Announcement

Collapse
No announcement yet.

জীবনের সফলতা কি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জীবনের সফলতা কি?

    জীবনের সফলতা কি?

    সফলতার অর্থ যদি টাকা পয়সা উপার্জন করা হয় তাহলে শহীদকে যে ধন-সম্পদ দেয়া হবে তার তুলনায় দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ মাছির পাখার সমানও নয়।

    যদি সফলতা উন্নতমানের খাবার-দাবারের নাম হয়ে থাকে, তবে শহীদের মেহমানদারী মাছ দিয়ে করা হবে।

    যদি সফলতা সুন্দর সুন্দর ঘরবাড়ি বানানো হয়ে থাকে তবে শহীদকে এমন ঘর দেওয়া হবে যেটার ব্যাপারে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন শহীদদের জন্য এমন ঘর রয়েছে যার প্রশস্ততা ইয়ামানের শহর সানা থেকে শামের শহর জাজিরিয়াহ পর্যন্ত বিস্তৃত যেটা বানানো হয়েছে বাহিরে হীরা ও ইয়াকুত দিয়ে এবং ভিতরে মিসক ও কাফুর দিয়ে।

    যদি সফলতা সুন্দরী রমণীকে বিয়ে করা হয়ে থাকে তবে এ ক্ষেত্রেও শহীদের মোকাবেলা কোন দুনিয়াদার ব্যক্তি করতে পারবে? যে কেউ শহীদ হওয়ার সাথে সাথেই জান্নাতের দুই হোর জান্নাত থেকে একশত জোড়া পোশাক নিয়ে শহীদের কাছে পৌঁছে যায় এবং তার চেহারায় হাত বুলিয়ে তার আগমনের শুভ সংবাদ শোনাই এমন হুর যাদের সৌন্দর্যের সামনে দুনিয়ার সব সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যাবে, যাকে দেখে পূর্ণিমার চাঁদ ও শরম পাবে।

    যদি সফলতা এটাকে বলা হয় যে সন্তান পিতা-মাতা নিজ পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের উপকারে আসবে, তবে শহীদ কেয়ামতের দিনে নিজের পিতা মাতা এবং আত্মীয়-স্বজনের উপকারে আসবে যেদিন কেউ কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করবে না,মানুষ নিজের ঘামে ডুবে এক এক নেকির সন্ধানে নিজের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে ধারণা দিতে থাকবে,ঐ দিন শহীদ সেসব আত্মীয়-স্বজনের উপকারে আসবে যাদের ব্যাপারে জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে গিয়াছে, মদিনার সরদার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন: শহীদ নিজের আত্মীয়-স্বজনদের থেকে সত্তর জনের ব্যাপারে সুপারিশ করবে।
    জীবনের সফলতা আসলে কি?
    এটাই সব চেয়ে সফল জীবন যে, এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তরুণদের অন্তর ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে আটকে থাকে না, তারা সবকিছুকে পিছনে রেখে সবচেয়ে উঁচু জিনিসের নির্বাচন করে।
    না দুনিয়ার ধন সম্পদ এদের দৃষ্টি কাড়ে, না দুনিয়ার যশ-খ্যাতি তাদের প্রভাবিত করে, না এসব যুবকের মনে বেপরোয়া আকর্ষণ প্রভাব বিস্তার করে, না দুনিয়ার মোহ এদের প্রলুব্দ্ধ করতে পারে।
    বরঞ্চ তাদের অন্তর চিরস্থায়ী জান্নাতের নিয়ামতসমূহের প্রতি লেগে থাকে, যেখানকার সম্মানের কোন তুলনা নেই, যেখানকার সৌন্দর্য কখনো মলিন হবে না, যেখানে জীবনের স্থায়িত্ব সর্বদা যৌবনের শীর্ষে থাকবে, না কোন দুঃখ-দুর্দশা তাদের স্পর্শ করবে, যেখানে সবকিছু থাকবে যা কোন অন্তর তামান্না করতে পারে যার, যেখানে সব মনোবাসনা পূর্ণ করা হবে যা কোন অন্তর চাইতে পারে, যেগুলো বাস্তবতার রূপ ধারণ করবে।
    জগতের প্রতিপালক ইরশাদ করেন: সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমরা দাবি কর।
    তাহলে আপনিই চিন্তা করুন যাদের কাছে সাফল্যের মাপকাঠি এতটা উঁচু তাদের কাছে জুনিয়র জীবনের সাফল্যের স্থান কোথায় যা কিনা মাছির ডানার বরাবরই নয়।

    যুবক ভাইয়েরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন কারা জীবনের ব্যাপারে উত্তম পরিকল্পনা করেছেন, কারা নিজেদের বোধশক্তি খাটিয়েছেন, কাদের সংকল্প ও অভিপ্রায় দুরদৃষ্টির সম্পন্ন, কারা জীবনকে বহুদূর পর্যন্ত গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেছেন? কারা জীবনের সফলতাই পৌঁছাতে পেরেছেন?..
    ""আর এটাই মহা সাফল্য""

    হযরত মাওলানা আসিম উমর (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুক) এর কিছু মূল্যবান নসিহা।

  • #2
    প্রিয় ভাই উক্ত কথাগুলোর রেফারেন্স দিলে ভালো হত । আমি জানি তাদের ফজিলত এমন।وَعَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللَّهِ سِتُّ خِصَالٍ: يُغْفَرُ لَهُ فِي أوَّلِ دفعةٍ وَيَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَيَأْمَنُ مِنَ الْفَزَعِ الْأَكْبَرِ وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الْوَقَارِ الْيَاقُوتَةُ مِنْهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ويزوَّجُ ثنتينِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً مِنَ الْحُورِ الْعِينِ وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَقْرِبَائِهِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ-[৪৭] মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শাহীদের জন্য আল্লাহর নিকট ছয়টি পুরস্কার সুরক্ষিত রয়েছে। ১- যুদ্ধরত অবস্থায় তার রক্তের ফোঁটা মাটিতে ঝরা মাত্রই তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং তাকে জান্নাতের আবাসস্থল দেখানো হয়। ২- তাকে কবরের ’আযাব হতে নিষ্কৃতি দেয়া হয়। ৩- হাশরের ময়দানের মহাভীতি হতে দূরে রাখা হয়। ৪- (কিয়ামতের দিন) সম্মানজনকভাবে তার মাথায় ইয়াকূতের মুকুট পরানো হবে, যার মধ্যে খচিত একটি ইয়াকূত দুনিয়া ও তার সমস্ত ধন-সম্পদ হতে উত্তম। ৫- সুন্দর বড় বড় চক্ষুবিশিষ্ট বাহাত্তর জন হূরকে তার সঙ্গিনীরূপে দেয়া হবে। ৬- তার নিকটাত্মীয়দের মধ্যে সত্তরজনের সুপারিশ কবুল করা হবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)[
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আমাদেরকে দীনের পথে চলা সহজ করে দিন

      Comment


      • #4
        Originally posted by khaled Adil View Post
        আল্লাহ আমাদেরকে দীনের পথে চলা সহজ করে দিন
        আল্লাহুম্মা আমীন

        Comment

        Working...
        X