Announcement

Collapse
No announcement yet.

এসে গেছে.........বিজয়ী উম্মাহ্*র প্রতি সংক্ষিপ্ত পয়গাম।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এসে গেছে.........বিজয়ী উম্মাহ্*র প্রতি সংক্ষিপ্ত পয়গাম।

    এসে গেছে আমীরুল মুজাহিদীন, হাকীমুল উম্মাহ্* শায়েখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ্*র পক্ষ থেকে বিজয়ী উম্মাহ্*র প্রতি সংক্ষিপ্ত পয়গাম। আল&#2489
    পিডিএফ ডাউনলোড করুনঃ
    https://www.sendspace.com/file/p7pvv7

  • #2
    জাজাকাল্লাহ
    খুব সুন্দর হ*য়ে*ছে

    Comment


    • #3
      যাজাকাল্লাহ আপনি তো একাই এক মিডিয়া।
      মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
      রোম- ৪৭

      Comment


      • #4
        টেক্সট কপি......

        বিজয়ী উম্মাহ্*র প্রতি সংক্ষিপ্ত পয়গাম...
        (প্রথম পর্ব)
        কোরআনের প্রতিরক্ষা কে করবে?

        শাইখুল মুজাহিদ আইমান আয-যাওয়াহিরী (হাফিজাহুল্লাহ্*)




        বাংলা অনুবাদঃ
        গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্ট, উপমহাদেশ।

