Announcement

Collapse
No announcement yet.

Bengali Translation | কায়িদাতুল জিহাদ – কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব | যুদ্ধ তো সবেমাত্র শুরু হলো | দুঃসাহসী নেতা ইয়াহইয়া সিনওয়ার (রহিমাহুল্লাহ)-এর প্রশংসায় বিবৃতি | রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরী অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Bengali Translation | কায়িদাতুল জিহাদ – কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব | যুদ্ধ তো সবেমাত্র শুরু হলো | দুঃসাহসী নেতা ইয়াহইয়া সিনওয়ার (রহিমাহুল্লাহ)-এর প্রশংসায় বিবৃতি | রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরী অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

    مؤسسة النصر
    আন নাসর মিডিয়া
    An Nasr Media

    تـُــقدم
    পরিবেশিত
    Presents

    الترجمة البنغالية
    বাংলা অনুবাদ
    Bengali Translation

    بعنوان:
    শিরোনাম:
    Titled:

    بيان في تأبين القائد المغوار يحيى السنوار – رحمه الله

    যুদ্ধ তো সবেমাত্র শুরু হলো
    দুঃসাহসী নেতা ইয়াহইয়া সিনওয়ার (রহিমাহুল্লাহ)-এর প্রশংসায় বিবৃতি

    Statement regarding the Martydom of Commander Yahya al Sinwar – may Allah have Mercy on him



    للقرائة المباشرة والتحميل
    সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
    For Direct Reading and Downloading






    روابط بي دي اب
    PDF (570 KB)
    পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৫৭০ কিলোবাইট]




    https://mega.nz/file/bE4CVD4Q#68k6gTqz8I9cEVtOYC82HLyixx3pNpbIHSP6XEz1a co




    روابط ورد
    WORD (691 KB)
    ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৬৯১ কিলোবাইট]




    https://mega.nz/file/zVZTWTQJ#MjzryXdPcK5HhXYv_rQ5T6wF1INWDVO0gyiQUPWat v4




    روابط الغلاف-٢
    banner [981 KB]
    ব্যানার [৯৮১ কিলোবাইট]





    https://jmp.sh/wXoolOvj



    -------------------------

    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি ইরশাদ করেছেন:
    مِّنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ رِجَالٞ صَدَقُواْ مَا عَٰهَدُواْ ٱللَّهَ عَلَيۡهِۖ فَمِنۡهُم مَّن قَضَىٰ نَحۡبَهُۥ وَمِنۡهُم مَّن يَنتَظِرُۖ وَمَا بَدَّلُواْ تَبۡدِيلٗا
    “মুমিনদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর সাথে তাদের করা অঙ্গীকার পূর্ণ করেছে, তাদের কেউ কেউ (অঙ্গীকার পূর্ণ করে) মারা গেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা তাদের অঙ্গীকারে কোনো পরিবর্তন করেনি।” [সূরা আহযাব, ৩৩:২৩]
    রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের অসীম সাহসী রাসূলের ওপর, বীরত্বের প্রবাদ পুরুষের ওপর, তাঁর পরিবার-পরিজনের ওপর এবং জ্ঞানী সাহাবীদের ওপর-

