাতুল আরব(একিউএপি)
যিলহজ্ব, ১৪৩৯হি. (আগস্ট, ২০১৮ ইং)
[গ্রেফতারকৃত গোয়েন্দাদের পরিচয়,অপরাধের বিবরণ ও জবানবন্দী]
{১}
-----------
আবু তুরাব আস সুদানী।
(রাশাদ কুরাশী উসমান)
সুদানী নাগরিক।
সৌদী গোয়েন্দা সংস্হা তাকে রিক্রুট করে এবং মুজাহিদদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরির মিশন দিয়ে ইয়েমেন পাঠায়।
প্রথমবারের মতো তার জবানবন্দী প্রকাশ করা হচ্ছে...
প্রশ্ন:নাম?
উত্তর:রাশাদ কুরাশী উসমান।
-কার মাধ্যমে গোয়েন্দা হিসেবে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে?
>আমি সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীর অধীনে গোয়েন্দা শাখায় চাকুরী করেছি। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর২০১১ সালে সৌদী গোয়েন্দা সংস্হার পক্ষ থেকে গোয়েন্দা হিসেবে আমার রিক্রুটমেন্ট সম্পন্ন হয়।
>শায়েখ আবু বাসির রহ: উপর ড্রোনহামলা বাস্তবায়নের জন্য কিভাবে ইলেকট্রিক চিপ সেট করা হয়েছিল?
--সৌদি ইন্টেলিজেন্স অফিসার আবু খালেদ তার গাড়ী থেকে একটা কার্পেট বের করে আমাকে দেয়।
এরপর আমাকে বলে-যদি তুমি শায়েখ আবু বাসির নাসির আল উহাইশি অথবা শায়েখ কাসেম আর রিমির সাথে সাক্ষাৎ করতে পারো-তাহলে এটা ব্যবহার করবে।
কার্পেটের এক কোনায় ছোট্ট একটা ট্র্যাকিং ডিভাইস লুকানো ছিল।নিচ থেকে চাপ দিলে ডিভাইসটা সক্রিয় হয়ে ওঠে।
যাই হোক,এ বিষয়ে সম্মত হয়ে তার হাত থেকে কার্পেটটা নিয়ে আমি চলে আসি।
এর কিছুক্ষণ পর আমি গাড়িতে করে আলমিহজার সমুদ্র সৈকটে গিয়ে শায়েখ আবু বাসির রহ:এর সাথে সাক্ষাত করি।
শায়েখ আবু বাসির রহ: আমাকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে বলেন।আমি গাড়ী থেকে নেমে কার্পেটটা রাখবার জন্য শায়েখকে তার গাড়ীর বক্স খুলে দিতে অনুরোধ করি।শায়েখ বক্স খুলে দিলে আমি ডিভাইসটা অন করে কার্পেটটাকে গাড়ীর ব্যকবক্সে রেখে দিই।
আম্মারের কাছ থেকে আমি রাইফেল নিই। তখন আম্মার আমাকে তার সাথে যেতে বলল। আমি বললাম ঠিক আছে।
আম্মারের সাথে যেতে হবে,তাই হাতিয়ারগুলো আমি শায়েখ আবু বাসিরের সহযাত্রী ফারুককে দিয়ে দিলাম।এরপর আম্মারের সাথে গাড়ীতে ওঠে স্হান ত্যাগ করলাম।
পথে আম্মার আমাকে একটা নাম্বার দিয়ে বলল এই ভাইয়ের সঙে যোগাযোগ করে শায়েখের সাথে তার দেখা করার ব্যবস্হা করো।
আমি বারবার সেই নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করার পরও অপর দিক থেকে কোনো সাড়া পেলাম না।আর এই ফাঁকে আমার সাথে সৌদী ইন্টেলিজেন্সের যোগাযোগের জন্য আলাদা যে মোবাইলটা ছিল সেটা বের করে আমি ওদেরকে কল দিলামম।দুই কি তিনবার চেষ্টা করতেই ফোন রিসসিভ করলো।
(ইন্টেলিজেন্স অফিসার)আমাকে জিজ্ঞেস করলো তুমি কি আল মিহজার সী বিচে আছো?
আমি বললাম-শায়েখ আবু বাসির, এবং সেই স্পেশাল কার্পেট এবং ইলেকট্রনিক চিপ সবই ওখানে আছে।
আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমি এখনি ফিরব নাকি পরে?
আমি বললাম-পরে।
"আচ্ছা, ওকে।"
আমরা যখন ফিরতি পথ ধরলাম,বন্দরের কাছাকাছি আসার পর শায়েখের গাড়ীতে ড্রোনহামলার ঘটনা ঘটে।
*
যেসব অপরাধের সঙ্গে সে জড়িত ছিল-
১.একিউএপির সম্মানিত আমীর শায়েখ আবু বাসির নাসির আল উহাইশি রহ: এর উপর ড্রোন হামলা করার জন্য ইলেকট্রিক চিপ স্হাপন করেছে।
আর এই হামলায় শায়েখ আবু বাসির রহ: -ফারুক আল কাসিমি এবং আবু উমর আল পাকিস্তানী নামের আরো দুইসঙীসহ শাহাদাত বরণ করেন।
২.শায়েখ হুজাইফা আল গামেদী, আবুল হারেস আল ইরাকী,ফাহাদ আল উহাইশি,বিলাল আল ইরাকী, সাইফ আল হুমাইকানী প্রমুখ মুজাহিদদের উপর ড্রোন হামলা বাস্তবায়নে সে জড়িত ছি্ল।
(আল্লাহ তাদের সবাই কে করুণার চাদরে ঢেকে নিন।)
৩.ভাই আবু সাবআ আল আওলাকি এবং সালেহ আল আউলাকি (রহ এর উপর ড্রোন হামলার উদ্দেশ্য তাদের জন্য ইলেকট্রনিক চিপ সেট করেছে।
৪.তানজিমের অর্থবিভাগের ক্যাম্পে রাখা একটি গাড়িতে সে ইলেক্ট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
যার ফলে বিমান হামলায় বেশ কিছু ভাই শহীদ হন।যাদের মধ্যে আছেন-হামজা আস সোমালি,আবু আব্দির রহমান আস সানআনী,আবু মুসআব আল ফাতহানী,আব্দুল্লাহ ইবনে নাসের আস সামুশ,আংকেল মুতাহহারের নাতি।
এবং এই হামলায় মুজাহিদীনদের প্রায় সত্তর মিলিয়ন ডলার পুড়ে যায়।
৫.বেশ কিছু ভাইয়ের অবস্হান সম্পর্কে শত্রুকে সে তথ্য দিয়েছে।এবং তারা তাদের গাড়ীতে আছেন মর্মে শত্রুকে নিশ্চিত করেছে।
এর একটু পরেই তাদের গাড়িতে সরাসরি বম্বিং শুরু হয়।
এই হামলার শিকার হওয়া মুজাহিদীনদের নামগুলো হল-
সাউদ আদ দাগারী,আবু কাব আল হিময়ারি,খালেদ আল আওলাকী,আবু হাব্বাহ আল আবয়ানী,সাইফ আশ শিহরী।
৬.ইয়েমেন আলকায়েদার সদস্য ভাই তাওফিক আল আকিলি,আব্দুর রহমান ইবনে জামীল,হাসসান আল মারেবী রহিমাহুল্লাহুর উপর ড্রোনহামলায় সে সহযোগিতা করেছে।
৭.ভাই আবু খালেদ আত তা'ইযী, আশরাফ আত তা'যী,জামাল আল বুরুক,খালেদ ইবনে গালেব আল হামুদী, আবু খালেদ আল হাদরামী,নাবিল আল কিন্দী এবং শায়েখ মিসআদ ইবনে মানসুর আন নাহদীর উপর ড্রোন হামলায় অংশগ্রহণ করেছে।
আল্লাহ তায়ালা এই সকল মুজাহিদ শহীদদেরকে করুনার শিশিরে সিক্ত করুন।
৮.শাবওয়াতে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমানবাহিনী কতৃক পরিচালিত আবদান অপারেশনে সহযোগিতা।
যে অপারেশনে একজন মহৎ পিতা মুবারক ইবনে আহমাদ আলহার্দ আদ দাগারী আল আওলাকীর পাঁচ ছেলে একসঙে শাহাদাত বরণ করেন।
এরা হচ্ছেন-শায়েখ ইবনে মুবারক আদদাগারী,আহমাদ ইবনে মুবারক আদ দাগারী,জামাল ইবনে মুবারক আদ দাগারী,রুওয়াইস ইবনে মুবারক আদ দাগারী,এবং সালেহ ইবনে মুবারক আদ দাগারী।রহিমাহুমুুল্লাহ।
আর তাদের সঙে শহীদ হন তাদের চাচারাও-আবু আরিফ ফাহাদ ইবনে আহমাদ আদ দাগারী, এবং নাসের ইবনে আহমাদ আদদাগারী।রহমাতুল্লাহি আলাইহিম।
এই অপারেশনে এদের ছাড়াও আরো শহীদ হন সত্তরোর্ধ প্রবীণ মুজাহিদ আলহাজ আব্দুল্লাহ ইবনে লা'ওয়াজ আদ দাগারী এবং তাঁর ভাতিজা আম্মার ইবনে নাসের লাওয়াজ আদ দাগারী।এবং ভাই সাইফ আন নাসী।
আল্লাহ তাঁদের সবাইকে করুণা করুন এবং শহীদ হিসেবে কবুল করেন।
৯.শায়েখ মামুন আল হাতেম, আবু আব্দির রহমান(যিনি খালেদ আর রাহাবী নামে সমধিক পরিচিত)এবং শায়েখ হাসসান আল হাদা(রহিমাহুমুল্লাহ) এর উপর বোমমাবর্ষণে শত্রুদের সঙে যোগসাজশ।
১০.মুজাহিদ তামিম আর রাদুমী আর আবু মুহাম্মাদ আল হাব্বানী কে বন্দী করতে সে কাফেরদেরকে সহযোগিতা করেছে।
(আল্লাহ তাদের মুক্তি তরান্বিত করুন,আমীন)
১১.একইভাবে এই দালাল সুদানে মুজাহিদ শায়েখ আবুল বারা আল আজদী (ফাক্কাল্লাহু আসরাহু)কে বন্দী করে সউদ প্রশাসনের হাতে হস্তান্তরের পেছনে নেপথ্য ভূমিকা পালন করেছে।
+ ★
{২}
-------------
গুপ্তচর: আবু উমর আশ শিহরী।
(আসল নাম:উসমান ইবনে আলী আশ শিহরী)
সৌদী ইন্টেলিজেন্সের পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত।
প্রথমবারের তার স্বীকারোক্তি প্রকাশ করা হচ্ছে।
-----------------------------
>নাম?
