Announcement

Collapse
No announcement yet.

সেক্যুলার শাসনব্যবস্থা: আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে অপমানের বৈধতা!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সেক্যুলার শাসনব্যবস্থা: আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে অপমানের বৈধতা!

    সেক্যুলার শাসনব্যবস্থা: আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে অপমানের বৈধতা!



    আল ফিরদাউস এর সম্পাদক মুহতারাম ইবরাহীম হাসান হাফিযাহুল্লাহ’র কলাম:

    কখনও কখনও মনে হয়—এই ভূখণ্ডে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আবেগ -অনুভূতি, ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের কোনো মূল্য নেই।
    যখন কেউ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের শানে বেয়াদবি করে, আমাদের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়, বুকে আগুন জ্বলে।
    কিন্তু রাষ্ট্রের চোখে, সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীদের মনে—এ যেন কোনো ঘটনাই নয়।
    আজকের বাংলাদেশে যেন আল্লাহকে অপমান করা “ফ্যাশন”, আর সেই অপমানকারীদের সাফাই গাওয়া “উদারতা”!

    বাউল শিল্পী আবুল সরকার আল্লাহর বিরুদ্ধে জঘন্য কটূক্তি করেছে!—এটা কোনো তুচ্ছ ঘটনা নয়।
    এটা ঈমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধ।
    আর এই যুদ্ধে ফরহাদ মজহারের মতো কথিত সেক্যুলার ও নাস্তিকরা যখন তার পাশে দাঁড়ায়, তখন বোঝা যায় – এই সমস্যাটা দৃষ্টিভঙ্গির, সমস্যাটা পুরো সেক্যুলার মানসিকতা, সমস্যাটা গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার,

    দুঃখের বিষয়, এই নাস্তিক , সেক্যুলারদের কটূক্তি নতুন নয়। আজ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কে নিয়ে ব্যঙ্গ,
    কাল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কটূক্তি, তারপর আবার কোনো এক নাস্তিক এসে ঈমানদারদের হৃদয়ে ছুরি মারে।

    আর রাষ্ট্র?
    রাষ্ট্র কখনও এদের ধর্ম অবমাননার শাস্তি নিশ্চিত করে না; বরং “ফ্রিডম অব স্পিচ” নামে তাদের জন্য নিরাপদ জানালা খুলে দেয়!
    কথিত সেক্যুলার রাজনৈতিক দলগুলো আবার যেন অচিরেই সেই অপরাধীদের রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়ায়।
    যারা ইসলামকে উপহাস করে, তাদের পিঠে হাত রেখে হাসে; আর যারা ইসলাম রক্ষার কথা বলে তাদের মুখ চেপে ধরে।

    এ কেমন বিচার?
    এ কেমন রাষ্ট্রব্যবস্থা?

    যে রাষ্ট্র ঈমানদার মানুষের রক্তে দাঁড়িয়েছে, সেই রাষ্ট্র আজ ঈমানদারদের অনুভূতিকে সবচেয়ে সস্তায় বিক্রি করছে! সেক্যুলার ব্যবস্থায় মুসলমানের কোনো মূল্য নেই- এটাই বাস্তবতা

    ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- সেক্যুলার ব্যবস্থায় ইসলাম সবসময়ই নিপীড়িত। এটা তাদের স্বভাব। তাওহীদকে তারা ভয় পায়, ঈমানকে তারা সহ্য করতে পারে না।

    আপনি যদি আল্লাহকে ভালোবাসেন, আপনাকে বলা হবে- “আপনি উগ্র”।
    আপনি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইজ্জত রক্ষা করতে চান, বলা হবে- “আপনি আইন হাতে তুলেছেন।” কিন্তু কেউ আল্লাহকে গালি দিলে—ওহ, সেটা “শিল্প”! সেটা “বাক স্বাধীনতা”!

    এই শাসন ব্যবস্থা কখনো মুসলমানদের ন্যায়বিচার দেয়নি, দেবে না। বরং ক্রমেই আমাদের আরো লাঞ্ছিত, আরো তুচ্ছ, আরো অপমানিত করে তুলবে। মুসলমানরা আর কতদিন এই লাঞ্ছনা বয়ে বেড়াবে?

    এখন প্রশ্ন- আমরা কতদিন এই অপমান গিলতে থাকব?
    কতদিন এই ধর্মদ্বেষীদের হাতে আমাদের ঈমানকে জিম্মি করে রাখব? কতদিন নিজেদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ লুকিয়ে রাখব?

    যদি আজ আমরা চুপ থাকি,
    যদি আজ আমরা শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলি,
    তাহলে কালকে তারা আরও বড় বেয়াদবি করবে।
    তারা আরও প্রকাশ্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কটূক্তি করবে। কারণ তারা জেনে গেছে মুসলমানদের অনুভূতির মূল্য রাষ্ট্র স্বীকার করে না।

    সময় এসেছে সিদ্ধান্ত নেয়ার- কোন ব্যবস্থা আমাদের জন্য?

    মুসলিম উম্মাহর উচিত এখনই উপলব্ধি করা- আপনার নিরাপত্তা সেক্যুলার ব্যবস্থায় নেই। আপনার সম্মান সেক্যুলার রাষ্ট্র দেবে না, আপনার ঈমান রক্ষা করবে না কোনো সেক্যুলার আইন।

    মুসলমানদের প্রকৃত নিরাপত্তা নিহিত আছে নববী আদর্শের শাসনব্যবস্থায়। যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সম্মান অক্ষুণ্ণ থাকে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মর্যাদা সর্বোচ্চে রাখা হয়। আর ঈমানদারদের মাথা উঁচু করে বাঁচার সুযোগ দেওয়া হয়।

    ইসলামী শরিয়াহ, এটাই মুক্তির পথ।

    আজ প্রয়োজন সাহসী সিদ্ধান্তের। মুষ্টিমেয় ইসলামবিরোধী, ধর্মদ্রোহী, কটূক্তিকারীদের হাতে আমাদের ঈমানকে বন্ধক দিয়ে আমরা আর কতদিন চলব? এদের হাতে নিজেদের ভবিষ্যৎ সঁপে দিলে লাঞ্ছনা ছাড়া আর কিছুই পাব না।

    মুসলিম উম্মাহর উচিত সেক্যুলার মানসিকতার শেকল ভেঙে ফেলা, আর ফিরে আসা সেই শাসনব্যবস্থায়, যেখানে মানুষ নয়- আল্লাহর বিধান সর্বোচ্চ। যেখানে ন্যায়বিচার হয়, যেখানে ঈমান নিরাপদ থাকে, যেখানে ইসলাম ও মুসলমান সম্মানিত হয়।

    আজ যদি আমরা এ কুফুরি ব্যবস্থা থেকে না ফিরি, তাহলে আগামী প্রজন্ম আরও গভীর লাঞ্ছনার শিকার হবে। আর আমরা দায়ী থাকব সেই অপরাধের জন্য।
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    মাহান (মহান) রব আমাদিগকে মাফ করুন আমিন।
    Last edited by Rakibul Hassan; 15 hours ago.

    Comment

    Working...
    X