মনিরুল ইসলাম। জাতির কাছে অতিপরিচিত মুখ। ভুলভাল উচ্চারন আর তেলতেলে হাসি নিয়ে ধূর্ততার সাথে অনর্গল মিথ্যা বলায় পারদর্শী।
আপনাদের হয়ত মনে আছে, কল্যাণপুরের নাটকের স্ক্রিপ্টের সমর্থনে টেকো মনিরুলের আবোলতাবোল তাবীলের একটা রিভিউ আমি করেছিলাম।
আজ হঠাৎ করে চোখে পড়লো এই মেগা মিথ্যাবাদীর মুখ থেকে বেরিয়ে যাওয়া সত্য কথার দিকে। কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছে হল।
.
"নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম তথা আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) জঙ্গিরা নিউ জেএমবির মতো উগ্রভাবে অপারেশন চালায় না। তারা ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে অপারেশন চালায়। এ সংগঠনটি এতটাই পরিকল্পিতভাবে জঙ্গিবাদ চালায় তার একটি উদাহরণ হল তারা জনমতের বাইরে যায় এমন ঝুঁকি নিয়ে অপারেশন চালায় না। তারা যাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে তার বিরুদ্ধে বিশদ হোকওয়ার্ক করে।
.
যেমন বিভিন্ন মাধ্যমে লেখক ও ব্লগারদের লেখা সংগ্রহ করে। সেসব লেখায় বা কর্মকাণ্ডে ইসলাম বিদ্বেষী তথ্য পাওয়ার পর তাকে নাস্তিক উপস্থাপন করা হয়। পরে ওইসব প্রমাণসহ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন করে হত্যার অনুমোদন নেয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রেকি (জরিপ) করার পর সুযোগ বুঝে হত্যাকাণ্ড চালায়।"(http://bit.ly/2eoX37L)
.
যদিও সে একজন মিথ্যাবাদী। কিন্তু এখানে সে সত্য বলেছে। তবে শয়তানের স্বভাবমতো বিশুদ্ধ সত্য সে নিজের মুখ থেকে বের করতে পারে নি। তাই একটু পরেই আবার সত্যের সাথে মিথ্যের মিশেল ঘটিয়ে বলেছে -
.
আনসারুল্লাহর জঙ্গিরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের তিনটি উগ্র জঙ্গি সংগঠনের অনুসারী। এরা আল কায়েদা, আইএস ও হিযবুত তাহরীরকে অনুসরণ করে। সার্বিকভাবে খেয়াল করলে দেখা যায়, আল কায়েদা, আইএস বা হিযবুত তাহরীর কিন্তু নারীদের যুদ্ধের মাঠে পাঠায় না। বরং মহিলাদের হাতে মোজা ও মুখে নেকাব পরিয়ে ঘরে বন্দি করে রাখার পক্ষেই তাদের অবস্থান। যদিও আইএস কিছুটা ভিন্ন। তারা নারীদের যৌনসঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করে থাকে বলে জানা যায়।বাংলাদেশের আনসারুল্লাহর জঙ্গিরাও মহিলাদের অপারেশনে ব্যবহার করে না। তবে তাদের সাপোর্ট নেয়। আনসারুল্লাহর সাংগঠনিক অভিমত, নারীরা ঘরের কাজ ও স্বামীর সেবা করবে। সেই সাথে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদের শিক্ষা দিয়ে সেদিকে ধাবিত করবে।
.
সত্যের সাথে মিথ্যের মিশেল ঘটানো মনিরুলের পুরনো স্বভাব। কিন্তু অভিজ্ঞ চাপাবাজ হওয়া সত্ত্বেও টেকোর এখানে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। প্রথম ভুল করেছে, হিযবুত তাহরির আর “আইএস” –এর অনুসরণকারী বলে। হিযবুত তাহরিরের অনুসারী যদি এই জঙ্গিরা হতো তাহলে তারা নবীর ﷺ অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে লিফলেট বিলি করতো। চাপাতি হাতে অভিজিৎদের জাহান্নামে পাঠাতো না।
.
ইন ফ্যাক্ট এই জঙ্গিদের প্রচারনার ফলে বাধ্য হয়ে হিযবুত তাহরির সাংঠনিক ভাবে তাদের সদস্য ফেইসবুক ব্যবহারে মানা করে দিয়েছে। কারন এই জঙ্গিদে শরয়ী ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রচারনার ফলে আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক হিযবুত তাহরিরের ভাই লিফলেটের মানহাজকে বাদ দিয়ে ইসলাম কায়েমে জিহাদের মানহাজকে (পদ্ধতি) বেছে নিয়েছেন।
.
