مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:
قاعدة الجهاد | القيادة العامة
بيان بشأن مخطط تهجير أهلنا الأعزة من غزة
কায়িদাতুল জিহাদ - কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
“আমাদের প্রিয় গাজাবাসীদের
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিবৃতি”
Press Release –
"Statement on the Conspiracy to Forcibly Displace Our Beloved Gaza Residents"
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:
قاعدة الجهاد | القيادة العامة
بيان بشأن مخطط تهجير أهلنا الأعزة من غزة
কায়িদাতুল জিহাদ - কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
“আমাদের প্রিয় গাজাবাসীদের
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিবৃতি”
Press Release –
"Statement on the Conspiracy to Forcibly Displace Our Beloved Gaza Residents"

সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি মু’মিনদের সম্মানিত করেন এবং কাফির ও মুনাফিকদের লাঞ্ছিত করেন। একত্ববাদীদের নেতা ও রাসূলদের সরদার মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর পরিবারবর্গ ও সকল সাহাবীর প্রতি দুরুদ ও সালাম।
হামদ ও সালাতের পর,
আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে শুনেছি যে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বোধ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত ‘ট্রাম্প’ আমাদের প্রিয় গাজাবাসীদের ফিলিস্তিনের বাইরে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার প্রস্তাব দিয়েছে। এটি আসলে সেই পুরনো চক্রান্তেরই পুনর্জাগরণ, যা অতীতে অপরাধী বুশের শাসনামলে নতুন ইভানজেলিক্যাল কনজারভেটিভদের দ্বারা উত্থাপিত হয়েছিল এবং আজকের দিনে ‘চাঁদাবাজ ট্রাম্প’-এর অনুসারীদের দ্বারা পুনরায় উত্থাপিত হচ্ছে। এমনকি উগ্র খ্রিস্টান ও যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদিবাদী রাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবিও বলেছে: “আমি আশাবাদী যে ট্রাম্প বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো বাস্তবায়ন করবে।”
এটাই হল সেই আসল সত্তা, আমেরিকার ইহুদি-খ্রিস্টান জোট, যা কূটনৈতিক প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক দশক ধরে নিজেদের প্রকৃত রূপ আড়াল করে রেখেছিল। আমরা কঠোর ভাষায় এই মার্কিন-ইহুদি ষড়যন্ত্র ও প্রস্তাবগুলোকে নিন্দা জানাই এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে এগুলো প্রতিহত করতে ও ব্যর্থ করে দিতে সমস্ত উপায় ও পন্থা অবলম্বনের আহ্বান জানাই।
এই প্রেক্ষাপটে আমরা সমগ্র মুসলিম জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, বর্তমান ধারাবাহিক ঘটনাবলি ও একের পর এক বিপর্যয় আমাদের উপর আসতে থাকা এক তুষারবলয়ের মতো যা ক্রমাগত জমছে ও গড়িয়ে পড়ছে। এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, মুজাহিদদের পথই সঠিক, যারা তাদের জিহাদ ও অস্ত্রকে সরাসরি আমেরিকার খ্রিস্টান সাম্রাজ্যের মাথা ও এর বিশ্বাসঘাতক হৃদয়ে আঘাত করতে ব্যবহার করেছে। তাদের নীতির অন্যতম ভিত্তি ছিল বৈশ্বিক কুফরের প্রধান নেতৃত্বকে টার্গেট করা, কারণ এটিই হল সেই অপরিহার্য পথ, যা এই অপরাধমূলক নীতিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে—বিশ্বের সকল কাফের পশ্চিমা শক্তি, ইহুদিবাদী রাষ্ট্র এবং সর্বোপরি আমেরিকার বিরুদ্ধে।”
