ইন্নাল হামদা লিল্লাহি নাহমাদুহু ওয়া নাসতায়িনুহু মাই ইয়াহদিহিল্লাহু ফালা মুদিল্লা লাহু ওয়া মাই ইয়ুদলিল ফালা হাদিয়া লাহু ওয়া আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
বইয়ের নাম: Fool's Errand: Time to End the War in Afghanistan ("মূর্খের মিশন: আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ করার এখনই সময়")।
পরিচ্ছদ দুই: সমস্যা সত্যায়ন।
পরিচ্ছদ দুই: সমস্যা সত্যায়ন।
ওবামা প্রশাসনের মুখপাত্র মেরি হার্ফের মতো কিছু উদারপন্থী ডেমোক্র্যাটরা মনে করেন, চাকরি বা জীবিকার অভাবে যুবকরা দলে দলে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের মতো গোষ্ঠীর দিকে ঝোঁকে। অন্যদিকে, টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজের মতো রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা বলেন, "এটাই ইসলামের মূল শিক্ষা। এটাই 'উগ্র ইসলামিক চরমপন্থা'র ফল"। এই সমস্যাগুলোর জন্য এসব ব্যাখ্যা কেবল হাস্যকর হিসেবেই পরিগণিত হতো; যদি না তাদের এই ব্যাখ্যাগুলো এত প্রাণঘাতী নীতিগুলোর গঠনে অবদান রাখত।
যতটা "উগ্র"ই আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি হোক না কেন, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মূল কারণ, কখনই জীবিকার অভাবের মত সস্তা আদর্শও বা ইসলামী চরমপন্থা ছিল না। এই যুদ্ধের কারণ হলো, এমন কিছু মার্কিন বিদেশনীতি যা তারা (মুজাহিদরা) তাদের রাজনৈতিক (শরী'আহ) স্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে করত। ওসামা বিন লাদেন (রাহি বারবার তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেছিলেন তার ফতোয়া, ভাষণ এবং গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে, যা ১১ হামলার পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছিল। আমরা যদি তার (শায়খের) ১৯৯৮ সালের "ইহুদি ও ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা" বয়ান দিকে লক্ষ্য করি তাহলে তিনটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের কাছে স্পষ্ট হবে।
"প্রথমত, সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র ইসলামিক ভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পবিত্র ভূমি এবং আরব উপদ্বীপ দখল করে রেখেছে; এর সম্পদ লুট করেছে; এর শাসকদের শাসন করেছে; এর জনগণকে অপমাণিত করেছে; প্রতিবেশীদের ভীত-সন্ত্রস্ত করেছে এবং উপদ্বীপে তাদের ঘাঁটিগুলোকে যুদ্ধের অগ্রভাগে (ফ্রান্ট লাইনে) পরিণত করেছে যেখান থেকে আশেপাশের মুসলিম জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায়। অতীতে কেউ কেউ এই দখল সম্পর্কে প্রশ্ন তুললেও, এখন উপদ্বীপের সবাই একমত যে, 'এটি দখলদারিত্ব'। এর সর্বোচ্চ প্রমাণ হলো, মার্কিনীরা উপদ্বীপকে ব্যবহার করে ইরাকি জনগণের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, 'যদিও উপদ্বীপের সব শাসকই তাদের ভূমি এই কাজে ব্যবহারের বিরুদ্ধে, কিন্তু তারা অসহায়।"
"দ্বিতীয়ত, ক্রুসেডার-জায়নিস্ট জোটের হাতে ইরাকি জনগণের ওপর যে ভয়াবহ ধ্বংস নেমে এসেছে এবং প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যা এক মিলিয়নেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে... এত কিছুর পরও, আমেরিকানরা আবারও সেই ভয়াবহ গণহত্যার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করছে, যেন দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ, ভয়ানক যুদ্ধ, বা ইরাকের বিভক্তি এবং ধ্বংস তাদের কাছে যথেষ্ট নয়। তারা আবার এসেছে ইরাকি জনগণের অবশিষ্ট অংশকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে এবং তাদের মুসলিম প্রতিবেশীদের অপমানিত করতে।"