-----আমার নাম উসমান ইবনে আলী ইবনে যুহায়র আশ শিহরী।
>কে তোমাকে রিক্রুট করেছে?
--------আমার রিক্রুট হওয়ার মাধ্যম ছিল ইয়াহইয়া আল ফিফি।সেই আমাকে গোয়েন্দা সংস্হার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছে।
আর সাইদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল কাহতানী আমাকে রিক্রুটের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল।
সে আমার জন্য দুজন গোয়েন্দা অফিসারকে পাঠায়।একজনের নাম শাহরানী আর অপরজন শামারী।এরা আমাকে তাদের হয়ে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
>মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে কি কি কাজে জড়িত ছিলে?
----লোকেশন শনাক্ত করে ড্রোন হামলা বাস্তবায়ন করার জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন,পর্যবেক্ষণ ও শত্রুদেরকে তথ্য সরবরাহ।
*******************
যেসব অপরাধের সঙে সে জড়িত ছিল-
১.মুজাহিদ গাজওয়ান আল ওয়ায়েলী এবং যোবায়ের আস সানআনী রহিমাহুমাল্লাহ এর গাড়িতে সে ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
২.ভাই ইবরাহিম আল আবয়ানী এবং হামজা আল ইব্বির জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
৩.সে মুজাহিদ তোফায়েল আত তা'যীর জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করে-যার ফলে মিছাক আল আদানী, উকাব আল বায়জানী এবং উসামা আর রাদফানি সহ বেশকিছু ভাই বোমাবর্ষনের শিকার হন।
আল্লাহ তাদের সবাইকে রহম করুন।
৪. জালাল আস সাইদী এবং আবু বিলাল আল লাউদারী রহিমাহুমাল্লাহর জন্যও সে গোপন ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
৫.শায়েখ আব্দুল হামীদ আর রাসসাস রহিমাহুল্লার উপর ড্রোনহামলার জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
৬.ভাই মাইসারা আল আদানী রহিমাহুল্লাহ কে লক্ষ্য করে পরিচালিত হামলায় শত্রুদের সঙে যোগসাজশ। এই হামলায় আরো দুজন মুজাহিদ-আবু উয়াইস আস সানআনী এবং আবু খালেদ আল মাশদালী রহিমাহুমাল্লাহও শাহাদাত বরণ করেন।
৭.ভাই আবু উমর আয যাহর এবং সালেহ আল আবয়ানী হত্যায়ও সে জড়িত ছিল।
৮.মুজাহিদ খাওলান আস সানআনী,হামজা আস সানআনী, উসামা আল হুদাইদী, মুওয়াহহিদ আর রাদায়ী এবং আবু আলী আর রাদায়ী হত্যায়ও সে জড়িত ছিল।
৯.মুজাহিদ তোফায়েল আত তা'যী এর উপর ড্রোনহামলার ঘটনায়ও সে জড়িত ছিল।
১০.শায়েখ আবু হাম্মাম আল ইব্বি সালেহ আব্দুল মুগনী রহিমাহুল্লাহর উপর হামলা করে তাকে হত্যার ঘটনায় সে জড়িত ছি্ল।
১১.ভাই উসাইরাম আস সানআনী,গাজী আল হাশেদী,এবং আম্মার আল মক্কী রহিমাহুমুল্লাহ এর উপর আকাশ বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল।
১২.সম্মানিত শায়েখ নাবিল আজ জাহাব, ভাই আবু মাইসারা আল আদানী,এবং আবু উমর আস সামবাহী রহিমাহুমুল্লাহ গাড়ীতে করে বের হয়েছেন মর্মে শত্রুকে সংবাদ দিয়েছিল।ফলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই তাঁরা শত্রুর হামলায় শহীদ হন।
এ ছাড়াও কাফেরদেরকে নিয়মিত মুজাহিদীন সম্পর্কে তথ্য সরবরাহের অপরাধ তো আছেই।
{৩}
---------------
স্পাই: আবু আমের আল মক্কী
(আব্দুল্লাহ ইবনে নাআম আস সুলামী)
সৌদী হুকুমতের পক্ষ থেকে প্রেরিত।
প্রথমবারের মতো তার জবানবন্দী প্রকাশ করা হচ্ছে।
------------
প্রশ্ন>কিভাবে রিক্রুট হয়েছো?
---সৌদি গোয়েন্দা সংস্হার মাধ্যমে আমার রিক্রুটমেন্ট সম্পন্ন হয়।
মুহাম্মাদ নাশি আল উতাইবি আর ফাহাদ আল জুওয়াইরিনি আমাকে রিক্রুট করার দায়িত্ব পালন করে।
>কি মিশন দিয়ে পাঠানো হয়েছিল?
----আমার উপর দায়িত্ব ছিল ইয়েমেনে
আলকায়েদার পরিবর্তে আরেকটা ফেইক মুজাহিদ গ্রুপ তৈরী করা।কিন্তু আমার পক্ষে সেটা সম্ভব হয়নি।
>কিভাবে মুজাহিদ শায়েখ আলআদানী রহ:এর উপর বিমানহামলা হয়েছিল?
