Announcement

Collapse
No announcement yet.

Bengali Translation || ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি ও মুসলমানদের করণীয় || ২৫ রমজান ১৪৪৬ হিজরি | ২৫ মার্চ ২০২৫ ইংরেজি

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Bengali Translation || ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি ও মুসলমানদের করণীয় || ২৫ রমজান ১৪৪৬ হিজরি | ২৫ মার্চ ২০২৫ ইংরেজি


    مؤسسة الحكمة
    আল হিকমাহ মিডিয়া
    Al-Hikmah Media

    تـُــقدم
    পরিবেশিত
    Presents

    الترجمة البنغالية
    বাংলা অনুবাদ
    Bengali Translation

    بعنوان:
    শিরোনাম:
    Titled


    أحداث فلسطين وما يتوجب على المسلمين

    তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতুল আরব
    ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি ও মুসলমানদের করণীয়


    ২৫ রমজান ১৪৪৬ হিজরি | ২৫ মার্চ ২০২৫ ইংরেজি

    "The Situation in Palestine and the Duties of Muslims."






    সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য, যিনি বলেছেন:
    كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ ﴿٢١٦﴾
    তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।” (সূরা আল-বাকারা: ২১৬)
    দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর বিশ্বস্ত রাসূলের প্রতি, যিনি বলেছেন:
    وَوَدِدْتُ أَنِّي أُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَقْتَلُ، ثُمَّ أَحْيَا فَأُقْتَلُ، ثُمَّ أَحْيَا فَأُقْتَلُ
    আমি আল্লাহর পথে লড়াই করতে চাই এবং এতে নিহত হতে চাই, তারপর আবার জীবিত হয়ে যুদ্ধ করতে চাইএবং পুনরায় নিহত হতে চাই, তারপর আবার জীবিত হয়ে নিহত হতে চাই।
    (দুরুদ ও সালাম আরো বর্ষিত হোক..) তাঁর পবিত্র আহলে বাইত, সম্মানিত সাহাবাগণ এবং তাদের অনুসারীদের ওপর
    হে মুসলিম উম্মাহ!
    হে রমজান মাসের রোজাদার, তারাবির নামাজ আদায়কারী, ইতিকাফে মশগুল ইবাদতকারীগণ! হে কুরআনের ধারক-বাহক, হৃদয়ে ধারণকারী, ওলামা, দাঈ এবং দ্বীনের জন্য মুজাহাদাকারী আল্লাহর প্রিয় বান্দারা!
    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
    আমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি, তিনি যেন আমাদের ও আপনাদের রোজা, নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াত কবুল করেন। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, তিনি যেন এই বরকতময় মাসকে বিজয়, সাফল্য এবং আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠার মাস বানিয়ে দেন।
    হে মুসলিম উম্মাহ! ইহুদি দখলদাররা তাদের চিরাচরিত বিশ্বাসঘাতকতার পথেই আছে। তারা বারবার চুক্তি ভঙ্গ করে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে এবং মধ্যস্থতাকারীদের গ্যারান্টিকে উপেক্ষা করে মুসলমানদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা মুসলিম উম্মাহর অনুভূতিতে আঘাত হানছে, বিশেষত এই পবিত্র রমজান মাসে, যখন মুসলমানরা রোজা রাখছে, তারাবির নামাজ আদায় করছে, কুরআন তিলাওয়াত করছে এবং ইবাদতে মশগুল।
    এই মহান মাসের বরকতময় রাতগুলোতে যখন মুসলমানরা আল্লাহর রহমত ও করুণা লাভের জন্য ব্যস্ত, তখন আমাদের গাজায় অবস্থানরত মুসলিম ভাইয়েরা চরম দুঃখ-কষ্ট ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের ওপর বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে, তাদের হত্যা করা হচ্ছে, তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হচ্ছে এবং তাদেরকে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
    তারা শান্তিতে ইবাদত করার এবং নিরাপদে বসবাস করার অধিকার থেকেও বঞ্চিত। তাদের নিরপরাধ শিশুরা, নারী ও বৃদ্ধরা আজ শত্রুর নির্মম আক্রমণের শিকার। আমরা আল্লাহর দিকে ফিরে যাই এবং বলি:
    إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
    আমরা তো আল্লাহরই এবং অবশ্যই তাঁর দিকেই ফিরে যাব।
    এই ঘটনাগুলো, যদিও অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও কষ্টকর, তবুও এটি সেই পূর্বলক্ষণগুলোর অংশ, যা এই জালিম রাষ্ট্রের পতন ঘনিয়ে আসার বার্তা দিচ্ছে
    পরাক্রমশালী ও মহান আল্লাহর ইচ্ছায়।
    এই সত্যটিকে তাদের নিজেদের রাজনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরাও স্বীকার করেছে এবং এটি আল্লাহর সেই প্রতিশ্রুতিরই বাস্তবায়ন, যেখানে তিনি মুসলিম উম্মাহকে ইহুদিদের বিরুদ্ধে বিজয়ের সুসংবাদ দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন:
    إِنْ أَحْسَنتُمْ أَحْسَنتُمْ لِأَنفُسِكُمْ ۖ وَإِنْ أَسَأْتُمْ فَلَهَا ۚ فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ الْآخِرَةِ لِيَسُوءُوا وُجُوهَكُمْ وَلِيَدْخُلُوا الْمَسْجِدَ كَمَا دَخَلُوهُ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَلِيُتَبِّرُوا مَا عَلَوْا تَتْبِيرًا ﴿٧﴾‏
