যেই মুহূর্তে রাশিয়া সিরিয়ায় হাজার হাজার মুসলিমদেরকে নির্বিচারে হত্যা করছে, কার্পেট বোম্বিং করে সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে মুসলিমদেরকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে, সরাসরি ইসলামের নিকৃষ্টতম দুশমন নুসাইরী কাফির আসাদ কে টিকিয়ে রাখার জন্য সিরিয়ার মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অবর্ণনীয় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে “রাশিয়ার বিরুদ্ধে কথা বললে আনফ্রেন্ড করা হবে” কিংবা রাশিয়াকে যুলকারনাইনের সাথে তুলনা দেওয়ার ধৃষ্টতা একজন ব্যক্তির ঈমানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। জাহালতের ওযর না থাকলে এধরণের বক্তব্য রিদ্দার পর্যায়ে পড়ে।
রাশিয়া ও পুতিনের সপক্ষে উপরোক্ত কথাগুলো ইমরান নযর হোসেনের মতবাদের সমর্থক একজন ব্যক্তির। কতটা ভ্রান্ত ও বিকৃত মতবাদ ইমরান নযর হোসেন প্রচার করছে,তার সমর্থকদের দেখে তা কিছুটা আন্দাজ করা সম্ভব হচ্ছে।
যেই রাশিয়া প্রায় দুইশ বছর ধরে চেচনিয়া দখল করে রেখেছে এবং একাধিকবার নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে,সেই রাশিয়াকে ‘রোম’ বানানো এবং তাকে শেষ যামানায়(বর্তমানে) মুসলিমদের বন্ধু আখ্যা দিয়ে তার প্রশংসা করা কিংবা সমর্থন করার অর্থ হচ্ছে সিরিয়ায় ফসফরাস বোমা দিয়ে মা’সুম বাচ্চাগুলোকে পুড়িয়ে মারার সাথে শরীক হওয়া। একজন স্বাভাবিক-সুস্থজ্ঞানসম্পন্ন, বিবেকবান মুসলিম কীভাবে এধরণের অপরাধী রাষ্ট্রকে সমর্থন করতে পারে। এধরণের কোনো ব্যক্তি কিছুতেই সেই উম্মাহর অংশ হতে পারে না,যারা রাশিয়ার নির্বিচার বিমান হামলায় আলেপ্পো,ইদলিব,হামা,রাক্কায় বহুতল ভবনের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে কিংবা অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রের মাধ্যমে কয়লা হয়ে গেছে ! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি’উন।
রাশিয়া সিরিয়ায় কী করছে,তার হাজার/লক্ষ ভাগের একভাগ বা তার কম জানতে এই পেইজের ভিডিওগুলো একটু কষ্ট করে দেখে আসুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন,রাশিয়া কী মুসলিমদের বন্ধু না শত্রু !!!
রাশিয়ার বর্বর হামলায় সিরিয়ার মর্মান্তিক সেসব দৃশ্য দেখুন এই পেইজের ভিডিওগুলোতে.....
আল্লাহ্* তা’আলা পবিত্র কুরআনের সূরাহ মায়িদার ৫১ নং আয়াতে ইরশাদ ফরমান......
“হে ঈমানদারগণ ! তোমরা ইহুদী-ক্রিস্টানদেরকে অভিভাবক বা বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না। আর তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি তাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করবে,সে নিশ্চয়ই তাদেরই একজন হয়ে যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্* তা’আলা যালিম সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না। ”
এই আয়াতের তাফসীরে ইমাম ক্বুরতুবী রাহঃ বলেন,
قوله تعالى : ومن يتولهم منكم أي : يعضدهم على المسلمين . فإنه منهم [ ص: 158 ] بين تعالى أن حكمه كحكمهم
আল্লাহ্* তা’আলার বাণীঃ “আর তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি তাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করবে” অর্থাৎ তাদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহায়তা করবে। নিশ্চয়ই সে তাদেরই একজন হয়ে যাবে। আল্লাহ্* তা’আলা বর্ণনা করেছেন যে, তার হুকুম তাদের(ইহুদী-খ্রিস্টানদের)মতই। (তাফসীরে ক্বুরতুবী)
শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ মুসলিমদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কাফিরকে একটি কথা দ্বারা সহযোগিতা করাকেও রিদ্দাহ বলে উল্লেখ করেছেন।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন.................. “সমস্ত মুমিনগণ একটি দেহের ন্যায়। যদি তার চোখ ব্যাথাপ্রাপ্ত হয়,তাহলে সমগ্র শরীর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আর যদি তার মাথা ব্যাথাপ্রাপ্ত হয়,তাহলে সমগ্র শরীর ব্যাথাপ্রাপ্ত হয়।” (সহীহ মুসলিম)
সেসব লোকদের প্রতি আমার প্রশ্ন রইলো, আপনারা কী মুমিনদের সেই দেহের অংশ ???
যদি অংশ হয়ে থাকেন,তাহলে সেই অংশকে ক্ষতবিক্ষতকারী দুশমনের প্রশংসা কিংবা সমর্থন কোন যুক্তিতে করেন ???