    সালাত ও সালামের পর,
    আমাদের হৃদয় ধৈর্যে এবং আল্লাহর ফায়সালার প্রতি সন্তুষ্টিতে পরিপূর্ণ। সেই সাথে দুঃখ-বেদনায় আমাদের মন কানায় কানায় পূর্ণ। জিহাদের মহান নেতাদের একদলকে হারিয়ে আমরা শোকে বিহ্বল। সাধারণভাবে গোটা মুসলিম উম্মাহকে আমরা এই শোক বার্তা জানাচ্ছি। বিশেষভাবে গাজায় আমাদের ঈমানদার ভাই এবং মুরাবিত প্রিয় মানুষদের প্রতি আমরা আমাদের শোকের ডানা মেলে দিচ্ছি। তাঁদের নেককার একদল নেতা শাহাদাত বরণ করেছেন—তাঁদের ব্যাপারে এমনটাই আমরা ধারণা করি—আল্লাহ তাআলা তাঁদের জন্য যথেষ্ট। ঈমানদারদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার সত্যে পরিণত করেছেন। তাঁরা সম্মুখ পানে অগ্রসর হয়ে, পৃষ্ঠ প্রদর্শন না করে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। তাঁরা ছিলেন ধৈর্যশীল, অটল ও অবিচল। উম্মাহর এই বীর বাহাদুর সন্তানেরা তুমুল যুদ্ধে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছেন। কত রকম প্রতিকূলতা তাঁদের সামনে এসেছে! বিজয়ের অপ্রতুলতা সত্ত্বেও তাঁরা থেমে যাননি। এমন মহান নেতাদের শাহাদাতের ঘটনায় আমাদের ওপর যে বিপদ আপতিত হয়েছে, এতে মহান আল্লাহ পাক আমাদের এবং আপনাদের প্রতিদানকে বৃদ্ধি করে দিন। শুধু তাঁরাই নন, ফিলিস্তিনে আমাদের মুসলিম হাজার হাজার ভাইবোন শাহাদাত বরণ করেছেন। তাঁদের অগ্রভাগে রয়েছেন আমাদের অমূল্য রত্ন এবং মুসলিম উম্মাহর অমূল্য সম্পদ, বরকতময় তুফানুল আকসা অভিযানের নেতা, বীর অভিজ্ঞ দুঃসাহসী যোদ্ধা, আবু ইবরাহীম ইয়াহইয়া আস-সিনওয়ার (মহান আল্লাহ তাঁকে কবুল করুন)
    তাঁর শহীদ অন্যান্য নেতৃত্ব এবং মুজাহিদ ভাইদেরকেও আল্লাহ কবুল করুন! আল্লাহ তাঁদের উপর রহম করুন। আল্লাহ তাঁর প্রশস্ত জান্নাতে তাঁদেরকে স্থান দান করুন, আমীন! তাঁরা মসজিদে আকসা মুক্ত করবার জন্য ইসলামের পক্ষ থেকে আরোপিত দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নেককার ব্যক্তি হিসেবে পৃথিবীতে জীবন যাপন করে গেছেন। মজলুম বন্দী ও উম্মাহর শুভ পরিণতির জন্য বীরের মতো মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। এভাবেই তাঁরা জীবিত অবস্থায় যে সৌভাগ্যের আকাঙ্ক্ষা করেছেন, তা অর্জন করেছেন। আল্লাহর দীনের জন্য আত্মমর্যাদাশীল যেকোনো ব্যক্তি এই সৌভাগ্যের আকাঙ্ক্ষী, আল্লাহর পথে আত্মবিসর্জনের স্বপ্নচারী। আমাদের মহান বীরেরা সেই গর্বিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন—যেই স্বপ্ন দেখে গেছেন যুগে যুগে ইসলামের বীর বাহাদুরগণ সারাটা জীবন ধরে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জিহাদের মাধ্যমে, হৃদয়ের মাধ্যমে, সশস্ত্র সংগ্রাম ও অভিযান-অভিযাত্রার মাধ্যমে তাঁরা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। আমরা ধারণা করি তাঁরা শাহাদাতের বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছেন, বিরাট মর্যাদা লাভ করেছেন। পবিত্র নৈকট্য ও ঐশী মনোনয়ন দ্বারা তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে কামনা করি তাঁরা যেন ওই সমস্ত ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত হন, যারা বর্তমান যুগে শহীদ নেতাদের অবস্থানে দাঁড়াবার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তাআলার দরবারেও যেন তাঁদের এই মর্যাদা সুনির্ধারিত থাকে। সত্যিকার অর্থেই আল-আকসা ইস্যুতে তাঁরা এই উম্মাহর সত্যিকার কল্যাণকামী এবং বিশ্বস্ত রক্ষকের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাঁরা সমকালীন ইতিহাসের সর্ব উল্লেখযোগ্য মহান ব্যক্তিদের সর্বাগ্রে রয়েছেন। ইসলামী সেনাবাহিনীকে পরিচালনা করে তাঁরা হিংসুটে জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে মহান জিহাদী অভিযাত্রা পরিচালনা করেছেন। ইহুদীদের বিশ্রামের দিন তথা সাবাতের দিনে তাঁদেরকে আকস্মিকভাবে এমন জায়গা থেকে হামলা করেছেন যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি। তখন ইহুদীদের অন্তরে আল্লাহ তাআলা ভীতি সঞ্চার করে দিয়েছেন। ইতিহাস এ কথা কখনো ভুলবে না। অতঃপর তাঁরা তাঁদের শত্রুদেরকে হত্যা ও বিদ্ধ করে, এবং বন্দী করে তাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁদের এই সমস্ত কাজ ও প্রস্তুতিকে, তাঁদের জিহাদ এবং রিবাতকে কবুল করুন। তাদেরকে সব ভালো কাজের প্রতিদান দান করুন আর ভুলগুলোকে ক্ষমা ও মার্জনা করুন।