"তৃতীয়ত, যদি এই যুদ্ধগুলোর পেছনে আমেরিকানদের লক্ষ্য ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক হয়, তবে এর আরেকটি উদ্দেশ্য হলো ইহুদিদের ছোট্ট রাষ্ট্রকে সেবা করা এবং জেরুজালেম দখল ও সেখানে মুসলমানদের হত্যা থেকে দৃষ্টি সরানো। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো ইরাককে ধ্বংস করতে তাদের আগ্রহ; এবং ইরাক, সৌদি আরব, মিশর ও সুদানের মতো অঞ্চলের সব দেশকে ভাঙার চেষ্টা করা। যাতে, তাদের ছোট ছোট দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যায় এবং ইসরায়েলের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা যায়। ফলস্বরূপ, আরব উপদ্বীপের উপর নিষ্ঠুর ক্রুসেডার দখল অব্যাহত থাকে।"
এই ছিল আল-কায়েদার প্রধান অভিযোগগুলো। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ১৯৯০ সালে প্রথম ইরাক যুদ্ধের প্রস্তুতির সময় থেকে সৌদি আরবে মার্কিন সেনাবাহিনীর স্থায়ী ঘাঁটি স্থাপন এবং আরব উপদ্বীপের অন্যান্য দেশে তাদের উপস্থিতি। এই দেশগুলোর মধ্যে সীমান্ত অংকন (শায়খ) বিন লাদেন ও তার অনুসারীদের কাছে শুধু একটি বিভেদ নামান্তর। কারণ, তাদের কাছে পুরো উপদ্বীপ শুধুমাত্র জন্মভূমিই নয় বরং পবিত্র ভূমি—যেখানে নবী মুহাম্মদের জন্ম এবং ইসলাম ধর্মের উত্থান। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর এক সৌদি জরিপে দেখা গেছে, ২৫ থেকে ৪১ বছর বয়সী শিক্ষিত সৌদি পুরুষদের মধ্যে ৯৫ শতাংশই (শায়খ) বিন লাদেন (রাহি)র আমেরিকানদের উপদ্বীপ থেকে তাড়ানোর লক্ষ্যকে সমর্থন করেছিল। (শায়খ) বিন লাদেন অভিযোগ করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সামরিক ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করে ১৯৯০ এর দশকজুড়ে ইরাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও "নো-ফ্লাই জোন" এ বোমাবর্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল।
(শায়খ) বিন লাদেন নিয়মিতভাবে আমেরিকার ইসরায়েলের প্রতি শর্তহীন সমর্থনের কথা উল্লেখ করতেন, যা ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান জেরুজালেম দখল করেছে। এবং যা পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় লাখ লাখ ফিলিস্তিনির ভূমি। এছাড়াও, তিনি ইসরায়েলের ১৯৮২ সালের লেবাননের দক্ষিণ অংশে আক্রমণ ও পরবর্তী ১৮ বছরের দখলের বিরোধিতা করেছিলেন এবং এছাড়াও, তিনি টিকে "ইসরায়েল-কেন্দ্রিক পরিকল্পনা" হিসাবে উল্লেখ করেছেন, যা ইরাকের মতো প্রতিপক্ষ দেশগুলিকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
আল-কায়েদার আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ন্যায্যতা প্রমাণের আরেকটি যুক্তি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থাকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জর্ডান, সৌদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান, কাতার, ইয়েমেন ও মিশর। (শায়খ) বিন লাদেন অভিযোগ করেছিলেন যে, এই সমর্থনটি একটি শর্তের বিনিময়ে অর্জন হয়েছে। শর্তটি হলো,আরব শাসকরা তেলের দাম কৃত্রিমভাবে কম রাখে এবং তাদের লাভ আমেরিকান অস্ত্র কেনার পেছনে ব্যয় করে, জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করার পরিবর্তে।
এক পর্যায়ে, বিন লাদেন সেই পুরনো রসিকতাটির কথা উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে বলা হয় যে আরবের জনগণ তেল পান করতে পারে না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন যে. আরব অঞ্চলের সমস্ত তেলের উপর তার নিয়ন্ত্রণ থাকলেও, সেটি সবসময়ই বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এমনকি তিনি নিজেই আরবের সর্বময় শাসক হন, তবুও তেল বিক্রয় অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সকল পরিস্থিতিতে তেল বিক্রি হবে বাজারমূল্যে; কম দামে নয় বা অন্য কোনো শর্তে নয়।
