জীবনের সফলতা কি?
সফলতার অর্থ যদি টাকা পয়সা উপার্জন করা হয় তাহলে শহীদকে যে ধন-সম্পদ দেয়া হবে তার তুলনায় দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ মাছির পাখার সমানও নয়।
যদি সফলতা উন্নতমানের খাবার-দাবারের নাম হয়ে থাকে, তবে শহীদের মেহমানদারী মাছ দিয়ে করা হবে।
যদি সফলতা সুন্দর সুন্দর ঘরবাড়ি বানানো হয়ে থাকে তবে শহীদকে এমন ঘর দেওয়া হবে যেটার ব্যাপারে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন শহীদদের জন্য এমন ঘর রয়েছে যার প্রশস্ততা ইয়ামানের শহর সানা থেকে শামের শহর জাজিরিয়াহ পর্যন্ত বিস্তৃত যেটা বানানো হয়েছে বাহিরে হীরা ও ইয়াকুত দিয়ে এবং ভিতরে মিসক ও কাফুর দিয়ে।
যদি সফলতা সুন্দরী রমণীকে বিয়ে করা হয়ে থাকে তবে এ ক্ষেত্রেও শহীদের মোকাবেলা কোন দুনিয়াদার ব্যক্তি করতে পারবে? যে কেউ শহীদ হওয়ার সাথে সাথেই জান্নাতের দুই হোর জান্নাত থেকে একশত জোড়া পোশাক নিয়ে শহীদের কাছে পৌঁছে যায় এবং তার চেহারায় হাত বুলিয়ে তার আগমনের শুভ সংবাদ শোনাই এমন হুর যাদের সৌন্দর্যের সামনে দুনিয়ার সব সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যাবে, যাকে দেখে পূর্ণিমার চাঁদ ও শরম পাবে।
যদি সফলতা এটাকে বলা হয় যে সন্তান পিতা-মাতা নিজ পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের উপকারে আসবে, তবে শহীদ কেয়ামতের দিনে নিজের পিতা মাতা এবং আত্মীয়-স্বজনের উপকারে আসবে যেদিন কেউ কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করবে না,মানুষ নিজের ঘামে ডুবে এক এক নেকির সন্ধানে নিজের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে ধারণা দিতে থাকবে,ঐ দিন শহীদ সেসব আত্মীয়-স্বজনের উপকারে আসবে যাদের ব্যাপারে জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে গিয়াছে, মদিনার সরদার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন: শহীদ নিজের আত্মীয়-স্বজনদের থেকে সত্তর জনের ব্যাপারে সুপারিশ করবে।
জীবনের সফলতা আসলে কি?
এটাই সব চেয়ে সফল জীবন যে, এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তরুণদের অন্তর ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে আটকে থাকে না, তারা সবকিছুকে পিছনে রেখে সবচেয়ে উঁচু জিনিসের নির্বাচন করে।
না দুনিয়ার ধন সম্পদ এদের দৃষ্টি কাড়ে, না দুনিয়ার যশ-খ্যাতি তাদের প্রভাবিত করে, না এসব যুবকের মনে বেপরোয়া আকর্ষণ প্রভাব বিস্তার করে, না দুনিয়ার মোহ এদের প্রলুব্দ্ধ করতে পারে।
বরঞ্চ তাদের অন্তর চিরস্থায়ী জান্নাতের নিয়ামতসমূহের প্রতি লেগে থাকে, যেখানকার সম্মানের কোন তুলনা নেই, যেখানকার সৌন্দর্য কখনো মলিন হবে না, যেখানে জীবনের স্থায়িত্ব সর্বদা যৌবনের শীর্ষে থাকবে, না কোন দুঃখ-দুর্দশা তাদের স্পর্শ করবে, যেখানে সবকিছু থাকবে যা কোন অন্তর তামান্না করতে পারে যার, যেখানে সব মনোবাসনা পূর্ণ করা হবে যা কোন অন্তর চাইতে পারে, যেগুলো বাস্তবতার রূপ ধারণ করবে।
জগতের প্রতিপালক ইরশাদ করেন: সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমরা দাবি কর।
তাহলে আপনিই চিন্তা করুন যাদের কাছে সাফল্যের মাপকাঠি এতটা উঁচু তাদের কাছে জুনিয়র জীবনের সাফল্যের স্থান কোথায় যা কিনা মাছির ডানার বরাবরই নয়।
যুবক ভাইয়েরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন কারা জীবনের ব্যাপারে উত্তম পরিকল্পনা করেছেন, কারা নিজেদের বোধশক্তি খাটিয়েছেন, কাদের সংকল্প ও অভিপ্রায় দুরদৃষ্টির সম্পন্ন, কারা জীবনকে বহুদূর পর্যন্ত গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেছেন? কারা জীবনের সফলতাই পৌঁছাতে পেরেছেন?..
