ফারাক্কার বাধ খুলে দেওয়া হয়েছে ভারত থেকে পানি আসছে মুসলিম কি বুঝবে এটা ভারতের চক্রান্ত
https://www.youtube.com/results?sear...6%9B%E0%A7%87+
কিছু লোক হঠাত করে প্রচার শুরু করেছে- `কোরবানি ঈদ আসন্ন, এই অবস্থায় কোরবানির টাকা বাচিয়ে বন্যা দূর্গতদের দিয়ে দিন।‘ এসব লোকের আসল উদ্দেশ্যটা কি, তা আমার জানা নাই, কিন্তু এরা যে আসলে বন্যা দূর্গতদের ভালো চায় না সেটা ভালো ভাবেই অনুধাবন করতে পারছি। আসুন বিষয়টি একটু মিলিয়ে দেখি-
গ্রাম-গঞ্জে প্রত্যেক বাড়িতেই গরু-ছাগল পালা হয়। বন্যা শুরু হলে প্রথম যে সমস্যা শুরু হয়, তা হলো থাকা আর খাওয়ার সমস্যা। দেখা যায়, মানুষের থাকা আর খাওয়ার সমস্যা মূখ্য হয়ে উঠে, সেখানে গবাদী পশুকে দিবে কি ? ঐ মুহুর্তে প্রত্যেক বন্যা দূর্গত চিন্তা করে তার গবাদী পশুকে দ্রুত বিক্রি করে দায়মুক্ত হতে।
বন্যায় পাওয়া ছবি থেকে দেখা যায়, মানুষ তার গবাদী পশুকে বেশি যত্ন করে সেভ করছে। এর কারণ গবাদী পশু মানেই টাকা। একদল প্রচার করছে- “কোরবানির টাকা বাচিয়ে সেই টাকা বন্যার্তদের দেন“। কিন্তু আপনি বন্যা দূর্গতদের কয় টাকা সাহায্য করবেন ? প্রতি পরিবারকে ৫০০ টাকা, বড়জোর ১০০০ টাকা। কিন্তু বন্যা আক্রান্ত এলাকায় একটি ভালো গরু বিক্রি হবে ২০-৩০ হাজার টাকায়, ছাগল ৩-৫ হাজার টাকা। এসব পশু যত তাড়াতাড়ি বিক্রি হবে, বন্যা দূর্গতদের হাতে তত দ্রুত টাকা আসবে। কিন্তু এ পশুগুলো যদি তারা বিক্রি না করতে পারে, তবে হয় বন্যায় পানিডে ডুবে মারা যাবে, অথবা না খেতে পেয়ে মারা যাবে। বন্যার পানি নেমে গেলেও সমস্যার শেষ নেই, কারণ তখন পশুখাদ্যের মারাত্মক সংকট হবে। বন্যা পরবর্তী সময়েও বহু পশু না খেতে পেয়ে মারা পরবে। তাই ঐ সব মানুষকে আপনি ৫০০-১০০০ টাকা সাহায্য করার চেয়ে ঢের সাহায্য হবে, যদি তার গবাদী পশুটা আপনি কিনে নেন।
সামনেই কোরবানি ঈদের বিষয়টি আসছে, কোরবানি ঈদে পুরো দেশে প্রায় দেড় কোটি পশুর চাহিদা থাকে। যদি প্রত্যেক জেলায় যদি ১০ লক্ষ করে পশু থাকে, তবে বন্যা আক্রান্ত ১৬ জেলায় পশু সংখ্যা হবে ১ কোটি ৬০ লক্ষ , যা কোরবানির চাহিদা থেকেও বেশি।
অনেকে ভাবতে পারেন, “ভাই বন্যা দূর্গতদের কথা বাদ দিয়ে আসছেন ঈদের কথা ভাবতে।‘‘
না, আমি আসলেই ঐ লোকগুলোর উপকারের কথা ভাবছি।
আপনি বন্যা আক্রান্ত এলাকায় সরকারি-বেসরকারি মিলায় ৫০-১০০ কোটি টাকার ত্রাণ দিতে পারবেন। কিন্তু ঐ এলাকাগুলোতে পশু সম্পদ আছে ২০-৩০ হাজার কোটি টাকার। এই বন্যায় যার বিরাট ক্ষতি হবে। আর সামনে যেহেতু কোরবানি ঈদ আসতেছে, মানুষেরও প্রয়োজন আছে। কোরবানি ঈদ চলে গেলে ঐ পশুর চাহিদা কিন্তু আর থাকবে না। বন্যা দূর্গত এলাকা থেকে পশু আনলে একদিকে যেমন বন্যা দূর্গতদের সাহায্য হবে, অন্যদিকে কোরবানি ঈদে পশুর দামও কমবে। তাই দুপক্ষকে সাহায্য করতে সমস্যা কোথায় ?
