বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার একটি জঙ্গীয় বিশ্লেষন -১
বলেছিলাম বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সেক্যুলার বিশ্লেষণের পর একটি জঙ্গীয় বিশ্লেষন তুলে ধরবো। নানা কারনে ব্যস্ত হয়ে পড়ার একটু দেরি হলেও, আল্লাহর ইচ্ছায় সেই বিশ্লেষণ নিয়ে জঙ্গী আপনাদের সামনে হাজির। বিশ্লেষন একাধিক পর্বের হবে ইনশা আল্লাহ। তাই কথা না বাড়িয়ে আসুন চলে যাওয়া যাক মূল বিশ্লেষনে।
.
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে বুঝতে হলে আমাদের ঐতিহসিক প্রেক্ষাপটের দিকে তাকাতে হবে। অর্থা ২০১৬ কে বুঝতে হলে আমাদের ২০০৭কে বুঝতে হবে, ২০০৯কে বুঝতে হবে, ২০১৪ কে বুঝতে হবে – শাহবাগ আর শাপলা চত্বরের ডায়নামিক্স বুঝতে হবে। যদি এই ঘটনাপ্রবাহকে আমরা মাথায় রাখি তাহলে বর্তমানকে বোঝা আমাদের জন্য সহজ হবে।
.
বর্তমানে ব্রাহ্মণ্যবাদী ইন্ডিয়া ও ক্রুসেডার অ্যামেরিকার সমর্থনপুষ্ট আওয়ামী লীগের কার্যকলাপের মধ্য থেকেই আসলে এই ভূখণ্ডকে ঘিরে ব্রাহ্মণ্যবাদী ও ক্রুসেডারদের পরিকল্পনার ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়। সদ্য সমাপ্ত আওয়ামী জাতীয় সম্মেলনে তাগুত হাসিনা ঘোষণা করেছে লীগের লক্ষ্য এখন ২০১৯ সালের নির্বাচন আর এই জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতই গ্রহণ করতে হবে।
.
প্রকৃতপক্ষে প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের উপরর একচ্ছত্র আধিপত্য, সংসদে ব্যাপক সংখ্যা গরিষ্ঠতা, রাজপথে ও শিক্ষাঙ্গনে অনুস্পস্থিত বিরোধী দল, সম্পূর্ণভাবে অনুগত মিডিয়া, ছত্রভঙ্গ ও দিশেহারা বিরোধী জোট, এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন এ সব কিছু মিলিয়ে আসলেই আর কিছু নিয়ে তেমন চিন্তার প্রয়োজন হাসিনার নেই। তার মূল চিন্তা এখন ঘর গোছানো। বিরোধী দলের দিক থেকে কোন ধরনের বিপদের ভয় লীগের নেই। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল, বিদ্রোহী প্রার্থী, লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে শেখ পরিবারের প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য বজায় রাখা, কমপক্ষে আরো দশ বছর ক্ষমতায় থাকা, এবং হাসিনা থেকে জয়ের হাতে ধীরে ধীরে দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া – হাসিনার চিন্তা জুড়ে এখন এসব হিসেব নিকাশ।
.
অনেক বিশ্লেষক বিশেষ করে বিএনপি ও জামাতমনা রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন হাসিনা সরকার এখন মূলত দিল্লীর জোড়ে চলছে, ওয়াশিংটনের সমর্থন তাদের সাথে নেই। এটি সম্পূর্ণ ভাবে ভুল ধারণা। মূলত ওয়াশিংটন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে এখন আর চায় না তাই তারা তাদের অর্ডারগুলো দিল্লীর মাধ্যমে এখন বাস্তবায়ন করায়। আর তাই হিলারি ক্লিনটন বা ট্রাম্প আসলে অ্যামেরিকার সমর্থন নিয়ে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসবে এ অতি কষ্ট কল্পনা।
.
