Announcement

Collapse
No announcement yet.

Bengali Translation || নতুন শাসকদের প্রতি খোলা চিঠি… আজকের দিন কতই না সাদৃশ্যপূর্ণ গতকালের সঙ্গে! সিরিয়া যেন দাঁড়িয়ে লিবিয়ার মোড়ে… || শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল-লিবী (রহিমাহুল্লাহ)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Bengali Translation || নতুন শাসকদের প্রতি খোলা চিঠি… আজকের দিন কতই না সাদৃশ্যপূর্ণ গতকালের সঙ্গে! সিরিয়া যেন দাঁড়িয়ে লিবিয়ার মোড়ে… || শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল-লিবী (রহিমাহুল্লাহ)


    مؤسسة النصر
    আন নাসর মিডিয়া
    An Nasr Media
    تـُــقدم
    পরিবেশিত
    Presents
    الترجمة البنغالية
    বাংলা অনুবাদ
    Bengali Translation
    بعنوان:
    শিরোনাম:
    Titled:

    ما أشبه اليوم بالأمس!
    سوريا على مفترق طريق ليبيا
    নতুন শাসকদের প্রতি খোলা চিঠি…
    আজকের দিন কতই না সাদৃশ্যপূর্ণ গতকালের সঙ্গে!
    সিরিয়া যেন দাঁড়িয়ে লিবিয়ার মোড়ে…
    "An Open Letter to the New Rulers...
    How similar today is to yesterday!
    Syria now stands at the crossroads of Libya..."

    العالم الرباني الشهيد عطية الله الليبي – رحمه الله
    শহীদ আলিমে রাব্বানি
    শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল-লিবী (রহিমাহুল্লাহ)
    "The Martyred, God-conscious Scholar
    Shaykh Atiyyatullah al-Libi (may Allah have mercy on him)"


    للقرائة المباشرة والتحميل
    সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
    For Direct Reading and Downloading






    روابط بي دي اب
    PDF (617 KB)
    পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৬১৭ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/2oQAXabK#gIndQT7GrftEZSc3jBAi8IZhVP8LCqvvNDsxFlsOb 1g
    https://secure.eu.internxt.com/d/sh/file/6bfe7084-5bc2-41da-98f5-9c300b9f82bd/496551483e164ae6eecf2284b9cf4ca7a202ad5a3ca92e5793 97377cfeace5b7


    روابط ورد
    Word (394 KB)
    ওয়ার্ড [৩৯৪ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/LgZniIpY#gGyAtnZJqmwqOhJg_PYC7iD0nImF0v9K9sL1LGiG_ Q0
    https://secure.internxt.com/d/sh/file/b469be2a-7afe-4912-9506-ad9c7ac3f5b3/68fd51d898ebeda6d2d2e7d7498a6f93dc7755ce9fe27bfd71 2704b09f09789e


    روابط الغلاف- ١
    book Cover [841 KB]
    বুক কভার ডাউনলোড করুন [৮৪১ কিলোবাইট]







    https://secure.eu.internxt.com/d/sh/file/6a58bfc6-abbd-49d5-acaa-7af3530a16e7/22d0dcfe5ecea533fb20bb79c83a19cabd9dda6fa67add2830 4ae3c205a0f2a7


    روابط الغلاف- ٢
    Banner [390 KB]
    ব্যানার ডাউনলোড করুন [৩৯০ কিলোবাইট]







    https://secure.internxt.com/d/sh/file/2e2bc80d-0c92-4da9-94c0-3d48c0f3b2c9/979183c28525ad35e7d441dd75cb4daa3377bc9c7aa96ff717 7e2f51bcbdd267


    *****

    بسم الله الرحمن الرحيم
    الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه ومن والاه،
    أما بعد؛

    আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময়, অশেষ দয়ালু। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, দরূদ ও সালাম তাঁর রাসূল, তাঁর পরিবার, সাহাবাগণ ও অনুসারীদের ওপর। অতঃপর— আল্লাহ তাআলার কিতাব ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ-য় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, তিনি কোনো জাতি বা রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেন তখনই, যখন তারা জুলুম ও অবিচারে লিপ্ত হয়। যেসব জাতি ন্যায়পরায়ণ, যারা নিজেদেরকে ও সমাজকে সংশোধনে আত্মনিয়োগ করে, আল্লাহ তাদের ধ্বংস করেন না। আল-কুরআনে বিভিন্ন জায়গায় এ বার্তা দেয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন—
    وَمَا كَانَ رَبُّكَ مُهْلِكَ الْقُرَىٰ حَتَّىٰ يَبْعَثَ فِي أُمِّهَا رَسُولًا يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِنَا ۚ وَمَا كُنَّا مُهْلِكِي الْقُرَىٰ إِلَّا وَأَهْلُهَا ظَالِمُونَ

    “আপনার পালনকর্তা জনপদসমূহকে ধ্বংস করেন না, যে পর্যন্ত তার কেন্দ্রস্থলে রসূল প্রেরণ না করেন, যিনি তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করেন এবং আমি জনপদসমূহকে তখনই ধ্বংস করি, যখন তার বাসিন্দারা জুলুম করে।” (সূরা আল কাসাস ২৮:৫৯)
    আল্লাহ তাআলা আরও বলেন—

    وَتِلْكَ الْقُرَىٰ أَهْلَكْنَاهُمْ لَمَّا ظَلَمُوا وَجَعَلْنَا لِمَهْلِكِهِم مَّوْعِدًا

    “এসব জনপদ ও তাদেরকে আমি ধংস করে দিয়েছি, যখন তারা জালেম হয়ে গিয়েছিল এবং আমি তাদের ধ্বংসের জন্যে একটি প্রতিশ্রুত সময় নির্দিষ্ট করেছিলাম।” (সূরা কা’হফ ১৮:৫৯) অর্থাৎ আল্লাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি কোনো জনপদকে ধ্বংস করেন না, যদি তারা নেক ও সংশোধনকারী হয়ে থাকে। ধ্বংস আসে তখনই, যখন তারা অন্যায়-অবিচার ও জুলুমে ডুবে যায়। আবার অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,
    وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَىٰ آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَلَٰكِن كَذَّبُوا فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ

    “আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেযগারী অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানী ও পার্থিব নেয়ামত সমূহ উম্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি তাদের কৃতকর্মের বদলাতে।” (সূরা আল-আ’রাফ ৭:৯৬) এখানে 'জনপদ' বলতে যা বোঝানো হয়েছে, তা হলো কুরআনিক পরিভাষায় কোনো জাতি বা রাষ্ট্র —আজকের দিনে যাকে আমরা “রাষ্ট্র” বা “দেশ” বলি। আল্লামা আবদুল হামিদ ইবনু বাদিস (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর তাফসীরে এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন। অতএব, কুরআনে ‘ক্বারিয়া’ বা ‘জনপদ’ বলতে বোঝানো হয়েছে এমন জাতিসমূহ, যাদের ওপর আল্লাহর বিধান কার্যকর হয়। কুরআনের প্রমাণসমূহ একেবারে স্পষ্ট—এই অর্থটি কুরআনে সুপ্রতিষ্ঠিত ও বহুবার পুনরাবৃত্ত হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা যখন কোনো জনপদ, কোনো রাষ্ট্র বা জাতি—যা মানবসমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশ, যাদের জমিনে প্রভাব, কর্তৃত্ব ও শক্তি রয়েছে —তাদেরকে যদি আল্লাহর আনুগত্যে সক্রিয়, সৎ ও সংশোধনকারী হিসেবে পাওয়া যায়, তখন আল্লাহ তাদের প্রতিষ্ঠিত রাখেন, তাদের অস্তিত্ব দীর্ঘস্থায়ী করেন, হেফাজত করেন এবং তাদের ওপর আকাশ ও জমিন থেকে বরকত প্রেরণ করেন। অন্যদিকে, যদি সে জাতি আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়, অত্যাচারী ও অবাধ্য হয়—যেমন সূরা নাহলের আয়াতে বলা হয়েছে:
    وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا قَرْيَةً كَانَتْ آمِنَةً مُّطْمَئِنَّةً يَأْتِيهَا رِزْقُهَا رَغَدًا مِّن كُلِّ مَكَانٍ فَكَفَرَتْ بِأَنْعُمِ اللَّهِ فَأَذَاقَهَا اللَّهُ لِبَاسَ الْجُوعِ وَالْخَوْفِ بِمَا كَانُوا يَصْنَعُونَ