হে আমাদের মুসলিম উম্মাহ! ১১ই সেপ্টেম্বরের গাযওয়াগুলো এই সকল ইহুদি-আমেরিকান ষড়যন্ত্রকে দুই দশকেরও বেশি সময়ের জন্য স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এসময়ে আমেরিকা তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয় বরণ করেছে, আর মুজাহিদগণ যুগের আবু জাহলদের এমন কঠিন শিক্ষা দিয়েছেন, যা ইতিহাস কখনো ভুলবে না। আমাদের অবশ্যই সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে হবে যে, আমাদের উম্মাহ আজ এক সংকটময় সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। এর মূল বার্তা হলো—আমরা থাকব, অথবা থাকব না। আমাদের এটাও বুঝতে হবে যে, আমাদের দখলকৃত মুসলিম ভূমির শাসক নামধারী আরব ও অনারব তাগুতদের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের কুখ্যাত ফিলিস্তিনি জনগণকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেওয়া নিন্দা-বিবৃতি নিছক এক হাস্যকর নাটক ছাড়া কিছুই নয়, যা তারা বারবার উপস্থাপন করে চলেছে। বাস্তবে, তারাই এসব ইহুদি-খ্রিস্টান ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের প্রধান হাতিয়ার। আমরা যেন ভুলে না যাই, যখন ৭ই অক্টোবরের পর আমেরিকান ইহুদি মন্ত্রী ব্লিংকেন ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার ঘোষণা দেয়, তখন তারাই প্রথমে তাকে সমর্থন জানিয়েছিল, বরং আহ্বান করেছিল গাজাবাসীদের সম্পূর্ণ নির্মূল করে দেওয়ার জন্য।
আমেরিকা, আফগানিস্তানে তাদের লজ্জাজনক পরাজয়ের পর এবং সম্প্রতি তাদের দালাল রাষ্ট্র ইসরায়েলের গাজায় পরাজয়ের পর, সম্ভবত এখন তাদের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার ব্যবহার করবে ফিলিস্তিনিদের দেশত্যাগে বাধ্য করতে। এই নোংরা কাজের জন্য তাদের চেয়ে উপযুক্ত আর কে আছে, যাদের তারা বহু যুদ্ধে প্রশিক্ষিত ও পরীক্ষিত করেছে মুসলমানদের হত্যা ও নিপীড়ন চালানোর মাধ্যমে?
এই ভাড়াটে বাহিনীর প্রথম কাজ হবে মুজাহিদদের নিরস্ত্র করা। এই ঘৃণ্য কাজে প্রথম সারিতে থাকবে আমিরাতের ভাড়াটে বাহিনী, যারা ইয়েমেন, সুদান ও সোমালিয়ায় অগণিত অপরাধ সংঘটিত করেছে। এরপর রয়েছে লিবিয়ার কসাই খলিফা হাফতারের ভাড়াটেরা। এরপর মিসরের ফারাও সিসির ভাড়াটেরা। আর এরপর রয়েছে এরদোগানের ভাড়াটে বাহিনী, যারা সোমালিয়া, মালি, বুর্কিনা ফাসো ও নাইজারে এখনো মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উপর বোমাবর্ষণ করে চলেছে।
কিন্তু এই বিশ্বাসঘাতকতাগুলোর জন্য দায়ী আর কে থাকতে পারে, যদি না হয় কাতারের ভাড়াটে বাহিনী, যারা আল-উদেইদ ঘাঁটিতে প্রশিক্ষিত হয়েছে? এই ঘাঁটিই হলো সেই কেন্দ্র, যেখান থেকে উড়োজাহাজগুলো আমাদের গাজা ও সিরিয়ার মুসলিম ভাইদের ওপর বোমা বর্ষণ করে, আর তার আগেও ইরাক ও আফগানিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
শরিয়ত ও বিবেক আমাদের উপর যে ইসলামি সমাধান ফরজ করেছে এই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলায়, তা হলো—আমাদের মুসলিম জাতির বুকে চেপে বসা এই তাগুতদের পতন ঘটানো। তারা আমেরিকার হাতিয়ার ও এ অঞ্চলে তাদের দালাল। আর এই মহৎ লক্ষ্যে পৌঁছানোর দ্রুততম উপায় হলো আমাদের ভূমিতে ছড়িয়ে থাকা আমেরিকা, ইহুদিবাদী ও পশ্চিমা ক্রুসেডারদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করা, যেমন—সামরিক ঘাঁটি, অর্থনৈতিক স্বার্থ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কূটনৈতিক সংস্থাগুলো এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বিশেষভাবে, আমরা তেল ও গ্যাসের পাইপলাইনের ওপর হামলার জন্য উৎসাহিত করি, যেগুলো চাঁদাবাজ দস্যু ‘ট্রাম্প’ লুট করে ‘ইবন সালমান’, ‘ইবন তামিম’ ও ‘ইবন জায়েদ’—এই শত্রুদের কাছ থেকে কর আদায়ের জন্য। আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন! আমরা এই সম্পদ সংরক্ষণ করব, যাতে আমাদের মুসলিম উম্মাহ একদিন এর প্রকৃত উপকার নিতে পারে।
