পাক-ভারত যুদ্ধের উত্তেজনার ফাঁকে কিছু সরল কথা জেনে নেই। (আমাদের অবস্থান কী হওয়া উচিৎ !! )
প্রথমতঃ ভারত একটি মুশরিক ও অত্যাচারী রাষ্ট্র। এর নেতৃত্বে রয়েছে গো-পূজারী মাল’উন গোষ্ঠী,যারা সর্বদা কাশ্মীরসহ গোটা ভারতের মুসলিমদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। সুতরাং এই গো-পূজারী অত্যাচারী মাল’উনদের বিরুদ্ধে যেকোনোভাবে যুদ্ধ করা আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে এটাই স্বাভাবিক। গো-পূজারী এই মাল’উনরা যদি কোনো কুফফার কিংবা মুরতাদদের হাতেও মার খায় তবুও আমরা আনন্দিত হবো। যেমনটি রাসূল সাঃ এবং সম্মানিত সাহাবায়ে কিরাম মূর্তিপূজারী পারস্যের বিরুদ্ধে আহলে কিতাব রোমের বিজয়ে সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।
দ্বিতীয়তঃ গো-পূজারী অত্যাচারী মাল’উন ভারতের মোকাবেলায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে ইসলামের প্রতিনিধি মনে করার কোনো কারণ নেই। কেননা এই না-পাক সেনাবাহিনী ইসলামের ভয়ংকর শত্রু মুনাফিক্বদের অন্তর্ভুক্ত। এরা বিশ্ব-কুফফার আমেরিকার ঘনিষ্টতম মিত্র। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার পর থেকে এই না-পাক বাহিনী জিহাদ ও মুজাহিদদের এতোটা ক্ষতি করেছে,যা ভাষায় প্রকাশ করা দুরূহ ব্যাপার। তারা মার্কিন বাহিনীকে আজ পর্যন্ত তালিবান মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এছাড়া হাজার হাজার মুজাহিদ ও তাদের পরিবারকে আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছে। তাদেরই একজন হলেন সম্মানিতা বোন আফিয়া সিদ্দীকা (আল্লাহ্* উনাকে রহম করুন)
পাকিস্তানের মুজাহিদ অধ্যুষিত এলাকা #মীর_আলী তে এই না-পাক মুরতাদ বাহিনী কী নির্মম বর্বরতা চালিয়েছে তার অতিসামান্য কিছু জানতে মোবাইলে করা ভিডিও তিনটি দেখুন..... মাইলের পর মাইল সকল বাড়ি-ঘর চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত।
https://www.youtube.com/watch?v=fuHbC9KI9rA
তৃতীয়তঃ ভারতীয় মুশরিকদের মোকাবেলায় না-পাক মুরতাদ বাহিনীর লড়াইয়ে আমরা মুশরিকদের পরাজয়ই কামনা করি এবং মুজাহিদীনদের নীতির আলোকে বলতে পারি, মুজাহিদরা এসময় না-পাক বাহিনীকে এই ফ্রন্টে আঘাত করবে না বরং তাদেরকে ব্যবহার করে সম্ভব হলে ভারতীয় মুশরিকদের বিরুদ্ধে একটি নতুন ফ্রন্ট খোলার চিন্তা করবে আশা করা যায়। এই লড়াইকে কেন্দ্র করে মুসলিমদেরকে জিহাদের জন্য অধিক হারে প্রস্তুত করাও সহজ হবে ইনশাআল্লাহ্*।
চতুর্থতঃ যেহেতু না-পাক বাহিনী পশ্চিম ফ্রন্টে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ে লিপ্ত,তাই সেই ফ্রন্টে মুজাহিদরা তাদেরকে মোটেও ছাড় দিবে না।