বিঃদ্রঃ আল্লাহ্* তা’আলা তাউফীক্ব দান করলে ইমরান নযর হোসেনের মতবাদ ও ভ্রান্তি নিয়ে শীঘ্রই লেখার ইচ্ছা আছে ইনশাআল্লাহ্*।
https://www.facebook.com/permalink.p...00011204868334
রাশিয়া ও পুতিনের সপক্ষে উপরোক্ত কথাগুলো ইমরান নযর হোসেনের মতবাদের সমর্থক একজন ব্যক্তির। কতটা ভ্রান্ত ও বিকৃত মতবাদ ইমরান নযর হোসেন প্রচার করছে,তার সমর্থকদের দেখে তা কিছুটা আন্দাজ করা সম্ভব হচ্ছে।
যেই রাশিয়া প্রায় দুইশ বছর ধরে চেচনিয়া দখল করে রেখেছে এবং একাধিকবার নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে,সেই রাশিয়াকে ‘রোম’ বানানো এবং তাকে শেষ যামানায়(বর্তমানে) মুসলিমদের বন্ধু আখ্যা দিয়ে তার প্রশংসা করা কিংবা সমর্থন করার অর্থ হচ্ছে সিরিয়ায় ফসফরাস বোমা দিয়ে মা’সুম বাচ্চাগুলোকে পুড়িয়ে মারার সাথে শরীক হওয়া। একজন স্বাভাবিক-সুস্থজ্ঞানসম্পন্ন, বিবেকবান মুসলিম কীভাবে এধরণের অপরাধী রাষ্ট্রকে সমর্থন করতে পারে। এধরণের কোনো ব্যক্তি কিছুতেই সেই উম্মাহর অংশ হতে পারে না,যারা রাশিয়ার নির্বিচার বিমান হামলায় আলেপ্পো,ইদলিব,হামা,রাক্কায় বহুতল ভবনের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে কিংবা অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রের মাধ্যমে কয়লা হয়ে গেছে ! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি’উন।
রাশিয়া সিরিয়ায় কী করছে,তার হাজার/লক্ষ ভাগের একভাগ বা তার কম জানতে এই পেইজের ভিডিওগুলো একটু কষ্ট করে দেখে আসুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন,রাশিয়া কী মুসলিমদের বন্ধু না শত্রু !!!
রাশিয়ার বর্বর হামলায় সিরিয়ার মর্মান্তিক সেসব দৃশ্য দেখুন এই পেইজের ভিডিওগুলোতে.....
আল্লাহ্* তা’আলা পবিত্র কুরআনের সূরাহ মায়িদার ৫১ নং আয়াতে ইরশাদ ফরমান......
“হে ঈমানদারগণ ! তোমরা ইহুদী-ক্রিস্টানদেরকে অভিভাবক বা বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না। আর তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি তাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করবে,সে নিশ্চয়ই তাদেরই একজন হয়ে যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্* তা’আলা যালিম সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না। ”
এই আয়াতের তাফসীরে ইমাম ক্বুরতুবী রাহঃ বলেন,
قوله تعالى : ومن يتولهم منكم أي : يعضدهم على المسلمين . فإنه منهم [ ص: 158 ] بين تعالى أن حكمه كحكمهم
আল্লাহ্* তা’আলার বাণীঃ “আর তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি তাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করবে” অর্থাৎ তাদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহায়তা করবে। নিশ্চয়ই সে তাদেরই একজন হয়ে যাবে। আল্লাহ্* তা’আলা বর্ণনা করেছেন যে, তার হুকুম তাদের(ইহুদী-খ্রিস্টানদের)মতই। (তাফসীরে ক্বুরতুবী)
শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ মুসলিমদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কাফিরকে একটি কথা দ্বারা সহযোগিতা করাকেও রিদ্দাহ বলে উল্লেখ করেছেন।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন.................. “সমস্ত মুমিনগণ একটি দেহের ন্যায়। যদি তার চোখ ব্যাথাপ্রাপ্ত হয়,তাহলে সমগ্র শরীর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আর যদি তার মাথা ব্যাথাপ্রাপ্ত হয়,তাহলে সমগ্র শরীর ব্যাথাপ্রাপ্ত হয়।” (সহীহ মুসলিম)
সেসব লোকদের প্রতি আমার প্রশ্ন রইলো, আপনারা কী মুমিনদের সেই দেহের অংশ ???
যদি অংশ হয়ে থাকেন,তাহলে সেই অংশকে ক্ষতবিক্ষতকারী দুশমনের প্রশংসা কিংবা সমর্থন কোন যুক্তিতে করেন ???
বিঃদ্রঃ আল্লাহ্* তা’আলা তাউফীক্ব দান করলে ইমরান নযর হোসেনের মতবাদ ও ভ্রান্তি নিয়ে শীঘ্রই লেখার ইচ্ছা আছে ইনশাআল্লাহ্*।
https://www.facebook.com/permalink.p...00011204868334
Comment