        بسم الله الرحمن الرحيم
        الحمد لله والصلوة و السلام علي رسول الله وعلي آله وأصحابه أجمعين
        সারা বিশ্বে অবস্থানরত আমার মুসলিম ভাইয়েরা!
        আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু......
        আম্মা বা’দ ......
        আমি আমার কথার শুরু ‘আরব বসন্ত’-এর নামে সংগঠিত বাহ্যিক পর্যালোচনা দিয়ে করবো। যাতে আমরা এ থেকে শিক্ষা অর্জন করতে পারি। আরব বসন্ত যেটা মিশর, তিউনিস এবং ইয়েমেনে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। আর লিবিয়ায় এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আল্লাহ্*ই সম্যক অবগত। কিন্তু আল্লাহ্*র নুসরত এবং সাহায্যে এই বিপ্লব শামে বিজয়ের উপকরণ হয়েছে, আল-হামদুলিল্লাহ্*।
        কথা অতি সংক্ষিপ্ত কিন্তু বিস্তারিত তথ্যাদি দিয়ে পূর্ণ করার জন্য আমি বলবো, মিশরে কী হয়েছে? কেননা, সেখানে যা কিছু হয়েছে তা মুসলমানদের সহীহ্* পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া এবং ক্রুসেডারদের আগ্রাসন এবং জুলুমকে অত্যাধিক স্পষ্ট করে তুলেছে। অন্যদিকে, মিশরের ঘটনায় যে শিক্ষা অর্জিত হবে, তাকে অন্যান্য ভূখন্ডের সাথে আমরাফিট করতে পারি।
        মিশরের কাহিনীর শুরু কিন্তু ২৫ জানুয়ারি ২০১১ইং তে হয়নি। আর না তার পরিসমাপ্তি রাবিআতুল আদাবিয়া’, আনাহিদা স্কয়ার এবং রিপাবলিকান গার্ডজ হেডকোয়াটারে সংগঠিত হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ঘটেছে।
        মিশরের কাহিনী এর চেয়ে পুরনো। এর কাহিনীর সূচনা এক ইমাম, মুসলিহে উম্মাত, শহীদ হাসানুল বান্না রহিমাহুল্লাহ্*র মাধ্যমে হয়েছে। এই বিজ্ঞ মুবাল্লিগ মুসলিম যুবকদের বিনোদনের ক্লাব, পানশালা এবং ভ্রষ্টতার দিকে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান হতে বের করেছেন এবং এমন সুসংগঠিত খিত্তায় পরিবর্তন করেছেন যারা আল্লাহ্*র পথে জিহাদ করে।
        কিন্তু অন্যদিকে এই বড় উদ্দেশ্য সমূহের অর্জনের সাথে সাথে তারা কিছু বড় ধরনের ভুল করে বসেছে, যা কিছু ভুল বুঝাবুঝির কারণে সৃষ্টি হয়েছে। আর তাই, এসব কিছু ধ্বংসাত্মক পরিণতির কারণ হয়েছে।
        শায়েখ হাসানুল বান্না তাঁর আন্দোলনের সূচনা বাদশাহ ফুআদের সহায়তার মাধ্যমে করেছেন। বাদশাহ ফুয়াদের অবস্থা মিশরের ইতিহাসের পুর্বে ধর্মনিরপেক্ষ আইন ১৯২৩ অনুযায়ী এক ফাসেক রাষ্ট্র প্রধানের চেয়ে বেশী ছিলো না। এর সাথে সাথে শাহ ফুয়াদ ব্রিটেনের আনুগত্যশীল শাসকও ছিলো, যারা ঐ সময় মিশরের দখলদার ছিলো। তারপর তার নির্দেশে তার ছেলে ফারুক তখতনশীন হয়েছে, যাকে হাসানুল বান্না শহীদ রহি্*. আরো বেশী সহায়তা করেছিলেন। যখন শাসনক্ষমতা ফারুকের হাতে আসলো, তখন শায়েখ হাসানুল বান্না শহীদ রহি. তাকে আল্লাহ্* তায়ালার শরীয়ত এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ্ কে বাস্তবায়নের খাতিরে ইখওয়ানুল মুসলিমীনকে বায়আত দিতে বলেন।
        ফারুক, যে ঐ সময় ব্রিটেনের আস্থাভাজন ছিলো। আবার অন্য দিকে ধর্মনিরপেক্ষ আইন অনুযায়ী একজন শাসকও ছিলো। সে ইখওয়ানের সহায়তায় তো খুশি ছিলো কিন্তু সে শায়খের বাইআত কে প্রত্যখ্যান করে দিলো। শায়েখ হাসানুল বান্না রহি. শুধু এই মরিচিকায় বিভ্রান্ত ছিলেন না, বরং তাকে “আমিরুল মু’মিনীন” উপাধি পর্যন্ত দিয়েছেন। এর সাথে সাথে উনি সব সময় সবখানে তার সাহায্যে সভা-সমাবেশও করতে লাগলেন এবং তাকে ‘কোরআনের মুহাফিয বা প্রতিরক্ষাকারী’ উপাধিও দিলেন। অতএব প্রায় লক্ষাধিক মুসলমান হাসানুল বান্নার কথায় কোরআনের সংরক্ষনের জন্য ফারুককে বায়আত দিয়ে দিলো এবং নিজেকে তার ওয়াফাদার সৈনিক হিসাবে স্বীকার করে নিলো। অন্যদিকে, তাঁর ম্যাগাজিন দাবী করলো যে, “তিনি ফারুকের জন্য নিজের জান বিসর্জন দিতে প্রস্তুত”। শায়েখ হাসানুল বান্না ফারুক কে খিলাফত প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম ভূখন্ডগুলোর নেতৃত্ব হাতে নেয়ার আবেদন জানালেন। সাথে সাথে তিনি ইখওয়ানের চতুর্থ সাধারণ কনফারেন্সেও ফারুককে বাইআত দেয়ার আহ্বান জানালেন। উনি এই দরখাস্তও করলেন যে, ফারুক যেন একটি শাহী ফরমান জারী করেন যার অধীনে মিশরে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন আইন চলবে না। তখন সেখানে ইখওয়ানুল মুসলিমীনের লক্ষ লক্ষ যুবকের সশস্ত্র দল বিদ্যমান থাকবে, যার জন্য প্রচন্ডভাবে অপেক্ষা করা হচ্ছে!
        ১৯৪৮সালেযখন ফিলিস্তিনে ‘অস্ত্রের উপত্যকায়’ ফারুকের নামও আসলো এবং যখন সে বিভিন্ন অবৈধ ও দুষিত কেলেঙ্কারির মধ্যে সীমা করলো, তখন শায়েখ হাসানুল বান্না তাকে কিছুটা এভাবে সম্বোধন করেছিলেন;
        “হে আমাদের আমীর! আমাদের পরিচালিত করুন, যেমনটি আপনি চান। সবচেয়ে বড় হিফাযতকারী এবং সাহায্যকারী তো আল্লাহ্*, যিনি আপনার সাথে রয়েছেন। আর উম্মাহ্* আপনার পিছনে রয়েছে”।
        শায়েখ এই ইচ্ছাকৃত প্রবঞ্চনায় শুধু এ পর্যন্তই ছিলেন না, বরং তিনি এই প্রবঞ্চনায় অন্য আরেকটি প্রবঞ্চনা প্রবেশ করিয়ে দিলেন যা কোনোভাবে কম ধ্বংসাত্মক ছিলো না। যখন তিনি বিভ্রান্তিকর শব্দ দিয়ে বললেন, মিশরের সংবিধানের আইনী মূলনীতি ও কানুন ইসলামী শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এই আইন বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত অন্যান্য আইন থেকে বেশী ইসলামের নিকতবর্তী। ইখওয়ানুল মুসলিমীন এই আইনের বিরোধি কোন আইন কে সঠিক মনে করে না।
        উনি শুধু এতটুকুতেই ক্ষ্যান্ত হননি, বরং নিজের ভুল নীতিতে আরো সংযোজন করেছেন। উনি ১৯২৩ সালের ধর্মনিরপেক্ষ আইনের প্রশংসা করেছেন এবং দাবী করেছেন যে, যে মৌলিক ভীত সমূহের উপর মিশরের আইন প্রতিষ্ঠিত তা ইসলামের সাথে সাংঘর্সিক নয়। আর যারা এই আইনগুলো প্রণয়ন করেছে তাদের মাথায় এটা ছিলো যে, এখানে বিদ্যমান একটি শব্দও ইসলামের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে যাবে না।
        অথচ যে কারো ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার সাধারণ নীতিমালার ব্যাপারে সামান্য ইলমও আছে, সে স্পষ্ট বুঝতে পারবে এটা কত বড় এবং সাংঘাতিক ভুল ছিলো। কিন্তু, পরবর্তীতে শায়েখ রহিমাহুল্লাহ্* নিজেই স্বীকার করেছেন যে, এসব কিছুই ভ্রান্ত ও বাতিল ছিলো।
        ইমাম সাহেব কেবল আন্তরিক ও আক্বিদাগতভাবে এই ধোঁকা ও প্রতারণার স্বীকার ছিলেন না, বরং, বাস্তাবিক ও বাহ্যিকভাবেও এতে অংশগ্রহণ করেছেন। ইখওয়ানুল মুসলিমীনের ষষ্ঠ কনফারেন্স “হাউস প্রতিনিধি” নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ফায়সালা করেছিলো। কেননা, তাদের ধারনা ছিলো যে, এটা উম্মাতে মুসলিমাহ্*র জন্য এমন এক ফ্ল্যাট ফর্মের মত যেখনে সব ভালো দিকগুলিকে বিবেচনায় রাখা হবে এবং এর বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। অথচ বাস্তবে এটি ছিলো একটি টকশো’র মত যেখানে প্রত্যেকে নিজের পাণ্ডিত্য ও স্তুতি গেয়ে কেটে পড়ে।
