Announcement

Collapse
No announcement yet.

আপনার মাঝে কি সত্য জানার আগ্রহ জাগে?...রাশেদ মাহমুদ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আপনার মাঝে কি সত্য জানার আগ্রহ জাগে?...রাশেদ মাহমুদ

    আপনার মাঝে কি সত্য জানার আগ্রহ জাগে?
    ...রাশেদ মাহমুদ


    একেক জনের একেক রকম কথায় যারা উদ্বিগ্ন-উৎকন্ঠিত হয়ে পড়েছেন; দ্বিধা-দ্বন্দ্বে অস্থির হয়ে আছেন। কী করবো আর কী করা উচিত? এমন বহু প্রশ্ন অন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে। কার কাছে পাবো সঠিক সমাধান? নানান জনের নানান রকম যুক্তি-বিশ্লেষণ! কোনটা সঠিক আমরা কীভাবে বুঝবো? এমন সংশয়ে আপতিত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলছি, যদি সত্যকে জানার আগ্রহে আপনার মাঝে এরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়; তাহলে জেনে রাখুন- আপনি অবশ্যই তাদের থেকে উত্তম; যারা আপন অবস্থান নিয়ে একটুও ভাবে না, যাদের মাঝে নিজের কৃত অপরাধের কারণে কোনো অনুশোচনা জাগে না। হ্যাঁ ভাই, আপনি যদি সত্য আর প্রকৃত অবস্থাকে জানার এবং বুঝার জন্যে আপনার চেষ্টাকে অব্যাহত রাখেন এবং সেই উৎসের দিকে ফিরে যান; যে উৎস সম্পর্কে আপনার রব বলেছেন- ذَلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ فِيهِ
    “এটি এমন কিতাব; যার মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই।” -সূরা বাকারা: ০২

    তাহলে আপনি খুব সহজেই সত্যকে বুঝতে পারবেন। আপনার মাঝে যে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে, তা দূর হয়ে অন্তরে ঈমান আর ইয়াকীনের স্বাদ অর্জিত হবে। আপনি খুঁজে পাবেন, আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর, প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধান; কারণ আপনার রব এতে কোনো কিছুই অপূর্ণ রাখেননি। তিনি ইরশাদ করেছেন-
    مَا فَرَّطْنَا فِي الْكِتَابِ مِنْ شَيْءٍ
    “আমি এই কিতাবে কোনো কিছু বাদ দেইনি।” -সূরা আনআম: ৩৮

    আপনি রমজানের এই মুবারক মাসে, যাতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ করেছেন; কুরআন তিলাওয়াতের পাশাপাশি এর অর্থের প্রতি লক্ষ্য করুন। আপনি যদি আলেম কিংবা তালিবুল ইলম না হয়ে থাকেন; তবে কুরআনের বাংলা ভাষায় প্রসিদ্ধ কোনো অনুবাদ তিলাওয়াতের সঙ্গে রাখুন। আমি আপনাকে বলছি না যে, শুধু অনুবাদ দেখে দেখেই অন্যের কাছে তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শুরু করে দিন; কারণ এ যোগ্যতার জন্যে উলামায়ে হক্বের সান্নিধ্যে থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ইলম শিখতে হবে। আপনাকে বলছি, আপনার ওপর আপনার রব যে সুস্পষ্ট আদেশ-নিষেধাবলী করেছেন; অন্তত অর্থের প্রতি খেয়াল করে তা জেনে নিন। কারণ এমন মুসলমানের সংখ্যাও বর্তমানে অনেক রয়েছে; যারা শুধু কুরআনের মৌলিক আদেশ-নিষেধাবলীর ব্যাপারে অজ্ঞ থাকার কারণে কুরআনের বিধানাবলী নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বসে আর যাঁরা কুরআনের বিধান অনুযায়ী সমাজ-রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়; তাঁদেরকে কোনো রূপ চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই উগ্র-কঠোর ধারণা করতে শুরু করে। আর এভাবেই অজ্ঞতার কারণে অনেক সাধারণ মুসলিম দ্বীনের প্রকৃত অনুসারীদের বিরোধী হয়ে পড়ে।