পঞ্চমতঃ পাকিস্তানের প্রায় সব জনগণ সর্বদাই ইসলাম ও মুজাহিদদের পক্ষে অনেক কুরবানী করেছে। কিন্তু তাদের পাপাচারী মুরতাদ দালাল শাসকদের মুনাফিকীর কারণে ইসলামের নামে তৈরি হওয়া এই ভূখন্ডটিতে কখনো সত্যিকারের আল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সুতরাং পাকিস্তানের ইসলামপ্রিয় জনতাকে নিয়ে একদিকে মুশরিক মাল’উনদের মোকাবেলা এবং মুরতাদ না-পাক বাহিনীকে পরাজিত করে আল্লাহর শারী’আহ কায়েম করার জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন মুজাহিদীনরা। সুতরাং আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গকারী মুজাহিদদের নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখবো,পাপাচারী-মুরতাদ-ঈমান বিক্রেতাদের নিয়ে নয়।
পরিশেষে অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলবো, আর তা হচ্ছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সর্বাত্মক কোনো যুদ্ধ হবে না,এটা আমার পুরো জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ মত। ছোটোখাটো লড়াই/যুদ্ধ হবে,যা শুধু লাইন অব কন্ট্রোল বা পাকিস্তান-কাশ্মীর-ভারত সীমান্ত কেন্দ্রিক।
এর কারণ হচ্ছে, পাকিস্তান আমেরিকার মিত্র একটি রাষ্ট্র। আবার অন্যদিকে মাল’উন হিন্দুরাও আমেরিকার মিত্র। আমেরিকার এই দুই মিত্রের মধ্যে যদি কোনো যুদ্ধ হয়,তাহলে তার পুরো ফায়দা নিবে তালিবান,আল-কায়েদা ও অন্যান্য মুজাহিদীনরা। এই কাজটি আমেরিকা কখনোই হতে দিবে না। এটি সহজে বুঝার জন্য একটি সাম্প্রতিক বাস্তবতাকে পেশ করলাম। সিরিয়ায় মার্কিন মিত্র ও ন্যাটোর সদস্য তুরষ্ক এবং অপর মিত্র কমিউনিস্ট নাস্তিক্যবাদী কুর্দী মুরতাদরা মুখোমুখি হয়। এমনকি কিছু জায়গায় তুরষ্ক কুর্দী মুরতাদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধও করে। তখন আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রকাশ্যে বার্তা দেয়া হয়,আমাদের দুই মিত্রের মধ্যে যুদ্ধ হতে পারে না বরং আমরা মিলে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। বাস্তবে হয়েছেও তাই।
পরিশিষ্টঃ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে ভারতের যুদ্ধের ব্যাপারে আমাদের সমর্থন মাল’উন হিন্দুদের বিরুদ্ধে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ নেয়ার ব্যাপারে আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের উচিৎ প্রকাশ্যে সমর্থন না দেয়া এবং না-পাক বাহিনীর সপক্ষে প্রচারণা থেকে বিরত থাকা বরং আল্লাহর রাসূল সাঃ যেমন পারস্যের বিরুদ্ধে রোমের বিজয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন,তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা। কারণ, এই না-পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের মুজাহিদ ভাইদের জিহাদ চলমান রয়েছে।
কোনোভাবেই ভূখণ্ডের জন্য জাতীয়তাবাদী এই লড়াইকে সমর্থন করতে গিয়ে আল্লাহর শরী’আহ কায়েমের জন্য লড়াইরত মুজাহিদ ভাইদের অবস্থানকে আমরা যেনো প্রশ্নবিদ্ধ করে না ফেলি। প্রশ্নবিদ্ধ না করে ফেলি আমাদের অবস্থানকে। আর সর্বোপরি যেহেতু চূড়ান্ত ও সর্বাত্মক কোনো যুদ্ধ হচ্ছে না (আমার অভিজ্ঞতালব্ধ বক্তব্য), তাই এ নিয়ে বেশী আবেগ প্রকাশ করা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ ।
আল্লাহ্* তা’আলা আমাদের সকলকে সবধরণের জাতীয়তাবাদ মুক্ত হয়ে শুধুমাত্র আল্লাহর শরী’আহ কায়েমের জন্য জিহাদ করার তাউফীক্ব দান করুন।