তাহলে কি এটি একটি বিস্ময়ের বিষয় যে, ১১ সেপ্টেম্বরের সমস্ত হাইজ্যাকার সেই দেশগুলির নাগরিক ছিল, যাদের সরকারের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ? যেমন সৌদি আরব, মিশর, লেবানন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর এর বিপরীতে, তাদের মধ্যে একজনও ছিল না যে/যারা আমেরিকার ঘোষিত শত্রু রাষ্ট্রর নাগরিক, যেমন ইরান, ইরাক বা সিরিয়ার।
এত পরিষ্কার ঘোষণার পরও আমরা কেন ধ্বংসের দিকে এইফিয়ে যাচ্ছি? কেননা নীতি-নির্ধারকদের মতে, "ওসামা বিন লাদেন ছিল একজন গণহত্যাকারী, যিনি ঘৃণার যোগ্য। আমরা কেন তার কথা শুনব? কেউই কেন তার কথা শুনতে চাইবে? বাস্তবতা হলো, বিন লাদেন আসলে কী বিশ্বাস করতেন তা নির্বিশেষে, এই অভিযোগের তালিকা ছিল তার সফল নিয়োগ ব্যবস্থা; যা ব্যবহার করে তিনি তরুণদের আমেরিকার বিরুদ্ধে তার যুদ্ধ চালানোর জন্য উদ্দীপিত করেছিলেন। সিআইএর সাবেক বিন লাদেন ইউনিট প্রধান মাইকেল শোয়ার জোর দিয়েছেন যে, তখন রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতারা কি হলিউডের দ্বারা যুবদের অন্তর দূষিত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন? হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই উদ্বেগ কি যথেষ্ট ছিল তাদের আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধের জন্য (হত্যা করতে এবং মরতে) উদ্বুদ্ধ করার জন্য? অবশ্যই না।
বিন লাদেন তার পরিবর্তে আরব দেশগুলিতে বাস্তব, স্পষ্ট এবং প্রধানত বিধ্বংসী মার্কিন সরকারী নীতিগুলির উপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি যেসব নীতির কথা বলছিলেন সেগুলো ছিল আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই ধরনের অভিযোগগুলি তাকে একটি ছোট সন্ত্রাসীর বাহিনী নিয়োগ করতে সক্ষম করেছিল, যারা তার আদেশ পালন করতে প্রস্তুত ছিল, এমনকি তাদের নিজেদের জীবনও দান করতে প্রস্তুত ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, এপ্রিল ১৯৯৬ সালের ইসরাইলে অপারেশন গ্রেপস অফ র্যাথ অভিযান কথা বলা যাতে পারে। যখন ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননে ব্যাপক আগ্রাসন পরিচালনা করেছিল। সে সমসাময়িক সময়ে ১১ সেপ্টেম্বরের হাইজ্যাকার (আল্লাহ ভাইকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন), মুহাম্মদ আত্তা, তার ওয়াসিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। এটিই ছিল তার যুদ্ধ ও মৃত্যুকে সাদরে গ্রহণের প্রতীক। সাংবাদিক টেরি ম্যাকডারমট তার বইয়ে, (আমাদের ভাই) আত্তা (রাহি)'র "হামবুর্গ সেল" সম্পর্কে, উল্লেখ করেছেন যে, ১১ সেপ্টেম্বরের পরিকল্পনাকারীরা একমত হয়েছিল যে, আমেরিকানরাই ইসরাইলের সকল আগ্রাসনের জন্য দায়ী। কারণ, মার্কিন সরকার ইসরাইলকে সামরিক সরঞ্জাম এবং অন্যান্য আর্থিক সহায়তার জন্য কোটি কোটি ডলার প্রদান করছে। এটি স্পষ্ট যে, আত্তা (রাহি) এবং তার সহযোগীরা এই বিশ্বাসে পৌঁছেছিল যে আমেরিকান সরকার ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের পেছনে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করছে। তারা মনে করত যে, এই সহযোগিতা ইসরাইলকে তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে সাহায্য করছে এবং এর ফলে তাদের নিজেদের এবং তাদের সম্প্রদায়ের (মুসলিমদের) ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
