পরিশেষে,
দিনার-ডলার আর টাকার ভণ্ড আলেম-শায়খদের সম্পর্কে বলতে গেলে, তাদের উদগিরণ করা মিথ্যা ফাতওয়াগুলো সুস্পষ্ট হয়েছে। এরা যে ধরণের সন্দেহ দাড় করেছিলো তা উন্মোচিত হয়েছে ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তারা তাদের মনিবদের জন্য আর কোন সুফল বয়ে আনতে পারবে না। এরা যতই উদ্যমী ও সক্রিয় থাকুক না কেন, পরাজিত হবে। সকলেই এদের আসল রূপ জানে। যখন এদের মনিবরা শক্তি অর্জন করে ও মানুষের ঘাড়ে তাদের মুষ্টি শক্ত করে চেপে ধরে, এরা তাদের আনুগত্য করার জন্য ও তাদের অবাধ্য না হতে এবং জিহাদ না করতে ফাতওয়া প্রকাশ করে, তারা যতই কুফর, অত্যাচার, ভ্রান্তি ও দুর্নীতি ছড়াক না কেন।
অতঃপর মুজাহিদিনগণ যখন কিছু শহর দখল করেন, সেখানে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী বিচার করেন, তখন এদের রক্ত গরম হয় ও এরা রাগে ফুঁসে ওঠে, তখন এরা তাদের পাকস্থলী থেকে বমি উদগিরণ করে ও ফাতওয়া প্রকাশ করে মুজাহিদিনদের বিরোধিতা ও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য, তাদের বর্জন করার জন্য ও তাদের মূল উৎপাটন করার জন্য!
মুসলিমদের রক্তের মূল্য, তাদের প্রতি ধ্বংসযজ্ঞ এক্ষেত্রে কোন ব্যপারই না, এক্ষেত্রে তারা অনুমতি দেয় – এমনকি জোড়ালোভাবে সুপারিশ করে – এই ব্যাপারে কাফিরদের থেকে সাহায্য নেয়ার জন্য। তদুপরি কুফফাররা মুসলিমদের জবাই, অত্যাচার, ধ্বংস ও অত্যাচার যাই করুন না কেন, এই দরবারী আলেমরা এই সম্পর্কে অন্ধ, বোবা ও বধির। এক্ষেত্রে কোন ফাতওয়া, নিন্দা ও সমালোচনা নেই।
অপরদিকে মুজাহিদিনরা যখনই কোন স্থানে কোন এক কাফিরকে হত্যা করে বা কুফফারদের আগ্রাসন প্রতিরোধ করে, এই জ্ঞানের গর্দভরা তখন চেঁচামেচি করে, কোন প্রকার লজ্জা ছাড়াই তারা এর বিরুদ্ধে সবাইকে জড়ো করে, তারা এর নিন্দা জানায়, সমালোচনা করে, কুফফারদের প্রতি সমবেদনা জানায়, দুঃখ প্রকাশ করে ও বিলাপ করতে থাকে। অথচ জবরদখল করা বিচ্ছিন্ন মুসলিম ভূমিগুলোর তাওয়াগ্বিত শাসক ইসলাম ভঙ্গকারী কোন একটি কারণও তারা বাদ রাখেনি, বরং সবগুলো সম্পাদন করেছে এবং এই শাসকদের উচ্ছিট্ট ভোগী আলেমরা তাদের রক্ষা করতে কোন একটি “প্রমাণও”বাদ রাখেনি, বস্তুত তারা সেগুলোর অর্থ পরিবর্তন করেছে, সেগুলোর রূপ বদলে দিয়েছে এবং বিকৃত করেছে।
অতঃপরঃ আল্লাহর মুয়াহহিদ বান্দারা যখনই কোন শরীয়াহ সম্মত পদ্ধতির চালু করেন, কোন একটি সুন্নাহকে পুনরুজ্জীবিত করেন, আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করেন অথবা একটি হদ কায়েম করেন তখনই এই দরবারী আলেমরা তাঁদের মধ্যে ভুল খুঁজে পায়, তাঁদের গালাগালি করে, তাঁদের নিন্দা করে, ফতওয়া প্রকাশ করে, মানববন্ধন করে, আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে সরিয়ে রাখার জন্য তারা নানা ধরণের সন্দেহ ছড়িয়ে দেয়।
হে দরবারের কুকুরেরা !
