ইহুদীরা তাদের বিকৃত কিতাবে যা পাচ্ছে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। তাদের কিতাবের বক্তব্য ঠিক হোক বা ভুল, তারা ঠিকই মাসীহ-র আগমনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে এবং নিচ্ছে। কিন্তু আমরা মুসলিমরা জানি, আমাদের কাছে যা আছে তা সম্পূর্ণ সঠিক। কিন্তু আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি না। আমরা জানি মাসীহ আদ দাজ্জালের আগমনের একটি চিহ্ন এখনো প্রকাশ পায় নি, আর তা হল আল মাহদী। আমরা নিশ্চিত ভাবে এটা জানি যে আল মাহদী, আল মাসীহ আদ দাজ্জালের আগে আসবেন। আদ দাজ্জাল এসে যাবার পর আমাদের করনীয় তেমন কিছু নেই। কিন্তু আল মাহদী আসার পর আমরা কি করছি তার উপরই নির্ভর করবে দাজ্জাল আসার পর আমাদের অবস্থান কোথায় হবে। আমরা জানি সমগ্র বিশ্ব আল মাহদী এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে। আল মাহদী খুলাফায়ে রাশিদার আদলে শারীয়াহ প্রতিষ্ঠা করবেন। এবং আমরা নিশ্চিত ভাবে জানি আল মাহদী শান্তির পায়রা ওড়াতে আসবেন না, তিনি যুদ্ধ করবেন। সমগ্র পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে ভয়ঙ্কর যে মহাযুদ্ধ – আল মালহামা – আল মাহদী সেই যুদ্ধে মুসলিমদের নেতৃত্ব দেবেন – যদি আমরা বেঁচে থাকি তাহলে আল্লাহ যেন আমাদের তাউফীক দেন আল মাহদীর বাহিনীতে যোগ দেয়ার।অর্থাৎ এই যুদ্ধ তিনি একা করবেন না, তাঁর সাথে মুসলিমদের সশস্ত্র বাহিনী থাকবে যারা তাঁর অধীনে জিহাদ করবে।
.
.
.
এই দল বা দলগুলো কি আল মাহদী আসার পর রাতারাতি তৈরি হয়ে যাবে? রাতারাতি কিছু লোক আল মাহদীর কাছে আসবে আর আলৌকিক ভাবে যুদ্ধাস্ত্র আর ট্রেইনিং পেয়ে যাবে? নাকি এই দলগুলো আগে থেকেই কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত থাকবে, এবং মাহদীকে চিনতে পেরে বা তাঁর আগমনের কথা জানতে পেরে এই সশস্ত্র দলগুলো তাঁকে বাইয়াহ (আনুগত্যের শপথ) দেবে? হাদীস থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় কি ঘটবে। অথচ দেখুন সমগ্র মুসলিম উম্মাহ (শি’আদের আমরা মুসলিম উম্মাহ-র অংশ মনে করি না) এই ব্যাপারটা নিয়ে উদাসীন। ইহুদীরা তালমুদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে মাসীহ আদ দাজ্জালের আগমণের জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছে। নিউক্লিয়ার বম্ব বানিয়ে রেখেছে, কাবালাহ, ইলুমিনাটি, ফ্রী ম্যাসনরী সহ অন্যান্য গুপ্ত সংগঠন, বিশ্ব মিডিয়া, বৈশ্বিক “কালচার” সব কিছুর মাধ্যমে দাজ্জালের আবির্ভাবের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করছে। আর আমরা, আল মাহদী একজন যোদ্ধা, যিনি যোদ্ধাদের কাছ থেকে বাইয়াহ গ্রহণ করে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন এবং খুলাফায়ে রাশিদার আদলে শাসন করবেন, এই সব কিছু জানার পরও, আল মাহদীর আগমনের চিহ্নগুলো চলে এসেছে, এটা জানার পরও আমরা মুসলিমরা এখনো প্রস্তুতি গ্রহণ তো দূরের কথা, সশস্ত্র ইসলামী দলের বৈধতাই স্বীকার করতে চাই না। ইসলামে এ ব্যাপারে কি বলা আছে সেটা খোজার দরকার নেই, পশ্চিমারা সন্ত্রাসী-সন্ত্রাসী সুর তোলে, আর আমরাও সেই সুরে গান গাই। এই ব্যাপারে কি কোন সন্দেহ থাকতে পারে যে আল মাহদী-কে পশ্চিমারা “সন্ত্রাসী” বলবে? আমরা কেন তাহলে কাফিরদের তৈরি করা প্যারাডাইমে চিন্তা করবো?
.
.
.
এই দল বা দলগুলো কি আল মাহদী আসার পর রাতারাতি তৈরি হয়ে যাবে? রাতারাতি কিছু লোক আল মাহদীর কাছে আসবে আর আলৌকিক ভাবে যুদ্ধাস্ত্র আর ট্রেইনিং পেয়ে যাবে? নাকি এই দলগুলো আগে থেকেই কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত থাকবে, এবং মাহদীকে চিনতে পেরে বা তাঁর আগমনের কথা জানতে পেরে এই সশস্ত্র দলগুলো তাঁকে বাইয়াহ (আনুগত্যের শপথ) দেবে? হাদীস থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় কি ঘটবে। অথচ দেখুন সমগ্র মুসলিম উম্মাহ (শি’আদের আমরা মুসলিম উম্মাহ-র অংশ মনে করি না) এই ব্যাপারটা নিয়ে উদাসীন। ইহুদীরা তালমুদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে মাসীহ আদ দাজ্জালের আগমণের জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছে। নিউক্লিয়ার বম্ব বানিয়ে রেখেছে, কাবালাহ, ইলুমিনাটি, ফ্রী ম্যাসনরী সহ অন্যান্য গুপ্ত সংগঠন, বিশ্ব মিডিয়া, বৈশ্বিক “কালচার” সব কিছুর মাধ্যমে দাজ্জালের আবির্ভাবের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করছে। আর আমরা, আল মাহদী একজন যোদ্ধা, যিনি যোদ্ধাদের কাছ থেকে বাইয়াহ গ্রহণ করে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন এবং খুলাফায়ে রাশিদার আদলে শাসন করবেন, এই সব কিছু জানার পরও, আল মাহদীর আগমনের চিহ্নগুলো চলে এসেছে, এটা জানার পরও আমরা মুসলিমরা এখনো প্রস্তুতি গ্রহণ তো দূরের কথা, সশস্ত্র ইসলামী দলের বৈধতাই স্বীকার করতে চাই না। ইসলামে এ ব্যাপারে কি বলা আছে সেটা খোজার দরকার নেই, পশ্চিমারা সন্ত্রাসী-সন্ত্রাসী সুর তোলে, আর আমরাও সেই সুরে গান গাই। এই ব্যাপারে কি কোন সন্দেহ থাকতে পারে যে আল মাহদী-কে পশ্চিমারা “সন্ত্রাসী” বলবে? আমরা কেন তাহলে কাফিরদের তৈরি করা প্যারাডাইমে চিন্তা করবো?
Comment