Announcement

Collapse
No announcement yet.

Bengali Translation || এবং মুমিনদের উদ্বুদ্ধ করুন! || কমান্ডার সাদ বিন আতিফ আল-আওলাকি হাফিযাহুল্লাহ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Bengali Translation || এবং মুমিনদের উদ্বুদ্ধ করুন! || কমান্ডার সাদ বিন আতিফ আল-আওলাকি হাফিযাহুল্লাহ

    مؤسسة الحكمة
    আল হিকমাহ মিডিয়া
    Al-Hikmah Media

    تـُــقدم
    পরিবেশিত
    Presents

    الترجمة البنغالية
    বাংলা অনুবাদ
    Bengali Translation

    بعنوان:
    শিরোনাম:
    Titled


    وَحَرِّضِ ٱلْمُؤْمِنِينَ

    “এবং মুমিনদের উদ্বুদ্ধ করুন!”


    “Inspire the Believers!”



    القائد سَعْد بن عاطف العولقي حفظه الله

    কমান্ডার সাদ বিন আতিফ আল-আওলাকি হাফিযাহুল্লাহ

    By Commander Saad bin Atif al-Awlaki Hafizahullah






    للقرائة المباشرة والتحميل
    সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
    For Direct Reading and Downloading






    روابط بي دي اب
    PDF (486 KB)
    পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪৮৬ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/GRdGgCSZ#F5R_T0JxSnjGlW7UwrhHUrqmmQU14LwkvYYdk2DnR Zc
    https://secure.eu.internxt.com/d/sh/file/d503d0a4-6028-437e-8713-eb6cd146a220/070f59ccbf07123c50be859ac6c8adf2f6e782092afea1b7ca ddb8e3beaea62f



    روابط ورد
    Word (427 KB)
    ওয়ার্ড [৪২৭ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/WZlxVZpa#xOett4OMlOYhZP_JZVEnybSiOAgBcatJu7idyvd6_ _E
    https://share.eu.internxt.com/d/sh/file/26e0bcb9-16df-4a47-b226-1f84b402b200/8e37f992d03ff7b635654fa16544bb4fb48fed7899c6022bb5 eaa21c40eb2ae0


    روابط الغلاف- ١
    book Cover [953 KB]
    বুক কভার ডাউনলোড করুন [৯৫৩ কিলোবাইট]







    https://secure.eu.internxt.com/d/sh/file/4c58d2c9-f589-43b3-a221-565413602498/c55381687ebe19507011856474a736a0cc06e603bd06b3970b 4ebc217c6f49f3


    روابط الغلاف- ٢
    Banner [791 KB]
    ব্যানার ডাউনলোড করুন [৭৯১ কিলোবাইট]







    https://secure.internxt.com/d/sh/file/dae18786-97cb-4119-a695-1c0c31a2c834/277ebadf51567c33818778e69b0f43679807a2d1f8845d8c7c 8e07c8d675692f

