★★★★★★★★★★★
'একিউএপি'র নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বশীল শায়েখ ইবরাহিম আবু সালেহ হাফিজাহুল্লার বিবৃতি
★★★★★★★★★★★
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য-যিনি অসীম করুণাময়, যার কাছে নিজ বান্দার সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিষয় আর অন্তরের গুপ্তভেদ-কোন কিছুই অজানা নয়।
যিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী,বড়ত্ব ও মহত্তের অধিকারী,-
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই,তিনি এক ও একক-তাঁর কোন শরীক নেই,যিনি তার কিতাবে ঘোষণা দিয়েছেন- "আর তারই কাছে রয়েছে গায়েবের সকল খাজানা সমূহ,যা তিনি ছাড়া আর কেউ জানেনা.. জল ও স্হলে যা কিছু আছে তিনি তার সবই জানেন,তার জানা ব্যাতীত একটা পাতাও পড়েনা,এবং সারাপৃথিবীর অাঁধাররাশিতে কোন একটি শস্যদানাও নেই- কাঁচা কিংবা পাকা এমনকোন বিষয়ই নেই -যা সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ নয়।"
(সুরা আলআনআম:৫৯)
আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম আল্লাহ তায়ালার বান্দা ও রাসুল,যিনি ইরশাদ করেছেন-মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য ৩ টি।কথা বললে মিথ্যা বলে,ওয়াদা করলে ভঙ করে আর তার কাছে আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে।
সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর প্রতি,তাঁর পরিবার -পরিজন ও সাহাবাগণের প্রতি...
হামদ ও সালাতের পর:
★
আমরা আনন্দের সঙে আমাদের প্রিয় উম্মাহকে, এবং আমাদের সকল মুজাহিদ ভাইদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছি
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নিজ অনুগ্রহে আমাদের কে সৌদী গোয়েন্দা সংস্হার পাঠানো গুপ্তচরদের প্রধান টিমটাকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করার তাওফিক দিয়েছন-এরা ছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্হাগুলোর অনুগত এবং সৌদী গোয়েন্দা সংস্হা বহু বছর ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে এদেরকে গড়ে তুলেছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে,আর এমন সব জঘন্য অপরাধের স্বীকারোক্তি দিয়েছে-যা জাহেলী যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়,এই উম্মতের ফেরাউন আবু জাহেলও যা করতে সক্ষম হয়নি।
আর এই ইন্টেলিজেন্স যুদ্ধে অর্জিত সফলতা ও বিজয় আলকায়েদার একার নয়,বরং এ বিজয় পুরো উম্মাহর,সমস্ত মুসলমানের।
তাই আমাদের উপর উম্মাহর হক হল এ সব গাদ্দারদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানা,যেন তারা নিজ দায়িত্ব সম্বন্ধে সজাগ হতে পারেন,নিজেদের ইমান আমল,জান মাল,এবং ইজ্জত আবরু হেফাজত করতে পারেন,আর তাদের সামনে কুচক্রিদের চক্রান্ত সুস্পষ্ট হয়ে যায়।
উম্মাহর প্রতি আমাদের এই দায়বদ্ধতা থেকে মুসলমান সর্বসাধারণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে তানজিমের মিডিয়া বিভাগের ভাইয়েরা "গুপ্তচরবৃত্তির বিনাশ"শিরোনামে কয়েক পর্বের একটা ধারাবাহিক ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছেন।
যার প্রতিটি পর্বে পর্বে আছে এই উম্মাহর বিরুদ্ধে আল্লাহ ও রাসুলের শত্রুদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিবরণ।
এখন সকল মুসলমানের দায়িত্ব হল গভীর মনোযোগ ও চিন্তাসহকারে ধারাবাহিকটির প্রতিটি পর্ব অধ্যয়ন করা।কারণ শত্রুর যুদ্ধপদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা ও বিস্তৃত জ্ঞান আমাদেরকে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, সংগ্রাম ও বিজয় অর্জনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বি ইযনিল্লাহ।
★
আর আল্লাহর দীনকে সাহায্য করার লক্ষ্যে, আল্লাহর কালিমাকে বুলন্দ করার উদ্দেশ্য আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছেন এমন প্রতিটি মুজাহিদ ভাইয়ের উদ্দেশ্যে আমি বলবো....
সুসংবাদ গ্রহণ করুন,আনন্দের খবর শ্রবণ করুন।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নিশ্চয় তার দ্বীনকে এবং তার দ্বীনের অনুগত প্রিয় বান্দাদের সাহায্য করবেন,আর শুভপরিণতি মুত্তাকীদের জন্যই।
মুমিনদের কে সাহায্য করার দায়িত্ব তো আল্লাহ নিজেই নিয়েছেন;আল্লাহ ইরশাদ করেন"অতিঅবশ্যই আমরা সাহায্য করবো আমাদের রাসুলদেরকে,এবং মুমিনদেরকে -এই পার্থিব জগতেও,এবং সাক্ষীরা (আল্লাহর সামনে) দন্ডায়মান হওয়ার দিনেও..(সুরা আলগাফির:৫১))
সুসংবাদ গ্রহণ করুন-এই দিন বিজয়ী হবেই...
মর্যাদাবানদেরকে সম্মানিত করে আর মর্যাদাহীনদেরকে অপমানিত করে আল্লাহ এই দ্বীন কে বিজয়ী করবেন।
আর তখন সম্মান ও মর্যাদা হবে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য এবং অপমান ও হীনতা হবে কুফর ও কাফেরদের জন্য...
★
আর সৌদ পরিবারের তাগুতদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই,বড় নিকৃষ্ট কাজ তোমরা করেছো,বড় জঘন্য উদ্যোগ তোমরা নিয়েছো আল্লাহর প্রজ্জলিত আলোকে নেভাবার জন্য।
তোমরা যা করেছো জাহেলী যুগের আবুজেহেলরাও ইসলামের বিরুদ্ধে তখনকার যুদ্ধে সেটা করতে পারেনি।কিন্তু জেনে রেখো তোমাদের সমস্ত উদ্যোগ ও চক্রান্ত,সব আয়োজন ও ষড়যন্ত্র ব্যার্থতায় পর্যবসিত হবে বি ইজনিল্লাহ...