বাস্তবতা হল অ্যামেরিকা যা যা চায় তার সবকিছুই আওয়ামী সরকার তাদের দিচ্ছে। অ্যামেরিকার বিএনপি-জামাতকে প্রয়োজন নেই। হ্যাঁ অবস্থা বেগতিক দেখলে অ্যামেরিকা লীগের প্রতি সমর্থন উঠিয়ে নিতে পারে, যেমন মিশরের মুবারাকের প্রতি সমর্থন এক পর্যায়ে তারা প্রত্যাহার করেছিল, কিন্তু ঐ রকম প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করতে হবে। আর বিএনপি-জামাতের ঐ রকম একটি প্রেক্ষাপট তৈরির ক্ষমতা ও ইচ্ছা কোনটাই নেই।
.
এই অবস্থায় ক্রুসেডার অ্যামেরিকা ও ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারতের উদ্দেশ্য হল সম্পূর্ণ অনুগত হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় রেখে তাকে দিয়ে যতদিন সম্ভব বিভিন্ন সুযোগ আদায় করে নেওয়া। কারন হাসিনা ক্ষমতায় যতোদিন থাকবে ততোই তার জনপ্রিয়তা, জনসমর্থন ও দেশের ভেতর গ্রহণযোগ্যতা কমবে। আর যতোই দেশের ভেতরে তার জনসমর্থন কমবে ততোই সে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমর্থনের (অর্থাৎ অ্যামেরিকা ও ভারতের) মুখাপেক্ষী হতে থাকবে। আর সে যতোই অ্যামেরিকা ও ভারতের মুখাপেক্ষী হবে ততোই তার কাছ থেকে এ দুটী শক্তি অধিক লাভবান হবে।
.
অর্থাৎ সামনে দিনগুলোতে বংলাদেশের মানুষের জন্য কি অপেক্ষা করছে? আল্লাহই আলিমুল গায়েব, তবে আপাত ভাবে যা আমরা দেখি তার ভিত্তিতে বলা যায় -রামপাল, রূপপুরের মতো আরো চুক্তি। বাশখালি, কুইকরেন্টালের মতো আরো পুকুরচুরি। আওয়ামী জমিদারির সর্বগ্রাসি রূপ। গত ৭ বছরে যা দেখেছি তার চাইতে আরো নগ্ন আরো প্রকট ভাবে প্রকাশ পাবে। চাকরি ও ব্যবসা খাতে আওয়ামী বৈষম্য বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয়দের আধিপ্ত্য আরো বৃদ্ধি পাবে। শিল্পাঙ্গন ও চাকরির দুই ধরনের বাজারে তারা আরো জোরেশোরে ঢুকবে। সমাজে মাদক, অশ্লীলতা ও ব্যভিচারের ক্রমবৃদ্ধিমান ধারা চলতে থাকবে। এবং ব্যাংকিং খাতে একটি ব্যাপক ধস নামতে পারে। সকল বিরোধী মত ও দলকে প্রবলভাবে দমন করা হবে। ছাত্রলীগ, পুলিশলীগ, র*্যাব-ডিবি-বিজিবি ইত্যাদি মুরতাদ বাহিনীর দৌরাত্ব প্রচণ্ডভাবে বৃদ্ধি পাবে।
.
সেক্যুলার, শাহবাগী-ইসলামবিদ্বেষীদের ইসলামের উপর আক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাবে। মাদ্রাসার সিলেবাস ও মসজিদের খুতবা উপর নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা বৃদ্ধি পাবে। ফরিদ মাসুদের মতো শাসকের গোলাম নামধারী আলিমের সংখ্যা ও প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে। তাওহিদপ্রেমী, ইসলাম জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করা মুসলিমদের উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার বৃদ্ধি পাবে। এবং ইমান নিয়ে চলা দুরূহ থেকে দুরূহ হতে থাকবে।
.
এই হল ভবিষ্যতের সম্ভাব্য চিত্র, এবং আল্লাহই ভালো জানেন। এখন প্রশ্ন হল, এই সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের মুসলিমদের এবং যারা ইসলামের সাথে সংশ্লিষ্টতার দাবি করেন সেসব রাজনৈতিক শক্তির করণীয় কি? আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল ব্রাহ্মণ্যবাদী ও ক্রুসেডারদের গোলাম ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কোন শক্তি অবস্থান নেবে?