    ************

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
    الحمد لله الذي جعل العزة في الجهاد قامعا به أهل الكفر والفساد، ومعزا به الإسلام فوق رؤوس الأضداد
    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জিহাদের মাধ্যমে গৌরব দান করেছেন, এর দ্বারা কুফর ও ফাসাদকারীদের দমন করেছেন এবং ইসলামকে শত্রুদের মাথার উপর সমুন্নত করেছেন।
    আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই।
    প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য, যিনি তাঁর সুপ্রতিষ্ঠিত কিতাবে বলেছেন:
    أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ إِلَّا أَنْ يَقُولُوا رَبُّنَا اللَّهُ
    যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কারণ তাদের উপর জুলুম করা হয়েছে। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সর্বশক্তিমান। (তারাই) যাদেরকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে বের করে দেওয়া হয়েছে, শুধু এ কারণে যে তারা বলে, ‘আমাদের রব হলেন আল্লাহ’...” [সূরা আল-হাজ্জ (২২), আয়াত: ৩৯-৪০]
    পরাক্রমশালী যেই আল্লাহ আরো বলেছেন:
    وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
    তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর পথে এবং দুর্বল নর-নারী ও শিশুদের জন্য যুদ্ধ করছো না, যারা বলে, ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে উদ্ধার করুন, যার অধিবাসীরা জালিম। আর আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী নির্ধারণ করুন এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন রক্ষাকারী দিন’? [সূরা আন-নিসা (৪), আয়াত: ৭৫]
    আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক, যিনি বলেছেন:
    بعثت بالسيف بين يدي الساعة حتى يعبد الله لا شريك له وجعل رزقي تحت ظل رمحي وجعل الذل والهوان على من خالف أمري ومن تشبه بقوم فهو منهم
    আল্লাহ তাআলা আমাকে কিয়ামতের পূর্বে তরবারি সহকারে প্রেরণ করেছেন, যাতে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা হয় এবং তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরীক না করা হয়। আর আমার রিজিক রাখা হয়েছে আমার বর্শার ছায়ায়। আর যে আমার আদেশ অমান্য করবে, তার উপর অপমান ও লাঞ্ছনা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদেরই দলভুক্ত বলে গণ্য হবে।” (সহীহ হাদীস – আবু দাউদ, হাদীস: ৪০৩১; আহমাদ: ৫১১৪; ইবনু আবী শাইবা প্রমুখ)
    الْمُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا
    وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ
    আবু মুসা আল-আশআরি (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:
    এক মুমিন অন্য মুমিনের জন্য দালানের মতো, যার এক অংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে” এবং তিনি তাঁর আঙ্গুলগুলো পরস্পর জড়িয়ে দেখালেন। [সহিহ বুখারি: হাদিস নং ২৪৪৬; সহিহ মুসলিম: হাদিস নং ২৫৮৫]
    নুমান ইবনে বশীর (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন
    مَثَلُ الْمُؤْمِنِينَ فِي تَوَادِّهِمْ وَتَرَاحُمِهِمْ وَتَعَاطُفِهِمْ، مَثَلُ الْجَسَدِ، إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ، تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّهَرِ وَالْحُمَّى
    মুমিনদের পরস্পরের ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতির দৃষ্টান্ত হলো একটি শরীরের মতো। যখন শরীরের কোনো অঙ্গ ব্যথিত হয়, তখন শরীরের অন্যান্য অঙ্গসমূহ জেগে ওঠে ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।” [ সহীহ আল-বুখারী, হাদিস নম্বর: ৬০১১; সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বর: ২৫৮৬]
    হামদ ও সালাতের পর..
    পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সমগ্র মুসলিম উম্মাহর প্রতি, এই পৃথিবীর বুকে বসবাসকারী দুই শত কোটি মুসলিমের প্রতি—আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া ওয়াবারাকাতুহু
    প্রিয় উম্মাহ ! গাজায় আজ যা ঘটছে, তা থেকে আপনারা অবগত আছেন—এটি হলো জিহাদ, ত্যাগ, ধৈর্য ও সংগ্রামের এক অগ্নিপরীক্ষা। এটি একটি জঘন্য, নিষ্ঠুর, হিংস্র ও নোংরা বিশ্বব্যাপী জায়নবাদী-ক্রুসেড-যুদ্ধ, যা আধুনিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই যুদ্ধে সকল নীতি নৈতিকতা, নিষিদ্ধ বিষয়, যুদ্ধের প্রচলিত রীতিনীতি, মূল্যবোধ ও পবিত্র সীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে—যেগুলো সাধারণত যুদ্ধের সময়ও সংরক্ষিত থাকে, এমনকি জাহেলিয়াতের যুগের যুদ্ধেও এগুলো লঙ্ঘন করা হতো না। যেমন—নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা নিষিদ্ধ, পানি, খাদ্য ও ঔষুধ সরবরাহ বন্ধ করা নিষিদ্ধ ইত্যাদি নীতি।
    আজ আমরা গাজায় যা দেখছি, তা ধ্বংস ও সর্বনাশের দিক থেকে ইতিমধ্যে হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত আমেরিকার পারমাণবিক বোমার চেয়ে তিন গুণ বেশি ক্ষতিকর পর্যায়ে চলে গিয়েছে। গাজায় যা ঘটছে, তা সম্পূর্ণরূপে একটি বিশ্বব্যাপী জায়নবাদী ক্রুসেডার যুদ্ধ, যা সর্বোচ্চ হিংস্রতা, মৃত্যু ও ধ্বংসের সকল অস্ত্র নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আকাশ ও সমুদ্র থেকে বিমান ও যুদ্ধজাহাজ দ্বারা, আর স্থল থেকে কামান, ট্যাংক ও নানান ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দ্বারা আক্রমণ করা হচ্ছে।
