Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ৩৭ || “ফিলিস্তিনের স্মৃতি ” ।। শহীদ ড. আবদুল্লাহ আযযাম রহ. || ষষ্ঠাদশ পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ৩৭ || “ফিলিস্তিনের স্মৃতি ” ।। শহীদ ড. আবদুল্লাহ আযযাম রহ. || ষষ্ঠাদশ পর্ব

    ফিলিস্তিনের স্মৃতি
    ।।শহীদ ড. আবদুল্লাহ আযযাম রহ. ||
    এর থেকে– ষষ্ঠাদশ পর্ব

    সুলতান আবদুল হামিদের সাহসিকতা

    ফিলিস্তিন কীভাবে হাতছাড়া হলো সে-কাহিনি অনেক লম্বা। তবে এখানে সুলতান আবদুল হামিদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা না করা আমাদের উচিত হবে না। আমাদের চিন্তা-ভাবনায় তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক আসনে রয়েছেন। একদিন দুনিয়াকে তাঁর সামনে পেশ করা হয়েছিলো। ইহুদিরা তাঁর ব্যক্তিগত পকেটে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দিতে চেয়েছিলো। তারা আরো প্রস্তাব দিয়েছিলো, উসমানি সাম্রাজ্যের জন্যে নৌবহর গঠন করবে, জেরুজালেমে উসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে। তারা প্রস্তাব দিয়েছিলো, এসবের বিনিময়ে তাঁকে পশ্চিমে রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসবের সঙ্গে তারা আরো প্রস্তাব দিয়েছিলো, উসমানিয়া সাম্রাজ্যের সমস্ত ঋণ তারা শোধ করে দেবে। কিন্তু সুলতান আবদুল হামিদ থিয়োডর হার্জেল-এর এইসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। অবশেষে তিনি বলেছিলেন, ‘তোমরা ড. থিয়োডর হার্জেল-কে বলে দাও, তিনি যেনো এ-পথে আর একটি পদক্ষেপও না করেন। আমার জাতি রক্তের বিনিময়ে ফিলিস্তিনের দেখা পেয়েছে। রক্ত ছাড়া সেটা তাদের থেকে কিছুতেই নিয়ে নেয়া যাবে না। ফিলিস্তিনকে আমার সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেয়ে আমার গলায় ছুরি বসিয়ে দেয়াটা আমার জন্যে সহজ হবে। আমরা জীবিত থাকতে আমাদের দেহকে বিচ্ছিন্ন হতে দেবো না।' এরপর তিনি বলেন, 'হে থিয়োডর হার্জেল, তোমার টাকা যথেষ্ট আছে। আবদুল হামিদ চলে যাওয়ার পর তোমারা মাগনাই ফিলিস্তিন পেয়ে যাবে।’

    আমরা যখন ছোটো ছিলাম আমাদেরকে পড়ানো হয়েছে, আবদুল হামিদ ছিলেন একনায়ক (শক্তিবলে এবং অবৈধ উপায়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত শাসক)। আমরা তাঁর ক্ষেত্রে একনায়কত্বের দৃষ্টান্ত পেশ করতাম। যখন আমাদের কেউ আরেকজনকে গালি দিতে চাইতো, বলতো, তুই হামিদি। মানে, তুই কিছুই বুঝিস না। আমাদের আরব সাংবাদিকেরা আবদুল হামিদের উপাধি দিয়েছেন ‘রক্তনিমজ্জিত।’ তাঁরা পত্রিকাতে লেখেন, লাল একনায়ক। তাঁরা কখনো আবদুল হামিদের সঙ্গে ‘সুলতান’ বিশেষণ প্রয়োগ করেন না।[1]

    মুসলমানেরা এবং ফ্রিম্যাসন গুপ্তসঙ্ঘের কর্মীরা একত্র হয়। সুলতান আবদুল হামিদের সঙ্গে তাদের এই বিরোধের পর ইমানুয়েল কারাসু (
    Emmanuel Carasso বা Emanuel Karasu)[2] এবং Herzl ইতালি যান। ইতালি আবদুল হামিদের কাছে একটি তারবার্তা পাঠায়। তাতে তারা এই হুমকি দেয়, ‘আপনাকে নিজের প্রাণ ও সিংহাসন দিয়ে এই বিরোধের মূল্য পরিশোধ করতে হবে।’ সুলতান আবদুল হামিদ জানতেন, তিনি বিশ্বইহুদি, তাদের সম্পদ, ক্ষমতা ও তাদের প্রতিনিয়ত উস্কানির মোকাবেলা করছেন। তুরস্কের স্যালোনিকা ও অন্যান্য এলাকায় ফ্রিম্যাসন গুপ্তসঙ্ঘের ষড়যন্ত্র-বৈঠক শুরু হয়। তারা উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রয় করে এবং এসব বৈঠকে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। ১৯০৯ সালে তারা মাহমুদ শওকত পাশাকে স্যালোনিকা দুর্গের কমান্ডার নিযুক্ত করে। মাহমুদ শওকত পাশা কনস্ট্যান্টিনোপল ঘিরে ধরেন এবং অভ্যুত্থান ঘটান। সুলতান আবদুল হামিদ পদত্যাগের চুক্তিতে সম্মত হন। শাসনক্ষমতা থেকে পদত্যাগের চুক্তিপত্র নিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তিনজন : কমিটি অব ইউনিয়ন এ্যান্ড প্রগ্রেস-এর সদস্য আরসাতাদা পাশা, ইহুদি আইনজীবী ইমানুয়েল কারাসু এবং সুলতানের ব্যক্তিগত সহকারী আরিফ হেকমত।