হাশরের দিনে তোমাদের উপর অভিশাপ, সেদিন যখন গোপন বিষয় সম্পর্কে পরীক্ষা নেয়া হবে এবং তোমাদের তখন কোনই অজুহাত থাকবে না। হ্যাঁ, তোমাদের উপর অভিশাপ! তোমরা শব্দের অর্থ বদলে দিয়েছো এবং সত্যকে মিথ্যা দ্বারা পরিবর্তন করেছো। ইসলামের রহমতকে তোমরা কুফফার, তাওয়াগ্বিত ও মুশরিকিনদের সাথে মিত্রতা করা বানিয়েছো! মুসলিম ভূমির অভ্যন্তরে ঘাঁটি-পাতা আক্রমণকারী শত্রুদেরকে তোমরা আহলুদ-দিম্মাহ (যাদের চুক্তিভিত্তিক সুরক্ষা দেওয়া হয়) ও শরণার্থী বানিয়েছো! তোমরা শিরক ও কুফরির গণতন্ত্রকে শু’রার একটি বৈধ পন্থা বানিয়েছো! মুশরিকদের সাথে জোটবদ্ধ হওয়াকে আত্মরক্ষার মাধ্যম বানিয়েছো। তোমরা সত্যের ক্ষেত্রে নীরব থাকা এবং মিথ্যাকে অস্বীকার করতে যখন ভয় হয় তখন প্রশংসনীয় ধৈর্যের নাম করে মিথ্যাকে গ্রহণ করতে শিখিয়েছো! তোমরা মুরতাদ শাসককে মিত্র হিসেবে গ্রহণ করা এবং এই কাফির-মুরতাদের উপর ভরসা করাকে হিকমাহ, আত্ম-সংযম এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি বানিয়েছো! তোমরা কাফির, জালিম শাসকের বিরুদ্ধে হক্ব কথা বলাকে বানিয়েছো কর্তৃত্বশীলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তোমরা তা গোপন করেছো এবং জিহাদকে হারাম বানিয়েছো, এর (জিহাদের) প্রতি উৎসাহ প্রদানকে বানিয়েছ বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি! তোমরা দুশমন কুফফারদের হত্যা করাকে বানিয়েছ পবিত্র রক্তকে বৈধ করে নেয়া!
তোমরা মুজাহিদিনদের, যারা সত্যপরায়ণ, তাদের বানিয়েছো গোমরাহ খাওয়ারিজ! এবং মুরতাদ ধর্মনিরপেক্ষ, জাতীয়তাবাদী, গণতান্ত্রিক, আমেরিকার দালাল এবং তাদের কুকুরদের বানিয়েছো মুজাহিদিন! তোমরা তাগ্বুতের উপর অবিশ্বাস করাকে বানিয়েছো বিশাল ফিতনাহ, আল-ওয়ালা ওয়াল বারা’আ একটি অপরাধ, তোমরা জালিম, কাফির, মুরতাদ শাসকদের বানিয়েছো হিদায়াতের ইমাম, ন্যায়-নিষ্ঠতার কর্তৃত্বশীল এবং মুসলিম শাসক! তোমরা আল্লাহর কিতাবকে নিজেদের পিঠের পিছনে ছুঁড়ে মেরেছো, তাঁর আয়াত সমূহকে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করেছো এবং আল্লাহর আয়াত ও তাঁর দ্বীনকে অবাঞ্ছিত করেছো। হে মুরতাদরা, তোমাদের উদাহরণ হলো কুকুরের মত এবং কিতাব বহনকারী গাধার মত। তোমরা হিদায়াতকে বিক্রি করেছ গোমরাহির বদলে এবং ক্ষমাশীলতাকে শাস্তির বদলে।