তার উপর ড্রোনহামলাটা করা হয় যখন তিনি আমাদের কাছে বাসায় এসেছিলেন।
তখন সেই সুযোগে আবুতুরাব আস সুদানী তার জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করে।
আর আমাকে নির্দেশ দেয় গোয়েন্দা সংস্হার সাথে যোগাযোগ করতে।আমি টেলিফোন করে তাদের বলে দেই এখানে একজন মুজাহিদ আছে,এবং আবুতুরাব তার গাড়িতে ইলেকট্রনিক চিপও সেট করেছে।
এরপরই তার উপর বোম্বিং হয়।
--------------
এই গুপ্তচরকে পাঠানো হয়েছিল একটা ফেইক জিহাদী গ্রুপ তৈরী করার উদ্দেশ্যে-যাদের কাজ হবে মুজাহিদদেরকেই হত্যা করা,আর জিহাদকে বিকৃত করে উপস্হাপন করা।
এই মিশনে সফল হতে না পারলেও
নিকৃষ্ট এই জাসুস বেশ কিছু মারাত্নক
অপরাধের সাথে জড়িত ছিল।
যার মধ্যে আছে-
১.শায়েখ আবু আব্দিল আজিজ আল কাতারী এবং ভাই শুয়াইব আল মালেকী রহ:কে হত্যায় যোগসাজশ।
২.শায়েখ আল আদানী এবং তার সঙী আব্দুল হামিদ বিন আব্দুল কাদির আল জাজায়েরী,আবু আহমাদ হাইজুম আশ শাবওয়ানী, উক্কাশা আল আদনী,হুজাইফা আশ শাবওয়ানী এবং আবুল লাইস আস সানআনী কে ড্রোনহামলা করে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকা।
আল্লাহ তায়ালা তাদের সবাইকে রহম করুন।আমীন।
৩.ভাই আবুল মিকদাদ আস সানআনীর জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন।
৪.ভাই আবু উমর আস সানআনী এবং উসাইদ আল ইব্বী রহিমাহুমাল্লার উপর
স্পাইচিপ স্হাপন।
৫.ভাই হুজাইফা আল বাইহানী এবং হাবিব আল জিদ্দাবী রহ: কে ড্রোনহামলায় হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকা।
৬.শায়েখ আবুহাদী আল বাইহানীকে ড্রোনবিমানের মাধ্যমে বোম্বিং করে হত্যার ঘটনায় সহযোগিতা।
এ হামলায় তার সঙে আরো শহীদ হন শায়েখ আবু মুহাম্মাদ আদ দাগারী এবং সাইফ আদদাগারী,এবং আবু উমার আদ দাগগারী রহিমাহুমুল্লাহ।
{৪}
-----------------
গুপ্তচর:জাবনুল্লাহ আশ শারুরী।
(ওরফে আবু আয়েয আশ শারুরী।)
সৌদী সরকারের পক্ষ থেকে নিযুক্ত।
তার জবানবন্দী প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
-----------
তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের অডিওরেকর্ড
থেকে...
প্রশ্ন> >কিভাবে মুজাহিদ আবু জান্দাল আস সুআইরী রহ: এর উপর এয়ারস্ট্রাইক হয়েছিল?
---আমরা শায়েখ আবুজান্দালের সঙে দেখা করি।সালেম তার সঙেই ছিল।আমরা তাদের সঙে কথা বলি।
একটু পরে সালেম একটা ফোনকল রিসিভ করে কথা বলার জন্য একটু দূরে যায়।আমরা আবু জান্দালের গাড়ীর দরোজার দিকে এগিয়ে যাই,তিনিও আমাদের স্বাগত জানিয়ে নেমে আসেন।কিছুক্ষণ আমরা গাড়ীর বাইরে কথা বলে কাটাই।এরপরে শায়েখ আবু জান্দাল গাড়ির সীটে গিয়ে বসেন।
সালেম তখনও ফোনে কথা বলছিল।
আমরা যখন শায়েখের সঙে কথা বলছিলাম সেই ফাঁকে শায়েখের গাড়িতে ইলেক্ট্রনিক চিপ সেট করে ফেলা হয়।
এরপর আমরা তাদের বিদায় জানিয়ে চলে যাই।সূর্যাস্তের আগমুহূর্তে শায়েখ আবুজান্দালের উপর ড্রোনহামলা হয়।
--------------
যেসব অপরাধে সে জড়িত ছিল-
১.মার্কিন বাহিনীর কাছে তথ্য পাচার-:তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই হাদরামাউত প্রদেশের রায়েদা অন্চলে মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমানহামলা পরিচালিত হয়।
আর এই অপারেশনে সাতজন মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করেন।
এরা হচ্ছেন-তানজিমের অর্থবিভাগের তদন্তকেন্দ্রের পরিচালক
ভাই জাফর আত তা'যী,আবু খালেদ আল ইথিওপীয়,আবু আব্দিল গফফার আস সুদানী, আবু দুজানাহ আল ওয়াকারী,আবু মাহজিন আস সিনানী,মুগীরা আস সাইয়ারী এবং ইউনুস আল লাহজী।
রহিমাহুমুল্লাহু জামিয়ান...
২.ভাই তামিম আশ শিহরী এবং আব্দুল মাজিদ বিন ফয়সাল আশ শিহরী রহিমাহুমাল্লাহ এর উপর বোমাবর্ষনের পেছনেও তার ভূমিকা ছিল।
৩.শায়েখ ইবরাহিম ইবনে সুলাইমান আর রুবাইশ,শায়েখ জাকারিয়া আল ইব্বি,হামজা আল হিতার, ভাই আমির আস সানআনী এবং ভাই জোবায়ের আস সাইআরী রহিমাহুমুল্লার জন্য সে ইলেকট্রিক চিপ স্হাপন করেছে।
৪.ভাই সালেম ইবনে হাম্মাদ ইবনে সিরহাক রহিমাহুল্লার জন্য ইলেকট্রিক চিপ স্হাপন সহযোগিতা করেছে।
একইভাবে সম্মানিত মুজাহিদ-জান্দাল আস সাইআরী(আব্দুল্লাহ বিন সুলাইমান বিন ইয়ারবু)রহ:এর উপর ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছে।
অথচ এই মহৎ মুজাহিদ আবয়ানের জিনজুবারের যুদ্ধে আল্লাহর রাস্তায় তাঁর দুইচোখই হারিয়েছিলেন।
৫.মুজাহিদ আবু তুরাব আস সাইয়ারী এবং আবু আব্দিল্লাহ আস সাইয়ারী,এবং জাফর আশ শাবওয়ানী রহিমাহুমুল্লার অবস্হানস্হলে সে ইলেকট্রনিক চিপ রেখে দিয়েছে।
৬.মুজাহিদ আলী রাফআন এবং মুবারক ইবনে সালেম আল মাহশামী রহিমাহুমাল্লাকে বোমাবর্ষনে হত্যায় সে জড়িত ছিল।
আপাতত নিরাপত্তাজনিত কারণে তদন্ত বিভাগ এই গোয়েন্দা এজেন্টের অনেক বিষয় প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছে।
এই গুপ্তচরের সাথে এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটনা ঘটেছে-যেটা হয়তো দর্শক-পাঠকের কাছে চূড়ান্ত পর্যায়ের বিস্ময়কর মনে হবে।
আমরা ইনশাআল্লাহ এই ঘটনা পরবর্তী কোন প্রকাশনায় "একজন গুপ্তচরের গল্প" শিরোনামে প্রকাশ করবো।
{৫}
-------------------
গুপ্তচর: জ্যাকব আল হাদরামী।
আসল নাম:খালেদ ইবনে সালেম।
সৌদি ইন্টেলিজেন্সের হাতে বন্দী থাকাকালীন সময়ে সৌদী গোয়েন্দ সংস্হা তাকে রিক্রুট করে।
দীর্ঘদিন পর্যন্ত সে নিরাপত্তাবিভাগের সাথে ময়দানে কাজ করেছে।
একে এই গুপ্তচরদের পুরো টিমটার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বলে অভিহিত করা যেতে পারে।
>নিরাপত্তা বিভাগ এই মুহূর্তে তার সব অপরাধের ফিরিস্তি দেওয়া থেকে বিরত থাকছে-নিরাপত্তাজনিত কারণে।
{৬}
----------
গোয়েন্দা এজেন্ট: ফারিস আল ক্বাসিমী।
ওরফে আব্দুর রহমান আল ক্বাসিমী।
সৌদি ইন্টেলেজেন্সের হাতে বন্দী থাকাকালীন সময়ে ১৭ বছর বয়সে গোয়েন্দা হিসেবে রিক্রুট হয়।
"আসরারুন ওয়া আখতারুন" শিরোনামের একটি আলাদা প্রকাশনায় তার কিছু অপরাধের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
১৪৩৬ হিজরী মোতাবেক ২০১৫ সালে সৌদী ইন্টেলিজেন্স তাকে ইয়েমেনে পাঠায়।
ইয়েমেন পৌছার কিছুদিনের মধ্যেই তাকে গোয়েন্দা জ্যাকব আল হাদরামীর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয় -যেন সে তার জন্য পরিবেশ তৈরী করে দিতে পারে।
যেসব অপরাধে সে জড়িত ছিল--
১.শায়েখ আবু আব্দুর রহীম(ইবরাহিম ইবনে মাবখুত আল ওসাবী) এবং ভাই আবুল ইজ আল গামেদী রহিমাহুমাল্লার উপর ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন।
২.আলকায়েদার মুজাহিদ ভাই আবুজিহাদ আশ শিহরী,আবু আনাস আন নাহদী, বারা আল ক্বাইফি, কায়েস আল কাইফি,আবু হুজাইফা আল ক্বাইফি এবং আবু ফাহাদ আল বাইহানীর জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন।
৩.ভাই আবু হাজের আল হাদরামী এবং ইউসুফ আল হাদরামীর জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন।
৪.মুজাহিদ ইয়াসির আস সানআনী,উসমান আস সানআনী এবং মুতাজ আস সানআনীর জন্য স্পাইচিপ স্হাপন।
৫.শায়েখ আবু আব্দিল আজিজ আলক্বাতারী এবং ভাই শুয়াইব আল মালেকী রহিমাহুমাল্লাহকে উদ্দেশ্য করে পরিচালিত অপারেশনে শত্রুর সঙে যোগসাজশ।
৬.আবু জান্নাত আস সাইআরী,নাসির আওশান এবং নাজি মিকান প্রমুখ মুজাহিদীনের উপর ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন।
৭.তানজিমের মিডিয়া বিভাগের একটি গাড়িতে চিপ স্হাপন।যার ফলে জিহাদী মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ও সাংবাদিক জাকারিয়া আল ইব্বি,জাসসার আল আদানী এবং আবু সালেহ আল ইব্বি নিহত হন।
রহিমাহুমুল্লাহ।
৮.শায়েখ মাইসারা আল আদানী ও তার সঙীদেরকে ড্রোনহামলার মাধ্যমে হত্যায় সে ভূমিকা পালন।
★
{৭}
---------
গুপ্তচর:সালেহ ইবনে আলী আশ শারুরী।
ওরফে হামজা আশ শারুরী।
সৌদী গোয়েন্দা সংস্হার হাতে বন্দী থাকা অবস্হায় গোয়েন্দা সংস্হা তাকে নিজেদের এজেন্টে পরিণত করে।
প্রথমবারের মতো তার স্বীকারোক্তি প্রকাশ করা হচ্ছে।
----------
প্রশ্ন:কিভাবে শায়েখ ইবরাহীম আর রুবাইশ রহ:কে বোম্বিং করে হত্যা করা হয়েছিল?