এরপর কয়েক মাস পর, ১৯৯৬ সালের আগস্টে, ওসামা বিন লাদেন তার প্রথম "ফতোয়া" প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, যার শিরোনাম ছিল "দ্য ডিক্লারেশন অব ওয়ার এগেইনস্ট দ্য আমেরিকানস অকুপাইং দ্য ল্যান্ড অব দ্য টু হোলি প্লেসেস (দুই পবিত্র ভূমিতে আমেরিকানদের দখলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা)।বএতে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, অ্যাকশন মুভি, টাকো (খাবার), মাতৃত্ব, বা স্থানীয় মেলা কিংবা অন্যান্য আনন্দময় বিষয়ের প্রতি কোনো ঘৃণার উল্লেখ ছিল না। বরং এতে উল্লেখ করা হয়েছিল আরব উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির উপস্থিতি, সেই ঘাঁটি থেকে ইরাকের উপর বোমাবর্ষণ ও অবরোধ, এবং ইসরায়েলের দখলদারিত্বের কথা—বিশেষত অপারেশন গ্রেপস অফ রথ, যা প্রথম কানা হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। এই ঘটনায় ইসরায়েলি বাহিনী জাতিসংঘের একটি স্থাপনায় গোলাবর্ষণ করে, যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন ১০৬ জন লেবানিজ বেসামরিক নাগরিক, যাদের মৃত্যু ঘটে।
আপনাদের কাছে লুকানো উচিত নয় যে, মুসলমানরা ইহুদি-ক্রুসেডার ও তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়া আগ্রাসন, অবিচার ও অত্যাচারের শিকার হয়েছে। অবস্থায় এমন এক পর্যায়ে পৌছে যে, মুসলমানদের রক্তের মূল্য সবচেয়ে সস্তা হয়ে গেছে এবং তাদের সম্পদ শত্রুদের হাতে লুট হয়েছে। তাদের রক্ত প্যালেস্টাইন ও ইরাকে প্রবাহিত হয়েছে। লেবাননের কানা হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ চিত্রগুলো এখনও আমাদের স্মৃতিতে জীবিত।
মুসলিম তরুণরা আপনাদেরকেই দায়ী করে মুসলমানদের হত্যা, বিতাড়ন এবং পবিত্র ভূমিগুলোকে অসম্মানিত করার জন্য - যা আপনারা লেবাননে আপনার জায়নবাদী ভাইদের মাধ্যমে চালিয়েছেন। আপনারা কি তাদের প্রকাশ্যে অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে সাহায্য করেননি?
(* অনুবাদকের কথা: যদি মনে হচ্ছে লেখক এখানে মার্কিন নীতি নির্ধারকদের দায়ী সাব্যস্ত করছেন তাদের অত্যাচার এবং অত্যাচারীদের সাহায্যের ব্যাপারে; কিন্তু মূল বিষয়হলো লেখকের চাচ্ছে মুসলিমদের হত্যা ব্যাপারে তাদের আরো কৌশলী হওয়া দরকার)।
সাংবাদিক জেমস বামফোর্ড পরবর্তীতে উল্লেখ করেছিলেন, "[বিন লাদেন] প্রায়ই কানার হত্যাযজ্ঞের কথা বলতেন সেই সময়গুলোতে। এটি তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ঘৃণার বিকাশের ক্ষেত্রে খুবই উস্কানিদায়ক (গুরুত্বপূর্ণ) ঘটনা ছিল, এবং মধ্য প্রাচ্যের অন্যান্য মানুষদের জন্যও।"
যখন আত্তা (রাহি) এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু রামজি বিন আল-শিব (রাহি) জানতে পারলেন যে, (শায়খ) ওসামা বিন লাদেন তাদের মতাদর্শের সাথে কতটা গভীরভাবে একমত, তখন তারা সিদ্ধান্ত নিলেন যে, (শায়খের) লাদেনের যুদ্ধই তাদের জীবনযাত্রার পথ হবে। পরের বছর, আত্তা (রাহি) এবং বিন আল-শিব (রাহি) আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ শিবিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে তারা বিন লাদেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাকে (শায়েখকে) জানান যে, তারা আল-কায়েদায় মানহাজের সাথে একমত রাখেন, এবং তার সাথে যোগদানে ইচ্ছুক। আল-কায়েদার কাছে তাদের (আক্রমণকারী ভাইদের) সম্ভাবনার বিষয়টি স্পষ্ট ছিল; জার্মানিতে প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করা উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর এই গ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে সহজেই প্রবেশাধিকার পাওয়া সম্ভব ছিল...