আর শিঘ্রই সেই দিনটি আসবে যেদিন আল্লাহ তায়ালা তার সৈনিকদের শক্তিশালী করবেন,আর তোমাদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বিজয় দান করবেন।
★
আর যে সব গাদ্দার এজেন্ট তোমরা পাঠিয়েছিলে তাদের সবার মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে আল্লাহ তাদেরকে লোকসমাজে সবার সামনে অপমানিত করেছেন।
তোমাদের প্রতিপালিত এজেন্টরাই এখন তোমাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার কথা প্রকাশ করে দিয়েছে।জাহেলী যুগের বর্বরতাকে হার মানানো তোমাদের নানা অপরাধের কথা তারা অকপটে স্বীকার করেছে।
অন্যায়ভাবে নিরপরাধ মানবহত্যা থেকে শুরু করে মানুষের ইজ্জত আবরুর উপর হামলা,এমনকি মার্কিনীদেরকে নির্লজ্জ সহযোগিতার মতো অপরাধ তোমরা করেছো -অথচ মার্কিনীরা ইয়েমেনের এই ভূখণ্ডে নিরীহ মুসলমানদের কে শুধুমাত্র আল্লাহকে রব হিসেবে মানার অপরাধে চালকবিহীন বিমানহামলায় নির্বিচারে হত্যা করছে।
আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট,আর তিনিই সর্বোত্তম অভিভাবক।
★
আর সকল গোয়েন্দা ও ডাবল এজেন্টদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো-জেনে রেখো,আল্লাহ তোমার মুখোশ উন্মোচন করবেনই,আজ কিংবা কাল।
মুজাহিদীনরা আল্লাহর তাওফিকে তোমাকে শিঘ্রই হোক কিংবা বিলম্বে হোক,পাকড়াও করবেনই।আর তোমাদের পরিণতিও হবে এই গাদ্দারদের মতো-যাদেরকে আল্লাহ মুজাহিদীনদের কাতার থেকে এমনভাবে বহিষ্কার করেছেন -যেটা তারা কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনি।
ইতিপূর্বে একাধিকবার আমরা যেসব গুপ্তচর আল্লাহর কাছে তাওবা করে মহজাহিদীনদের হাতে আত্নসমর্পণ করবে তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলাম।কিছু কিছু গুপ্তচর এই সুযোগ কাজেও লাগিয়েছে।যদি এই গাদ্দার গুপ্তচররাও আত্নসমর্পণ করতো তাহলে আমরা এদেরকেও ক্ষমা করতাম,এদের বিষয়টা গোপন রাখতাম,এবং এদেরকে নিরাপত্তা দিতাম।
কিন্তু এরা এদের ভ্রষ্টতাতে অবিচল ছিল।সুতরাং আজকের এই করুণ পরিণতি ওদের নিজেদেরই হাতের কামাই।
★
হে আল্লাহ! আপনি ইসলামকে বিজয়ী করুন আর মুসলমানদেরকে সাহায্য করুন।
হে আল্লাহ!আপনি শিরককে এবং মুশরিকদের কে পরাজিত ও লাঞ্চিত করুন।
হে আল্লাহ! আপনি সব জায়গায় আমাদের মুজাহিদ ভাইদেরকে সাহায্য করুন,তাদের প্রতি করুণা বর্ষন করুন,শত্রুর ষড়যন্ত্র আর কুচক্রীদের চক্রান্ত থেকে আপনি তাদের হেফাজত করুন।
হে আল্লাহ!আপনি সকল জায়গায় মুসলিম বন্দীদেরকে মুক্তি দান করুন,অটল ও অবিচল অবস্হায়।
হে আল্লাহ!আপনি ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের কে সাহায্য করুন,আপনি তাদের সহায় হয়ে যান,তাদের আঘাতগুলোকে আপনি অব্যার্থ আঘাত বানিয়ে দিন,
ইহুদী খ্রিষ্টান ও ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে তাদের বিজয় দান করুন।আমীন।
ওয়া আখিরু দাওয়ানা আনিল হামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামিন।
★★★★★★★★★★★
"হাদমুল জাসুসিয়্যা"ডকুমেন্টারি পরিচিতি
★★★★
:মুসলমান জনসাধারণকে এবং বিশেষ ভাবে মুজাহিদদের সচেতনতার উদ্দেশ্যে নির্মিত ধারাবাহিক ডকুমেন্টারি সিরিজ "হাদমুল জাসুসিয়্যাহ"---(গুপ্তচরবৃত্তির বিনাশ") এর কভার পেইজ।
এ সিরিজের পর্বগুলোর শিরোনাম নিম্নরূপ-
১.গুপ্তচরবৃত্তি ও গোয়েন্দাগিরি।
২.ড্রোনহামলার গোপন কৌশল
৩."এক গুপ্তচরের গল্প।"
৪."কি করে ওরা এ পর্যন্ত পৌছল আর কিভাবে গ্রেফতার হল।"
৫."তবুও কি ওরা কি আল্লাহর কাছে তাওবা করবেনা?"
----এখানে এ পরিচিতিমূলক ভিডিওটিতে ডকুমেন্টারি সিরিজের প্রতিটি পর্বেরই চুম্বকাংশ তুলে ধরা হয়েছে...
প্রথম পর্বের একটি দৃশ্যভাষ্যকারের কণ্ঠে)
-------------------
"গুপ্তচরবৃত্তির বিনাশ করতে হলে আগে এই বিষয়টি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকা জরুরী।...তাই এবারের পরিবেশনা গোয়েন্দাবৃত্তির পরিচিতি..