    “আল্লাহ দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন একটি জনপদের, যা ছিল নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত, তথায় প্রত্যেক জায়গা থেকে আসত প্রচুর জীবনোপকরণ। অতঃপর তারা আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। তখন আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের কারণে স্বাদ আস্বাদন করালেন, ক্ষুধা ও ভীতির।” (সূরা আন্-নাহল ১৬:১১২) অর্থাৎ যখন তারা আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি কুফর করে, অহংকারে আত্মমগ্ন হয় এবং জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে, আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে দেয়, তখন আল্লাহ বলেন: وَإِذَا أَرَدْنَا أَن نُّهْلِكَ قَرْيَةً أَمَرْنَا مُتْرَفِيهَا فَفَسَقُوا فِيهَا فَحَقَّ عَلَيْهَا الْقَوْلُ فَدَمَّرْنَاهَا تَدْمِيرًا “যখন আমি কোন জনপদকে ধ্বংস করার ইচ্ছা করি তখন তার অবস্থাপন্ন লোকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করি অতঃপর তারা পাপাচারে মেতে উঠে। তখন সে জনগোষ্টীর উপর আদেশ অবধারিত হয়ে যায়। অতঃপর আমি তাকে উঠিয়ে আছাড় দেই।” (সূরা আল-ইসরা ১৭:১৬) সুতরাং যে-ই হোন না কেন, যে পরিমাণ শক্তিশালীই হোক না কেন—আল্লাহর আজ্ঞার সামনে কেউ টিকতে পারে না। আল্লাহ বলেন:

    وَلَقَدْ أَهْلَكْنَا الْقُرُونَ مِن قَبْلِكُمْ

    “আমি তো তোমাদের পূর্ববর্তী বহু জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি।” (সূরা ইউনুস ১০:১৩) অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা ওই জাতির লোকদেরকে ধ্বংস করেছেন।

    أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّنَ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لَا يَرْجِعُونَ

    “ তারা কি প্রত্যক্ষ করে না, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে, তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না।” (সূরা ইয়া-সীন ৩৬:৩১) সুতরাং আমাদের শক্তি যতই হোক, আজকের আধুনিক রাষ্ট্রসমূহ যতই উন্নত হোক না কেন, আল্লাহ অতীতের মহান শক্তিধর জাতিগুলোর উদাহরণ দিয়ে সতর্ক করেছেন, যাদের তিনি ধ্বংস করে দিয়েছেন। আল্লাহ ‘কুন’ বললেই যা তিনি চান তা হয়ে যায়। তিনি এমন সর্বশক্তিমান যাঁর কোনো আদেশ বাধাপ্রাপ্ত হয় না, যাঁকে কেউ পরাজিত করতে পারে না এবং তাঁর ক্ষমতা ও জ্ঞানের সীমার বাইরে কিছুই নেই। কুরআনে এই বাস্তবতা অত্যন্ত স্পষ্ট ও নিখুঁতভাবে বর্ণিত হয়েছে। রাষ্ট্র ও জনপদের অস্তিত্ব টিকে থাকে, সংরক্ষিত হয়, স্থিতিশীল হয় শুধুমাত্র ন্যায়নিষ্ঠা, আল্লাহর আনুগত্য এবং নবীদের অনুসরণের মাধ্যমে। আর যখন একটি জাতি আল্লাহর অবাধ্যতা করে, তাঁর রাসূলদের বিরুদ্ধাচরণ করে, আল্লাহর শরিয়াহ ও আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং যখন তারা জুলুমে লিপ্ত হয়—তখন আল্লাহ সেই জাতিকে ধ্বংস করেন, নিশ্চিহ্ন করে দেন, তাদের পরিবর্তে অন্য কোনো জাতিকে স্থলাভিষিক্ত করেন। এই কারণেই আমাদের ওলামায়ে কেরাম—যেমন ইবনে খালদুন তার ‘মুকাদ্দিমা’ গ্রন্থে—এই বিষয়ে একটি শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন: “’জুলুম’ মানবসভ্যতা বিনাশের আলামত ও ধ্বংসের কারণ।” এখানে (আরবি শব্দ) “উমরান” বলতে মূলত একটি রাষ্ট্রের কথাই বোঝানো হয়েছে—মানব সভ্যতা ও সামাজিক কাঠামোর পূর্ণতা যার সর্বোচ্চ রূপ হলো রাষ্ট্রব্যবস্থা। এটা একেবারেই স্পষ্ট। তবে অনেক সময় মানুষ প্রশ্ন করে: তাহলে আমেরিকার মতো রাষ্ট্র—যেখানে জুলুম, অত্যাচার, দম্ভ, অহংকার, অবাধ্যতা, নৈতিক বিচ্যুতি, আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বিদ্রোহ এবং নবীদের অস্বীকৃতির মতো গর্হিত কাজগুলো চরম আকারে বিরাজমান—তবুও কেন তারা এখনো পৃথিবীতে প্রভাবশালী? কেন তারা এখনও বিশ্বের অন্যান্য জাতিগুলোকে শোষণ করছে, নির্যাতন করছে, আর তাদের আধিপত্য অটুট রয়েছে? এটা নিঃসন্দেহে একটি প্রশ্ন, তবে ইনশা আল্লাহ এটার জবাব খুব সহজ। প্রথমত, আল্লাহ যখন কাউকে ধ্বংস করার কথা বলেন, তারমানে এই নয় যে, সাথে সাথেই তাদের ধ্বংস করে দেন। আল্লাহ কখনো কখনো তাদেরকে কিছুটা সময় দেন, ধীরে ধীরে তাদেরকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যান, সুযোগ দেন, ছাড় দেন। আর এই সময় দেওয়ার মধ্যেও রয়েছে এক বিস্ময়কর হিকমত ও গাঢ় প্রজ্ঞা। আল্লাহর পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমাণ এবং পরিপূর্ণ হিকমত রয়েছে এতে। আল্লাহ তাদেরকে মানুষের জন্য এক পরীক্ষা বানান, এবং তাদের প্রতি সর্বোচ্চ মাত্রায় অজুহাত প্রতিষ্ঠা করে দেন—যাতে তারা আর কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে না পারে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও মহান গুণাবলির প্রকাশ ঘটে। তিনি তাদের অবকাশ দেন, সময় দেন, সুযোগ দেন, বয়স দেন, আয়ু বাড়ান—যাতে তারা ফিরে আসে, তাওবা করে, সোজা পথে ফিরে আসে। এর মধ্যে আরও একটি বিষয় হলো—আল্লাহ তাদের বংশধারা থেকে এমন কাউকে বের করে আনেন, যে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করে, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করে না এবং তাঁর রাসুলদের অনুসরণ করে। আর যেভাবে আমরা আগেও বলেছি—আল্লাহ তাদেরকে পরীক্ষা হিসেবে পাঠান, আবার তাদের মাধ্যমেও মুসলিমদের পরীক্ষা করেন। যেমন—আজকের দিনে আমেরিকানদেরকে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি আমাদের—ইসলামী উম্মাহর—জন্য একটি পরীক্ষা। আবার তাদের জন্যও এটি একটি পরীক্ষা, একটি বাড়তি সুযোগ, একটি বাড়তি সময় এবং আরও বড় হুজ্জত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র। আরও একটি দিক হলো, আল্লাহ যখন তাদেরকে কিছু সময়ের জন্য টিকিয়ে রাখেন, তখন এর মাধ্যমে মানুষদের জন্য শিক্ষা, নিদর্শন, উপদেশ এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার দরজা খুলে দেন। মানুষ যেন তাদের অবস্থা দেখে শিক্ষা নেয়। তিনি তাদেরকে মানুষের জন্য এক নিদর্শন ও উপমা বানিয়ে দেন। সুতরাং, এর মধ্যে বহু হিকমত রয়েছে। আল্লাহ কাউকে ধ্বংস করেন মানেই এই নয় যে, এক মুহূর্তেই সব শেষ করে দেন। বরং তিনি একটু সময় দেন, সামান্য সুযোগ দেন। তবে তাদের পরিণাম ধ্বংস—এইটাই অবশ্যম্ভাবী। কিছু সময় পর হলেও, শেষ পরিণতিতে ধ্বংসই তাদের জন্য নির্ধারিত। অর্থাৎ এখন যখন আমরা আমেরিকার কথা বলি—আমেরিকা বলতে আমরা কী বুঝি? আমেরিকা এখন তার ভোগবিলাসে অন্ধ হয়েছে, আল্লাহর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা তো দূরের কথা, সে তা অস্বীকার করে বসেছে। সে কি জুলুম করে না? হ্যাঁ, সে নিঃসন্দেহে এক জালিম রাষ্ট্র। কুরআনে আল্লাহ যেসব কারণ উল্লেখ করেছেন, যার ফলে পূর্ববর্তী জাতি, নগর ও রাজ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে—এই সকল ধ্বংসের উপাদানই আজ আমেরিকার মধ্যে বিদ্যমান। সুতরাং আমেরিকার পতন অতি সন্নিকটে। আমাদের এ বিশ্বাস রাখা উচিত, কারণ প্রমাণ-তথ্য সেদিকেই ইঙ্গিত করে। তবে এর ক্ষণস্থায়ী অস্তিত্ব—যা এখনো অবশিষ্ট—তা মূলত আল্লাহর হিকমতের অংশ। তিনি আমাদেরকে এদের বিরুদ্ধে জিহাদের নির্দেশ দিয়ে পরীক্ষা নিতে চান; দেখতে চান, কে দাঁড়ায়, আর কে পেছনে থাকে। কিন্তু এটুকু নিশ্চিত, আমেরিকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবেই। এই ধ্বংসের সকল কারণ আজ সেখানে বিরাজমান। এমনকি তাদের কিছু চিন্তাশীল ব্যক্তি ও বুদ্ধিজীবীরাও এ সম্পর্কে বহু আগেই সতর্ক করেছেন—তিন দশক, দুই দশক আগেই তারা লেখালেখি করেছেন। তাঁরা লিখেছেন—আমেরিকার পতন অবশ্যম্ভাবী, তার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই লেখাগুলি শুধু মুসলিম চিন্তাবিদরা নয়, আমেরিকান চিন্তাবিদ ও গবেষকরাও রচনা করেছেন। অর্থাৎ আমেরিকা পতনের পথে, এখন শুধু কিছুটা ধৈর্যের প্রয়োজন। খুব বেশি সময় নয়; সামান্য ধৈর্য, কারণ আমেরিকার পতন অবশ্যম্ভাবী। আল্লাহ আমাদের দিয়ে তাদেরকে পরীক্ষা করছেন, তাদের দিয়েও আমাদেরকে। যেমন আল্লাহ বলেছেন:

    ذَٰلِكَ وَلَوْ يَشَاءُ اللَّهُ لَانتَصَرَ مِنْهُمْ وَلَٰكِن لِّيَبْلُوَ بَعْضَكُم بِبَعْضٍ

    অর্থ: আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। (সূরা মুহাম্মদ ৪৭:৪) এভাবে দেখলে সব কুফরি রাষ্ট্রের অবস্থা প্রায় এক। এমনকি যারা নামধারী মুসলিম রাষ্ট্র, তারাও নানা মাত্রায় ধ্বংসের উপাদান বহন করছে। তাই কেউ যদি প্রশ্ন করে—এই যে আমেরিকায় অর্থনৈতিক সংকট চলছে বা অতীতে চলেছে, কিংবা সামনে কোনো নতুন সংকট আসবে কি না, যা আমেরিকাকে কাঁপিয়ে দেবে—তার ভিত্তি কাঁপিয়ে দেবে, তাহলে এর উত্তর একটাই... আমি অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ নই, এ কথা তো স্পষ্ট। তবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে যা জ্ঞান দান করেছেন, সেই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই বলছি—এই যে সমাজবিজ্ঞানের মূলনীতি, যা কুরআন ও সুন্নাহ থেকে আমরা শিখেছি, সেটিই আমাদের মুসলমানদের একটি বড় সম্পদ। ইসলামী উম্মাহর হাতে রয়েছে অসংখ্য জ্ঞান ভান্ডার—যা অমুসলিমদের জন্য একপ্রকার অধরা, তারা এসবের নাগালই পায় না। তারা গবেষণা করে, অনুসন্ধান চালায়, গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলে, শত শত বছর ব্যয় করে তবেই কোনো একটিমাত্র ক্ষুদ্র ফলাফলে পৌঁছতে পারে। অথচ আমরা বহু আগেই এসব বিষয় বুঝে ফেলেছি, এগিয়ে গেছি। আমাদের শিশুরা, আমাদের নবীন প্রজন্ম—তারা যখন প্রাথমিক পড়াশোনায় প্রবেশ করে, কুরআনের কিছু অংশ পড়ে, তখনই জেনে যায়—যে জাতি জুলুমে ডুবে যায়, সে জাতি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। এ সত্য উপলব্ধি করতে কাফেরদের শত শত বছর লেগে যায়—কারণ তারা কুরআনে বিশ্বাস করে না, আল্লাহর বাণী মেনে চলে না। এই জন্যই তো ইসলামী উম্মাহ—এই মহৎ জাতি—এমন সব উপকারী বিশ্বাস, কার্যকর জ্ঞান, গভীর ধারণা এবং সুচিন্তিত মতামত লালন করে, যা অন্য জাতিদের মধ্যে দুর্লভ। অন্য জাতিগুলো যেসব সহজ সত্যে পৌঁছাতে শত চেষ্টায় ক্লান্ত হয়ে পড়ে, আমরা ততক্ষণে সেই সত্যকে বহু আগেই বুঝে ফেলি, এমনকি সেই অধ্যায় পেরিয়ে নতুন পথে অগ্রসর হই। আমাদের প্রাজ্ঞ আলেমগণ এই কথাটি বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়াহ (রহিমাহুল্লাহ) এ বিষয়ে চমৎকার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ইসলামী উম্মাহ অল্প সময়েই এত উপকারী জ্ঞান, সঠিক অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা অর্জন করে, যা অন্য জাতিগুলোর শত শত বছরেও অর্জন সম্ভব হয় না। এই কথাটি একেবারেই সুস্পষ্ট। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের এমন এক উপলব্ধি দান করেছেন যে, সম্প্রতি যেই অর্থনৈতিক সংকটটি বিশ্ব অতিক্রম করেছে—তা হয়তো অনেকের ওপর ভয়াবহভাবে আঘাত হানতে পারত, যদিও কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে আমাদের ধারণা ও বিশ্বাস—আল্লাহই অধিক জানেন— অর্থনৈতিক এই উত্তরণ আসলে সাময়িক। এমনকি তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও, আর অন্যান্য জাতির মুসলিম ও অমুসলিম বিশেষজ্ঞরাও একমত যে, এই উন্নতি দীর্ঘস্থায়ী নয়। তাদের মতে, এটি কেবল এক সাময়িক স্বস্তি; এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে—বা তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে, অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে—একটি নতুন ও ভয়ংকর অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা প্রবল। এটি কেবল আমেরিকাকে নয়, বরং অন্যান্য পশ্চিমা পরাশক্তি এবং তাদের অনুসারী ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলোকেও নাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু আমরা যে কথাটি বলতে চাই, তা হলো—আমাদের ধারণামতে —আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী—আমেরিকার পতন হবে ইসলামী উম্মাহর সংগ্রামের পথ ধরে। কারণ, আমেরিকা যখন ইসলামী উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে, তখন থেকেই তাদের অবক্ষয় ও পতনের ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে। এ পতন শুধুই অনুভবযোগ্য নয়, বরং বাস্তবিকভাবেই শুরু হয়েছে। কারণ আমেরিকার যুদ্ধ কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী—যেমন আল-কায়েদা, কোনো জিহাদী দল, বা মুসলিম সমাজের কোনো জিহাদপন্থী শ্রেণির বিপক্ষে নয়। এটি কেবল কিছু ব্যক্তি বা হাজারখানেক মুজাহিদের বিরুদ্ধে সীমাবদ্ধ নয়। বরং আমেরিকার যুদ্ধ পুরো উম্মতে ইসলাম, ইসলামী সভ্যতা, ইসলাম ধর্ম ও তার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক কাঠামোর বিরুদ্ধে। এটি এমন এক বৃহৎ মানবগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ, যাদের একমাত্র বন্ধন হলো ইসলাম এবং যাদের সম্মিলিত শক্তি এক অপ্রতিরোধ্য বলয়। আজ আমেরিকা সরাসরি মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত—এ এক প্রকৃত ও বাস্তব যুদ্ধ। মুজাহিদ হিসেবে, কিংবা আল-কায়েদা কিংবা অন্য কোনো সংগঠন হিসেবে আমাদের পরিচয় হচ্ছে, আমরা মূলত উম্মাহর অগ্রদূত, তার অগ্রভাগ, তার তীক্ষ্ণ শাণিত বর্শার ফলা। এটাই طليعة বা অগ্রপথিকের অর্থ। আমরা উম্মাহর মুজাহিদ অংশের নেতৃত্বদানকারী—কিন্তু পুরো উম্মাহই তো মুজাহিদ। এই লক্ষ লক্ষ মানুষ যারা মুজাহিদদের পাশে রয়েছেন, তাঁরাই আসল শক্তি। তাঁরাই সহায়তা, তাঁরাই মুজাহিদদের অবলম্বন, ছায়া ও শক্তি। আমরা অগ্রসৈনিক হিসেবে কখনোই জিহাদ করতে পারতাম না, যদি না এই উম্মাহ আমাদের পেছনে থাকত। বলুন তো, ঠিক কিনা? ধরুন মিসর—যেখানে প্রায় আশি বা পঁচাশি মিলিয়ন মানুষ বসবাস করেন; কমপক্ষে অর্ধেক তো মুজাহিদদের ভালোবাসে, ভালোবাসে উসামা বিন লাদেন, আইমান আয-যাওয়াহিরি এবং তাঁদের সাথিদের। সত্যি না? শুধু আরব বিশ্বেই যদি ধরি, যেখানে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ মিলিয়ন মানুষ আছেন, তাঁদেরও অন্তত অর্ধেক মুজাহিদদের সমর্থক। বরং আমাদের সরল বিশ্লেষণে মনে হয়, এর চেয়েও বেশি মানুষ মুজাহিদদের পক্ষে। হ্যাঁ, কেউ কেউ বলতেই পারে—”আমি চাই না লাদেন সৌদি আরবে ঢুকুক, চাই না আল-কায়েদা সেখানে হামলা করুক বা মুসলমানদের হত্যা করুক।” কেউ কেউ নির্দিষ্ট ঘটনার নিন্দাও