------আমার কাছে জাবনুল্লাহ ( সৌদী গোয়েন্দদের প্রেরিত আরেক এজেন্ট)
এসে বলল, "আমার কাছে একটা ইলেকট্রনিক চিপ আছে, এখন এটাকে শায়েখের গাড়ীতে কিভাবে ফিট করা যায়?
আমি বললাম টেনশনের কিছু নেই,আমি ব্যাবস্হা করছি।
আমি গাড়ির পাহারার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রি আবুৃমালেককে বলবো তুমি একটু বিশ্রাম করে নাও,গাড়ি আমি পাহারা দিচ্ছি।
আমি আবু মালেককে গিয়ে বললাম-কি খবর তোমার?
ভীষণ ক্লান্ত হয়ে আছো!জামাকাপড়ও ময়লা হয়ে আছে।যাও,একটু বিশ্রাম নাও গিয়ে...
তোমার জায়গায় আমি পাহারা দিচ্ছি..
আবু মালেক বলল-খালাস।ঠিক আছে।
সে চলে গেলে জাবনুল্লাহ এসে গাড়ীতে ইলেকট্রনিক চিপ ফিট করে চলে গেল।
কাজ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর আমি আবু মালেককে গিয়ে বললাম,তোমার পাহারার দায়িত্বে ফিরে যাও।
সেন্ট্রিকে পাহারায় বসিয়ে আমি চলে গেলাম।
গভীর রাতে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল ওরা আর জানাল শায়েখ ইবরাহিম আর রুবাইশ গিরিখাতের নিচের অন্চলে বিমান হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন।
------
যে সব অপরাধে এই গোয়েন্দা এজেন্ট জড়িত ছিল-
১.সৌদী দালাল ডাবল এজেন্ট জাবনুল্লার সঙে যোগসাজশ করে সে মার্কিনীদেরকে রায়েদা অন্চলে বিমান নিয়ে অপারেশন চালাতে সহযোগিতা করেছে।
২.মুজাহিদ যোবায়ের আস সানআনী রহিমাহুল্লার গাড়িতে স্পাইচিপ স্হাপনে জাবনুল্লাকে সহযোগিতা করেছে।
৩.জাবনুল্লার সাথে মিলে মুজাহিদ আলী রাফআন এবং মুবারক ইবনে সালেম রহিমাহুমাল্লাহর
উপর বিমানহামলায় সহযোগিতা করেছে।
৪.মুজাহিদ হাকীম আশ শারুরী এবং তামীম আশ শিহরীর গাড়িতে ইলেকট্রনিক চিপ সেট করেছে।
৫.মুজাহিদ ভাই আবু উবাইদাহ আশ শারুরী এবং আজ্জাম আস সাইউনী রহিমাহুমাল্লাহকে গুপ্তহত্যার ঘটনায়ও সে জড়িত ছিল।
৬.আরও তিনজন ভাইকে গুপ্তহত্যার ঘটনায় সে দায়ী।তাদের মধ্যে রয়েছেন-ভাই খালেদ ইবনে আব্দুল্লাহ করামিজ রহিমাহমুুল্লাহ।
৭.ভাই আলী জাবহান, খাত্তাব ইবনে হাজলান আস সাইআরী,এবং সালামা আশ শারুরী ও তাঁর সহোদর ভাই কে নিয়ে গঠিত একটি অপারেশন টিমের অভিযানে রওয়ানা হওয়ার আগেই শত্রুকে অভিযান স্হল সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করেছে। যার ফলে এই দলটির সকল ভাইই গ্রেফতারির শিকার হন।
আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদেরকে দ্রুত মুক্তির ব্যাবস্হা করে দিন।আমীন।
★নিরাপত্তা বিভাগ নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত তার কিছু অপরাধ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছে।
★★★★★★★★★★★
المقدمة التمهیدیة لهدم الجاسوسیة
"হাদমুল জয়সুসিয়্যাহ"(গুপ্তচরবৃত্তির বিনাশ শীর্ষক) ডকুমেন্টারির প্রাথমিক পরিচিতি ও ভূমিকা।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
وَقُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا (80) وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا (81)
“আর বলুন, ‘হে আমার রব, আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে । আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে দান কর সাহায্যকারী শক্তি’। এবং বলুন, ‘হক এসেছে এবং বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় বাতিল বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল’।” (সূরা বনী ইসরাঈল: ৮০-৮১)
আলকায়েদা জাজীরাতুল আরব(একিউএপি)শাখার
নিরাপত্তা বিভাগের বিবৃতি
তারিখ: যিলহজ্ব, ১৪৩৯হি.
الحمد لله الذي بنعمته تتم الصالحات، والصلاة والسلام على أشرف خلق الله وعلى آله وصحبه ومن والاه
أما بعد
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর-যার অনুগ্রহে সুসমাপ্ত হয় সকল কল্যাণকর কাজ,দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সকল সৃষ্টির সেরা হযরত মুহাম্মাদ (সা এর প্রতি,এবং তাঁর সাহাবী ও অনুসারীদের প্রতি...
