[size=7][/size
★★★★★★★
ভাষ্যকারের কথা....
এই ডকুমেন্টারি নির্মাণ করতে গিয়ে আমাদের তথ্যের মূল উৎস ছিল-সৌদী গোয়েন্দা সংস্হার অনুগত ধরা খাওয়া সেই ডাবল এজেন্টদের সাথে সরাসরি বৈঠক ও জিজ্ঞাসাবাদ,আর তানজিমের তদন্ত বিভাগের তদন্ত শেষে তৈরী করা রিপোর্টের যতটুকু আমাদেরকে দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে ততটুকু।
নিরাপত্তাবিভাগ আমাদেরকে বেশ কিছু গোয়েন্দার উপর পরিচালিত তদন্তের রিপোর্ট ফাইলের একটা অংশ পড়ার সুযোগ দিয়েছে।
++++++++
তদন্তের রিপোর্ট ফাইল ও রেকর্ড থেকে আরো কিছু গোয়েন্দার জবানবন্দী ও অপরাধের বিবরণ:
++ +++ +++ ++++ ++
{৮}
হুসাম আল খালেদী (আসল নাম মুসাইদ আল খুয়াইতির)।
সেও সৌদী ইন্টেলিজেন্স এজেন্সীর পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত।
প্রথমবারের মত তার জবানবন্দী প্রকাশ করা হচ্ছে।
>নাম?
--মুসাইদ ইবনে সালিহ ইবনে মুহাম্মাদ আল খুওয়াইতির আল খালেদী।
জন্ম:?
--উনাইজা শহরে।
>কে তোমাকে রিক্রুট করেছে?
--গোয়েন্দা অফিসার আবু হাইসাম।সে আমাকে বলেছে -আমরা চাচ্ছি তুমি আবার জিহাদের ময়দানে ফিরে যাও।মুজাহিদদের সাথে আবার যোগাযোগ শুরু করো।
তবে ময়দানে যাওয়ার বিষয়ে তুমি নিজে থেকে আবেদন করবেনা,তোমার অবস্হা দেখে তারাই যেন তোমাকে প্রস্তাব দেয় সে ব্যবস্হা করবে।
>শায়খ নাসর আল আনিসি রহ: উপর কিভাবে ড্রোন হামলা করা হয়?
--শায়েখ নাসর আল আনিসির দেখা পাবার একদিন কি আধাদিন পর,আমি শায়েখের মোবাইল নাম্বার মেজর জাইফুল্লাহ আর রুআইলির কাছে পাঠাই।(মেজর জাইফুল্লাহ সৌদী ইন্টেলিজেন্স অফিসার)
এর প্রায় বারঘন্টা পর সে আমাকে ফোন করে বলে যখন শায়েখ তার মোবাইল অন করবেন তখন আমাদেরকে খবর দিও।
আমি বললাম ওকে।
শায়েখ তার মোবাইল নাম্বার সক্রিয় করলেন,এরপর শায়েখ যখন মাজেদের সঙে বের হলেন আমি "আররার" কারাগারের সাবেক প্রিজনার সৌদী গোয়েন্দা অফিসার মেজর জাইফুল্লাহকে মেসেজ পাঠিয়ে জানিয়ে দিলাম।
আমি আশা করছিলাম তারা এলাকা থেকে বের হয়ে রাস্তায় ওঠলে বম্বিং শুরু হবে।কিন্তু তারা মুকাল্লা শহরে থাকা অবস্হাতেই বোমাবর্ষন শুরু হল-যেখানে আরো অনেক মুজাহিদ ভাই একসাথে বসা ছিলেন।
+++++
যেসব অপরাধের সঙে জড়িত ছিল এই গুপ্তচর।
১.শায়েখ নাসর আল আনিসি রহ: ও তার শিশুপুত্র মুহাম্মাদ কে বম্বিং করে হত্যায় অংশগ্রহণ।এ হামলায় তাদের সঙে আরো শাহাদাত বরণ করেন ভাই আবু হাফস আল মিসরি,ইবরাহিম আল হাদরামী,রামজি আল হাদরামী, সাইদ আল ইন্দোনেশি, আবু মুহাম্মাদ আল আনসারি আল আবয়ানী রহিমাহুমুল্লাহ।
★★★★★
{৯}
গুপ্তচর:নায়েফ ইবনে ফালাহ আল মুতাইরি।
সৌদী সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত।
প্রথমবারের মত তার স্বীকারোক্তি প্রকাশ করা হচ্ছে।
------
>নাম?