করতে পারে। কিন্তু তারা বলে—”তবুও আমি তাঁদের সঙ্গে, আল্লাহ তাঁদের উত্তম প্রতিদান দিন, কারণ তারা জিহাদ করছে আল্লাহর পথে। তারা আমেরিকাকে আঘাত করছে, ইসরাইলকেও আঘাত করেছে এবং ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আরও করবে।” এটাই সাধারণ জনগণের বক্তব্য। মুসলিম বিশ্ব জুড়ে, আরব হোক বা আজমি—গণমানুষের হৃদয় লাদেনের সঙ্গে, মুজাহিদদের সঙ্গে, আল-কায়েদার সঙ্গে। এমনকি যারা সমালোচনা করে, তারাও আসলে কিছু বিষয়েই দ্বিমত পোষণ করে। মূলত তারা জানে—এই লোকগুলো মুসলমান, আল্লাহর রাহে লড়ছে। সুতরাং তাদের সমর্থন করে, এমনকি যদি কিছু বিষয় তাদের পছন্দ না-ও হয়, তারা সংশোধনের কথা বলে, দোয়া করে, সৎ উপদেশ দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা বলে—”তারা আমাদের ভাই, আমরা তাদের সঙ্গে আছি।” বলুন তো, এটা সত্য নয়? তাই উম্মাহ হলো সেই ভিত্তি যার ওপর মুজাহিদগণ দাঁড়িয়ে। মুজাহিদরা উম্মাহ ছাড়া জিহাদ করতে পারত না। এটাই ‘তালিয়া’-এর আসল অর্থ। আমরা উম্মাহর অগ্রদূত, সেই শাণিত বর্শার ফলা। আমরা পুরো উম্মাহর বিকল্প নই; আমরা উম্মাহর অংশ—আমরা উম্মাহকে বিভক্তকারী সত্তা নই। বরং আমরা সেই অগ্রদল যারা উম্মাহর প্রতিনিধিত্ব করে, আল্লাহর পর উম্মাহ-ই আমাদের শক্তি ও অবলম্বন। আলহামদুলিল্লাহ, জিহাদি ঢেউ, জিহাদি চিন্তাধারা, জিহাদের প্রতি বিশ্বাস ও প্রত্যয়—এগুলো দিন দিন বাড়ছে, ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই এর প্রসার ঘটছে। আমেরিকা এই উম্মাহর বিরুদ্ধে এক সুদীর্ঘ যুদ্ধের মধ্যে লিপ্ত। যদিও তারা বারবার বলে থাকে—বিশেষ করে আমেরিকান নেতারা, যেমন বুশের পর ওবামা, তারপর অন্যরাও—তারা সবসময় এই কথাটি জোর দিয়ে বলে, “আমরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি না, ইসলাম আমাদের শত্রু নয়। আমরা কেবল সেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়ছি, যারা ধর্মকে সন্ত্রাসের হাতিয়ার বানিয়েছে।” তারা বারবার এই বক্তব্য ছড়াতে চায়, এটাকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের উম্মাহর মধ্যেই কিছু মানুষ আছেন, যারা এসব কথায় বিশ্বাস করে। তারা হয় অজ্ঞ, না হয় এমনসব ব্যক্তি যাদের অন্তরে আল্লাহর পক্ষ থেকে মোহর মারা হয়েছে—এই উম্মাহর মুনাফিক, দুর্নীতিগ্রস্ত, পাপিষ্ঠ ও ফাসিকদের দল তারা। এমন মানুষ সব জাতিতেই থাকে, আমাদের মধ্যেও আছে—এটাই বাস্তবতা, তাই না? কিন্তু আমাদের উম্মাহর বৃহৎ জনগোষ্ঠী, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই কথায় বিশ্বাস করে না। তারা জানে—আমেরিকা একটি কাফির রাষ্ট্র, যারা খ্রিস্টান, ইহুদি, নিও-জায়োনিস্ট, ধর্মনিরপেক্ষ এবং নৈতিকভাবে দেউলিয়া। তারা দখলদার, আগ্রাসী, জুলুমকারী। তারা আমাদের বিভিন্ন ভূখণ্ডে আক্রমণ চালাচ্ছে। তারাই তো ফিলিস্তিনে ইহুদিদের সমর্থন দেয়, আমাদের দেশে জালিম ও তাগুত শাসকদের রক্ষা করে। তারা একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে। আমাদের উম্মাহর সাধারণ মানুষ—ছোট-বড়, নারী-পুরুষ—প্রায় সবাই এই বাস্তবতা জানে এবং এর ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। এই সচেতনতা এখন অধিকাংশ মুসলিমের অন্তরে গেঁথে গেছে। কিছু মানুষ, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে কিছু ব্যক্তি, এমনও আছেন যারা এই অন্তর্দাহকে বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হন। মানে, তারা শুধু বিশ্বাসে সীমাবদ্ধ থাকেন না—বরং তা কাজে পরিণত করেন। উদাহরণস্বরূপ, কেউ কেউ জিহাদের কাফেলায় যোগ দেন, মুজাহিদ হন। কিন্তু এরা সংখ্যায় খুব কম—যাদের বুকে অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকে, একটি বিপ্লবী মানসিকতা থাকে, ধৈর্য ও দৃঢ় বিশ্বাস থাকে। সাধারণত এদের বেশিরভাগই তরুণ সমাজ থেকে আসে। এটি একেবারেই স্বাভাবিক। দুনিয়ার সব জাতির মাঝেই এমনটি ঘটে। এটা অসম্ভব যে, আমরা যেমন বলি, আরব বিশ্ব বা গোটা মুসলিম বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ হঠাৎ একত্র হয়ে আমাদের সঙ্গে আফগানিস্তানে বা অন্য কোথাও এসে জিহাদের মাঠে নেমে পড়বে, কায়েদা গঠন করবে বা বায়আত দেবে। এটা বাস্তবসম্মত নয়, আমরাও তা দাবি করি না। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা যথেষ্ট, আমাদের প্রয়োজন শুধু এই যে, তারা দূর থেকে আমাদের পৃষ্ঠপোষকতা করুক, মন-প্রাণ দিয়ে আমাদের পাশে থাকুক। অর্থাৎ, যার যেখানে অবস্থান, সেখান থেকেই যেন সে তার সাধ্য অনুযায়ী সমর্থন জানায়। আমরা এমনটিই চাই—এমনকি তা সামান্যতম সহায়তা হলেও। আলহামদুলিল্লাহ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উম্মাহ আমাদের সঙ্গে আছে, মুজাহিদদের পাশে আছে। মুসলিম উম্মাহ, যদি তা প্রকৃত অর্থে একটি মুজাহিদ জাতি হয়, তবে সেটি নিশ্চিতভাবেই আমেরিকার বিরুদ্ধেই থাকবে। আমেরিকা এখন মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত। এই যুদ্ধ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ব্যাপক ও গভীর হবে। আমরা যারা নেতৃত্বে আছি—মুজাহিদদের অগ্রভাগ হিসেবে, যেমন আল-কায়েদা বা অন্যান্য মুজাহিদ সংগঠন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই যুদ্ধে উম্মাহর প্রতিনিধিত্ব করা। আমাদের উচিত—এই বিশ্বাস, এই অন্তর্দৃষ্টি উম্মাহর মধ্যে আরও সুদৃঢ় করা, এগুলোকে বাস্তব রূপ দেওয়া, চিন্তা থেকে কাজে পরিণত করা। আমাদের দায়িত্ব আরও রয়েছে—আমেরিকা ও কাফিরদের ছড়ানো বিভ্রান্তির জবাব দেওয়া, উম্মাহকে সঠিক আকীদা, দাওয়াহ এবং জিহাদের সত্যিকার মর্মবাণী দিয়ে আলোকিত করা। এই দাওয়াহ, এই জিহাদ এবং সমগ্র লড়াইয়ের পরিকল্পনা ও সাফল্য কেবলমাত্র আল্লাহর হাতে। কিন্তু উম্মাহর সব সচল ও সক্রিয় শক্তির একসঙ্গে কাজ করা অবশ্যই অপরিহার্য। আমেরিকা, ইনশাআল্লাহ, খুব শিগগিরই পতনের দিকে যাবে—এই সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আমেরিকার পতন অবধারিত, আর সেটা একেবারে কাছে। সামান্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা আসবে, একটু ধৈর্যের প্রয়োজন হবে—তবে পতন নিশ্চিত। এখন ওদের পতন আর সঙ্কোচনের মধ্যবর্তী সময় চলছে, যেখানে ওরা ধীরে ধীরে নিজেদের দ্বীপেই গুটিয়ে যাবে। এই সময়টা কেবল ধৈর্য ও ঈমানের