    তোমরা যদি ভাল কর, তবে নিজেদেরই ভাল করবে এবং যদি মন্দ কর তবে তাও নিজেদের জন্যেই। এরপর যখন দ্বিতীয় সে সময়টি এল, তখন অন্য বান্দাদেরকে প্রেরণ করলাম, যাতে তোমাদের মুখমন্ডল বিকৃত করে দেয়, আর মসজিদে ঢুকে পড়ে যেমন প্রথমবার ঢুকেছিল এবং যেখানেই জয়ী হয়, সেখানেই পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।” [সূরা আল ইসরা ৭]
    এটি এখন সকলের জন্য পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, এই ইহুদি রাষ্ট্র এবং তাদের ক্রুসেডার মিত্ররা গাজার নিরীহ মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই ভয়াবহ গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতা শুধুমাত্র একটি কারণেই সংঘটিত করছে—তারা জানে যে, মুসলিম বিশ্বের কাপুরুষ ও বিশ্বাসঘাতক সরকারগুলো কোনোভাবেই গাজার মুসলমানদের রক্ষার জন্য ন্যূনতম পদক্ষেপ নেবে না। তারা নিশ্চিত যে, এই শাসক গোষ্ঠী গাজা ও ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য কোনো সহানুভূতি বা সম্মান প্রদর্শন করবে না। বরং, এই শাসকরাই সেই কৃতজ্ঞ প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে, যারা এই কৃত্রিম ইহুদি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে এবং এমন প্রতিটি মুসলমানকে দমন করছে, যে তার দ্বীন ও মুসলিম ভাইদের জন্য লড়াই করতে চায়।
    হে আমাদের সম্মানিত উম্মাহ! আপনাদের কি এখনো সেই সত্য উপলব্ধি করার সময় আসেনি, যা আপনাদের মুজাহিদিন সন্তানরা বিগত কয়েক দশক ধরে চিৎকার করে বলে আসছে? বারবার তারা আপনাদের সামনে প্রমাণ হাজির করেছে যে, মুসলিমদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এই বিশ্বাসঘাতক সরকারগুলো আসলে ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রুদের দাসত্ব করছে। তাহলে আর কতদিন আপনারা এই শাসকদের প্রতি আনুগত্য ও আত্মসমর্পণ করতে থাকবেন, যারা ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রুদের মিত্রতা গ্রহণ করেছে?
    আমরা আমাদের মুসলিম উম্মাহর সমস্ত অংশকে—আলেম, দাঈ, যুবক, বৃদ্ধ, ব্যবসায়ী, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রভাবশালীদের—বিশেষত মিশর, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানাই:
    এই সুযোগ আবার এসেছে, যাতে আপনারা গাজার মুসলমান ভাইদের পাশে দাঁড়াতে পারেন, তাদের প্রতি দায়িত্বহীনতা ও বিশ্বাসঘাতকতার পোশাক ঝেড়ে ফেলতে পারেন। জিহাদের দরজা আবার খোলা হয়েছে, যাতে আপনারা আপনাদের রবের কাছে নিজেদের সত্যিকারের আনুগত্যের প্রমাণ দিতে পারেন এবং প্রমাণ করতে পারেন যে, আপনারা মুসলিম উম্মাহর অবিচ্ছেদ্য অংশ।
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন:
    إِنَّ هَٰذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُونِ ﴿٩٢﴾
    তারা সকলেই তোমাদের ধর্মের; একই ধর্মে তো বিশ্বাসী সবাই এবং আমিই তোমাদের পালনকর্তা, অতএব আমার বন্দেগী কর।” (সূরা আল-আম্বিয়া: ৯২)
    রাসূলুল্লাহ বলেন:
    إِنَّ مَثَلَ الْمُؤْمِنِينَ فِي تَوَادِّهِمْ وَتَرَاحُمِهِمْ وَتَعَاطُفِهِمْ، كَمَثَلِ الْجَسَدِ، إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ، تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّهَرِ وَالْحُمَّى.
    মুমিনদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতির দৃষ্টান্ত একটি দেহের মতো। যখন তার কোনো অঙ্গ ব্যথিত হয়, তখন সমগ্র দেহ অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং: ২৫৮৬)
    এখন সময় এসেছে আপনারা আপনাদের মুজাহিদ ভাইদের কাফেলায় যোগ দেওয়ার—এটি এমন এক মাস, যা জিহাদের জন্য বিশেষভাবে বরকতময়। আপনাদের রবের আহ্বানে সাড়া দিন। রাসূলুল্লাহ বলেছেন:
    مَوْقِفُ سَاعَةٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنْ قِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ عِنْدَ الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ
    আল্লাহর রাস্তায় এক ঘণ্টা অবস্থান করা, কাবার কাছে কদরের রাতে ইবাদত করার চেয়েও উত্তম।
    আপনারা যেন আবারও আপনাদের ভাইদের ধোঁকা দিয়েন না এবং তাদেরকে সেই বানর ও শুকরের সন্তানদের হাতে একা ছেড়ে না দেন, যারা দিনরাত তাদের হত্যা করছে। জেনে রাখুন, জিহাদ থেকে পিছু হটা ও মুসলমানদের সাহায্য না করা এক গুরুতর গুনাহ, যা আল্লাহর শাস্তি টেনে আনে এবং আপনাদের সম্মানহানি ঘটায়।
    আল্লাহর কসম! যদি সমগ্র উম্মাহ লাইলাতুল কদরের রাতে একত্রে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, একসাথে হজ্জে যায়, সমস্ত ফরজ যাকাত প্রদান করে, তবুও আল্লাহ তাদের লাঞ্ছনা ও দুর্বলতা দূর করবেন না—যতক্ষণ না তারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে, ইসলামের শত্রু ইহুদি-নাসারা ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, যারা আল্লাহর শরিয়ত পরিবর্তন করেছে, আল্লাহর বন্ধুদের হত্যা করেছে, মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব করেছে এবং পৃথিবীতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