এই হামলাকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক, আর্থিক এবং কূটনৈতিক সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা কেবল ইসরায়েলের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নয়, বরং দক্ষিণ লেবাননের মানুষের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সহিংসতার জন্যও ছিল। ইসরায়েল ১৯৮২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ লেবানন আক্রমণ ও দখল করে রেখেছিল এবং পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর সহিংসতা চালিয়েছে; - যে ভূমিগুলো ১৯৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধে দখল করার পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এটি অবশ্যই বোঝায় না যে, আল-কায়েদার নেতারা কখনো ১৯৬৭ সালের সীমান্তে ফিরে যাওয়া বা স্বাধীন ফিলিস্তিনের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ব্যাপারে সন্তুষ্ট হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। (শায়খ) বিন লাদেন (রাহি) নিজেই ইসরায়েলের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে, অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি সরকার ( যার মধ্যে গাজা উপত্যকার শাসক এবং মৌলবাদী মিলিটারি আন্দোলন হামাসও রয়েছে) বলেছে যে তারা এই শর্তে (১৯৬৭ সালের সীমান্তে ফিরে যাওয়া বা ফিলিস্তিনের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান) ইসরায়েলের সাথে স্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত থাকবে। এতে খুব কমই সন্দেহ থাকে যে, যদি ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা বা ইসরায়েলের নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে বিরোধের একটি বড় অংশ মিটে যাবে। যেমন, ২০০০ সালে ইসরায়েলি সেনা লেবানন থেকে প্রত্যাহার করার পর থেকে হিজবুল্লাহর ক্ষোভ ও আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
ইসরায়েলের কাছে আধুনিক উচ্চ-প্রযুক্তির অস্ত্র, পরিবহন, প্রশিক্ষণ এবং প্রায় সব দিক থেকেই তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বিশাল সামরিক সুবিধা রয়েছে। এই প্রতিবেশী দেশগুলোর বেশিরভাগই ইসরায়েল-বান্ধব একনায়কতন্ত্র, যেমন জর্ডান, মিশর এবং সৌদি আরব। সুতরাং, যারা যুক্তি দেন যে বিদেশি সহায়তা বন্ধ করা মানে ইসরায়েলের ইহুদি জনগণকে আরবদের হাতে দ্বিতীয়বারের মতো গণহত্যার জন্য “অরক্ষিত” করে দেওয়া হবে, তাদের এই যুক্তি গুরুত্বের সাথে নেওয়া যায় না। এই বিষয়ে সামরিক-কেন্দ্রিক ইসরায়েলি নেতারা, যেমন- প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিজেই বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রকে দুর্বল করে ফেলবে (তুফানুল আকাস অভিযানের জায়নবাদীদের এর মনোভাব আরো প্রবলভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। বর্তমানে একধিক ইহুদি নেতা এবং সংস্থা বলেছে যে, আমেরিকার খোলামেলাভাবে তাদের অনুমতি না দেওয়ার ফলে তারা ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধান করতে পারছে না)। এমনকি ইসরায়েলি এবং ইসরায়েল-সমর্থক চরমপন্থা নেতাদের দৃষ্টিকোণ থেকেও, আমেরিকার সাহায্য হয়তো ইসরায়েলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের প্রকৃত ব্যয় ও পরিণতি শুধু "মেড ইন ইউ.এস.