জান্নাতের চাবিসমূহ – আব্দুল্লাহ আল মুহাইসিনি (হা)
প্রাচ্যের এবং পাশ্চাত্যের সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আশ-শাম হতে কিছু কথা এই বরকতময় ম্যাগাজিন আর-রিসালাহর মাধ্যমে আপনাদের কাছে লিখতে পারছি। যার কথাগুলো উদিত হয়েছে সত্যনিষ্ঠ রক্ত-মাংস থেকে এবং এমন এক ভূমিতে, যাকে আল্লাহ্* তাঁর শ্রেষ্ঠ বান্দাদের একত্রিত করার জন্য নির্বাচিত করেছেন । আল্লাহ আমাকে এবং আপনাদের কবুল করুন।
আমি আপনাদের জান্নাতের চাবিসমূহের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, যা জিহাদের ভূমিতে পাওয়া যায়। জান্নাতের চাবি হচ্ছে সেই অস্ত্রগুলো যা মুজাহিদরা আল্লাহর জন্য বহন করে। যেমন নবীজী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একবার বলেছিলেন, “আমার উম্মাহর তরবারী হচ্ছে জান্নাতের চাবি।” [১]
তাঁরা যেন সন্তুষ্টচিত্ত হয়, যারা আশ-শামে জিহাদকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করছে। তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের পূর্ব পর্যন্ত মারে এবং মরে। যখন আব্দুল্লাহ ইব্*ন হাওয়ালার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে আশ-শাম, ইরাক এবং ইয়েমেনের মধ্যে কোথায় যাওয়া উচিত বলে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তর দিয়েছিলেন, “আশ-শামে যাও! [২] কারণ এটি আল্লাহর ভূমিগুলোর মধ্যে সর্বত্তোম, এবং এখানে তিনি তাঁর পছন্দের বান্দাদের একত্রিত করবেন।”
মুজাহিদরা জান্নাতের যাওয়ার চাবি বহন করছে এবং তাদের রবের সাথে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করছে।
সুপ্রিয় পাঠক, যখন আমরা জান্নাতের চাবির সম্পর্কে কথা বলি, এটা অবশ্যই জানা দরকার যে শুধুমাত্র এই চাবিকে বহন করা কোন ব্যক্তিকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। অনেক লোক এই চাবি বহন করে, অথচ এই চাবি তাদের অভিশাপ দিয়েছে। কেউ হয়তো এই চাবি বহন করেছে আর সেটি তার জন্য জাহান্নামের চাবি হবে, অথচ সে ভেবেছে এটি তার জন্য জান্নাতের পথ। আপনার জন্য এটাই যথেষ্ট যে আল্লাহ্* বলেছেন, “বলুন, আমি কি তোমাদেরকে সেসব লোকের সংবাদ দেব, যারা কর্মের দিক দিয়ে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। তারাই সে লোক, যাদের প্রচেষ্টা পার্থিব জীবনে বিভ্রান্ত হয়, অথচ তারা মনে করে যে, তারা সৎকর্ম করেছে।” [কাহাফ: ১০৩-১০৪]
> মুজাহিদদের কাতারকে বিভক্ত করা
যারা ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অস্ত্র ধরেছে, তারা হয়ত ভাবছে তারা ভালো কিছুর জন্যেই অস্ত্র ধরেছে, অথচ তারা তো বিভ্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়। আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করি। এছাড়া এমনও আছে যে, যারা মুসলিমদের অন্যায় ভাবে তাকফির করে হত্যা করে শুধুমাত্র তাদের সাথে অন্য দলগুলোর মতবিরোধের কারণে, এবং তারাও ভাবছে যে তারা খুব ভালো কাজ করছে, অথচ তারাও চরম বিভ্রান্ত।
