ওবামার নতুন ঘোষণা, পরাজয়ের পথে আরেক যাত্রা।
জুলাই মাসের প্রথমদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্ঘ প্রেসিডেন্ট ওবামা আফাগানিস্তানে অবস্থানরত স্বীয় সৈনিকদের কে অধিকারের মধ্যে অতিরিক্ত এটাও সংযোজন করেছে, যাতে তারা খোলা মনে এবং কোন তোয়াক্কা ব্যতিরিকেই আফগান মজলুমদের উপর জুলুমের বাজার গরম রাখতে পারে। একই মাসের শেষে মিডিয়ায় এ সংবাদ আসা শুরু করেছে যে, ওবামার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত অধিকার কে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমেরিকান ফৌজ ইমারাতে ইসলামিয়্যা’র মুজাহিদীনের উপর বোম্বিং শুরু করে দিয়েছে।
আমেরিকার এই ঘোষণা এবং পদক্ষেপ এমন অবস্থায় হয়েছে যে, আফগানিস্তানে আমেরিকার আগ্রাসনের পর থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত আমাদের মজলুম জনসাধারণের উপর এ্যমেরিকা কর্তৃক বোম্বিং এবং ভয়াল নির্যাতনে কোনো অবকাশ আসেনি। জি হ্যাঁ, সরাসরি লড়াইয়ে পরাজয়, যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন এবং নিজেদের ঘাটিগুলোতে সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর যখন ২০১৪ সালে আমেরিকা আফগানিস্তানে নিজেদের কুকর্মের সমাপ্তির ঘোষণা দিল এবং বললো যে, এখন আমাদের কাজ হলো, শুধুমাত্র কাবুল সরকারের আমলা ও সৈনিকদের তরবিয়্যত দেয়া। এসকল ঘোষণা থেকে আমেরিকার উদ্দেশ্য আফগানিদের সাথে প্রতারণা করা এবং তাদের চোখে ধুলো দেয়া’ই ছিলো। তারা মনে করে ছিলো, এভাবে আফগানিস্তানের জনসাধারণ ইমারাতে ইসলামিয়্যা’র সাহায্য-সহযোগীতা থেকে হাত গুটিয়ে কাবুল সরকারের সমর্থন দেয়া শুরু করবে। কিন্তু আমেরিকার দুর্ভাগ্য যে, তাদের এ পলিসিও কোনোভাবে সফল হয়নি। আমেরিকা দেখে নিলো যে, না শুধুমাত্র তাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফৌজ, দুর্বল ও ক্ষয়িষ্ণু শাসনব্যবস্থার প্রতি আফগান মুসলিম জনসাধারণের অন্তরে বিদ্যমান ঘৃণা ও অসন্তুসে কমতি এসেছে এবং না এই সম্ভ্রান্ত আফগান জাতি মুজাহিদীনের সাহায্য-সহযোগীতা থেকে পিছু হটেছে, বরং এই পুতুল সরকারের মুজাহিদীনের বিরুদ্ধে কার্যক্ষেত্রে স্বাধীনতা বৃদ্ধির পর যখন মজলুম জনগনের উপর জুলুম এবং নিপীড়নের মাত্রা বেড়ে গেলো, তখন সাথে সাথেই তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান ঘৃণা আরো বেড়ে গেলো এবং মুজাহিদীনের সাথে জণগনের মুহাব্বত অনেকাংশে বৃদ্ধি পেলো। যার ফলাফল এই দাড়ালো যে, প্রিয় ভূমির অনেক বড় বড় এলাকা মুজাহিদীনের করতলে এসে গেলো। এবং পুতুল সরকারের বৃহত্তর অংশ ধ্বংস ও জখমী হলো। পরিণামে পুতুল সরকারের সৈন্যদের মাঝে পলায়নের হিড়িক চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেলো এবং কাবুল সরকারের পতনের আশংকা বেড়ে গেলো। আর তাই পুতুল সরকারের সৈনিকদের মাঝে নতুন উদ্ধিপনা সৃষ্টির লক্ষ্যে এমেরিকা এই ঘোষণা দিলো।