যারা নিজেরা রিদ্দা করে, শিরককে রক্ষা করে, কুফরকে আশ্রয় দান করে আর এদের সাথে যারা মিত্রতা করে, বন্ধুত্ব করে, চুক্তি সম্পাদন করে, নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখে-হাসিমুখে কথা-একসাথে উঠা বসা করে। আরও আগ বাড়িয়ে মুমিনদের মিথ্যা দোষ-ত্রুটি কিংবা বিরোধিতা প্রকাশ করে থাকে যেন এদের থেকে কিছুটা দুনিয়াবি ফায়দা হাসিল করা যায় কিংবা এদের চোখে নিজেদেরকে অহিংস বা উদারপন্থী হিসেবে প্রকাশ করা যায়... অতঃপর, তারা হয়ে যায় সংশোধনকারী, ফিতনা নির্মূলকারী, ইসলামের ধারাবাহক এবং আহলে হকের অনুসারী ! অপরদিকে যখন আল্লাহর অনুগ্রহে তাঁর অল্প কিছু মুয়াহহিদ বান্দা ইসলামকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে, নিজেদের ত্যাগ কষ্ট সর্তেও আল্লাহ'র বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব করে এবং নিজেদের নিশ্চিত আসন্ন ক্ষণস্থায়ী ক্ষতি সর্তেও আল্লাহ'র শত্রুদের সাথে সম্পর্কে ছিন্ন করে এবং তাদের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ প্রকাশ করে। আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে কারো সাথে আপোষ না করে... তখন তারা হয়ে যান ফিতনা সৃষ্টিকারী, অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, গোমরাহ খারেজী !
হে দরবারের কুকুরেরা !
তোমাদের উপর আল্লাহ, ফেরেশতা এবং সমস্ত মানবজাতির লা’নত...
দিনার-ডলার আর টাকার ভণ্ড আলেম-শায়খদের সম্পর্কে বলতে গেলে, তাদের উদগিরণ করা মিথ্যা ফাতওয়াগুলো সুস্পষ্ট হয়েছে। এরা যে ধরণের সন্দেহ দাড় করেছিলো তা উন্মোচিত হয়েছে ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তারা তাদের মনিবদের জন্য আর কোন সুফল বয়ে আনতে পারবে না। এরা যতই উদ্যমী ও সক্রিয় থাকুক না কেন, পরাজিত হবে। সকলেই এদের আসল রূপ জানে। যখন এদের মনিবরা শক্তি অর্জন করে ও মানুষের ঘাড়ে তাদের মুষ্টি শক্ত করে চেপে ধরে, এরা তাদের আনুগত্য করার জন্য ও তাদের অবাধ্য না হতে এবং জিহাদ না করতে ফাতওয়া প্রকাশ করে, তারা যতই কুফর, অত্যাচার, ভ্রান্তি ও দুর্নীতি ছড়াক না কেন।
অতঃপর মুজাহিদিনগণ যখন কিছু শহর দখল করেন, সেখানে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী বিচার করেন, তখন এদের রক্ত গরম হয় ও এরা রাগে ফুঁসে ওঠে, তখন এরা তাদের পাকস্থলী থেকে বমি উদগিরণ করে ও ফাতওয়া প্রকাশ করে মুজাহিদিনদের বিরোধিতা ও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য, তাদের বর্জন করার জন্য ও তাদের মূল উৎপাটন করার জন্য!