        এসব ধোঁকা ও প্রবঞ্চনার রাস্তায় চলে চলে ইসলামের মৌলিকনীতি এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি (গ্রাউন্ড অবস্থা) আঁচ করে হাসানুল বান্না দুইবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। প্রথম নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নাহ্*হাস তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য আধাজল খেয়ে নেমেছিলো, যার কারণে তিনি প্রার্থিতা থেকে পদত্যাগ করলেন। আর দ্বিতীয় বার যখন তিনি পিছু হটতে অস্বিকার করলেন তখন তাকে ডেন্*ডলির মাধ্যমে হারিয়ে দিলো। অতএব ইখওয়ানের কাছে কি গণতন্ত্রের ‘মা’ব্রিটেনের মুখোশ উম্নোচন হয়েছে? তারা কি এই গেইম বুঝেছে, নাকি বলবে না আমরা এখনো বুঝতে পারিনি?
        অতএব, দিন যত যাচ্ছে শহীদ হাসানুল বান্না অনুভব করতে পারলেন যে, এগুলো হচ্ছে আপাদমস্তক ধোঁকা। এবং ইসলামী নিযামের সম্পূর্ণ বিপরীতমূখী নিযাম। তখন তিনি তাঁর শাহাদাতের আট মাস পূর্বে দীর্ঘদিন ধরে প্রসিদ্ধ লিখনী “কোরআনের যুদ্ধ” লিখেছেন। যেখানে তিনি মিশরের আইনে বিদ্যমান ঐ সব বিষয়ে আলোকপাত করেছেন, যা মিশর কে ইসলামী রাষ্ট্র বা আল্লাহ্*র শরীয়ত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার ভূমিকা পালন করছে। অন্য কথায় এই আইন আল্লাহ্*র শরীয়তের সাথে ‘বিদ্রোহ’ ছিলো। এবং তিনি উম্মাহ্*র উপর ফরয সাব্যস্ত করেছেন যে, যেন তারা নিজেদের শাসকদের বিরুদ্ধে “কোরআনের যুদ্ধের” নেতৃত্ব দেয়, যাতে শাসকদলকে কোরআনের অনুস্বরনে বাধ্য করা যায়।
        অবশেষে, শায়েখ হাসানুল বান্না ঐ লোকের হাতেই শহীদ হয়ে গেলেন, যাকে তিনি কোরআনের মুহাফিয উপাধি দিয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ সালে বাদশাহ ফারুক তাকে শহীদ করে দিলো।
        অতএব, হাসানুল বান্না শহীদ রহি. এর উত্তরসূরিরা কি তাঁর হত্যাকারীদের সাথে বারাআহ্(সম্পর্কচ্ছেদ) করেছেন? অথবা উস্তাদ আল-হুদাইবি তো তাকে দানশীল বাদশাহ্*’ উপাধি দিয়েছেন?
        তিনি ফারুকের সাথে দ্বিমুখী নীতিরপলিসিই জারি রেখেছেন। তারপর তাঁর বিরুদ্ধে আব্দুন নাসের কে সহায়তা করতে লাগলেন। যার পরে আরো পরে জামাল আব্দুন নাসেরও তাঁর বিরুদ্ধে কঠিন হয়ে গেলো। আব্দুন নাসেরের এক জর্জ আনওয়ার সাদাত ইখওয়ানের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা আব্দুল কাদের কাদ্দাহ্* এবং তাঁর সহকর্মীদের ফাঁসির হুকুম দিলো, আল্লাহ্* তাঁদের উপর রহম করুন।
        অতঃপর জামাল আব্দুন নাসেরের মৃত্যুর পর তিনি আনোয়ার সাদাতের সহায়তা করতে লাগলেন, বিনিময়ে সে তার আন্দোলনের উপর থেকে সব পাবন্দি উঠিয়ে নিলো।
        আনোয়ার সাদাতের মৃত্যুর পর তিনি কামাল সানরির হত্যাকারি হোসনি মোবারকের সাথে একাট্টা হয়ে গেলেন। এবং তাকে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত করার জন্য সংসদ থেকে রিপাবলিকান পিপলস পর্যন্ত এক কুটিল প্রদর্শনী করেছেন। হোসনি মোবারকের সাথে উনি এক ধ্বংসাত্মক সওদা করেছেন। যার বিনিময়ে তিনি স্বাধীনভাবে আন্দোলন করার সুযোগ লাভ করেছেন। ফলস্বরূপ, তার যুবক কর্মীদের গোস্বা ঠান্ডা হয়ে গেলো এবং তিনি (হোসনি মোবারক সরকারের) মুজাহিদীনের উপর হামলা করে বসলেন। অতপর তিনি হোসনি মোবারকেরও বিরোধী হয়ে গেলেন এবং এক অ্যামেরিকান প্রতিনিধি আল-বারাদির সাথে ঐক্য গড়লেন। যখন বিপ্লব হলো, তখন সওদাকারীদের মধ্যে উনিই ডিগবাজী দিয়েছিলেন এবং দ্রুতই ফৌজি জান্তার সাথে শান্তিচুক্তি করে নিলেন।
        তাহলে তিনি কি সত্যিই “কোরআনের যুদ্ধ” করেছেন যেটার হুকুম উনার শায়েখ উনাকে দিয়েছিলেন? দুর্ভাগ্য হলো, তিনি ঐ পুরাতন ভুলগুলোরই পুনরাবৃত্তি করলেন এবং ইসলামের বিধান ও বাস্তবতা কে উপেক্ষা করে চললেন।
        শায়েখ হাসানুল বান্না যদি প্রথমদিকে পরিস্থিতির নাজুকতায় ভুল করেছেন । এবং বাদশাহ ফারুক কে কোরআনের মুহাফিয এবং মিশরের সংবিধান কে ইসলামী সংবিধান আখ্যা দিয়েছেন। তো তার উত্তরসূরিরা এটাতে ক্ষ্যান্ত হননি, বরং এর চেয়ে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে গেলেন। তারা এক অতি স্পষ্ট সেক্যুলার মানহাজ বা কর্মনীতি কে গ্রহণ করে নিয়েছে, যা জাতীয়তাবাদ কে মেনে নেয়। এবং তারা ঘোষণা দিলো যে, তারা শরীয়তের শাসন চায় না, যতক্ষণ সংখ্যাগরিষ্ঠ এর প্রতি ভোটের মাধ্যমে সমর্থন জানায়। এবং তারা অ্যামেরিকা ও ইসরাইলের সাথে কৃত সকল চুক্তিরও বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর। এটার উপরই ভিত্তি করে তারা বিপ্লব পরবর্তী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে, যেখানে মুহাম্মাদ মুরসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে।
        অতএব তারা এভাবে নিজেদের কে ধোঁকায় নিক্ষেপ করলো এবং এ ধারনা করে নিলো যে, তারা ঐ সব কিছু পেয়ে গেছেযার জন্য তারা সারা জীবন সংগ্রাম করে আসছে। অথচ শরঈ দৃষ্টিকোণ থেকে মুহাম্মাদ মুরসির অবস্থান এক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রপ্রধানের চেয়ে বেশী কিছু ছিলো না। এ হিসাবে তার মাঝে এবং হোসনি মোবারকের মাঝে কোন পার্থক্যই ছিলো না। মুরসিও পার্থিব আইন কে মেনে নিয়েছে এবং অ্যামেরিকা-ইসরাঈলের সামনে আত্মসর্পণ করা হয় এমন চুক্তির পরিপূর্ণ ওয়াফাদারি করেছে।
        হোসনি মোবারক এবং মুরসির মাঝে পার্থক্য শুধুমাত্র এটিই যে, মুরসি হোসনি মোবারকের চেয়ে বেশী “গণতন্ত্রের” পথ অবম্বন করেছে। সে সবার জন্য বাকস্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে জিহাদী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দও শামিল ছিলেন। আর সম্ভবত, এটিই একমাত্র তার অপরাধ ছিলো যার কারণে অ্যামেরিকা ও তার সাঙ্গরা তাকে ক্ষমা করেনি।
        হোসনি মোবারকের অপসারণ এবং মুরসির গ্রেফতারির মাঝখানে ইখওয়ানুল মুসলিমীন রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির সমাপ্তি এবং নতুনভাবে শক্তিশালী সরকার ঘটনের জন্য উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, যদ্বারা বুঝা যায় যে, তারা ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু করতে চায়। অতএব, বিচারালয়, ফৌজ, পুলিশ এবং অন্যান্য ডিপার্টমেন্টগুলোতে সব অপরাধিরা বিদ্যমান ছিলো। আর এই অপরাধীদের প্রতিপালন কোন তাঁত অথবা ব্যাঘ্রের ন্যায় করা হয়েছিলো। আর অন্যদিকে ইখওয়ানুল মুসলিমীন নিজেদের প্রতিপালন করেছে কোন ফার্মে অবস্থিত মুরগির মত, যেখানে যদি তাদের জন্য কোন খাবার নিক্ষেপ করা হয়, তো মুরগিগুলো খুব খুশিতে তা খেতে আসে। কিন্তু, তারা এ বিষয়টি মোটেও জানতে পারে না যে, এই কিছক্ষণ পর তাদের সাথে কী মুআমেলা করা হবে?
        যদি ইখওয়ানুল মুসলিমীনের এই পরিণাম হয়, তাহলে ঐ সকল সালাফিদের ব্যাপারে আপনার কী ধারণা, যারা ইস্তেখবারাতি এজেন্সিগুলোর সাথে সম্পর্ক রাখে টাকা আর পদ-পদবীর জন্য তাদের জুতা পরিষ্কার করে? অথবা তাদের ব্যাপারে আপনার কী ধারণা, যারা আন-নাহ্*দা কে ফলো করে যে কিনা সেরেন্ডার করেছে এবং অনুভূতি শক্তির স্বল্পতার কারণে এর নিশানা পর্যন্ত মিটে যাওয়ার পথে?