আমরা জানি যে, এই ঘোষণা নিছক কোনো ঘোষণা নয়, এর ফলস্বরুপ আফগান জাতির ঘরগুলোতে পুণরায় বিভিষিকা নেমে আসবে। মুজাহিদীনের সাথে সম্পর্ক এবং আত্মীয়তার অজুহাতে অনেক যুবক কে জেল খাটতে হবে। মানুষের ঘর-বাড়ি, মসজিদ-মাদ্রাসা, মিলনায়তন এবং হাসপাতালগুলো বোম্বিংয়ের টার্গেটে পরিণত হবে। শিশু, নারী, দুর্বল বৃদ্ধরা নিহত হবে। রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে এলাকাগুলোর আবহাওয়া মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। আফগানিস্তানে হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলা আরো প্রকট আকার ধারন করবে। এবং লাখো মাজলুম এবং নিঃস্ব জণগন নিজেদের দেশে নিজেদের বসত-ভিটা ছাড়তে বাধ্য হয়ে যাবে। এসব কিছু আমেরিকার নির্বিচার বোম্বিংয়ের সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এ থেকে দখলদার আমেরিকার কী ফায়দা অর্জিত হবে? এর দ্বারা আমেরিকা ও তার পুতুল সরকারের বিরুদ্ধে আফগানিদের অন্তরে বিদ্যমান ক্ষোভ ও ক্রোধে কি সামান্যতম কমতি আসবে? এভাবে কি আফগান জণগন দখলদার জাতিগুলোর দখলদারিত্ব বিনাদিধায় মেনে নিবে? না তাদের বিরুদ্ধে চলমান ‘পবিত্র প্রতিবন্ধকতায়’ কমতি আসবে? না, কখনো নয়, কোনো কিছুই হবে না। তবে অবশ্যই এতটুকু হবে যে, এর দ্বারা দুনিয়াবাসীর সামনে আমেরিকার হিংস্র ও ভয়ঙ্গকর চেহারা প্রকাশিত হয়ে পড়বে। তাদের বিরুদ্ধে আফগান জণগনের মাঝে অবস্থিত ক্ষোভ এবং ক্রোধ আরো বৃদ্ধি পাবে। আমেরিকার বিরুদ্ধে চলমান জিহাদি অপারেশন আরো তীব্র ও কঠোর হবে। জণগনের মাঝে প্রতিষ্ঠিত একতা ও ঐক্যের বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে। জণগনের মাঝে মুজাহিদীনের মুহাব্বত আরো গভীরে পৌছবে। এবং আমেরিকার প্রতারণা আরো খোলাখোলিভাবে সামনে এসে যাবে যে, একদিকে এরা সন্ধির কথা বলে আবার অন্য দিকে যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আমরা বিগত দেড় দশক ধরে আমেরিকার বিরুদ্ধে মানবেতিহাসের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ লড়ে যাচ্ছি। এ কারণে আমরা আমেরিকার সমস্ত দুর্বলতা সম্পর্কে সম্যক অবগত। তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো, এরা নিজেদের নিকৃষ্ট স্বার্থ উদ্ধারে সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যায় এবং শত্রুর গতিবিধি/হায়সিয়ত পর্যালোচনা করা ব্যতিরিকেই আক্রমণ করে বসে। সর্বদা নিজেদের দুশমণ কে তুচ্ছ জ্ঞান করে আর এটিই তাদের ধ্বংসের আসল কারণ।