পরীক্ষা। আলহামদুলিল্লাহ, আজ মুসলিম উম্মাহ জাগ্রত হচ্ছে, তারা উত্থানশীল। আর আমেরিকা ও উম্মাহর শত্রুরা স্পষ্টভাবেই পশ্চাদপসরণ করছে। মুসলিম উম্মাহই সেই জাতি, যাকে আল্লাহ তাআলা সজাগ ও জাগ্রত করেছেন, আর এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। পক্ষান্তরে, শত্রুরা পিছিয়ে পড়ছে এবং আরো পিছিয়ে পড়বে —ইনশাআল্লাহ। এই বোধটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের উচিত যেখানে থাকি, যেখানেই সুযোগ মেলে, মুসলমানদের কাছে এই বার্তাটা পৌঁছে দেওয়া—এই সত্যটি বোঝানো। আরব বিপ্লব এবং লিবিয়া প্রসঙ্গে — আমরা লিবিয়ায় এখন যা দেখছি, তা আসলে আমেরিকার আচরণ এবং তাদের প্রতিক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট। তারা এই গণবিপ্লবগুলো নিয়ে কতটা শঙ্কিত ছিল, আর কেমন ছিল তাদের প্রতিক্রিয়া — তা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। শুরুতে তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল, বিস্ময়ে হতবাক হয়েছিল। প্রথমে তারা তাদের মিত্র স্বৈরশাসকদের পাশে দাঁড়িয়েছিল; সেই অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর পাশে, যারা বছরের পর বছর জনগণকে দমন করে এসেছে। কিন্তু যখন তারা বুঝল যে জনগণ বিজয়ী হবে এবং এই স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা অবশ্যই পতনের পথে — তখন তারা মুখোশ বদলালো। হঠাৎ করে তারা জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর ভান করতে লাগল। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানুষের ইচ্ছার প্রতি সমর্থন — এইসব ভাষা তারা ব্যবহার করতে শুরু করল। কিন্তু প্রশ্ন হলো — এত বছর কোথায় ছিলে তোমরা? এইসব স্বৈরাচারীদেরকে তো তোমরাই পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে শক্তিশালী করেছো, তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে রেখেছো, তাদেরকে সবরকম শক্তি আর নিপীড়নের উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করেছো। মানুষের উপর নিপীড়ন চালাতে তোমরাই সাহায্য করেছিলে। তাদের প্রশংসা করেছিলে, তাদের কার্যক্রমে সম্মতি দিয়েছিলে। পূর্ববর্তী বহু গণআন্দোলনকে তো তোমরা দমন করেছো বা নীরব থেকেছো — আলজেরিয়ার অভিজ্ঞতা দেখো, সিরিয়ার আন্দোলন, কিংবা ছোট বড় আরও অনেক প্রচেষ্টা — সবকিছুর বিরুদ্ধেই তোমরা ছিলে। কিন্তু আজ আমেরিকা ও তার মিত্ররা বিভ্রান্ত, সংকটে পড়ে গেছে। তারা জানেই না কী হতে যাচ্ছে। আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে, আমরা মুজাহিদরা এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহ এই গণবিপ্লবগুলো থেকে সর্বাধিক লাভবান হচ্ছি। আমরা এতে আনন্দিত, একে সমর্থন করছি। ঠিক যেমন একজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেছিলেন — আমরা এসব বিপ্লবকে সমর্থন করি এবং আল্লাহর ইচ্ছায় এগুলোর অংশীদার। আমরা এগুলোকে শক্তি জোগাবো, সংশোধন করবো এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যেন এই বিপ্লবগুলো আল্লাহর পথের দিকে পরিচালিত হয়, যেন এগুলো সরল পথে স্থিত হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয় — যেন মানুষ শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করে, কোনো অংশীদার ছাড়াই। প্রকৃত স্বাধীনতা তো আল্লাহর আনুগত্য, সঠিক পথে অটল থাকা এবং আল্লাহর আদেশ মান্য করার মধ্যেই নিহিত। হে মুসলিমগণ, পূর্ণ স্বাধীনতা মানেই আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা হওয়া। মনে রেখো, আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্ব — কেউই তোমাদের কোনো উপকারে আসবে না। এইজন্য, যদি আজ আমার কোনো বার্তা থাকে, তবে সেটি হবে লিবিয়ার জনগণ এবং বিপ্লবী ভাইদের প্রতি, সেইসাথে বেনগাজিতে গঠিত অন্তর্বর্তী পরিষদের প্রতিও। আমার বার্তা হলো— আল্লাহর আনুগত্য করুন, আল্লাহর সঙ্গে থাকুন, আল্লাহর দরবারে আশ্রয় নিন। ইসলামের সঙ্গে থাকুন, নিজের ধর্মীয় সভ্যতা, জাতি এবং সমগ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীর পাশে থাকুন। ইসলামই আমাদের পথ, ইসলামই আমাদের ভবিষ্যৎ। ইনশাআল্লাহ, এই শতাব্দী ইসলামের শতাব্দী হবে। ইসলামের শক্তি, বিজয়, প্রাধান্য ও প্রতিষ্ঠা এই শতাব্দীতে আসবেই, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদের এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—আগামী সময়টা হবে ইসলামের, চাই সেটা বিধর্মীদের স্বেচ্ছা ও স্বতঃস্ফূর্ত ইসলাম গ্রহণের মধ্য দিয়ে আল্লাহ পাক তাদেরকে সম্মানিত করার মাধ্যমে হোক অথবা (তাদেরকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে) তাদেরকে লাঞ্ছিত করার মাধ্যমে। তাই, একজন বুদ্ধিমান মানুষের উচিত হবে ইসলামকে বেছে নেওয়া, মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো এবং আমেরিকানদের থেকে দূরে থাকা। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। কোনোভাবে তাদের স্বার্থ রক্ষা না করা। আল্লাহর কসম, এমনকি এই সাহায্য বা ন্যাটোর সহযোগিতা—তারা এতে এখন নিজেরাই জড়িয়ে গেছে কিছুটা। কিন্তু যদি তারা আল্লাহর উপর ভরসা করত, এই পর্যায়ে এসে বলত: ‘ধন্যবাদ, আমাদের দরকার শেষ, আল্লাহ হাফেজ।’ ধন্যবাদ জানিয়ে বলত: ‘তোমরা আমাদের সাহায্য করেছ, নাগরিকদের রক্ষা করেছ, গাদ্দাফিকে আঘাত করেছ কারণ সে জনগণের উপর অত্যাচার করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে—তোমরা কর্তব্য পালন করেছ, এখন বিদায়।’ সরল কথা, খোলাখুলি বলা দরকার। কিন্তু যদি তারা পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে আমেরিকানদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে, তাদের ছায়ায় আশ্রয় নেয়—তবে তারা নিশ্চিতভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখন লিবিয়া, তার বিপ্লবীরা এবং স্থানীয় অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ এক সঙ্কটের মোড়ে দাঁড়িয়ে। তাদের সামনে দুটি পথ—একটি সঠিক পথ, যা আল্লাহ্‌র পথে চলার, তাঁর দীন, মুসলিম উম্মাহ্‌ এবং ইসলামি সভ্যতার পক্ষে থাকার পথ। এটি তাঁদের নিজেদের জনগণের পাশে দাঁড়ানো, মুসলিম উম্মাহ্‌র সঙ্গে একাত্ম হওয়া এবং মুজাহিদদের পথ অনুসরণের পথ। অন্যটি হলো আমেরিকার সঙ্গে জোট বাঁধার পথ। আল্লাহ্‌র কসম করে বলছি, যদি তারা আমেরিকার পক্ষ বেছে নেয়, তবে তারা কোনোদিন শান্তিতে থাকবে না। মানুষ অনেক সময় দুর্বলতা ও অজ্ঞতার কারণে তাড়াহুড়ো করে সাময়িক লাভের দিকে ঝোঁকে, বিজয়ী ও শক্তিশালীর পাশে থাকতে চায়; ভাবে, তাতে শান্তি মিলবে। কিন্তু এটি নিছক অজ্ঞানতা ও আত্মভ্রান্তি। আল্লাহ্‌র শপথ করে বলছি, যদি আপনারা আমেরিকার পথ বেছে নেন, তবে আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে শুধু দুঃখ, দুর্দশা আর একের পর এক যুদ্ধ। আপনাদেরকে কখনোই ছেড়ে দেবে না—লিবিয়ার মুজাহিদগণ, আল-কায়েদা, ইসলামি উম্মাহ্‌র সংগ্রামী সন্তানরা কিংবা আগামী প্রজন্ম। জিহাদের স্রোত আসছে, আসবেই। আমরা এখন চুপ রয়েছি, আপনাদেরকে সুযোগ দিচ্ছি। মুজাহিদরাও শান্ত আছে, তারাও আপনাদেরকে সময় দিচ্ছেন। তারা প্রতিটি জায়গায় এই সুযোগ দিচ্ছেন, যেন আপনারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকতে প্রস্তুত, কিন্তু শর্ত একটাই—আল্লাহ্‌র আনুগত্য এবং সরল সঠিক পথে চলা। আমাদের মধ্যে ও আপনাদের মধ্যে বিচার হবে আল্লাহ্‌র কিতাব ও তাঁর রাসূল ﷺ–এর সুন্নাহ্‌ দ্বারা। উলামায়ে কেরাম আজও পৃথিবীর সর্বত্র উপস্থিত। তারা আল্লাহ্‌র কিতাব ও রাসূলের সুন্নাহ্‌ অনুসারে আমাদের মধ্যে ও মানুষের মধ্যে বিচার করবেন। আমরা কাউকে আমাদের ভাবনা চাপিয়ে দিচ্ছি না। কেউ বলছে, আমরা আপনাদের ওপর তালেবানদের শরিয়ত চাপিয়ে দিচ্ছি, বা তালেবানি পদ্ধতি জোর করে প্রয়োগ করছি, কিংবা আল-কায়েদার আদর্শ চাপিয়ে দিচ্ছি—না, এসব কিছুই নয়। আমাদের একটাই মানদণ্ড—আল্লাহ্‌র কিতাব ও রাসূলের সুন্নাহ্‌। বিশ্বজুড়ে উলামায়ে কেরাম প্রস্তুত আছেন, যখন আপনারা একটু থেমে চিন্তা করবেন, তখন তারা বিচার করতে আসবেন। মানুষের বিচারও করবেন আল্লাহ্‌র কিতাব ও রাসূল ﷺ–এর সুন্নাহ্‌ অনুযায়ী। যদি তারা বলেন কোনো কিছু হালাল, তবে তা হালাল; যদি বলেন হারাম, তবে তা হারাম। মূল কথা, তাদের বিচার হবে শুধু আল্লাহ্‌র কিতাব ও রাসূলের সুন্নাহ্‌ অনুযায়ী—এই নিয়ম ব্যতীত অন্য কোনো কিছু দিয়ে নয়। আমেরিকানরা যেন আপনাদেরকে বোকা বানাতে না পারে—প্রফেসর ড. মাহমুদ জিবরিল কিংবা অন্য কেউ, কেউই না। তিনি একজন শিক্ষিত, বিদ্বান, মানবিক ও সামাজিক শিক্ষায় উচ্চতর জ্ঞানে গৌরবান্বিত ব্যক্তি, এবং কৌশলগত পরিকল্পনার বিশেষজ্ঞ। আমি তাঁকে এবং তাঁর মতো অন্যান্য নেতৃস্থানীয়, শিক্ষিত, চিন্তাবিদ, আইনজীবী, বিচারক, সাংবাদিক ও যারা এই অন্তর্বর্তী পরিষদে, অথবা বিদ্রোহীদের সঙ্গে, অথবা লিবিয়ার এই নতুন বাস্তবতায় অংশগ্রহণ করেছেন—তাঁদের সবাইকে বলছি: সঠিক পথ এটাই, যা আপনাদের বেছে নেওয়া উচিত। চিন্তা করুন, গভীরভাবে ভাবুন, বিচার করুন। নিজের দীনের পাশে দাঁড়ান, নিজের জাতির পাশে দাঁড়ান, নিজের মুসলিম ভাইদের পাশে দাঁড়ান। ইসলামকে বেছে নিন। আমেরিকানদের ফাঁদে পা দিয়েন না, ওরা যেন আপনাদের বিভ্রান্ত না করে। আপনি, মাহমুদ জিবরিল, ওদের সঙ্গে হেঁটে চলছেন, ওদের সঙ্গে বসে আছেন। যদি তারা আপনাকে বলে—”এই যে ওসামা বিন লাদেন আর আল-কায়েদা, এরা জঙ্গি, এরা খুন পছন্দ করে, এরা সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়ায়, এরা আসলে অপরাধী” —আপনি কি তা বিশ্বাস করবেন? যদি করেন, তবে সত্যিই আপনি মিথ্যাকে সত্য বলে মেনে নিচ্ছেন। এই লোকগুলো (আলকায়দা) বরং তার উল্টো। এরা মুসলিম উম্মাহর সন্তান, যারা আল্লাহর আদেশ পালন করছে। এরা জিহাদের কাজ করছে—যা একটি ফরজ দায়িত্ব; যা গোটা উম্মাহর দায়িত্ব। তারা নিজেদের কাঁধে সেই দায়িত্ব তুলে নিয়েছে এবং বাকিদের এই বোঝা থেকে মুক্ত করেছে। আপনাদের তো নিজস্ব বিবেক আছে, বুদ্ধি আছে। আপনি একজন বিদ্বান, জ্ঞানী ব্যক্তি। শোনেন, কেয়ামতের দিনে আপনার কৌশলগত পরিকল্পনার জ্ঞান, ডিগ্রি, লেখালেখি কিংবা খ্যাতি—কোনোটাই কোনো কাজে আসবে না, আল্লাহর কসম। সত্যিকারের উপকারী পরিকল্পনা তো এই যে, আপনি এখন এই যুগসন্ধিক্ষণে সঠিক পথটি বেছে নেন—আল্লাহকে বেছে নেন, পরকালকে বেছে নেন, আল্লাহর সামনে মুক্তির পথ বেছে নেন। যখন আপনি কবরের ভিতর থাকবেন, কিংবা কেয়ামতের দিনে আপনাকে উঠিয়ে আনা হবে—তখন ওই ডক্টরেট, ওই লেখাগুলো, ওই জ্ঞানের গর্ব কিংবা কৌশলগত বুদ্ধিমত্তা—কোনো কিছুই কাজে লাগবে না। না, আল্লাহর কসম, কিছুই কাজে লাগবে না। সেদিন হয়তো এক সাধারণ কৃষক, যে কখনো লেখাপড়া করেনি, সাদা-কালো আলাদা করতে জানে না, সে-ই যদি আল্লাহর পথে দাঁড়িয়ে যায়, তাঁর দীনকে সাহায্য করে, আমেরিকার বিরোধিতা করে, আর এক গুলি এসে তাকে শহীদ করে—তবে সে-ই আপনার থেকে এগিয়ে থাকবে, সে-ই সফল হবে, সে-ই উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছে যাবে। আর আপনি যদি চিরস্থায়ী দোজখের আগুন থেকে বেঁচেও যান, তবুও অন্তত পাপীদের আগুনে জ্বলবেন। আর যদি আমেরিকার পক্ষাবলম্বন করেন, আল্লাহর শরিয়াকে অস্বীকার করেন, তবে চিরস্থায়ী দোজখবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন—আবু জাহল, উবাই ইবনে খালাফ, ফিরআউন, হামান, কারুন, বুশ, শ্যারনের সঙ্গে একসাথে। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন! এই তো আসল কৌশলগত পরিকল্পনা। আপনি যেন নিজেকে ভাবছেন খুব বুদ্ধিমান, খুব দক্ষ—ইনশাআল্লাহ আপনি তাই-ই—তবে আসল পরিকল্পনা কী জানেন? তা হলো আপনার আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি। এটাই আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা, মাহমুদ জিবরিল। আপনি শুনছেন যেন আমি আপনাকেই বলছি, কিন্তু আমার বার্তাটি শুধু আপনার জন্য নয়, সবার জন্য। তবে আপনার উদ্দেশ্যে আলাদা করে বলছি কারণ একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি—জ্ঞানী, প্রাজ্ঞ, শিক্ষক, চিন্তাবিদ, পরিকল্পক হিসেবে আপনার একটা বিশেষ মর্যাদা আছে। এখন এই সময়েই প্রকৃত মেধা, সঠিক বোধ আর চিন্তাশক্তির গুরুত্ব বোঝা যাবে। আল্লাহ আপনাকে যে জ্ঞান, বুদ্ধি আর বোধ দান করেছেন, সেগুলোর ফলাফল এখন প্রকাশ পাবে। ইতিবাচক না নেতিবাচক, এখনই সেটা নির্ধারিত হবে। আপনি কী বেছে নেবেন? আমি আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি—নিজের দীনের পাশে দাঁড়ান, আল্লাহর সঙ্গে থাকুন, তাঁর প্রিয় বান্দাদের পাশে থাকুন।
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ

    “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক”। (সূরা তাওবা ৯:১১৯) আপনি আল্লাহর পাশে দাঁড়ান, আল্লাহর বন্ধু হোন, তাঁর ধর্মের সাহায্যকারী হোন। যারা আল্লাহর দীনের পাশে দাঁড়ায়, তারাই জিতে যাবে—এই দুনিয়াতেও, আখিরাতেও। আর যদি আপনারা আমেরিকার পাশে দাঁড়ান; যদি মনে করেন, তারা আপনাদেরকে এক আধুনিক, উন্নত রাষ্ট্র গড়ে দেবে; পশ্চিমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব যদি করেন, “সন্ত্রাস দমন”-এর নামে নতুন নতুন কার্যক্রমে যদি নিজেদেরকে জড়িয়ে ফেলেন, তাহলে জেনে রাখুন, আপনাদের জন্য শুধু দুর্ভোগ আর হতাশা অপেক্ষা করছে। না আমরা, না অন্য কেউ—আপনাদেরকে শান্তি দেবে। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই। আমাদের কাছে আত্মীয়তা, জাতিগত পরিচয় কোনো অর্থ বহন করে না। আমাদের মূল্যবোধ একটাই—আল্লাহর দ্বীন। আমাদের কাছে যদি কোনো আমেরিকান ইসলাম গ্রহণ করে বলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”, সে-ই আমাদের ভাই, আমাদের আপন। আর যদি আমার নিজের ভাই কুফর বেছে নেয়—আল্লাহ আমাদের ও তাদের রক্ষা করুন—তাহলে সে আমার শত্রু। তার অবস্থান বুশ কিংবা শ্যারনের মতোই হবে—আমি তার বিরুদ্ধে যাব, প্রয়োজনে লড়াই করব। এটাই আল্লাহর দ্বীন। আমরা হচ্ছি আল্লাহর সাহায্যকারী। يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُونوا أَنصَارَ اللَّهِ كَمَا قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ لِلْحَوَارِيِّينَ مَنْ أَنصَارِي إِلَى اللَّهِ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنصَارُ اللَّهِ فَآَمَنَت طَّائِفَةٌ مِّن بَنِي إِسْرَائِيلَ وَكَفَرَت طَّائِفَةٌ فَأَيَّدْنَا الَّذِينَ آَمَنُوا عَلَى عَدُوِّهِمْ فَأَصْبَحُوا ظَاهِرِينَ “মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে যাও, যেমন ঈসা ইবনে-মরিয়ম তার শিষ্যবর্গকে বলেছিল, আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে? শিষ্যবর্গ বলেছিলঃ আমরা আল্লাহর পথে সাহায্যকারী। অতঃপর বনী-ইসরাঈলের একদল বিশ্বাস স্থাপন করল এবং একদল কাফের হয়ে গেল। যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, আমি তাদেরকে তাদের শত্রুদের মোকাবেলায় শক্তি যোগালাম, ফলে তারা বিজয়ী হল”। (সূরা সফ ৬১:১৪) তাই আমি এখন লিবিয়ার বিপ্লবীদের বলছি—এটা এক মোড় বদলের সময়। পথ দুটো সামনে স্পষ্ট। সঠিক পথটি বেছে নাও, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো। তোমরা তো বলো মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা, আলোচনার কথা—এখন সেই সুযোগ তোমাদের সামনে। আমরা অপেক্ষা করছি, ধীরে সুস্থে। আমাদের কোনো তাড়া নেই। আমরা সময় নিয়ে কাজ করছি। যদি ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর পাশে দাঁড়াও, তাহলে আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি—তোমাদের সীমাবদ্ধতা, এমনকি কিছু ত্রুটিও মেনে নেব। কিন্তু যদি আমেরিকানদের পাশে দাঁড়াও, যদি দেখি তোমরা কথিত “সন্ত্রাসবিরোধী” অভিযানে লিপ্ত, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই—আমরা প্রস্তুত। আমেরিকা এক শত দেশের সহায়তা পেলেও আমরা থামবো না। লিবিয়া আমাদের জন্য কেবল একটি নতুন ময়দান—এখনো আমরা রয়ে গেছি, এখানে আছি। বরং এটা আমাদের জন্য একটি খোলামেলা সুযোগ, আল্লাহর পক্ষ থেকে এক নতুন বিজয়, আমেরিকার বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধের এক নতুন অধ্যায়। আমি তোমাদের জন্য একটি পরামর্শ দিতে চাই। আল্লাহর কসম করে বলছি, এ পরামর্শ একান্তই আন্তরিক, এক ভাইয়ের পক্ষ থেকে আরেক ভাইয়ের জন্য মমতার পরামর্শ। এ পরামর্শ হৃদয় থেকে উৎসারিত, যেন তোমাদের কল্যাণ হয়—আসল ও চিরস্থায়ী কল্যাণ। তাই বলছি—তোমরা আল্লাহর পাশে দাঁড়াও, আল্লাহর দ্বীনের পাশে দাঁড়াও, আল্লাহর বন্ধুদের পাশে দাঁড়াও, আর সংক্ষেপে বললে, মুজাহিদদের পাশে দাঁড়াও। অনেকে বলে—”এখন তো আমরা আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারি না, পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা সম্ভব নয়।” কিন্তু আমি তো তোমাদের যুদ্ধ ঘোষণা করতে বলছি না! বরং বলছি, যে স্তরে তোমরা আছো, সেই স্তরে থেকো, কিন্তু মুজাহিদদের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের যুদ্ধে নিজেদের জড়িও না। তাদের সঙ্গ ত্যাগ করো, দূরে থাকো। তোমরা বলো তাদের —”আমরা একা নিজেদের হাতেই গাদ্দাফির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো, তাকেও ধ্বংস করবো, আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রও গড়বো। আমাদের নিজেদের সন্তান আছে, নিজের লোক আছে, নিজের শক্তি আছে— তোমাদের সাহায্যের দরকার নেই। তোমরা নিজেদের মতো থাকো, বিদায়!” আর যদি আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়, তাতেও কী এসে যায়? তোমরা চাইলে এমন রাষ্ট্র হও, যেমন তারা নিজেরাই বলে—‘একটি দুর্বল রাষ্ট্র’, ‘একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র’। তাতেই বা কী আসে যায়? তবুও চলা যায়, কষ্ট করে হলেও বেঁচে থাকা যায়। আল্লাহর কৃপায় লিবিয়ার মাটিতে কৃষিকাজের সম্ভাবনা আছে—যদি মনোযোগ দেওয়া হয়, আত্মনির্ভরশীল হওয়া সম্ভব। আগে তো ছিলই। তেলের মতো সম্পদও আছে—যেকোনো উপায়ে সেটা কাজে লাগানো যায়, বিক্রি করা যায়, সুফল নেওয়া যায়— এমনকি যদি আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না-ও থাকে। তোমরা দুনিয়ার সংঘাত ও বিভিন্ন দেশের বিরোধকে নিজেদের পক্ষে কাজে লাগাতে পারো। লিবিয়ার ভেতরে যে সম্পদ আছে, তোমরা চাইলে কাজে লাগাতে পারো। জনগণ যদি তোমাদের সঙ্গে থাকে, উম্মাহ তোমাদের পেছনে থাকে, মাগরিব থেকে মিশর, আফ্রিকা থেকে গোটা বিশ্বের মুজাহিদরা যদি তোমাদের পাশে থাকে—তবে তোমরা একা নও। ইসলাম—হ্যাঁ, ইসলামই হচ্ছে ভবিষ্যতের পথ। ইসলামই আসছে, এগিয়ে আসছে। এটাই সঠিক পথ। অন্য যে বিকল্পগুলো রয়েছে— যেমন আমেরিকানদের সন্তুষ্টি, তাদের “সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ”, কূটনীতি— সে পথে শান্তি নেই। যদি ভাবো সে পথে তুমি স্বস্তিতে থাকবে, আধুনিক রাষ্ট্র গড়বে, নিরাপদ থাকবে—তবে ভুল করছো। সত্যি বলছি, সেই পথে কোনো স্বস্তি নেই। না কাফিরদের দিক থেকে তুমি শান্তিতে থাকবে, না মুসলমানদের দিক থেকে। তাই যখন কষ্ট পেতেই হবে, তখন সেই কষ্টই বেছে নাও যা তোমাদেরকে আখিরাতের চিরসুখে পৌঁছে দেবে। আখিরাতে সফল হওয়াটাই আসল সাফল্য। তখনই তোমাদের অন্তর শান্ত থাকবে, তোমাদের মনে থাকবে প্রশান্তি। আর এটাই তো সত্যিকারের সুখ—মন শান্ত থাকা, আত্মা প্রশান্ত থাকা, কোনো বড় ভীতি না থাকা, কোনো ভয় না থাকা ভবিষ্যতের ব্যাপারে। যখন তুমি জানো, তুমি একজন মুসলমান, আল্লাহে বিশ্বাসী, পরকাল, জান্নাত-জাহান্নাম, হিসাব, পুনরুত্থান— সবকিছুতে বিশ্বাস রাখো, তখন তুমি আশ্বস্ত থাকবে আল্লাহর ওয়াদার প্রতি। যখন তুমি জানো, কিয়ামতের দিনে তুমি সফলদের মধ্যে থাকবে, তবে দুনিয়াতে তুমি গরিব হলেও তুমি সত্যিকার অর্থে সুখী। এমনকি যদি আমেরিকানরা তোমার ওপর বোমা বর্ষণ করে—তবুও তুমি শান্তিতে থাকবে। যদিও তারা সেটা করতে পারবে না—আল্লাহর কসম, তারা কিছুই করতে পারবে না। এখন আমেরিকা নিজেই সমস্যায় ডুবে আছে। তাদের ওদিকে একের পর এক ফ্রন্ট খুলে যাচ্ছে—সিরিয়া, আফ্রিকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক—সবখানে অস্থিরতা। আমরা দোয়া করি যেন সিরিয়ার মুসলমানদের বিজয় হয়, যেন শামের দরজা এক বিশাল বিজয়ের মাধ্যমে উন্মুক্ত হয়। সোমালিয়া, ইয়েমেন, আরব উপদ্বীপ—সব জায়গায় আগুন জ্বলছে। আমেরিকার সামনে আজ গোটা দুনিয়া এক যুদ্ধক্ষেত্র। তারা কিছু করতে পারছে না—দেখো না, সোমালিয়ার দিকে কেবল তাকিয়েই আছে, কিছুই করতে পারছে না। আমেরিকা এখন পিছু হটছে। পশ্চিমারা, ইতালি, ফ্রান্স—তাদেরও সেই পুরানো জৌলুস আর নেই। তারা তোমাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে না। তোমরা তোমাদের নিজেদের পথ বেছে নাও—স্বাধীনতা দৃঢ়তা ও আত্মমর্যাদার পথ। যে পথ তোমাদের পুরুষত্বের পরিচায়ক, তোমাদের আত্মমর্যাদার প্রতিফলন। যেখানে তোমরা থাকবে স্বজাতির ও উম্মাহর সঙ্গে, দীনের সঙ্গে, জনগণের সঙ্গে, তোমাদের আপনজনদের সঙ্গে—যারা তোমাদের মঙ্গল চায়, তোমার সত্যিকারের উপকার চায়। এটাই সঠিক পথ। আর আমেরিকানদের প্রতি মোহ, তাদের অনুসরণ—তা আর কিসের? তারা তো নিজেরাই পিছিয়ে পড়ছে, শেষ হয়ে আসছে। তোমরা কেন তাদের পেছনে হাঁটবে? তোমরা কেন তাদের ভয় পাবে? এই হলো সাধারণ ভাষায়, সহজ কথায় আমার পরামর্শ, কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই এগুলো পেশ করলাম। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি—এই কথাগুলো যেন মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, তারা বুঝতে পারে, উপকৃত হতে পারে। আমি আমার কথা এখানেই শেষ করছি, আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
    ***