(দৃশ্যে চোখবাঁধা একজন গেয়েন্দা জাবনুল্লাহ আশ শারুরীর স্বীকারোক্তি)
"আপনি যদি কোনো এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন,আপনি সেখানে শক্তিশালী হন,আর আমি সেখানে গুজব ছড়াতে আসি -সে গুজবে কেউই কান দেবেনা এমনটা ভাবা অযৌক্তিক।"....
(দৃশ্য:২:মুজাহিদ ভাইয়েরা একটা জেলখানায় হামলা করে বন্দীদেরকে মুক্ত করছেন")
(দৃশ্য৩:আরো একজন গোয়েন্দার স্বীকারোক্তি প্রদানের দৃশ্য
"সে সময়ে তারা........ কে এবং হুসাম আল খালেদীকে পাঠাল....
.....
দ্বিতীয় পর্বের চুম্বকাংশ-
----------------
দৃশ্য:ড্রোনহামলায় ইয়েমেনের মুজাহিদদের একটি স্হাপনা ধুলিস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে.....
দৃশ্য২:গোয়েন্দা ফারুক আল ক্বসিমীর স্বীকারোক্তি
"ওই মুহূর্তে আমি আবুল ইজ এর সঙে যোগাযোগ করে জিজ্ঞেস করলাম,'আপনি কোথায়?'
তিনি জানালেন যে তিনি অর্থভবনে অবস্হান করছেন।........
দৃশ্য৩:গোয়েন্দা উসমান বিন আলী আশ শিহরীর জবানবন্দী:"ব্যাপারটা শুধু কাউকে টার্গেট করে হামলা করা -এতটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ না,বরং বিষয়টা আরো বড়...
তৃতীয় পর্বের চুম্বকাংশ:
-----------------
(এক গুপ্তচরের গল্প)
"(গোয়েন্দা আবু আমের আল মক্কীর বিভৎস একটা দৃশ্য,হাতে ফু দিয়ে কিছু একটা ফুলানোর চেষ্টা করছে।প্রায় পুরোটা দেহ বেলুনের মত ফুলে ওঠেছে।...)
(দৃশ্য২:গোয়েন্দা জাবনুল্লাহ আশ শারুরীর জবানবন্দী।)
"আমি এই পাপের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে চাই।এই দীর্ঘ সময় ধরে যে অপরাধ আর দুশ্চিন্তার বোঝা আমি বহন করে যাচ্ছি...
মনে হচ্ছে যখন থেকে এই পথে আমি নেমেছি তখন থেকে আল্লাহ আমার অন্তরে সীলমোহর মেরে দিয়েছেন...
চতুর্থ পর্বের চুম্বকাংশ:
(গোয়েন্দা উসমান বিন আলী আশ শিহরীর জবানবন্দী)
খাওলান,হামজা এবং সাওয়াদ সবাই আলমানাসিহ অন্ঞলে গিয়েছেন।(কমান্ডারদের অনুপস্হিতিতে আমি কমান্ডারের ভূমিকা পালন করতে লাগলাম)...
(দৃশ্য৩:আরেকজন গোয়েন্দার স্বীকারোক্তি প্রদানের দৃশ্য [ আবু আমের আল মক্কী])
এই অবস্হান পর্যন্ত পৌছার জন্য অনেক সাধনা করেছি আমি,এবং এমন একটা অবস্হানে পৌছেছি-যে আমার আশেপাশের ভাইয়েরা যে কোনো সমস্যার সমাধানে আমাকেই স্মরণ করত।
(দৃশ্য৪:আবারও উসমান বিন আলী আশ শিহরীর স্বীকারোক্তি)
"ইতিমধ্যেই ভাইয়েরা অনেক সন্দেহজনক ব্যাক্তির নাম সংগ্রহ করে ফেলেছিল।কিন্তু আমি অনেকটা নিশ্চিন্ত ছিলাম,কারণ আমি সবসময়ই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সতর্কতা গ্রহণ করতাম।তাদের সঙে খুব বেশিক্ষণ সাক্ষাৎ করতামনা।
ফলে মুজাহিদ ভাইদেরকে যদি আপনি আমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন করেন তাহলে তারা কেউ বিশ্বাসও করতে পারবেনা যে আমি একজন স্পাই।"
(দৃশ্য:৫গোয়েন্দা আবু আমের আল মক্কী একটা ব্যাগ গোছাচ্ছে...)
"আমি আশা করছিলাম বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পরেই আপনাররা আমাকে গ্রেফতার করবেন।...
আমি বিচারককে জিজ্ঞেস করলাম-কেন তারা আমাকে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পরও গ্রেফতার করেননি?"...
(দৃশ্য:৬ গোয়েন্দা হামজা আশ শারুরীর জবানবন্দী)
"সবকিছু ঠিকঠাকভাবেই চলছিল।কেউ কোনোকিছু জানতোনা।কোনদিন আমি কল্পনাও করিনি যে আমি গ্রেফতার হবো...
কিন্তু আমি ফাঁদে আটকা পড়েছি.."
পন্ঞম পর্বের চুম্বকাংশ
----------------
দৃশ্য১:
(গোয়েন্দা জাবনুল্লাহ আশ শারুরি দুইহাতে মুখ চাপড়ে হাউমাউ করে কাঁদছে,হাতকড়া আছে এক হাতে,অনুতাপে দুই হাতের বুড়ো আঙুল কামড়ে ধরেছে।
ব্যাকগ্রাউন্ডে পবিত্র কুরআনুল কারীমের আয়াতের তিলাওয়াত-"এবং যেদিন জালেম তার দুইহাত কামড়াবে(আফসোসো) এবং বলবে হায় আফসোস!যদি আমি রসুলের সঙে তাঁর পথ অবলম্বন করতাম!