আমেরিকা সমস্ত মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়ে এই যুদ্ধ শুরু করেছে। তাই আফগান জণগনের দখলদার জাতিশক্তির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নেয়া এবং ওয়াফাদার সমস্ত মুসলমানেরা আফগান জণগন কে সাহায্য-সহায়তা করার জন্য নিজেদের বাধ্য মনে করা এক প্রাকৃতিক ও স্বভাবজাত বিষয়। কিন্তু এমেরিকানদের বোকামি দেখুন, তারা এই বিষয়টি বুঝতে পারেনি। এবং তালেবানের মতো এক আযীমুশ শান জামাত কে ছোট্ট একটি গ্রুপ মনে করে অল্প ক’দিনেই মিটিয়ে দিতে এবং যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আফগানিস্তানের উপর হামলে পড়লো। কিন্তু তাদের এই স্বপ্নের লজ্জাজনক ব্যাখ্যাও হয়নি। এজন্য যে তালেবানের সাথে সাথে সারা দেশের খাটি মুসলমানরাও আমেরিকা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেলো। কেননা, এ যুদ্ধ তো তালেবানের বিরুদ্ধে ছিলো না, ছিলো পুরো মিল্লাতের বিরুদ্ধে।
আমেরিকা ও তার জোট বাহিনী আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের সর্বশক্তি ও টেকনোলজি ব্যবহার করেছে। জুলুম ও বর্বরতার সকল পদ্ধতির আশ্রয় নিয়ে সব ধরনের আর্থিক ও আত্মিক ক্ষতি পৌছিয়েছে।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও তারা আফগান জনসাধারণের সংকল্পে চিড় ধরাতে পারেনি, আর না ভবিষ্যতে এমনটা করার কোনো সুযোগ তাদের আছে। কেননা, এ হলো মজবুত ও বলিষ্ঠ সংকল্প। এটা কখনো, পরিবর্তন হতে পারে না। এজন্য আমেরিকার উচিৎ, তারা যেন অতিরিক্ত আত্মপ্রবঞ্চণা থেকে বিরত থাকে। এবং নিজেদের স্বভাবজাত জিম্মাদারি মিটিয়ে পরাজয় স্বীকার করে নেয়। আফগান জণগনের কাছে ক্ষমা চেয়ে বের হওয়ার নিরাপদ রাস্তা তালাশ করে। অন্যথায় লাঞ্চনা ও অপমানকর হয়ে পালিয়ে যাওয়ার দিন তো অতি নিকটে’ই, সাথে সাথে মাথায় হাত রেখে আফসোস করারও ফুরসত অবশিষ্ট থাকবে না।
আমেরিকার এই ঘোষণা এবং পদক্ষেপ এমন অবস্থায় হয়েছে যে, আফগানিস্তানে আমেরিকার আগ্রাসনের পর থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত আমাদের মজলুম জনসাধারণের উপর এ্যমেরিকা কর্তৃক বোম্বিং এবং ভয়াল নির্যাতনে কোনো অবকাশ আসেনি। জি হ্যাঁ, সরাসরি লড়াইয়ে পরাজয়, যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন এবং নিজেদের ঘাটিগুলোতে সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর যখন ২০১৪ সালে আমেরিকা আফগানিস্তানে নিজেদের কুকর্মের সমাপ্তির ঘোষণা দিল এবং বললো যে, এখন আমাদের কাজ হলো, শুধুমাত্র কাবুল সরকারের আমলা ও সৈনিকদের তরবিয়্যত দেয়া। এসকল ঘোষণা থেকে আমেরিকার উদ্দেশ্য আফগানিদের সাথে প্রতারণা করা এবং তাদের চোখে ধুলো দেয়া’ই ছিলো। তারা মনে করে ছিলো, এভাবে আফগানিস্তানের জনসাধারণ ইমারাতে ইসলামিয়্যা’র সাহায্য-সহযোগীতা থেকে হাত গুটিয়ে কাবুল সরকারের সমর্থন দেয়া শুরু করবে। কিন্তু আমেরিকার দুর্ভাগ্য যে, তাদের এ পলিসিও কোনোভাবে সফল হয়নি। আমেরিকা দেখে নিলো যে, না শুধুমাত্র তাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফৌজ, দুর্বল ও ক্ষয়িষ্ণু শাসনব্যবস্থার প্রতি আফগান মুসলিম জনসাধারণের অন্তরে বিদ্যমান ঘৃণা ও অসন্তুসে কমতি এসেছে এবং না এই সম্ভ্রান্ত আফগান জাতি মুজাহিদীনের সাহায্য-সহযোগীতা থেকে পিছু হটেছে, বরং এই পুতুল সরকারের মুজাহিদীনের বিরুদ্ধে কার্যক্ষেত্রে স্বাধীনতা বৃদ্ধির পর যখন মজলুম জনগনের উপর জুলুম এবং নিপীড়নের মাত্রা বেড়ে গেলো, তখন সাথে সাথেই তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান ঘৃণা আরো বেড়ে গেলো এবং মুজাহিদীনের সাথে জণগনের মুহাব্বত অনেকাংশে বৃদ্ধি পেলো। যার ফলাফল এই দাড়ালো যে, প্রিয় ভূমির অনেক বড় বড় এলাকা মুজাহিদীনের করতলে এসে গেলো। এবং পুতুল সরকারের বৃহত্তর অংশ ধ্বংস ও জখমী হলো। পরিণামে পুতুল সরকারের সৈন্যদের মাঝে পলায়নের হিড়িক চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেলো এবং কাবুল সরকারের পতনের আশংকা বেড়ে গেলো। আর তাই পুতুল সরকারের সৈনিকদের মাঝে নতুন উদ্ধিপনা সৃষ্টির লক্ষ্যে এমেরিকা এই ঘোষণা দিলো।
আমরা জানি যে, এই ঘোষণা নিছক কোনো ঘোষণা নয়, এর ফলস্বরুপ আফগান জাতির ঘরগুলোতে পুণরায় বিভিষিকা নেমে আসবে। মুজাহিদীনের সাথে সম্পর্ক এবং আত্মীয়তার অজুহাতে অনেক যুবক কে জেল খাটতে হবে। মানুষের ঘর-বাড়ি, মসজিদ-মাদ্রাসা, মিলনায়তন এবং হাসপাতালগুলো বোম্বিংয়ের টার্গেটে পরিণত হবে। শিশু, নারী, দুর্বল বৃদ্ধরা নিহত হবে। রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে এলাকাগুলোর আবহাওয়া মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। আফগানিস্তানে হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলা আরো প্রকট আকার ধারন করবে। এবং লাখো মাজলুম এবং নিঃস্ব জণগন নিজেদের দেশে নিজেদের বসত-ভিটা ছাড়তে বাধ্য হয়ে যাবে। এসব কিছু আমেরিকার নির্বিচার বোম্বিংয়ের সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এ থেকে দখলদার আমেরিকার কী ফায়দা অর্জিত হবে? এর দ্বারা আমেরিকা ও তার পুতুল সরকারের বিরুদ্ধে আফগানিদের অন্তরে বিদ্যমান ক্ষোভ ও ক্রোধে কি সামান্যতম কমতি আসবে? এভাবে কি আফগান জণগন দখলদার জাতিগুলোর দখলদারিত্ব বিনাদিধায় মেনে নিবে? না তাদের বিরুদ্ধে চলমান ‘পবিত্র প্রতিবন্ধকতায়’ কমতি আসবে? না, কখনো নয়, কোনো কিছুই হবে না। তবে অবশ্যই এতটুকু হবে যে, এর দ্বারা দুনিয়াবাসীর সামনে আমেরিকার হিংস্র ও ভয়ঙ্গকর চেহারা প্রকাশিত হয়ে পড়বে। তাদের বিরুদ্ধে আফগান জণগনের মাঝে অবস্থিত ক্ষোভ এবং ক্রোধ আরো বৃদ্ধি পাবে। আমেরিকার বিরুদ্ধে চলমান জিহাদি অপারেশন আরো তীব্র ও কঠোর হবে। জণগনের মাঝে প্রতিষ্ঠিত একতা ও ঐক্যের বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে। জণগনের মাঝে মুজাহিদীনের