শ্বেতাঙ্গদের প্রকৃত রং ! – শায়খ ড. তারিক্ব আব্দুল হালিম
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/06/12/23640/
আমার গায়ের রং না ধবধবে সাদা, আর না কুচকুচে কালো। বরং এ দুয়ের মাঝামাঝি। তাই মনে হয় ,আমার অবস্থান বেশ সুবিধাজনক এবং উভয়ের মাঝে সালিশ হওয়ার দৌঁড়ে একধাপ এগিয়ে।
আমি যখন শ্বেতাঙ্গ মানুষ নিয়ে কথা বলব তখন এর মানে হবে সেই রূপ যা সে নিজে তৈরি করেছে, মনের গহীনে লালন করেছে এবং বিকশিত করেছে। গাত্রবর্ণ বা বর্ণবাদের সাথে আদৌ এর কোন সম্পর্ক নেই।
খ্রিষ্টপূর্ব কয়েক শতাব্দী থেকে নিয়ে চতুর্থ শতাব্দী পর্যন্ত সময়ে দাসদাসীদের বিনোদন সামগ্ৰীর মত মনে করা হত ! আর, কেবল কৃষ্ণাঙ্গদের বন*্যপ্রাণীর খাবার পরিবেশন করার কাজে ব্যবহার করা হতো। আর একে তারা বলতো যে, এটা হলো একটি খেলা ! সে যুগের সাদা মানুষের কৃতকর্ম আমার আলোচ্য বিষয় নয়।
গির্জা ও খ্রিস্টবাদের ছত্রছায়ায় সাদা মানুষেরা তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে কী করেছিল তাও আমার আলোচ্য বিষয় নয়।
স্পেনীয় তদন্ত বিভাগের লোমহর্ষক নির্যাতন বা মধ্যযুগের এগারো ক্রসেডার প্রসঙ্গে আমি আলোচনা করব না। সে সময়টাকে ইউরোপীয়রা বলে অন্ধকার যুগ। অবশ্য সকল অন্ধকারের মূল হোতা ছিল ওই ইউরোপীয়রাই।
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকের রোবস্পীয়ার,ফ্রাঙ্কো, হিটলার,মসোলিনীর কথা আমি বলবনা।
দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধ এবং নাগাসাকি ও হিরোশিমার মূলহোতাদের কথা আমি বলতে যাচ্ছি না,যারা ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছিল কয়েক মিলিয়ন মানুষকে।
আমি ঐ শ্বেতাঙ্গ জাতির সম্পর্কে বলবো না, যারা শত শত মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে গণহত্যা করেছে।
আমি সেই সকল দেশের চৌর্যবৃত্তির কথা বলব না, যারা দেশসমূহকে চুরি করে সেগুলো নৃতাত্ত্বিক মার্কা শিয়া ও ইহুদি ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে দিয়ে দিয়েছে। যার ফলে পৃথিবীব্যাপী শরণার্থী হয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন নিরপরাধ মানুষ। যাদের কোন রাষ্ট্রীয় পরিচিতি রাখা হয়নি। উল্টো যা ছিল তাও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তেমনি একটি রাষ্ট্রের নাম ফিলিস্তিন। এসব করা হয়েছে কেবল শ্বেতাঙ্গদের নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থের যোগান দিতে।
এখন সারা দুনিয়ায় শ্বেতাঙ্গদের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত। গণতন্ত্র, মানবাধিকার,সমান অধিকার, বহু সংস্কৃতির সহাবস্থান ও অহিংসার যুগ। আজকের এই “সোনালী” যুগে কী ঘটছে এই পৃথিবীতে, আমি ঠিক সে কথাই বলব।
আফগান জাতিকে স্বাধীন করার নামে ত্রিশ বছর ধরে চলছে যুদ্ধ, নির্যাতন আর হত্যাযজ্ঞ। এর মধ্য দিয়ে TAPI(তুর্কমিনিস্তান,আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত)পাইপ লাইনে বাধাহীন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ইউরোপ হচ্ছে সভ্যতার আঁতুড়ঘর। এর কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থিত বসনিয়া-হার্জগোভিনা এবং কসোভো। এ দেশগুলোতে সভ্যতার সুতিকাগার ইউরোপ শত হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এবং উচ্ছেদ করেছে।
মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের উপর ভর করে বুশ-ব্লেয়ার ইরাকের সাথে যুদ্ধ বাঁধিয়ে ছিল। ইরাকের মানুষকে স্বাধীন করার নামে বিশ বছরের যুদ্ধে তারা দুই মিলিয়নের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং লুন্ঠন করেছে ইরাকের প্রাকৃতিক সম্পদ।
বিশ্বের দরিদ্রতম রাষ্ট্র সোমালিয়ায় ক্রমাগত হামলা চলছে। অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালা হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বিদেশি ভাড়াটে সেনাদের বেতন ভাতা দেয়া হচ্ছে।
আমেরিকা এবং রাশিয়া নিজেদের সব হামলাকেই সন্ত্রাস বিরোধী হামলা বলে থাকে। স্কুল শিশু বা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা প্রাণ হারালেও তাতে কোন পরোয়া করে না!
তাদের পক্ষ হয়ে যেসব ভাড়াটে সেনা যুদ্ধ করছে, তাদের অর্থের জোগান দেয়া বা ইয়েমেনে চালক বিহীন বিমান থেকে এলোপাথাড়ি বোমা বর্ষণ,সবই তাদের ভাষায় সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ। চলমান সময়ে তারা নির্বোধ সৌদিদেরকে ইয়েমেনের যুদ্ধে ঠেলে দিয়েছে, আরবদের হত*্যা করার জন্য।
সাত বছর ধরে সিরিয়ায় গণহত্যা চলছে। জার্মানি ও হিরোশিমার পর এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণহত্যা। মিলিয়নের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সিরিয়ার ভেতরে ও বাহিরে বারো মিলিয়নের বেশি মানুষ শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রাক্কা, আলেপ্পো, দির আজজোর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ঠিক যেভাবে ধ্বংস হয়েছে ইরাকের মসুল ও ফাল্লুজা।
আজ যে সময়ে আমরা কথা বলছি, তখন হামলা চলছে সিরিয়ার আল গুতায়! জাতিসংঘ , আমেরিকা এবং সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চা হয় এমন সব রাষ্ট্রের আশির্বাদ নিয়ে রাশিয়ার সাদা মানুষটি সেখানে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হামলা পরিচালনা করছে। এই গ্ৰহের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সাদা মানুষটি সেখানে যা করছে তা ভাষায় ব্যক্ত করার মত নয়।
এসব কারণে অতিশুভ্র ও অতিকৃষ্ণের মাঝামাঝি বর্ণের হয়ে আমি বেশ গর্বিত।
লেখাটি সেসকল ভালো সাদা মানুষের জন্য যাদের মাঝে আমি কাটিয়েছি ত্রিশ ত্রিশটি বছর। যাদের কোমলতা, মহানুভবতা ও সততা কাছ থেকে দেখেছি। যারা প্রকৃত অর্থে মানুষের হিতাকাংখী। যারা মানবতা মানবতা বলে চিৎকারকারীদের থেকে ভিন্ন। যারা কিছু করতে চায়। যারা জালিম শাসকের উপর যুগপৎ চাপ প্রয়োগের পক্ষপাতী।
স্বাভাবিকভাবেই, আপনি এই সকল গণহত্যাকে পছন্দ করেন বা না করেন, আপনি এর অংশ! এই গণহত্যার পেছনে আপনার আর্থিক যোগান আছে! আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনার ছেলে বা মেয়ে বাহিনীতে যোগদান করে অহংকারবশত কোন নিরপরাধ পরিবারকে হত্যা করতে যেতে পারে এবং কোন কালো কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ফিরে আসতে পারে অথবা কোন অংগ
হারাতে পারে অথবা একজন ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে পরিচিত হতে পারে! অথবা নিরপরাধ মুসলিমদেরকে নির্যাতনকারী বা হত্যাকারী একজন ‘বীর’ হতে পারে!
