مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:
دليل إنسباير – ١٠
"يكتب رسالته: الله أكبر وقنبلة مولوتوف."
ইন্সপায়ার গাইড – ১০
আল্লাহু আকবার আর মলোটভ বোমা লিখে দেয় তার বার্তা
Inspire Guide – 10
"He writes his message: Allahu Akbar and Molotov Bomb."

روابط بي دي اب
PDF HQ (22.2 MB)
পিডিএফ হাই কোয়ালিটি [২২.২ মেগাবাইট]
https://mega.nz/file/CJNSEQLC#cntfyLrKTOVLCXi1wwqAGF9FDmklHXQZBorWn2aPQ qo
روابط بي دي اب
PDF LQ (4.2 MB)
পিডিএফ লো কোয়ালিটি [৪.২ মেগাবাইট]
روابط الغلاف
Banner [3.5 MB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৩.৫ মেগাবাইট]
https://mega.nz/file/vB1xySpI#GAerp4JPfLj76pwCQOhwLbIPTQxQNy39m4HSu6cYi rY
*****
ইন্সপায়ার- ১০
আল্লাহু আকবার — আর মলোটভ বোমা লিখে দেয় তার বার্তা
বীর মুহাম্মাদ সাবরী সুলাইমানের অভিযান থেকে ইন্সপায়ার নির্দেশনা
— আল্লাহ তাঁকে মুক্ত করুন!
গ্রীষ্ম ২০২৫ | ১৪৪৭ হিজরী
ইন্সপায়ার গাইড
বীর মুহাম্মাদ সাবরীর হামলা
রবিবার, ২ জুন ২০২৫
একটি অগ্নিশিখা জ্বলে উঠলো, আর সেই লেলিহান শিখাতেই কেঁপে উঠল বিশ্বব্যাপী রক্তপিপাসু হন্তারকের কলিজা।
না, কোনো মুসলিম জাতিকে পুড়িয়ে ধ্বংস করার জন্য নয়—বরং আতঙ্কের কারণ ছিল এই যে, এক মহান কর্মযজ্ঞ তাঁর পূর্বনির্ধারিত বর্ণনার বেড়াজাল ভেঙে বেরিয়ে এসেছে। কারণ এক অপরিচিত কণ্ঠ—একজন মুসলিম—নিজ হাতে আগুনের শিখায় লিখে ফেলেছে এমন কিছু, যা কলমেরা লিখতে ব্যর্থ হয়েছে।
বোল্ডার, কলোরাডো শহরের চঞ্চল দুপুরবেলা। ২০২৫ সালের ২ জুন, রোববার। পার্ল স্ট্রিট আর ১৩নং সড়কের মোড়ে যখন উত্তেজনার আবহ ছড়িয়ে ছিল চারপাশে, ইহুদী জনতা জড়ো হয়ে তাদের বন্দীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান তুলছিল এবং পতাকা ওড়াচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তেই সামনে এসে দাঁড়ালেন এক ব্যক্তি। তার পরনে ছিল কমলা রঙের ভেস্ট, পিঠে বাঁধা কীটনাশক স্প্রে, হাতে ধরা ছিল প্রাচীন কায়দায় তৈরি মলোটভ ককটেল—আর অন্তরে ছিল আগুনের চেয়েও প্রবল কিছু।
এটা কোনো সিনেমার দৃশ্য ছিল না—এ ছিল জীবন্ত যন্ত্রণার বিস্ফোরণ, যা ঘটেছিল তাদের মাঝখানে, তাদের চোখের সামনে। তিনি তরল জ্বালানি ছিটিয়ে দিলেন জনতার ওপর, তারপর ছুড়ে দিলেন আগুনের বোতল। আর সেই মুহূর্তে তাঁর কণ্ঠ গর্জে উঠল:
“আল্লাহু আকবার!”
“এই আগুন ফিলিস্তিনের জন্য!”
“আমাদেরকে অবশ্যই জায়নবাদকে নির্মূল করতে হবে!”
“তোমরা গাজার কত শিশুকে হত্যা করেছো?”
তারা চিৎকার করছিল আতঙ্কে, আর তিনি চিৎকার করলেন দৃঢ় প্রতিবাদে।
সেই বোতলগুলোই ছিল বীর মুজাহিদ, সাহসী মুহাম্মাদ সাবরি সুলাইমানের (আল্লাহ তাঁকে মুক্তি দিন!) একমাত্র ঘোষণা। একজন মুহাজির যার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না, কিন্তু তিনি বহন করছিলেন এক উম্মাহর সমস্ত স্মৃতি, বহু প্রজন্মের জমে থাকা বেদনা, আর এক বৈশ্বিক নীরবতা—যা সব যুদ্ধের থেকেও দীর্ঘকাল ধরে জমে ছিল।
তাই বীর মুহাম্মাদ বেছে নিলেন সেই ভাষা, যা আমেরিকা পছন্দ করে না—অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধের ভাষা, আর এক দম বন্ধ করা বেদনার ভাষা, যা জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ পায় না।
এই হামলার লক্ষ ছিল ‘Run for Their Lives’ গ্রুপের সাপ্তাহিক সমাবেশের একাংশ—যারা গাজায় ইহুদী জিম্মিদের বিষয়টি আলোচনায় আনার চেষ্টা করে, কিন্তু জায়নবাদী সৈন্যদের আটককৃত মুসলিম বন্দীদের ব্যাপারে কোনো আলোচনাই ওঠায় না। মুসলিমদের রক্ত, যা তারা নির্দ্বিধায় পদদলিত করেছিল, সেটাই প্রজ্বলিত হয়ে ফেটে পড়ল, আহত করল বারোজন জায়নবাদীকে—যাদের মধ্যে তাদের দাবি অনুযায়ী ছিল হলোকাস্ট থেকে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি। বীর মুহাম্মাদের এই অভিযান একটি গভীর বাস্তবতা উন্মোচন করল: ‘শান্তির’ মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বৈশ্বিক ভণ্ডামি, আর শিকার ও আক্রমণকারীর মধ্যে সুস্পষ্ট দ্বিচারিতার চিত্র।
একজন মানুষ যিনি পুরো এক বছর ব্যয় করেছিলেন এমন এক কাজের পরিকল্পনায়, যা মুসলিমদেরকে এবং সমগ্র বিশ্বকে সচেতন করবে এক অবরুদ্ধ জাতি সম্পর্কে, যাদেরকে ধ্বংস ও কারাবন্দী করা হচ্ছে, আর জায়নবাদী শক্তির উৎসবগুলো উদযাপিত হচ্ছে তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে।
বীর মুহাম্মাদ চেয়েছিলেন একটি রাইফেল সংগ্রহ করতে। কিন্তু স্ট্রেঞ্জ, একাকীত্ব আর নিঃস্বতা শেষে তার হাতে আসে শুধু একটি মলোটভ ককটেল। কিন্তু এতে আশ্চর্যের কিছু নেই—যখন মুসলিম ভূমিগুলো আর সহ্য করতে পারছে না অন্যায়ের দাবানল, তখন একজন বীর মুজাহিদের হাতই উচ্চারণ করে সেই কথা, যা ‘অশুভ রাষ্ট্র’ সহ্য করতে পারে না।
কে এই মানুষটিকে উসকে দিলো?
কে তার হৃদয়ে বেদনা পুঞ্জিভূত করলো?