আর যদি এই জঙ্গিরা “আইএস” –এর খারিজিদের অনুসরণ করতো তাহলে এরাও “আইএস”-এর মতোই অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে হঠকারি অপারেশান চালাতো, যেমন নব্য জেএমবি করেছে। কিন্তু মনিরুল নিজেই স্বীকার করেছে, এই জঙ্গিরা আলাদা।
.
দ্বিতীয় ঝামেলা পাকিয়েছে, জঙ্গিদের স্ত্রীদের টেনে এনে। এই মুরতাদ নেতার মতে বিয়ে করা স্ত্রী যৌনদাসী! অর্থাৎ বাংলাদেশের যত মুসলিম পুরুষ লিভ টুগেদার, লিটনের ফ্ল্যাট, রুম ডেটিং, এসব বাদ দিয়ে শরীয়াহ সম্মত ভাবে একজন মুসলিম নারীকে বিয়ে করে সংসার করছেন তাদের সকলের স্ত্রী যৌনদাসী? আর যারা যিনা ব্যাভিচার করে বেড়ায় তারা আসলে কি করছে? র*্যাবের বেঞ্জির যে মুশরিকা বিদ্যা সিনহা মীমের সাথে অভিসার চালায় সেটা কি? অমর অক্ষয় প্রেম?
.
আর তৃতীয়ত, মনিরুল বলেছে জঙ্গিরা তাদের স্ত্রীদের হাতে মোজা ও মুখে নেকাব পড়িয়ে রাখে ! অথচ ঘরে না বরং পর্দার এই বিধান পালন করা হয় ঘরের বাইরে। মুরতাদ মনিরুল এই সিম্পল বিষয়টাও জানে না বলে মনে হচ্ছে। তবে এ কথার মাধ্যমেও ফুটে উঠেছে, এই জঙ্গিরা শুধু ইসলামের কথাই বলে না, নিজেরাই কাজ করে না বরং তাদের পরিবারেও ইসলামের চর্চা করে, এবং সাহাবা রাঃ- এর মতো করেই নিজেদের স্ত্রী ও সন্তানদের পরিচালনার চেষ্টা করে।
.
আল্লাহ এই জঙ্গি ও তাদের মোজা-নিকাব পরিহিত স্ত্রী ও তাদের সন্তানদের কবুল করুন। তাদের সফলতা দান করুন, আর সফলতা একমাত্র আল্লাহরই কাছ থেকে।
সবাই নিজেদের দুয়াতে এ সকল জঙ্গিদের এবং বিশেষ ভাবে এই অধম জঙ্গিকে স্মরণ করতে ভুলবেন না যেন।
https://www.facebook.com/PleaseGiveP...083217986380:0
আপনাদের হয়ত মনে আছে, কল্যাণপুরের নাটকের স্ক্রিপ্টের সমর্থনে টেকো মনিরুলের আবোলতাবোল তাবীলের একটা রিভিউ আমি করেছিলাম।
আজ হঠাৎ করে চোখে পড়লো এই মেগা মিথ্যাবাদীর মুখ থেকে বেরিয়ে যাওয়া সত্য কথার দিকে। কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছে হল।
.
"নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম তথা আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) জঙ্গিরা নিউ জেএমবির মতো উগ্রভাবে অপারেশন চালায় না। তারা ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে অপারেশন চালায়। এ সংগঠনটি এতটাই পরিকল্পিতভাবে জঙ্গিবাদ চালায় তার একটি উদাহরণ হল তারা জনমতের বাইরে যায় এমন ঝুঁকি নিয়ে অপারেশন চালায় না। তারা যাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে তার বিরুদ্ধে বিশদ হোকওয়ার্ক করে।
.
যেমন বিভিন্ন মাধ্যমে লেখক ও ব্লগারদের লেখা সংগ্রহ করে। সেসব লেখায় বা কর্মকাণ্ডে ইসলাম বিদ্বেষী তথ্য পাওয়ার পর তাকে নাস্তিক উপস্থাপন করা হয়। পরে ওইসব প্রমাণসহ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন করে হত্যার অনুমোদন নেয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রেকি (জরিপ) করার পর সুযোগ বুঝে হত্যাকাণ্ড চালায়।"(http://bit.ly/2eoX37L)
.
যদিও সে একজন মিথ্যাবাদী। কিন্তু এখানে সে সত্য বলেছে। তবে শয়তানের স্বভাবমতো বিশুদ্ধ সত্য সে নিজের মুখ থেকে বের করতে পারে নি। তাই একটু পরেই আবার সত্যের সাথে মিথ্যের মিশেল ঘটিয়ে বলেছে -
.