পূর্ণ এক বৎসর নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানের পর আল্লাহ তাআলা জাযিরাতুল আরবের মুজাহিদগণকে সউদি গোয়েন্দা বিভাগের অনুগত (মুজাহিদদের মাঝে ঢুকে পড়া) গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে গ্রেফতার করার তাওফিক দিয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে কেবলই আল্লাহ তাআলার তাওফিকে ও অনুগ্রহে।
ইয়ামানের মুজাহিদদের উপর মার্কিন ড্রোনবিমানের অধিকাংশ হামলার পেছনে এবং তানজীমের অভ্যন্তরে সৃষ্ট অধিকাংশ সমস্যার পেছনে গ্রেফতারকৃত এই গোয়েন্দা সেলটিই দায়ী। এছাড়াও এই সেলটি শত্রুপক্ষের বিমান হামলার পরিকল্পনা ও নীলনকশা বাস্তবায়নের দায়িত্বও পালন করতো।
এই সেলটি শুধু ড্রোনহামলা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ভিকটিমের উপর ইলেকট্রনিক চিপ স্থাপনেই সীমাবদ্ধ থাকতো না, বরং তানজীমের সাথে দুশমনদের কর্মপরিকল্পনার ক্ষেত্রে তাদের উপদেষ্টার ভূমিকাও পালন করতো।
এই সেলের সদস্যরা হল:
১. গোয়েন্দা: ইয়াকুব আলহাজরামি (আসল নাম- খালেদ বিন সালেম।)
২. গোয়েন্দা: আবু উমার আশশিহরি (আসল নাম– উসমান ইবনে আলী আশশিহরি।)
৩. গোয়েন্দা: আবু তুরাব আসসুদানী (আসল নাম– রাশাদ কুরাশী উসমান।)
৪. গোয়েন্দা: আবু আয়েজ আশশারুরী (আসল নাম- জাবনুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল্লাহ্ আশশারুরী।)
৫. গোয়েন্দা: হামযা আশশারুরী (আসল নাম– সালেহ বিন আলী আশশারুরী।)
৬. গোয়েন্দা: আবু আমের আলমক্কী(আসল নাম- আব্দুল্লাহ ইবনে না’আম আসসুলামী।)
৭. গোয়েন্দা: ফারেস আলকাছিমী(আসল নাম- আব্দুররহমান ইবনে মুহাম্মাদ আলকাছিমী।)
পরিশেষে-
গোয়েন্দা সেল অনুসন্ধান, পর্যবেক্ষণ,তদন্ত ও বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা এজেন্টদের গ্রেফতারে নিযুক্ত মুজাহিদ টিমগুলোর সম্মানিত সকল ভাইয়ের প্রতি নিরাপত্তা বিভাগ পূর্ণ কৃতজ্ঞতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে। তদ্রূপ নিরাপত্তা বিভাগ ঐ সকল ভাইদের প্রতি প্রভূত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে, যারা নিরাপত্তা বিভাগের সাথে এই প্রচেষ্টায় শরীক হয়েছেন, এর গোপনীয়তা রক্ষা করেছেন, তাদের সাথে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন এবং এ পথে সীমাহীন কষ্ট বরদাশত করেছেন। আমরা তাদেরকে বলবো- উমর আপনাদের না চিনলেও আপনাদের কোন ক্ষতি নেই, যদি আল্লাহ তাআলা আপনাদের চিনে থাকেন।
وصلى الله و سلم وبارك على نبيننا محمد وعلى آله و صحبه،والحمد لله رب العلمین
নিরাপত্তা বিভাগ, তানজীম আলকায়েদা,
জাযিরাতুল আরব(একিউএপি)
যিলহজ্ব, ১৪৩৯হি. (আগস্ট, ২০১৮ ইং)
[গ্রেফতারকৃত গোয়েন্দাদের পরিচয়,অপরাধের বিবরণ ও জবানবন্দী]
{১}
-----------
আবু তুরাব আস সুদানী।
(রাশাদ কুরাশী উসমান)
সুদানী নাগরিক।
সৌদী গোয়েন্দা সংস্হা তাকে রিক্রুট করে এবং মুজাহিদদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরির মিশন দিয়ে ইয়েমেন পাঠায়।
প্রথমবারের মতো তার জবানবন্দী প্রকাশ করা হচ্ছে...
প্রশ্ন:নাম?
উত্তর:রাশাদ কুরাশী উসমান।
-কার মাধ্যমে গোয়েন্দা হিসেবে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে?
>আমি সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীর অধীনে গোয়েন্দা শাখায় চাকুরী করেছি। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর২০১১ সালে সৌদী গোয়েন্দা সংস্হার পক্ষ থেকে গোয়েন্দা হিসেবে আমার রিক্রুটমেন্ট সম্পন্ন হয়।
>শায়েখ আবু বাসির রহ: উপর ড্রোনহামলা বাস্তবায়নের জন্য কিভাবে ইলেকট্রিক চিপ সেট করা হয়েছিল?
--সৌদি ইন্টেলিজেন্স অফিসার আবু খালেদ তার গাড়ী থেকে একটা কার্পেট বের করে আমাকে দেয়।
এরপর আমাকে বলে-যদি তুমি শায়েখ আবু বাসির নাসির আল উহাইশি অথবা শায়েখ কাসেম আর রিমির সাথে সাক্ষাৎ করতে পারো-তাহলে এটা ব্যবহার করবে।
কার্পেটের এক কোনায় ছোট্ট একটা ট্র্যাকিং ডিভাইস লুকানো ছিল।নিচ থেকে চাপ দিলে ডিভাইসটা সক্রিয় হয়ে ওঠে।
যাই হোক,এ বিষয়ে সম্মত হয়ে তার হাত থেকে কার্পেটটা নিয়ে আমি চলে আসি।
এর কিছুক্ষণ পর আমি গাড়িতে করে আলমিহজার সমুদ্র সৈকটে গিয়ে শায়েখ আবু বাসির রহ:এর সাথে সাক্ষাত করি।
শায়েখ আবু বাসির রহ: আমাকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে বলেন।আমি গাড়ী থেকে নেমে কার্পেটটা রাখবার জন্য শায়েখকে তার গাড়ীর বক্স খুলে দিতে অনুরোধ করি।শায়েখ বক্স খুলে দিলে আমি ডিভাইসটা অন করে কার্পেটটাকে গাড়ীর ব্যকবক্সে রেখে দিই।
আম্মারের কাছ থেকে আমি রাইফেল নিই। তখন আম্মার আমাকে তার সাথে যেতে বলল। আমি বললাম ঠিক আছে।
আম্মারের সাথে যেতে হবে,তাই হাতিয়ারগুলো আমি শায়েখ আবু বাসিরের সহযাত্রী ফারুককে দিয়ে দিলাম।এরপর আম্মারের সাথে গাড়ীতে ওঠে স্হান ত্যাগ করলাম।
পথে আম্মার আমাকে একটা নাম্বার দিয়ে বলল এই ভাইয়ের সঙে যোগাযোগ করে শায়েখের সাথে তার দেখা করার ব্যবস্হা করো।
আমি বারবার সেই নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করার পরও অপর দিক থেকে কোনো সাড়া পেলাম না।আর এই ফাঁকে আমার সাথে সৌদী ইন্টেলিজেন্সের যোগাযোগের জন্য আলাদা যে মোবাইলটা ছিল সেটা বের করে আমি ওদেরকে কল দিলামম।দুই কি তিনবার চেষ্টা করতেই ফোন রিসসিভ করলো।
(ইন্টেলিজেন্স অফিসার)আমাকে জিজ্ঞেস করলো তুমি কি আল মিহজার সী বিচে আছো?
আমি বললাম-শায়েখ আবু বাসির, এবং সেই স্পেশাল কার্পেট এবং ইলেকট্রনিক চিপ সবই ওখানে আছে।
আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমি এখনি ফিরব নাকি পরে?