----নায়েফ ইবনে ফালাহ ইবনে জায়েদ আল মুতাইরি।
>কার মাধ্যমে গোয়েন্দা বিভাগে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে?
---সৌদী ইন্টেলিজেন্সের অফিসার ফাহাদ আদ দুসরীর মাধ্যমে
তার অপরাধের বিবরণ:
সে মুজাহিদ ভাই আবু আইমান আন নজদী, রাইয়ান আস সানআনী এবং মুহাম্মাদ ইবনে সালেহ ইবনে তুআইমান রহিমাহুমুল্লাহ প্রমুখের জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
********
{১০}
গোয়েন্দা:আহমাদ রুশদী রাশেদ আস সিইলাবী।
জর্ডান সরকারের পক্ষ থেকে গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত।
প্রথমবারের মতো তার স্বীকারোক্তি প্রকাশ করা হচ্ছে।
>নাম?
---আমার নাম আহমাদ রুশদী রাশেদ আস সিইলাবী।
জর্ডানের জারকা অঞ্চলের অধিবাসী।
ব্যাক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও পাঁচ সন্তানের জনক।
>গোয়েন্দা বিভাগে কি কি দায়িত্ব পালন করেছো?
---আমি জর্ডান গোয়েন্দা সংস্হার হয়ে ইন্দোনেশিয়া এবং ইয়েমেনে দায়িত্ব পালন করেছি।
আমি ইয়েমেনে এসেছি ২০০৯ সালে।সামগ্রিক লক্ষ্য ছিল আলকায়েদার বিরুদ্ধে কিছু করা,সুনির্দিষ্ট করে বললে উদ্দেশ্য ছিল-আলকায়েদার নেতৃবৃন্দ,অর্থের উৎস এবং অন্যান্য স্পর্শকাতর বিষয়গুলো পর্যন্ত পৌঁছা।
কিন্তু বাস্তবে,আলকায়েদার হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত আলকায়েদাকে চিনতেই পারিনি।
তার অপরাধের বিবরণ:
সে ইন্দোনেশিয়ায় বেশ কিছু মুজাহিদ গ্রেফতার হওয়ার ক্ষেত্রে নেপথ্য ভূমিকা পালন করেছে।এবং সেখানকার জিহাদী তানজিমগুলো সম্পর্কে তাগুতকে তথ্য সরবরাহ করেছে।
এ ছাড়াও ইয়েমেনে এসে তানজিম আল কায়েদার বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করার উদ্দেশ্যে এতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালার শোকর,তানজিমে তার যোগদান প্রচেষ্টার প্রথম দিনেই মুজাহিদগণ তাকে ধরে ফেলতে সমর্থ হন।
--------------
{১১}
স্পাই:রশিদ আল হাবশী।
ইয়েমেনী ও মার্কিন নাগরিক।
ইয়েমেনের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্হার একজন সদস্য,এবং প্রধান প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।এ ছাড়াও সে হাজরামাউত মরু ও উপত্যকা অঞ্চলের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্হার প্রতিষ্ঠাতা।
ইয়েমেনে মুজাহিদদেরকে আক্রমণ করার জন্য আমেরিকার ফ্লোরিডায় ড্রোনহামলার নীলনকশা বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত গোপন মিটিংগুলোতে সেও অংশ নিয়েছিল।
মুজাহিদদের হাতে বন্দী হয়ে গোয়েন্দা বোমারু বিমানগুলো সম্পর্কে সে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
যেগুলো মুজাহিদরা পরবর্তী কোন প্রকাশনায় "ড্রোন বিমানের হামলার কৌশল"শিরোনামে ডকুমেন্টারির স্বতন্ত্র একটি পর্ব হিসেবে পরিবেশন করবেন ইনশাআল্লাহ।
**********
{১২}
গোয়েন্দা :উসমান শেরী আল জামী।
সোমালিয়ান নাগরিক।
জিবুতি ও কেনিয়া সরকারের পক্ষ থেকে নিযুক্ত।