    হে মুসলিম উম্মাহ!
    আমরা যখন আমাদের ফিলিস্তিনের ভাই-বোনদের জন্য আপনাদের উদ্দেশ্যে শোকবার্তা জানাই, যেখানে মায়েরা সন্তান হারানোর বেদনায় মর্মাহত, ইয়াতীমরা তাদের পিতা-মাতা হারিয়ে অসহায়, যেখানে মা-বোনেরা তাঁদের চোখের শীতলতা ও জীবন সঙ্গীদেরকে হারিয়ে বিধবা, আর বাবারা তাদের স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার-পরিজনকে হারিয়ে দিশেহারা। বেদনার পাহাড় বয়ে চলা ফিলিস্তিনের এই ভাইবোনদের জন্য যখন আমরা শোক জ্ঞাপন করি, তখন আসলে আমরা মুসলিম উম্মাহকে একথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, গাজায় আমাদের ভাই-বোনেরা আমাদের বিরুদ্ধে তাদের সীমাহীন ও অকল্পনীয় ত্যাগ দ্বারা সমস্ত প্রমাণ সাব্যস্ত করে যাচ্ছে। নিজেদের জীবন, জান-প্রাণ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গ করে মুসলিম উম্মাহর অজুহাতের সকল পথ তারা বন্ধ করে দিয়েছে। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম যেমন তাঁর কলিজার টুকরাকে উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁরাও সেই আদর্শ অনুসরণ করে আল-আকসার প্রতিরক্ষার জন্য নিজেদের কলিজার টুকরাগুলোকে উৎসর্গ করে দিচ্ছেন। তাঁদেরকে একা ছেড়ে দেয়ার জন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত আল্লাহর সামনে দেয়ার জন্য জবাব প্রস্তুত করে রাখা। আল্লাহ তাআলার কাছে কামনা করি তিনি যেন পিছনে থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় আমাদের নাম লিপিবদ্ধ না করেন।
    প্রিয়জন হারানোর বেদনা এবং পিছনে থেকে যাবার কষ্ট সাথে নিয়ে আমরা ফিলিস্তিন ও গাজায় আমাদের প্রিয় ভাই-বোনদেরকে অসিয়ত করে বলতে চাই, এই হতাশার তিক্ততা এবং নিরবচ্ছিন্ন বেদনা যেন আপনাদের বাহুকে দুর্বল করে না দেয়। কারণ নববী সুসংবাদ এবং মুহাম্মদী ভবিষ্যৎবাণী থেকে আমরা জানতে পাই, বাইতুল মুকাদ্দাসের পাদদেশে যারা সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে লড়াই করবে, তাঁদেরকে পরিত্যাগ করা কিংবা তাঁদের বিরোধিতা করার দ্বারা তাঁদের কোনোই ক্ষতি হবে না—যদিও তাঁরা আহারকারীদের দস্তরখানের মতো হোক না কেন, (আহারকারীরা তাঁদেরকে গ্রাস করার জন্য একে অপরকে ডাকতে থাকুক না কেন)—তবে তাঁদের অতি সামান্য কিছু কষ্ট হতে পারে। আমাদেরকে এবং তাঁদেরকে যুগ যুগের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা একথা জানিয়ে দিয়েছে, আপন মানুষেরা দূরে ঠেলে দেয়ার বেদনা ও বিশ্বাসঘাতকতা, ভাইদের ব্যাপক হারে নিহত হওয়া, নেতা ও বন্ধু হারানোর শোক—এগুলো আল্লাহর ইচ্ছায় বিজয় ও সাহায্য নিকটবর্তী হবার অন্যতম নিদর্শন ও লক্ষণ। আল্লাহ পাক এরশাদ করেছেন:
    حَتَّىٰٓ إِذَا ٱسۡتَيَۡسَ ٱلرُّسُلُ وَظَنُّوٓاْ أَنَّهُمۡ قَدۡ كُذِبُواْ جَآءَهُمۡ نَصۡرُنَا فَنُجِّيَ مَن نَّشَآءُۖ وَلَا يُرَدُّ بَأۡسُنَا عَنِ ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡمُجۡرِمِينَ
    “অবশেষে যখন রাসূলগণ (তাদের সম্প্রদায়ের ঈমান থেকে) নিরাশ হলেন এবং লোকেরা মনে করলো যে, রাসূলগণকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়া হয়েছে তখন তাদের কাছে আমার সাহায্য আসল। এভাবে আমি যাকে ইচ্ছে করি সে নাজাত পায়। আর অপরাধী সম্পপ্রদায় হতে আমার শাস্তি প্রতিরোধ করা হয় না।” [সূরা ইউসুফ, ১২:১১০]
    অতএব হে গাজার বীর বাহাদুরগণ! হে প্রতিরক্ষাকারী যোদ্ধাগণ! মহাযুদ্ধের রাসুলের স্লোগান যেন আপনাদের স্লোগান হয়!! তিনি তো বলেছেন: الآن الآن جاء القتال “লড়াই সবেমাত্র শুরু হল”। আল্লাহর অনুগ্রহের পর আপনাদের মতো মানুষেরাই নিজেদের উম্মাহ ও জাতির জন্য সাহায্য বিজয় ও স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার যোগ্য।