আমি বললাম-পরে।
"আচ্ছা, ওকে।"
আমরা যখন ফিরতি পথ ধরলাম,বন্দরের কাছাকাছি আসার পর শায়েখের গাড়ীতে ড্রোনহামলার ঘটনা ঘটে।
*
যেসব অপরাধের সঙ্গে সে জড়িত ছিল-
১.একিউএপির সম্মানিত আমীর শায়েখ আবু বাসির নাসির আল উহাইশি রহ: এর উপর ড্রোন হামলা করার জন্য ইলেকট্রিক চিপ স্হাপন করেছে।
আর এই হামলায় শায়েখ আবু বাসির রহ: -ফারুক আল কাসিমি এবং আবু উমর আল পাকিস্তানী নামের আরো দুইসঙীসহ শাহাদাত বরণ করেন।
২.শায়েখ হুজাইফা আল গামেদী, আবুল হারেস আল ইরাকী,ফাহাদ আল উহাইশি,বিলাল আল ইরাকী, সাইফ আল হুমাইকানী প্রমুখ মুজাহিদদের উপর ড্রোন হামলা বাস্তবায়নে সে জড়িত ছি্ল।
(আল্লাহ তাদের সবাই কে করুণার চাদরে ঢেকে নিন।)
৩.ভাই আবু সাবআ আল আওলাকি এবং সালেহ আল আউলাকি (রহ এর উপর ড্রোন হামলার উদ্দেশ্য তাদের জন্য ইলেকট্রনিক চিপ সেট করেছে।
৪.তানজিমের অর্থবিভাগের ক্যাম্পে রাখা একটি গাড়িতে সে ইলেক্ট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
যার ফলে বিমান হামলায় বেশ কিছু ভাই শহীদ হন।যাদের মধ্যে আছেন-হামজা আস সোমালি,আবু আব্দির রহমান আস সানআনী,আবু মুসআব আল ফাতহানী,আব্দুল্লাহ ইবনে নাসের আস সামুশ,আংকেল মুতাহহারের নাতি।
এবং এই হামলায় মুজাহিদীনদের প্রায় সত্তর মিলিয়ন ডলার পুড়ে যায়।
৫.বেশ কিছু ভাইয়ের অবস্হান সম্পর্কে শত্রুকে সে তথ্য দিয়েছে।এবং তারা তাদের গাড়ীতে আছেন মর্মে শত্রুকে নিশ্চিত করেছে।
এর একটু পরেই তাদের গাড়িতে সরাসরি বম্বিং শুরু হয়।
এই হামলার শিকার হওয়া মুজাহিদীনদের নামগুলো হল-
সাউদ আদ দাগারী,আবু কাব আল হিময়ারি,খালেদ আল আওলাকী,আবু হাব্বাহ আল আবয়ানী,সাইফ আশ শিহরী।
৬.ইয়েমেন আলকায়েদার সদস্য ভাই তাওফিক আল আকিলি,আব্দুর রহমান ইবনে জামীল,হাসসান আল মারেবী রহিমাহুল্লাহুর উপর ড্রোনহামলায় সে সহযোগিতা করেছে।
৭.ভাই আবু খালেদ আত তা'ইযী, আশরাফ আত তা'যী,জামাল আল বুরুক,খালেদ ইবনে গালেব আল হামুদী, আবু খালেদ আল হাদরামী,নাবিল আল কিন্দী এবং শায়েখ মিসআদ ইবনে মানসুর আন নাহদীর উপর ড্রোন হামলায় অংশগ্রহণ করেছে।
আল্লাহ তায়ালা এই সকল মুজাহিদ শহীদদেরকে করুনার শিশিরে সিক্ত করুন।
৮.শাবওয়াতে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমানবাহিনী কতৃক পরিচালিত আবদান অপারেশনে সহযোগিতা।
যে অপারেশনে একজন মহৎ পিতা মুবারক ইবনে আহমাদ আলহার্দ আদ দাগারী আল আওলাকীর পাঁচ ছেলে একসঙে শাহাদাত বরণ করেন।
এরা হচ্ছেন-শায়েখ ইবনে মুবারক আদদাগারী,আহমাদ ইবনে মুবারক আদ দাগারী,জামাল ইবনে মুবারক আদ দাগারী,রুওয়াইস ইবনে মুবারক আদ দাগারী,এবং সালেহ ইবনে মুবারক আদ দাগারী।রহিমাহুমুুল্লাহ।
আর তাদের সঙে শহীদ হন তাদের চাচারাও-আবু আরিফ ফাহাদ ইবনে আহমাদ আদ দাগারী, এবং নাসের ইবনে আহমাদ আদদাগারী।রহমাতুল্লাহি আলাইহিম।
এই অপারেশনে এদের ছাড়াও আরো শহীদ হন সত্তরোর্ধ প্রবীণ মুজাহিদ আলহাজ আব্দুল্লাহ ইবনে লা'ওয়াজ আদ দাগারী এবং তাঁর ভাতিজা আম্মার ইবনে নাসের লাওয়াজ আদ দাগারী।এবং ভাই সাইফ আন নাসী।
আল্লাহ তাঁদের সবাইকে করুণা করুন এবং শহীদ হিসেবে কবুল করেন।
৯.শায়েখ মামুন আল হাতেম, আবু আব্দির রহমান(যিনি খালেদ আর রাহাবী নামে সমধিক পরিচিত)এবং শায়েখ হাসসান আল হাদা(রহিমাহুমুল্লাহ) এর উপর বোমমাবর্ষণে শত্রুদের সঙে যোগসাজশ।
১০.মুজাহিদ তামিম আর রাদুমী আর আবু মুহাম্মাদ আল হাব্বানী কে বন্দী করতে সে কাফেরদেরকে সহযোগিতা করেছে।
(আল্লাহ তাদের মুক্তি তরান্বিত করুন,আমীন)
১১.একইভাবে এই দালাল সুদানে মুজাহিদ শায়েখ আবুল বারা আল আজদী (ফাক্কাল্লাহু আসরাহু)কে বন্দী করে সউদ প্রশাসনের হাতে হস্তান্তরের পেছনে নেপথ্য ভূমিকা পালন করেছে।
+ ★
{২}
-------------
গুপ্তচর: আবু উমর আশ শিহরী।
(আসল নাম:উসমান ইবনে আলী আশ শিহরী)
সৌদী ইন্টেলিজেন্সের পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত।
প্রথমবারের তার স্বীকারোক্তি প্রকাশ করা হচ্ছে।
-----------------------------
>নাম?
-----আমার নাম উসমান ইবনে আলী ইবনে যুহায়র আশ শিহরী।
>কে তোমাকে রিক্রুট করেছে?
--------আমার রিক্রুট হওয়ার মাধ্যম ছিল ইয়াহইয়া আল ফিফি।সেই আমাকে গোয়েন্দা সংস্হার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছে।
আর সাইদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল কাহতানী আমাকে রিক্রুটের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল।
সে আমার জন্য দুজন গোয়েন্দা অফিসারকে পাঠায়।একজনের নাম শাহরানী আর অপরজন শামারী।এরা আমাকে তাদের হয়ে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
>মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে কি কি কাজে জড়িত ছিলে?
----লোকেশন শনাক্ত করে ড্রোন হামলা বাস্তবায়ন করার জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন,পর্যবেক্ষণ ও শত্রুদেরকে তথ্য সরবরাহ।
*******************
যেসব অপরাধের সঙে সে জড়িত ছিল-
১.মুজাহিদ গাজওয়ান আল ওয়ায়েলী এবং যোবায়ের আস সানআনী রহিমাহুমাল্লাহ এর গাড়িতে সে ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
২.ভাই ইবরাহিম আল আবয়ানী এবং হামজা আল ইব্বির জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
৩.সে মুজাহিদ তোফায়েল আত তা'যীর জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করে-যার ফলে মিছাক আল আদানী, উকাব আল বায়জানী এবং উসামা আর রাদফানি সহ বেশকিছু ভাই বোমাবর্ষনের শিকার হন।
আল্লাহ তাদের সবাইকে রহম করুন।
৪. জালাল আস সাইদী এবং আবু বিলাল আল লাউদারী রহিমাহুমাল্লাহর জন্যও সে গোপন ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
৫.শায়েখ আব্দুল হামীদ আর রাসসাস রহিমাহুল্লার উপর ড্রোনহামলার জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
৬.ভাই মাইসারা আল আদানী রহিমাহুল্লাহ কে লক্ষ্য করে পরিচালিত হামলায় শত্রুদের সঙে যোগসাজশ। এই হামলায় আরো দুজন মুজাহিদ-আবু উয়াইস আস সানআনী এবং আবু খালেদ আল মাশদালী রহিমাহুমাল্লাহও শাহাদাত বরণ করেন।
৭.ভাই আবু উমর আয যাহর এবং সালেহ আল আবয়ানী হত্যায়ও সে জড়িত ছিল।
৮.মুজাহিদ খাওলান আস সানআনী,হামজা আস সানআনী, উসামা আল হুদাইদী, মুওয়াহহিদ আর রাদায়ী এবং আবু আলী আর রাদায়ী হত্যায়ও সে জড়িত ছিল।
৯.মুজাহিদ তোফায়েল আত তা'যী এর উপর ড্রোনহামলার ঘটনায়ও সে জড়িত ছিল।
১০.শায়েখ আবু হাম্মাম আল ইব্বি সালেহ আব্দুল মুগনী রহিমাহুল্লাহর উপর হামলা করে তাকে হত্যার ঘটনায় সে জড়িত ছি্ল।
১১.ভাই উসাইরাম আস সানআনী,গাজী আল হাশেদী,এবং আম্মার আল মক্কী রহিমাহুমুল্লাহ এর উপর আকাশ বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল।
১২.সম্মানিত শায়েখ নাবিল আজ জাহাব, ভাই আবু মাইসারা আল আদানী,এবং আবু উমর আস সামবাহী রহিমাহুমুল্লাহ গাড়ীতে করে বের হয়েছেন মর্মে শত্রুকে সংবাদ দিয়েছিল।ফলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই তাঁরা শত্রুর হামলায় শহীদ হন।
এ ছাড়াও কাফেরদেরকে নিয়মিত মুজাহিদীন সম্পর্কে তথ্য সরবরাহের অপরাধ তো আছেই।
{৩}
---------------
স্পাই: আবু আমের আল মক্কী
(আব্দুল্লাহ ইবনে নাআম আস সুলামী)
সৌদী হুকুমতের পক্ষ থেকে প্রেরিত।
প্রথমবারের মতো তার জবানবন্দী প্রকাশ করা হচ্ছে।
------------
প্রশ্ন>কিভাবে রিক্রুট হয়েছো?