আমাদের সময়ে এর ঠিক বাস্তব উদাহরণটিই হচ্ছে বর্তমান বাগাদাদী গ্রুপ। তারা ভাবছে যে তারা আল্লাহর শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করছে এবং তারা হক্ব পথে আছে। তারা ভাবছে, সেই বহু প্রতিক্ষিত খিলাফাহ তারা প্রতিষ্ঠা করছে, যার জন্য আমরা সকলে অপেক্ষা করছি, যার জন্য সকল ইসলামী দলগুলো নিজেদের কুরবান করে যাচ্ছে। আল্লাহ সাক্ষী, আমরা লড়াই করছি শুধুমাত্র তাঁর বিধান কে শুধুমাত্র শামের জন্যেই না বরং সারাবিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে। তারা তাদের খিলাফাহকে তলোয়ার বানিয়েছে যা উম্মতকে খন্ড বিখন্ড করে, সেই খিলাফাহ বানায়নি যা উম্মতকে একত্রিত করে।
আল্লাহ যেন আপনাদের সকলকে হিফাযাত করেন। আজকে আপনারা দেখুন তারা আফগানে কি শুরু করেছে! সেই আফগান যেখানে কুফফার রাশিয়া, আমরিকা এবং ন্যাটো এবং তাদের সহযোগি সব মুরতাদদের কবর রচিত হয়ে আসছে; হ্যাঁ সেই ভূমি যেখানে জিহাদের শ্রেষ্ঠ আলিমগণ গত হয়েছেন, আজকে সেই ভূমিতে তারা কি শুরু করেছে, আপনারা দেখুন। তারা আজকে খিলাফাহর নাম ভাঙিয়ে জিহাদকে ধ্বংস এবং মুজাহিদদের কাতারকে বিভক্ত করা শুরু করেছে। আপনারা ঈমান এবং প্রজ্ঞার ভূমি ইয়েমেনের দিকে তাকিয়ে দেখুন, তারা কিভাবে সেখানকার মুজাহিদদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি চেচনিয়াতে কি ঘটেছে সেটাও খেয়াল করুন। আপনারা শুধু আশ-শামেই যদি দেখেন, তবে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবার কথা। তাই, জান্নাতের চাবি এই অস্ত্র বহন করলেই এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে, সে হক্ব পথে আছে।
গভীর ভাবে এই খিলাফাহ ও এর মাঝে সেই লোক গুলোর দিকে লক্ষ্য করুন যারা মুজাহিদদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। কত শ্রেষ্ঠ মুজাহিদ, যারা কিনা আমরিকা আর এর মিত্রদের অপদস্ত করেছে, তাদের এবং আবু খালিদ আস-সুরীর (রহ) মত তাদের আরো কত নেতাদের তারা হত্যা করেছে? এই সকল রক্তপাত শুধুমাত্র কারণ তারা শুধু তাদের খিলাফাহ চায়! তারা তাদের মিডিয়াকে ব্যবহার করছে, যা মানুষদের জন্য এবং তাদের নিজেদের জন্য একটি ফিতনা, যার মাধ্যমে তারা মুজাহিদদের “শাহওয়াহ” বলে কুৎসা রটাচ্ছে।
> আমরা কিভাবে ‘শাহওয়াত’ হতে পারি?
সুবহানআল্লাহ! এটা কিভাবে সম্ভব যে, আমরা নাকি গনতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করছি, এবং আমরা নাকি শাহওয়াত, যেখানে আল্লাহর রাহে আমাদের রক্ত ঝরছে, যেখানে ক্রুসেডার এবং আরবদের জোট দিন-রাত আমাদের উপর বোম্বিং চালিয়ে যাচ্ছে? আমি অবাক হয়ে যাই! কিভাবে আমরা শাহওয়াত, যেখানে আমাদের আদালত গুলো আল্লাহর বিধান দ্বারা পরিচালিত হয়, আমাদের লোকেরা রাস্তায় রাস্তায় মানুষকে ভালোর দিকে এবং মন্দ বর্জনের দিকে ডাকে? কিভাবে আমরা শাহওয়াত, যেখানে আহলুস সুন্নাহর চর্চা বৃদ্ধি পারছে এবং আহলুল বিদা’তের পরিমাণ কমছে? কিভাবে আমরা শাহওয়াত, যেখানে যেসব বোনরা আগে বেপর্দা ছিলেন আজ তারা শামের রাস্তা নিকাবে পরিপূর্ণ করছেন?