    আমাদের এই মুসলিম উম্মাহ যোদ্ধা জাতি, তাঁরা স্বর্ণপ্রসবা, রত্নগর্ভা; অতিশয় উর্বরা। ইতিহাসের পাতায় পাতায় সাক্ষ্য রয়েছে, এই জাতি বীর বাহাদুরদের জন্ম দিয়েছে যুগে যুগে, সাহসিকতার প্রবাদ পুরুষদেরকে প্রসব করেছে। যখনই কোনো নেতা হারিয়ে গেছে তখন অন্যান্য নেতারা পতাকা কাঁধে তুলে নিয়েছে। সাহসিকতা ও বীরত্বের দিক থেকে পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদের চেয়ে কম ছিলেন না, পূর্ববর্তীদের মতো তাঁরাও ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, অপ্রতিরোধ্য সাহসিকতার অধিকারী। পূর্ববর্তী কারো বিদায়ে যখনই উত্তরসূরি কেউ দায়িত্ব গ্রহণ করে পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন, তখনই তিনি নিজের জিহাদ, লড়াই-চেষ্টা প্রচেষ্টা ব্যয়ের শিক্ষা গ্রহণ করেছেন সরাসরি মুহাম্মদী নূরের ফোয়ারা ও ঐশী জ্ঞানের ঝর্ণাধারা হতে। এ কারণে ইসলামের সত্যিকারের নেতাদের হারানোটা কখনোই ইসলামী ইতিহাসের শেষ পৃষ্ঠা ছিল না; কারণ ইসলামের নেতৃবৃন্দ উম্মাহর সন্তানদের মাঝে দৃঢ় প্রত্যয় ও সংকল্পের প্রাণ সংসার করে দিয়ে যান। জীবনের নির্মমতা দেখার পর সেই জীবনকেই তাঁরা নিজেদের সাহসিকতা ও বাহাদুরি দেখান।
    আমরা ‘জামাআত কায়িদাতিল জিহাদ’ আমাদের শোকবার্তা ও সহমর্মিতার বাণীর পাশাপাশি ভালোবাসা ও মাহাত্ম্যের বার্তা জানাতে চাই। ফিলিস্তিনের মুজাহিদ ভাইদের জন্য সাহায্য ও প্রতিষ্ঠার দোয়া দিতে চাই। ফিলিস্তিনের ভাইদের পাশাপাশি উম্মাহর প্রতিটি স্বাধীনচেতা মুসলিম, যিনি নিজের জিহাদী দায়িত্বের মাধ্যমে উম্মাহর প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত, সকলকেই বিজয়ের সুসংবাদ শোনাতে চাই। এই উম্মাহর বিশ্ব-পরিবর্তনের যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন, সকলকেই দোয়া দিতে চাই। আল্লাহ বরকত দান করুন জর্ডানের প্রতিরোধ যোদ্ধাদেরকে। ফিলিস্তিনে যায়নবাদী-ক্রুসেডার যৌথ টার্গেটকে হামলার জন্য তাঁরা নিজেদের যুবকদেরকে নিয়োজিত করেছে। ইসলামপন্থীরা জেনে রাখুক, যুদ্ধের অবস্থা পালাক্রমে পরিবর্তন হয়। শত্রুরা কখনোই গাজা ও লেবাননের সীমান্তে বসে থাকবে না বরং অন্যান্য অঞ্চল অধিকার করার জন্য তারা অচিরেই তাদের চেষ্টার ঘোষণা দেবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ ইহুদিবাদীদের তাবেদার শাসকগোষ্ঠীর নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে উম্মাহর প্রকৃত মুজাহিদদের দ্বারা তাদেরকে প্রতিহত না করবে ততদিন পর্যন্ত ইহুদীবাদীরা অগ্রসর হতে থাকবে। ইহুদিবাদী গোষ্ঠী এবং তাদের তাবেদাররা ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইবোনদেরকে নির্মূল করার যুদ্ধে নেমেছে। এই কারণে এই উম্মাহর যুবকদের দায়িত্ব হলো, ইহুদি ও আমাদের মুসলিম দেশগুলোতে তাদের তাবেদার ও মিত্র মুরতাদ শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মনিয়োগ করা, সমস্ত শক্তি ক্ষমতা এই তুমুল যুদ্ধে নিয়োজিত করা, সত্যি-সামর্থ্য উজাড় করে দেয়া। এই পর্যায়ে আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, বর্তমান সময়ে মিশর, উপসাগরীয় দেশ, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননের অধিবাসীদের ওপর বরাবরই জিহাদ ফরজে আইন হয়ে আছে। যদি তাদের দ্বারা এ দায়িত্ব পালন করা না হয় তাহলে এই দেশগুলোর পরবর্তী দেশগুলো পর্যন্ত এই দায়িত্বের সীমানা বর্ধিত হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণ প্রতিরক্ষা শক্তি নিয়োজিত না হচ্ছে। যদি এরপরেও যথেষ্ট না হয় তাহলে এই দায়িত্বের পরিধি বিস্তৃত হতে হতে গোটা উম্মাহর কাঁধে চেপে বসবে—এই দায়িত্ব এতটা ব্যাপক হবে, স্থান ও সময়ের সমস্ত সীমানা উঠে যাবে—পুরো পৃথিবীর প্রতিটি মুসলমানের উপর জিহাদ ফরজে আইন হবে।
    আমরা ‘আল্লাহর রাসূলের সম্মান রক্ষার্থে’ উলামায়ে কেরামের করা আন্তর্জাতিক সংগঠনের আলেমদের দেওয়া ফাতওয়ার প্রতি আমাদের সমর্থন জানাচ্ছি। তাঁরা তাঁদের ফাতওয়াতে ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য প্রতিরক্ষামূলক জিহাদের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তাঁরা তাঁদের ঘোষণায় বলেছেন, অপারেশন তুফানুল আকসায় অংশ নেওয়া এবং সমর্থন করা পুরো উম্মাহর উপর অপরিহার্য (ফরয)। তাঁরা এই ঘোষণা দিয়েছেন কারণ তাঁরা মনে করছেন যে, জায়নিস্ট আগ্রাসন থামানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষার মাত্রা এখনও অর্জিত হয়নি।
    আমাদের উলামায়ে কেরামের উচিত ফাঁকা নিন্দা জানানো, নিছক ফতোয়া প্রদানের স্তর অতিক্রম করা। আলেমদের থেকে আসা দায়সারা সমর্থন এখন ফিলিস্তিনিদের কোনো কাজে আসছে না। এখন আমাদের এই যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সময়। নিজেদের রক্ত দিয়ে এবং মুসলিম যুবকদেরকে সারা বিশ্বের জায়নিস্ট-ক্রুসেডার স্বার্থের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে পরিচালনা করার পথ দেখানোর মাধ্যমে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আপনাদেরকে উম্মাহর দায়িত্ব নিতে হবে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং মুসলমানদেরকে বিদ্রোহী শাসকদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এই শাসকরাই আমাদের দুর্দশার মূল কারণ। এদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আহ্বান জানাতে হবে।