প্রথমতঃ ভারত একটি মুশরিক ও অত্যাচারী রাষ্ট্র। এর নেতৃত্বে রয়েছে গো-পূজারী মাল’উন গোষ্ঠী,যারা সর্বদা কাশ্মীরসহ গোটা ভারতের মুসলিমদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। সুতরাং এই গো-পূজারী অত্যাচারী মাল’উনদের বিরুদ্ধে যেকোনোভাবে যুদ্ধ করা আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে এটাই স্বাভাবিক। গো-পূজারী এই মাল’উনরা যদি কোনো কুফফার কিংবা মুরতাদদের হাতেও মার খায় তবুও আমরা আনন্দিত হবো। যেমনটি রাসূল সাঃ এবং সম্মানিত সাহাবায়ে কিরাম মূর্তিপূজারী পারস্যের বিরুদ্ধে আহলে কিতাব রোমের বিজয়ে সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।
দ্বিতীয়তঃ গো-পূজারী অত্যাচারী মাল’উন ভারতের মোকাবেলায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে ইসলামের প্রতিনিধি মনে করার কোনো কারণ নেই। কেননা এই না-পাক সেনাবাহিনী ইসলামের ভয়ংকর শত্রু মুনাফিক্বদের অন্তর্ভুক্ত। এরা বিশ্ব-কুফফার আমেরিকার ঘনিষ্টতম মিত্র। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার পর থেকে এই না-পাক বাহিনী জিহাদ ও মুজাহিদদের এতোটা ক্ষতি করেছে,যা ভাষায় প্রকাশ করা দুরূহ ব্যাপার। তারা মার্কিন বাহিনীকে আজ পর্যন্ত তালিবান মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এছাড়া হাজার হাজার মুজাহিদ ও তাদের পরিবারকে আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছে। তাদেরই একজন হলেন সম্মানিতা বোন আফিয়া সিদ্দীকা (আল্লাহ্* উনাকে রহম করুন)
পাকিস্তানের মুজাহিদ অধ্যুষিত এলাকা #মীর_আলী তে এই না-পাক মুরতাদ বাহিনী কী নির্মম বর্বরতা চালিয়েছে তার অতিসামান্য কিছু জানতে মোবাইলে করা ভিডিও তিনটি দেখুন..... মাইলের পর মাইল সকল বাড়ি-ঘর চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত।
https://www.youtube.com/watch?v=fuHbC9KI9rA
তৃতীয়তঃ ভারতীয় মুশরিকদের মোকাবেলায় না-পাক মুরতাদ বাহিনীর লড়াইয়ে আমরা মুশরিকদের পরাজয়ই কামনা করি এবং মুজাহিদীনদের নীতির আলোকে বলতে পারি, মুজাহিদরা এসময় না-পাক বাহিনীকে এই ফ্রন্টে আঘাত করবে না বরং তাদেরকে ব্যবহার করে সম্ভব হলে ভারতীয় মুশরিকদের বিরুদ্ধে একটি নতুন ফ্রন্ট খোলার চিন্তা করবে আশা করা যায়। এই লড়াইকে কেন্দ্র করে মুসলিমদেরকে জিহাদের জন্য অধিক হারে প্রস্তুত করাও সহজ হবে ইনশাআল্লাহ্*।
চতুর্থতঃ যেহেতু না-পাক বাহিনী পশ্চিম ফ্রন্টে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ে লিপ্ত,তাই সেই ফ্রন্টে মুজাহিদরা তাদেরকে মোটেও ছাড় দিবে না।
পঞ্চমতঃ পাকিস্তানের প্রায় সব জনগণ সর্বদাই ইসলাম ও মুজাহিদদের পক্ষে অনেক কুরবানী করেছে। কিন্তু তাদের পাপাচারী মুরতাদ দালাল শাসকদের মুনাফিকীর কারণে ইসলামের নামে তৈরি হওয়া এই ভূখন্ডটিতে কখনো সত্যিকারের আল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সুতরাং পাকিস্তানের ইসলামপ্রিয় জনতাকে নিয়ে একদিকে মুশরিক মাল’উনদের মোকাবেলা এবং মুরতাদ না-পাক বাহিনীকে পরাজিত করে আল্লাহর শারী’আহ কায়েম করার জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন মুজাহিদীনরা। সুতরাং আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গকারী মুজাহিদদের নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখবো,পাপাচারী-মুরতাদ-ঈমান বিক্রেতাদের নিয়ে নয়।