জর্ডানে তার গোয়েন্দাবৃত্তির উপর ট্রেইনিং সম্পন্ন হয়।।তার সন্দেহ জনক গতিবিধির ব্যাপারে একাধিক রিপোর্ট ও প্রমাণ পাওয়ার ভিত্তিতে
তানজিম আল কায়েদায় যোগ দেওয়ার চেষ্টা করার আগেই তানজিম তাকে গ্রেফতার করে।
তার সংঘটিত কিছু অপরাধের বিবরণ।
১.সোমালিয়ায় থাকাকালে হারাকাতুশ শাবাবের ভাইদের বিষয়ে তাগুতকে তথ্য প্রদান।
-------
এ খানে আমরা একটা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই-যে একই টার্গেটকে হত্যায় কখনো কখনো একাধিক গুপ্তচরও জড়িত থাকতে পারে।
আর আমরা কারো ক্ষেত্রে বলছি-"অপরাধে জড়িত, /আবার কারো বেলায় বলেছি "অংশগ্রণ করেছে, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বলেছি "নেপথ্য ভূমিকা পালন করেছে" বা চিপ স্হাপন করেছে ইত্যাদী,-তো এসব শব্দের পরস্পরে অর্থে পার্থক্য আছে।এই পার্থক্য-ফারাক ইনশাআল্লাহ আমরা "ড্রোন বিমানের হামলার কৌশল" শিরোনামের ডকুমেন্টারিতে বিশদ বয়ান করব ইনশাআল্লাহ।
{১৩}
********
একজন গোয়েন্দার একরার ও নসীহতনামা----
____------+++++++---------_____
গোয়েন্দা:ইয়েমেনের গোয়েন্দা সংস্হার একজন উচ্চপদস্হ অফিসার।
"আমি আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলছি-যারা গোয়েন্দাবৃত্তির এই ভয়ঙ্কর খেলায় জড়িয়ে পড়েছো, তাড়াতাড়ি সরে এসো....
আর যারা জড়াওনি তাদের বলছি-এসব থেকে দূরে থেকো,কোনভাবেই এসবের সাথে নিজেকে জড়িওনা,দূর থেকেও না,কাছ থেকেও না,...
এর শেষ পরিনাম বড়ই ভয়ঙ্কর,বড়ই নির্মম...
এই গোয়েন্দা কে মুজাহিদীনরা গ্রেফতার করেন।তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,মূল্যবান ও স্পর্শকাতর তথ্য দেওয়ার বিনিময়ে মুজাহিদীনদেরকে তার পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ জানায়।তার দেওয়া এসব তথ্য সম্পর্কে মুজাহিদীনদের আগে জানা ছিলনা।
তার দেওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে-১২ সদস্য নিয়ে গঠিত একটি গোয়েন্দা টিম সম্পর্কে মুজাহিদদের তথ্যপ্রদান,যে টিমটা তানজিমের বাইরে থেকে তানজিমের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাবৃত্তিতে নিযুক্ত ছিল।
মুজাহিদরা তার তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর আল্লাহর রহমতে ওই ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকেই গ্রেফতার করতে সমর্থ হন।
আর তার পরিচয় প্রকাশ না করার ওয়াদাও মুজাহিদীনরা যথাযথভাবে পূরণ করেন।
★★★★★
ভাষ্যকারের জবানীতে ডকুমেন্টারি নির্মাণের
শুরুর গল্প
----------------
মিডিয়ার বিভাগের দায়িত্বশীলের পক্ষ থেকে আমার কাছে চিঠি এল-আবুল ইয়ামান (ছদ্ম)নামধারী একজন মুজাহিদ ভাইয়ের সঙী হয়ে রওয়ানা দিতে হবে...তাৎক্ষণিকভাবে সফরের পাথেয় যা নেওয়া যায় তা নিয়েই তার সঙে বেরিয়ে পড়লাম।
নির্দিষ্ট একটা জায়গায় পৌঁছার পর (জায়গাটার নাম উল্লেখ করতে পারছিনা) সেই ভাইটি আমাকে বললেন সবকিছু রেখে যেতে হবে,কিছুই সঙে নেওয়া যাবেনা..
