কারার ওই সব বন্ধি যুবক আমাকে রাসুলের প্রেম শিখালো!
আমরা মুসলিম। আল্লাহ্* আমাদের অভিভাবক। রাসুল সা; আমাদের পথনির্দেশক। কোরআন আমাদের গাইডলাইন। এই হচ্ছে, আমাদের দ্বীনের মৌলিক কাঠামো। ইহা এমন এক সত্য, যার উপর আর কোনো সত্য নাই। এই দ্বীন আমাদের মাঝে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের কে বন্ধন সর্বোচ্ছে স্থান দিয়েছে।
এমন কি আল্লাহ্*র রাসুল সা; বলেছেন, “সেই ব্যাক্তি মুসলিম নয়, যে পর্যন্ত সে অপর মুসলিমের জন্য তাই পছন্দ করে, যা সে নিজের জন্য কামনা করে”।
আমাদের রাসুল সা; আরো বলেছেন, “মুমিনরা হলো, একটি দেহের মতো, যদি একটি তার অঙ্গে ব্যথা অনুভূত হয় করে তাহলে, সমস্ত শরীরে তা প্রতিক্রিয়া করে”।
এসকল নির্দেশনা শুনে সাহাবায়ে কেরামের অনুভুতি কেমন ছিল তার একটি উদাহরণঃ সাহাবী হযরত সা’দ বিন মুআজ রা; আব্দুর রহমান ইবনে আঊফ কে ডেকে বললেন, ভাই এদিকে এসো! আমার দুইজন স্ত্রী আছে। তোমার যাকে পছন্দ হয় তাকে আমি তালাক দিয়ে দেই, তুমি তাকে বিয়ে করে নাও!
এ ব্যাপারে কোরআন ও হাদীসে অসংখ্য নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ্* তায়ালা মুমিনদের কে যে ব্যাপারটি সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, সেটা হচ্ছে, মুমিনদের মাঝে পরস্পর হৃদ্যতা, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ব। আর রাসুল সা; ও এটার প্রশিক্ষণ সাহাবায়ে কেরাম রা; এর মাঝে দিয়েছেন। সর্বদা জামাতের সাথে থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
জিহাদের এই পথে পরস্পর সম্পর্কের এই ধারাবাহিকতা কতখানি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যেক মুমিনকে এই সকল নির্দেশনার পাবন্দ থাকতে বলা হয়েছে। আল্লাহ্*র রাস্তায় এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকার জন্য। তা না হয় একদিনেই এই চরিত্র সৃষ্টি হবে না। আর সাহাবায়ে কেরামগণও তার অনুশীলন করেছেন।
আমাদের যে সকল ভাইয়েরা আল্লাহ্*র পথে কারাবন্ধী তাদের ব্যাপারে আমাদের অনুভূতি কেমন? আমরা কি কোনো দিন তাদের নিয়ে ভেবেছি। তারা সকল কিছুর উর্ধ্বে উঠে মহান আল্লাহ্*র আহবানে সাড়া দিয়েছেন। তারা কি চাইলে আমাদের মতো স্মার্ট হয়ে চলতে পারতেন না? তারা কি তাদের স্বীয় স্ত্রীদের পাশে থেকে জিন্দেগী কাটাতে পারতেন না? তারা কি আপন মায়েদের আদর নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে পারতেন না? অথচ, মায়ের চেহারার দিকে হাস্যোজ্জল চেহারায় তাকালে অসংখ্য নেকীর কথা রয়েছে? তারা কি স্বীয় সন্তানদের নিয়ে গরুর বাজারে ঘুরতে পারতেন না? আর ছেলে আপন পিতাকে বলতো, আব্বু এই গরুটা কিনো......! অথবা, তারা কি আমাদের মতো বিভিন্ন ওজুহাত দেখিয়ে কাজ থেকে কেটে পরতে পারতো না? যেমনটা আমরা করে থাকি? আজ তারা কারার সেই অন্ধকার প্রকোষ্টে দিন কাটাচ্ছে!
বলো, তারা এই সব কিছু কার উদ্দেশ্যে বিসর্জন দিয়েছে?