    নিঃশব্দের নিদর্শন ফিলিস্তিনিদের শাহাদাত (আল্লাহ তাদের শাহাদাতকে কবুল করুন!) সম্পর্কে কবির উক্তি কতটা সত্য!
    قل لمن دبجوا الفتاوى: رويدا * رب فتوى تضج منها السماء
    حين يدعو الجهاد يصمت حبر * ويراع والكتب والفقهاء
    حين يدعو الجهاد لا استفتاء * الفتاوى يوم الجهاد الدماء
    যারা ফতোয়া লিপিবদ্ধ করেছেন তাদেরকে বলুন, “ধীরে ধীরে”
    এমন অনেক ফতোয়া রয়েছে যার কারণে আসমান চিৎকার করে ওঠে
    জিহাদের ডাক যখন আসে, তখন কিছু কিছু জ্ঞানী, ভীরু, লেখক ও ফকীহগন নীরব হয়ে যায়
    (ফরজ) জিহাদের ডাক যখন আসে তখন ফতোয়া খোঁজার কোনো প্রয়োজন নেই
    জিহাদের দিন ফতোয়া তো হলো রক্ত...
    হে উম্মাহর সন্তান এবং মুজাহিদিন!
    আপনারা আপনাদের দীনের সাহায্যে এগিয়ে আসুন। আপনাদের রবের আহ্বানে সাড়া দিন!
    فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ ۚ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ عَسَى اللَّهُ أَن يَكُفَّ بَأْسَ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ وَاللَّهُ أَشَدُّ بَأْسًا وَأَشَدُّ تَنكِيلًا
    “আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করতে থাকুন, আপনি নিজের সত্তা ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ের যিম্মাদার নন! আর আপনি মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করতে থাকুন। শীঘ্রই আল্লাহ কাফেরদের শক্তি-সামর্থ্য খর্ব করে দেবেন। আর আল্লাহ শক্তি-সামর্থ্যের দিক দিয়ে অত্যন্ত কঠোর এবং কঠিন শাস্তিদাতা।” (সূরা নিসা, ০৪:৮৪)
    আপনাদের ভাইদের পক্ষ হতে প্রতিশোধ নিতে এগিয়ে আসুন, যতটুকু সম্ভব, জায়নিস্ট-ক্রুসেডার জোটকে আঘাত করুন। শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যারা লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল, তাদের দলে যোগ দিন। মুহাম্মদ সালাহ, মাহের আল-জাজি, কাওয়াশি দুই ভাই, মুহাম্মদ আতাসহ যারা প্রথম অপারেশন তুফানুল-আকসায় অংশগ্রহণ করেন, তাঁদেরকে অনুসরন করুন!
    ভারত উপমহাদেশ, ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, ইসলামিক মাগরিব, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং সোমালিয়ার সিংহদের পথ অনুসরণ করুন। তাঁরা ‘আল-কুদস কখনোই ইহুদীদের হবে না’ নামক অভিযানের মাধ্যমে বহু বছর ধরে আল-আকসার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন!
    আল্লাহর ইচ্ছায়, সাহায্য আসছে এবং প্রস্তুতি চলছে। আমরা দোয়া করি, আল্লাহ আমাদেরকে যেন আমাদের ভাইদের জন্য সাহায্যকারী বানান। (দ্বিতীয়) অপারেশন তুফানুল আকসায় অংশ নেওয়ার সৌভাগ্য দান করেন।
    আল্লাহর ইচ্ছায়, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল। আমরা আমাদের অঙ্গীকারে দৃঢ় রয়েছি- “রক্তের বদলে রক্ত... এবং ধ্বংসের বদলে ধ্বংস, (এভাবেই চলতে থাকবে) যতক্ষণ না আমরা বিজয় অর্জন করি অথবা হামজা বিন আবদুল মুত্তালিবের মতো শাহাদাতের স্বাদ অনুভব করি!”
    পরিশেষে আমরা মহান আরশের রব দয়ালু আল্লাহর কাছে দোয়া করি- আমাদের জাতির আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন নেতা শাইখ মুজাহিদ ইয়াহয়া সিনওয়ার এবং তাঁর অন্যান্য সকল ভাইদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন! আল্লাহ তাঁদেরকে আরশের প্রতিবেশী করে জান্নাতুল ফিরদাউসে এবং তাঁর মহান দয়া ও অনুগ্রহের সান্নিধ্যে ঘর করে দিন! তাঁদের অসাধারণ সাহসের এমন পুরস্কার দিন, যা কল্পনাকে ছাড়িয়ে যাবে এবং পূর্ণতার কাছাকাছি পৌঁছে যাবে- ফলে অন্যান্য জাতির মধ্যে আমাদের জাতির মাথা উঁচু হয়ে যাবে।
    وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين
    ----------------
    রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরী
    অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
    ------------------------