    হে পৃথিবীর সকল মুসলমান! গাজায় নির্যাতিত মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধ প্রতিদিনই মুসলিম বিশ্বে থাকা স্বৈরশাসকদের আসল চেহারা উন্মোচিত করছে। এরা এমন একদল শাসক, যাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো—নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা, তা যতই লজ্জাজনক পন্থায় হোক না কেন, এমনকি যদি মুসলমানদের রক্তের বিনিময়েও হয়। আমাদের চোখের সামনে এখনো জর্দানের স্বৈরশাসক এবং আমেরিকার অপরাধী ট্রাম্পের সেই চিত্র ভাসছে, যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে এই বিশ্বাসঘাতক, স্বার্থপর শাসকদের প্রকৃত চরিত্র। তারা মূলত ইসলামের দুশমনদের দাসত্বেই অভ্যস্ত।
    আমাদের দায়িত্ব কী?
    প্রিয় উম্মাহ!
    আজ আমাদের ওপর এমন এক ফরজ দায়িত্ব বর্তেছে, যা আল্লাহ আমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন, আমাদের পরীক্ষা ও নিরীক্ষার জন্য। তিনি বলেন
    وَلَوْ يَشَاءُ اللَّهُ لَانتَصَرَ مِنْهُمْ وَلَٰكِن لِّيَبْلُوَ بَعْضَكُم بِبَعْضٍ ۗ وَالَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَلَن يُضِلَّ أَعْمَالَهُمْ ﴿٤﴾‏
    আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।” (সূরা মুহাম্মাদ: ৪)
    সুতরাং, আমরা যেন আল্লাহর আদেশ মেনে চলি, নিজেদের দুর্বলতার চাদর ঝেড়ে ফেলি এবং সেইসব লোকদের কথায় কান না দিই, যারা আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আল্লাহ বলেছেন
    وَلَوْ أَرَادُوا الْخُرُوجَ لَأَعَدُّوا لَهُ عُدَّةً وَلَٰكِن كَرِهَ اللَّهُ انبِعَاثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيلَ اقْعُدُوا مَعَ الْقَاعِدِينَ ﴿٤٦﴾
    আর যদি তারা বের হবার সংকল্প নিত, তবে অবশ্যই কিছু সরঞ্জাম প্রস্তুত করতো। কিন্তু তাদের উত্থান আল্লাহর পছন্দ নয়, তাই তাদের নিবৃত রাখলেন এবং আদেশ হল বসা লোকদের সাথে তোমরা বসে থাক।” [সূরা তাওবা-৪৬]
    তিনি আরও বলেছেন
    وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِينَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُونَكُمْ كَافَّةً ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ ﴿٣٦﴾‏
    আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন। “ [সূরা তাওবা-৩৬]
    প্রত্যেক মুসলমানের উচিত আত্মবিশ্লেষণ করা—কিয়ামতের দিনে আল্লাহ তাকে জিজ্ঞাসা করবেন: “তুমি তোমার ধর্ম ও গাজার নির্যাতিত মুসলমানদের সাহায্যে কী অবদান রেখেছ?” তাই, প্রত্যেককে এই প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুত রাখতে হবে।
    হে মুসলিম জাতি! যেমন সালাত ও সিয়াম আমাদের জন্য ফরজ, তেমনি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও জিহাদের প্রস্তুতিও ফরজ। আমাদের মুসলমানদের মধ্যে এক বিকৃত ধারণা হলো—জিহাদ নাকি শুধুমাত্র কোনো বিশেষ দলের দায়িত্ব, আর সাধারণ মুসলমানদের এ বিষয়ে চিন্তা না করলেও চলে! অনেকেই মনে করেন, “আমাদের ওপর তো আল্লাহর রাস্তায় লড়াই ফরজ নয়, এটি শুধু নির্দিষ্ট কিছু লোকের দায়িত্ব।
    এই ভুল ধারণা মানুষকে এমন এক অলীক জগতের দিকে নিয়ে গেছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র নিজেদের শখ ও আহ্লাদে নিমগ্ন। অথচ, আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও মুমিনদের সম্পর্কে বলেন
    لَٰكِنِ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ جَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ ۚ وَأُولَٰئِكَ لَهُمُ الْخَيْرَاتُ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ﴿٨٨﴾
    কিন্তু রসূল এবং সেসব লোক যারা ঈমান এনেছে, তাঁর সাথে তারা যুদ্ধ করেছে নিজেদের জান ও মালের দ্বারা। তাদেরই জন্য নির্ধারিত রয়েছে কল্যাণসমূহ এবং তারাই মুক্তির লক্ষ্যে উপনীত হয়েছে।” [সূরা তাওবা-৮৮]
    যদি কেউ এই আয়াতটি গভীরভাবে ধ্যানে নিমুগ্ন হয়, তবে সে উপলব্ধি করতে পারবে নবীজির এই হাদিসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য কত বেশি:
    مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَغْزُ، وَلَمْ يُحَدِّثْ بِهِ نَفْسَةٌ ، مَاتَ عَلَى شُعْبَةٍ مِنْ نِفَاقِ
    যে ব্যক্তি মারা গেল অথচ সে কখনো জিহাদ করেনি এবং তার মনেও কখনো জিহাদের কথা আসেনি, সে নিফাকের (মুনাফিকির) একটি শাখার ওপর মারা গেল।” (মুসলিম: ১৯১০)
    প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা, আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবারা সর্বদা নিজেদের জান-মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করেছেন। তাদের জীবন ছিল ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের এক অনন্য উদাহরণ। যারা বিনা ওজরে জিহাদ থেকে দূরে থাকে, তারা নিজেদের ঈমান ও আমলকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়।