আনসারুল্লাহর জঙ্গিরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের তিনটি উগ্র জঙ্গি সংগঠনের অনুসারী। এরা আল কায়েদা, আইএস ও হিযবুত তাহরীরকে অনুসরণ করে। সার্বিকভাবে খেয়াল করলে দেখা যায়, আল কায়েদা, আইএস বা হিযবুত তাহরীর কিন্তু নারীদের যুদ্ধের মাঠে পাঠায় না। বরং মহিলাদের হাতে মোজা ও মুখে নেকাব পরিয়ে ঘরে বন্দি করে রাখার পক্ষেই তাদের অবস্থান। যদিও আইএস কিছুটা ভিন্ন। তারা নারীদের যৌনসঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করে থাকে বলে জানা যায়।বাংলাদেশের আনসারুল্লাহর জঙ্গিরাও মহিলাদের অপারেশনে ব্যবহার করে না। তবে তাদের সাপোর্ট নেয়। আনসারুল্লাহর সাংগঠনিক অভিমত, নারীরা ঘরের কাজ ও স্বামীর সেবা করবে। সেই সাথে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদের শিক্ষা দিয়ে সেদিকে ধাবিত করবে।
.
সত্যের সাথে মিথ্যের মিশেল ঘটানো মনিরুলের পুরনো স্বভাব। কিন্তু অভিজ্ঞ চাপাবাজ হওয়া সত্ত্বেও টেকোর এখানে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। প্রথম ভুল করেছে, হিযবুত তাহরির আর “আইএস” –এর অনুসরণকারী বলে। হিযবুত তাহরিরের অনুসারী যদি এই জঙ্গিরা হতো তাহলে তারা নবীর ﷺ অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে লিফলেট বিলি করতো। চাপাতি হাতে অভিজিৎদের জাহান্নামে পাঠাতো না।
.
ইন ফ্যাক্ট এই জঙ্গিদের প্রচারনার ফলে বাধ্য হয়ে হিযবুত তাহরির সাংঠনিক ভাবে তাদের সদস্য ফেইসবুক ব্যবহারে মানা করে দিয়েছে। কারন এই জঙ্গিদে শরয়ী ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রচারনার ফলে আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক হিযবুত তাহরিরের ভাই লিফলেটের মানহাজকে বাদ দিয়ে ইসলাম কায়েমে জিহাদের মানহাজকে (পদ্ধতি) বেছে নিয়েছেন।
.
আর যদি এই জঙ্গিরা “আইএস” –এর খারিজিদের অনুসরণ করতো তাহলে এরাও “আইএস”-এর মতোই অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে হঠকারি অপারেশান চালাতো, যেমন নব্য জেএমবি করেছে। কিন্তু মনিরুল নিজেই স্বীকার করেছে, এই জঙ্গিরা আলাদা।
.
দ্বিতীয় ঝামেলা পাকিয়েছে, জঙ্গিদের স্ত্রীদের টেনে এনে। এই মুরতাদ নেতার মতে বিয়ে করা স্ত্রী যৌনদাসী! অর্থাৎ বাংলাদেশের যত মুসলিম পুরুষ লিভ টুগেদার, লিটনের ফ্ল্যাট, রুম ডেটিং, এসব বাদ দিয়ে শরীয়াহ সম্মত ভাবে একজন মুসলিম নারীকে বিয়ে করে সংসার করছেন তাদের সকলের স্ত্রী যৌনদাসী? আর যারা যিনা ব্যাভিচার করে বেড়ায় তারা আসলে কি করছে? র*্যাবের বেঞ্জির যে মুশরিকা বিদ্যা সিনহা মীমের সাথে অভিসার চালায় সেটা কি? অমর অক্ষয় প্রেম?
.
আর তৃতীয়ত, মনিরুল বলেছে জঙ্গিরা তাদের স্ত্রীদের হাতে মোজা ও মুখে নেকাব পড়িয়ে রাখে ! অথচ ঘরে না বরং পর্দার এই বিধান পালন করা হয় ঘরের বাইরে। মুরতাদ মনিরুল এই সিম্পল বিষয়টাও জানে না বলে মনে হচ্ছে। তবে এ কথার মাধ্যমেও ফুটে উঠেছে, এই জঙ্গিরা শুধু ইসলামের কথাই বলে না, নিজেরাই কাজ করে না বরং তাদের পরিবারেও ইসলামের চর্চা করে, এবং সাহাবা রাঃ- এর মতো করেই নিজেদের স্ত্রী ও সন্তানদের পরিচালনার চেষ্টা করে।
.
আল্লাহ এই জঙ্গি ও তাদের মোজা-নিকাব পরিহিত স্ত্রী ও তাদের সন্তানদের কবুল করুন। তাদের সফলতা দান করুন, আর সফলতা একমাত্র আল্লাহরই কাছ থেকে।
সবাই নিজেদের দুয়াতে এ সকল জঙ্গিদের এবং বিশেষ ভাবে এই অধম জঙ্গিকে স্মরণ করতে ভুলবেন না যেন।
https://www.facebook.com/PleaseGiveP...083217986380:0
Comment