কে তার বীরত্বকে পরিণত করলো কাগজের ফাইলে আটকে থাকা এক ‘অ্যাডমিন কেস’-এ, যাকে ইমিগ্রেশন অফিসের টেবিল থেকে টেবিলে ছুড়ে মারা হয়?
কে গত পঁচাত্তর বছর ধরে গাজায় শিশুদের হত্যা করে আসছে—আর আজ যখন কলোরাডোয় এক বৃদ্ধ আহত হয়, তখন সে কান্না করে?
এ কেমন সভ্যতা?
আমাদের রক্তের ওপর নৃত্য করা হয়, তখন কোনো নিন্দা বাণী নেই, অথচ যখন কেউ আল্লাহর পথে জিহাদে নামে বা কেবল আর্তনাদ করে ওঠে, তখন তাকেই অপরাধী বানানোটা কোন সভ্যতা?
পশ্চিমা গণমাধ্যম ইহুদীবাদী রাষ্ট্রের ‘জিম্মিদের’ সাথে সংহতি প্রকাশ করে, অথচ হাজার হাজার মুসলিম বন্দীর জন্য একটি কণ্ঠস্বরেও আওয়াজ ওঠে না, যারা কারাগারে যাওয়ার পর ২০ বছর পার হয়ে যাচ্ছে। আর কী নৃশংস সেই কারাগার!
অবিশ্বাসী পশ্চিমের দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের অন্যায্য আইনকাঠামোতে: মুসলিম বন্দী একটি সংখ্যামাত্র, আর ইহুদী বন্দী একটি প্রতীক।
পশ্চিমা মিডিয়াতে প্রতিরোধরত মুজাহিদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া হয়, আর দখলদারকে ‘ঐতিহাসিক অধিকার প্রতিষ্ঠাকারী’ অভিহিত করা হয়। আল-মাসজিদুল আকসাকে ‘বিতর্কিত অঞ্চল’ বলা হয়, আর ইহুদী বসতিগুলোকে ‘স্বীকৃতি দেয়াটাই বাস্তবতার দাবি’ বলে চালানো হয়।
এ কী ধরনের বিশ্ব?
এ কী ধরনের বিবেক? এ কী ধরনের ন্যায়বিচার?
এটা আমেরিকার নিজস্ব অন্যায্য ‘আইন’—এটা একটা বর্বরতা যা জঙ্গলের আইনকেও ছাড়িয়ে গেছে।
আমেরিকার আইনে শক্তিশালী দুর্বলকে গ্রাস করে, আর দুর্বল—ক্যামেরার সামনে টুকরো টুকরো হয়ে গেলেও—চিৎকার বা ব্যথা প্রকাশের অধিকার রাখে না।
এই দানব রাষ্ট্র আমেরিকা এবং তার ভাড়াটে মিডিয়া চায় না যে, রক্তাক্ত কোনো দৃশ্য বা বিশৃঙ্খলা তাদের রাজনীতিবিদদের আরামের ঘুম নষ্ট করুক।
নির্লজ্জ অহংকার নিয়ে তারা একই পুরানো রূপকথার পুনরাবৃত্তি করে—যেখানে ঘটনাকে তার ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে কলোনিয়াল সংঘাতের রূপ দেওয়া হয় অর্থাৎ এভাবে দেখানো হয়—‘নিরীহ পশ্চিমা সত্তা’ বনাম ‘মুসলিম সন্ত্রাসী আগ্রাসী গোষ্ঠী’। পশ্চিমা মিডিয়ার আখ্যানগুলো আসলে এমন এক প্রোথিত জ্ঞানতাত্ত্বিক অবস্থানকে প্রতিফলিত করে—যা শুধু মুসলিমদের বিশ্বব্যাপী প্রবাসী জনগোষ্ঠীকেই নয়, বরং গোটা মানবতাকেই এক বিকৃত নৈতিক কাঠামোয় ফেলে: যেখানে পশ্চিমা যন্ত্রণা হয়ে ওঠে পবিত্র, আর অন্যদের কষ্ট মুছে ফেলা হয় ইতিহাস ও মানবিক বোধ থেকে। এমনকি জিহাদ ও আত্মরক্ষার অধিকারও তাদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়।
আজ তারা আগুন দেখে হতবাক—কিন্তু কেন আগুন লাগলো সেটা সমাধানের চেষ্টা তাদের নেই।
তারা আহতদের গণনা করতে, অভিযোগের তালিকা তৈরি করতে, বয়সের তুলনা করতে ছুটে যায়—কিন্তু কেউ গণনা করে না জাবালিয়ার স্কুলগুলোর নিখোঁজ শিশুদের। কেউ রেকর্ড করে না রাফায় অস্তিত্বের রেজিস্ট্রি থেকে মুছে যাওয়া পরিবারগুলোর নাম। কেউ লিখে না শুহাদাদের মুখের কথা, যারা (সিএনএনের) পর্দায় ঝিলিক দিয়ে মিলিয়ে যায়—বিবেককে নাড়া দিতে ব্যর্থ হয়।
আর তাই, বীর মুজাহিদ মুহাম্মাদ সাবরি সুলাইমান—আল্লাহ তাঁকে কারাগার থেকে মুক্ত করুন—আগুনে নয়, বরং জ্বলে উঠেছিলেন প্রতিবাদ ও সংকল্পে। তিনি জ্বলে উঠেছিলেন নিষ্পাপ এক উম্মতের কণ্ঠস্বর হয়ে, ঘোষণা দিয়েছিলেন: “তোমরা দশকের পর দশক ধরে আমাদের জ্বালিয়েছো... আর এটাই প্রথমবার আমরা এমনভাবে জবাব দিলাম যা তোমাদেরই মতো।”
একটি আমেরিকান রাস্তায় রক্ত ঝরল— আর হঠাৎ করেই মিডিয়া সক্রিয় হয়ে উঠল, রাজনীতিবিদরা নিন্দা করতে ছুটে এলো, অন্যায় আইনের কণ্ঠস্বর উচ্চারিত হলো। কিন্তু বলো তো—
কবে থেকে রক্তপাত তোমাদের অস্থির করতে আরম্ভ করেছে?
কোন্ দিন থেকে নৈতিক বিবেক তোমাদের জাগ্রত হতে শিখেছে?
তোমাদের মানবতা কোথায় ছিল—
যখন গাজায় রক্তের জলপ্রপাত বইছিল?
এখনও সেই রক্তধারা অব্যাহত—
তোমাদের বিবেক এখনো নিঃশব্দ!
তোমাদের আইন কোথায় ছিল—
যখন তাঁবুগুলোতে বোমা ফেলা হয়েছে,
হাসপাতালগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে,
আর মসজিদগুলোকে রূপান্তর করা হয়েছে উন্মুক্ত গণকবরে?