    যে মুসলিম একেবারে জানেই না যে, আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে চুরির শাস্তি সম্পর্কে বিধান (আইন) উল্লেখ করেছেন-
    وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوا أَيْدِيَهُمَا جَزَاءً بِمَا كَسَبَا نَكَالًا مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
    ‘‘আর যে পুরুষ ও যে নারী চুরি করে, তাদের উভয়ের হাত কেটে দাও; তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিস্বরূপ। আল্লাহ ক্ষমতাবান, প্রজ্ঞাময়। -সূরা মায়েদা : ৩৮
    অবিবাহিত পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে যিনা-ব্যভিচারের শাস্তি সম্পর্কে বিধান (আইন) উল্লেখ করেছেন-
    الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ وَلَا تَأْخُذْكُمْ بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَائِفَةٌ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
    ‘‘ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী- তাদের প্রত্যেককে একশ’টি করে চাবুক মারবে। আর যদি তোমরা আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান এনে থাকো; তবে আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি করুণাবোধ যেন তোমাদেরকে প্রভাবিত না করে। আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।” -সূরা নূর: ০২

    তো যারা আল্লাহর এসব আইনসমূহকে পবিত্র কুরআন থেকে অর্থ বুঝে পড়েও দেখেনি; অথবা কখনো কোনো আলেমের কাছ থেকে জানার কিংবা শোনারও চেষ্টা করেনি। তারা কী করবে? তারাই তো না জেনে, না বুঝে আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধাচরণ শুরু করবে আর তাগুত-শয়তানদের বানানো আইন প্রতিষ্ঠায় নিজের সমস্ত চেষ্টা-সাধনা ব্যয় করবে। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠাকারীদের শত্রুতায় লিপ্ত হবে; এমনকি আল্লাহর আইনকে বর্বর আখ্যায়িত করে নিজেদের মত আর আইন প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠাকারী মুজাহিদগণকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়বে। কোনো নামধারী মুসলিম ব্যক্তির আল্লাহর আইন বিরোধী হওয়ার উল্লেখযোগ্য একটি কারণ এই যে, আল্লাহর কুরআন সম্পর্কে তার অজ্ঞ ও উদাসীন থাকা। তাই আপনি কুরআন তিলাওয়াতের সময় অনুবাদ দেখে কুরআনের অর্থটুকু অন্তত জানার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনি জানতে পারবেন, আপনার রব আপনাকে কী কী কাজ করার আদেশ করেছেন; জানতে পারবেন, কী কী কাজ করতে নিষেধ করেছেন। আর এটাই তো বিধান, এটাই তো আইন। আপনি যদি আপনার রবের আইন নাই জানেন; তাহলে রবকে কীভাবে মানবেন? আপনি যেভাবে সালাত-সিয়াম আদায় করছেন, সেভাবে আপনাকে আপনার রবের প্রত্যেকটি আইন মেনে চলতে হবে। আংশিক মানা আর আংশিক না মানার কোনো সুযোগ নেই।
    দেখুন আপনার রব কী বলেছেন-
    أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلَى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
    ‘‘তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস করো আর কিছু অংশ অবিশ্বাস করো? তোমাদের মধ্যে যারা এরকম করে তাদের জন্যে দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা। আর কিয়ামত দিবসে তারা ফিরে যাবে কঠিন আযাবের দিকে। তোমরা যা কিছু করো, সে সম্পর্কে আল্লাহ গাফেল নন ” -সূরা বাকারা: ৮৫
    যদিও এ আয়াত বনী ইসরাঈলদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে; আর আল্লাহ উক্ত আয়াতের মধ্যেই উল্লেখ করে দিয়েছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে যারা এরকম করে তাদের জন্যে দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা। আর কিয়ামত দিবসে তারা ফিরে যাবে কঠিন আযাবের দিকে।” তাহলে আমাদের পক্ষে কিছু অংশ বিশ্বাস আর কিছু অংশ অবিশ্বাসের সুযোগ কোথায়? আর আল্লাহ তাআলা তো মুমিনদের সম্বোধন করেই বলেছেন-
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
    ‘‘হে মুমিনগণ! তোমরা পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” -সূরা বাকারা: ২০৮

    সুতরাং আল্লাহর কিছু আদেশ-নিষেধ বা কিছু আইন মানার, আবার কিছু না মানার সুযোগ দ্বীন ইসলামে নেই। ইসলাম গ্রহণ করলে পরিপূর্ণরূপে আল্লাহর সমস্ত আইন মেনে চলতে হবে এবং মানার পরিবেশ কায়েম করতে হবে।

    হে ভাই! আপনি যখন পবিত্র কুরআনের অর্থের প্রতি লক্ষ্য করবেন; তো আপনি জানতে পারবেন, কাদের সাথে বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ করতে আল্লাহ তাআলা আদেশ করেছেন?
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
    ‘‘হে মুমিনগণ! ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা নিজেরাই একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদেরকে বন্ধু বানাবে, সে তাদেরই মধ্যে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদেরকে হেদায়েত দান করেন না।” -সূরা মায়েদা: ৫১

    কাদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত করার জন্যে আল্লাহ আমাদের নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলেছেন? কুরআন থেকে আপনি উত্তর পাবেন-
    وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ وَمِنْ رِبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَآخَرِينَ مِنْ دُونِهِمْ لَا تَعْلَمُونَهُمُ اللَّهُ يَعْلَمُهُمْ
    ‘‘আর তোমরা তাদের (কাফেরদের) মুকাবিলা করার জন্যে তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি ও অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত করো। তা দ্বারা তোমরা ভয় দেখাবে আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদেরকে এবং এরা ছাড়া অন্যদেরকেও; যাদেরকে তোমরা জানো না, আল্লাহ তাদেরকে জানেন।” -সূরা আনফাল: ৬০

    কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে আল্লাহ তাঁর মুমিন বান্দাদের আদেশ করেছেন? কুরআন থেকে আপনি উত্তর পাবেন-
    قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ
    ‘‘যারা আল্লাহ ও পরকালের ওপর ঈমান রাখে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন, তা হারাম মনে করে না এবং সত্য ধর্ম গ্রহণ করে না, তোমরা আহলে কিতাবদের সেসব লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো; যতক্ষণ না তারা ছোট (হেয়) হয়ে স্বহস্তে জিযিয়া আদায় করে।” -সূরা তাওবা: ২৯
    وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِينَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُونَكُمْ كَافَّةً
    ‘‘আর মুশরিকদের বিরুদ্ধে তোমরা সমবেতভাবে লড়াই করো, যেমনিভাবে তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সমবেতভাবে লড়াই করে” -সূরা তাওবা: ৩৬
    يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
    ‘‘হে নবী! আপনি কাফের এবং মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হলো জাহান্নাম। আর তা কতই না নিকৃষ্ট ঠিকানা। -সূরা তাওবা: ৭৩

    আল্লাহ আমাদেরকে মাজলুম মুসলিমদের সাহায্যে কী পদক্ষেপ নিতে বলেছেন? কুরআন থেকে আপনি উত্তর পাবেন-
    وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
    “তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় কিতাল করছো না? অথচ, দুর্বল নর-নারী ও শিশুরা ফরিয়াদ করছে- হে আমাদের রব! আমাদেরকে এই জালিম অধ্যুষিত জনপথ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নাও। এবং আমাদের জন্যে তোমার পক্ষ হতে একজন অভিভাবক বানিয়ে দাও এবং আমাদের জন্যে তোমার পক্ষ হতে একজন সাহায্যকারী দাঁড় করিয়ে দাও!” -সূরা নিসা: ৭৫

    ফিতনা নির্মূল করার জন্যে এবং দ্বীনকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠা করতে আল্লাহ তাআলা কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে বলেছেন? কুরআন থেকে আপনি উত্তর পাবেন-
    وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ
    “ফিতনা নির্মূল হওয়া পর্যন্ত এবং দ্বীন পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর জন্যে হওয়া পর্যন্ত তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো।” -সূরা আনফাল: ৩৯

    এরকম প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে যাবেন। আপনি বুঝতে পারবেন, বর্তমানে যারা ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে; আসলে তাদের অবস্থান কী? কারা মুমিনদের ওপর কোমল আর কারা কঠোর? আপনার আর বুঝতে বাকি থাকবে না- যে ‘জিহাদ-কিতাল’ এর কথা কুরআনে আছে; সে ‘জিহাদ-কিতাল’ এর আলোচনা করলে, সে বিষয়ক বই-পুস্তক সাথে রাখলে কেন সরকার ও তার গোলাম-শিষ্যরা জেল-জুলুম আর হত্যার হুমকি দেয়? কারণ এরা তো তারাই বা তাদেরই লোক; যাদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ-কিতাল’ করার জন্যে পবিত্র কুরআন এবং এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ হাদীসের কিতাবসমূহে আদেশ বর্ণিত হয়েছে। এভাবে পবিত্র কুরআন থেকে আপনি আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পাবেন, আপনার মাঝে আর কোনো উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও সংশয়-সন্দেহ কাজ করবে না। জানতে পারবেন, আপনার বর্তমান করণীয় সম্পর্কে। আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে, কারা ইসলামের প্রকৃত অনুসারী? আর কারা নিজের স্বার্থ অন্বেষণকারী? আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এমনভাবে পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের তাওফীক দান করুন, যেমনিভাবে অধ্যয়নের প্রতি তিনি কুরআনে ইরশাদ করেছেন-
    كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ
    “(হে রাসূল!) এটি এক বরকতময় কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি; যাতে মানুষ এর (আয়াতের) মধ্যে চিন্তা করে এবং বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ উপদেশ গ্রহণ করে।” -সূরা সোয়াদ: ২৯
    وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ
    “বস্তুত আমি কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের জন্যে সহজ করে দিয়েছি। সুতরাং আছে কি কেউ; যে উপদেশ গ্রহণ করবে?” -সূরা ক্বামার: ২৯
    আল্লাহ তাআলা আমাদের পবিত্র কুরআন থেকে শিক্ষা এবং উপদেশ গ্রহণের তাওফীক দান করুন, আমীন।