হায় আফসোস! যদি আমি অমুককে বন্ধু না বানাতাম।
অতিঅবশ্যই সে আমাকে উপদেশ থেকে বিচ্যুত করেছে তা আমার কাছে পৌছার পরও,নি:সন্দেহে শয়তান মানুষের সাহায্য পরিত্যাগকারী...সুরা আলফোরকান:২৭-২৯)
(দৃশ্য দুই:একজন গোয়েন্দা ভুল বুঝতে পেরে বিবৃতি দিচ্ছেন)
"এক অনিশ্চিত ভয়াবহ গন্তব্যের পথে আমি পা বাড়িয়েছিলাম।
কিন্তু এখন আমি জানতে পেরেছি,এখন আমি বুঝতে পেরেছি..।
আল্লাহর শোকর তিনি আমাকে ভুলের উপরই অটল থাকার সুযোগ দেননি..
হে আল্লাহ!তোমার শোকর যে তুমি আমাকে সজাগ করেছো..!
আলহামদুলিল্লাহ!আলহামদুলিল্লাহ!!আলহামদুলিল্লাহ!!!.. .
(দৃশ্য ২:জাবনুল্লাহ আশ শারুরীর কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুতাপ-)
আমরা পশুবৃত্তির এতটাই নিম্নস্তরে নেমেছি যে এমন জঘণ্য কাজগুলো করতে পারলাম!
আজকের আগে কোনদিন কেন এটা নিয়ে একটু চিন্তাও করলাম না..
(দৃশ্য৩:গোয়েন্দাদের উদ্দেশ্যে গুপ্তচর হামজা আশ শারুরীর উপদেশ)
যদি তোমরা ভুল স্বীকার করে মুজাহিদ ভাইদের হাতে আত্নসমর্পণ করো তাহলে তারা তোমাকে নিরাপত্তা দিবেন,এবং পরিচয় গোপন রাখবেন,
কিন্তু যদি তোমরা আত্নসমর্পণ না করো তাহলেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু ঠিকই ভাইদের হাতে গ্রেফতার হবে....
সুতরাং তোমার জন্য উত্তম হলো সুযোগটা লুফে নেওয়া...এবং সুযোগ হারানোর আগেই মুজাহিদ ভাইদের হাতে আত্নসমর্পণ করা...
পরের দৃশ্য:
---------
শায়েখ কাসেম আর রিমির বিবৃতি:
"এখন কেউ হয়তো বলতে পারে,এসব গোয়েন্দাদের মধ্যে কারো কারো হাত তো অবৈধ হত্যার রক্তে রন্জিত...(তো তাদের ক্ষেত্রে কি ফায়সালা হবে?তারাও কি নিরাপত্তা পাবে?)
এটা তো একটা যুদ্ধ..এটা একটা যুদ্ধ...
যা কিছুই হোক,(আমি আশ্বস্ত করছি)কেউ যদি অবৈধ হত্যার সাথেও জড়িত হয়ে থাকে,আর এখন অনুতপ্ত হয়ে গ্রেফতার হওয়ার আগে নিজেই আত্নসমর্পণ করে তাহলে তার জন্য থাকবে -নিরাপত্তা আর আমান...
(এরপরের দৃশ্যে আবারো গোয়েন্দা...হামজা আশ শারুরী তার অসম্পূর্ণ উপদেশের সমাপ্তি টানছে)
....প্রতিটি গোয়েন্দাকেই আমি বলছি একবার এই বিষয়টা নিয়ে নিজের সঙে বোঝাপড়া করো,একটু ভাবো...যদি আজ তুমি তাওবা করো,আর নিরাপত্তাবিভাগের ভাইয়েরা তোমাকে গ্রেফতার করার আগেই নিজেকে তোমার (মুজাহিদদের নিযুক্ত) জেলা প্রশাসকের হাতে সমর্পণ করো,
এভাবে যদি তুমি আমীরের কাছে গিয়ে বলো-যে আমি সিকিউরিটি বিভাগের ভাইদের সাথে দেখা করতে চাই,আমি এই এই অপরাধ করেছি,কিন্তু এখন আমি তাওবা করে অনুতপ্ত হয়ে এসেছি,আমি আল্লাহ তায়ালার ক্ষমার ভিখারি হয়ে এসেছি...আমি সিকিউরিটি বিভাগের কাছে সারেন্ডার করতে চাই...
একবার একটু কল্পনা করো,এভাবে তাওবার পর,তুমি যদি সে রাতেই নিহত হও,নিরাপত্তাবিভাগের ভাইদের পর্যন্ত পৌছার এবং তাদের কাছে সারেন্ডার করার আগেই-তাহলে ভাইয়েরা কি তোমার সঙে উত্তম আচরণ করবেন না?আর মহান রব আল্লাহ তায়ালাও কি তোমাকে ক্ষমার নজরে দেখবেননা?