    مع تحيّات إخوانكم
    في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
    قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
    আন নাসর মিডিয়া
    আল কায়েদা উপমহাদেশ
    In your dua remember your brothers of
    An Nasr Media
    Al-Qaidah in the Subcontinent​
    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

  • #2
    এই পর্যায়ে আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, বর্তমান সময়ে মিশর, উপসাগরীয় দেশ, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননের অধিবাসীদের ওপর বরাবরই জিহাদ ফরজে আইন হয়ে আছে। যদি তাদের দ্বারা এ দায়িত্ব পালন করা না হয় তাহলে এই দেশগুলোর পরবর্তী দেশগুলো পর্যন্ত এই দায়িত্বের সীমানা বর্ধিত হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণ প্রতিরক্ষা শক্তি নিয়োজিত না হচ্ছে। যদি এরপরেও যথেষ্ট না হয় তাহলে এই দায়িত্বের পরিধি বিস্তৃত হতে হতে গোটা উম্মাহর কাঁধে চেপে বসবে—এই দায়িত্ব এতটা ব্যাপক হবে, স্থান ও সময়ের সমস্ত সীমানা উঠে যাবে—পুরো পৃথিবীর প্রতিটি মুসলমানের উপর জিহাদ ফরজে আইন হবে।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      আল্লাহর ইচ্ছায়, সাহায্য আসছে এবং প্রস্তুতি চলছে। আমরা দোয়া করি, আল্লাহ আমাদেরকে যেন আমাদের ভাইদের জন্য সাহায্যকারী বানান। (দ্বিতীয়) অপারেশন তুফানুল আকসায় অংশ নেওয়ার সৌভাগ্য দান করেন।
      আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা কবুল করুন।