বীর মুহাম্মাদ এমন কিছু করেননি, যা তোমরা বহুদিন ধরে করে চলছো; বরং তিনি তো অনেক কমই করেছেন।
কম করেছেন সেই বোমাগুলোর চেয়ে, যেগুলো খান ইউনুসে শিশুদের দেহ ছিন্নভিন্ন করে।
কম করেছেন সেই ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে, যেগুলো ইয়েমেনের বিয়ে বাড়িকে পরিণত করেছে গণকবরে।
কম করেছেন সেই ড্রোন হামলার চেয়ে, যেগুলো আফগানিস্তান, ইরাক ও ইয়েমেনে গোটা গোটা পরিবার নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে—আর পরে সেসব হত্যাকাণ্ডকে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘সাইড এফেক্ট’ তথা ‘আনুষঙ্গিক ক্ষতি’ বলে।
বীর মুহাম্মাদ নিজেকে আগুনে দগ্ধ করেননি—তিনি শত্রুকে জ্বালিয়ে দিয়েছেন। তিনি আগুনকে পরিণত করেছেন এক বার্তায়। তিনি আমেরিকাকে জানিয়ে দিয়েছেন: “এই আগুন তোমাদেরই তৈরি করা!” তিনি সেই আগুনের মধ্য থেকেই গর্জে উঠেছিলেন এই বলে: আল্লাহু আকবার!
“ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য!”
“জায়নবাদ নিশ্চিহ্ন হোক!”
তিনি বক্তার জিভে কথা বলেননি—তিনি বলেছিলেন মুজাহিদের কণ্ঠে, আল্লাহর পথে লড়াইরত একজন যোদ্ধার কণ্ঠে।
আমেরিকা—মুসলমানদের এক নম্বর শত্রু, যে সরাসরি এই অপরাধগুলোর অংশীদার; যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গণহত্যাগুলো চালিয়েছে মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে। আমেরিকা সেই শক্তি—যা গণহত্যাকে ঢেকে দেয়, আড়াল করে দেয় সত্যকে। আমেরিকা সেই শক্তি, যা অস্ত্র রপ্তানি করে ওষুধ বন্ধ করে দেয়; সেই শক্তি যা হত্যাকারীকে মিত্র বলে, আর মজলুমকে নিরাপত্তার হুমকি বলে চিহ্নিত করে। আর তারপর আশা করে এই উম্মাহর সন্তানরা নিশ্চুপ থাকবে—বাঁকা গণতন্ত্রের প্রশংসা করবে, যখন খণ্ডিত শিশুদের ছবি তাদের চোখের সামনে ভাসবে।
মুহাম্মাদ সাবরি সুলাইমান কোথাও থেকে আসেনি। সে এসেছে রক্ত ও অশ্রুভেজা এক মানচিত্র থেকে; ঐ মাতৃভূমি থেকে যা বোমাবর্ষণ ও ধ্বংসের ঘেরাটোপে আবদ্ধ। সে এসেছে দ্বীন ইসলামের পক্ষ থেকে, যেই ধর্ম-আদর্শকে চিরতরে নির্মূল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সে এসেছে এমন এক জনগোষ্ঠী থেকে যাদের মর্যাদা ধীরে ধীরে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে—বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। তিনি আজ্ঞাবহদের জন্য এক বার্তা—বিদ্রোহের এক আহ্বান।
বোল্ডারে এক অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত হয়েছিল, কিন্তু তার লেলিহান শিখা উঠেছিল জেনিন, গাজা ও নাবলুসের জ্বলন্ত ছাই থেকে। মুহাম্মাদ ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ, যিনি একাকী মুজাহিদের কাতারে শামিল হয়েছিলেন। তিনি দেখলেন, তিনি এমন এক দেশে রয়েছেন, যেখানে দখলদারিত্বকে বৈধ আর শিকারকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধই এই বীর মুজাহিদ মুহাম্মাদকে (আল্লাহ তাঁকে মুক্ত করুন!) উসকিয়ে দিয়েছিল।
তারপর রাজনীতিবিদেরা তাঁকে ‘পাগল’ বলে তকমা দিতে ছুটে আসল, আর অবিচারপূর্ণ বিচারব্যবস্থা তাঁকে ১১৮টি অভিযোগে অভিযুক্ত করল।
কিন্তু তোমরা? গাজার মাতাদের পক্ষ থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে কতগুলো অভিযোগ আসবে, সেটা তোমাদের হিসাবে আছে? ধ্বংসস্তূপের নিচে জন্ম নেওয়া সেই নবজাতক—যাকে জন্মদিনেই হত্যা করা হলো—সে কীভাবে দাঁড়াবে তোমাদের বিচারের কাঠগড়ায়? সেই নবজাতক যখন তোমাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে তখন তোমরা কী জবাব দেবে? কত বছর ধরে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শাস্তি দেবে তাদেরকে—যারা খুনিদের হাতে তুলে দিয়েছে অস্ত্র? যারা শুধু মুসলমানদেরকেই নয়, মানবজাতিকেই বঞ্চিত করেছে শ্বাস নেওয়ার ন্যূনতম অধিকার থেকেও?
এই আক্রমণের প্রকৃত কারণ হলো—আমেরিকার অপরাধ। এটি একটি প্রতিবিম্ব—ঐ উম্মাহর প্রতিবিম্ব, যাকে প্রতিরাতেই বোমায় ঝাঁঝরা করা হয়েছে, আর পশ্চিমা রাজধানীগুলোতে একটি পাতাও কাঁপেনি।
এই হামলা গাজার শত শত দগ্ধ শিশুর প্রতিচ্ছবি...ভূমিচ্যুত মিনারগুলোর প্রতিচ্ছবি...প্লাস্টিকের ব্যাগে করে সন্তানের শরীরের খণ্ডিত অংশ বয়ে চলা মায়েদের প্রতিচ্ছবি...এক নৃশংস আইনি ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি—যা মানবাধিকার ও আত্মরক্ষার অধিকারের কথা বলে, তবে কেবল তখনই, যখন সেই মানুষটি মুসলিম না হয়। বোল্ডারে যা ঘটেছে, তা ছিল এক প্রবল আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত—যা বিস্ফোরিত হয়েছে তারই উৎপাদকের মুখের উপর। তোমরা—আমেরিকা সরকার—এই দৃশ্য তোমরাই নির্মাণ করেছো। তোমরাই সেই দখলদারদের হাতে তুলে দিয়েছো তিনশত বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা—নির্বিচারে, নিঃশর্তে।
তোমরাই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রুখে দিয়েছো, তোমরাই সেই বোমা তৈরি করেছো, যেগুলো গোটা পরিবারকে জীবন্ত মাটিচাপা দিয়েছে। তোমরাই এই আগুনে ঘি ঢেলেছো—এবং এখন যখন সেই আগুন তোমাদের নিয়ন্ত্রণ ছাড়িয়ে গেছে, তখন ভয় দেখানোর ভান করছো!
এখন তোমরা বিচারকের আসনে বসে গিয়েছো—বীর মুজাহিদ মুহাম্মাদকে (আল্লাহ তাঁকে মুক্ত করুন) ঘোষণা করছো ‘পাগল’, ‘সন্ত্রাসী’, ‘হুমকি’ হিসেবে। কিন্তু বলো তো—আসল সন্ত্রাসী কে? সে কি, যে একটি মলোটভ ককটেল ছুড়ে মেরেছে? নাকি সে, যে সাদা ফসফরাস দিয়ে সাধারণ নাগরিকদের দগ্ধ করেছে? সে কি, যে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করেছে—“তোমরা গাজার কত শিশু হত্যা করেছো?” নাকি সেই সন্ত্রাসী—যে নিশ্চুপ থেকেছে, যখন একটি গোটা জাতিকে শ্বাসরোধ করে রাখা হয়েছে অবরোধের মধ্যে?; যখন স্বাধীনতার নামে গোটা দেশকে পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া হয়েছে?