মনে মনে একটু অভিমান হলেও প্রকাশ করলাম না।
পরে অবশ্য বুঝতে পেরেছিলাম যে বিষয়টা নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত।
এরপর তার সঙে গন্তব্যে পৌছলাম।
সেখানে পৌছে আমি উৎফুল্ল ও অানন্দিতই ছিলাম,যখন ভাইদের কে দেখলাম তারা মৃদু হাসি আর অানন্দের সঙে নিজ নিজ কাজ করে যাচ্ছেন। নিজেদের কর্মতৎপরতায় এবং আমার আগমনে তাঁরাও যারপরনাই আনন্দিত ছিলেন।
কিন্তু আমার এই নির্ভারতা ও নিশ্চিন্ত অনুভূতি মাত্র দুঘন্টাই স্হায়ী হয়েছিল।এরপরই তদন্ত বিভাগের দায়িত্বশীল আমাকে বিনীত অনুরোধ করে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে একান্তে তার সঙে বসালেন।
এরপর আমাকে একটা চিঠি বের করে দিয়ে বললেন এটা আমার জন্য,ভেতরে কি আছে তিনি জানেননা।তবে তাকে বলা হয়েছে এই সেফহাউজ থেকে বের হওয়ার পর আমার যে কোন প্রয়োজনে তিনি যেন সাহায্য করেন।
এই বলে আপাতত তিনি বিদায় নিলেন।
এর কিছুদিন পর...চিরতরে এই পৃথিবীকে বিদায় জানিয়ে মহান রবের দরবারে চলে গেলেন-শাহাদাতের সুধা পান করে,মহত্ব ও ত্যাগ,বিসর্জন ও ভালোবাসার স্মৃতিচিন্হ নিয়ে।
আল্লাহ তাঁকে রহম করুন।
চিঠি খুলতেই দেখি মুহতারাম শায়েখ আবুল হাসান ইবরাহীম আবু সালেহ পাঠিয়েছেন পত্রখানি।
আমাকে বলছেন কিছুদিন যেন তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙে কাটাই,এরপর ঘটনাটা "হাদমুল জাসুসিয়্যাহ"শিরোনামে একটা প্রকাশনার মাধ্যমে উম্মাহর সামনে তুলে ধরি।
আর প্রকাশনা কেমন হবে সে বিষয়ে মৌলিক কিছু দিকনির্দেশনাও উপহার পেলাম শায়খের কাছ থেকে।
এর কিছুদিন পর তদন্ত বিভাগের দায়িত্বশীল এলেন-আর তার সঙে শুরু হল এক নতুন পৃথিবীর পথে আমার অভিসার।
এ জগৎ সম্পর্কে আমার কোন পূর্বপরিচয় নেই, এমনকি এ ব্যাপারে কোন ধারণাও নেই।
অদ্ভূত সেই পৃথিবীতে আমি একবার হাসি তো হাজারবার কাঁদি...
একবার ভীত হই তো অজস্রবার নিরাপদ বোধ করি...
সেখানে দেখলাম একদল কালকেউটেকে-যারা হাসতে হাসতে ছোবল দেয় আর হত্যা করে মায়াকান্নায় মেতে ওঠে...
দেখলাম মানুষের সূরতে কিম্ভূতিকিমাকার এক অদ্ভূত প্রকৃতির জীবকে -নিজের মা কে হত্যা করতেও যাদের দ্বিধা হয়না,সামান্যও হাত কাঁপেনা....
মানুষরূপী এমন এক অদ্ভূত প্রজাতির প্রাণীকে দেখলাম যারা নিজেদের আকৃতি সম্পর্কে জানেনা।
বিকৃত মস্তিস্কের এমন কিছু জানোয়ার দেখলাম যারা নিজেদের বিকৃতির ব্যাপারে জানেনা।
দেখলাম পদতলে পিষ্ট হওয়া কিছু কোমল গোলাম,আরও দেখলাম মাথার উপর তুলে রাখা নোংরা কিছু পাদুকা...
ফেরেশ্তার আকৃতিতে কিছু বোবা শয়তান...
অন্তত এতদিন পর্যন্ত মানুষ এদেরকে ফেরেশতা বলেই জানত....
এদেরকে দেখে বুঝতে পারলাম যে খোদ শয়তানও এদের থেকে পানাহ চাইবে...
এমন এক বিভৎস আওয়াজ শুনতে হয়েছে যার দু:সহ স্মৃতি আমি কোনদিনই ভুলতে পারবোনা,
সেই কণ্ঠস্বর চিৎকার করে ওঠত আর আমি কেদে দিতাম..সে কান্না করত আর আমি প্রচণ্ড বেদনায় মূষঢ়ে পড়তাম...
ইচ্ছে ছিল পুরো ঘটনার অাদ্যোপান্ত স্পষ্টভাবে তুলে ধরব,
কিন্তু আল্লাহর শোকর,আমাকে এর অনুমতি দেওয়া হয়নি....
♦♦♦♦♦♦♦
★★★★★★★
ভাষ্যকারের কথা....