তুমি তো তাওবা করেছো,অনুতপ্ত হয়েছো...একবার হৃদয় দিয়ে বিষয়টা অনুভব করার চেষ্টা করো।
(দৃশ্য৪:শায়েখ আবু বিশর মুহাম্মাদ আদ দাররামাহ হাফিজাহুল্লার বিবৃতি)
বরং তোমার উপর জরুরী হল যত দ্রুত সম্ভব তুমি তোমার সঙী মুজাহিদদের কাছে আত্নসমর্পণ করো,এবং তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকো যে তোমার সঙীরা তোমাকে স্বাগত জানাবে,তোমার ভুলগুলো গোপন রাখবে,এবং তোমাকে সুরক্ষা দিবে,এমনকি তোমার হয়ে তোমার পাশে সংগ্রাম ও লড়াইও করবে।
যেমনটা ইতিমধ্যে বেশ কিছু গুপ্তচরের ক্ষেত্রে করা হয়েছে।
তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি,আবার শত্রুদেরকেও তাদের দিয়ে দাবা খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।আল্লাহ তায়ালা মুজাহিদ ভাইদেরকে দ্রুত মুক্তির ব্যাবস্হা করে দিন।আমীন।
'একিউএপি'র নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বশীল শায়েখ ইবরাহিম আবু সালেহ হাফিজাহুল্লার বিবৃতি
★★★★★★★★★★★
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য-যিনি অসীম করুণাময়, যার কাছে নিজ বান্দার সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিষয় আর অন্তরের গুপ্তভেদ-কোন কিছুই অজানা নয়।
যিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী,বড়ত্ব ও মহত্তের অধিকারী,-
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই,তিনি এক ও একক-তাঁর কোন শরীক নেই,যিনি তার কিতাবে ঘোষণা দিয়েছেন- "আর তারই কাছে রয়েছে গায়েবের সকল খাজানা সমূহ,যা তিনি ছাড়া আর কেউ জানেনা.. জল ও স্হলে যা কিছু আছে তিনি তার সবই জানেন,তার জানা ব্যাতীত একটা পাতাও পড়েনা,এবং সারাপৃথিবীর অাঁধাররাশিতে কোন একটি শস্যদানাও নেই- কাঁচা কিংবা পাকা এমনকোন বিষয়ই নেই -যা সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ নয়।"
(সুরা আলআনআম:৫৯)
আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম আল্লাহ তায়ালার বান্দা ও রাসুল,যিনি ইরশাদ করেছেন-মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য ৩ টি।কথা বললে মিথ্যা বলে,ওয়াদা করলে ভঙ করে আর তার কাছে আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে।
সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর প্রতি,তাঁর পরিবার -পরিজন ও সাহাবাগণের প্রতি...
হামদ ও সালাতের পর:
★
আমরা আনন্দের সঙে আমাদের প্রিয় উম্মাহকে, এবং আমাদের সকল মুজাহিদ ভাইদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছি
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নিজ অনুগ্রহে আমাদের কে সৌদী গোয়েন্দা সংস্হার পাঠানো গুপ্তচরদের প্রধান টিমটাকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করার তাওফিক দিয়েছন-এরা ছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্হাগুলোর অনুগত এবং সৌদী গোয়েন্দা সংস্হা বহু বছর ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে এদেরকে গড়ে তুলেছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে,আর এমন সব জঘন্য অপরাধের স্বীকারোক্তি দিয়েছে-যা জাহেলী যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়,এই উম্মতের ফেরাউন আবু জাহেলও যা করতে সক্ষম হয়নি।
আর এই ইন্টেলিজেন্স যুদ্ধে অর্জিত সফলতা ও বিজয় আলকায়েদার একার নয়,বরং এ বিজয় পুরো উম্মাহর,সমস্ত মুসলমানের।
তাই আমাদের উপর উম্মাহর হক হল এ সব গাদ্দারদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানা,যেন তারা নিজ দায়িত্ব সম্বন্ধে সজাগ হতে পারেন,নিজেদের ইমান আমল,জান মাল,এবং ইজ্জত আবরু হেফাজত করতে পারেন,আর তাদের সামনে কুচক্রিদের চক্রান্ত সুস্পষ্ট হয়ে যায়।
উম্মাহর প্রতি আমাদের এই দায়বদ্ধতা থেকে মুসলমান সর্বসাধারণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে তানজিমের মিডিয়া বিভাগের ভাইয়েরা "গুপ্তচরবৃত্তির বিনাশ"শিরোনামে কয়েক পর্বের একটা ধারাবাহিক ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছেন।
যার প্রতিটি পর্বে পর্বে আছে এই উম্মাহর বিরুদ্ধে আল্লাহ ও রাসুলের শত্রুদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিবরণ।
এখন সকল মুসলমানের দায়িত্ব হল গভীর মনোযোগ ও চিন্তাসহকারে ধারাবাহিকটির প্রতিটি পর্ব অধ্যয়ন করা।কারণ শত্রুর যুদ্ধপদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা ও বিস্তৃত জ্ঞান আমাদেরকে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, সংগ্রাম ও বিজয় অর্জনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বি ইযনিল্লাহ।
★
আর আল্লাহর দীনকে সাহায্য করার লক্ষ্যে, আল্লাহর কালিমাকে বুলন্দ করার উদ্দেশ্য আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছেন এমন প্রতিটি মুজাহিদ ভাইয়ের উদ্দেশ্যে আমি বলবো....
সুসংবাদ গ্রহণ করুন,আনন্দের খবর শ্রবণ করুন।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নিশ্চয় তার দ্বীনকে এবং তার দ্বীনের অনুগত প্রিয় বান্দাদের সাহায্য করবেন,আর শুভপরিণতি মুত্তাকীদের জন্যই।
মুমিনদের কে সাহায্য করার দায়িত্ব তো আল্লাহ নিজেই নিয়েছেন;আল্লাহ ইরশাদ করেন"অতিঅবশ্যই আমরা সাহায্য করবো আমাদের রাসুলদেরকে,এবং মুমিনদেরকে -এই পার্থিব জগতেও,এবং সাক্ষীরা (আল্লাহর সামনে) দন্ডায়মান হওয়ার দিনেও..(সুরা আলগাফির:৫১))
সুসংবাদ গ্রহণ করুন-এই দিন বিজয়ী হবেই...
মর্যাদাবানদেরকে সম্মানিত করে আর মর্যাদাহীনদেরকে অপমানিত করে আল্লাহ এই দ্বীন কে বিজয়ী করবেন।
আর তখন সম্মান ও মর্যাদা হবে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য এবং অপমান ও হীনতা হবে কুফর ও কাফেরদের জন্য...
★
আর সৌদ পরিবারের তাগুতদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই,বড় নিকৃষ্ট কাজ তোমরা করেছো,বড় জঘন্য উদ্যোগ তোমরা নিয়েছো আল্লাহর প্রজ্জলিত আলোকে নেভাবার জন্য।
তোমরা যা করেছো জাহেলী যুগের আবুজেহেলরাও ইসলামের বিরুদ্ধে তখনকার যুদ্ধে সেটা করতে পারেনি।কিন্তু জেনে রেখো তোমাদের সমস্ত উদ্যোগ ও চক্রান্ত,সব আয়োজন ও ষড়যন্ত্র ব্যার্থতায় পর্যবসিত হবে বি ইজনিল্লাহ...