এ." ব্র্যান্ডের এফ-১৬ এবং এম-১৬ এর মতো সামরিক সরঞ্জামের ওপর অপ্রয়োজনীয় বিলিয়ন ডলার ব্যয়েই সীমাবদ্ধ নয়, যা ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি ভূমির ওপর সামরিক দখল বজায় রাখতে সহায়তা করছে। এর বাইরেও এই হস্তক্ষেপের আরও গভীর প্রভাব রয়েছে, যার মধ্যে নিরীহ (যুদ্ধপ্রিয়) আমেরিকান প্রাণের অপচয় অন্যতম। এই অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং আমেরিকান নাগরিকদের জীবনও ঝুঁকিতে পড়েছে এবং তাদের অনেকেই এই সংঘাতের কারণে প্রাণ হারিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে এবং লেবাননে ইসরায়েলের সহিংসতাকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি বহুবার আল-কায়েদার হামলার মূল প্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা আমেরিকান নাগরিকদের ওপর আক্রমণ চালাতে তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। ১৯৯৭ সালে সিএনএন-এর পিটার আর্নেটের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে ওসামা বিন লাদেন (রাহি) নিজেও এই প্রসঙ্গে তার মতামত প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন যে এই ধরনের সহিংসতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আল-কায়েদার আক্রমণ চালানোর অন্যতম কারণ।
"আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছি, কারণ যুক্তরাষ্ট্র সরকার অবিচারপূর্ণ, অপরাধী এবং অত্যাচারী। এটি সরাসরি বা ইসরায়েলের দ্বারা নবীর মেরাজের ভূমি [ফিলিস্তিন] দখলের সমর্থন দিয়ে এমন কাজ করেছে যা অত্যন্ত অন্যায়, ভয়াবহ এবং অপরাধমূলক। আমরা বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিন, লেবানন এবং ইরাকে নিহতদের জন্য সরাসরি দায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের কথা উঠলেই আমাদের সর্বপ্রথম মনে পড়ে সেই নিরীহ শিশুদের কথা, যারা সম্প্রতি ক্বানা-র বিস্ফোরণে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল, যাদের মাথা ও হাত কেটে পড়েছিল।"
সেপ্টেম্বর ১১ কমিশনের কাছে শত্রুদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এফবিআই এজেন্ট জেমস ফিটজগেরাল্ড তার সাক্ষ্যে ব্যাখ্যা করেন:
"আমি মনে করি, তারা (মুজাহিদরা) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রবল ক্ষোভ ও অসন্তোষ অনুভব করে। তারা নিজেদেরকে ফিলিস্তিন সমস্যার সাথে নিজেদের সংযুক্ত করে এবং যেসব মানুষ দমনমূলক শাসনের বিরোধিতা করে, তাদের প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করে। আমি বিশ্বাস করি, তাদের এই ক্ষোভ এবং হতাশা শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই কেন্দ্রীভূত হয়, যার ফলে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এটির বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ পায়।"
বাস্তবে, সেপ্টেম্বর ১১-র হামলার পর, তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল মনে করেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট বুশের জনপ্রিয়তা খুবই উঁচুতে ছিল। এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে, আমেরিকাবিরোধী সন্ত্রাসের সমস্যা সমাধানের জন্য অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে দ্রুত অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তবে, পাওয়েল শীঘ্রই হতাশ হলেন যখন তিনি আবিষ্কার করলেন যে, যুদ্ধপন্থী গোষ্ঠীর (মার্কিন প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর ও জেনারেলদের) আরেকটি ভিন্ন ব্যাখ্যা প্রেসিডেন্টের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। এই ব্যাখ্যায় ইসরায়েলকে শুধু ইসলামি সন্ত্রাসবাদের নিরীহ শিকার হিসেবে দেখানো হচ্ছিল- যেমনটি, যুক্তরাষ্ট্রও নিজেদের মনে করে।
তারা বুশকে এই বিশ্বাসে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় যে "জেরুজালেমে যাওয়ার পথ বাগদাদের মধ্য দিয়ে যায়"—অর্থাৎ, ইরাকে শাসন পরিবর্তনই এমন একটি সর্বোত্তম সমাধান যা অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন সম্পূর্ণরূপে শেষ করবে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের অবস্থান ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে।