[ইনশা আল্লাহ চলবে ]
বলেছিলাম বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সেক্যুলার বিশ্লেষণের পর একটি জঙ্গীয় বিশ্লেষন তুলে ধরবো। নানা কারনে ব্যস্ত হয়ে পড়ার একটু দেরি হলেও, আল্লাহর ইচ্ছায় সেই বিশ্লেষণ নিয়ে জঙ্গী আপনাদের সামনে হাজির। বিশ্লেষন একাধিক পর্বের হবে ইনশা আল্লাহ। তাই কথা না বাড়িয়ে আসুন চলে যাওয়া যাক মূল বিশ্লেষনে।
.
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে বুঝতে হলে আমাদের ঐতিহসিক প্রেক্ষাপটের দিকে তাকাতে হবে। অর্থা ২০১৬ কে বুঝতে হলে আমাদের ২০০৭কে বুঝতে হবে, ২০০৯কে বুঝতে হবে, ২০১৪ কে বুঝতে হবে – শাহবাগ আর শাপলা চত্বরের ডায়নামিক্স বুঝতে হবে। যদি এই ঘটনাপ্রবাহকে আমরা মাথায় রাখি তাহলে বর্তমানকে বোঝা আমাদের জন্য সহজ হবে।
.
বর্তমানে ব্রাহ্মণ্যবাদী ইন্ডিয়া ও ক্রুসেডার অ্যামেরিকার সমর্থনপুষ্ট আওয়ামী লীগের কার্যকলাপের মধ্য থেকেই আসলে এই ভূখণ্ডকে ঘিরে ব্রাহ্মণ্যবাদী ও ক্রুসেডারদের পরিকল্পনার ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়। সদ্য সমাপ্ত আওয়ামী জাতীয় সম্মেলনে তাগুত হাসিনা ঘোষণা করেছে লীগের লক্ষ্য এখন ২০১৯ সালের নির্বাচন আর এই জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতই গ্রহণ করতে হবে।
.
প্রকৃতপক্ষে প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের উপরর একচ্ছত্র আধিপত্য, সংসদে ব্যাপক সংখ্যা গরিষ্ঠতা, রাজপথে ও শিক্ষাঙ্গনে অনুস্পস্থিত বিরোধী দল, সম্পূর্ণভাবে অনুগত মিডিয়া, ছত্রভঙ্গ ও দিশেহারা বিরোধী জোট, এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন এ সব কিছু মিলিয়ে আসলেই আর কিছু নিয়ে তেমন চিন্তার প্রয়োজন হাসিনার নেই। তার মূল চিন্তা এখন ঘর গোছানো। বিরোধী দলের দিক থেকে কোন ধরনের বিপদের ভয় লীগের নেই। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল, বিদ্রোহী প্রার্থী, লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে শেখ পরিবারের প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য বজায় রাখা, কমপক্ষে আরো দশ বছর ক্ষমতায় থাকা, এবং হাসিনা থেকে জয়ের হাতে ধীরে ধীরে দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া – হাসিনার চিন্তা জুড়ে এখন এসব হিসেব নিকাশ।
.
অনেক বিশ্লেষক বিশেষ করে বিএনপি ও জামাতমনা রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন হাসিনা সরকার এখন মূলত দিল্লীর জোড়ে চলছে, ওয়াশিংটনের সমর্থন তাদের সাথে নেই। এটি সম্পূর্ণ ভাবে ভুল ধারণা। মূলত ওয়াশিংটন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে এখন আর চায় না তাই তারা তাদের অর্ডারগুলো দিল্লীর মাধ্যমে এখন বাস্তবায়ন করায়। আর তাই হিলারি ক্লিনটন বা ট্রাম্প আসলে অ্যামেরিকার সমর্থন নিয়ে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসবে এ অতি কষ্ট কল্পনা।
.