---সৌদি গোয়েন্দা সংস্হার মাধ্যমে আমার রিক্রুটমেন্ট সম্পন্ন হয়।
মুহাম্মাদ নাশি আল উতাইবি আর ফাহাদ আল জুওয়াইরিনি আমাকে রিক্রুট করার দায়িত্ব পালন করে।
>কি মিশন দিয়ে পাঠানো হয়েছিল?
----আমার উপর দায়িত্ব ছিল ইয়েমেনে
আলকায়েদার পরিবর্তে আরেকটা ফেইক মুজাহিদ গ্রুপ তৈরী করা।কিন্তু আমার পক্ষে সেটা সম্ভব হয়নি।
>কিভাবে মুজাহিদ শায়েখ আলআদানী রহ:এর উপর বিমানহামলা হয়েছিল?
তার উপর ড্রোনহামলাটা করা হয় যখন তিনি আমাদের কাছে বাসায় এসেছিলেন।
তখন সেই সুযোগে আবুতুরাব আস সুদানী তার জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করে।
আর আমাকে নির্দেশ দেয় গোয়েন্দা সংস্হার সাথে যোগাযোগ করতে।আমি টেলিফোন করে তাদের বলে দেই এখানে একজন মুজাহিদ আছে,এবং আবুতুরাব তার গাড়িতে ইলেকট্রনিক চিপও সেট করেছে।
এরপরই তার উপর বোম্বিং হয়।
--------------
এই গুপ্তচরকে পাঠানো হয়েছিল একটা ফেইক জিহাদী গ্রুপ তৈরী করার উদ্দেশ্যে-যাদের কাজ হবে মুজাহিদদেরকেই হত্যা করা,আর জিহাদকে বিকৃত করে উপস্হাপন করা।
এই মিশনে সফল হতে না পারলেও
নিকৃষ্ট এই জাসুস বেশ কিছু মারাত্নক
অপরাধের সাথে জড়িত ছিল।
যার মধ্যে আছে-
১.শায়েখ আবু আব্দিল আজিজ আল কাতারী এবং ভাই শুয়াইব আল মালেকী রহ:কে হত্যায় যোগসাজশ।
২.শায়েখ আল আদানী এবং তার সঙী আব্দুল হামিদ বিন আব্দুল কাদির আল জাজায়েরী,আবু আহমাদ হাইজুম আশ শাবওয়ানী, উক্কাশা আল আদনী,হুজাইফা আশ শাবওয়ানী এবং আবুল লাইস আস সানআনী কে ড্রোনহামলা করে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকা।
আল্লাহ তায়ালা তাদের সবাইকে রহম করুন।আমীন।
৩.ভাই আবুল মিকদাদ আস সানআনীর জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন।
৪.ভাই আবু উমর আস সানআনী এবং উসাইদ আল ইব্বী রহিমাহুমাল্লার উপর
স্পাইচিপ স্হাপন।
৫.ভাই হুজাইফা আল বাইহানী এবং হাবিব আল জিদ্দাবী রহ: কে ড্রোনহামলায় হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকা।
৬.শায়েখ আবুহাদী আল বাইহানীকে ড্রোনবিমানের মাধ্যমে বোম্বিং করে হত্যার ঘটনায় সহযোগিতা।
এ হামলায় তার সঙে আরো শহীদ হন শায়েখ আবু মুহাম্মাদ আদ দাগারী এবং সাইফ আদদাগারী,এবং আবু উমার আদ দাগগারী রহিমাহুমুল্লাহ।
{৪}
-----------------
গুপ্তচর:জাবনুল্লাহ আশ শারুরী।
(ওরফে আবু আয়েয আশ শারুরী।)
সৌদী সরকারের পক্ষ থেকে নিযুক্ত।
তার জবানবন্দী প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
-----------
তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের অডিওরেকর্ড
থেকে...
প্রশ্ন> >কিভাবে মুজাহিদ আবু জান্দাল আস সুআইরী রহ: এর উপর এয়ারস্ট্রাইক হয়েছিল?
---আমরা শায়েখ আবুজান্দালের সঙে দেখা করি।সালেম তার সঙেই ছিল।আমরা তাদের সঙে কথা বলি।
একটু পরে সালেম একটা ফোনকল রিসিভ করে কথা বলার জন্য একটু দূরে যায়।আমরা আবু জান্দালের গাড়ীর দরোজার দিকে এগিয়ে যাই,তিনিও আমাদের স্বাগত জানিয়ে নেমে আসেন।কিছুক্ষণ আমরা গাড়ীর বাইরে কথা বলে কাটাই।এরপরে শায়েখ আবু জান্দাল গাড়ির সীটে গিয়ে বসেন।
সালেম তখনও ফোনে কথা বলছিল।
আমরা যখন শায়েখের সঙে কথা বলছিলাম সেই ফাঁকে শায়েখের গাড়িতে ইলেক্ট্রনিক চিপ সেট করে ফেলা হয়।
এরপর আমরা তাদের বিদায় জানিয়ে চলে যাই।সূর্যাস্তের আগমুহূর্তে শায়েখ আবুজান্দালের উপর ড্রোনহামলা হয়।
--------------
যেসব অপরাধে সে জড়িত ছিল-
১.মার্কিন বাহিনীর কাছে তথ্য পাচার-:তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই হাদরামাউত প্রদেশের রায়েদা অন্চলে মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমানহামলা পরিচালিত হয়।
আর এই অপারেশনে সাতজন মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করেন।
এরা হচ্ছেন-তানজিমের অর্থবিভাগের তদন্তকেন্দ্রের পরিচালক
ভাই জাফর আত তা'যী,আবু খালেদ আল ইথিওপীয়,আবু আব্দিল গফফার আস সুদানী, আবু দুজানাহ আল ওয়াকারী,আবু মাহজিন আস সিনানী,মুগীরা আস সাইয়ারী এবং ইউনুস আল লাহজী।
রহিমাহুমুল্লাহু জামিয়ান...
