
আল ফিরদাউসের সম্পাদক মুহতারাম ইবরাহীম হাসান হাফিযাহুল্লাহ’র কলাম:
এনসিপি নেতা আক্তার হোসেন আমেরিকা গিয়ে এশিয়া সোসাইটির সভাপতি হোয়া কাং-এর সাথে হাত মেলায়নি।
সম্মান রেখেছে, সৌজন্য দেখিয়েছে—কিন্তু হাত মেলায়নি। ব্যস! এতেই শাহবাগী আর সেক্যুলার গোষ্ঠীর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে।
তাদের যুক্তি!
“একজন মহিলার সাথে হাত না মেলানো মানেই আপনি মৌলবাদী!”
অথচ, মুখে এরা গলা ফাটায় “সবার স্বাধীনতা থাকতে হবে”—কিন্তু বাস্তবে ইসলামী সংস্কৃতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের সামান্য প্রকাশও এরা সহ্য করতে পারে না। কারণ শাহবাগীদের আসল কনফ্লিক্ট একমাত্র ইসলামিক সংস্কৃতির সাথেই।
এরা শুধু মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা মুখেই বলে! কিন্তু বাস্তবে কারো ধর্মীয় মূল্যবোধের সামান্য প্রকাশও তারা মেনে নিতে পারে না। মূল সমস্যা হলো, এরা ইসলামিক সংস্কৃতিক- মূল্যবোধ কে সহ্য করতে পারে না। এরা চায় পাশ্চাত্যের নষ্ট কালচার—মদ, অশালীনতা, ধর্মবিহীন জীবনধারা ইত্যাদিতে এদেশের মানুষ অভ্যস্ত হোক।
কারণ তাদের চোখে পাশ্চাত্যের তথাকথিত সভ্যতা মানেই শেষ কথা। ইসলামিক শালীনতা বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কোনো মূল্য নেই। আপনি যদি তাদের মতো পুরোপুরি পশ্চিমা না হন, যদি তাদের অন্ধ অনুকরণের রাস্তায় না হাঁটেন, তাহলে আপনার কপালে মৌলবাদীর তকমা জুটবেই।
সেক্যুলার-শাহবাগীরা সুশীল সাজতে গিয়ে স্বাধীনতার কথা বলবে, কিন্তু ইসলামের ধর্মীয় স্বাধীনতা মেনে নেবে না। এই ব্যাপারে তারা জিরো টলারেন্স নীতি চর্চা করে। এটাকেই বলে আসল ভণ্ডামি।
বাঙ্গু স্যাকুদের কাছে পশ্চিমা নষ্টামি মানেই সভ্যতা!
আর ইসলামী শালীনতা মানেই মৌলবাদ!
Comment