    مع تحيّات إخوانكم
    في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
    قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
    আন নাসর মিডিয়া
    আল কায়েদা উপমহাদেশ
    In your dua remember your brothers of
    An Nasr Media
    Al-Qaidah in the Subcontinent


    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

  • #2
    আমার বার্তা হলো— “আল্লাহর আনুগত্য করুন, আল্লাহর সঙ্গে থাকুন, আল্লাহর দরবারে আশ্রয় নিন। ইসলামের সঙ্গে থাকুন, নিজের ধর্মীয় সভ্যতা, জাতি এবং সমগ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীর পাশে থাকুন। ইসলামই আমাদের পথ, ইসলামই আমাদের ভবিষ্যৎ। ইনশাআল্লাহ, এই শতাব্দী ইসলামের শতাব্দী হবে। ইসলামের শক্তি, বিজয়, প্রাধান্য ও প্রতিষ্ঠা এই শতাব্দীতে আসবেই, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদের এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—আগামী সময়টা হবে ইসলামের, চাই সেটা বিধর্মীদের স্বেচ্ছা ও স্বতঃস্ফূর্ত ইসলাম গ্রহণের মধ্য দিয়ে আল্লাহ পাক তাদেরকে সম্মানিত করার মাধ্যমে হোক অথবা (তাদেরকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে) তাদেরকে লাঞ্ছিত করার মাধ্যমে। তাই, একজন বুদ্ধিমান মানুষের উচিত হবে ইসলামকে বেছে নেওয়া, মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো এবং আমেরিকানদের থেকে দূরে থাকা। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। কোনোভাবে তাদের স্বার্থ রক্ষা না করা।” ​- শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল-লিবী (রহিমাহুল্লাহ)
    “ধৈর্যশীল, সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”
    -শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ

    Comment

    Working...
    X