Announcement

Collapse
No announcement yet.

হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন: মুসলিম বোনদের ইজ্জতের ওপর প্রকাশ্য হামলা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন: মুসলিম বোনদের ইজ্জতের ওপর প্রকাশ্য হামলা

    হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন: মুসলিম বোনদের ইজ্জতের ওপর প্রকাশ্য হামলা


    আল ফিরদাউসের সম্পাদক মুহতারাম ইবরাহীম হাসান হাফিযাহুল্লাহ’র কলাম:

    সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও তে দেখা যায়, গোপালগঞ্জের লঞ্চঘাট এলাকায় বোরকা পরিহিতা মুসলিম বোনদের স্থানীয় হিন্দু ছেলেরা রাস্তায় ইভটিজিং করছে। তাদের মুসলিম আইডেন্টিটি ও পর্দার কারণে মালাউন মুশরিকরা উত্যক্ত করছে। সেই ভিডিও আজ প্রতিটি মুসলিমের বুক চিরে রক্ত ঝরাচ্ছে। বোরকা পরিহিত আমাদের বোনদের স্থানীয় হিন্দু ছেলেরা প্রকাশ্যে উত্যক্ত করছে, তাদের ইজ্জত ও মর্যাদার ওপর বর্বর আঘাত হানছে।

    এটা কোনো একদিনের ঘটনা নয়—এটা মুসলিম উম্মাহর পরিচয়, ঈমান আর নারীদের পবিত্রতার ওপর হিন্দুত্ববাদীদের এক পরিকল্পিত, সুসংগঠিত হামলা। তারা চায় আমাদের বোনদের ইজ্জত মাটিতে মিশিয়ে দিতে, আমাদের বোনদের অপবিত্র করতে।

    কিন্তু প্রশ্ন হলো—আমরা কি চুপচাপ বসে থাকব? আমরা কি আমাদের বোনদের শালীনতা ও পর্দার প্রতীক বোরকার ওপর আঘাত সহ্য করব?

    আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে মুসলিম নারীদের পর্দার মাধ্যমে সম্মান ও নিরাপত্তার কথা বলেছেন:

    يٰۤاَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِّاَزْوَاجِكَ وَبَنٰتِكَ وَنِسَآءِ الْمُؤْمِنِيْنَ يُدْنِيْنَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيْبِهِنَّ ؕ ذٰلِكَ اَدْنٰۤي اَنْ يُّعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا

    “হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবে*র কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা আহযাব, আয়াত: ৫৯)

    * জিলবাব হচ্ছে এমন পোশাক যা পুরো শরীরকে আচ্ছাদিত করে।

    আজ এই মুশরিকরা সেই পবিত্র নিরাপত্তার দেয়াল ভেঙে দিতে চাচ্ছে। অথচ আমরা নীরব! এই নীরবতা কাপুরুষতা নয় কি? এটা কি ঈমানের দুর্বলতা নয়?

    হিন্দুত্ববাদীরা আমাদের বোনদের উত্যক্ত করার সাহস পেয়েছে আমাদের নিষ্ক্রিয়তা থেকে, আমাদের বিভক্তি থেকে। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

    عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْت رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم يَقُولُ: “مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ” .
    [رَوَاهُ مُسْلِمٌ].

    আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে কেউ কোন অন্যায় দেখলে তা সে তার হাত দ্বারা প্রতিহত করবে, যদি তা সম্ভব না হয় তবে মুখ দ্বারা প্রতিহত করবে, তাও যদি না করতে পারে তাহলে অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করবে। আর এ হচ্ছে (অন্তর দিয়ে প্রতিহত করা) দুর্বলতম ঈমান।” [মুসলিম: ৪৯]

    তাহলে আমাদের বোনদের ইজ্জতের ওপর আঘাত হতে দেখে নিশ্চুপ বসে থাকা কি ঈমানের সর্বনিম্ন স্তরেরও নিচে নেমে যাওয়া নয়?

    আজ যখন আমরা দেখি, ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের কলেজের ছাত্ররা তাদের প্রতিষ্ঠানের ইস্যুতে দলবেঁধে মাঠে নামে, প্রাতিষ্ঠানিক সাম্প্রদায়িকতা কিংবা দলীয় সাম্প্রদায়িকতার মত তুচ্ছ ইস্যুতে সংঘর্ষে জড়ায়—তখন প্রশ্ন জাগে, মুসলিম বোনদের ইজ্জতের প্রশ্নে উম্মাহর যুবকরা কেন চুপ করে থাকবে? কেন তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে, যখন তাদের বোনেরা অনিরাপদ? অনর্থক খেলাধুলা, আড্ডা-বিনোদন, দলান্ধতার মত অহেতুক ইস্যুতে যুবকরা নিজেদের সময়, শক্তি ও মেধা ব্যয় না করে বোনদের হেফাজতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে সময় ও শ্রম বিনিয়োগ করাটাই কি উত্তম না?

    মুহাম্মাদ বিন কাসিমের মতো আমাদের পূর্বপুরুষরা এক মুসলিম বোনের আহ্বানে তলোয়ার হাতে হিন্দুস্তানে ছুটে এসেছিলেন। আর আজ আমাদের চোখের সামনে শত শত মুসলিম বোন অপমানের শিকার হলেও আমরা নীরব থাকব? এটি কি একজন মুমিনের কাজ?

    হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ

    এই বোরকা পরিহিতা বোনদের যারা লাঞ্ছিত করছে- এই মালাউন মুশরিকরা উম্মাহর শত্রু। ওরা শুধু এতটুকুতেই ক্ষ্যান্ত নয়!- এরা ভাগ‌ওয়া লাভ ট্র্যাপ নামক হিন্দুত্ববাদী যৌন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। মুসলিম বোনদের টার্গেট করে তাদের ইজ্জত লুটে নেওয়ার ঘৃণ্য অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে।

    এদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিকভাবে দলবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। প্রতিটি মুসলিম যুবককে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি মহল্লা, প্রতিটি শহর, প্রতিটি কলেজের মুসলিম ভাইদের একত্রিত হয়ে বোনদের নিরাপত্তার জন্য দৃঢ় প্রাচীর গড়তে হবে

    হে মুসলিম যুবক! আজ সময় এসেছে ঘুম ভাঙার। সময় এসেছে বীর পূর্বপুরুষদের মতো বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর। মনে রেখো—ইজ্জত রক্ষার লড়াই শুধু নারীদের নয়, পুরো উম্মাহর ঈমানের দায়িত্ব।

    ঐক্যবদ্ধ হও। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হও। প্রতিরোধ গড়ে তোলো। আমাদের বোনদের নিরাপত্তা আর উম্মাহর সম্মান রক্ষার জন্য মাঠে নামো। এটাই ঈমানের দাবি, এটাই মুসলিম ভাইয়ের কর্তব্য, এটাই পূর্বপুরুষদের উত্তরাধিকার।
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    হে মুসলিম যুবক! আজ সময় এসেছে ঘুম ভাঙার। সময় এসেছে বীর পূর্বপুরুষদের মতো বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর। মনে রেখো—ইজ্জত রক্ষার লড়াই শুধু নারীদের নয়, পুরো উম্মাহর ঈমানের দায়িত্ব।​
    হে আল্লাহ​, এই দায়িত্ব পালনের তাওফিক প্রতিটি মুসলিম যুবককে দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X