কোন জিনিস টা তাদের কে এই পথে প্রেরণা যোগালো? আমরা আর তারা একই পথের পথিক হওয়া সত্ত্বেও আমাদের আর তাদের মাঝে কতই না ব্যবধান! আজ তারা কুফফারদের কারাগারে বন্ধি। এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখা উচিৎ যে, তারাও আমাদের মত মানুষ। ফেরেশতা নয়, তাদের সন্তান-স্ত্রী পরিজন, বাবা মা আমাদের মত সবই রয়েছে। তারা যদি আজ আমাদের মত বাহিরে থাকতো তাহলে হয়তো আমাদের চেয়ে অনেক স্বাচ্ছন্দে থাকতে পারতো। আজ হয়তো, তাদের কে পাড়া প্রতিবেশীর কাছে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে! তাদের এতিম ছেলেগুলো তাকিয়ে আছে ভালো পোশাকের আশায়! অথবা হয়তো তারা আশা করছে কোরবানির গরু গোশতের আশায়! আর তাদের মা চুলার উপর খালি গরম পানির ডেকচি চড়িয়ে বলছেন, বৎস! একটু অপেক্ষা করো, এখনি খেতে পারবে।
প্রিয় ভাই! কি বুঝছো? আমাদের কি কিছুই করার নেই? আমাদের এই সকল ভাইদের পরিবারের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা আমাদের সকলের কর্তব্য। কম্পক্ষে কোরবানির এই সময়ে হলেও, আমাদের এই ভাইয়েরা দ্বীনের জন্য নিজেদের কে কোরবান করেছেন, আমরা যেন তাদের পরিবারের জন্য নিজেদের কোরবান করি। যদি আমরা দ্বীনি দায়িত্ববোধের এই ব্যাপারটিকে অবহেলা করি, তাহলে মহান আল্লাহ্*র দরবারে নিঃসন্দেহে পাকড়াও হবো!
আল্লাহ্* সুবঃ বলেন, للفقرآء الذين احصروا في سبيل الله অর্থাৎ, ঐ সকল অসহায় ব্যাক্তি যারা আল্লাহ্*র রাহে বন্ধী হয়েছেন। এই আয়াতে আল্লাহ্* তায়ালা বলছেন, তোমরা যা কিছু ব্যয় করো তার মধ্যে উত্তম ব্যয় হলো, আল্লাহ্*র পথে বন্ধীদের জন্য ব্যয় করা।
আল্লাহ্* তায়ালা আমাদেরকে বন্ধি ভাইদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন! আমীন!
-- Deleted.. -
আমরা মুসলিম। আল্লাহ্* আমাদের অভিভাবক। রাসুল সা; আমাদের পথনির্দেশক। কোরআন আমাদের গাইডলাইন। এই হচ্ছে, আমাদের দ্বীনের মৌলিক কাঠামো। ইহা এমন এক সত্য, যার উপর আর কোনো সত্য নাই। এই দ্বীন আমাদের মাঝে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের কে বন্ধন সর্বোচ্ছে স্থান দিয়েছে।
এমন কি আল্লাহ্*র রাসুল সা; বলেছেন, “সেই ব্যাক্তি মুসলিম নয়, যে পর্যন্ত সে অপর মুসলিমের জন্য তাই পছন্দ করে, যা সে নিজের জন্য কামনা করে”।
আমাদের রাসুল সা; আরো বলেছেন, “মুমিনরা হলো, একটি দেহের মতো, যদি একটি তার অঙ্গে ব্যথা অনুভূত হয় করে তাহলে, সমস্ত শরীরে তা প্রতিক্রিয়া করে”।
এসকল নির্দেশনা শুনে সাহাবায়ে কেরামের অনুভুতি কেমন ছিল তার একটি উদাহরণঃ সাহাবী হযরত সা’দ বিন মুআজ রা; আব্দুর রহমান ইবনে আঊফ কে ডেকে বললেন, ভাই এদিকে এসো! আমার দুইজন স্ত্রী আছে। তোমার যাকে পছন্দ হয় তাকে আমি তালাক দিয়ে দেই, তুমি তাকে বিয়ে করে নাও!