বোল্ডারের ঘটনা ছিল একটি স্ফুলিঙ্গ—গল্পের শেষ নয়। বরং, সেটি ছিল একটি আগুনের আঁচ, যা ত্বরান্বিত করে দিয়েছে আমেরিকার বিকৃত মুখোশের খোলস খুলে পড়া। এই আগুন নগ্ন করে দিয়েছে তোমাদের ভূমিকাকে—তোমরা যারা ‘বিকৃত গণতন্ত্র’ নিয়ে গর্ব করো, আর যুদ্ধাপরাধীদেরকে বুক ভরা পদক দিয়ে সম্মানিত করো। এই আগুন উন্মোচন করেছে তোমাদের মিডিয়াকে—সেই মিডিয়া, যারা বোল্ডারের আগুনকে বলে ‘সন্ত্রাসবাদ’, কিন্তু গাজার আগুনকে বলে ‘বৈধ প্রতিক্রিয়া’। বোল্ডারে যা বিস্ফোরিত হয়েছিল সেটা শুধু একটি মলোটভ ককটেল নয়—জ্বলে উঠেছিল ভণ্ডামির প্রাসাদ। তবুও যে কণ্ঠস্বরটি সবার আগে প্রতিবাদ জানাতে পারতো—সেই কণ্ঠ অনুপস্থিত ছিল। এইবার সেই অনুপস্থিত কণ্ঠ বলে না কোনো বিশ্বাসঘাতক সরকার, না কোনো তাগুতি শাসক, যারা আল্লাহর আইন ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে শাসন করে—এমন কাউকেই বোঝাচ্ছি না; বরং এইবার অনুপস্থিত ছিল আমেরিকার মুসলিম কমিউনিটি। একটি কমিউনিটি—যা আকারে ও প্রভাবশালী অবস্থানে পশ্চিমা জগতে মুসলিমদের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যখন সত্যের মুহূর্ত আসে—তারা নীরবতায় গুটিয়ে যায়, একপ্রান্তে সরে দাঁড়ায়, সংঘাত এড়াতে চায়, দ্বিধাভরে কথা বলে—যেখানে স্পষ্টভাবে শরীয়তের ভাষা প্রয়োগ করা উচিত ছিল। আমেরিকার মুসলিম সমাজ—যাদের সামনে আল্লাহর হুকুম পৌঁছে গেছে, যাদের হাতে রয়েছে মিম্বর, মসজিদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম—তাদের জন্য আজ আর মুজাহিদ ও আল্লাহর রাস্তায় লড়াইকারীদের কাতার থেকে পেছনে থাকা বৈধ নয়। তাদের জন্য বৈধ নয়—কোনো নিরাপদ, রাজনৈতিক ছায়ায় কাঁপতে থাকা ভাষা ব্যবহার করা, বা শহীদির মর্যাদা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির চেয়ে নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া। আমেরিকায় মুসলমানদের উপস্থিতি কেবল শরণার্থী হিসেবে নয়, কোনো এক কোণের নিঃসঙ্গ প্রবাসী হিসেবেও নয়—বরং এটি একটি গঠনমূলক, প্রভাবশালী জনসমষ্টি, জনসংখ্যা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে যাদের দৃঢ় উপস্থিতি রয়েছে। তবুও যখন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত উপস্থিত হয়—তাদের আচরণ থেকে অনেক সময় মনে হয় তারা যেন একটি হৃদয়হীন দেহ। এইখানেই নির্মমতম ব্যঙ্গ: যাদের বিরুদ্ধে ‘উসকানির’ অভিযোগ আনা হয়, অথবা যাদের বৈধ জিহাদি কাজকে কলঙ্কিত করা হয়—তারা পড়ে যায় নিঃসহায় অবস্থায়। কোনো ঢাল থাকে না তাদের জন্য, যা তাদের রক্ষা করতে পারে এই জায়নবাদী মিডিয়া সুনামির হাত থেকে। কোনো ভাষা থাকে না, যা বোঝাতে পারে—তাদের রাগ রাগ-ক্ষোভ অমূলক নয়, তাদের আগুন শূন্যতা থেকে জন্মায়নি।
দখলদারি একটি অপরাধ। বন্দীত্ব একটি অপরাধ। আর যে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে, যে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, যে সম্মানের সঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়ে—তাকে কি শুধুই বিকৃত, অবমাননাকর এক চিত্রে রূপান্তর করা যায়? তার নৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট মুছে ফেলা যায়?
যুদ্ধের ময়দানের বিষয়ে কুরআনের কণ্ঠস্বর কোথায় গেল? সংঘর্ষের আয়াতগুলো কোথায় হারিয়ে গেল—এই হত্যার যুগে? জুলুম যখন সর্বত্র প্রতিযোগিতা করছে, ঠিক তখনই কেন ম্লান হয়ে গেল আল্লাহপ্রদত্ত জিহাদের বিধান?
আল্লাহ তাআলা বলেন:
اذن للذين يقاتلون بانهم ظلموا وان الله على نصرهم لقدير
“যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হচ্ছে, তাদেরকে যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কারণ তাদের ওপর জুলুম করা হয়েছে।” [সূরা হজ্জ ২২:৩৯]
কোথায় তারা—যাদেরকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে? কোথায় তারা—যারা অবিচারের শিকার? জালিম কি এখন গর্বভরে মাটি চাপড়ে হাঁটবে—আর মজলুম দাঁড়াবে নগ্ন পিঠে, নিরস্ত্র ও নিরুপায়?
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:
فقاتل في سبيل الله لا تكلف إلا نفسك وحرض المؤمنين
“তুমি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করো; তুমি দায়ী নও কারো জন্য, শুধু নিজের দায়িত্ব তোমার হাতে। আর মুমিনদের যুদ্ধের প্রতি উৎসাহিত করো।” — [সূরা নিসা ০৪:৮৪]
আর তাই—আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন একা, এই দ্বীনের ভার নিজের কাঁধে নিয়ে, পুরো উম্মাহর পক্ষ হয়ে।
আজ আমরা গাজার ট্র্যাজেডি, জেরুজালেমের মিনার, আর শিশুদের লাশ বয়ে বেড়াই নিদাল হাসান, উমার আল-ফারুক, রামজী ইউসুফ, মুহাম্মাদ আল-শামরানী, আর সম্প্রতি মুহাম্মাদ সাবরি সুলাইমান এর মতো কয়েকজন খাঁটি মুজাহিদের কাঁধে। উম্মাহ কি নিরাপত্তাকে কুরবানীর উপর প্রাধান্য দিলো? অস্ত্র আর আদর্শকে অপরাধীর কাছে সস্তায় বিক্রি করলো? জিহ্বাকে শাসকের পকেটের অনুগত করে দিলো? দাঁড়াও, হে মুসলিম, ভাবো: যদি শিশুদের লাশ তোমাকে ক্ষুব্ধ না করে, যদি মসজিদে বোমা আর আল-আকসায় হামলা তোমার হৃদয় আন্দোলিত না করে—তাহলে আর কখন তোমাদের হুঁশ ফিরবে? যদি জিহাদের আয়াত কানে না বাজে, তবে আবার শোনো আর বোঝো আল্লাহ কী চান। আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট বলেছিলেন বনু কুরাইজার বন্দীদের কাছে, যখন তারা চুক্তি ভঙ্গ করেছিল: ‘তোমরা কী মনে করো আমি তোমাদের কী করবো?’ তিনি এটা ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেননি—বলেছিলেন ইসলামের ন্যায়বিচার দিতে। আমরা কি এতটাই নিচে নেমে এসেছি—যে এখন প্রতিটি জিহাদি কাজের জন্য ক্ষমা চাই? প্রতিটি সাহসী কথায় কাঁপতে থাকি? আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র বহনের সাহস দেখানোর কারণে মজলুমকে দোষ দিতে থাকি?