    কাবুল থেকে জেরুজালেম : দুই : দুটি ঘটনা

    ২৭ শে এপ্রিল, ১৯০৯। এই রাতের দুইটি বড়ো ঘটনার কথা আমরা উল্লেখ করতে পারি। সুলতান আবদুল হামিদের শাসনক্ষমতা থেকে পদত্যাগের অর্থ হচ্ছে ইহুদিদের হাতে ফিলিস্তিনের পতন এবং ইসলামের চিহ্ন ও অস্তিত্ব মুছে যাওয়া। তারপর আমরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। আমরা তুরস্কের বিরুদ্ধে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সঙ্গে যোগ দিই এবং তুরস্ককে পরাজিত করি। তারপর উসমানিয়া সাম্রাজ্য খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায় এবং মিত্রদের মাঝে তা বণ্টিত হয়। কিন্তু আমাদের ভাগ্যে কী ঘটে? শরিফ হোসাইনকে সমগ্র আরবের রাজত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কারাগারে অন্তরীণ করা হয়। আরর অভ্যুত্থানের নেতা এবং ইংরেজ লেখক টমাস লরেন্স[3] তাঁর Seven Pillars of Wisdom : A Triumph গ্রন্থে লেখেন, 'আমি গর্ববোধ করি যে, আমি তিরিশটি যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম সেখানে ইংরেজদের রক্ত ঝরে নি। আমাদের শাসনের অধীনে যেসব জাতি রয়েছে তাদের সকলের রক্তের চেয়ে একজন ইংরেজের রক্ত আমাদের কাছে বেশি প্রিয়। আরব অভ্যুত্থানে আমাদের কেবল ১০ মিলিয়ন দিনারই ব্যয় হয়েছে।’

    [১৯১৬-১৯১৭ সালে উসমানিয়া সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরব অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। ইংরেজদের মদদে শরিফ হোসাইন বিন আলি ও তাঁর পুত্র ফয়সাল এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। শরিফ হোসাইনকে সমগ্র আরবের রাজত্ব প্রদান করা হবে বলে ইংরেজরা তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পর ইংরেজরা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এবং শরিফ হোসাইনকে কারাগারে অন্তরীণ করে। ইংরেজ সামরিক কর্মকর্তা ও লেখক টমাস লরেন্স শরিফ হোসাইনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন এবং তুর্কিদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ব্যাপারে তাঁকে উৎসাহিত করেন। এই লরেন্সকে ‘আরব লরেন্স’ও বলা হয়। Seven Pillars of Wisdom: A Triumph তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ। এটি আরবিতে أعمدة الحكم السبعةনামে অনুদিত হয়েছে।]

    এই অভ্যুত্থানের পর ইহুদিদের জন্যে আবার সব পথ উন্মুক্ত হয়ে যায়। ১৯১৭ সালের ২রা অক্টোবর [২রা নভেম্বর) ফিলিস্তিনে ইহুদি জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেলফোর ডিক্লারে[4]নের" প্রকাশ ঘটে। বেলফোর ডিক্লারেশন প্রকাশের দুই সপ্তাহ আগে লেনিন[5] ইহুদিদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি তাদেরকে ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র গড়ে দেবেন। ১৯১৭ সালে ৬-৭ই অক্টোবর রুশ বিপ্লব [বলশেভিক/ বিপ্লব অক্টোবর বিপ্লব/ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব)[6] সংঘটিত হয়। এই অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহ পর লেনিন ইহুদিদের পক্ষে দুই দফাবিশিষ্ট একটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন :

    ১. ইহুদিদের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং তাদের সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করা অপরাধ। এই অপরাধের ক্ষেত্রে আইনানুগ দণ্ডের বিধান রাখা হবে।

    ২. আমরা ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্যে একটি জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছি।

    লেনিনের এই ঘোষণার তিন সপ্তাহ পর ১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে ইংরেজরা বেলফোর ডিক্লারেশন ঘোষণা করে। ১৯২২ সালে আমেরিকা এই ডিক্লারেশনের স্বীকৃতি দেয়। সেই যে তারা শুরু করে, ১৯৪৭ সালে তা বাস্তবায়িত হয়।


    [1] 'সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ স্বাধীনচেতা হলেও সত্যবাদী আলেমদের রেহাই দেন নি। 62 বিখ্যাত আলেম শাখয় ইবরাহিমসহ তিনি বহু হক্কানি আলেমকে হত্যা করেন। তাঁর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী মানুষের জন্যে তিনি পাহাড়ের পাদদেশে নির্জন কারাগার নির্মাণ করেছিলেন। কারাগারের অন্ধকার কুঠুরিতে রেখে ক্ষুধায়-নির্যাতনে মানুষকে হত্যা করতেন। হিংস্রতা ও রক্তপাতের জন্যে তিনি কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ইনি শ্মশ্রুমুণ্ডিত ছিলেন। ১৮৭৬ সালে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং ১৯০৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন। তাঁর জন্ম ১৮৪২ সালে এবং মৃত্যু ১৯১৮ সালে।

