Announcement

Collapse
No announcement yet.

আজকে প্রকাশিত : জুলুমবাজীর এক নয়া সমিকরন ৷

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আজকে প্রকাশিত : জুলুমবাজীর এক নয়া সমিকরন ৷

    আজকের সংবাদ থেকে :

    মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছর ১০ মাসে সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান ও সাংবাদিক উৎপলের মতো নিখোঁজ হয়েছে ৫৪৪ জন। তাদের মধ্যে ৩৯৫ জনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। চলতি বছরের ১০ মাসেই নিখোঁজ হয়েছে ৫০ জন, যাদের ৩৮ জনের খোঁজ মেলেনি। লাশ পাওয়া গেছে দুজনের। সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি ঘটনায় আবার নিখোঁজ বা গুম উৎকণ্ঠা বেড়েছে। অন্যদিকে গত ১০ মাসে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১৩৯ জন। চার বছরে এভাবে নিহত হয়েছে ৬৫৪ জন।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলো আছে মানবিক বিপর্যয়ে। কোথাও পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে স্বজনরা চরম অর্থকষ্টে আছে। স্বজনদের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনেকে। অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠা কুরে কুরে খাচ্ছে স্বজনদের। অন্যদিকে বিচার না পাওয়ার চাপা কষ্ঠ বয়ে বেড়াচ্ছে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা।

    আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য মতে, এ বছরের ১০ মাসে (৩১ অক্টোবর পর্যন্ত) নিখোঁজ হয়েছে ৫০ জন। তাদের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তিনজনকে। ফেরত এসেছে সাতজন। বাকি ৩৮ জন এখনো নিখোঁজ। ২০১৬ সালে ৯৭ জন নিখোঁজ হওয়ার পর ১১ জনের লাশ পাওয়া যায়। ২৬ জনকে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর তিনজন ফিরে এলেও নিখোঁজ রহস্য উন্মোচিত হয়নি। বাকি ৫৭ জন এখনো নিখোঁজ। সংস্থাটির তথ্যমতে, ২০১৫ সালে নিখোঁজ হন ৫৫ জন, যাঁদের মধ্যে আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ফিরে আসেন পাঁচজন। এখনো নিখোঁজ আছেন ৩৫ জন। ২০১৪ সালে নিখোঁজ হয়েছিলেন ১০২ জন, যাঁদের ৮৮ জনই নিখোঁজ আছেন। ২০১৩ সালে নিখোঁজ হওয়া ৫৮ জনের মধ্যে ৫৩ জনেরই খোঁজ মেলেনি। ২০১২ সালে নিখোঁজ ৫৬ জনের মধ্যে ৩৪ জন; ২০১১ সালের ৫৯ জনের ৩৯ জন এবং ২০১০ সালে ৪৬ জনের মধ্যে ৩৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ২১ জন নিখোঁজ হন, যাঁদের ১৮ জনের খোঁজ মেলেনি। এই হিসাবে ১০ বছর ১০ মাসে ৫৪৪ জন নিখোঁজ হন, যাঁদের মধ্যে ৩৯৫ জনই গুম হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    এদিকে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির দাবি, ২০০৭ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত তাদের দলের ২০২ নেতাকর্মী গুম হয়েছেন।

    আসকের হিসাব মতে, এ বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছে ১৩৯ জন। গত বছর এভাবে মারা গেছে ১৯৫ জন, ২০১৫ সালে ১৯২ জন এবং ২০১৪ সালে ১২৮ জন। তিন বছর ১০ মাসে মোট মারা গেছে ৫১৫ জন।
    জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশে ৫২ জন গুম বা নিখোঁজ হয়েছেন। এ সময়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৮৭ জন। হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ৮৫৫টি। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩০৬টি।