আমরা এমন এক উম্মাহ, যাদের তখনই মৃত্যু ঘটে যায়, যখন তারা নিজেদের শাহাদাতের রক্তকে অস্বীকার করে। আমরা কেবল অপমানিত হই যখন নিষ্ক্রিয়তা বেছে নিই এবং জিহাদকে পরিত্যাগ করি। আমরা কেবল পরাজিত হই যখন সত্যের পতাকা শত্রুদের হাতে সমর্পণ করি। পশ্চিমে বসবাসকারী সকল মুসলিম- বিশেষত আমেরিকাবাসীদের প্রতি এটা এক দাওয়াত: অপমানের মৃত্যু থেকে জেগে উঠার, আল্লাহর পথে জিহাদের জীবনে প্রবেশ করার, ওহীর গ্রন্থগুলোকে তাদের যথার্থ স্থানে ফিরিয়ে আনার এবং অকল্যাণ ও জুলুমের রাষ্ট্র আমেরিকার চোখে চোখ রেখে ঐশী বাণীকে পুনরুজ্জীবিত করার; মসজিদের শীতল বিচ্ছিন্নতায় তা পরিত্যাগ না করার। এটা এক কান্না বিজড়িত আহ্বান: দাঁড়াও। জেগে ওঠো। দুর্বল হয়ো না। যুদ্ধ করো। তোমার দ্বীনকে হন্তারকের কাছে অপমানজনক মূল্যে বিক্রি করো না। কারণ আল্লাহর পথে জিহাদ ফরযে আইন- এর বিধান সীমানা দ্বারা রহিত হয় না, বিপর্যয় দ্বারা নিভে যায় না। জিহাদ ফিকহের বইয়ের প্রান্তিক টীকা নয়, নয় আবেগপ্রবণ সমাবেশে উত্থাপিত ক্ষণস্থায়ী স্লোগান- এটা আল্লাহর পাক হুকুম, এই উম্মাহর উপর ফরয, যাতে তারা মানবজাতির উপর সাক্ষী হতে পারে এবং এই দ্বীনকে বহন করতে পারে—যেমন আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বহন করেছিলেন—কষ্টের সময়ে এবং বিজয়ের সময়ে।
كتب عليكم القتال وهو كره لكم وعسى أن تكرهوا شيئا وهو خير لكم وعسى أن تحبوا شيئا وهو شر لكم
“তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে যদিও তা তোমাদের জন্য অপ্রিয়। কিন্তু এমনও হতে পারে তোমরা কোনো জিনিসকে অপছন্দ কর অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর।” (সূরা বাকারা ০২:২১৬)
এই আয়াত নাযিল হয়েছে এ ঘোষণা দিতে যে কিতাল, যতই কঠিন বা ভারী হোক না কেন, তা জীবন ও মুক্তির দরজা- যখন অন্য সব দরজা বন্ধ। আর সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত নবী এই দ্বীনের সর্বোচ্চ চূড়া সম্পর্কে বলেছেন:
رَأسُ الأمْرِ الإسْلامُ وَعَمُودُهُ الصلاة وَذِرْوَةِ سِنَامِهِ الجِهادُ
“সম্পূর্ণ বিষয়ের মূল হলো ইসলাম, এর স্তম্ভ হলো সালাত, আর এর সর্বোচ্চ চূড়া হলো আল্লাহর পথে জিহাদ।” [তিরমিযী ২৬১৬]
তাহলে এটা কোন ধরনের উম্মাহ যারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে অথচ তাদের দ্বীনের চূড়ান্ত অংশকে ধ্বংস হতে দেয়? আর সে কেমন মুসলিম যে মিহরাবে কাঁদে কিন্তু যখন মসজিদে আগুন দেওয়া হয় এবং সালাতরত মুসল্লিদের হত্যা করা হয় তখন তার হৃদয় কাঁপে না? হে মুসলিমরা... জিহাদ বর্বরতা নয়। এটি একটি ঐশী ব্যবস্থা যা পৃথিবীতে ন্যায়ের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে যখন অন্য সব ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়। এটি প্রথম প্রতিকার, যখন আন্তর্জাতিক প্রস্তাবসমূহ গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার হাতিয়ারে পরিণত হয়। আর যখন আমাদের বিরুদ্ধে তরবারি উত্থাপিত হয় এবং আমরা আক্রান্ত হই, তখন জিহাদ অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে, অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। ন্যায় যখন ডুবে যায় তখন তরবারিকেই কথা বলতে দাও, কারণ কেবল তরবারিই পাল্লাকে ঘুরিয়ে দিতে পারে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
ان الله اشترى من المؤمنين انفسهم واموالهم بان لهم الجنة يقاتلون في سبيل الله فيقتلون ويقتلون
“নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করেছেন জান্নাতের বিনিময়ে। তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, তারা হত্যা করে এবং নিহত হয়।” (সূরা তাওবাহ ০৯:১১১)
তাহলে এই পবিত্র লেনদেনের পরও কি আমরা ভয় পাই? আল্লাহ তাআলা যখন রক্ত ঝরানো এবং জানমাল ও সম্মান কুরবান করার বিনিময়ে আমাদেরকে জান্নাতের প্রস্তাব দিয়েছেন, আমরা কি মিথ্যা নিরাপত্তার দেয়ালের পিছনে পিছু হটবো?