`কোরবানির টাকা বাচিয়ে সেই টাকা বন্যা দূর্গতদের দিন‘ এই শ্লোগানের বদলে তাদের শ্লোগান হওয়া উচিত ছিলো- বন্যা আক্রান্ত এলাকা থেকে বেশি করে কোরবানির পশু ক্রয় করুন, বন্যা দূর্গতদের সাহায্য করুন।
collected:-
https://www.youtube.com/results?sear...6%9B%E0%A7%87+
কিছু লোক হঠাত করে প্রচার শুরু করেছে- `কোরবানি ঈদ আসন্ন, এই অবস্থায় কোরবানির টাকা বাচিয়ে বন্যা দূর্গতদের দিয়ে দিন।‘ এসব লোকের আসল উদ্দেশ্যটা কি, তা আমার জানা নাই, কিন্তু এরা যে আসলে বন্যা দূর্গতদের ভালো চায় না সেটা ভালো ভাবেই অনুধাবন করতে পারছি। আসুন বিষয়টি একটু মিলিয়ে দেখি-
গ্রাম-গঞ্জে প্রত্যেক বাড়িতেই গরু-ছাগল পালা হয়। বন্যা শুরু হলে প্রথম যে সমস্যা শুরু হয়, তা হলো থাকা আর খাওয়ার সমস্যা। দেখা যায়, মানুষের থাকা আর খাওয়ার সমস্যা মূখ্য হয়ে উঠে, সেখানে গবাদী পশুকে দিবে কি ? ঐ মুহুর্তে প্রত্যেক বন্যা দূর্গত চিন্তা করে তার গবাদী পশুকে দ্রুত বিক্রি করে দায়মুক্ত হতে।
বন্যায় পাওয়া ছবি থেকে দেখা যায়, মানুষ তার গবাদী পশুকে বেশি যত্ন করে সেভ করছে। এর কারণ গবাদী পশু মানেই টাকা। একদল প্রচার করছে- “কোরবানির টাকা বাচিয়ে সেই টাকা বন্যার্তদের দেন“। কিন্তু আপনি বন্যা দূর্গতদের কয় টাকা সাহায্য করবেন ? প্রতি পরিবারকে ৫০০ টাকা, বড়জোর ১০০০ টাকা। কিন্তু বন্যা আক্রান্ত এলাকায় একটি ভালো গরু বিক্রি হবে ২০-৩০ হাজার টাকায়, ছাগল ৩-৫ হাজার টাকা। এসব পশু যত তাড়াতাড়ি বিক্রি হবে, বন্যা দূর্গতদের হাতে তত দ্রুত টাকা আসবে। কিন্তু এ পশুগুলো যদি তারা বিক্রি না করতে পারে, তবে হয় বন্যায় পানিডে ডুবে মারা যাবে, অথবা না খেতে পেয়ে মারা যাবে। বন্যার পানি নেমে গেলেও সমস্যার শেষ নেই, কারণ তখন পশুখাদ্যের মারাত্মক সংকট হবে। বন্যা পরবর্তী সময়েও বহু পশু না খেতে পেয়ে মারা পরবে। তাই ঐ সব মানুষকে আপনি ৫০০-১০০০ টাকা সাহায্য করার চেয়ে ঢের সাহায্য হবে, যদি তার গবাদী পশুটা আপনি কিনে নেন।
সামনেই কোরবানি ঈদের বিষয়টি আসছে, কোরবানি ঈদে পুরো দেশে প্রায় দেড় কোটি পশুর চাহিদা থাকে। যদি প্রত্যেক জেলায় যদি ১০ লক্ষ করে পশু থাকে, তবে বন্যা আক্রান্ত ১৬ জেলায় পশু সংখ্যা হবে ১ কোটি ৬০ লক্ষ , যা কোরবানির চাহিদা থেকেও বেশি।
অনেকে ভাবতে পারেন, “ভাই বন্যা দূর্গতদের কথা বাদ দিয়ে আসছেন ঈদের কথা ভাবতে।‘‘
না, আমি আসলেই ঐ লোকগুলোর উপকারের কথা ভাবছি।
আপনি বন্যা আক্রান্ত এলাকায় সরকারি-বেসরকারি মিলায় ৫০-১০০ কোটি টাকার ত্রাণ দিতে পারবেন। কিন্তু ঐ এলাকাগুলোতে পশু সম্পদ আছে ২০-৩০ হাজার কোটি টাকার। এই বন্যায় যার বিরাট ক্ষতি হবে। আর সামনে যেহেতু কোরবানি ঈদ আসতেছে, মানুষেরও প্রয়োজন আছে। কোরবানি ঈদ চলে গেলে ঐ পশুর চাহিদা কিন্তু আর থাকবে না। বন্যা দূর্গত এলাকা থেকে পশু আনলে একদিকে যেমন বন্যা দূর্গতদের সাহায্য হবে, অন্যদিকে কোরবানি ঈদে পশুর দামও কমবে। তাই দুপক্ষকে সাহায্য করতে সমস্যা কোথায় ?
`কোরবানির টাকা বাচিয়ে সেই টাকা বন্যা দূর্গতদের দিন‘ এই শ্লোগানের বদলে তাদের শ্লোগান হওয়া উচিত ছিলো- বন্যা আক্রান্ত এলাকা থেকে বেশি করে কোরবানির পশু ক্রয় করুন, বন্যা দূর্গতদের সাহায্য করুন।
collected:-
Comment