এই ডকুমেন্টারি নির্মাণ করতে গিয়ে আমাদের তথ্যের মূল উৎস ছিল-সৌদী গোয়েন্দা সংস্হার অনুগত ধরা খাওয়া সেই ডাবল এজেন্টদের সাথে সরাসরি বৈঠক ও জিজ্ঞাসাবাদ,আর তানজিমের তদন্ত বিভাগের তদন্ত শেষে তৈরী করা রিপোর্টের যতটুকু আমাদেরকে দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে ততটুকু।
নিরাপত্তাবিভাগ আমাদেরকে বেশ কিছু গোয়েন্দার উপর পরিচালিত তদন্তের রিপোর্ট ফাইলের একটা অংশ পড়ার সুযোগ দিয়েছে।
++++++++
তদন্তের রিপোর্ট ফাইল ও রেকর্ড থেকে আরো কিছু গোয়েন্দার জবানবন্দী ও অপরাধের বিবরণ:
++ +++ +++ ++++ ++
{৮}
হুসাম আল খালেদী (আসল নাম মুসাইদ আল খুয়াইতির)।
সেও সৌদী ইন্টেলিজেন্স এজেন্সীর পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত।
প্রথমবারের মত তার জবানবন্দী প্রকাশ করা হচ্ছে।
>নাম?
--মুসাইদ ইবনে সালিহ ইবনে মুহাম্মাদ আল খুওয়াইতির আল খালেদী।
জন্ম:?
--উনাইজা শহরে।
>কে তোমাকে রিক্রুট করেছে?
--গোয়েন্দা অফিসার আবু হাইসাম।সে আমাকে বলেছে -আমরা চাচ্ছি তুমি আবার জিহাদের ময়দানে ফিরে যাও।মুজাহিদদের সাথে আবার যোগাযোগ শুরু করো।
তবে ময়দানে যাওয়ার বিষয়ে তুমি নিজে থেকে আবেদন করবেনা,তোমার অবস্হা দেখে তারাই যেন তোমাকে প্রস্তাব দেয় সে ব্যবস্হা করবে।
>শায়খ নাসর আল আনিসি রহ: উপর কিভাবে ড্রোন হামলা করা হয়?
--শায়েখ নাসর আল আনিসির দেখা পাবার একদিন কি আধাদিন পর,আমি শায়েখের মোবাইল নাম্বার মেজর জাইফুল্লাহ আর রুআইলির কাছে পাঠাই।(মেজর জাইফুল্লাহ সৌদী ইন্টেলিজেন্স অফিসার)
এর প্রায় বারঘন্টা পর সে আমাকে ফোন করে বলে যখন শায়েখ তার মোবাইল অন করবেন তখন আমাদেরকে খবর দিও।
আমি বললাম ওকে।
শায়েখ তার মোবাইল নাম্বার সক্রিয় করলেন,এরপর শায়েখ যখন মাজেদের সঙে বের হলেন আমি "আররার" কারাগারের সাবেক প্রিজনার সৌদী গোয়েন্দা অফিসার মেজর জাইফুল্লাহকে মেসেজ পাঠিয়ে জানিয়ে দিলাম।
আমি আশা করছিলাম তারা এলাকা থেকে বের হয়ে রাস্তায় ওঠলে বম্বিং শুরু হবে।কিন্তু তারা মুকাল্লা শহরে থাকা অবস্হাতেই বোমাবর্ষন শুরু হল-যেখানে আরো অনেক মুজাহিদ ভাই একসাথে বসা ছিলেন।
+++++
যেসব অপরাধের সঙে জড়িত ছিল এই গুপ্তচর।
১.শায়েখ নাসর আল আনিসি রহ: ও তার শিশুপুত্র মুহাম্মাদ কে বম্বিং করে হত্যায় অংশগ্রহণ।এ হামলায় তাদের সঙে আরো শাহাদাত বরণ করেন ভাই আবু হাফস আল মিসরি,ইবরাহিম আল হাদরামী,রামজি আল হাদরামী, সাইদ আল ইন্দোনেশি, আবু মুহাম্মাদ আল আনসারি আল আবয়ানী রহিমাহুমুল্লাহ।
★★★★★
{৯}
গুপ্তচর:নায়েফ ইবনে ফালাহ আল মুতাইরি।
সৌদী সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত।
প্রথমবারের মত তার স্বীকারোক্তি প্রকাশ করা হচ্ছে।
------
>নাম?
