আজও আমার দেহটা আছে অক্ষত, কিন্তু ভগ্নহৃদয়টা হয়েছে আরো ক্ষত-বিক্ষত। যখন ঘুম থেকে জাগলাম, আর ফিরে তাকালাম চারদিকে, দেখি ঘুটঘুটে অন্ধকার আর বিদঘুটে গন্ধ! আর খুব নিকট থেকেই ভেসে আসছে চাপা কান্নার আওয়াজ, ভেসে আসছে ধর্ষিতার গগনবিদারী চিৎকার! না, আমি কোনো কল্পকাহিনী বলছি না। বলছি, আমার আপনজনদের কথা, যাদের কান্নায় আমার কান্না আসে, যারা হাসলে আমার হৃদয় হাসে। আরাকানে আমার বোনদের কান্নার আওয়াজ শুনেছি, বাংলার মাটিতে দেখছি জালিমের নিষ্ঠুরতা! দেখছি অন্যায়-অত্যাচার, অশ্লীলতায় সয়লাব আমার ভূমি! ভারতের মাটি থেকে আমার পরিবারকে বিতাড়নের পায়ঁতারা চলছে, সত্যকে মিথ্যার আড়ালে বন্দী করা হচ্ছে আর মিথ্যাকে প্রকাশ করা হচ্ছে সত্যের চেহারায়! আমার হৃদয়টা একের পর এক আঘাতে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে! জালিমের কঠোরতা বেড়েই চলেছে। আমার হৃদয়টাতে রক্তক্ষরণ হয়ে চলেছে অনবরত। কিন্তু, যখন শুনলাম কাশ্মীরে আমার পরিবারের ছোট্ট বাচ্চাটিকে, আমার আদরের বোনটিকে মন্দিরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে কতগুলো বর্বর হিন্দু, আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। কেমন হয়ে গেলাম আমি?!!! আমার বোনদের জন্য আমি এতটুকু নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করে দিতে পারলাম না!আমার পরিবারকে জালিমদের হাতে তুলে দিয়ে কেবল চোখের পানি ঝরানোই কি যথেষ্ট!! মনে হয় আরাকানের কথা- হিংস্র বৌদ্ধদের হাত থেকে নিজের ইজ্জত-আবরু হেফাজত করতে আমার বোনেরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। আহ! কোথায় সেই মুহাম্মদ বিন কাসিম?! যে তার বোনের চিঠি পেয়ে নিজেকে আর আবদ্ধ রাখতে পারে না কোনো ঘরের মাঝে, কোথায় তুমি!? বুঝেছি! হয়তো আজ কোনো মুহাম্মদ বিন কাসিমের জন্মই হয়নি! কেউ হয়তো আমার বোনের চিৎকার শুনবে না, কিন্তু আমি তো শুনেছি। বোনের চিৎকারেই তো আমার ঘুম ভেঙ্গেছে! কেউ না হউক, আমিই তো বিন কাসিমের মত হতে পারি। জেগে ওঠতে পারি বিন কাসিমের ভূমিকায়!
.................এমনটাই ভাবে জোবায়ের। আপনাদের ভাবনাটা কী?
.................এমনটাই ভাবে জোবায়ের। আপনাদের ভাবনাটা কী?
Comment