Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমরা দাঈশ কে খাওয়ারিজ কেন বলি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমরা দাঈশ কে খাওয়ারিজ কেন বলি?

    পরিবেশনায়ঃ আল-আনসার মিডিয়া।







    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
    আমরা দাঈশ কে (IS) কেনো খারেজী বলি ?
    আল-ক্বায়েদা ফি বিলাদিশ শাম-জাবহাতুন নুসরা

    আমরা এই নোটে আমাদের অবস্থান কে কোন প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করা ব্যাতিত টু দি পয়েন্ট গুলো উল্ল্যেখ করবো।যে সকল ভায়েরা খারেজি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার ইচ্ছুক তাদের জন্য নিচে লিঙ্ক দেওয়া হলো,তা মুতালাআ করে নিতে পারেন।
    ইদানিং কিছু ভায়েরা মনে করে থাকেন যে,খারেজি হয়ত কোন আমেরিকান ন্যাটো বা কোনো ত্বাগুতী ধ্বজাধারী দল অথবা অত্যন্ত ধর্ম বিদ্বেষী কোন ধর্মনিরপেক্ষ জামাত হবে ,যাদের কে দেখেই আমরা চিনে ফেলবো যে এরাই তথাকথিত খারেজি ।
    অথচ বিষয়টি পুরোটাই এর উল্টো। খারেজিরা প্রকাশ্যে খুব বেশি ঈমানদার,অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে ইবাদতকারী, খুব বেশি নামাযী,সাধারণ মুসলমানদের চেয়ে বেশি কোরআন তিলাওয়াতকারী হয়।কিন্তু হআদিসের ভাষ্য অনুযায়ী কোরআন তাদের গলার নীচেও যাবে না অর্থাৎ তাদের কোরআন তিলাওয়াত ,তাদের নামায তাদের কোনই উপকারে আসবে না।
    চিন্তার বিষয় হলো যে , এ সকল নিদর্শনাবলি তো একজন ভালো মুসলিমের কাছেই প্রকাশ পায় । তাহলে কেনো তাদের কে খারেজি বলা ?
    তো এর সহজ উত্তর হলো যে, এরাই (নিজেদের ইবাদতে সীমাহীন আত্মবিশ্বাসী হয়ে)মুসলমানদের কে কাফির ও মুরতাদ ঘোষণা করে অতপর তাদের সাতে ক্বিতাল শুরু দেয়।
    কিছু নিদর্শন অনুযায়ি খাওয়ারিজ তাদের বলা হয় ,যারা কবিরা গুনাহের কারনে তাক্বফির করে।
    অধিকাংশ আহলে ইলম একথা উল্ল্যেখ করেছেন যে,খারেজি সম্প্রদাইয়ের (কবিরা গুনাহে লিপ্ত ব্যাক্তি কে তাকফিরকারি) এই সিফাত সমস্ত খারেজিদের জন্য সর্বব্যাপী নয়। আর না এটি খুরুজের (বের করার ) একমাত্র শর্ত । বরং খারেজিদের মাঝে ঐ সকল বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত যা মুসলমানদের অন্যায়ভাবে তাকফির করে এবং তাদের রক্ত কে বৈধ করে দেয়। যদিও তারা কবিরা গুনাহে লিপ্ত ব্যাক্তির কুফুরির ব্যাপারে আক্বিদা রাখে না । (কিন্তু তারপরও তারা তাকফির করে )
    আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) আল –ফাতাওয়ায় বলেন,
    “খারেজিরা নিজেদের দ্বীন কে একমাত্র সম্মানীত দ্বীন ও সর্বোচ্চ মনে করে ;মুসলমানদের জামাত থেকে বের হয়ে যায় এবং রক্ত ও সম্পদ কে হালাল ঠাওরায়।
    আরো বলেছেন,
    এরা আহলে ক্বিবলার রক্ত কে এই আক্বিদাহ রেখে করে যে, এরা মুরতাদ এবং (আসলী)কুফফাদের (যারা মুরতাদ নয়) বিপরীতে এদের (আহলে ক্বিবলা) রক্ত কে বেশী হালাল মনে করে।“
    উদাহরণ স্বরুপ আমীরুল মোমিনীন হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ)এর সময় রাখারেজিদের বড় দাপট ছিলো।এবং কোরআন কে হুকুম তথা সংবিধান বানানোর অঙ্গিকার করেছিলো। হক্ব কে তালাশ করার কথা বলেছিলো এবং জুলুম কে অস্বিকার করেছিলো। জালিমদের সাথে জিহাদ ও দুনিয়া থেকে বৈরাগ্যের জন্য একাট্টা হয়েছিলো।সৎ কাজের দাওয়াত এবং অসৎ কাজ হতে বাঁচার নসীহত করতো।অতপর এ সব সত্ত্বেও সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ)গণের বিরুদ্ধে ক্বিতাল করতো।
    অতএব সবচেয়ে নিদর্শন যার মাধ্যমে খারেজিদের চেনা যায় তা হলো যে,তারা বাহ্যিকভাবে মুত্তাকি,দ্বীনদার ও নামাযি হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদেরকেই মুরতাদ ,কাফের ঘোষণা করে তাদের সাথে ক্বিতাল শুরু করে দেয়।
    এই সকল নিদর্শনাবলি কি বাস্তবেই দাঈশ (আই .এস )এর মাঝে আছে যে,তাদের ক্ব খাওয়ারিজ বলা হবে?
    জি,হ্যাঁ!এই সকল নিদর্শনাবলি বাস্তবেই দাঈশের মাঝে রয়েছে,এখানে আমরা দৃঢ়তার সাথে ইহা প্রমান করবো ,ইনশাআল্লাহ্* ।
    দাঈশ সিরীয় জিহাদি গ্রুপ জাবহাতুন নুসরা ও জাবহাতুল ইসলামিয়া মুরতাদ মনে করে ।
    এটার কিছু প্রণিধানযোগ্য দলিল হলো।
    দলিল নং-১
    দাঈশ তাদের অফিসিয়াল মাসিক রিসালাহ দাবিক্ব-৬ এর মধ্যে আহরারুশ-শাম কে (যেটি জাবহাতুল ইসলামিয়ার অংশ) মুরতাদ ঘোষণা করেছে।
    (দেখুনঃ ঐ রিসালাহর ২৬ নং পৃষ্ঠা )