আর শিঘ্রই সেই দিনটি আসবে যেদিন আল্লাহ তায়ালা তার সৈনিকদের শক্তিশালী করবেন,আর তোমাদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বিজয় দান করবেন।
★
আর যে সব গাদ্দার এজেন্ট তোমরা পাঠিয়েছিলে তাদের সবার মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে আল্লাহ তাদেরকে লোকসমাজে সবার সামনে অপমানিত করেছেন।
তোমাদের প্রতিপালিত এজেন্টরাই এখন তোমাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার কথা প্রকাশ করে দিয়েছে।জাহেলী যুগের বর্বরতাকে হার মানানো তোমাদের নানা অপরাধের কথা তারা অকপটে স্বীকার করেছে।
অন্যায়ভাবে নিরপরাধ মানবহত্যা থেকে শুরু করে মানুষের ইজ্জত আবরুর উপর হামলা,এমনকি মার্কিনীদেরকে নির্লজ্জ সহযোগিতার মতো অপরাধ তোমরা করেছো -অথচ মার্কিনীরা ইয়েমেনের এই ভূখণ্ডে নিরীহ মুসলমানদের কে শুধুমাত্র আল্লাহকে রব হিসেবে মানার অপরাধে চালকবিহীন বিমানহামলায় নির্বিচারে হত্যা করছে।
আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট,আর তিনিই সর্বোত্তম অভিভাবক।
★
আর সকল গোয়েন্দা ও ডাবল এজেন্টদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো-জেনে রেখো,আল্লাহ তোমার মুখোশ উন্মোচন করবেনই,আজ কিংবা কাল।
মুজাহিদীনরা আল্লাহর তাওফিকে তোমাকে শিঘ্রই হোক কিংবা বিলম্বে হোক,পাকড়াও করবেনই।আর তোমাদের পরিণতিও হবে এই গাদ্দারদের মতো-যাদেরকে আল্লাহ মুজাহিদীনদের কাতার থেকে এমনভাবে বহিষ্কার করেছেন -যেটা তারা কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনি।
ইতিপূর্বে একাধিকবার আমরা যেসব গুপ্তচর আল্লাহর কাছে তাওবা করে মহজাহিদীনদের হাতে আত্নসমর্পণ করবে তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলাম।কিছু কিছু গুপ্তচর এই সুযোগ কাজেও লাগিয়েছে।যদি এই গাদ্দার গুপ্তচররাও আত্নসমর্পণ করতো তাহলে আমরা এদেরকেও ক্ষমা করতাম,এদের বিষয়টা গোপন রাখতাম,এবং এদেরকে নিরাপত্তা দিতাম।
কিন্তু এরা এদের ভ্রষ্টতাতে অবিচল ছিল।সুতরাং আজকের এই করুণ পরিণতি ওদের নিজেদেরই হাতের কামাই।
★
হে আল্লাহ! আপনি ইসলামকে বিজয়ী করুন আর মুসলমানদেরকে সাহায্য করুন।
হে আল্লাহ!আপনি শিরককে এবং মুশরিকদের কে পরাজিত ও লাঞ্চিত করুন।
হে আল্লাহ! আপনি সব জায়গায় আমাদের মুজাহিদ ভাইদেরকে সাহায্য করুন,তাদের প্রতি করুণা বর্ষন করুন,শত্রুর ষড়যন্ত্র আর কুচক্রীদের চক্রান্ত থেকে আপনি তাদের হেফাজত করুন।
হে আল্লাহ!আপনি সকল জায়গায় মুসলিম বন্দীদেরকে মুক্তি দান করুন,অটল ও অবিচল অবস্হায়।
হে আল্লাহ!আপনি ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের কে সাহায্য করুন,আপনি তাদের সহায় হয়ে যান,তাদের আঘাতগুলোকে আপনি অব্যার্থ আঘাত বানিয়ে দিন,
ইহুদী খ্রিষ্টান ও ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে তাদের বিজয় দান করুন।আমীন।
ওয়া আখিরু দাওয়ানা আনিল হামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামিন।
★★★★★★★★★★★
"হাদমুল জাসুসিয়্যা"ডকুমেন্টারি পরিচিতি
★★★★
:মুসলমান জনসাধারণকে এবং বিশেষ ভাবে মুজাহিদদের সচেতনতার উদ্দেশ্যে নির্মিত ধারাবাহিক ডকুমেন্টারি সিরিজ "হাদমুল জাসুসিয়্যাহ"---(গুপ্তচরবৃত্তির বিনাশ") এর কভার পেইজ।
এ সিরিজের পর্বগুলোর শিরোনাম নিম্নরূপ-
১.গুপ্তচরবৃত্তি ও গোয়েন্দাগিরি।
২.ড্রোনহামলার গোপন কৌশল
৩."এক গুপ্তচরের গল্প।"
৪."কি করে ওরা এ পর্যন্ত পৌছল আর কিভাবে গ্রেফতার হল।"
৫."তবুও কি ওরা কি আল্লাহর কাছে তাওবা করবেনা?"
----এখানে এ পরিচিতিমূলক ভিডিওটিতে ডকুমেন্টারি সিরিজের প্রতিটি পর্বেরই চুম্বকাংশ তুলে ধরা হয়েছে...
প্রথম পর্বের একটি দৃশ্যভাষ্যকারের কণ্ঠে)
-------------------
"গুপ্তচরবৃত্তির বিনাশ করতে হলে আগে এই বিষয়টি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকা জরুরী।...তাই এবারের পরিবেশনা গোয়েন্দাবৃত্তির পরিচিতি..
