গাজীপুর মুসলিম শিশু ধর্ষণ: উম্মাহর বোনদের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন ও সেক্যুলারদের দ্বিচারিতা

আল ফিরদাউসের সম্পাদক মুহতারাম ইবরাহীম হাসান হাফিযাহুল্লাহ’র কলাম:
১ অক্টোবর, সকাল সাড়ে এগারোটা! গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার সুরাবাড়ীতে পূজামণ্ডপের পাশে একটি জঘন্য, নৃশংস অপরাধ সংঘটিত হয়। মণ্ডপের সহসভাপতি, মালাউন ধর্ষক ভজেন্দ্র সরকার, একটি আট বছরের নিরীহ মুসলিম শিশুকে ধর্ষণ করে! পরবর্তীতে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় শিশুটিকে মণ্ডপের পাশের একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটি মুসলিম শিশু ও কিশোরীদের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীদের নোংরা, পরিকল্পিত আগ্রাসনের একটি অংশ!
সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘটনার এক ভয়াবহ ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর, সিলেটের বিয়ানীবাজারে হিন্দু পুরোহিত নবদ্বীপ বৈদ্য একটি ১২ বছরের মুসলিম কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পঞ্চগড়ে, একটি পাঁচ বছরের মুসলিম শিশু প্রতিবেশী হিন্দু কিশোর কনিক রায়ের হাতে ধর্ষিত হয়। এগুলো কেবল গত কয়েক দিনের ঘটনা! হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা মুসলিম শিশু ও কিশোরীদের উপর যৌন নির্যাতনের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এই অপরাধগুলোর পেছনে রয়েছে ত্বাগুত প্রশাসনের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থন, যারা এই মালাউন ধর্ষকদের মদত দিয়ে উম্মাহর বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠনের পথ সুগম করে দিচ্ছে।
হিন্দুত্ববাদীদের কুখ্যাত “ভাগওয়া লাভ ট্র্যাপ” এখন আমাদের দেশে বহুলাংশে বিস্তার করেছে। এই ফাঁদে ফেলে মুসলিম মেয়েদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে মালাউন মুশরিকরা। ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা এখন বাংলাদেশের মাটিতে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে—এবং এর শিকার হচ্ছে আমাদের নিরীহ শিশু থেকে শুরু বৃদ্ধা পর্যন্ত আমাদের মা-বোনেরা!
কিন্তু এই নৃশংসতার মুখে কোথায় আমাদের তথাকথিত সুশীলতার মুখোশধারী সেক্যুলার সমাজ? কোথায় সেই নারীবাদী সংগঠনগুলো, যারা বিধর্মী মেয়েদের উপর সামান্যতম ঘটনায় সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই হৈচৈ শুরু করে দেয়? যখন ভিক্টিম মুসলিম, তখন এই সেক্যুলার মিডিয়া ও নারীবাদীদের মুখে কুলুপ এঁটে যায়! তাদের এই নীরবতা কি কেবল উদাসীনতা, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে গভীর ষড়যন্ত্র ও ইসলামবিদ্বেষ? মুসলিম শিশুদের ইজ্জত লুণ্ঠনের ঘটনায় সেক্যুলার মিডিয়ার নির্লজ্জ নিশ্চুপ ভূমিকা এবং নারীবাদীদের ভণ্ডামি একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়: তাদের আসল শত্রু ইসলাম ও মুসলিম সম্প্রদায়!
হিন্দুত্ববাদী প্রভাবে মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে একটি বিষাক্ত আখ্যান তৈরি করা হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায় আক্রান্ত হওয়ার কোনো অভিযোগ উঠলেই তা অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হয়, কিন্তু মুসলিমরা আক্রান্ত হলে এরা নীরব থাকে। এই দ্বিচারিতা আর সহ্য করা যায় না! এই নীরবতা শুধু পক্ষপাত নয়, এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একটি সুসংগঠিত ষড়যন্ত্র ও যুদ্ধ ঘোষণা!
আমরা আর চুপ থাকব না! এই হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন, সেক্যুলার ভণ্ডামি, এবং তথাকথিত নারীবাদীদের নীরবতার বিরুদ্ধে আমাদের উত্তপ্ত প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। আমাদের বোনদের ইজ্জত রক্ষায় আমরা ঐক্যবদ্ধ হব। এই অপরাধীদের বিচার এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের মুখোশ উন্মোচন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই থামবে না!
Comment