পরিশেষে অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলবো, আর তা হচ্ছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সর্বাত্মক কোনো যুদ্ধ হবে না,এটা আমার পুরো জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ মত। ছোটোখাটো লড়াই/যুদ্ধ হবে,যা শুধু লাইন অব কন্ট্রোল বা পাকিস্তান-কাশ্মীর-ভারত সীমান্ত কেন্দ্রিক।
এর কারণ হচ্ছে, পাকিস্তান আমেরিকার মিত্র একটি রাষ্ট্র। আবার অন্যদিকে মাল’উন হিন্দুরাও আমেরিকার মিত্র। আমেরিকার এই দুই মিত্রের মধ্যে যদি কোনো যুদ্ধ হয়,তাহলে তার পুরো ফায়দা নিবে তালিবান,আল-কায়েদা ও অন্যান্য মুজাহিদীনরা। এই কাজটি আমেরিকা কখনোই হতে দিবে না। এটি সহজে বুঝার জন্য একটি সাম্প্রতিক বাস্তবতাকে পেশ করলাম। সিরিয়ায় মার্কিন মিত্র ও ন্যাটোর সদস্য তুরষ্ক এবং অপর মিত্র কমিউনিস্ট নাস্তিক্যবাদী কুর্দী মুরতাদরা মুখোমুখি হয়। এমনকি কিছু জায়গায় তুরষ্ক কুর্দী মুরতাদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধও করে। তখন আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রকাশ্যে বার্তা দেয়া হয়,আমাদের দুই মিত্রের মধ্যে যুদ্ধ হতে পারে না বরং আমরা মিলে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। বাস্তবে হয়েছেও তাই।
পরিশিষ্টঃ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে ভারতের যুদ্ধের ব্যাপারে আমাদের সমর্থন মাল’উন হিন্দুদের বিরুদ্ধে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ নেয়ার ব্যাপারে আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের উচিৎ প্রকাশ্যে সমর্থন না দেয়া এবং না-পাক বাহিনীর সপক্ষে প্রচারণা থেকে বিরত থাকা বরং আল্লাহর রাসূল সাঃ যেমন পারস্যের বিরুদ্ধে রোমের বিজয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন,তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা। কারণ, এই না-পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের মুজাহিদ ভাইদের জিহাদ চলমান রয়েছে।
কোনোভাবেই ভূখণ্ডের জন্য জাতীয়তাবাদী এই লড়াইকে সমর্থন করতে গিয়ে আল্লাহর শরী’আহ কায়েমের জন্য লড়াইরত মুজাহিদ ভাইদের অবস্থানকে আমরা যেনো প্রশ্নবিদ্ধ করে না ফেলি। প্রশ্নবিদ্ধ না করে ফেলি আমাদের অবস্থানকে। আর সর্বোপরি যেহেতু চূড়ান্ত ও সর্বাত্মক কোনো যুদ্ধ হচ্ছে না (আমার অভিজ্ঞতালব্ধ বক্তব্য), তাই এ নিয়ে বেশী আবেগ প্রকাশ করা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ ।
আল্লাহ্* তা’আলা আমাদের সকলকে সবধরণের জাতীয়তাবাদ মুক্ত হয়ে শুধুমাত্র আল্লাহর শরী’আহ কায়েমের জন্য জিহাদ করার তাউফীক্ব দান করুন।
Comment