    ...al-balagh 1438 |2017| issue 5...

  • #2
    জাঝাকাল্লাহ

    Comment


    • #3
      يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
      ‘‘হে মুমিনগণ! ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা নিজেরাই একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদেরকে বন্ধু বানাবে, সে তাদেরই মধ্যে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদেরকে হেদায়েত দান করেন না।” -সূরা মায়েদা: ৫১

      কাদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত করার জন্যে আল্লাহ আমাদের নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলেছেন? কুরআন থেকে আপনি উত্তর পাবেন-
      وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ وَمِنْ رِبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَآخَرِينَ مِنْ دُونِهِمْ لَا تَعْلَمُونَهُمُ اللَّهُ يَعْلَمُهُمْ
      ‘‘আর তোমরা তাদের (কাফেরদের) মুকাবিলা করার জন্যে তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি ও অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত করো। তা দ্বারা তোমরা ভয় দেখাবে আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদেরকে এবং এরা ছাড়া অন্যদেরকেও; যাদেরকে তোমরা জানো না, আল্লাহ তাদেরকে জানেন।” -সূরা আনফাল: ৬০

      কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে আল্লাহ তাঁর মুমিন বান্দাদের আদেশ করেছেন? কুরআন থেকে আপনি উত্তর পাবেন-
      قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ
      ‘‘যারা আল্লাহ ও পরকালের ওপর ঈমান রাখে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন, তা হারাম মনে করে না এবং সত্য ধর্ম গ্রহণ করে না, তোমরা আহলে কিতাবদের সেসব লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো; যতক্ষণ না তারা ছোট (হেয়) হয়ে স্বহস্তে জিযিয়া আদায় করে।” -সূরা তাওবা: ২৯
      وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِينَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُونَكُمْ كَافَّةً
      ‘‘আর মুশরিকদের বিরুদ্ধে তোমরা সমবেতভাবে লড়াই করো, যেমনিভাবে তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সমবেতভাবে লড়াই করে” -সূরা তাওবা: ৩৬
      يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
      ‘‘হে নবী! আপনি কাফের এবং মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হলো জাহান্নাম। আর তা কতই না নিকৃষ্ট ঠিকানা। -সূরা তাওবা: ৭৩

      আল্লাহ আমাদেরকে মাজলুম মুসলিমদের সাহায্যে কী পদক্ষেপ নিতে বলেছেন? কুরআন থেকে আপনি উত্তর পাবেন-
      وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
      “তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় কিতাল করছো না? অথচ, দুর্বল নর-নারী ও শিশুরা ফরিয়াদ করছে- হে আমাদের রব! আমাদেরকে এই জালিম অধ্যুষিত জনপথ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নাও। এবং আমাদের জন্যে তোমার পক্ষ হতে একজন অভিভাবক বানিয়ে দাও এবং আমাদের জন্যে তোমার পক্ষ হতে একজন সাহায্যকারী দাঁড় করিয়ে দাও!” -সূরা নিসা: ৭৫

      ফিতনা নির্মূল করার জন্যে এবং দ্বীনকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠা করতে আল্লাহ তাআলা কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে বলেছেন? কুরআন থেকে আপনি উত্তর পাবেন-
      وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ
      “ফিতনা নির্মূল হওয়া পর্যন্ত এবং দ্বীন পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর জন্যে হওয়া পর্যন্ত তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো।” -সূরা আনফাল: ৩৯