        অতএব এটা আমাদের জন্য খুব জরুরি যে, আমরা যেন আমাদের পথ ও রাস্তা কে ভালোভাবে যাচাই করি, ভুলগুলোকে শোধরে নিই এবং পুনরায় এই ভুলগুলো থেকে বেঁচে থাকি। এটা প্রত্যেক ঐ মুসলিমের জন্য জরুরি, যে মিশরে অবস্থান করছে, আরব বসন্তের এলাকাগুলোতে আছে অথবা দুনিয়ার অন্য যেকোন প্রান্তে আছে যে, সে যেন আকিদা ও মানহাজে কোন ব্যাঘ্রের ন্যায় হয়। এজন্য যে, যে ব্যাঘ্র হতে পারবে না নেকড়ে তাকে খেয়ে ফেলবে।


        এটা আমাদের জন্য ফরয যে, আমরা যেন আমাদের যুবক-তরুণদের ব্যাঘ্রের ন্যায় প্রতিপালন করি, নেকড়ের মত নয়। যাতে তারা আমাদের এই যুদ্ধ কে হিদায়তের কিতাব এবং সাহায্যের তলোয়ার দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায়।

        আমি কি আমার পয়গাম পৌঁছাতে পেরেছি? হে আল্লাহ্* সাক্ষী থাকুন!

        والحمد لله ربّ العالمين
        والصلوة والسلام علي رسول الله وعلي آله وأصحابه أجمعين-
        والسلام عليكم ورحمة الله وبركاته

        ডাঊনলোড পিডিএফ লোকোয়ালিটিঃ https://www.sendspace.com/file/gvqf7c

        বিশেষ লিংক:


        আস-সাহাবঃ
        আল-কায়েদা উপমহাদেশ।
        Last edited by Abu musa; 09-19-2016, 09:28 AM.