মুসলিমদের রক্তের মূল্য, তাদের প্রতি ধ্বংসযজ্ঞ এক্ষেত্রে কোন ব্যপারই না, এক্ষেত্রে তারা অনুমতি দেয় – এমনকি জোড়ালোভাবে সুপারিশ করে – এই ব্যাপারে কাফিরদের থেকে সাহায্য নেয়ার জন্য। তদুপরি কুফফাররা মুসলিমদের জবাই, অত্যাচার, ধ্বংস ও অত্যাচার যাই করুন না কেন, এই দরবারী আলেমরা এই সম্পর্কে অন্ধ, বোবা ও বধির। এক্ষেত্রে কোন ফাতওয়া, নিন্দা ও সমালোচনা নেই।
অপরদিকে মুজাহিদিনরা যখনই কোন স্থানে কোন এক কাফিরকে হত্যা করে বা কুফফারদের আগ্রাসন প্রতিরোধ করে, এই জ্ঞানের গর্দভরা তখন চেঁচামেচি করে, কোন প্রকার লজ্জা ছাড়াই তারা এর বিরুদ্ধে সবাইকে জড়ো করে, তারা এর নিন্দা জানায়, সমালোচনা করে, কুফফারদের প্রতি সমবেদনা জানায়, দুঃখ প্রকাশ করে ও বিলাপ করতে থাকে। অথচ জবরদখল করা বিচ্ছিন্ন মুসলিম ভূমিগুলোর তাওয়াগ্বিত শাসক ইসলাম ভঙ্গকারী কোন একটি কারণও তারা বাদ রাখেনি, বরং সবগুলো সম্পাদন করেছে এবং এই শাসকদের উচ্ছিট্ট ভোগী আলেমরা তাদের রক্ষা করতে কোন একটি “প্রমাণও”বাদ রাখেনি, বস্তুত তারা সেগুলোর অর্থ পরিবর্তন করেছে, সেগুলোর রূপ বদলে দিয়েছে এবং বিকৃত করেছে।
অতঃপরঃ আল্লাহর মুয়াহহিদ বান্দারা যখনই কোন শরীয়াহ সম্মত পদ্ধতির চালু করেন, কোন একটি সুন্নাহকে পুনরুজ্জীবিত করেন, আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করেন অথবা একটি হদ কায়েম করেন তখনই এই দরবারী আলেমরা তাঁদের মধ্যে ভুল খুঁজে পায়, তাঁদের গালাগালি করে, তাঁদের নিন্দা করে, ফতওয়া প্রকাশ করে, মানববন্ধন করে, আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে সরিয়ে রাখার জন্য তারা নানা ধরণের সন্দেহ ছড়িয়ে দেয়।
হে দরবারের কুকুরেরা !
হাশরের দিনে তোমাদের উপর অভিশাপ, সেদিন যখন গোপন বিষয় সম্পর্কে পরীক্ষা নেয়া হবে এবং তোমাদের তখন কোনই অজুহাত থাকবে না। হ্যাঁ, তোমাদের উপর অভিশাপ! তোমরা শব্দের অর্থ বদলে দিয়েছো এবং সত্যকে মিথ্যা দ্বারা পরিবর্তন করেছো। ইসলামের রহমতকে তোমরা কুফফার, তাওয়াগ্বিত ও মুশরিকিনদের সাথে মিত্রতা করা বানিয়েছো! মুসলিম ভূমির অভ্যন্তরে ঘাঁটি-পাতা আক্রমণকারী শত্রুদেরকে তোমরা আহলুদ-দিম্মাহ (যাদের চুক্তিভিত্তিক সুরক্ষা দেওয়া হয়) ও শরণার্থী বানিয়েছো! তোমরা শিরক ও কুফরির গণতন্ত্রকে শু’রার একটি বৈধ পন্থা বানিয়েছো! মুশরিকদের সাথে জোটবদ্ধ হওয়াকে আত্মরক্ষার মাধ্যম বানিয়েছো। তোমরা সত্যের ক্ষেত্রে নীরব থাকা এবং মিথ্যাকে অস্বীকার করতে যখন ভয় হয় তখন প্রশংসনীয় ধৈর্যের নাম করে মিথ্যাকে গ্রহণ করতে শিখিয়েছো! তোমরা মুরতাদ শাসককে মিত্র হিসেবে গ্রহণ করা এবং এই কাফির-মুরতাদের উপর ভরসা করাকে হিকমাহ, আত্ম-সংযম এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি বানিয়েছো! তোমরা কাফির, জালিম শাসকের বিরুদ্ধে হক্ব কথা বলাকে বানিয়েছো কর্তৃত্বশীলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তোমরা তা গোপন করেছো এবং জিহাদকে হারাম বানিয়েছো, এর (জিহাদের) প্রতি উৎসাহ প্রদানকে বানিয়েছ বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি! তোমরা দুশমন কুফফারদের হত্যা করাকে বানিয়েছ পবিত্র রক্তকে বৈধ করে নেয়া!