    [2] একজন ইহুদি আইনজীবী।

    [3] পুরো নাম টমাস এ্যাডওয়ার্ড লরেন্স। ডাকনাম লরেন্স অব আরব। ১৮৮৮ সালের ১৬ই আগস্ট যুক্তরাজ্যের কার্নারফনশায়ারের ট্রেমাড এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ আর্মি ব্রিটিশ এয়ারফোর্সে অফিসার ছিলেন। উসমানিয়া সম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ছাড়াও তিনি উল্লেখযোগ্য নয়টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যার অধিকাংশই ঘটেছে আরব দেশগুলোতে। ১৯৩৫ সালের ১৯ শে মে ইনল্যান্ডের বোডিংটন ক্যাম্পে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর আরেকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো
    Revolt in the Desert.

    [4] এটি মূলত ২রা নভেম্বর ১৯১৭ সালে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব আর্থার জেমস বেলফোর কর্তৃক ব্রিটিশ ইহুদি কমিউনিটির নেতা ব্যারন রোথস্কিল্ড-এর কাছে প্রেরিত একটি চিঠি। এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো ফিলিস্তনে ইহুদি জনগোষ্ঠীর জন্যে মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠায় ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা নিশ্চিতকরণ।

    [5] রুশদেশে ১৯১৭ সালে সংঘটিত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের প্রধান নেতা। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৭০ সালে সিমবির্স্ক অঞ্চলে তাঁর জন্ম। আসল নাম ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানত্। লেনিন (Lenin) তাঁর ছদ্মনাম।

    কিশোর বয়স থেকেই লেনিন রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দিতে শুরু করেন। রুশ সম্রাট বা জারকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড হয়েছিলো তার বড়ো ভাইয়ের। এই ঘটনাই তাঁকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। ১৮৯১ সালে তিনি আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯০০ সালে দেশের বাইরে থাকার সময় তিনি 'ইস্ক্রা' (স্ফুলিঙ্গ) নামে একটি বিপ্লবী পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯০৩ সালে তৎকালীন রুশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতরে তাঁর নেতৃত্বে বলশেভিক পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। লেনিনের নেতৃত্বে ১৯০৫ সালে জার বিরোধী অভ্যুত্থানে জারের পতন না ঘটলেও ১৯১৭ সালের অভ্যুত্থানে জারের পতন ঘটে এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৭ সালের ৯ই নভেম্বর থেকে ১৯২৪ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের সরকারপ্রধান ছিলেন।

    কার্ল মার্ক্স এবং ফ্রেডরিশ এঙ্গেলস্-এর চিন্তার সম্প্রসারণ ও ব্যাখ্যার জন্যে তিনি বিখ্যাত। তাঁর এই চিন্তাই লেনিনবাদ নামে পরিচিত। ১৯২৪ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।

    [6] ১৯১৭ সালের ৭ই নভেম্বর রাশিয়ার পেত্রোগ্রাৎ শহরে শ্রমিক-সৈনিক-নাবিকের সশস্ত্র অভ্যুত্থান ও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ইতিহাসে রুশ বিপ্লব বা অক্টোবর বিপ্লব নামে পরিচিত হয়ে আছে। তৎকালে রাশিয়ায় অনুসৃত ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দিনটি ছিলো ২৫ শে অক্টোবর। তাই একে অক্টোবর বিপ্লবও বলা হয়ে থাকে। বিপ্লবের নেতৃত্বে ছিলো লেনিনের নেতৃত্বাধীন রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির সংখ্যাগুরু বলশেভিক অংশ। এই বিপ্লব বুর্জোয়া ধনিক শ্রেণি ও সামন্ত জমিদারদের শাসন উৎখাত করে। বিপ্লবপরবর্তী সময়কাল ছিলো নানা দিক দিয়ে জটিল। যে ব্যাপক সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটাবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো তা দেশের ভেতর ও বাহির থেকে প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়।
    সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক অধিকার ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে আসে এবং শেষ পর্যন্ত তা একমাত্র কমিউনিস্ট পার্টির একনায়কত্বে পরিণত হয়। অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে, রুদ্ধ হয়ে পড়ে চিন্তার স্বাধীন বিকাশ। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলো নানা পুঞ্জীভূত ভ্রান্তি ও জটিলতার কারণে নব্বইয়ের দশকে এসে তা একেবারেই ভেঙ্গে পড়ে।





    আরও পড়ুন​
    পঞ্চদশ পর্ব

  • #2
    আল্লাহ্‌ তাআলা শাইখের উপর রহম করুন, এবং আমাদের ইসলামী খিলাফত ফিরিয়ে দিন, আমীন
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

    Comment

    Working...
    X