হে মুসলিম উম্মাহ! জেনে রাখো—জিহাদ কোনো আগ্রাসন নয়, যেমনটি তারা মিথ্যা রূপে প্রচার করে। বরং জিহাদ হলো—প্রথম এবং শেষ প্রতিরক্ষার প্রাচীর সেই ইসলামী উম্মাহর জন্য, যার ভূমি দখল করা হয়েছে, যার সম্মানে আঘাত এসেছে, যার শহর ও শিশুরা আমাদের চোখের সামনে নির্মূল হয়ে যাচ্ছে।
অতএব—নিজের লেখায় লেখো, সমাবেশে বলো, সন্তানদেরকে শেখাও এই সত্য—জিহাদ হলো ফরযে আইন। এটা বাতিল হয় না শাসকদের বিশ্বাসঘাতকতায়, মুছে যায় না পর্দার আড়ালের প্রতারণায়, বন্ধ হয় না হোয়াইট হাউজের জায়নবাদীদের রচিত কোনো আইনব্যবস্থায়।
বীর মুজাহিদ মুহাম্মাদ সাবরী সুলাইমানের এই আক্রমণে
আছে পথনির্দেশ—পশ্চিমা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য এবং সাহসী মুজাহিদদের জন্য।
১. বীর মুহাম্মাদ সুলাইমান একটি অস্ত্র ক্রয় করার চেষ্টা করেছিলেন এবং গণহারে গুলি চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু মার্কিন আইনে তার অবৈধ অভিবাসন মর্যাদার কারণে তা করতে পারেননি। এখানে উল্লেখ্য যে, কোনো একক মুজাহিদ আমেরিকায় ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডের’ মাধ্যমে লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র কিনতে পারেন। এজন্য ‘গোস্ট গান’ তৈরির জন্য প্রস্তুত যন্ত্রাংশ কিনে তা হাতে গড়ে নেওয়া যায়, যার দুটি সুবিধা রয়েছে:
প্রথমত, এতে তদারকি কম এবং প্রাপ্তির উপায় সহজ।
দ্বিতীয়ত, অস্ত্রটি সিরিয়াল নম্বরবিহীন থাকবে।
অস্ত্রটি মেশিনগান হলে ভালো। যদি এতে কোনো বাধার সম্মুখীন হন, তবে কালোবাজার, অনলাইন বিজ্ঞাপন বা ফ্রি সেল অফারের মাধ্যমেও অস্ত্র কেনার চেষ্টা করা যায়, কারণ এই বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মূল কথা হলো, আমেরিকায় ৩৯০ মিলিয়নেরও বেশি অস্ত্র সহজলভ্য। আমেরিকায় অস্ত্র পাওয়ার চেয়ে সহজ কিছু নেই। তাই কোনো অপারেশনে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত অস্ত্র না পাওয়া পর্যন্ত মোলোটভ ককটেল নিক্ষেপ, ছুরিকাঘাত বা গাড়ি দিয়ে ধাওয়া ইত্যাদি শুরু না করাই ভালো।
২. যদি তুমি কোনো অস্ত্র সংগ্রহ করতে না পারো, তবে তোমার হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়ে কাজ করো। যেমন রান্নাঘর থেকে বোমা বানানো, ‘ইন্সপায়ার’ ম্যাগাজিনের নির্দেশনা অনুসরণ, যা পশ্চিমা দেশগুলিতে একাকী মুজাহিদদের জন্য নির্দেশনা ও পথনির্দেশনা প্রদান করে এবং একাকী শিকারিকে পশ্চিমা হত্যাকারী যন্ত্রের সর্বোচ্চ ক্ষতি ও ধ্বংস সাধনে সহায়তা করে। যদি তুমি ‘ইন্সপায়ার’ নির্দেশিকা পাওয়ার সক্ষমতা না রাখো, তবে আল্লাহর সাহায্য চাও এবং তোমার হাতের কাছে থাকা উপায়গুলো ব্যবহার করো, যেমন গাড়ি দিয়ে ধাওয়া করা, ছুরিকাঘাত করা বা বীর মুজাহিদ মুহাম্মাদ সুলাইমানের মতো মোলোটভ ককটেল নিক্ষেপ করা। যদি শেষ উপায় হিসেবে মোলোটভ ককটেল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নাও, তবে মোলোটভে অবশ্যই একটি জ্বলনশীল পদার্থ এবং একটি স্থিতিশীল পদার্থ থাকতে হবে, যেমন চিনি, সাবান, প্লাস্টিক, কর্ক বা অগ্নিসংযোগকারী তেল।
৩. প্রতিটি মুজাহিদের উচিত নিজ দ্বীন সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান অর্জন করা এবং আল্লাহর পথে জিহাদ ও শাহাদাতের প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করা, যাতে সে দৃঢ় বিশ্বাস ও অটল ঈমান নিয়ে তার জিহাদি অপারেশন শুরু করতে পারে।
৪. অপারেশনটি হেড ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করে ফেসবুক লাইভ বা ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচার করা সর্বোত্তম পদ্ধতি, যাতে আমাদের শত্রুরা (নিউজিল্যান্ডে) মুসলিমদের হত্যা করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছে তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে না থাকে।
৫. একই দেশের কোনো মিডিয়া আউটলেটের সাথে যোগাযোগ করে অপারেশন ও এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানানো যাতে তারা এটি গোপন রাখতে না পারে (মিডিয়া নম্বরগুলো আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে), যেমন ফ্রান্সে কুয়াচি ভাইয়েরা করেছিল।
৬. যদি কোনো কারণে গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়, তাহলে নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে একাধিক থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
৭. X (টুইটার) ও ফেসবুকে নিজের আসল নাম ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং অভিযানের সময় বার্তাটি পোস্ট করুন। বার্তাটি আগেই তৈরি করে রাখা বাঞ্ছনীয়।
৮. (এভাবে পোস্ট করতে পারেন যে,) আমি যে কাজটি করেছি, তা হলো ফিলিস্তিন ও অন্যান্য মুসলিম ভূমিতে নিপীড়িত আমাদের ভাই-বোনদের আর্তচিৎকারের প্রতিক্রিয়া এবং আমাদের নবীর সম্মান, আমাদের কিতাবের পবিত্রতা ও এই উম্মাহর মর্যাদার পক্ষে অবস্থান—যেগুলোর উপর আমেরিকা ও পশ্চিমারা সীমালঙ্ঘন করে এসেছে। (আরো লিখতে পারেন): জেনে রাখো—তোমরা কখনোই নিরাপত্তা উপভোগ করতে পারবে না যতদিন তোমরা মুসলমানদের বিষয়াবলিতে হস্তক্ষেপ করে যাবে এবং জায়নবাদী রাষ্ট্রকে অটল সমর্থন দিয়ে যাবে। আমি আমার মুসলিম ভাই-বোনদের আহ্বান জানাই—তারা যেন আল্লাহর দ্বীনের সাহায্যে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে, উম্মাহকে রক্ষা করে এবং শরীয়তের পথে, নিজেদের সামর্থ্যের সীমার মধ্যে থেকে জুলুম দূরীকরণ এবং সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে।
৯. একটি ভিডিও রেকর্ড করে সেখানে নিজের চূড়ান্ত বার্তা ও ইচ্ছা রেখে তা অনলাইনে আপলোড করা যেতে পারে। এ ধরনের বার্তা লেখার তুলনায় অনেক বেশি প্রভাব ফেলে।