আমি যখন শ্বেতাঙ্গ মানুষ নিয়ে কথা বলব তখন এর মানে হবে সেই রূপ যা সে নিজে তৈরি করেছে, মনের গহীনে লালন করেছে এবং বিকশিত করেছে। গাত্রবর্ণ বা বর্ণবাদের সাথে আদৌ এর কোন সম্পর্ক নেই।
খ্রিষ্টপূর্ব কয়েক শতাব্দী থেকে নিয়ে চতুর্থ শতাব্দী পর্যন্ত সময়ে দাসদাসীদের বিনোদন সামগ্ৰীর মত মনে করা হত ! আর, কেবল কৃষ্ণাঙ্গদের বন*্যপ্রাণীর খাবার পরিবেশন করার কাজে ব্যবহার করা হতো। আর একে তারা বলতো যে, এটা হলো একটি খেলা ! সে যুগের সাদা মানুষের কৃতকর্ম আমার আলোচ্য বিষয় নয়।
গির্জা ও খ্রিস্টবাদের ছত্রছায়ায় সাদা মানুষেরা তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে কী করেছিল তাও আমার আলোচ্য বিষয় নয়।
স্পেনীয় তদন্ত বিভাগের লোমহর্ষক নির্যাতন বা মধ্যযুগের এগারো ক্রসেডার প্রসঙ্গে আমি আলোচনা করব না। সে সময়টাকে ইউরোপীয়রা বলে অন্ধকার যুগ। অবশ্য সকল অন্ধকারের মূল হোতা ছিল ওই ইউরোপীয়রাই।
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকের রোবস্পীয়ার,ফ্রাঙ্কো, হিটলার,মসোলিনীর কথা আমি বলবনা।
দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধ এবং নাগাসাকি ও হিরোশিমার মূলহোতাদের কথা আমি বলতে যাচ্ছি না,যারা ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছিল কয়েক মিলিয়ন মানুষকে।
আমি ঐ শ্বেতাঙ্গ জাতির সম্পর্কে বলবো না, যারা শত শত মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে গণহত্যা করেছে।
আমি সেই সকল দেশের চৌর্যবৃত্তির কথা বলব না, যারা দেশসমূহকে চুরি করে সেগুলো নৃতাত্ত্বিক মার্কা শিয়া ও ইহুদি ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে দিয়ে দিয়েছে। যার ফলে পৃথিবীব্যাপী শরণার্থী হয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন নিরপরাধ মানুষ। যাদের কোন রাষ্ট্রীয় পরিচিতি রাখা হয়নি। উল্টো যা ছিল তাও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তেমনি একটি রাষ্ট্রের নাম ফিলিস্তিন। এসব করা হয়েছে কেবল শ্বেতাঙ্গদের নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থের যোগান দিতে।
এখন সারা দুনিয়ায় শ্বেতাঙ্গদের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত। গণতন্ত্র, মানবাধিকার,সমান অধিকার, বহু সংস্কৃতির সহাবস্থান ও অহিংসার যুগ। আজকের এই “সোনালী” যুগে কী ঘটছে এই পৃথিবীতে, আমি ঠিক সে কথাই বলব।
আফগান জাতিকে স্বাধীন করার নামে ত্রিশ বছর ধরে চলছে যুদ্ধ, নির্যাতন আর হত্যাযজ্ঞ। এর মধ্য দিয়ে TAPI(তুর্কমিনিস্তান,আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত)পাইপ লাইনে বাধাহীন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ইউরোপ হচ্ছে সভ্যতার আঁতুড়ঘর। এর কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থিত বসনিয়া-হার্জগোভিনা এবং কসোভো। এ দেশগুলোতে সভ্যতার সুতিকাগার ইউরোপ শত হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এবং উচ্ছেদ করেছে।
মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের উপর ভর করে বুশ-ব্লেয়ার ইরাকের সাথে যুদ্ধ বাঁধিয়ে ছিল। ইরাকের মানুষকে স্বাধীন করার নামে বিশ বছরের যুদ্ধে তারা দুই মিলিয়নের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং লুন্ঠন করেছে ইরাকের প্রাকৃতিক সম্পদ।
বিশ্বের দরিদ্রতম রাষ্ট্র সোমালিয়ায় ক্রমাগত হামলা চলছে। অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালা হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বিদেশি ভাড়াটে সেনাদের বেতন ভাতা দেয়া হচ্ছে।
আমেরিকা এবং রাশিয়া নিজেদের সব হামলাকেই সন্ত্রাস বিরোধী হামলা বলে থাকে। স্কুল শিশু বা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা প্রাণ হারালেও তাতে কোন পরোয়া করে না!