(দৃশ্যে চোখবাঁধা একজন গেয়েন্দা জাবনুল্লাহ আশ শারুরীর স্বীকারোক্তি)
"আপনি যদি কোনো এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন,আপনি সেখানে শক্তিশালী হন,আর আমি সেখানে গুজব ছড়াতে আসি -সে গুজবে কেউই কান দেবেনা এমনটা ভাবা অযৌক্তিক।"....
(দৃশ্য:২:মুজাহিদ ভাইয়েরা একটা জেলখানায় হামলা করে বন্দীদেরকে মুক্ত করছেন")
(দৃশ্য৩:আরো একজন গোয়েন্দার স্বীকারোক্তি প্রদানের দৃশ্য
"সে সময়ে তারা........ কে এবং হুসাম আল খালেদীকে পাঠাল....
.....
দ্বিতীয় পর্বের চুম্বকাংশ-
----------------
দৃশ্য:ড্রোনহামলায় ইয়েমেনের মুজাহিদদের একটি স্হাপনা ধুলিস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে.....
দৃশ্য২:গোয়েন্দা ফারুক আল ক্বসিমীর স্বীকারোক্তি
"ওই মুহূর্তে আমি আবুল ইজ এর সঙে যোগাযোগ করে জিজ্ঞেস করলাম,'আপনি কোথায়?'
তিনি জানালেন যে তিনি অর্থভবনে অবস্হান করছেন।........
দৃশ্য৩:গোয়েন্দা উসমান বিন আলী আশ শিহরীর জবানবন্দী:"ব্যাপারটা শুধু কাউকে টার্গেট করে হামলা করা -এতটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ না,বরং বিষয়টা আরো বড়...
তৃতীয় পর্বের চুম্বকাংশ:
-----------------
(এক গুপ্তচরের গল্প)
"(গোয়েন্দা আবু আমের আল মক্কীর বিভৎস একটা দৃশ্য,হাতে ফু দিয়ে কিছু একটা ফুলানোর চেষ্টা করছে।প্রায় পুরোটা দেহ বেলুনের মত ফুলে ওঠেছে।...)
(দৃশ্য২:গোয়েন্দা জাবনুল্লাহ আশ শারুরীর জবানবন্দী।)
"আমি এই পাপের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে চাই।এই দীর্ঘ সময় ধরে যে অপরাধ আর দুশ্চিন্তার বোঝা আমি বহন করে যাচ্ছি...
মনে হচ্ছে যখন থেকে এই পথে আমি নেমেছি তখন থেকে আল্লাহ আমার অন্তরে সীলমোহর মেরে দিয়েছেন...
চতুর্থ পর্বের চুম্বকাংশ:
(গোয়েন্দা উসমান বিন আলী আশ শিহরীর জবানবন্দী)
খাওলান,হামজা এবং সাওয়াদ সবাই আলমানাসিহ অন্ঞলে গিয়েছেন।(কমান্ডারদের অনুপস্হিতিতে আমি কমান্ডারের ভূমিকা পালন করতে লাগলাম)...
(দৃশ্য৩:আরেকজন গোয়েন্দার স্বীকারোক্তি প্রদানের দৃশ্য [ আবু আমের আল মক্কী])
এই অবস্হান পর্যন্ত পৌছার জন্য অনেক সাধনা করেছি আমি,এবং এমন একটা অবস্হানে পৌছেছি-যে আমার আশেপাশের ভাইয়েরা যে কোনো সমস্যার সমাধানে আমাকেই স্মরণ করত।
(দৃশ্য৪:আবারও উসমান বিন আলী আশ শিহরীর স্বীকারোক্তি)
"ইতিমধ্যেই ভাইয়েরা অনেক সন্দেহজনক ব্যাক্তির নাম সংগ্রহ করে ফেলেছিল।কিন্তু আমি অনেকটা নিশ্চিন্ত ছিলাম,কারণ আমি সবসময়ই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সতর্কতা গ্রহণ করতাম।তাদের সঙে খুব বেশিক্ষণ সাক্ষাৎ করতামনা।
ফলে মুজাহিদ ভাইদেরকে যদি আপনি আমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন করেন তাহলে তারা কেউ বিশ্বাসও করতে পারবেনা যে আমি একজন স্পাই।"
(দৃশ্য:৫গোয়েন্দা আবু আমের আল মক্কী একটা ব্যাগ গোছাচ্ছে...)
"আমি আশা করছিলাম বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পরেই আপনাররা আমাকে গ্রেফতার করবেন।...
আমি বিচারককে জিজ্ঞেস করলাম-কেন তারা আমাকে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পরও গ্রেফতার করেননি?"...
(দৃশ্য:৬ গোয়েন্দা হামজা আশ শারুরীর জবানবন্দী)
"সবকিছু ঠিকঠাকভাবেই চলছিল।কেউ কোনোকিছু জানতোনা।কোনদিন আমি কল্পনাও করিনি যে আমি গ্রেফতার হবো...
কিন্তু আমি ফাঁদে আটকা পড়েছি.."
পন্ঞম পর্বের চুম্বকাংশ
----------------
দৃশ্য১:
(গোয়েন্দা জাবনুল্লাহ আশ শারুরি দুইহাতে মুখ চাপড়ে হাউমাউ করে কাঁদছে,হাতকড়া আছে এক হাতে,অনুতাপে দুই হাতের বুড়ো আঙুল কামড়ে ধরেছে।
ব্যাকগ্রাউন্ডে পবিত্র কুরআনুল কারীমের আয়াতের তিলাওয়াত-"এবং যেদিন জালেম তার দুইহাত কামড়াবে(আফসোসো) এবং বলবে হায় আফসোস!যদি আমি রসুলের সঙে তাঁর পথ অবলম্বন করতাম!