তাহলে কেন এই খিলাফাহ ভালো ভালো আলিম এবং তাদের ছাত্রদের হত্যা করছে? কেন তারা তাদের হত্যা করছে যারা সবার আগ থেকেই তাগুতের প্রতি অবিশ্বাস এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন? এই খিলাফাহর সমস্যাটা কি, যেসব আলিম জিহাদের ভিত্তি এমন নিয়মনীতিগুলো সুপ্রতিষ্ঠিতি এবং সুস্পষ্ট করেছেন, তাদেরকে বিভ্রান্ত বলে প্রচার করছে? এই খিলাফাহর সমস্যাটা কি, তারা শাইখ আল-মুজাহিদীন আইমান আয-যাওয়াহিরীর (আল্লাহ শাইখকে আরো দৃঢ় রাখুন এবং হিফাযাত করুন) মত নেতাদের যারা সারাটি জীবন জিহাদের জন্য কুরবান করে আসছেন, তাদেরকে ভিত্তিহীন সব অপবাদ দিয়ে আসছে?
প্রাচ্যে এবং পাশ্চাত্যে আমাদের ভাইয়েরা, আশ-শামের ভূমি আপনাদের ডাকছে, আপনাদের বুঝা উচিত যে আশ-শামের ভূমিতে জিহাদের মত আর কিছু নেই, যেখানে আমাদের তরবারীগুলো মসজিদ আল-আকসার দিকে জ্বলজ্বল করছে।
আপনাদের ভাই,
আব্দুল্লাহ আল-মুহাইসিনী
শামের মুজাহিদদের ম্যাগাজিন ‘আর-রিসালাহ’ থেকে
[১] ইয়াজিদ বিন শাযারাহ বলেন (রা), “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেন যে তরাবারী হচ্ছে জান্নাতের চাবী….।” আব্দুর রাজ্জাক [সহীহ]
[২] নবীজী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “তোমরা তিনটি বাহিনীতে পরিণত হবে, একটি আশ-শামে, একটি ইরাকে এবং একটি ইয়েমেনে।” তখন আব্দুল্লাহ ইব্*ন হাওয়ালা জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, আমাদের কোথায় যাওয়া উচিত হবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছিলেন, “আশ-শামে! তবে যারা শামে যাবে না, তাদের উচিত ইয়েমেনে যাওয়া, আল্লাহ আমার জন্য আশ-শাম ও তাঁর মানুষদের যথেষ্ঠ করেছেন!”
(collected)
প্রাচ্যের এবং পাশ্চাত্যের সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আশ-শাম হতে কিছু কথা এই বরকতময় ম্যাগাজিন আর-রিসালাহর মাধ্যমে আপনাদের কাছে লিখতে পারছি। যার কথাগুলো উদিত হয়েছে সত্যনিষ্ঠ রক্ত-মাংস থেকে এবং এমন এক ভূমিতে, যাকে আল্লাহ্* তাঁর শ্রেষ্ঠ বান্দাদের একত্রিত করার জন্য নির্বাচিত করেছেন । আল্লাহ আমাকে এবং আপনাদের কবুল করুন।
আমি আপনাদের জান্নাতের চাবিসমূহের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, যা জিহাদের ভূমিতে পাওয়া যায়। জান্নাতের চাবি হচ্ছে সেই অস্ত্রগুলো যা মুজাহিদরা আল্লাহর জন্য বহন করে। যেমন নবীজী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একবার বলেছিলেন, “আমার উম্মাহর তরবারী হচ্ছে জান্নাতের চাবি।” [১]
তাঁরা যেন সন্তুষ্টচিত্ত হয়, যারা আশ-শামে জিহাদকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করছে। তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের পূর্ব পর্যন্ত মারে এবং মরে। যখন আব্দুল্লাহ ইব্*ন হাওয়ালার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে আশ-শাম, ইরাক এবং ইয়েমেনের মধ্যে কোথায় যাওয়া উচিত বলে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তর দিয়েছিলেন, “আশ-শামে যাও! [২] কারণ এটি আল্লাহর ভূমিগুলোর মধ্যে সর্বত্তোম, এবং এখানে তিনি তাঁর পছন্দের বান্দাদের একত্রিত করবেন।”
মুজাহিদরা জান্নাতের যাওয়ার চাবি বহন করছে এবং তাদের রবের সাথে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করছে।