তোমরা মুজাহিদিনদের, যারা সত্যপরায়ণ, তাদের বানিয়েছো গোমরাহ খাওয়ারিজ! এবং মুরতাদ ধর্মনিরপেক্ষ, জাতীয়তাবাদী, গণতান্ত্রিক, আমেরিকার দালাল এবং তাদের কুকুরদের বানিয়েছো মুজাহিদিন! তোমরা তাগ্বুতের উপর অবিশ্বাস করাকে বানিয়েছো বিশাল ফিতনাহ, আল-ওয়ালা ওয়াল বারা’আ একটি অপরাধ, তোমরা জালিম, কাফির, মুরতাদ শাসকদের বানিয়েছো হিদায়াতের ইমাম, ন্যায়-নিষ্ঠতার কর্তৃত্বশীল এবং মুসলিম শাসক! তোমরা আল্লাহর কিতাবকে নিজেদের পিঠের পিছনে ছুঁড়ে মেরেছো, তাঁর আয়াত সমূহকে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করেছো এবং আল্লাহর আয়াত ও তাঁর দ্বীনকে অবাঞ্ছিত করেছো। হে মুরতাদরা, তোমাদের উদাহরণ হলো কুকুরের মত এবং কিতাব বহনকারী গাধার মত। তোমরা হিদায়াতকে বিক্রি করেছ গোমরাহির বদলে এবং ক্ষমাশীলতাকে শাস্তির বদলে।
যারা নিজেরা রিদ্দা করে, শিরককে রক্ষা করে, কুফরকে আশ্রয় দান করে আর এদের সাথে যারা মিত্রতা করে, বন্ধুত্ব করে, চুক্তি সম্পাদন করে, নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখে-হাসিমুখে কথা-একসাথে উঠা বসা করে। আরও আগ বাড়িয়ে মুমিনদের মিথ্যা দোষ-ত্রুটি কিংবা বিরোধিতা প্রকাশ করে থাকে যেন এদের থেকে কিছুটা দুনিয়াবি ফায়দা হাসিল করা যায় কিংবা এদের চোখে নিজেদেরকে অহিংস বা উদারপন্থী হিসেবে প্রকাশ করা যায়... অতঃপর, তারা হয়ে যায় সংশোধনকারী, ফিতনা নির্মূলকারী, ইসলামের ধারাবাহক এবং আহলে হকের অনুসারী ! অপরদিকে যখন আল্লাহর অনুগ্রহে তাঁর অল্প কিছু মুয়াহহিদ বান্দা ইসলামকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে, নিজেদের ত্যাগ কষ্ট সর্তেও আল্লাহ'র বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব করে এবং নিজেদের নিশ্চিত আসন্ন ক্ষণস্থায়ী ক্ষতি সর্তেও আল্লাহ'র শত্রুদের সাথে সম্পর্কে ছিন্ন করে এবং তাদের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ প্রকাশ করে। আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে কারো সাথে আপোষ না করে... তখন তারা হয়ে যান ফিতনা সৃষ্টিকারী, অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, গোমরাহ খারেজী !
হে দরবারের কুকুরেরা !
তোমাদের উপর আল্লাহ, ফেরেশতা এবং সমস্ত মানবজাতির লা’নত...
Comment