মুহাব্বত আরো গভীরে পৌছবে। এবং আমেরিকার প্রতারণা আরো খোলাখোলিভাবে সামনে এসে যাবে যে, একদিকে এরা সন্ধির কথা বলে আবার অন্য দিকে যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আমরা বিগত দেড় দশক ধরে আমেরিকার বিরুদ্ধে মানবেতিহাসের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ লড়ে যাচ্ছি। এ কারণে আমরা আমেরিকার সমস্ত দুর্বলতা সম্পর্কে সম্যক অবগত। তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো, এরা নিজেদের নিকৃষ্ট স্বার্থ উদ্ধারে সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যায় এবং শত্রুর গতিবিধি/হায়সিয়ত পর্যালোচনা করা ব্যতিরিকেই আক্রমণ করে বসে। সর্বদা নিজেদের দুশমণ কে তুচ্ছ জ্ঞান করে আর এটিই তাদের ধ্বংসের আসল কারণ।
আমেরিকা সমস্ত মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়ে এই যুদ্ধ শুরু করেছে। তাই আফগান জণগনের দখলদার জাতিশক্তির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নেয়া এবং ওয়াফাদার সমস্ত মুসলমানেরা আফগান জণগন কে সাহায্য-সহায়তা করার জন্য নিজেদের বাধ্য মনে করা এক প্রাকৃতিক ও স্বভাবজাত বিষয়। কিন্তু এমেরিকানদের বোকামি দেখুন, তারা এই বিষয়টি বুঝতে পারেনি। এবং তালেবানের মতো এক আযীমুশ শান জামাত কে ছোট্ট একটি গ্রুপ মনে করে অল্প ক’দিনেই মিটিয়ে দিতে এবং যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আফগানিস্তানের উপর হামলে পড়লো। কিন্তু তাদের এই স্বপ্নের লজ্জাজনক ব্যাখ্যাও হয়নি। এজন্য যে তালেবানের সাথে সাথে সারা দেশের খাটি মুসলমানরাও আমেরিকা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেলো। কেননা, এ যুদ্ধ তো তালেবানের বিরুদ্ধে ছিলো না, ছিলো পুরো মিল্লাতের বিরুদ্ধে।
আমেরিকা ও তার জোট বাহিনী আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের সর্বশক্তি ও টেকনোলজি ব্যবহার করেছে। জুলুম ও বর্বরতার সকল পদ্ধতির আশ্রয় নিয়ে সব ধরনের আর্থিক ও আত্মিক ক্ষতি পৌছিয়েছে।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও তারা আফগান জনসাধারণের সংকল্পে চিড় ধরাতে পারেনি, আর না ভবিষ্যতে এমনটা করার কোনো সুযোগ তাদের আছে। কেননা, এ হলো মজবুত ও বলিষ্ঠ সংকল্প। এটা কখনো, পরিবর্তন হতে পারে না। এজন্য আমেরিকার উচিৎ, তারা যেন অতিরিক্ত আত্মপ্রবঞ্চণা থেকে বিরত থাকে। এবং নিজেদের স্বভাবজাত জিম্মাদারি মিটিয়ে পরাজয় স্বীকার করে নেয়। আফগান জণগনের কাছে ক্ষমা চেয়ে বের হওয়ার নিরাপদ রাস্তা তালাশ করে। অন্যথায় লাঞ্চনা ও অপমানকর হয়ে পালিয়ে যাওয়ার দিন তো অতি নিকটে’ই, সাথে সাথে মাথায় হাত রেখে আফসোস করারও ফুরসত অবশিষ্ট থাকবে না।
(সুত্রঃ ‘ইমারাতে ইসলামিয়্যা আফগানিস্তানের’ একমাত্র উর্দু ম্যাগাজিন মাহ্*নামা শরীয়ত।)
Comment