----নায়েফ ইবনে ফালাহ ইবনে জায়েদ আল মুতাইরি।
>কার মাধ্যমে গোয়েন্দা বিভাগে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে?
---সৌদী ইন্টেলিজেন্সের অফিসার ফাহাদ আদ দুসরীর মাধ্যমে
তার অপরাধের বিবরণ:
সে মুজাহিদ ভাই আবু আইমান আন নজদী, রাইয়ান আস সানআনী এবং মুহাম্মাদ ইবনে সালেহ ইবনে তুআইমান রহিমাহুমুল্লাহ প্রমুখের জন্য ইলেকট্রনিক চিপ স্হাপন করেছিল।
********
{১০}
গোয়েন্দা:আহমাদ রুশদী রাশেদ আস সিইলাবী।
জর্ডান সরকারের পক্ষ থেকে গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত।
প্রথমবারের মতো তার স্বীকারোক্তি প্রকাশ করা হচ্ছে।
>নাম?
---আমার নাম আহমাদ রুশদী রাশেদ আস সিইলাবী।
জর্ডানের জারকা অঞ্চলের অধিবাসী।
ব্যাক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও পাঁচ সন্তানের জনক।
>গোয়েন্দা বিভাগে কি কি দায়িত্ব পালন করেছো?
---আমি জর্ডান গোয়েন্দা সংস্হার হয়ে ইন্দোনেশিয়া এবং ইয়েমেনে দায়িত্ব পালন করেছি।
আমি ইয়েমেনে এসেছি ২০০৯ সালে।সামগ্রিক লক্ষ্য ছিল আলকায়েদার বিরুদ্ধে কিছু করা,সুনির্দিষ্ট করে বললে উদ্দেশ্য ছিল-আলকায়েদার নেতৃবৃন্দ,অর্থের উৎস এবং অন্যান্য স্পর্শকাতর বিষয়গুলো পর্যন্ত পৌঁছা।
কিন্তু বাস্তবে,আলকায়েদার হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত আলকায়েদাকে চিনতেই পারিনি।
তার অপরাধের বিবরণ:
সে ইন্দোনেশিয়ায় বেশ কিছু মুজাহিদ গ্রেফতার হওয়ার ক্ষেত্রে নেপথ্য ভূমিকা পালন করেছে।এবং সেখানকার জিহাদী তানজিমগুলো সম্পর্কে তাগুতকে তথ্য সরবরাহ করেছে।
এ ছাড়াও ইয়েমেনে এসে তানজিম আল কায়েদার বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করার উদ্দেশ্যে এতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালার শোকর,তানজিমে তার যোগদান প্রচেষ্টার প্রথম দিনেই মুজাহিদগণ তাকে ধরে ফেলতে সমর্থ হন।
--------------
{১১}
স্পাই:রশিদ আল হাবশী।
ইয়েমেনী ও মার্কিন নাগরিক।
ইয়েমেনের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্হার একজন সদস্য,এবং প্রধান প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।এ ছাড়াও সে হাজরামাউত মরু ও উপত্যকা অঞ্চলের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্হার প্রতিষ্ঠাতা।
ইয়েমেনে মুজাহিদদেরকে আক্রমণ করার জন্য আমেরিকার ফ্লোরিডায় ড্রোনহামলার নীলনকশা বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত গোপন মিটিংগুলোতে সেও অংশ নিয়েছিল।
মুজাহিদদের হাতে বন্দী হয়ে গোয়েন্দা বোমারু বিমানগুলো সম্পর্কে সে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
যেগুলো মুজাহিদরা পরবর্তী কোন প্রকাশনায় "ড্রোন বিমানের হামলার কৌশল"শিরোনামে ডকুমেন্টারির স্বতন্ত্র একটি পর্ব হিসেবে পরিবেশন করবেন ইনশাআল্লাহ।
**********
{১২}
গোয়েন্দা :উসমান শেরী আল জামী।
সোমালিয়ান নাগরিক।
জিবুতি ও কেনিয়া সরকারের পক্ষ থেকে নিযুক্ত।