১০. যদি সম্ভব হয়, তাহলে অভিযানের সময় সরাসরি ভিডিও ধারণ করে বার্তা প্রচার করা যেতে পারে, যেমনটি যুক্তরাজ্যের মুসলিম আদেবোলাজো করেছিলেন—তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে গণমাধ্যম তার বার্তা ধারণ করছে। তবে বাস্তবে এটি সমন্বয় করা কঠিন হতে পারে। কিন্তু যদি সুযোগ আসে, তবে এটি সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
১১. অভিযানের সময় উচ্চস্বরে বারবার ‘আল্লাহু আকবার’ উচ্চারণ করা—এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে শত্রু আর ঘটনাটি গোপন করতে পারে না।
বিকল্পভাবে, আমেরিকা এবং ক্রুসেডার পশ্চিমাদের দ্বারা মুসলমানদের উপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং মুসলিম ভূমিতে তাদের হস্তক্ষেপ ও জায়নবাদীদের প্রতি তাদের সমর্থনের বিরুদ্ধে উচ্চস্বরে প্রতিবাদ জানানোটা উপস্থিত লোকদের কাছে কাঙ্ক্ষিত বার্তা পরিষ্কারভাবে পৌঁছে দেওয়ার একটি উপায় হতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—অভিযানের বার্তাটি যেন মরে না যায়। এটি কেবল আপনার একার বিষয় নয়; এটি মুসলমানদের প্রাপ্য এক অধিকার। যদি এই বার্তা অবহেলিত হয়, তাহলে শত্রু আপনার নীরবতাকে কাজে লাগাবে—তাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে একজন ‘পাগল’, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ অথবা ‘দুনিয়ার লোভে চালিত’ ব্যক্তি হিসেবে। তারা আপনার কার্যকলাপকে উপস্থাপন করবে এমনভাবে—যেন তা মানসিক অস্থিরতা কিংবা বস্তুগত লাভের হতাশা থেকে জন্ম নিয়েছে। এইভাবে তারা আড়াল করতে চায় আপনার প্রকৃত মহৎ উদ্দেশ্য ও উচ্চতর ইসলামী লক্ষ্যকে, যার প্রতি আপনি সত্যিকারভাবে বিশ্বস্ত।
এ ধরনের বিকৃতির মূল কারণ হচ্ছে—অভিযানকারীর ব্যর্থতা, সে স্পষ্টভাবে অভিযানের পেছনে থাকা বার্তাটি তুলে ধরতে পারেনি।
অতএব এই বিষয়ে সচেতন ও মনোযোগী হোন— আপনার জিহাদি প্রচেষ্টার সামরিক ও নিরাপত্তাগত প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আপনি যে মনোযোগ ও প্রস্তুতি দেন, এই বিষয়েও ঠিক সেই মাত্রায় মনোযোগ দিন।
১২. যে পদ্ধতিতে আক্রমণ চালাতে চান, তার সাথে যতটা সম্ভব উপযুক্ত লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন করুন। সবচেয়ে ভালো লক্ষ্যবস্তু হলো—জায়নবাদী সত্তার পক্ষে থাকা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি, সরকারি দপ্তরসমূহ, অথবা কোনো রাস্তায় অবস্থানরত পুলিশ বাহিনী। আক্রমণের সময় চমক বা আচমকা হামলার কৌশল ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি সাধন করা যেতে পারে।
১৩. একজন একাকী যোদ্ধার উচিত—এই মুহূর্তে আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা অস্থিরতার সুযোগ গ্রহণ করা, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে। এসব বিক্ষোভ প্রায়শই সংঘর্ষ ও রাস্তার বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয়। এই ধরনের পরিস্থিতি মুজাহিদদের জন্য এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে—যেখানে তারা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত হামলা চালাতে সক্ষম।
পরিশেষে বলতে চাই— হে মুসলিম উম্মার সন্তানগণ... মন দিয়ে শোন: সময় এসেছে যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হওয়ার—তোমাদের ঢাল-তলোয়ার হাতে নেওয়ার, প্রস্তুত হওয়ার—
নিজেদের ও উম্মাকে রক্ষা করার, আর আমেরিকার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি করার। নিষ্ঠুর আমেরিকান আইন ব্যবস্থা নির্যাতিতদের প্রতি কোনো দয়া দেখায় না, ভগ্ন হৃদয়ের আর্তনাদেও সাড়া দেয় না—এটি শুধু এক জিনিসকে ভয় করে: জিহাদি আগ্নেয়গিরি, যখন তা উদ্গীরিত হয়। কসাইয়ের টেবিলের দিকে হাত বাড়িও না, আর স্যুট-পরিহিত খুনিদের কাছ থেকে ন্যায়বিচার আশা কোরো না। কারণ আমেরিকার আইনে রক্তের মর্যাদা দেওয়া হয় না—যতক্ষণ না তা হত্যাকারীর স্বদেশের বুকে প্রবাহিত হয়।
হোয়াইট হাউসের খুনিদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই: আমরা দুর্বল নই, যেমনটা তোমরা ভাবো—আর মৃতও নই, যেমনটা তোমরা কামনা করো। হিসাব-নিকাশের সময় তোমাদের কাছে আসবেই—একজন মুজাহিদের হাত এমনভাবে তোমাদেরকে হিসাব বুঝিয়ে দেবে, যা তোমরা কল্পনাও করতে পারবে না।
আমাদের এই প্রতিজ্ঞা কোনো রক্তপাত বা প্রাণনাশে আনন্দিত জাতি হওয়ার কারণে নয়, কারণ আমরা এমন জাতি নই। বরং এই প্রতিজ্ঞা এ কারণে যে তোমরা সব পথ রুদ্ধ করেছো, সব দরজা বন্ধ করে দিয়েছো, আর সত্যকে তোমাদের মিডিয়ার খননকৃত কবরের নিচে পুঁতে রেখেছো।
হে মুসলিম উম্মাহ! আল্লাহ আমাদের পাঠিয়েছেন অন্য বান্দার দাসত্ব থেকে—তাঁর বান্দাদের মুক্ত করতে—সকল বান্দার প্রভুর দাসত্বের দিকে; এই দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে—এই দুনিয়া ও আখিরাতের প্রশস্ততার দিকে; মানুষের তৈরি জুলুমের মতাদর্শ থেকে—ইসলামের ন্যায়বিচারের দিকে।
মানুষকে সঠিক পথে আনা তাদের রক্ত ঝরানোর চেয়ে আমাদের কাছে অধিক প্রিয়— কিন্তু আমরা ভালোভাবেই জানি ক্রোধকে কীভাবে মরণ আঘাতে রূপান্তর করতে হয়। আর বোল্ডারের ঘটনাটি অন্ধকার হতাশার মুখে সচেতন কৌশলের এক প্রতিবিম্ব—কারণ প্রতিটি কর্মেরই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। বোল্ডারে তোমরা যে আগুন দেখেছো—তা ইনশাআল্লাহ আসন্ন অগ্ন্যুৎপাতের এক ক্ষুদ্র অংশ মাত্র (বিইজনিল্লাহ)—এটা কোনো কল্পনা নয়, নিছক সম্ভাবনাও নয়—এ এক অকাট্য সত্য। যে দিন উম্মাহ জেগে উঠবে, লাঞ্ছনার ধুলা ঝেড়ে ফেলবে, হাতিয়ার তুলে নেবে এবং উপলব্ধি করবে—যারা তাদের সন্তানদের হত্যা করেছে... তারা হচ্ছে তোমরা!
এই বীরের (মুহাম্মাদ সাবরী সুলাইমান) ইচ্ছা ও বাণী (অসিয়ত)—আল্লাহ যেন তাঁকে মুক্তি দেন!