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ
          আপনার অক্লান্ত পরিশ্রমকে আল্লাহ কবুল করুন। আমীন ।

          Comment


          • #6
            বিশেষ লিংক:



            আখি আবু মূসা ! এই লিংকটি আপনার মূল পোস্টে যুক্ত করে নিন।
            কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

            Comment


            • #7
              বিজয়ী উম্মাহ্*র প্রতি সংক্ষিপ্ত পয়গাম।

              আল&#2509
              Originally posted by Abu musa View Post
              বিজয়ী উম্মাহ্*র প্রতি সংক্ষিপ্ত পয়গাম...
              (প্রথম পর্ব)
              কোরআনের প্রতিরক্ষা কে করবে?

              শাইখুল মুজাহিদ আইমান আয-যাওয়াহিরী (হাফিজাহুল্লাহ্*)




              বাংলা অনুবাদঃ
              গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্ট, উপমহাদেশ।

              بسم الله الرحمن الرحيم
              الحمد لله والصلوة و السلام علي رسول الله وعلي آله وأصحابه أجمعين
              সারা বিশ্বে অবস্থানরত আমার মুসলিম ভাইয়েরা!
              আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু......
              আম্মা বা’দ ......
              আমি আমার কথার শুরু ‘আরব বসন্ত’-এর নামে সংগঠিত বাহ্যিক পর্যালোচনা দিয়ে করবো। যাতে আমরা এ থেকে শিক্ষা অর্জন করতে পারি। আরব বসন্ত যেটা মিশর, তিউনিস এবং ইয়েমেনে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। আর লিবিয়ায় এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আল্লাহ্*ই সম্যক অবগত। কিন্তু আল্লাহ্*র নুসরত এবং সাহায্যে এই বিপ্লব শামে বিজয়ের উপকরণ হয়েছে, আল-হামদুলিল্লাহ্*।
              কথা অতি সংক্ষিপ্ত কিন্তু বিস্তারিত তথ্যাদি দিয়ে পূর্ণ করার জন্য আমি বলবো, মিশরে কী হয়েছে? কেননা, সেখানে যা কিছু হয়েছে তা মুসলমানদের সহীহ্* পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া এবং ক্রুসেডারদের আগ্রাসন এবং জুলুমকে অত্যাধিক স্পষ্ট করে তুলেছে। অন্যদিকে, মিশরের ঘটনায় যে শিক্ষা অর্জিত হবে, তাকে অন্যান্য ভূখন্ডের সাথে আমরাফিট করতে পারি।
              মিশরের কাহিনীর শুরু কিন্তু ২৫ জানুয়ারি ২০১১ইং তে হয়নি। আর না তার পরিসমাপ্তি রাবিআতুল আদাবিয়া’, আনাহিদা স্কয়ার এবং রিপাবলিকান গার্ডজ হেডকোয়াটারে সংগঠিত হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ঘটেছে।
              মিশরের কাহিনী এর চেয়ে পুরনো। এর কাহিনীর সূচনা এক ইমাম, মুসলিহে উম্মাত, শহীদ হাসানুল বান্না রহিমাহুল্লাহ্*র মাধ্যমে হয়েছে। এই বিজ্ঞ মুবাল্লিগ মুসলিম যুবকদের বিনোদনের ক্লাব, পানশালা এবং ভ্রষ্টতার দিকে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান হতে বের করেছেন এবং এমন সুসংগঠিত খিত্তায় পরিবর্তন করেছেন যারা আল্লাহ্*র পথে জিহাদ করে।
              কিন্তু অন্যদিকে এই বড় উদ্দেশ্য সমূহের অর্জনের সাথে সাথে তারা কিছু বড় ধরনের ভুল করে বসেছে, যা কিছু ভুল বুঝাবুঝির কারণে সৃষ্টি হয়েছে। আর তাই, এসব কিছু ধ্বংসাত্মক পরিণতির কারণ হয়েছে।
              শায়েখ হাসানুল বান্না তাঁর আন্দোলনের সূচনা বাদশাহ ফুআদের সহায়তার মাধ্যমে করেছেন। বাদশাহ ফুয়াদের অবস্থা মিশরের ইতিহাসের পুর্বে ধর্মনিরপেক্ষ আইন ১৯২৩ অনুযায়ী এক ফাসেক রাষ্ট্র প্রধানের চেয়ে বেশী ছিলো না। এর সাথে সাথে শাহ ফুয়াদ ব্রিটেনের আনুগত্যশীল শাসকও ছিলো, যারা ঐ সময় মিশরের দখলদার ছিলো। তারপর তার নির্দেশে তার ছেলে ফারুক তখতনশীন হয়েছে, যাকে হাসানুল বান্না শহীদ রহি্*. আরো বেশী সহায়তা করেছিলেন। যখন শাসনক্ষমতা ফারুকের হাতে আসলো, তখন শায়েখ হাসানুল বান্না শহীদ রহি. তাকে আল্লাহ্* তায়ালার শরীয়ত এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ্ কে বাস্তবায়নের খাতিরে ইখওয়ানুল মুসলিমীনকে বায়আত দিতে বলেন।
              ফারুক, যে ঐ সময় ব্রিটেনের আস্থাভাজন ছিলো। আবার অন্য দিকে ধর্মনিরপেক্ষ আইন অনুযায়ী একজন শাসকও ছিলো। সে ইখওয়ানের সহায়তায় তো খুশি ছিলো কিন্তু সে শায়খের বাইআত কে প্রত্যখ্যান করে দিলো। শায়েখ হাসানুল বান্না রহি. শুধু এই মরিচিকায় বিভ্রান্ত ছিলেন না, বরং তাকে “আমিরুল মু’মিনীন” উপাধি পর্যন্ত দিয়েছেন। এর সাথে সাথে উনি সব সময় সবখানে তার সাহায্যে সভা-সমাবেশও করতে লাগলেন এবং তাকে ‘কোরআনের মুহাফিয বা প্রতিরক্ষাকারী’ উপাধিও দিলেন। অতএব প্রায় লক্ষাধিক মুসলমান হাসানুল বান্নার কথায় কোরআনের সংরক্ষনের জন্য ফারুককে বায়আত দিয়ে দিলো এবং নিজেকে তার ওয়াফাদার সৈনিক হিসাবে স্বীকার করে নিলো। অন্যদিকে, তাঁর ম্যাগাজিন দাবী করলো যে, “তিনি ফারুকের জন্য নিজের জান বিসর্জন দিতে প্রস্তুত”। শায়েখ হাসানুল বান্না ফারুক কে খিলাফত প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম ভূখন্ডগুলোর নেতৃত্ব হাতে নেয়ার আবেদন জানালেন। সাথে সাথে তিনি ইখওয়ানের চতুর্থ সাধারণ কনফারেন্সেও ফারুককে বাইআত দেয়ার আহ্বান জানালেন। উনি এই দরখাস্তও করলেন যে, ফারুক যেন একটি শাহী ফরমান জারী করেন যার অধীনে মিশরে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন আইন চলবে না। তখন সেখানে ইখওয়ানুল মুসলিমীনের লক্ষ লক্ষ যুবকের সশস্ত্র দল বিদ্যমান থাকবে, যার জন্য প্রচন্ডভাবে অপেক্ষা করা হচ্ছে!