জর্ডানে তার গোয়েন্দাবৃত্তির উপর ট্রেইনিং সম্পন্ন হয়।।তার সন্দেহ জনক গতিবিধির ব্যাপারে একাধিক রিপোর্ট ও প্রমাণ পাওয়ার ভিত্তিতে
তানজিম আল কায়েদায় যোগ দেওয়ার চেষ্টা করার আগেই তানজিম তাকে গ্রেফতার করে।
তার সংঘটিত কিছু অপরাধের বিবরণ।
১.সোমালিয়ায় থাকাকালে হারাকাতুশ শাবাবের ভাইদের বিষয়ে তাগুতকে তথ্য প্রদান।
-------
এ খানে আমরা একটা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই-যে একই টার্গেটকে হত্যায় কখনো কখনো একাধিক গুপ্তচরও জড়িত থাকতে পারে।
আর আমরা কারো ক্ষেত্রে বলছি-"অপরাধে জড়িত, /আবার কারো বেলায় বলেছি "অংশগ্রণ করেছে, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বলেছি "নেপথ্য ভূমিকা পালন করেছে" বা চিপ স্হাপন করেছে ইত্যাদী,-তো এসব শব্দের পরস্পরে অর্থে পার্থক্য আছে।এই পার্থক্য-ফারাক ইনশাআল্লাহ আমরা "ড্রোন বিমানের হামলার কৌশল" শিরোনামের ডকুমেন্টারিতে বিশদ বয়ান করব ইনশাআল্লাহ।
{১৩}
********
একজন গোয়েন্দার একরার ও নসীহতনামা----
____------+++++++---------_____
গোয়েন্দা:ইয়েমেনের গোয়েন্দা সংস্হার একজন উচ্চপদস্হ অফিসার।
"আমি আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলছি-যারা গোয়েন্দাবৃত্তির এই ভয়ঙ্কর খেলায় জড়িয়ে পড়েছো, তাড়াতাড়ি সরে এসো....
আর যারা জড়াওনি তাদের বলছি-এসব থেকে দূরে থেকো,কোনভাবেই এসবের সাথে নিজেকে জড়িওনা,দূর থেকেও না,কাছ থেকেও না,...
এর শেষ পরিনাম বড়ই ভয়ঙ্কর,বড়ই নির্মম...
এই গোয়েন্দা কে মুজাহিদীনরা গ্রেফতার করেন।তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,মূল্যবান ও স্পর্শকাতর তথ্য দেওয়ার বিনিময়ে মুজাহিদীনদেরকে তার পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ জানায়।তার দেওয়া এসব তথ্য সম্পর্কে মুজাহিদীনদের আগে জানা ছিলনা।
তার দেওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে-১২ সদস্য নিয়ে গঠিত একটি গোয়েন্দা টিম সম্পর্কে মুজাহিদদের তথ্যপ্রদান,যে টিমটা তানজিমের বাইরে থেকে তানজিমের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাবৃত্তিতে নিযুক্ত ছিল।
মুজাহিদরা তার তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর আল্লাহর রহমতে ওই ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকেই গ্রেফতার করতে সমর্থ হন।
আর তার পরিচয় প্রকাশ না করার ওয়াদাও মুজাহিদীনরা যথাযথভাবে পূরণ করেন।
★★★★★
ভাষ্যকারের জবানীতে ডকুমেন্টারি নির্মাণের
শুরুর গল্প
----------------
মিডিয়ার বিভাগের দায়িত্বশীলের পক্ষ থেকে আমার কাছে চিঠি এল-আবুল ইয়ামান (ছদ্ম)নামধারী একজন মুজাহিদ ভাইয়ের সঙী হয়ে রওয়ানা দিতে হবে...তাৎক্ষণিকভাবে সফরের পাথেয় যা নেওয়া যায় তা নিয়েই তার সঙে বেরিয়ে পড়লাম।
নির্দিষ্ট একটা জায়গায় পৌঁছার পর (জায়গাটার নাম উল্লেখ করতে পারছিনা) সেই ভাইটি আমাকে বললেন সবকিছু রেখে যেতে হবে,কিছুই সঙে নেওয়া যাবেনা..