আমার প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরা, আমার সাথে এক মুহূর্ত ভাবুন: আমাদের দৈনন্দিন মুসলিম জীবনে কোন বাক্যটা আমরা সবচেয়ে বেশি উচ্চারণ করি? ‘আল্লাহু আকবার!’ আল্লাহ সর্বমহান। ইহুদীবাদীদের চেয়ে মহান। আমেরিকা ও তার অস্ত্রশস্ত্রের চেয়ে মহান। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের চেয়ে মহান। তাঁর সৃষ্টি সকল বস্তুর চেয়ে মহান।
তাহলে কেন—
কেন আমরা তাঁর সৃষ্টিকে ভয় করি, আর আল্লাহকে ভয় করি না? আল্লাহ সকল কিছুর চেয়ে মহান।
তাহলে হে মুসলিমগণ, তোমরা কেন ভীত? আমরা এমন এক প্রভুর ইবাদত করি, যিনি যখন কোনো কিছুকে বলেন “হও!”—তা তখনই হয়ে যায়। আমি কীভাবে তাঁর চেয়ে নগণ্য কোনো কিছুর ভয় পেতে পারি? আল্লাহ মৃত ভূমিকে পুনর্জীবিত করেন—আমি কীভাবে রিযিকের অভাবের ভয় পেতে পারি? নিশ্চয়ই আল্লাহ হচ্ছেন “আর-রাযযাক”—সর্বোত্তম রিযিকদাতা।
فَوَرَبِّ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ إِنَّهُ لَحَقٌّ مِّثْلَ مَا أَنَّكُمْ تَنطِقُونَ
“আকাশ ও পৃথিবীর রবের শপথ এটা (কুরআন) সত্য, ঠিক তেমনই যেমন তোমরা কথা বলো।” (সূরা আয-যারিয়াত ৫১:২৩)
কেন আপনি অন্যায়ের সামনে নীরব থাকবেন? কেন আপনি অপমান ও লাঞ্ছনার জীবনে বেঁচে থাকবেন? আরও সহজভাবে বলি: যদি আমি প্রতিদিন আমার স্ত্রী বা ছেলেকে একই কথা বলি—কোনো কিছু করতে বলি—আর তারা বারবার সেটি উপেক্ষা করে, তবে কি আমি স্বাভাবিকভাবেই কষ্ট পাবো না? এতে কি আমাদের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হবে না? এখন ভাবুন: মহান আল্লাহ আমাদের প্রতিদিন, বারবার বলেন—আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি জায়নবাদীদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি—সব কিছুর চেয়ে মহান। শুধু আল্লাহু আকবার। আল্লাহই হলেন সর্বাধিক ভয়ের যোগ্য—সব কিছুর ঊর্ধ্বে।
আমার মা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই ও পরিবারকে বলছি—আমি আল্লাহর সামনে এবং আপনাদের সকলের সামনে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে—আমি আপনাদের খুব ভালোবাসি। কিন্তু আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের প্রতি ভালোবাসা—তোমাদের চেয়ে এবং এই দুনিয়া ও তাতে যা কিছু আছে—সব কিছুর চেয়ে বেশি প্রিয়। আল্লাহ কবুল করুন, আপনারা আল্লাহর হেফাযতে থাকুন!
আল্লাহু আকবার
ভুলবেন না: আল্লাহু আকবার
আবারও বলি: আল্লাহু আকবার
কবিতা:
আমাদের সম্মানকে জবাই করা হয়েছে– আর চোখ থেকে রক্তঝরা আলো নিঃশেষ হয়েছে,
মিথ্যা শাসকের ফাঁসিতে আমাদের আত্মা ঝুলছে, একেবারে অসহায়।
সেই দরজাগুলোয় তা মরেছে, যেখানে একসময় আমরা গর্ব নিয়ে দাঁড়াতাম,
আজকের তলোয়ারগুলো নীরব, আর কলমগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে।
এই ভূমিগুলো ধীরে ধীরে মরছে—দোয়ার নীরবতার মাঝেই,
আর শাসকেরা আমাদের রক্ত ও মাটির ওপর মিম্বার গড়ে নিচ্ছে।
তারা কসাইকে মহিমান্বিত করে—যদিও তার হাত রক্তে রঞ্জিত,
আর বিশ্বাসঘাতককে তারা আকাশে তুলে, যেন তাকেই নিয়তি বেছে নিয়েছে।
তারা সত্যের মৃতদেহের ওপর ভোজের আয়োজন করে,
আর আমাদের যুবকদের দহনকালে তারা দর কষাকষিতে ব্যস্ত।
এমন ভাব তারা দেখায়, যেন প্রার্থনার কণ্ঠরোধ তারা করেনি,
বা শিশুদের মুখের হাসি তারা ছুরি দিয়ে কেটে নেয়নি।
আমাদের সম্মানকে কসাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে—
কোথাও কি কোনো মুজাহিদ নেই?
আপনারা কি এখনও সেই কাপুরুষতার ভয়ে ক্লান্ত হননি?
তাদের দেওয়া ‘শান্তির’ কবরে সম্মানের সাথে ঢুকে পড়বেন না,
ওটা শুধু শব্দের খোদাই—ভেতরে লুকানো এক অভিশপ্ত ঘর।
আগুন তুলে নিন, পিছিয়ে যাবেন না,
কারণ সত্যের পথে শহীদ হওয়া সর্বোচ্চ মর্যাদার পথ।
আপনার অস্ত্রকে জ্বালিয়ে তুলুন এবং সেই আগুন যেন সত্যেরই প্রতিচ্ছবি হয়,
কারণ যদি তা নিভে যায়, তাহলে আপনার অস্তিত্বের মানেও মুছে যাবে।
পর্যাপ্ত হয়েছে এই লজ্জাজনক আত্মসমর্পণ,
প্রত্যেকটি আপস আপনাকে আরও গভীরে ডুবিয়ে দিচ্ছে।
‘ধৈর্যশীল’ সে কী লাভ করে, যদি শিকল এখনো পায়ে বাঁধা থাকে?
আর জিহাদহীন ধৈর্য—তা এক নীরব লজ্জা।
আমরা আমাদের জীবন উৎসর্গ করি সেই দীপ্তিময় বিপ্লবের জন্য,
যা রাত ভেদ করে কুরআনের সুবহে সাদিক উদিত করবে।
হে আল্লাহ, আমরা আপনার কাছে চেয়ে নিই—আমাদের সেই ভাইদের জন্য দ্রুত ও নিকটবর্তী মুক্তি, যারা আমেরিকাসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে বন্দী হয়ে আছে।
হে সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী আল্লাহ, আমরা চেয়ে নিই—আপনি যেন পশ্চিমের সেই গোপন মুজাহিদদের কৌশল তত্ত্বাবধান করেন, তাদের জন্য সাফল্য এবং কবুলিয়াত নির্ধারণ করেন!
আমরা কামনা করি—আমাদের সব কাজ যেন আপনার মহিমান্বিত সন্তুষ্টির জন্য হয় এবং তা যেন ফিলিস্তিনসহ মুসলিম ভূমিতে নিপীড়নের বোঝা হালকা করার উপায় হয়।
আর আমাদের শেষ কথা: ‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।’
Lone Jihad Guide Team:
রবিবার, জুন ২২, ২০২৫
একটি দল, যারা মুসলিমদের বিশেষ করে আমেরিকায় মুসলিমদের অবস্থার দিকে নজর রাখে।
তারা ওপেন-সোর্স নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনা দিয়ে চেষ্টা করে মুসলিম ও মুজাহিদদের আত্মরক্ষা, অত্যাচারিতদের সহায়তা এবং উম্মাহর সংগ্রামের পক্ষের হাতকে শক্তিশালী করতে।
‘পরবর্তী মুজাহিদের অপেক্ষায়...’
OSJ– ওপেন সোর্স জিহাদ
মুসলিমদের শক্তিশালী করার লক্ষ্যে
আল-মালাহেম মিডিয়া
“হে আল-আকসা, আমরা আসছি!”
*****
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent
Comment