    জিহাদ মানে হলো—আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য ও আন্তরিকতা। আর জিহাদ পরিত্যাগ করা মানে এই মহৎ গুণ থেকে বঞ্চিত হওয়া। আমরা যেন আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত না হই এবং এই মহা পরীক্ষায় ব্যর্থ না হই। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন এবং আমাদের ঈমানকে দৃঢ় করুন—আমিন!
    হে মুসলিম উম্মাহ! আজ যেসব নিরপরাধ ও অসহায় মুসলমানদের রক্ত অন্যায়ভাবে ঝরানো হচ্ছে, তা এক মহাবিপর্যয়। আল্লাহর শত্রু—যায়োনিস্ট ও ক্রুসেডাররা তাদের হত্যা করছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে এক অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
    لَزَوَالُ الدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ قَتْلِ مُؤْمِنٍ بِغَيْرِ حَقٌّ
    এই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়া আল্লাহর কাছে এক নিরপরাধ মুসলিম হত্যার চেয়ে সহজতর।
    তাহলে আমরা কি অনুধাবন করতে পারছি, যখন লক্ষ লক্ষ মুসলমানের রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে, এর প্রকৃত অর্থ কী? আল্লাহর কাছে এর মূল্য কতটুকু? যদি এই পৃথিবী অর্ধ লক্ষ বার ধ্বংসও হয়ে যায়, তবুও এটি গাজার নিরপরাধ মুসলমানদের ওপর চালানো গণহত্যার চেয়ে কম ভয়াবহ হবে।
    এ কারণেই আমরা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আহ্বান জানাই, তারা যেন তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ফিলিস্তিনের ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:
    وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا ﴿٧٥﴾
    আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।” [সূরা নিসা-৭৫]
    এছাড়াও, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সতর্ক করেছেন:
    مَا مِنِ امْرِئٍ يَخْذُلُ مُسْلِمًا فِي مَوْطِنِ يُنْتَقَصُ فِيهِ مِنْ عِرْضِهِ وَيُنْتَهَكُ فِيهِ مِنْ حُرْمَتِهِ إِلَّا خَذَلَهُ اللَّهُ فِي مَوْطِنِ يُحِبُّ فِيهِ نُصْرَتَهُ
    যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে বিপদের মুহূর্তে সাহায্য করতে ব্যর্থ হয়, আল্লাহ তাকে সেই সময়ে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দেবেন, যখন সে সাহায্য কামনা করবে।” [আবু দাউদ ৪৮৮৪]
    মুমিনরা পারস্পরিক ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও দয়ার মধ্যে আবদ্ধ। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:
    إِنَّ مَثَلَ الْمُؤْمِنِينَ فِي تَوَادِّهِمْ وَتَرَاحُمِهِمْ وَتَعَاطُفِهِمْ، كَمَثَلِ الْجَسَدِ، إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ، تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّهَرِ وَالْحُمَّى.
    মুমিনদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতির দৃষ্টান্ত একটি দেহের মতো। যখন তার কোনো অঙ্গ ব্যথিত হয়, তখন সমগ্র দেহ অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং: ২৫৮৬)
    হে মুসলিম উম্মাহ! তোমরা তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করো এবং এমন সুযোগ দিও না, যাতে শিয়ারা—যারা নিজেদের ফিলিস্তিনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করে—তোমাদের যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করতে পারে। তারা ফিলিস্তিনের ইস্যুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মুসলমানদের আকীদা ও মানসিকতা ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। অথচ বাস্তবে, তাদের গোলাবারুদ ও বোমাগুলো বরাবরই মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে, যা ইহুদিদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের আগেই মুসলিম রক্ত ঝরিয়েছে।
    হে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা! অতীতে আমাদের নেতা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন:
    من لكعب بن الأشرف فإنه قد آذى الله ورسوله
    কে আছো, যে কাব ইবনুল আশরাফকে হত্যা করবে? সে তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিচ্ছে।
    আজ আমরা তোমাদের বলছি:
    من لترامب ونتنياهو وأذنابهما من حكام العرب فإنهم قد آذوا الله ورسوله ؟
    কে আছো, যে ট্রাম্প, নেতানিয়াহু এবং তাদের আরব দোসরদের প্রতিহত করবে? যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিচ্ছে?
    আমরা আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা থেকে আহ্বান জানাই—যে কোনো মুসলমান যেন ইহুদি জায়োনিস্টদের হত্যা করে; যারা তাদের সমর্থন ও সহায়তা দিয়েছে, তাদের প্রতিহত করে। এ বিষয়ে কারো পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আল্লাহ সম্পর্কে ইহুদিদের যে ভয় আছে, তার চেয়েও তারা মুসলমানদের প্রতিরোধকে বেশি ভয় পায়। আল্লাহ বলেন:
    لَأَنتُمْ أَشَدُّ رَهْبَةً فِي صُدُورِهِم مِّنَ اللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَفْقَهُونَ ﴿١٣﴾
    নিশ্চয় তোমরা তাদের অন্তরে আল্লাহ তা’আলা অপেক্ষা অধিকতর ভয়াবহ। এটা এ কারণে যে, তারা এক নির্বোধ সম্প্রদায়।” (সূরা আল-হাশর: ১৩)
    যদি সরাসরি যুদ্ধ করা সম্ভব না হয়, তবে এমন কোনো উপায় বের করো, যাতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের অর্থনীতিকে দুর্বল করো, তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করো। তারা স্বস্তিতে জীবনযাপন করবে আর আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে থাকবে এমন যেন না হয়।
    আজ ফিলিস্তিনে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, তা জনগণের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকা এক গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতাকে উন্মোচন করে দিচ্ছে। এ বাস্তবতা হলো—আমাদের সম্মানিত শায়খ ওসামা বিন লাদেন (আল্লাহ তাকে কবুল করুন) বহু আগে থেকেই যে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন, তা আজ সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বলেছিলেন, ইসলামের এবং মুসলমানদের প্রধান শত্রু হলো আমেরিকা। অতএব, আমাদের উচিত এই দাম্ভিক রাষ্ট্রের প্রকৃত চেহারা ভালোভাবে চিনে নেওয়া, যারা আল্লাহ ও তাঁর দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমাদের উচিত তাদের বিরুদ্ধে শত্রুতার মনোভাব পোষণ করা এবং সামরিক, অর্থনৈতিক, বাকশক্তি ও প্রচার মাধ্যমসহ সব দিক থেকে তাদের মোকাবিলা করা। আমাদের কর্তব্য হলো তাদের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও দুশ্চিন্তাগুলো উদ্ঘাটন করা এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
    আমরা মুসলিম বিশ্বের শাসকদের উদ্দেশে আহ্বান জানাই—তারা যেন আমেরিকার গোলামী থেকে ফিরে আসে, তাদের বিশ্বাসঘাতকতা থেকে তাওবা করে, নিজেদের দ্বীন ও জনগণের সঙ্গে খেয়ানত করার পথ পরিহার করে। তারা যেন আল্লাহর ওপর ভরসা করে এবং নিজেদের জনগণের সহযোগিতা গ্রহণ করে, যাতে তারা তাদের উপর অর্পিত গুরুদায়িত্ব পালন করতে পারে—যা হলো মুসলমানদের ঈমান-আকিদা ও তাদের দ্বীন রক্ষা করা, ইসলামের শক্তি সংহত রাখা এবং এর মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা। অন্যথায়, আল্লাহর শাস্তি তাদের উপর আখেরাতের আগে এই দুনিয়াতেই নেমে আসবে।
    আল্লাহ তা'আলা তাঁর কিতাবে ইরশাদ করেছেন
    وَأَنذِرِ النَّاسَ يَوْمَ يَأْتِيهِمُ الْعَذَابُ فَيَقُولُ الَّذِينَ ظَلَمُوا رَبَّنَا أَخِّرْنَا إِلَىٰ أَجَلٍ قَرِيبٍ نُّجِبْ دَعْوَتَكَ وَنَتَّبِعِ الرُّسُلَ أَوَلَمْ تَكُونُوا أَقْسَمْتُم مِّن قَبْلُ مَا لَكُم مِّن زَوَالٍ
    অর্থ: আর আপনি মানুষকে সেই দিনের ব্যাপারে সতর্ক করুন, যেদিন তাদের কাছে শাস্তি আসবে, তখন যালিমরা বলবে—”হে আমাদের রব! আমাদেরকে কিছু সময় পর্যন্ত অবকাশ দিন, তাহলে আমরা আপনার আহ্বানে সাড়া দেব এবং রাসূলদের অনুসরণ করব।” (উত্তরে বলা হবে,) “তোমরা কি ইতিপূর্বে শপথ করনি যে, তোমাদের জন্য কোনো বিলুপ্তি নেই?[সূরা ইবরাহিম (১৪), আয়াত নং: ৪৪]
    وَسَكَنتُمْ فِي مَسَاكِنِ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنفُسَهُمْ وَتَبَيَّنَ لَكُمْ كَيْفَ فَعَلْنَا بِهِمْ وَضَرَبْنَا لَكُمُ الْأَمْثَالَ
    অর্থ: তোমরা তো তাদের বাসস্থানে বসবাস করেছিলে, যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল এবং তোমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, আমি তাদের সাথে কেমন আচরণ করেছি এবং তোমাদের জন্য দৃষ্টান্তও উপস্থাপন করেছিলাম।
    [সূরা ইবরাহিম (১৪), আয়াত নং: ৪৫]
    وَقَدْ مَكَرُوا مَكْرَهُمْ وَعِندَ اللَّهِ مَكْرُهُمْ وَإِن كَانَ مَكْرُهُمْ لِتَزُولَ مِنْهُ الْجِبَالُ
    অর্থ: তারা নিজেদের ষড়যন্ত্র করেছিল, কিন্তু আল্লাহর কাছে তাদের ষড়যন্ত্র সংরক্ষিত ছিল। যদিও তাদের কৌশল এমন ছিল, যা দ্বারা পাহাড়ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারত।
    [সূরা ইবরাহিম (১৪), আয়াত নং: ৪৬]
    فَلَا تَحْسَبَنَّ اللَّهَ مُخْلِفَ وَعْدِهِ رُسُلَهُ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ ذُو انتِقَامٍ
    অর্থ: সুতরাং আপনি কখনো মনে করবেন না যে, আল্লাহ তাঁর রাসূলদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
    [সূরা ইবরাহিম (১৪), আয়াত নং: ৪৭]
    আমরা এমন প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তির উদ্দেশে একটি বার্তা দিতে চাই, যার অন্তরে বিন্দুমাত্র ঈমান রয়েছে—বিশেষত মুসলিম জনগণের জন্য এবং আরও বিশেষভাবে যারা ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে বাস করছে। আমরা তাদের প্রশ্ন করি—আপনাদের ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা কি সম্মানজনক জীবন পাওয়ার যোগ্য নয়? তারা কি দখলদারিত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাওয়ার অধিকার রাখে না?