হায় আফসোস! যদি আমি অমুককে বন্ধু না বানাতাম।
অতিঅবশ্যই সে আমাকে উপদেশ থেকে বিচ্যুত করেছে তা আমার কাছে পৌছার পরও,নি:সন্দেহে শয়তান মানুষের সাহায্য পরিত্যাগকারী...সুরা আলফোরকান:২৭-২৯)
(দৃশ্য দুই:একজন গোয়েন্দা ভুল বুঝতে পেরে বিবৃতি দিচ্ছেন)
"এক অনিশ্চিত ভয়াবহ গন্তব্যের পথে আমি পা বাড়িয়েছিলাম।
কিন্তু এখন আমি জানতে পেরেছি,এখন আমি বুঝতে পেরেছি..।
আল্লাহর শোকর তিনি আমাকে ভুলের উপরই অটল থাকার সুযোগ দেননি..
হে আল্লাহ!তোমার শোকর যে তুমি আমাকে সজাগ করেছো..!
আলহামদুলিল্লাহ!আলহামদুলিল্লাহ!!আলহামদুলিল্লাহ!!!.. .
(দৃশ্য ২:জাবনুল্লাহ আশ শারুরীর কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুতাপ-)
আমরা পশুবৃত্তির এতটাই নিম্নস্তরে নেমেছি যে এমন জঘণ্য কাজগুলো করতে পারলাম!
আজকের আগে কোনদিন কেন এটা নিয়ে একটু চিন্তাও করলাম না..
(দৃশ্য৩:গোয়েন্দাদের উদ্দেশ্যে গুপ্তচর হামজা আশ শারুরীর উপদেশ)
যদি তোমরা ভুল স্বীকার করে মুজাহিদ ভাইদের হাতে আত্নসমর্পণ করো তাহলে তারা তোমাকে নিরাপত্তা দিবেন,এবং পরিচয় গোপন রাখবেন,
কিন্তু যদি তোমরা আত্নসমর্পণ না করো তাহলেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু ঠিকই ভাইদের হাতে গ্রেফতার হবে....
সুতরাং তোমার জন্য উত্তম হলো সুযোগটা লুফে নেওয়া...এবং সুযোগ হারানোর আগেই মুজাহিদ ভাইদের হাতে আত্নসমর্পণ করা...
পরের দৃশ্য:
---------
শায়েখ কাসেম আর রিমির বিবৃতি:
"এখন কেউ হয়তো বলতে পারে,এসব গোয়েন্দাদের মধ্যে কারো কারো হাত তো অবৈধ হত্যার রক্তে রন্জিত...(তো তাদের ক্ষেত্রে কি ফায়সালা হবে?তারাও কি নিরাপত্তা পাবে?)
এটা তো একটা যুদ্ধ..এটা একটা যুদ্ধ...
যা কিছুই হোক,(আমি আশ্বস্ত করছি)কেউ যদি অবৈধ হত্যার সাথেও জড়িত হয়ে থাকে,আর এখন অনুতপ্ত হয়ে গ্রেফতার হওয়ার আগে নিজেই আত্নসমর্পণ করে তাহলে তার জন্য থাকবে -নিরাপত্তা আর আমান...
(এরপরের দৃশ্যে আবারো গোয়েন্দা...হামজা আশ শারুরী তার অসম্পূর্ণ উপদেশের সমাপ্তি টানছে)
....প্রতিটি গোয়েন্দাকেই আমি বলছি একবার এই বিষয়টা নিয়ে নিজের সঙে বোঝাপড়া করো,একটু ভাবো...যদি আজ তুমি তাওবা করো,আর নিরাপত্তাবিভাগের ভাইয়েরা তোমাকে গ্রেফতার করার আগেই নিজেকে তোমার (মুজাহিদদের নিযুক্ত) জেলা প্রশাসকের হাতে সমর্পণ করো,
এভাবে যদি তুমি আমীরের কাছে গিয়ে বলো-যে আমি সিকিউরিটি বিভাগের ভাইদের সাথে দেখা করতে চাই,আমি এই এই অপরাধ করেছি,কিন্তু এখন আমি তাওবা করে অনুতপ্ত হয়ে এসেছি,আমি আল্লাহ তায়ালার ক্ষমার ভিখারি হয়ে এসেছি...আমি সিকিউরিটি বিভাগের কাছে সারেন্ডার করতে চাই...
একবার একটু কল্পনা করো,এভাবে তাওবার পর,তুমি যদি সে রাতেই নিহত হও,নিরাপত্তাবিভাগের ভাইদের পর্যন্ত পৌছার এবং তাদের কাছে সারেন্ডার করার আগেই-তাহলে ভাইয়েরা কি তোমার সঙে উত্তম আচরণ করবেন না?আর মহান রব আল্লাহ তায়ালাও কি তোমাকে ক্ষমার নজরে দেখবেননা?
তুমি তো তাওবা করেছো,অনুতপ্ত হয়েছো...একবার হৃদয় দিয়ে বিষয়টা অনুভব করার চেষ্টা করো।
(দৃশ্য৪:শায়েখ আবু বিশর মুহাম্মাদ আদ দাররামাহ হাফিজাহুল্লার বিবৃতি)
বরং তোমার উপর জরুরী হল যত দ্রুত সম্ভব তুমি তোমার সঙী মুজাহিদদের কাছে আত্নসমর্পণ করো,এবং তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকো যে তোমার সঙীরা তোমাকে স্বাগত জানাবে,তোমার ভুলগুলো গোপন রাখবে,এবং তোমাকে সুরক্ষা দিবে,এমনকি তোমার হয়ে তোমার পাশে সংগ্রাম ও লড়াইও করবে।
যেমনটা ইতিমধ্যে বেশ কিছু গুপ্তচরের ক্ষেত্রে করা হয়েছে।
তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি,আবার শত্রুদেরকেও তাদের দিয়ে দাবা খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।আল্লাহ তায়ালা মুজাহিদ ভাইদেরকে দ্রুত মুক্তির ব্যাবস্হা করে দিন।আমীন।
Comment