    গত চার মাসে রাজধানী থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ১৩ জন। এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। কেউ কেউ ফিরে আসেন। তবে এখনো হদিস নেই আটজনের। তাঁদের একজন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান সিজার। গত ৭ নভেম্বর থেকে তাঁর খোঁজ নেই। গত ২৭ আগস্ট ধানমণ্ডি থেকে নিখোঁজ হন কানাডার মন্ট্রিয়লের ম্যাগসাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইশরাক আহমেদ। ছেলের চিন্তায় তাঁর মা-বাবাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাবা জামাল উদ্দীন কালের কণ্ঠকে বলেন, সন্তানকে ফিরে পেতে আশায় বুক বেঁধে আছেন তাঁরা। গত ২৬ আগস্ট পল্টন থেকে নিখোঁজ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমানকে এখনো পাওয়া যায়নি।

    সাংবাদিক উৎপল দাস নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, উৎপলের খোঁজ না মেলায় তাঁর মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

    গত শুক্রবার বাড্ডায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত সাদ্দামের বাবা হাসমত হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত ২৪ নভেম্বর সাদ্দামকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এরপর মেরে ফেলে। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না তাও জানলাম না আমরা। ’

    ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রায়ই ঘটছে অপহরণ, গুম ও গুপ্তহত্যার মতো ঘটনা। গত এক বছরে জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত দেড় শতাধিক ব্যক্তি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর নাটোর পৌর যুবলীগের তিন নেতাকর্মীর লাশ একসঙ্গে উদ্ধার করা হয় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে। নাটোরের ঘটনার দুই দিন আগে তাঁরা নিখোঁজ হয়েছিলেন।

    ২০১০ সালের ২৪ মার্চ মানিক মিয়া এভিনিউয়ের টিঅ্যান্ডটি মাঠসংলগ্ন এলাকা থেকে নিখোঁজ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী সুজনকে এখনো পাওয়া যায়নি।

    বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক আনসার আলীকে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল বনানী থেকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের। ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাসহ নেতাকর্মীরা কথা বললেও দরিদ্র আনসার আলীর পরিবারটি আছে আড়ালে। তার আত্মীয় সোহরাব হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, আনসারের সংসার চলছে এখন মানুষের সাহায্য-সহায়তায়।

    পাঁচ বছর আগের কিছু ঘটনা বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এক মাসে রাজধানী থেকে নিখোঁজ হয়েছিল ১৯ জন। তাদের কেউই পরে আর ফেরেনি। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে কেঁদে বুক ভাসিয়েছে তাদের স্বজনরা। এখনো প্রিয়জনের পথ চেয়ে বসে আছে তারা। নিখোঁজ মাজহারুল ইসলাম ওরফে রাসেলের বাবা আমিনুল হক বলেন, ‘আমার ছেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষে বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করে। এমন একটা ছেলেকে কেন আর পাওয়া যাবে না? রাষ্ট্র, প্রশাসন আমার এ প্রশ্নের জবাব দিল না! আমাদের প্রতিটা দিন কত কষ্টে যাচ্ছে, কেউ খোঁজ নেয় না। ’

    বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমকে ২০১০ সালের ২৫ জুন ফার্মগেট থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সাত বছরেও তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি। তাঁর স্ত্রী হাসিনা চৌধুরী বলেন, ‘সিআইডি পুলিশ অপহরণ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তাকে (আলম) তুলে নেওয়া হয়নি। তাহলে কোথায়? আমরা কার কাছে বিচার চাইব?’ একইভাবে ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন মফিজ উদ্দিন। তাঁর বন্ধু খলিলুর রহমান বলেন, পানামা কম্পানিতে কাজ করতেন মফিজ। তিন ছেলে নিয়ে তাঁর স্ত্রী অনেক কষ্টে সংসার চালাচ্ছেন।

    # মুল সংবাদ থেকে আমাদের জন্য অপ্রজনীয় মনে হওয়ায় কিছু কথা বাদ দেয়া হয়েছ ৷
    Link: http://www.kalerkantho.com/print-edi...7/12/10/575683

