সুনামগঞ্জ জেলার আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল আলম নিক্কু ঠিকাদারি নিয়ে সরকারী অর্থে কিছু কালভার্ট নির্মাণ করে দিয়েছে। সারাদেশের এমপি-মন্ত্রীদের মত এই আওয়ামীলীগ নেতাও টাকা পয়সা মেরে চেলাচামুণ্ডাদের খাইয়ে যা ছিল, তা দিয়ে অবশেষে কালভার্টটি নির্মাণ করে দেয়। ফলে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করায়, যা হবার তাই হয়। সারাদেশের চিত্রের মত এই কালভার্টেরও নির্মাণের এক মাসের মাথায় কংক্রিট, বালু, পাথর, রড উঠতে শুরু করে। জনগণ দেখেও না দেখার ভান করে। শুধু শুধু কে প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজেকে ও পরিবারকে বিপদের মুখে ফেলবে? কিন্তু বিপত্তি ঘটায় সাবেক ইউপি সদস্য রঞ্জিত সুত্রধর। বেচারা কি না কি বুঝে এক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বসে-
"ধলার হাওরে অ্যাডভোকেট রাধাকান্ত সূত্রধর দাদার বাড়ির দক্ষিণে নির্মিত এই কালভার্টটি নির্মাণের এক মাসের মাথায় কংক্রিট, বালু, পাথর, রড উঠে যাচ্ছে। এই কাজের ঠিকাদার হচ্ছেন আমাদের পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের দুইবারের সাবেক জননন্দিত চেয়ারম্যান জনাব রেজাউল আলম নিক্কু। আমি বিষয়টির প্রতি ইউএনও স্যার, পিআইও স্যারসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।"
স্বাভাবিক দৃষ্টিতে একটি সাদামাটা সমালোচনামূলক স্ট্যাটাস হলেও তা জনাম নিক্কু সাহেবের প্রেস্টিজে আঘাত করে। তার পক্ষ নিয়ে ছাত্রলীগের নওজোয়ানরা এগিয়ে আসে। কেমন যেন "আমি খাইলে আমার বাপের সম্পত্তি খাইছি তর কি?" ভাব দেখিয়ে নিক্কুর নিকট আত্মীয় ও সুনামগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের আহ্বায়ক মনসুর আলম সুজন ইউপি সদস্য রঞ্জিতকে ফেসবুক স্ট্যাটাট তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু তার কথামতো স্ট্যাটাস মুছে না ফেলায় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পাগলাবাজারে রঞ্জিতকে একা পেয়ে ৭-৮ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ইউপি সদস্য রঞ্জিতের ওপর হামলা চালান মনসুর। আত্মরক্ষার্থে রঞ্জিত বাজারের কান্দিগাঁও জামে মসজিদে দৌড়ে প্রবেশ করেন। কিন্তু এসময় হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে লোহার রড, কাঁচি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা ইউপি সদস্য রঞ্জিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনা পরবর্তী প্রক্রিয়া-
জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার রেজাউল আলম নিক্কু বলেছে,
-মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দুজন ছাত্রলীগ কর্মী ও আমার ভাগ্নে রঞ্জিতকে পোস্টটি ডিলিট করার জন্যে অনুরোধ জানালেও রঞ্জিত তা ডিলিট করেনি। বিকালের দিকে আমি ঘুমিয়েছিলাম; শুনলাম- আমার লোকেরা তাকে বাড়ি যাওয়ার রাস্তায় পেয়ে পথে মারধর করেছে। ঘটনাটি শুনে আমি সঙ্গে সঙ্গে তা মিটমাটের চেষ্টা চালিয়েছি।
-সে প্রাণভয়ে মসজিদ ঢুকে পড়লে সেখানেও মারধরের অভিযোগ করা হচ্ছে। ঘটনাটি সত্যি হলে এটা খুবই দুঃখজনক। এটা অবশ্যই চরম অন্যায় কাজ। তবে মসজিদে তাকে মারধর করা হয়নি বলে জেনেছি।
অপারেশন পরিচালনাকারী উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের আহ্বায়ক মনসুর আলম সুজন বলেছে,
-ফেসবুক স্ট্যাটাস মুছে ফেলার জন্য সকালে আমি ইউপি সদস্য রঞ্জিতকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি তা শুনেনি। বলেছিলাম- বিকালে বিষয়টি শেষ করতে আবার আসব। বিকালে আমরা বাজারে তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তার আগেই বাচ্চারা তাকে মেরেছে।
পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক বলেছে,
-এলাকার একটি ব্রিজের কাজ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ব্রিজের কাজের ঠিকাদার ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল আলম নিক্কু।
-এনিয়ে নিক্কুর আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে তারা সন্ধ্যায় রঞ্জিতের ওপর হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে রঞ্জিত পার্শ্ববর্তী মসজিদে ঢুকে পড়লে হামলাকারীরা তাকে সেখান থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে বেধড়ক পেটায়।
-ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এলাকার শান্তি যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিকে সচেষ্ট আছেন। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা তাদেরকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
সম্মানিত পাঠক! নিশ্চই আপনিও আপনার এলাকাও কমবেশি এমন পরিস্থিতির শিকার। এটা এমন এক সমাজব্যবস্থা যেখানে শক্তিমান আরও শক্তিশালী হচ্ছে। গরীব আরও গরীব হচ্ছে। যেখানে সরকারী এমপি, মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা যে যেভাবে পারছে, জনগণের মাল সম্পদ লুটে নিচ্ছে। এবং এই সকল কাজে তারা পুলিশ, র*্যাবসহ সমাজের কীট ছাত্রলীগকে সঙ্গে নিচ্ছে। অপরদিকে সবাই ভাবছে অসহায় জনগণের শুধু চেয়ে চেয়ে চোখের পানি ফেলা ও দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিইবা করার আছে?