    আমরা জানি, অনেকেই এই প্রশ্ন করেন—”আমরা তো নিজেদের দেশেই শাসকদের নিপীড়নের শিকার, আমাদের হাত-পা বাঁধা, তাহলে আমরা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য কী করতে পারি?
    আমরা বলব—যদি আপনাদের অন্তরে সঠিক ইচ্ছা, দৃঢ় সংকল্প এবং আল্লাহর প্রতি প্রকৃত নির্ভরতা থাকে, তাহলে প্রথম করণীয় হলো—এই বিশ্বাসঘাতক মুরতাদ শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং তাদের হাত থেকে মুসলিম জনগণকে মুক্ত করা। এটিই হলো পবিত্র ভূমি মুক্ত করার সঠিক পথের প্রথম পদক্ষেপ।
    একজন রোগীকে চিকিৎসা করার জন্য প্রথমে তার রোগ শনাক্ত করতে হয়, তারপর রোগের কারণগুলো দূর করতে হয়, অবশেষে তার কারণগুলো মোকাবিলা করা হয়। একইভাবে, আমাদের প্রথমে আমাদের সমস্যা এবং শত্রুকে সঠিকভাবে চিনতে হবে, তারপর তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে, সবশেষে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ইনশাআল্লাহ, তখনই মুসলিম উম্মাহ সত্যিকার মুক্তির পথে এগিয়ে যেতে পারবে।
    অতএব, আমাদের বোঝা উচিত , যে রোগে উম্মাহ আক্রান্ত হয়েছে—লাঞ্ছনা ও অবমাননা, হত্যাযজ্ঞ ও বিতাড়ন, সম্পদ লুণ্ঠন, পবিত্র স্থানগুলোর অবমাননা, ইসলামী পরিচয় মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র, দ্বীন ও আকিদার চিহ্ন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা, তার মূল কারণ হলো বিশ্বাসঘাতক মুরতাদ শাসকদের নিপীড়ন, যা উম্মাহর উদাসীনতা ও আল্লাহ থেকে দূরে সরে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে আরও গভীর হয়েছে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করাই হলো উম্মাহর আরোগ্যের প্রথম ধাপ।
    এরপর প্রয়োজন—ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রযুক্তিগত সচেতনতার বিস্তার, পাশাপাশি সামরিক শক্তির প্রস্তুতি, যাতে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। আমাদের দায়িত্ব হলো—আল্লাহর পথে সংগ্রামরত মুজাহিদিনদের সহায়তা করা, যারা বহু দশক ধরে উম্মাহর আকিদা ও দ্বীনের রক্ষার অঙ্গীকার করে আসছে। তাই আমাদের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হলো—এই চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা, যেন আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এই কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
    কারণ, এটি অকল্পনীয় যে আমরা কুদস বিজয় করব, আমাদের মসজিদুল আকসা মুক্ত করব, অথচ তখনও কসাই আবদুল ফাত্তাহ সিসি ও বিশ্বাসঘাতকের পুত্র বিশ্বাসঘাতক আবদুল্লাহ দ্বিতীয় মুসলিমদের ওপর শাসন করবে, বিশেষত মিশর ও শামের মতো কেন্দ্রীয় ভূমিতে—যা প্রকৃত মুমিনদের ঘাঁটি। পাশাপাশি, যখনও পর্যন্ত বিন জায়েদরা তাদের ষড়যন্ত্রের আগুন ছড়াবে এবং মুসলিম উম্মাহকে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত রাখবে, বিশেষত আরব উপদ্বীপ ও অন্যান্য অঞ্চলে; যখনও পর্যন্ত আলে সাউদের তাগুতরা মুসলমানদের সম্পদ ব্যবহার করে ক্রুসেডার ও জায়নবাদীদের যুদ্ধের অর্থায়ন করবে—ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ মুক্তি পাবে না।
    শত্রুরা মুসলিম উম্মাহকে অন্ধকারে রাখার জন্য বহু কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যাতে সত্য তাদের কাছে পৌঁছাতে না পারে এবং তারা বুঝতে না পারে যে তাদের ও তাদের দ্বীনের বিরুদ্ধে কী ষড়যন্ত্র চলছে।
    স্বাধীন চিন্তা-চেতনার অধিকারী সামরিক কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা-
    আমরা এমন সব সামরিক কর্মকর্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসম্পন্ন নেতাদের উদ্দেশে এই বার্তা প্রেরণ করছি, যারা ইসলামি দেশগুলোতে বিশেষত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নেতৃত্বের আসনে রয়েছেন এবং অস্ত্রাগারে প্রবেশাধিকার রাখেন। আমরা তাদের বলতে চাই:
    আপনাদের মধ্যে কে আছেন, যারা আমাদের ভাই মাহের জিয়াব আল-জাযি (জর্ডান), পর্যটক হাসান সাকালানান (তুরস্ক), সৈনিক সুলায়মান খাতির, ভাই সাবির ফারহাত, সামরিক নেতা খালিদ ইসলামবুলি এবং স্নাইপার হুসাইন আব্বাস (আল্লাহ তাদের সকলকে রহম করুন ও কবুল করুন)–দের মতো হতে পারেন?
    জেনে রাখুন, সৃষ্টিকর্তার অবাধ্যতায় কোনো সৃষ্টি কর্তৃপক্ষের আনুগত্য গ্রহণযোগ্য নয়। আর এই স্বৈরাচারী শাসকরা আপনাদের কোনো উপকারে আসবে না। যেমন আল্লাহ ফেরাউন ও তার সৈন্যদের ধ্বংস করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেননি, তেমনি তিনিই আপনাদের প্রতিও তা করতে সক্ষম।
    তাই আপনারা এসব স্বৈরাচারী শাসকদের সিংহাসন রক্ষা করা থেকে তাওবা করুন এবং আপনাদের ভাইদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন। ফিলিস্তিনের মুক্তির পথে যে কেউ বাধা সৃষ্টি করবে, তাকে নির্মূল করাই আপনাদের কর্তব্য।
