Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভুলে যাওয়া ইতিহাস- ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ সালে আসামে মাত্র ছয় ঘণ্টায় ৫০০০ মুসলমানকে শহীদ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভুলে যাওয়া ইতিহাস- ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ সালে আসামে মাত্র ছয় ঘণ্টায় ৫০০০ মুসলমানকে শহীদ

    Nellie Massacre হয়েছিল আসামে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ সালে। এটি ৬ ঘণ্টা স্থায়ি হয়েছিল। এই হত্যা যজ্ঞে ৫০০০ মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছিল যার মধ্যে ৩৫০০-ই ছিল শিশু [আরো অনেক বেশি হওয়ার কথা। প্রকৃত পরিসঙ্খ্যান আল্লাহই ভাল জানেন ] এ হত্যাকান্ডের এখনো একটিরও বিচার হয়নি। গণহত্যার মূল শিকার মুসলমানরা। আসামের ১৪ টি গ্রামে এই হত্যা যোগ্য চালানো হয় গ্রাম গুলো সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়,তার মধ্যে একটি ছিল Nellie । গণহত্যা যে ১৪টি গ্রামের উপর চালানো হয়েছিল, সেগুলো হল- আলিসিঙ্গা, খুলাপাথার,বাসুন্ধরি, বাগদুবা বিল, বাগদুবা হাবি, বরজোলা, বুতুনি, ইন্দুরমারি, মাটি-পর্বত, মুলাধারি, মাটি-পর্বত নং-৮, সিলভেটা, বরবুরি এবং নওগা জেলার নীল গ্রাম। এই হত্যার কারন ছিল মুলত আসামের বিরোধী দলের দাবী। তারা দাবী করে যদি অবৈধ আধিবাসিদের সরানো না হয় তবে তারা নির্বাচনে অংশ নিবে না। তাদের এই দাবির প্রেক্ষিতে ভারতের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী RSS এই হত্যা যোগ্য পরিচালনা করে।

    এই নির্মম হত্যার পর ভারত সরকার জুলুমের শিকারদের মাত্র ৫০০০ টাকা ধরিয়ে দেয়। ৩১০ টি মামলা হয় এই জঘন্য হত্যাকারিদের কিন্তু কোনটিরই পরে মিমাংশা হয়নি এবং অপরাধীরা কোন শাস্তি পায়নি।
    ১৯৭১-এ পাকিস্তনিদের আমরা তাদের হায়না, পিশাচ ইত্যাদি উপাধি দিয়েছি। কিন্তু এই নিষ্পাপ শিশুদের যারা হত্যা করেছে তাদের আমরা কি উপাধি দিব? ভারত তাদের নিজেদের স্বার্থে আমাদের সাহায্য করেছে। পাকিস্তান ছিল তাদের বড় শত্রু। তাদের শ্ত্রুকে ধ্বংস করে দিতেই তারা আমাদের সাহায্য করেছিল। ৯৩ হাজার পাকিস্তানী সৈন্যদের ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ- যার মূল্য ওই সময় ছিলো ২৭ হাজার কোটি টাকা, তার সবই ভারতীয় আরদালী বাহিনী ১৫টি বিশাল জাহাজে করে বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়ে যায়। অথচ সেই অস্ত্রের মালিকানা ছিলো পুরোপুরিবাংলাদেশের।
    শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের শত শত মিল কারখানার যন্ত্রপাতি, ব্যাংক, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যাল, ঘর-বাড়ির গৃহস্থালী জিনিসপত্র পর্যন্ত বাদ যায়নি লোভী ভারতীয় লুটেরাদের হাত থেকে। এসব সম্পদ ও দ্রব্যাদির তখনকার মূল্য ছিলো আনুমানিক ৯০ হাজার কোটি টাকা। শৌচাগারের বদনাগুলোও বাদ দেয়নি ভারতীয় লুটেরার দল।







  • #2
    আল্লাহ সুব, মুসলিম রক্তের প্রতিটা ফোটার প্রতিশোধ নেওয়ার তাওফীক নসীব করুন।আসছে গাযওয়াতুল হিন্দের মুজাহিদীনরা।
    শত্রু অভিমুখী যুদ্ধা।

    Comment


    • #3
      ইন্না-লিল্লাহ!
      আল্লাহ আমাকে মাফ করুন ও ক্ষমা করে দিন।
      হয়তো শরীয়াহ নয়ত শাহাদাহ।

      Comment


      • #4
        আহ.........বেদনাদায়ক!!!
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          আল্লাহ সুব, মুসলিম রক্তের প্রতিটা ফোটার প্রতিশোধ নেওয়ার তাওফীক নসীব করুন। আমীন

          Comment

          Working...
          X