হ্যা অবশ্যই কিছু করার আছে, আপনি তো এই দুর্নীতিগ্রস্ত ভঙ্গুর সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন চান, তাহলে ইসলামী শরীয়ত নয় কেন????????
"ধলার হাওরে অ্যাডভোকেট রাধাকান্ত সূত্রধর দাদার বাড়ির দক্ষিণে নির্মিত এই কালভার্টটি নির্মাণের এক মাসের মাথায় কংক্রিট, বালু, পাথর, রড উঠে যাচ্ছে। এই কাজের ঠিকাদার হচ্ছেন আমাদের পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের দুইবারের সাবেক জননন্দিত চেয়ারম্যান জনাব রেজাউল আলম নিক্কু। আমি বিষয়টির প্রতি ইউএনও স্যার, পিআইও স্যারসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।"
স্বাভাবিক দৃষ্টিতে একটি সাদামাটা সমালোচনামূলক স্ট্যাটাস হলেও তা জনাম নিক্কু সাহেবের প্রেস্টিজে আঘাত করে। তার পক্ষ নিয়ে ছাত্রলীগের নওজোয়ানরা এগিয়ে আসে। কেমন যেন "আমি খাইলে আমার বাপের সম্পত্তি খাইছি তর কি?" ভাব দেখিয়ে নিক্কুর নিকট আত্মীয় ও সুনামগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের আহ্বায়ক মনসুর আলম সুজন ইউপি সদস্য রঞ্জিতকে ফেসবুক স্ট্যাটাট তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু তার কথামতো স্ট্যাটাস মুছে না ফেলায় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পাগলাবাজারে রঞ্জিতকে একা পেয়ে ৭-৮ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ইউপি সদস্য রঞ্জিতের ওপর হামলা চালান মনসুর। আত্মরক্ষার্থে রঞ্জিত বাজারের কান্দিগাঁও জামে মসজিদে দৌড়ে প্রবেশ করেন। কিন্তু এসময় হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে লোহার রড, কাঁচি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা ইউপি সদস্য রঞ্জিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনা পরবর্তী প্রক্রিয়া-
জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার রেজাউল আলম নিক্কু বলেছে,
-মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দুজন ছাত্রলীগ কর্মী ও আমার ভাগ্নে রঞ্জিতকে পোস্টটি ডিলিট করার জন্যে অনুরোধ জানালেও রঞ্জিত তা ডিলিট করেনি। বিকালের দিকে আমি ঘুমিয়েছিলাম; শুনলাম- আমার লোকেরা তাকে বাড়ি যাওয়ার রাস্তায় পেয়ে পথে মারধর করেছে। ঘটনাটি শুনে আমি সঙ্গে সঙ্গে তা মিটমাটের চেষ্টা চালিয়েছি।
-সে প্রাণভয়ে মসজিদ ঢুকে পড়লে সেখানেও মারধরের অভিযোগ করা হচ্ছে। ঘটনাটি সত্যি হলে এটা খুবই দুঃখজনক। এটা অবশ্যই চরম অন্যায় কাজ। তবে মসজিদে তাকে মারধর করা হয়নি বলে জেনেছি।
অপারেশন পরিচালনাকারী উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের আহ্বায়ক মনসুর আলম সুজন বলেছে,
-ফেসবুক স্ট্যাটাস মুছে ফেলার জন্য সকালে আমি ইউপি সদস্য রঞ্জিতকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি তা শুনেনি। বলেছিলাম- বিকালে বিষয়টি শেষ করতে আবার আসব। বিকালে আমরা বাজারে তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তার আগেই বাচ্চারা তাকে মেরেছে।
পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক বলেছে,
-এলাকার একটি ব্রিজের কাজ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ব্রিজের কাজের ঠিকাদার ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল আলম নিক্কু।
-এনিয়ে নিক্কুর আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে তারা সন্ধ্যায় রঞ্জিতের ওপর হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে রঞ্জিত পার্শ্ববর্তী মসজিদে ঢুকে পড়লে হামলাকারীরা তাকে সেখান থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে বেধড়ক পেটায়।
-ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এলাকার শান্তি যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিকে সচেষ্ট আছেন। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা তাদেরকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
সম্মানিত পাঠক! নিশ্চই আপনিও আপনার এলাকাও কমবেশি এমন পরিস্থিতির শিকার। এটা এমন এক সমাজব্যবস্থা যেখানে শক্তিমান আরও শক্তিশালী হচ্ছে। গরীব আরও গরীব হচ্ছে। যেখানে সরকারী এমপি, মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা যে যেভাবে পারছে, জনগণের মাল সম্পদ লুটে নিচ্ছে। এবং এই সকল কাজে তারা পুলিশ, র*্যাবসহ সমাজের কীট ছাত্রলীগকে সঙ্গে নিচ্ছে। অপরদিকে সবাই ভাবছে অসহায় জনগণের শুধু চেয়ে চেয়ে চোখের পানি ফেলা ও দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিইবা করার আছে?
হ্যা অবশ্যই কিছু করার আছে, আপনি তো এই দুর্নীতিগ্রস্ত ভঙ্গুর সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন চান, তাহলে ইসলামী শরীয়ত নয় কেন????????
Comment