    Upport”of the Islamic lue to many uations without explicitness,after the shaykh clarified the
    Objections aders (not including the deviation of adh-dhawairi’s man-haj . some of these statements
    Ncerning the neutraliaen and its` also contained tarahhum (saying “rahimahullah’’) for the apos-
    dhawahiri-Vilayah was formed in- tates of the saluli sahwat (the leaders of ahrar-ash-sham). So
    Islamic state –and thisOfficial why does the organization not make tarahhum for ‘Abu abdir-
    announcement of the knowledge of or- rahman ai-bilawi,abu bakr al-iraqi, and abu usamah al-maghribi –
    Rahimahumullah? DABIQ-23
    দলিল নং-২
    দাঈশরা আল -বুকমাল-এ ঘোষণা দিয়েছে যে, আমরা নিম্নোক্ত গ্রুপ সমূহের প্রত্যেক সদস্যের জন্য ত্বওবার দরজা খোলা রাখছি…......
    ১- জাইশুল হুর গ্রুপ।
    জাইশুল হুরকে জাবহাতুল ইসলামিয়া বলা হয়।
    ২- জাবহাতুল জাওলানী (জাবহাতুন নুসরা )
    ৩- নুসাইরি বাহিনী (যারা আহলে সুন্নাহর অনুসারী)
    তাদের ত্বওবা নিম্নোক্ত শর্ত সাপেক্ষে গ্রহণযোগ্য হবে,
    ১-নিজে এটা স্বীকার করে নিবে যে, সে এতদিন মুরতাদ (ইরতিদাদের উপর) ছিলো।
    ২- নতুনভাবে শরয়ী দাওরা করতে হবে।
    ৩- আমাদের মুয়াসকারে ভর্তি হবে এবং ফ্রন্ট লাইনে যোদ্ধ করতে হবে।
    ৪- তাদের কাছে যত ধরনের মা’লুমাত আছে তা আমাদের শিখাতে হবে ।
    ৫- সমস্ত আসলিহা আমাদের কাছে সমর্পণ করতে হবে ।
    অতএব ত্বওবার সর্ব প্রথম শর্ত দ্বারা এ কথা স্পষ্ট হলো যে, এরা জাবহাতুন নুসরা ও জাবহাতুল ইসলামিয়া কে মুরতাদ মনে করে।
    আরবি মূল কপির প্রামাণ্য নিম্নে উল্ল্যেক করা হলো।