বাস্তবতা হল অ্যামেরিকা যা যা চায় তার সবকিছুই আওয়ামী সরকার তাদের দিচ্ছে। অ্যামেরিকার বিএনপি-জামাতকে প্রয়োজন নেই। হ্যাঁ অবস্থা বেগতিক দেখলে অ্যামেরিকা লীগের প্রতি সমর্থন উঠিয়ে নিতে পারে, যেমন মিশরের মুবারাকের প্রতি সমর্থন এক পর্যায়ে তারা প্রত্যাহার করেছিল, কিন্তু ঐ রকম প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করতে হবে। আর বিএনপি-জামাতের ঐ রকম একটি প্রেক্ষাপট তৈরির ক্ষমতা ও ইচ্ছা কোনটাই নেই।
.
এই অবস্থায় ক্রুসেডার অ্যামেরিকা ও ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারতের উদ্দেশ্য হল সম্পূর্ণ অনুগত হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় রেখে তাকে দিয়ে যতদিন সম্ভব বিভিন্ন সুযোগ আদায় করে নেওয়া। কারন হাসিনা ক্ষমতায় যতোদিন থাকবে ততোই তার জনপ্রিয়তা, জনসমর্থন ও দেশের ভেতর গ্রহণযোগ্যতা কমবে। আর যতোই দেশের ভেতরে তার জনসমর্থন কমবে ততোই সে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমর্থনের (অর্থাৎ অ্যামেরিকা ও ভারতের) মুখাপেক্ষী হতে থাকবে। আর সে যতোই অ্যামেরিকা ও ভারতের মুখাপেক্ষী হবে ততোই তার কাছ থেকে এ দুটী শক্তি অধিক লাভবান হবে।
.
অর্থাৎ সামনে দিনগুলোতে বংলাদেশের মানুষের জন্য কি অপেক্ষা করছে? আল্লাহই আলিমুল গায়েব, তবে আপাত ভাবে যা আমরা দেখি তার ভিত্তিতে বলা যায় -রামপাল, রূপপুরের মতো আরো চুক্তি। বাশখালি, কুইকরেন্টালের মতো আরো পুকুরচুরি। আওয়ামী জমিদারির সর্বগ্রাসি রূপ। গত ৭ বছরে যা দেখেছি তার চাইতে আরো নগ্ন আরো প্রকট ভাবে প্রকাশ পাবে। চাকরি ও ব্যবসা খাতে আওয়ামী বৈষম্য বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয়দের আধিপ্ত্য আরো বৃদ্ধি পাবে। শিল্পাঙ্গন ও চাকরির দুই ধরনের বাজারে তারা আরো জোরেশোরে ঢুকবে। সমাজে মাদক, অশ্লীলতা ও ব্যভিচারের ক্রমবৃদ্ধিমান ধারা চলতে থাকবে। এবং ব্যাংকিং খাতে একটি ব্যাপক ধস নামতে পারে। সকল বিরোধী মত ও দলকে প্রবলভাবে দমন করা হবে। ছাত্রলীগ, পুলিশলীগ, র*্যাব-ডিবি-বিজিবি ইত্যাদি মুরতাদ বাহিনীর দৌরাত্ব প্রচণ্ডভাবে বৃদ্ধি পাবে।
.
সেক্যুলার, শাহবাগী-ইসলামবিদ্বেষীদের ইসলামের উপর আক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাবে। মাদ্রাসার সিলেবাস ও মসজিদের খুতবা উপর নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা বৃদ্ধি পাবে। ফরিদ মাসুদের মতো শাসকের গোলাম নামধারী আলিমের সংখ্যা ও প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে। তাওহিদপ্রেমী, ইসলাম জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করা মুসলিমদের উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার বৃদ্ধি পাবে। এবং ইমান নিয়ে চলা দুরূহ থেকে দুরূহ হতে থাকবে।
.
এই হল ভবিষ্যতের সম্ভাব্য চিত্র, এবং আল্লাহই ভালো জানেন। এখন প্রশ্ন হল, এই সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের মুসলিমদের এবং যারা ইসলামের সাথে সংশ্লিষ্টতার দাবি করেন সেসব রাজনৈতিক শক্তির করণীয় কি? আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল ব্রাহ্মণ্যবাদী ও ক্রুসেডারদের গোলাম ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কোন শক্তি অবস্থান নেবে?
[ইনশা আল্লাহ চলবে ]
Comment