আফ্রিকা থেকে ভেসে আসছে পশ্চিমা দখলদারদের কোমর ভাঙার শব্দ

আল ফিরদাউসের সম্পাদক মুহতারাম ইবরাহীম হাসান হাফিযাহুল্লাহ’র কলাম:
সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়নের তথাকথিত শান্তিরক্ষা মিশন (ATMIS) এখন নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হাঁপাচ্ছে! ১৮০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘাটতির কারণে এই মিশন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই অর্থ সংকট পশ্চিমা দখলদারদের দুর্বলতার প্রকাশ—তাদের শোষণের ভিত কেঁপে উঠছে!
মিশনের পর্যবেক্ষকরা বলছে, তহবিল না পেলে এই মিশনের নিরাপত্তা কার্যক্রম ভেঙে পড়বে। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি এই সংকটকে আরও তীব্র করেছে, যা আফ্রিকায় পশ্চিমা প্রভাবের কবর খুঁড়ছে। ২ অক্টোবর শাহাদাহ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার জেনারেলদের বলেছে, “কেনিয়া ও সোমালিয়ার মতো দেশগুলোকে রক্ষা করা আমেরিকার দায়িত্ব নয়।” এই কথা আমেরিকার ক্লান্তি ও পরাজয়ের স্বীকারোক্তি!
আমেরিকা ও তার ক্রুসেডার মিত্ররা যুগ যুগ ধরে আফ্রিকার সম্পদ লুট করেছে, মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দমিয়ে রেখেছে। ১৯ শতকের স্ক্র্যাম্বল ফর আফ্রিকা থেকে শুরু করে আধুনিক ঔপনিবেশিক শোষণ পর্যন্ত, তারা ইসলামের শান্তিপূর্ণ বিস্তারকে বাধাগ্রস্ত করেছে। কিন্তু এখন তাদের দিন শেষ হয়ে আসছে! ১ অক্টোবর ২০২৫ সোমালিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে, ইথিওপিয়া ও জিবুতিতেও তাদের কার্যক্রম খর্ব করা হয়েছে। এই পশ্চাদপসরণ তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক পরাজয়ের স্পষ্ট প্রমাণ।
শাহাদাহ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী— ২ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উদ্বেগ নিয়ে জেনারেলদের উদ্দেশে বলেছে, “কেনিয়া ও সোমালিয়ার মতো দেশগুলোকে রক্ষা করা আমেরিকার দায়িত্ব নয়।”
যেই আমেরিকা ও তার সহযোগীরা আফ্রিকার দেশগুলোতে যুগ যুগ ধরে শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে আজ তাদের মুখে ফুটে উঠছে ক্লান্তির ছাপ! এ যেন “ছাইড়্যা দে মা কাইন্দা বাঁচি” অবস্থা!
১ অক্টোবর সোমালিয়ায় বাজেট সংকটের কারণে মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে ইথিওপিয়া ও জিবুতিতেও মার্কিন দূতাবাসগুলোর আংশিক কার্যক্রম বন্ধ করেছে দখলদার যুক্তরাষ্ট্র।
ইসলামী বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অতি শীঘ্রই আফ্রিকার দেশগুলোতে পশ্চিমা ও তার ক্রুসেডার মিত্রদের শোষণ ও শাসন প্রক্রিয়ার অধ্যায়ের সমাপ্তি হতে চলেছে।
তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক কোমর ভাঙার শব্দ আফ্রিকার মরুভূমি থেকে ভেসে আসছে!
ইসলামী বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা শোষণের অধ্যায় শেষ হতে চলেছে! মুজাহিদদের উত্থান, বিশেষ করে আশ শাবাব মুজাহিদিন, এই দখলদারদের কোমর ভেঙে দিচ্ছে। ২০০৬ সালে আল কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা সংশ্লিষ্ট হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদিনের উত্থানের পর, বিদেশী শক্তি ও তাদের দালাল ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে তারা জিহাদ শুরু করে। তারা এই অ্যাপোস্টেট শাসনকে ধ্বংস করে ইসলামী শরিয়াহ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে চলেছে। তাদের প্রতিরোধ পশ্চিমা শক্তির সামরিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতাকে উন্মোচিত করেছে।
মুজাহিদদের এই উত্থান কেবল সোমালিয়ায় নয়, পুরো আফ্রিকায় ইসলামী জাগরণের ভিত। পশ্চিমা দখলদারদের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাদের সাম্রাজ্যবাদী স্বপ্ন আফ্রিকার মরুভূমিতে চাপা পড়ছে, আর মুজাহিদদের পদধ্বনি বিজয়ের সুসংবাদ বয়ে আনছে।
Comment