      এরকম প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে যাবেন। আপনি বুঝতে পারবেন, বর্তমানে যারা ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে; আসলে তাদের অবস্থান কী? কারা মুমিনদের ওপর কোমল আর কারা কঠোর? আপনার আর বুঝতে বাকি থাকবে না- যে ‘জিহাদ-কিতাল’ এর কথা কুরআনে আছে; সে ‘জিহাদ-কিতাল’ এর আলোচনা করলে, সে বিষয়ক বই-পুস্তক সাথে রাখলে কেন সরকার ও তার গোলাম-শিষ্যরা জেল-জুলুম আর হত্যার হুমকি দেয়? কারণ এরা তো তারাই বা তাদেরই লোক; যাদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ-কিতাল’ করার জন্যে পবিত্র কুরআন এবং এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ হাদীসের কিতাবসমূহে আদেশ বর্ণিত হয়েছে। এভাবে পবিত্র কুরআন থেকে আপনি আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পাবেন, আপনার মাঝে আর কোনো উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও সংশয়-সন্দেহ কাজ করবে না। জানতে পারবেন, আপনার বর্তমান করণীয় সম্পর্কে। আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে, কারা ইসলামের প্রকৃত অনুসারী? আর কারা নিজের স্বার্থ অন্বেষণকারী? আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এমনভাবে পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের তাওফীক দান করুন, যেমনিভাবে অধ্যয়নের প্রতি তিনি কুরআনে ইরশাদ করেছেন-
      كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ
      “(হে রাসূল!) এটি এক বরকতময় কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি; যাতে মানুষ এর (আয়াতের) মধ্যে চিন্তা করে এবং বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ উপদেশ গ্রহণ করে।” -সূরা সোয়াদ: ২৯
      وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ
      “বস্তুত আমি কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের জন্যে সহজ করে দিয়েছি। সুতরাং আছে কি কেউ; যে উপদেশ গ্রহণ করবে?” -সূরা ক্বামার: ২৯
      আল্লাহ তাআলা আমাদের পবিত্র কুরআন থেকে শিক্ষা এবং উপদেশ গ্রহণের তাওফীক দান করুন, আমীন।
      সুধু এই আয়াত গুলো ও যদি কেহ তাদাব্বরের সাথে তিলাওয়াত করে তাহলে অনেক সাধারন মুসলমান না বরং আলেম নামধারি ব্যক্তি মুবাল্লিগ মুরিদ রা ও বে ঈমান হওয়া থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে ইনশাআল্লহ , কম পক্ষে কেহ যদি সুরায়ে তাওবা ও তাদাব্বুরের সাথে পড়ে তাহলে সে হয়তো বর্তমান বিশ্বে মুজাহিদদের প্রতি ঘৃনা অনিহা অবহেলা নিন্দা ও বিরোধিতা ছেড়ে ইনশাআল্লাহ জাহান্নামি হয়ে মৃত্যু বরন থেকে বেচে যেতে পারবে। আল্লাহ আমাদের কুরআনের দিকে ফিরে আসার তাওফীক দিন।আমীন।

      Comment


      • #4
        ঠিকই বলেছেন মুহতারাম murabit ভাই

        Comment


        • #5
          আখি জাযাকাল্লাহু খাইরান। আখি কিছু লোক আছে বলে হুজুর আমরা কার কথা মানবো???? আখি তাদের কথার উত্তর আমি বলি যার কথা বেশি কোরআন সুন্নাহ মতো তার কথা মানো।
          আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
          আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            jazakallah

            Comment


            • #7
              যারা তাবলীগ করে তারা তাব্লিগ এ আহবান করে , যারা চরমনাই করে তারা চরমনাইর দিকে আহবান করে , যারা আকরশি করে তারা তার দিকেই আহবান করে , যারা দেওয়ানবাগি করে তো তারা সেখানেই আহবান করে এবং বলে এতাই হক্ক । অর্থাৎ যে যেটা করে সে সেটাকেই হক্ক বলে প্রচার করে বেড়ায় । কিন্তু আমরা আহবান করি কুরআন সুন্নাহের দিকে । আমরা আহবান করি তাওহীদ ও কিতালের পথে । আমরা কখনো আমাদের দিকে আহবান করি না । আমরা কখনো বলি না যে আল -কায়েদা বা তালেবানে যোগ দিতে । আমরা হক্ক দলকে চিনার জন্য আগে হাক্ক কে জানতে বলি । আর যে কুরআন হাদিসের আলোকে হাক্ক বুঝবে ত তার জন্য হাক্ক দল -ও চিনা খুব সহজ হয়ে যাবে । তো যে বা যারা হাক্ক দল খুঁজছেন , তারা আগে হাক্ক কি জিনিস তা জানুন অর্থাৎ হাক্ক কে জানুন , বুঝুন । আর হাক্ক জানার জন্য কুরআনের দিকে প্রত্তারপন করা ছাড়া দুনিয়াতে বিকল্প আর কিছু নাই নাই নাই বিল্কুল নাই ...
              আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। (আলে ইমরান ১৪৬)

              Comment

              Working...
              X