""আর এটাই মহা সাফল্য""
হযরত মাওলানা আসিম উমর (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুক) এর কিছু মূল্যবান নসিহা।
সফলতার অর্থ যদি টাকা পয়সা উপার্জন করা হয় তাহলে শহীদকে যে ধন-সম্পদ দেয়া হবে তার তুলনায় দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ মাছির পাখার সমানও নয়।
যদি সফলতা উন্নতমানের খাবার-দাবারের নাম হয়ে থাকে, তবে শহীদের মেহমানদারী মাছ দিয়ে করা হবে।
যদি সফলতা সুন্দর সুন্দর ঘরবাড়ি বানানো হয়ে থাকে তবে শহীদকে এমন ঘর দেওয়া হবে যেটার ব্যাপারে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন শহীদদের জন্য এমন ঘর রয়েছে যার প্রশস্ততা ইয়ামানের শহর সানা থেকে শামের শহর জাজিরিয়াহ পর্যন্ত বিস্তৃত যেটা বানানো হয়েছে বাহিরে হীরা ও ইয়াকুত দিয়ে এবং ভিতরে মিসক ও কাফুর দিয়ে।
যদি সফলতা সুন্দরী রমণীকে বিয়ে করা হয়ে থাকে তবে এ ক্ষেত্রেও শহীদের মোকাবেলা কোন দুনিয়াদার ব্যক্তি করতে পারবে? যে কেউ শহীদ হওয়ার সাথে সাথেই জান্নাতের দুই হোর জান্নাত থেকে একশত জোড়া পোশাক নিয়ে শহীদের কাছে পৌঁছে যায় এবং তার চেহারায় হাত বুলিয়ে তার আগমনের শুভ সংবাদ শোনাই এমন হুর যাদের সৌন্দর্যের সামনে দুনিয়ার সব সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যাবে, যাকে দেখে পূর্ণিমার চাঁদ ও শরম পাবে।
যদি সফলতা এটাকে বলা হয় যে সন্তান পিতা-মাতা নিজ পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের উপকারে আসবে, তবে শহীদ কেয়ামতের দিনে নিজের পিতা মাতা এবং আত্মীয়-স্বজনের উপকারে আসবে যেদিন কেউ কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করবে না,মানুষ নিজের ঘামে ডুবে এক এক নেকির সন্ধানে নিজের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে ধারণা দিতে থাকবে,ঐ দিন শহীদ সেসব আত্মীয়-স্বজনের উপকারে আসবে যাদের ব্যাপারে জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে গিয়াছে, মদিনার সরদার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন: শহীদ নিজের আত্মীয়-স্বজনদের থেকে সত্তর জনের ব্যাপারে সুপারিশ করবে।
জীবনের সফলতা আসলে কি?
এটাই সব চেয়ে সফল জীবন যে, এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তরুণদের অন্তর ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে আটকে থাকে না, তারা সবকিছুকে পিছনে রেখে সবচেয়ে উঁচু জিনিসের নির্বাচন করে।
না দুনিয়ার ধন সম্পদ এদের দৃষ্টি কাড়ে, না দুনিয়ার যশ-খ্যাতি তাদের প্রভাবিত করে, না এসব যুবকের মনে বেপরোয়া আকর্ষণ প্রভাব বিস্তার করে, না দুনিয়ার মোহ এদের প্রলুব্দ্ধ করতে পারে।
বরঞ্চ তাদের অন্তর চিরস্থায়ী জান্নাতের নিয়ামতসমূহের প্রতি লেগে থাকে, যেখানকার সম্মানের কোন তুলনা নেই, যেখানকার সৌন্দর্য কখনো মলিন হবে না, যেখানে জীবনের স্থায়িত্ব সর্বদা যৌবনের শীর্ষে থাকবে, না কোন দুঃখ-দুর্দশা তাদের স্পর্শ করবে, যেখানে সবকিছু থাকবে যা কোন অন্তর তামান্না করতে পারে যার, যেখানে সব মনোবাসনা পূর্ণ করা হবে যা কোন অন্তর চাইতে পারে, যেগুলো বাস্তবতার রূপ ধারণ করবে।
জগতের প্রতিপালক ইরশাদ করেন: সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমরা দাবি কর।
তাহলে আপনিই চিন্তা করুন যাদের কাছে সাফল্যের মাপকাঠি এতটা উঁচু তাদের কাছে জুনিয়র জীবনের সাফল্যের স্থান কোথায় যা কিনা মাছির ডানার বরাবরই নয়।
যুবক ভাইয়েরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন কারা জীবনের ব্যাপারে উত্তম পরিকল্পনা করেছেন, কারা নিজেদের বোধশক্তি খাটিয়েছেন, কাদের সংকল্প ও অভিপ্রায় দুরদৃষ্টির সম্পন্ন, কারা জীবনকে বহুদূর পর্যন্ত গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেছেন? কারা জীবনের সফলতাই পৌঁছাতে পেরেছেন?..
""আর এটাই মহা সাফল্য""
হযরত মাওলানা আসিম উমর (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুক) এর কিছু মূল্যবান নসিহা।
Comment