২.ভাই তামিম আশ শিহরী এবং আব্দুল মাজিদ বিন ফয়সাল আশ শিহরী রহিমাহুমাল্লাহ এর উপর বোমাবর্ষনের পেছনেও তার ভূমিকা ছিল।
৩.শায়েখ ইবরাহিম ইবনে সুলাইমান আর রুবাইশ,শায়েখ জাকারিয়া আল ইব্বি,হামজা আল হিতার, ভাই আমির আস সানআনী এবং ভাই জোবায়ের আস সাইআরী রহিমাহুমুল্লার জন্য সে ইলেকট্রিক চিপ স্হাপন করেছে।
৪.ভাই সালেম ইবনে হাম্মাদ ইবনে সিরহাক রহিমাহুল্লার জন্য ইলেকট্রিক চিপ স্হাপন সহযোগিতা করেছে।
একইভাবে সম্মানিত মুজাহিদ-জান্দাল আস সাইআরী(আব্দুল্লাহ বিন সুলাইমান বিন ইয়ারবু)রহ:এর উপর ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছে।
অথচ এই মহৎ মুজাহিদ আবয়ানের জিনজুবারের যুদ্ধে আল্লাহর রাস্তায় তাঁর দুইচোখই হারিয়েছিলেন।
৫.মুজাহিদ আবু তুরাব আস সাইয়ারী এবং আবু আব্দিল্লাহ আস সাইয়ারী,এবং জাফর আশ শাবওয়ানী রহিমাহুমুল্লার অবস্হানস্হলে সে ইলেকট্রনিক চিপ রেখে দিয়েছে।
৬.মুজাহিদ আলী রাফআন এবং মুবারক ইবনে সালেম আল মাহশামী রহিমাহুমাল্লাকে বোমাবর্ষনে হত্যায় সে জড়িত ছিল।
আপাতত নিরাপত্তাজনিত কারণে তদন্ত বিভাগ এই গোয়েন্দা এজেন্টের অনেক বিষয় প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছে।
এই গুপ্তচরের সাথে এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটনা ঘটেছে-যেটা হয়তো দর্শক-পাঠকের কাছে চূড়ান্ত পর্যায়ের বিস্ময়কর মনে হবে।
আমরা ইনশাআল্লাহ এই ঘটনা পরবর্তী কোন প্রকাশনায় "একজন গুপ্তচরের গল্প" শিরোনামে প্রকাশ করবো।
{৫}
-------------------
গুপ্তচর: জ্যাকব আল হাদরামী।
আসল নাম:খালেদ ইবনে সালেম।
সৌদি ইন্টেলিজেন্সের হাতে বন্দী থাকাকালীন সময়ে সৌদী গোয়েন্দ সংস্হা তাকে রিক্রুট করে।
দীর্ঘদিন পর্যন্ত সে নিরাপত্তাবিভাগের সাথে ময়দানে কাজ করেছে।
একে এই গুপ্তচরদের পুরো টিমটার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বলে অভিহিত করা যেতে পারে।
>নিরাপত্তা বিভাগ এই মুহূর্তে তার সব অপরাধের ফিরিস্তি দেওয়া থেকে বিরত থাকছে-নিরাপত্তাজনিত কারণে।
{৬}
----------
গোয়েন্দা এজেন্ট: ফারিস আল ক্বাসিমী।
ওরফে আব্দুর রহমান আল ক্বাসিমী।
সৌদি ইন্টেলেজেন্সের হাতে বন্দী থাকাকালীন সময়ে ১৭ বছর বয়সে গোয়েন্দা হিসেবে রিক্রুট হয়।
"আসরারুন ওয়া আখতারুন" শিরোনামের একটি আলাদা প্রকাশনায় তার কিছু অপরাধের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
১৪৩৬ হিজরী মোতাবেক ২০১৫ সালে সৌদী ইন্টেলিজেন্স তাকে ইয়েমেনে পাঠায়।
ইয়েমেন পৌছার কিছুদিনের মধ্যেই তাকে গোয়েন্দা জ্যাকব আল হাদরামীর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয় -যেন সে তার জন্য পরিবেশ তৈরী করে দিতে পারে।
যেসব অপরাধে সে জড়িত ছিল--
১.শায়েখ আবু আব্দুর রহীম(ইবরাহিম ইবনে মাবখুত আল ওসাবী) এবং ভাই আবুল ইজ আল গামেদী রহিমাহুমাল্লার উপর ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন।
২.আলকায়েদার মুজাহিদ ভাই আবুজিহাদ আশ শিহরী,আবু আনাস আন নাহদী, বারা আল ক্বাইফি, কায়েস আল কাইফি,আবু হুজাইফা আল ক্বাইফি এবং আবু ফাহাদ আল বাইহানীর জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন।
৩.ভাই আবু হাজের আল হাদরামী এবং ইউসুফ আল হাদরামীর জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন।
৪.মুজাহিদ ইয়াসির আস সানআনী,উসমান আস সানআনী এবং মুতাজ আস সানআনীর জন্য স্পাইচিপ স্হাপন।
৫.শায়েখ আবু আব্দিল আজিজ আলক্বাতারী এবং ভাই শুয়াইব আল মালেকী রহিমাহুমাল্লাহকে উদ্দেশ্য করে পরিচালিত অপারেশনে শত্রুর সঙে যোগসাজশ।
৬.আবু জান্নাত আস সাইআরী,নাসির আওশান এবং নাজি মিকান প্রমুখ মুজাহিদীনের উপর ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন।
৭.তানজিমের মিডিয়া বিভাগের একটি গাড়িতে চিপ স্হাপন।যার ফলে জিহাদী মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ও সাংবাদিক জাকারিয়া আল ইব্বি,জাসসার আল আদানী এবং আবু সালেহ আল ইব্বি নিহত হন।
রহিমাহুমুল্লাহ।
৮.শায়েখ মাইসারা আল আদানী ও তার সঙীদেরকে ড্রোনহামলার মাধ্যমে হত্যায় সে ভূমিকা পালন।
★
{৭}
---------
গুপ্তচর:সালেহ ইবনে আলী আশ শারুরী।
ওরফে হামজা আশ শারুরী।
সৌদী গোয়েন্দা সংস্হার হাতে বন্দী থাকা অবস্হায় গোয়েন্দা সংস্হা তাকে নিজেদের এজেন্টে পরিণত করে।
প্রথমবারের মতো তার স্বীকারোক্তি প্রকাশ করা হচ্ছে।
----------
প্রশ্ন:কিভাবে শায়েখ ইবরাহীম আর রুবাইশ রহ:কে বোম্বিং করে হত্যা করা হয়েছিল?
------আমার কাছে জাবনুল্লাহ ( সৌদী গোয়েন্দদের প্রেরিত আরেক এজেন্ট)
এসে বলল, "আমার কাছে একটা ইলেকট্রনিক চিপ আছে, এখন এটাকে শায়েখের গাড়ীতে কিভাবে ফিট করা যায়?
আমি বললাম টেনশনের কিছু নেই,আমি ব্যাবস্হা করছি।
আমি গাড়ির পাহারার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রি আবুৃমালেককে বলবো তুমি একটু বিশ্রাম করে নাও,গাড়ি আমি পাহারা দিচ্ছি।
আমি আবু মালেককে গিয়ে বললাম-কি খবর তোমার?
ভীষণ ক্লান্ত হয়ে আছো!জামাকাপড়ও ময়লা হয়ে আছে।যাও,একটু বিশ্রাম নাও গিয়ে...
তোমার জায়গায় আমি পাহারা দিচ্ছি..
আবু মালেক বলল-খালাস।ঠিক আছে।
সে চলে গেলে জাবনুল্লাহ এসে গাড়ীতে ইলেকট্রনিক চিপ ফিট করে চলে গেল।
কাজ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর আমি আবু মালেককে গিয়ে বললাম,তোমার পাহারার দায়িত্বে ফিরে যাও।
সেন্ট্রিকে পাহারায় বসিয়ে আমি চলে গেলাম।
গভীর রাতে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল ওরা আর জানাল শায়েখ ইবরাহিম আর রুবাইশ গিরিখাতের নিচের অন্চলে বিমান হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন।
------
যে সব অপরাধে এই গোয়েন্দা এজেন্ট জড়িত ছিল-
১.সৌদী দালাল ডাবল এজেন্ট জাবনুল্লার সঙে যোগসাজশ করে সে মার্কিনীদেরকে রায়েদা অন্চলে বিমান নিয়ে অপারেশন চালাতে সহযোগিতা করেছে।
২.মুজাহিদ যোবায়ের আস সানআনী রহিমাহুল্লার গাড়িতে স্পাইচিপ স্হাপনে জাবনুল্লাকে সহযোগিতা করেছে।
৩.জাবনুল্লার সাথে মিলে মুজাহিদ আলী রাফআন এবং মুবারক ইবনে সালেম রহিমাহুমাল্লাহর
উপর বিমানহামলায় সহযোগিতা করেছে।
৪.মুজাহিদ হাকীম আশ শারুরী এবং তামীম আশ শিহরীর গাড়িতে ইলেকট্রনিক চিপ সেট করেছে।
৫.মুজাহিদ ভাই আবু উবাইদাহ আশ শারুরী এবং আজ্জাম আস সাইউনী রহিমাহুমাল্লাহকে গুপ্তহত্যার ঘটনায়ও সে জড়িত ছিল।
৬.আরও তিনজন ভাইকে গুপ্তহত্যার ঘটনায় সে দায়ী।তাদের মধ্যে রয়েছেন-ভাই খালেদ ইবনে আব্দুল্লাহ করামিজ রহিমাহমুুল্লাহ।
৭.ভাই আলী জাবহান, খাত্তাব ইবনে হাজলান আস সাইআরী,এবং সালামা আশ শারুরী ও তাঁর সহোদর ভাই কে নিয়ে গঠিত একটি অপারেশন টিমের অভিযানে রওয়ানা হওয়ার আগেই শত্রুকে অভিযান স্হল সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করেছে। যার ফলে এই দলটির সকল ভাইই গ্রেফতারির শিকার হন।
আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদেরকে দ্রুত মুক্তির ব্যাবস্হা করে দিন।আমীন।
★নিরাপত্তা বিভাগ নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত তার কিছু অপরাধ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছে।
★★★★★★★★★★★
Comment