ফজরের আযান পড়েছে । জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দরজার নিকটে এলাম। দরজায় আটকানো কাঠটি খোলার জন্য হাত বাড়িয়েছি, ঐ মুহূর্তে প্রচণ্ড এক চিৎকার আমাকে স্তব্ধ করে দেয়।
আমার মা। পাশের রুমে দাড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। হঠাৎ চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে যান। তার হা করা মুখটা দেখে মনে হচ্ছিল যেন তিনি ভয়ানক কিছু দেখেছেন।খুব ভয় পেলাম আমি।পূর্বেও এমন হয়েছিল ওনার। রবের নিকট সিজদায় পড়ে, কাকুতি-মিনতি করে অনেক কেঁদেছি, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যেত কাঁদতে কাঁদতে। মা ভালো হতে থাকলেও, প্রতিদিন সূর্য়ের তেজ কমে যাওয়ার সাথে সাথে আমার হৃদস্পন্দনও যেন কমে যেতে থাকত।ঘটনার বহুদিন পর, কাশ্মীরের সংবাদ পড়ছি। কত মায়ের দুচোখ থেকে রক্ত ঝরছে ঐ হিংস্র মালাউন সেনাদের বর্বরোচিত হামলায়!! আরাকানের মুসলিম নির্যাতনের ভিডিও দেখেছি, আহ!! আমার ভাই-বোনসহ কত মাকে জীবন্ত আগুনে পোড়াচ্ছে ঐ ন্যাড়া বৌদ্ধ হায়েনার দল!! দুচোখ থেকে অঝোরে অশ্রু ঝরছে আমার। সইতে পারিনি তাদের ব্যাথা। আমার রক্ত যেন টগবগ করে ফুটতে শুরু করেছে প্রচণ্ড ক্রোধে।তারা আমাকে কাশ্মীরে মারছে, আরাকানে পোড়াচ্ছে, ঐ ফিলিস্তিন থেকে আওয়াজ আসছে রক্তে ভাসমান শিশুর। সিরিয়ার মাটি থেকে গন্ধ আসছে শহিদের রক্তের। প্রতিটি মাজলুম ভূমি আজ এই বলে ফরিয়াদ করছে,
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا
অর্থাৎ,আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।
না, আমি আর বসে থাকতে পারি না। আমি আর অশ্রু ঝরিয়ে মা-দেরকে বাঁচাতে পারব না, বুঝেছি এখন ঝরাতে হবে রক্ত। হা , এখন আমার দেহ থেকে রক্ত ঝরানোর সময় এসেছে। সময় এসেছে রবের সাক্ষাতলাভের। আজ ঐ তাগুতদের মাসনদ থর থর করে কাঁপতে থাকবে। আমার রক্তের প্রচণ্ড স্রোতে ভেঙ্গে পড়বে তাদের দম্ভ, ভাসিয়ে নিয়ে যাব তাদেরকে। বিইযনিল্লাহ ।। ওমা তাওফিকী ইল্লা বিল্লাহ।।
আমার মা। পাশের রুমে দাড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। হঠাৎ চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে যান। তার হা করা মুখটা দেখে মনে হচ্ছিল যেন তিনি ভয়ানক কিছু দেখেছেন।খুব ভয় পেলাম আমি।পূর্বেও এমন হয়েছিল ওনার। রবের নিকট সিজদায় পড়ে, কাকুতি-মিনতি করে অনেক কেঁদেছি, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যেত কাঁদতে কাঁদতে। মা ভালো হতে থাকলেও, প্রতিদিন সূর্য়ের তেজ কমে যাওয়ার সাথে সাথে আমার হৃদস্পন্দনও যেন কমে যেতে থাকত।ঘটনার বহুদিন পর, কাশ্মীরের সংবাদ পড়ছি। কত মায়ের দুচোখ থেকে রক্ত ঝরছে ঐ হিংস্র মালাউন সেনাদের বর্বরোচিত হামলায়!! আরাকানের মুসলিম নির্যাতনের ভিডিও দেখেছি, আহ!! আমার ভাই-বোনসহ কত মাকে জীবন্ত আগুনে পোড়াচ্ছে ঐ ন্যাড়া বৌদ্ধ হায়েনার দল!! দুচোখ থেকে অঝোরে অশ্রু ঝরছে আমার। সইতে পারিনি তাদের ব্যাথা। আমার রক্ত যেন টগবগ করে ফুটতে শুরু করেছে প্রচণ্ড ক্রোধে।তারা আমাকে কাশ্মীরে মারছে, আরাকানে পোড়াচ্ছে, ঐ ফিলিস্তিন থেকে আওয়াজ আসছে রক্তে ভাসমান শিশুর। সিরিয়ার মাটি থেকে গন্ধ আসছে শহিদের রক্তের। প্রতিটি মাজলুম ভূমি আজ এই বলে ফরিয়াদ করছে,
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا
অর্থাৎ,আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।
না, আমি আর বসে থাকতে পারি না। আমি আর অশ্রু ঝরিয়ে মা-দেরকে বাঁচাতে পারব না, বুঝেছি এখন ঝরাতে হবে রক্ত। হা , এখন আমার দেহ থেকে রক্ত ঝরানোর সময় এসেছে। সময় এসেছে রবের সাক্ষাতলাভের। আজ ঐ তাগুতদের মাসনদ থর থর করে কাঁপতে থাকবে। আমার রক্তের প্রচণ্ড স্রোতে ভেঙ্গে পড়বে তাদের দম্ভ, ভাসিয়ে নিয়ে যাব তাদেরকে। বিইযনিল্লাহ ।। ওমা তাওফিকী ইল্লা বিল্লাহ।।
Comment