      সম্মানিত ভাইয়েরা, আমরা সাধ্যপরিমাণ এই বার্তা নিরাপত্তা বজায় রেখে প্রচারে সচেষ্ট হই, ইনশাআল্লাহ।
      জিহাদি মানহাজের হেফাযত, মুজাহিদদের হেফাযত থেকেও বেশি গুরত্বপূর্ণ

      কারণ মুজাহিদদের দৌড়-ঝাপ, কুরবানির উদ্দেশ্যই হলো হকের দাওয়াত ও পয়গাম বিজয়ী হোক। কিন্তু মানহাজ যদি খারাপ হয়, সফরের রাস্তা যদি ভুল হয়ে যায়, তখন মুসাফির যতই উদ্দীপনা ও ইখলাসের সাথে পথ চলুক, সে কখনও মনযিলে পৌঁছতে পারবে না। (দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদি মানহাজের হেফাযত - উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ)

      Comment


      • #4
        যুদ্ধ তো সবেমাত্র শুরু হলো

        Comment


        • #5
          য়াহয়া সিনওয়ার আর ইযযুদ্দীন কসসামের শাহাদাতের মুহুর্ত কিছুটা মিল আছে। উভয় নেতাই যুদ্ধরত অবস্থায় দুশমনের আঘাতে ফ্রন্টলাইনে শাহাদাত বরন করেছেন। 'মুকবিলান গায়রা মুদবিরিন' = মুখোমুখি অবস্থায়, পৃষ্ঠপ্রদর্শন অবস্থায় না।

          Comment


          • #6
            Originally posted by Sabbir Ahmed View Post
            যুদ্ধ তো সবেমাত্র শুরু হলো
            আল্লাহ আমাদেরকে সেই যুদ্ধে কোন না কোনভাবে অংশগ্রহন করার তাওফিক দান করুন। আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment

            Working...
            X