এ ব্যাপারে কোরআন ও হাদীসে অসংখ্য নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ্* তায়ালা মুমিনদের কে যে ব্যাপারটি সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, সেটা হচ্ছে, মুমিনদের মাঝে পরস্পর হৃদ্যতা, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ব। আর রাসুল সা; ও এটার প্রশিক্ষণ সাহাবায়ে কেরাম রা; এর মাঝে দিয়েছেন। সর্বদা জামাতের সাথে থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
জিহাদের এই পথে পরস্পর সম্পর্কের এই ধারাবাহিকতা কতখানি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যেক মুমিনকে এই সকল নির্দেশনার পাবন্দ থাকতে বলা হয়েছে। আল্লাহ্*র রাস্তায় এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকার জন্য। তা না হয় একদিনেই এই চরিত্র সৃষ্টি হবে না। আর সাহাবায়ে কেরামগণও তার অনুশীলন করেছেন।
আমাদের যে সকল ভাইয়েরা আল্লাহ্*র পথে কারাবন্ধী তাদের ব্যাপারে আমাদের অনুভূতি কেমন? আমরা কি কোনো দিন তাদের নিয়ে ভেবেছি। তারা সকল কিছুর উর্ধ্বে উঠে মহান আল্লাহ্*র আহবানে সাড়া দিয়েছেন। তারা কি চাইলে আমাদের মতো স্মার্ট হয়ে চলতে পারতেন না? তারা কি তাদের স্বীয় স্ত্রীদের পাশে থেকে জিন্দেগী কাটাতে পারতেন না? তারা কি আপন মায়েদের আদর নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে পারতেন না? অথচ, মায়ের চেহারার দিকে হাস্যোজ্জল চেহারায় তাকালে অসংখ্য নেকীর কথা রয়েছে? তারা কি স্বীয় সন্তানদের নিয়ে গরুর বাজারে ঘুরতে পারতেন না? আর ছেলে আপন পিতাকে বলতো, আব্বু এই গরুটা কিনো......! অথবা, তারা কি আমাদের মতো বিভিন্ন ওজুহাত দেখিয়ে কাজ থেকে কেটে পরতে পারতো না? যেমনটা আমরা করে থাকি? আজ তারা কারার সেই অন্ধকার প্রকোষ্টে দিন কাটাচ্ছে!
বলো, তারা এই সব কিছু কার উদ্দেশ্যে বিসর্জন দিয়েছে?
কোন জিনিস টা তাদের কে এই পথে প্রেরণা যোগালো? আমরা আর তারা একই পথের পথিক হওয়া সত্ত্বেও আমাদের আর তাদের মাঝে কতই না ব্যবধান! আজ তারা কুফফারদের কারাগারে বন্ধি। এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখা উচিৎ যে, তারাও আমাদের মত মানুষ। ফেরেশতা নয়, তাদের সন্তান-স্ত্রী পরিজন, বাবা মা আমাদের মত সবই রয়েছে। তারা যদি আজ আমাদের মত বাহিরে থাকতো তাহলে হয়তো আমাদের চেয়ে অনেক স্বাচ্ছন্দে থাকতে পারতো। আজ হয়তো, তাদের কে পাড়া প্রতিবেশীর কাছে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে! তাদের এতিম ছেলেগুলো তাকিয়ে আছে ভালো পোশাকের আশায়! অথবা হয়তো তারা আশা করছে কোরবানির গরু গোশতের আশায়! আর তাদের মা চুলার উপর খালি গরম পানির ডেকচি চড়িয়ে বলছেন, বৎস! একটু অপেক্ষা করো, এখনি খেতে পারবে।
প্রিয় ভাই! কি বুঝছো? আমাদের কি কিছুই করার নেই? আমাদের এই সকল ভাইদের পরিবারের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা আমাদের সকলের কর্তব্য। কম্পক্ষে কোরবানির এই সময়ে হলেও, আমাদের এই ভাইয়েরা দ্বীনের জন্য নিজেদের কে কোরবান করেছেন, আমরা যেন তাদের পরিবারের জন্য নিজেদের কোরবান করি। যদি আমরা দ্বীনি দায়িত্ববোধের এই ব্যাপারটিকে অবহেলা করি, তাহলে মহান আল্লাহ্*র দরবারে নিঃসন্দেহে পাকড়াও হবো!
আল্লাহ্* সুবঃ বলেন, للفقرآء الذين احصروا في سبيل الله অর্থাৎ, ঐ সকল অসহায় ব্যাক্তি যারা আল্লাহ্*র রাহে বন্ধী হয়েছেন। এই আয়াতে আল্লাহ্* তায়ালা বলছেন, তোমরা যা কিছু ব্যয় করো তার মধ্যে উত্তম ব্যয় হলো, আল্লাহ্*র পথে বন্ধীদের জন্য ব্যয় করা।
আল্লাহ্* তায়ালা আমাদেরকে বন্ধি ভাইদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন! আমীন!
-- Deleted.. -
Comment