              ১৯৪৮সালেযখন ফিলিস্তিনে ‘অস্ত্রের উপত্যকায়’ ফারুকের নামও আসলো এবং যখন সে বিভিন্ন অবৈধ ও দুষিত কেলেঙ্কারির মধ্যে সীমা করলো, তখন শায়েখ হাসানুল বান্না তাকে কিছুটা এভাবে সম্বোধন করেছিলেন;
              “হে আমাদের আমীর! আমাদের পরিচালিত করুন, যেমনটি আপনি চান। সবচেয়ে বড় হিফাযতকারী এবং সাহায্যকারী তো আল্লাহ্*, যিনি আপনার সাথে রয়েছেন। আর উম্মাহ্* আপনার পিছনে রয়েছে”।
              শায়েখ এই ইচ্ছাকৃত প্রবঞ্চনায় শুধু এ পর্যন্তই ছিলেন না, বরং তিনি এই প্রবঞ্চনায় অন্য আরেকটি প্রবঞ্চনা প্রবেশ করিয়ে দিলেন যা কোনোভাবে কম ধ্বংসাত্মক ছিলো না। যখন তিনি বিভ্রান্তিকর শব্দ দিয়ে বললেন, মিশরের সংবিধানের আইনী মূলনীতি ও কানুন ইসলামী শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এই আইন বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত অন্যান্য আইন থেকে বেশী ইসলামের নিকতবর্তী। ইখওয়ানুল মুসলিমীন এই আইনের বিরোধি কোন আইন কে সঠিক মনে করে না।
              উনি শুধু এতটুকুতেই ক্ষ্যান্ত হননি, বরং নিজের ভুল নীতিতে আরো সংযোজন করেছেন। উনি ১৯২৩ সালের ধর্মনিরপেক্ষ আইনের প্রশংসা করেছেন এবং দাবী করেছেন যে, যে মৌলিক ভীত সমূহের উপর মিশরের আইন প্রতিষ্ঠিত তা ইসলামের সাথে সাংঘর্সিক নয়। আর যারা এই আইনগুলো প্রণয়ন করেছে তাদের মাথায় এটা ছিলো যে, এখানে বিদ্যমান একটি শব্দও ইসলামের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে যাবে না।
              অথচ যে কারো ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার সাধারণ নীতিমালার ব্যাপারে সামান্য ইলমও আছে, সে স্পষ্ট বুঝতে পারবে এটা কত বড় এবং সাংঘাতিক ভুল ছিলো। কিন্তু, পরবর্তীতে শায়েখ রহিমাহুল্লাহ্* নিজেই স্বীকার করেছেন যে, এসব কিছুই ভ্রান্ত ও বাতিল ছিলো।
              ইমাম সাহেব কেবল আন্তরিক ও আক্বিদাগতভাবে এই ধোঁকা ও প্রতারণার স্বীকার ছিলেন না, বরং, বাস্তাবিক ও বাহ্যিকভাবেও এতে অংশগ্রহণ করেছেন। ইখওয়ানুল মুসলিমীনের ষষ্ঠ কনফারেন্স “হাউস প্রতিনিধি” নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ফায়সালা করেছিলো। কেননা, তাদের ধারনা ছিলো যে, এটা উম্মাতে মুসলিমাহ্*র জন্য এমন এক ফ্ল্যাট ফর্মের মত যেখনে সব ভালো দিকগুলিকে বিবেচনায় রাখা হবে এবং এর বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। অথচ বাস্তবে এটি ছিলো একটি টকশো’র মত যেখানে প্রত্যেকে নিজের পাণ্ডিত্য ও স্তুতি গেয়ে কেটে পড়ে।
              এসব ধোঁকা ও প্রবঞ্চনার রাস্তায় চলে চলে ইসলামের মৌলিকনীতি এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি (গ্রাউন্ড অবস্থা) আঁচ করে হাসানুল বান্না দুইবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। প্রথম নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নাহ্*হাস তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য আধাজল খেয়ে নেমেছিলো, যার কারণে তিনি প্রার্থিতা থেকে পদত্যাগ করলেন। আর দ্বিতীয় বার যখন তিনি পিছু হটতে অস্বিকার করলেন তখন তাকে ডেন্*ডলির মাধ্যমে হারিয়ে দিলো। অতএব ইখওয়ানের কাছে কি গণতন্ত্রের ‘মা’ব্রিটেনের মুখোশ উম্নোচন হয়েছে? তারা কি এই গেইম বুঝেছে, নাকি বলবে না আমরা এখনো বুঝতে পারিনি?
              অতএব, দিন যত যাচ্ছে শহীদ হাসানুল বান্না অনুভব করতে পারলেন যে, এগুলো হচ্ছে আপাদমস্তক ধোঁকা। এবং ইসলামী নিযামের সম্পূর্ণ বিপরীতমূখী নিযাম। তখন তিনি তাঁর শাহাদাতের আট মাস পূর্বে দীর্ঘদিন ধরে প্রসিদ্ধ লিখনী “কোরআনের যুদ্ধ” লিখেছেন। যেখানে তিনি মিশরের আইনে বিদ্যমান ঐ সব বিষয়ে আলোকপাত করেছেন, যা মিশর কে ইসলামী রাষ্ট্র বা আল্লাহ্*র শরীয়ত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার ভূমিকা পালন করছে। অন্য কথায় এই আইন আল্লাহ্*র শরীয়তের সাথে ‘বিদ্রোহ’ ছিলো। এবং তিনি উম্মাহ্*র উপর ফরয সাব্যস্ত করেছেন যে, যেন তারা নিজেদের শাসকদের বিরুদ্ধে “কোরআনের যুদ্ধের” নেতৃত্ব দেয়, যাতে শাসকদলকে কোরআনের অনুস্বরনে বাধ্য করা যায়।
              অবশেষে, শায়েখ হাসানুল বান্না ঐ লোকের হাতেই শহীদ হয়ে গেলেন, যাকে তিনি কোরআনের মুহাফিয উপাধি দিয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ সালে বাদশাহ ফারুক তাকে শহীদ করে দিলো।
              অতএব, হাসানুল বান্না শহীদ রহি. এর উত্তরসূরিরা কি তাঁর হত্যাকারীদের সাথে বারাআহ্(সম্পর্কচ্ছেদ) করেছেন? অথবা উস্তাদ আল-হুদাইবি তো তাকে দানশীল বাদশাহ্*’ উপাধি দিয়েছেন?