সুপ্রিয় পাঠক, যখন আমরা জান্নাতের চাবির সম্পর্কে কথা বলি, এটা অবশ্যই জানা দরকার যে শুধুমাত্র এই চাবিকে বহন করা কোন ব্যক্তিকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। অনেক লোক এই চাবি বহন করে, অথচ এই চাবি তাদের অভিশাপ দিয়েছে। কেউ হয়তো এই চাবি বহন করেছে আর সেটি তার জন্য জাহান্নামের চাবি হবে, অথচ সে ভেবেছে এটি তার জন্য জান্নাতের পথ। আপনার জন্য এটাই যথেষ্ট যে আল্লাহ্* বলেছেন, “বলুন, আমি কি তোমাদেরকে সেসব লোকের সংবাদ দেব, যারা কর্মের দিক দিয়ে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। তারাই সে লোক, যাদের প্রচেষ্টা পার্থিব জীবনে বিভ্রান্ত হয়, অথচ তারা মনে করে যে, তারা সৎকর্ম করেছে।” [কাহাফ: ১০৩-১০৪]
> মুজাহিদদের কাতারকে বিভক্ত করা
যারা ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অস্ত্র ধরেছে, তারা হয়ত ভাবছে তারা ভালো কিছুর জন্যেই অস্ত্র ধরেছে, অথচ তারা তো বিভ্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়। আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করি। এছাড়া এমনও আছে যে, যারা মুসলিমদের অন্যায় ভাবে তাকফির করে হত্যা করে শুধুমাত্র তাদের সাথে অন্য দলগুলোর মতবিরোধের কারণে, এবং তারাও ভাবছে যে তারা খুব ভালো কাজ করছে, অথচ তারাও চরম বিভ্রান্ত।
আমাদের সময়ে এর ঠিক বাস্তব উদাহরণটিই হচ্ছে বর্তমান বাগাদাদী গ্রুপ। তারা ভাবছে যে তারা আল্লাহর শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করছে এবং তারা হক্ব পথে আছে। তারা ভাবছে, সেই বহু প্রতিক্ষিত খিলাফাহ তারা প্রতিষ্ঠা করছে, যার জন্য আমরা সকলে অপেক্ষা করছি, যার জন্য সকল ইসলামী দলগুলো নিজেদের কুরবান করে যাচ্ছে। আল্লাহ সাক্ষী, আমরা লড়াই করছি শুধুমাত্র তাঁর বিধান কে শুধুমাত্র শামের জন্যেই না বরং সারাবিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে। তারা তাদের খিলাফাহকে তলোয়ার বানিয়েছে যা উম্মতকে খন্ড বিখন্ড করে, সেই খিলাফাহ বানায়নি যা উম্মতকে একত্রিত করে।
আল্লাহ যেন আপনাদের সকলকে হিফাযাত করেন। আজকে আপনারা দেখুন তারা আফগানে কি শুরু করেছে! সেই আফগান যেখানে কুফফার রাশিয়া, আমরিকা এবং ন্যাটো এবং তাদের সহযোগি সব মুরতাদদের কবর রচিত হয়ে আসছে; হ্যাঁ সেই ভূমি যেখানে জিহাদের শ্রেষ্ঠ আলিমগণ গত হয়েছেন, আজকে সেই ভূমিতে তারা কি শুরু করেছে, আপনারা দেখুন। তারা আজকে খিলাফাহর নাম ভাঙিয়ে জিহাদকে ধ্বংস এবং মুজাহিদদের কাতারকে বিভক্ত করা শুরু করেছে। আপনারা ঈমান এবং প্রজ্ঞার ভূমি ইয়েমেনের দিকে তাকিয়ে দেখুন, তারা কিভাবে সেখানকার মুজাহিদদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি চেচনিয়াতে কি ঘটেছে সেটাও খেয়াল করুন। আপনারা শুধু আশ-শামেই যদি দেখেন, তবে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবার কথা। তাই, জান্নাতের চাবি এই অস্ত্র বহন করলেই এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে, সে হক্ব পথে আছে।
গভীর ভাবে এই খিলাফাহ ও এর মাঝে সেই লোক গুলোর দিকে লক্ষ্য করুন যারা মুজাহিদদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। কত শ্রেষ্ঠ মুজাহিদ, যারা কিনা আমরিকা আর এর মিত্রদের অপদস্ত করেছে, তাদের এবং আবু খালিদ আস-সুরীর (রহ) মত তাদের আরো কত নেতাদের তারা হত্যা করেছে? এই সকল রক্তপাত শুধুমাত্র কারণ তারা শুধু তাদের খিলাফাহ চায়! তারা তাদের মিডিয়াকে ব্যবহার করছে, যা মানুষদের জন্য এবং তাদের নিজেদের জন্য একটি ফিতনা, যার মাধ্যমে তারা মুজাহিদদের “শাহওয়াহ” বলে কুৎসা রটাচ্ছে।
> আমরা কিভাবে ‘শাহওয়াত’ হতে পারি?