    দলিল নং-৩
    জাইশুল মুহাজিরীন এর আমীর সালাহুদ্দীন আশ-শিশানী যিনি ভ্রাতৃঘাতী এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থানে ছিলেন। উনাকে জাবহাতুন নুসরা এবং জাবহাতুল ইসলামিয়া আইএসের নিকট প্রেরণ করেন। ‘‘যে এটা পরস্পর যুদ্ধের সময় নয়। মুসলমানরা আজ সব দিক দিয়ে নির্যাতিত। অতএব আমরা সন্ধি ও ফায়ার বন্ধ করে নেয়া চায়। সালাহ ঊদ্দীন আশ-শিশানী যিনি ইমারাতে ইসলামিয়া ককেশাসের সাবেক আমীর আবু উসমান (ড়ুকা উমরূপ) এর কাছে বাইয়াহ দিয়েছিলেন। এরপর আমীর আবু উসমান (ড়ুকা উমরূপ) এর স্থলাভিষিক্ত বর্তমান আমীর শায়খ আবু উমর দাগিস্তানী (হা.ফি.) এর কাছে বাইয়াহ দিয়েছিলেন। তিনি (সালাহুদ্দীন আশ-শিশানী) দাঈশের কাছে আর-রাক্বা গিয়েছেন। কিন্তু দাঈশরা স্পষ্ট জবাব দিলো যে, তাদের সাথে কোনো সন্ধিচুক্তি হতে পারে না, তারা কাফির ।
    এ সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে পরিপূর্ণ জানার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন ......


    এ ছাড়াও আরো অনেক প্রমান আছে । কিন্তু লম্বা হয়ে যাওয়ার ভয়ে এখানে উল্ল্যেখ করা যাচ্ছে না।
    যে সব এলাকার উপর দাঈশদের নিয়ন্ত্রণ করছে প্রায় সব এলাকা’ই সিরীয় মুজাহিদিনরা বাশশার নাজিস থেকে মুক্ত করেছেন।
    এ নকশা টি দেখুন যে, দাওলা প্রথম দিকে যে কোন এলাকাসমূহ নিয়ন্ত্রন করতো? এ নকশাতেও যে সকল এলাকার উপর আইএসের নিয়ন্ত্রণ দেখানো হয়েছে তাতেও কিছু অঞ্চল দাঈশরা সিরীয় মুজাহিদীন থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। পুরাতন অন্য আরেক টি নকশা ছিলো, দুর্ভাগ্যবশত সেটি পাওয়া যায় নি।

    চলবে ইনশাআল্লাহ্*

  • #2
    আস্সালামু আলাইকুম। ভাই আমি কিছু ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করতে চাই। এখানে করবো নাকি এখানে কোনো শায়েখকে করবো বললে উপক্রিত হতাম। যাযাকআল্লাহ
    ইলম আমাদের বুঝতে শিখায় এবং জিহাদ আমাদের মানতে শিখায়

    Comment


    • #3
      অতএব সবচেয়ে নিদর্শন যার মাধ্যমে খারেজিদের চেনা যায় তা হলো যে,তারা বাহ্যিকভাবে মুত্তাকি,দ্বীনদার ও নামাযি হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদেরকেই মুরতাদ ,কাফের ঘোষণা করে তাদের সাথে ক্বিতাল শুরু করে দেয়।

      ভাই চমৎকার ভাবে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।

      Comment

      Working...
      X