              তিনি ফারুকের সাথে দ্বিমুখী নীতিরপলিসিই জারি রেখেছেন। তারপর তাঁর বিরুদ্ধে আব্দুন নাসের কে সহায়তা করতে লাগলেন। যার পরে আরো পরে জামাল আব্দুন নাসেরও তাঁর বিরুদ্ধে কঠিন হয়ে গেলো। আব্দুন নাসেরের এক জর্জ আনওয়ার সাদাত ইখওয়ানের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা আব্দুল কাদের কাদ্দাহ্* এবং তাঁর সহকর্মীদের ফাঁসির হুকুম দিলো, আল্লাহ্* তাঁদের উপর রহম করুন।
              অতঃপর জামাল আব্দুন নাসেরের মৃত্যুর পর তিনি আনোয়ার সাদাতের সহায়তা করতে লাগলেন, বিনিময়ে সে তার আন্দোলনের উপর থেকে সব পাবন্দি উঠিয়ে নিলো।
              আনোয়ার সাদাতের মৃত্যুর পর তিনি কামাল সানরির হত্যাকারি হোসনি মোবারকের সাথে একাট্টা হয়ে গেলেন। এবং তাকে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত করার জন্য সংসদ থেকে রিপাবলিকান পিপলস পর্যন্ত এক কুটিল প্রদর্শনী করেছেন। হোসনি মোবারকের সাথে উনি এক ধ্বংসাত্মক সওদা করেছেন। যার বিনিময়ে তিনি স্বাধীনভাবে আন্দোলন করার সুযোগ লাভ করেছেন। ফলস্বরূপ, তার যুবক কর্মীদের গোস্বা ঠান্ডা হয়ে গেলো এবং তিনি (হোসনি মোবারক সরকারের) মুজাহিদীনের উপর হামলা করে বসলেন। অতপর তিনি হোসনি মোবারকেরও বিরোধী হয়ে গেলেন এবং এক অ্যামেরিকান প্রতিনিধি আল-বারাদির সাথে ঐক্য গড়লেন। যখন বিপ্লব হলো, তখন সওদাকারীদের মধ্যে উনিই ডিগবাজী দিয়েছিলেন এবং দ্রুতই ফৌজি জান্তার সাথে শান্তিচুক্তি করে নিলেন।
              তাহলে তিনি কি সত্যিই “কোরআনের যুদ্ধ” করেছেন যেটার হুকুম উনার শায়েখ উনাকে দিয়েছিলেন? দুর্ভাগ্য হলো, তিনি ঐ পুরাতন ভুলগুলোরই পুনরাবৃত্তি করলেন এবং ইসলামের বিধান ও বাস্তবতা কে উপেক্ষা করে চললেন।
              শায়েখ হাসানুল বান্না যদি প্রথমদিকে পরিস্থিতির নাজুকতায় ভুল করেছেন । এবং বাদশাহ ফারুক কে কোরআনের মুহাফিয এবং মিশরের সংবিধান কে ইসলামী সংবিধান আখ্যা দিয়েছেন। তো তার উত্তরসূরিরা এটাতে ক্ষ্যান্ত হননি, বরং এর চেয়ে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে গেলেন। তারা এক অতি স্পষ্ট সেক্যুলার মানহাজ বা কর্মনীতি কে গ্রহণ করে নিয়েছে, যা জাতীয়তাবাদ কে মেনে নেয়। এবং তারা ঘোষণা দিলো যে, তারা শরীয়তের শাসন চায় না, যতক্ষণ সংখ্যাগরিষ্ঠ এর প্রতি ভোটের মাধ্যমে সমর্থন জানায়। এবং তারা অ্যামেরিকা ও ইসরাইলের সাথে কৃত সকল চুক্তিরও বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর। এটার উপরই ভিত্তি করে তারা বিপ্লব পরবর্তী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে, যেখানে মুহাম্মাদ মুরসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে।
              অতএব তারা এভাবে নিজেদের কে ধোঁকায় নিক্ষেপ করলো এবং এ ধারনা করে নিলো যে, তারা ঐ সব কিছু পেয়ে গেছেযার জন্য তারা সারা জীবন সংগ্রাম করে আসছে। অথচ শরঈ দৃষ্টিকোণ থেকে মুহাম্মাদ মুরসির অবস্থান এক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রপ্রধানের চেয়ে বেশী কিছু ছিলো না। এ হিসাবে তার মাঝে এবং হোসনি মোবারকের মাঝে কোন পার্থক্যই ছিলো না। মুরসিও পার্থিব আইন কে মেনে নিয়েছে এবং অ্যামেরিকা-ইসরাঈলের সামনে আত্মসর্পণ করা হয় এমন চুক্তির পরিপূর্ণ ওয়াফাদারি করেছে।
              হোসনি মোবারক এবং মুরসির মাঝে পার্থক্য শুধুমাত্র এটিই যে, মুরসি হোসনি মোবারকের চেয়ে বেশী “গণতন্ত্রের” পথ অবম্বন করেছে। সে সবার জন্য বাকস্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে জিহাদী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দও শামিল ছিলেন। আর সম্ভবত, এটিই একমাত্র তার অপরাধ ছিলো যার কারণে অ্যামেরিকা ও তার সাঙ্গরা তাকে ক্ষমা করেনি।
              হোসনি মোবারকের অপসারণ এবং মুরসির গ্রেফতারির মাঝখানে ইখওয়ানুল মুসলিমীন রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির সমাপ্তি এবং নতুনভাবে শক্তিশালী সরকার ঘটনের জন্য উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, যদ্বারা বুঝা যায় যে, তারা ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু করতে চায়। অতএব, বিচারালয়, ফৌজ, পুলিশ এবং অন্যান্য ডিপার্টমেন্টগুলোতে সব অপরাধিরা বিদ্যমান ছিলো। আর এই অপরাধীদের প্রতিপালন কোন তাঁত অথবা ব্যাঘ্রের ন্যায় করা হয়েছিলো। আর অন্যদিকে ইখওয়ানুল মুসলিমীন নিজেদের প্রতিপালন করেছে কোন ফার্মে অবস্থিত মুরগির মত, যেখানে যদি তাদের জন্য কোন খাবার নিক্ষেপ করা হয়, তো মুরগিগুলো খুব খুশিতে তা খেতে আসে। কিন্তু, তারা এ বিষয়টি মোটেও জানতে পারে না যে, এই কিছক্ষণ পর তাদের সাথে কী মুআমেলা করা হবে?
              যদি ইখওয়ানুল মুসলিমীনের এই পরিণাম হয়, তাহলে ঐ সকল সালাফিদের ব্যাপারে আপনার কী ধারণা, যারা ইস্তেখবারাতি এজেন্সিগুলোর সাথে সম্পর্ক রাখে টাকা আর পদ-পদবীর জন্য তাদের জুতা পরিষ্কার করে? অথবা তাদের ব্যাপারে আপনার কী ধারণা, যারা আন-নাহ্*দা কে ফলো করে যে কিনা সেরেন্ডার করেছে এবং অনুভূতি শক্তির স্বল্পতার কারণে এর নিশানা পর্যন্ত মিটে যাওয়ার পথে?