লিবারেল ম্যাগাজিন ন্যাশন-এর কলামিস্ট এরিক আল্টারম্যানও এই সমস্যাটিকে স্বীকার করেছেন এবং বলেছিলেন:
"আমি মনে করি বিন লাদেন এবং ৯/১১ আংশিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েল সমর্থনের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর যে অনেক সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, এবং যারা যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করতে চায় তাদের মধ্যে যে সম্ভাব্য সন্ত্রাসীদের বড় একটি গোষ্ঠী রয়েছে, তারা সকলেই যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েল সমর্থনের কারণে অনুপ্রাণিত।
আমি এটা বলছি না যে, এই কারণে আমাদের ইসরায়েলকে সমর্থন করা উচিত নয়। বরং আমি বলছি, 'যদি আমাদের এই মূল্য দিতে হয়, তবে আমি তা দিতে প্রস্তুত।'... আমি শুধু বলছি, আসুন আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে সৎ থাকি এবং সত্যটা স্বীকার করি।"
(অনুবাদকের কথা: আমার ভাবতেই অবাক লাগে কি পরিষ্কার তাদের শত্রুতা। কতই না স্পষ্ট তাদের স্বীকারোক্তি, তাদের যুদ্ধের ঘোষণা। অথচ, এই ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল আমাদের। যেমনটা, মুসলিম জাতির পিতা ঘোষণা করেছিলেন, اِذۡ قَالُوۡا لِقَوۡمِهِمۡ اِنَّا بُرَءٰٓؤُا مِنۡكُمۡ وَ مِمَّا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ۫ كَفَرۡنَا بِكُمۡ وَ بَدَا بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَكُمُ الۡعَدَاوَۃُ وَ الۡبَغۡضَآءُ اَبَدًا حَتّٰی تُؤۡمِنُوۡا بِاللّٰهِ وَحۡدَهٗۤ (তারা যখন স্বীয় সম্প্রদায়কে বলছিল, ‘তোমাদের সাথে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যা কিছুর উপাসনা কর তা হতে আমরা সম্পর্কমুক্ত। আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করি; এবং উদ্রেক হল আমাদের- তোমাদের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য; যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আন। ... (সূরা মুমতাহিনা; ৬০:৪)
একজন ব্যক্তি এই বাস্তবতাকে স্বীকার করতে পারেন এবং তবুও বিশ্বাস রাখতে পারেন যে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের দখলকে সমর্থন করতে হবে, আরবীয়ায় সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্য রাখতে হবে, ইরাকে বোমা মারতে থাকতে হবে এবং বিভিন্ন উপায়ে সন্ত্রাসী শত্রুদের উস্কে দিতে হবে। কিন্তু এটি উল্লেখযোগ্য যে, যুদ্ধপন্থীরা (মার্কিন নিরাপত্ত পরিষদ এবং জেনারেলরা) মাঝে মাঝে সত্যটা স্বীকার করেন: আমাদের শত্রুদের যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণের উদ্দেশ্যগুলি মূলত আমাদের সরকারের বিদেশী নীতির সাথে সম্পর্কিত, এবং এর সাথে আমেরিকান সংখ্যাগরিষ্ঠের ত্বকের রঙ, প্রধানত খ্রিস্টান ধর্মীয় বিশ্বাস, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, প্রজাতন্ত্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বা আমাদের আকাশচুম্বী ভবনের অস্বাভাবিক উচ্চতার কোনো সম্পর্ক নেই।
সমস্যাটি সবসময় সামরিক দখল এবং স্বৈরাচারী শাসকদের সমর্থনের কারণে হয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা যায় যে, আমাদের সরকারের বিদেশী নীতি এবং সামরিক কার্যকলাপের কারণেই শত্রুরা আমাদের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। এই কারণে, যুদ্ধপন্থীরা যখন সত্যটিকে স্বীকার করে, তখন তারা আসলে সেই গভীর এবং জটিল রাজনৈতিক বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করেন যা আমাদের দেশের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করে।
Comment