তাদের পক্ষ হয়ে যেসব ভাড়াটে সেনা যুদ্ধ করছে, তাদের অর্থের জোগান দেয়া বা ইয়েমেনে চালক বিহীন বিমান থেকে এলোপাথাড়ি বোমা বর্ষণ,সবই তাদের ভাষায় সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ। চলমান সময়ে তারা নির্বোধ সৌদিদেরকে ইয়েমেনের যুদ্ধে ঠেলে দিয়েছে, আরবদের হত*্যা করার জন্য।
সাত বছর ধরে সিরিয়ায় গণহত্যা চলছে। জার্মানি ও হিরোশিমার পর এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণহত্যা। মিলিয়নের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সিরিয়ার ভেতরে ও বাহিরে বারো মিলিয়নের বেশি মানুষ শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রাক্কা, আলেপ্পো, দির আজজোর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ঠিক যেভাবে ধ্বংস হয়েছে ইরাকের মসুল ও ফাল্লুজা।
আজ যে সময়ে আমরা কথা বলছি, তখন হামলা চলছে সিরিয়ার আল গুতায়! জাতিসংঘ , আমেরিকা এবং সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চা হয় এমন সব রাষ্ট্রের আশির্বাদ নিয়ে রাশিয়ার সাদা মানুষটি সেখানে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হামলা পরিচালনা করছে। এই গ্ৰহের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সাদা মানুষটি সেখানে যা করছে তা ভাষায় ব্যক্ত করার মত নয়।
এসব কারণে অতিশুভ্র ও অতিকৃষ্ণের মাঝামাঝি বর্ণের হয়ে আমি বেশ গর্বিত।
লেখাটি সেসকল ভালো সাদা মানুষের জন্য যাদের মাঝে আমি কাটিয়েছি ত্রিশ ত্রিশটি বছর। যাদের কোমলতা, মহানুভবতা ও সততা কাছ থেকে দেখেছি। যারা প্রকৃত অর্থে মানুষের হিতাকাংখী। যারা মানবতা মানবতা বলে চিৎকারকারীদের থেকে ভিন্ন। যারা কিছু করতে চায়। যারা জালিম শাসকের উপর যুগপৎ চাপ প্রয়োগের পক্ষপাতী।
স্বাভাবিকভাবেই, আপনি এই সকল গণহত্যাকে পছন্দ করেন বা না করেন, আপনি এর অংশ! এই গণহত্যার পেছনে আপনার আর্থিক যোগান আছে! আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনার ছেলে বা মেয়ে বাহিনীতে যোগদান করে অহংকারবশত কোন নিরপরাধ পরিবারকে হত্যা করতে যেতে পারে এবং কোন কালো কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ফিরে আসতে পারে অথবা কোন অংগ
হারাতে পারে অথবা একজন ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে পরিচিত হতে পারে! অথবা নিরপরাধ মুসলিমদেরকে নির্যাতনকারী বা হত্যাকারী একজন ‘বীর’ হতে পারে!
লেখক: শায়খ ড. তারিক আব্দুল হালিম
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/06/12/23640/
Comment