জ্ঞান ও ঈমানের অধিকারী, যারা দ্বীন ও আমাদের সম্মানিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহায্যের দায়িত্ব বহন করেন, তাদের উচিত অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া। তারা যেন অন্যায়কারী শাসকদের প্রতি সমর্থন বা তাদের অন্যায়ের বৈধতা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন এবং উম্মতকে সুস্পষ্টভাবে বোঝান যে জালিম শাসকেরাই মূল সমস্যা, যাদের থেকে মুক্তি পাওয়া অপরিহার্য। এই বাস্তবতা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য নয়, বরং সমগ্র মুসলিম বিশ্ব জুড়ে বিদ্যমান—আঙ্কারা থেকে রাবাত, ইসলামাবাদ থেকে মোগাদিশু, আবু ধাবি, দোহা, কায়রো, রিয়াদ, আলজিয়ার্স, ওমান, রামাল্লাহ এবং অন্যান্য দখলকৃত মুসলিম ভূখণ্ড পর্যন্ত।
এছাড়াও, উম্মতের যুবকদের উচিত নিজেদের পূর্বসূরীদের গৌরবময় ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া—যারা গত দুই দশকে ইরাক ও আফগানিস্তানে অত্যাচারীদের পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছিল। সুতরাং, তাদের ইসলামী ভূমিগুলোর বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করা উচিত—আত্মরক্ষা শেখা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং উম্মতের সম্মান পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখা। তাদের সচেতন থাকতে হবে, যাতে তারা ইহুদি-খ্রিস্টান সম্প্রসারণ প্রকল্পকে বাধাগ্রস্ত বা অচল করে দিতে পারে। কারণ এই ষড়যন্ত্র শুধু নির্দিষ্ট কিছু ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, যা বৃহত্তর ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা এবং বিকৃত তাওরাতের ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবায়ন করতে চায়।
পশ্চিমা দেশসমূহ, বিশেষ করে আমেরিকায় বসবাসকারী মুসলিম যুবকদের উপলব্ধি করা উচিত যে, তারা যেন বোঝে যে, তারা শত্রুদের বুকে ঢুকে পড়া ইসলামের অগ্রভাগের বর্শা। তাদের উচিত ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেওয়া এবং তাদের পূর্বসূরীদের আদর্শ অনুসরণ করা, যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে ইসলামের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আমেরিকান কর্মকর্তা মালিক নিদাল, ভাই সাঈদ ও শরীফ কোয়াশি, সৌদি পাইলট মুহাম্মদ আশ-শামরানি এবং আরও অনেক বীর সন্তান, যাদের জন্য আমরা দোয়া করি।
গাজার জনগণ,
আপনারা আমাদের ধৈর্য, দৃঢ়তা এবং প্রতিরোধের প্রকৃত অর্থ শিখিয়েছেন। আল্লাহর সাহায্যে আপনাদের সংগ্রাম চালিয়ে যান এবং আপনাদের ভূমিতে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করুন। গোটা উম্মতের ওপর আপনাদের প্রতি একটি দায়িত্ব রয়েছে, যা একদিন অবশ্যই পূরণ করা হবে, ইনশাআল্লাহ। মুসলিম উম্মত কেবল তখনই এর কিছু অংশ পরিশোধ করতে পারবে, যখন তারা নিজেদের জান ও সন্তানদের উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হবে, যাতে পবিত্র ভূমি রক্ষা পায়, বিশেষ করে আসন্ন রমাদান মাসে, যা বিজয় ও সাফল্যের মাস।
আমরা যারা সংগ্রামে রয়েছি, তারা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের উদ্দেশে সেই কথাই বলছি, যা ইমাম উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:
“রক্তের বদলা রক্ত, ধ্বংসের বদলা ধ্বংস। আমরা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমরা তোমাদের কখনোই একা রেখে যাব না, যতক্ষণ না বিজয় অর্জিত হয়, অথবা আমরা শহীদদের পথ অনুসরণ করি।”