              অতএব এটা আমাদের জন্য খুব জরুরি যে, আমরা যেন আমাদের পথ ও রাস্তা কে ভালোভাবে যাচাই করি, ভুলগুলোকে শোধরে নিই এবং পুনরায় এই ভুলগুলো থেকে বেঁচে থাকি। এটা প্রত্যেক ঐ মুসলিমের জন্য জরুরি, যে মিশরে অবস্থান করছে, আরব বসন্তের এলাকাগুলোতে আছে অথবা দুনিয়ার অন্য যেকোন প্রান্তে আছে যে, সে যেন আকিদা ও মানহাজে কোন ব্যাঘ্রের ন্যায় হয়। এজন্য যে, যে ব্যাঘ্র হতে পারবে না নেকড়ে তাকে খেয়ে ফেলবে।


              এটা আমাদের জন্য ফরয যে, আমরা যেন আমাদের যুবক-তরুণদের ব্যাঘ্রের ন্যায় প্রতিপালন করি, নেকড়ের মত নয়। যাতে তারা আমাদের এই যুদ্ধ কে হিদায়তের কিতাব এবং সাহায্যের তলোয়ার দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায়।

              আমি কি আমার পয়গাম পৌঁছাতে পেরেছি? হে আল্লাহ্* সাক্ষী থাকুন!

              والحمد لله ربّ العالمين
              والصلوة والسلام علي رسول الله وعلي آله وأصحابه أجمعين-
              والسلام عليكم ورحمة الله وبركاته

              ডাঊনলোড পিডিএফ লোকোয়ালিটিঃ https://www.sendspace.com/file/gvqf7c
              বিশেষ লিংক:
              https://my.pcloud.com/publink/show?c...HeUFJkUkql0s6k


              আস-সাহাবঃ
              আল-কায়েদা উপমহাদেশ।
              وكفي الله المؤمنين القتال

              Comment


              • #8
                জাজাকাল্লাহু খাইর.........
                ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

                Comment


                • #9
                  জাযাকাল্লাহ্*... মূল পোস্টে করতে চেয়েছি, দুইটা হয়ে গেলো।

                  Comment


                  • #10
                    mashaallah!
                    jazakallah..

                    Comment


                    • #11
                      সালাউদ্দিনের ঘোড়ার ভাইরা পোষ্ট টা শেয়ার করলে ভালো হতো!

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by Abu musa View Post
                        সালাউদ্দিনের ঘোড়ার ভাইরা পোষ্ট টা শেয়ার করলে ভালো হতো!
                        আমার একাউন্টে শেয়ার করে দিয়েছি। লক্ষ্ লোকের কাছে এখন পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ।
                        ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

                        Comment


                        • #13
                          জাযাকুমুল্লাহ্*

                          Comment


                          • #14
                            জাযাকাল্লাহ্* টিপু ভাই,... আপনি অনেক ভালো

                            Comment

                            Working...
                            X