সুবহানআল্লাহ! এটা কিভাবে সম্ভব যে, আমরা নাকি গনতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করছি, এবং আমরা নাকি শাহওয়াত, যেখানে আল্লাহর রাহে আমাদের রক্ত ঝরছে, যেখানে ক্রুসেডার এবং আরবদের জোট দিন-রাত আমাদের উপর বোম্বিং চালিয়ে যাচ্ছে? আমি অবাক হয়ে যাই! কিভাবে আমরা শাহওয়াত, যেখানে আমাদের আদালত গুলো আল্লাহর বিধান দ্বারা পরিচালিত হয়, আমাদের লোকেরা রাস্তায় রাস্তায় মানুষকে ভালোর দিকে এবং মন্দ বর্জনের দিকে ডাকে? কিভাবে আমরা শাহওয়াত, যেখানে আহলুস সুন্নাহর চর্চা বৃদ্ধি পারছে এবং আহলুল বিদা’তের পরিমাণ কমছে? কিভাবে আমরা শাহওয়াত, যেখানে যেসব বোনরা আগে বেপর্দা ছিলেন আজ তারা শামের রাস্তা নিকাবে পরিপূর্ণ করছেন?
তাহলে কেন এই খিলাফাহ ভালো ভালো আলিম এবং তাদের ছাত্রদের হত্যা করছে? কেন তারা তাদের হত্যা করছে যারা সবার আগ থেকেই তাগুতের প্রতি অবিশ্বাস এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন? এই খিলাফাহর সমস্যাটা কি, যেসব আলিম জিহাদের ভিত্তি এমন নিয়মনীতিগুলো সুপ্রতিষ্ঠিতি এবং সুস্পষ্ট করেছেন, তাদেরকে বিভ্রান্ত বলে প্রচার করছে? এই খিলাফাহর সমস্যাটা কি, তারা শাইখ আল-মুজাহিদীন আইমান আয-যাওয়াহিরীর (আল্লাহ শাইখকে আরো দৃঢ় রাখুন এবং হিফাযাত করুন) মত নেতাদের যারা সারাটি জীবন জিহাদের জন্য কুরবান করে আসছেন, তাদেরকে ভিত্তিহীন সব অপবাদ দিয়ে আসছে?
প্রাচ্যে এবং পাশ্চাত্যে আমাদের ভাইয়েরা, আশ-শামের ভূমি আপনাদের ডাকছে, আপনাদের বুঝা উচিত যে আশ-শামের ভূমিতে জিহাদের মত আর কিছু নেই, যেখানে আমাদের তরবারীগুলো মসজিদ আল-আকসার দিকে জ্বলজ্বল করছে।
আপনাদের ভাই,
আব্দুল্লাহ আল-মুহাইসিনী
শামের মুজাহিদদের ম্যাগাজিন ‘আর-রিসালাহ’ থেকে
[১] ইয়াজিদ বিন শাযারাহ বলেন (রা), “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেন যে তরাবারী হচ্ছে জান্নাতের চাবী….।” আব্দুর রাজ্জাক [সহীহ]
[২] নবীজী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “তোমরা তিনটি বাহিনীতে পরিণত হবে, একটি আশ-শামে, একটি ইরাকে এবং একটি ইয়েমেনে।” তখন আব্দুল্লাহ ইব্*ন হাওয়ালা জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, আমাদের কোথায় যাওয়া উচিত হবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছিলেন, “আশ-শামে! তবে যারা শামে যাবে না, তাদের উচিত ইয়েমেনে যাওয়া, আল্লাহ আমার জন্য আশ-শাম ও তাঁর মানুষদের যথেষ্ঠ করেছেন!”
(collected)
Comment