  • #2
    rokkok jokhon bokkok ! প্রিয় ভাইয়েরা , নারায়নঅগঞ্জের ঘটনা আশা করি অনেকেই জানেন । শামিম উসমানের নির্দেশেই সন্ত্রাসী বাহিনী Rab ৮ জন নিরাপরাদ মানুষকে খুন করে । এই হত্যাকান্ডের সাথে আরো যারা জরিত ত্বাগুত সরকার তাদেরকে ইতিমধ্যেই বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে !
    # কুমিল্লার bnp কর্মী নুরুকেও পুলিশ নির্মম্ভাবে হত্যা করেছে । এমনভাবে তারা বিরোধীদলসহ অসংখ্য নিরাপরাদ মানুষকে করেছে । আমাদের ভাইদের কথা কি আর বলবো ? প্রথমে গ্রেফতার দুএকদিন পর ক্রস ফাইয়ারে শহিদ দিচ্ছে ! এর পরিথ্যান কি ? সুন্নাই একমাত্র সমাদান ।

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ ভাই! খবু দু:খজনক অবস্থা! এই সরকার দস্যু-ডাকাত ও লুটেরাদের সরকার। ওদের একেকটাকে ধরে সারা জীবনের অপরাধের পাই পাই শাস্তি দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। মানবতা এভাবে চলতে পারে না।

      Comment


      • #4
        حسبنا الله ونعم الوكيل
        অত্যচারী চিরদিন টিকে থাকেনা, কিন্তু তার উপর অভিশাপ চিরদিন হতে থাকে

        Comment


        • #5
          এর শাস্তি হবেই ইনশাআল্লাহ

          Comment


          • #6
            এই দশ বছরে এরা আরো বেশি মানুষ হত্যা করেছে এটিই সত্য।
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment


            • #7
              এই দশ বছরে এরা আরো বেশি মানুষ হত্যা করেছে এটিই সত্য।

              Comment


              • #8
                জালিমের পতন অবশ্যই হবে। দশটা বছর জালিম জুলুম করে করে সাহস বেড়ে গেছে। হাসিনা জালিমের জুলুমের স্বীকার এ বাংলার লক্ষ কোটি জনগন। আসার কিছুদিন পর ই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেনা অফিসারদের নির্মম্ভাবে হত্যা করতে সুযোগ করে দিয়েছে। এদেশ এক অথর্ব রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এদেশের সেনারা যদিও মুজাহিদিনের শুত্রু কিন্তু তাদের ভেতরে কিছু লোক আছে যারা দ্বীনকে ভালোবাসেন। সর্বপরি এরা একটি মুসলিম দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়জিত। এদেশের রানিং আর্মিরা নিজেদেরকে ভীতু আর্মি হিসেবে জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। যখন তাদের ভাইদের হত্যা করা হয়। হত্যা করার কয়েক ঘন্টার আগে তারা জানতে পেরেও ভাইদের কোনো সাহায্য করতে পেরেনি/ করেনি। আল্লাহ না করুক পাশের দেশ এদেশে হামলা করলে তারা কতটুকু মোকাবেলা করবে!!!
                এর আসি হাসিনা জালিমের জুলুমের স্বীকার হয় হিফাজতের ছোট্ট ছোট্ট ছাত্রভাইয়েরা। এদেশের সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন রাজনীতি দলের নেতাকর্মীরা কত শত মারা পড়েছে আল্লাহ জানে।
                ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                Comment


                • #9
                  জালিমের পতন অবশ্যই হবে, ইনশাআল্লাহ।
                  আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                  আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ তায়ালার কাছে আমরা দোআ করি, যেন আল্লাহ তায়ালা তৌফিক দান করেন। যেন জুলুমের হাত ভেংগে দিয়ে খেলাফত কায়েম করতে পারি,। আমিন

                    Comment


                    • #11
                      এই তথ্যের ভিত্তিতে একটি ভিডিও বানিয়ে প্রচার করার অনুরুধ করছি
                      Imma As Shoria Wa Imma As Sahada

                      Comment


                      • #12
                        এই তাগুত শাসকের পতন হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ

                        Comment

                        Working...
                        X