    যদি ধর্মীয় বিশ্বাস আপনাদের ফিলিস্তিনের সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ না করে, তবে কোথায় আপনাদের আত্মমর্যাদা, সাহস ও আরবীয় চেতনাবোধ? অবাক করার মতো বিষয়! আপনারা জানেন যে, আপনাদের শাসকরা আমেরিকার গোলাম, অথচ তবুও অন্ধভাবে তাদের অনুসরণ করছেন!
    লজ্জিত হন! আপনাদের অস্ত্রভাণ্ডার, যার মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে আপনাদের নিজ দেশের সম্পদ দ্বারা, তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর খ্রিস্টান ও ইহুদি শক্তি টনের পর টন অস্ত্র এনে ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের হত্যা করছে, তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করছে।
    আমরা আপনাদের আহ্বান জানাই, ফিলিস্তিনের মুজাহিদদের সাহায্যার্থে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন:
    সাধারণ জনগণের মাঝে অস্ত্র বিতরণ ও তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান যতদূর সম্ভব অস্ত্র সংগ্রহ করে ফিলিস্তিনে পাচার করা।
    আপনারা যেন শামের নুসাইরি (আলাওয়ি) স্বৈরাচারের মতো না হন, যে তার জনগণকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, অস্ত্র মজুত করেছে এবং মুজাহিদদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। অবশেষে সে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়েছে এবং যা কিছু হাতের নাগালে পেয়েছে, তা লুট করে নিয়ে গেছে। এরপর ইহুদিরা সেই অস্ত্রভাণ্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
    সুতরাং বুদ্ধিমান ব্যক্তি অন্যের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়। ফিলিস্তিনের যুদ্ধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর যদি সমগ্র উম্মাহ এ যুদ্ধে অস্ত্র ও প্রস্তুতি নিয়ে অবতীর্ণ না হয়, তবে ভয়াবহ পরিণতি আসন্ন। ইহুদি ও খ্রিস্টানদের ঔদ্ধত্য ও দখলদারিত্ব আরও বিস্তৃত হবে।
    আপনারা যদি আজ প্রস্তুতি না নেন, তবে একদিন বলতে হবে: “সেই দিন আমি ধ্বংস হয়েছিলাম, যখন আমার সঙ্গী প্রথমে ধ্বংস হয়।
    হাদিস শরীফে এসেছে-
    عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم - قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : (يُوشِكُ أَنْ تَدَاعَى عَلَيْكُمْ الْأُمَمُ مِنْ كُلِّ أُفُقِ كَمَا تَدَاعَى الْأَكَلَةُ عَلَى قَصْعَتِهَا قَالَ قُلْنَا : يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمِنْ قِلَّةٍ بِنَا يَوْمَئِذٍ قَالَ: «أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ كَثِيرٌ وَلَكِنْ تَكُونُونَ غُثَاءً كَغُثَاءِ السَّيْلِ يَنْتَزِعُ الْمَهَابَةَ مِنْ قُلُوبِ عَدُوِّكُمْ وَيَجْعَلُ فِي قُلُوبِكُمْ الْوَهْنَ قَالَ: قُلْنَا وَمَا الْوَهْنُ قَالَ: «حُبُّ الْحَيَاةِ وَكَرَاهِيَةُ الْمَوْتِ).
    সাওবান (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:
    একসময় আসবে, যখন চারদিক থেকে জাতিগুলো তোমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, ঠিক যেমন ক্ষুধার্ত মানুষ তাদের খাবারের পাত্রের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
    সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! তখন কি আমাদের সংখ্যা কম হবে?
    তিনি বললেন, “না, বরং তখন তোমাদের সংখ্যা অনেক হবে, কিন্তু তোমরা স্রোতে ভেসে যাওয়া আবর্জনার মতো হবে। আল্লাহ তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের প্রতি ভয় দূর করে দেবেন এবং তোমাদের অন্তরে দুর্বলতা ঢুকিয়ে দেবেন।
    সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, “এই দুর্বলতা কী?
    তিনি বললেন, “জীবনের প্রতি ভালোবাসা ও মৃত্যুর প্রতি ঘৃণা।” (আবু দাউদ, ৪২৯৭)
    হে আল্লাহর সৈন্যগণ! এগিয়ে চলুন!
    জান্নাতের দরজা খুলে গেছে, সুতরাং তাদের জন্য সুসংবাদ, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হন ও যাদের দেখে তিনি হাসেন। তাদের জন্য সুসংবাদ, যারা আল্লাহর পথে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে, যারা সফল বাণিজ্য করেছে, যার বিনিময়ে জান্নাত লাভ করবে।
    সুসংবাদ তাদের জন্য, যারা জিহাদে বেরিয়েছে এবং যারা নিজেদের অন্তরে জিহাদের সংকল্প নিয়েছে, যাতে তারা মুনাফিকির কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে পারে এবং ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
    হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সাহায্যকারী ও সহায় হোন।
    হে আল্লাহ! গাজা, বার্মা, পূর্ব তুর্কিস্তান, চেচনিয়া, কাশ্মীর, আফ্রিকা, সোমালিয়া ও ইসলামি মাগরিবের নিপীড়িত মুসলমানদের সহায় হোন।
    হে আল্লাহ! আমাদের পাপ ও সীমালঙ্ঘনের জন্য ক্ষমা করুন, আমাদের পা দৃঢ় করুন এবং কাফিরদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন।

    সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।
    والحمد لله رب العالمين ولا عدوان إلا على الظالمين

    *****




    আল মালাহিম মিডিয়া
    তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতিল আরব
    (আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা)
    ২৫ রমজান ১৪৪৬ হিজরি | ২৫ মার্চ ২০২৫ ইংরেজি

    ***************




    روابط بي دي اب
    PDF (700 KB)
    পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৭০০ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/zeQwmZIK#HE0df07fxUWubR8b0RdvbQPA0mlG1mJKopLJOi2oy tk
    https://secure.internxt.com/d/sh/file/ffcc7cc2-0c9f-48c2-aa79-68a7025feba4/5ae849ef95a70287605cc294d8d5d784c64a601f6f97a2681e 62b3da37e22ff3


    روابط ورد
    Word (405 KB)
    ওয়ার্ড [৪০৫ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/qOhwyIDa#3u7m7piBWJaRwAUTEdMrVSZJFyp2Ykxsz2Z_ZaZGF wI
    https://secure.internxt.com/d/sh/file/c461f6c2-539d-417b-ba53-1631e437c907/716c6930187586f9062b7b6ff66fd6abc944105ba6f7ca6868 548695a9cacc4e


    روابط الغلاف
    Banner [533 KB]
    ব্যানার ডাউনলোড করুন [৫৩৩ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/Gb4TDDrQ#xW9O3G5_lpgGKHvktVeVlsVvf_zHwzz8vJAMdqEZz T4
    https://share.eu.internxt.com/d/sh/file/8e452b4e-f1f8-40fd-be09-e7642f77f085/e938add4f0a46bb595d2ea1fb1108f6ed14ebdea5396a80606 7db6f7ddda17bb


    مع تحيّات إخوانكم
    في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
    قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
    আপনাদের দোয়ায়
    আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
    আল কায়েদা উপমহাদেশ
    In your dua remember your brothers of
    Al Hikmah Media
    Al-Qaidah in the Subcontinent

  • #2
    আল্লাহর কসম! যদি সমগ্র উম্মাহ লাইলাতুল কদরের রাতে একত্রে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, একসাথে হজ্জে যায়, সমস্ত ফরজ যাকাত প্রদান করে, তবুও আল্লাহ তাদের লাঞ্ছনা ও দুর্বলতা দূর করবেন না—যতক্ষণ না তারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে, ইসলামের শত্রু ইহুদি-নাসারা ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, যারা আল্লাহর শরিয়ত পরিবর্তন করেছে, আল্লাহর বন্ধুদের হত্যা করেছে, মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব করেছে এবং পৃথিবীতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।​
    জিহাদি মানহাজের হেফাযত, মুজাহিদদের হেফাযত থেকেও বেশি গুরত্বপূর্ণ

    কারণ মুজাহিদদের দৌড়-ঝাপ, কুরবানির উদ্দেশ্যই হলো হকের দাওয়াত ও পয়গাম বিজয়ী হোক। কিন্তু মানহাজ যদি খারাপ হয়, সফরের রাস্তা যদি ভুল হয়ে যায়, তখন মুসাফির যতই উদ্দীপনা ও ইখলাসের সাথে পথ চলুক, সে কখনও মনযিলে পৌঁছতে পারবে না। (দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদি মানহাজের হেফাযত - উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ)

    Comment


    • #3
      হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সাহায্যকারী ও সহায় হোন।
      হে আল্লাহ! গাজা, বার্মা, পূর্ব তুর্কিস্তান, চেচনিয়া, কাশ্মীর, আফ্রিকা, সোমালিয়া ও ইসলামি মাগরিবের নিপীড়িত মুসলমানদের সহায় হোন।
      হে আল্লাহ! আমাদের পাপ ও সীমালঙ্ঘনের জন্য ক্ষমা করুন, আমাদের পা দৃঢ় করুন এবং কাফিরদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন।
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment

      Working...
      X