মনে মনে একটু অভিমান হলেও প্রকাশ করলাম না।
পরে অবশ্য বুঝতে পেরেছিলাম যে বিষয়টা নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত।
এরপর তার সঙে গন্তব্যে পৌছলাম।
সেখানে পৌছে আমি উৎফুল্ল ও অানন্দিতই ছিলাম,যখন ভাইদের কে দেখলাম তারা মৃদু হাসি আর অানন্দের সঙে নিজ নিজ কাজ করে যাচ্ছেন। নিজেদের কর্মতৎপরতায় এবং আমার আগমনে তাঁরাও যারপরনাই আনন্দিত ছিলেন।
কিন্তু আমার এই নির্ভারতা ও নিশ্চিন্ত অনুভূতি মাত্র দুঘন্টাই স্হায়ী হয়েছিল।এরপরই তদন্ত বিভাগের দায়িত্বশীল আমাকে বিনীত অনুরোধ করে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে একান্তে তার সঙে বসালেন।
এরপর আমাকে একটা চিঠি বের করে দিয়ে বললেন এটা আমার জন্য,ভেতরে কি আছে তিনি জানেননা।তবে তাকে বলা হয়েছে এই সেফহাউজ থেকে বের হওয়ার পর আমার যে কোন প্রয়োজনে তিনি যেন সাহায্য করেন।
এই বলে আপাতত তিনি বিদায় নিলেন।
এর কিছুদিন পর...চিরতরে এই পৃথিবীকে বিদায় জানিয়ে মহান রবের দরবারে চলে গেলেন-শাহাদাতের সুধা পান করে,মহত্ব ও ত্যাগ,বিসর্জন ও ভালোবাসার স্মৃতিচিন্হ নিয়ে।
আল্লাহ তাঁকে রহম করুন।
চিঠি খুলতেই দেখি মুহতারাম শায়েখ আবুল হাসান ইবরাহীম আবু সালেহ পাঠিয়েছেন পত্রখানি।
আমাকে বলছেন কিছুদিন যেন তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙে কাটাই,এরপর ঘটনাটা "হাদমুল জাসুসিয়্যাহ"শিরোনামে একটা প্রকাশনার মাধ্যমে উম্মাহর সামনে তুলে ধরি।
আর প্রকাশনা কেমন হবে সে বিষয়ে মৌলিক কিছু দিকনির্দেশনাও উপহার পেলাম শায়খের কাছ থেকে।
এর কিছুদিন পর তদন্ত বিভাগের দায়িত্বশীল এলেন-আর তার সঙে শুরু হল এক নতুন পৃথিবীর পথে আমার অভিসার।
এ জগৎ সম্পর্কে আমার কোন পূর্বপরিচয় নেই, এমনকি এ ব্যাপারে কোন ধারণাও নেই।
অদ্ভূত সেই পৃথিবীতে আমি একবার হাসি তো হাজারবার কাঁদি...
একবার ভীত হই তো অজস্রবার নিরাপদ বোধ করি...
সেখানে দেখলাম একদল কালকেউটেকে-যারা হাসতে হাসতে ছোবল দেয় আর হত্যা করে মায়াকান্নায় মেতে ওঠে...
দেখলাম মানুষের সূরতে কিম্ভূতিকিমাকার এক অদ্ভূত প্রকৃতির জীবকে -নিজের মা কে হত্যা করতেও যাদের দ্বিধা হয়না,সামান্যও হাত কাঁপেনা....
মানুষরূপী এমন এক অদ্ভূত প্রজাতির প্রাণীকে দেখলাম যারা নিজেদের আকৃতি সম্পর্কে জানেনা।
বিকৃত মস্তিস্কের এমন কিছু জানোয়ার দেখলাম যারা নিজেদের বিকৃতির ব্যাপারে জানেনা।
দেখলাম পদতলে পিষ্ট হওয়া কিছু কোমল গোলাম,আরও দেখলাম মাথার উপর তুলে রাখা নোংরা কিছু পাদুকা...
ফেরেশ্তার আকৃতিতে কিছু বোবা শয়তান...
অন্তত এতদিন পর্যন্ত মানুষ এদেরকে ফেরেশতা বলেই জানত....
এদেরকে দেখে বুঝতে পারলাম যে খোদ শয়তানও এদের থেকে পানাহ চাইবে...
এমন এক বিভৎস আওয়াজ শুনতে হয়েছে যার দু:সহ স্মৃতি আমি কোনদিনই ভুলতে পারবোনা,
সেই কণ্ঠস্বর চিৎকার করে ওঠত আর আমি কেদে দিতাম..সে কান্না করত আর আমি প্রচণ্ড বেদনায় মূষঢ়ে পড়তাম...
ইচ্ছে ছিল পুরো ঘটনার অাদ্যোপান্ত স্পষ্টভাবে তুলে ধরব,
কিন্তু আল্লাহর শোকর,আমাকে এর অনুমতি দেওয়া হয়নি....
♦♦♦♦♦♦♦
Comment