    হে পৃথিবীবাসী! গাজায় শহীদদের মৃতদেহ সর্বত্র ছড়িয়ে আছে—কোনোটির মাথা নেই আবার কোনোটির অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই। গাজায় বসবাসকারীদের মাথার ওপর বাড়িঘর ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রতিদিন দশজন, কখনও শতাধিক শহীদ হচ্ছেন। গাজায় মানুষদের জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হচ্ছে তাদের জীর্ণ তাঁবুতে ঘুমন্ত অবস্থায়। তাদের বাড়িগুলো মাইন ও বিস্ফোরক দিয়ে ভরাট করে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা আর কখনও সেখানে ফিরে যেতে না পারে।
    রাফাহ ও শুজাইয়া থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বাইত হানুন, লাহিয়া, জাবালিয়া ও খান ইউনুস খালি করা হচ্ছে, যাতে সমগ্র গাজা দখল করা যায়। এই সকল অবস্থার মোকাবেলায় আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় ঘুমাচ্ছে—আশ্রয়হীন। ক্ষুধায় মৃত্যু আর বোমাবর্ষণে মৃত্যুর মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে, আর উভয় প্রকার মৃত্যুই শিশু ও বৃদ্ধদের তাড়া করছে। তাদের কাছে নেই রুটি, নেই খাবার, নেই ঔষুধ। এমনকি কাফনেরও সংকট, দাফনের জায়গাও নেই—কবরস্থানগুলো শহীদে পরিপূর্ণ, আর মাটি ধ্বংসস্তূপ ও বিশাল বিশাল গর্তে ভরা। এই সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে আমেরিকান তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে, যা মানুষের দেহ ও পাথর পর্যন্ত গুঁড়ো করে দিচ্ছে।
    হে প্রিয় মুসলিম উম্মাহ ! আমি এখানে দৈনন্দিন যন্ত্রণা ও যুদ্ধের বিবরণ দীর্ঘায়িত করতে আসিনি, কারণ তা সকলেরই জানা। আমি শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যাতে আমরা সবাই আমাদের অবহেলা, দেরি ও প্রস্তুতির অভাবের ভয়াবহতা বুঝতে পারি। আমরা একথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমরা হলাম মুসলিম উম্মাহ—রহমত ও জিহাদের নবীর প্রিয় উম্মত। আমি এখানে শোককে নতুন করে জাগ্রত করতে বা আপনাদের সামনে বেদনাদায়ক স্মৃতিগুলো স্মরণ করিয়ে দিতে আসিনি। আপনারা প্রতিটি মুহূর্তে যা দেখছেন ও শুনছেন, তার একটি মাত্র দৃশ্যই আপনাদেরকে দলে দলে ও একাকী, হালকাভাবে ও গভীরভাবে আমাদের আকসা, আমাদের কুদ্স, আমাদের পবিত্র ভূমি, আমাদের পরিবার এবং আমাদের ভাইদের কাছে—গাজার মুসলিমদের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই গাজাবাসী ইজ্জত ও ত্যাগের মর্যাদা নিয়ে আজ এক নির্মম গণহত্যার শিকার।
    যদিও আমরা ভয়াবহ ও মর্মান্তিক দৃশ্য এবং ট্র্যাজেডিগুলো দেখি—যা অডিও ও ভিডিওতে ধরা পড়েছে—তবুও আমরা ভালো করেই জানি যে, সেখান থেকে যা প্রচারিত হচ্ছে, তা বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনার সামান্য অংশমাত্র। ক্যামেরার লেন্সের বাইরেও অনেক কিছু ঘটে চলেছে। তাই আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি, গাজা এবং অন্যান্য অঞ্চলে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে এবং কী অবস্থা অচিরেই আসতে চলেছে—যদি আমরা দ্রুত পদক্ষেপ না নিই এবং এক উম্মাহ হিসেবে, এক দেহের মতো, ঐক্যবদ্ধভাবে না এগিয়ে আসি।
    আমরা মুমিন হিসেবে আমাদের স্রষ্টার উপর আস্থা রাখি, আমাদের রবের সাহায্যের উপর বিশ্বাস রাখি এবং আমাদের মাবুদের ওয়াদার উপর একিন রাখি—যার ওয়াদা কখনও ব্যর্থ হয় না এবং যার জন্য কিছুই অসম্ভব নয়।
    আল্লাহ তাআলা বলেন:
    إِنَّا لَنَنصُرُ رُسُلَنَا وَالَّذِينَ آمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الْأَشْهَادُ
    অর্থ: নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলগণ ও মুমিনদেরকে দুনিয়ার জীবনে এবং যেদিন সাক্ষীরা দাঁড়াবে, সেদিন সাহায্য করবো। [সূরা গাফির (৪০): আয়াত ৫১]
    তিনি আরও বলেন:
    وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِينَ • إِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنصُورُونَ • وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ الْغَالِبُونَ
    অর্থ: আর অবশ্যই আমার বান্দা রাসূলদের জন্য আমার বাণী পূর্বেই নির্ধারিত হয়ে গেছে যে, নিশ্চয়ই তারাই সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। এবং নিশ্চয়ই আমার সৈন্যরাই বিজয়ী হবে। [সূরা আস-সাফফাত (৩৭): আয়াত ১৭১-১৭৩]
    হে প্রিয় আহত ও নির্যাতিত উম্মাহ, আল্লাহর কসম! আমাদের সম্মানিত নেতারা (আল্লাহ তাদের কবুল করুন) কতবার আপনাদেরকে ডাক দিয়েছেন? কতবার তারা একের পর এক সমাধান উপস্থাপন করেছেন? কতবার তারা একের পর এক উপদেশ দিয়েছেন এবং বের হওয়ার পথ দেখিয়েছেন—যে সংকটে আমরা তখন ছিলাম এবং আজও আছি?
    যদি আপনারা চান, তাহলে ময়দানের আলিমদের বাণী—বিশেষ করে মুজাদ্দিদ শায়খ আবদুল্লাহ আযযাম, মুজাদ্দিদ শায়খ ওসামা বিন লাদেন, হাকিম শায়খ আইমান আল-জাওয়াহিরি এবং আল-কায়েদার (আরব উপদ্বীপ ও অন্যান্য অঞ্চলের) নেতৃত্ববৃন্দ—তাদের বাণীগুলো আবার মনোযোগ দিয়ে পাঠ করে দেখুন।

    শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরি বলেছেনঃ
    “আমেরিকা তার পথভ্রষ্টতা, সীমালঙ্ঘন, অবিচার এবং আগ্রাসী আচরণ থেকে পিছিয়ে আসবে না—না সেই আন্তর্জাতিক বৈধতার সামনে, যা তারা নিজেরাই তৈরি করেছে ও তাতে অর্থ দিয়েছে, না তাদেরই নিযুক্ত ও সমর্থিত দালাল শাসকদের সামনে, না এমন লোকদের সামনে যারা তাদের শক্তি ও শ্রেণিবিন্যাসকে ভয় পায়। আমেরিকাকে থামাতে পারে একমাত্র আল্লাহর পথে জিহাদ—অস্ত্র ও বর্শা দিয়ে এবং যুক্তি ও স্পষ্ট বাণীর মাধ্যমে পরিচালিত জিহাদ। তাদেরকে থামাতে পারে দাওয়াত, প্রচার, ত্যাগ, উৎসর্গ, তাওয়াক্কুল, দুনিয়া বিমুখতা এবং ইসলামের আকীদা ও শরিয়াহর বিধানের উপর অটল থাকার ঈমানী অস্ত্র। ইনশাআল্লাহ, আমেরিকাকে পরাজিত করবে আল্লাহর পথে লড়াইকারী মুজাহিদগণ, আমলদার আলেমগণ, আন্তরিক দাঈগণ এবং তাওহীদের পতাকার অধীনে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম উম্মাহ।
    অতএব, হে মুসলিম উম্মাহ!
    চলুন, আমেরিকার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিটি স্থানে জিহাদ করি, যেমনিভাবে তারা আমাদের উপর প্রতিটি জায়গায় আক্রমণ করে। চলুন, এক হয়ে তাদের মুখোমুখি হই; বিভক্ত না হয়ে একত্রিত হই; ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থেকে ঐক্যবদ্ধ হই; নিজেদের মধ্যে ফাটল না ধরিয়ে পরস্পরে সম্পূরক হই।

    তারা যখন এসব কথা বলেছেন, তা শুধু এ জন্যই বলেছেন, আমরা যেন সেই অবস্থানে না পৌঁছাই, যেখানে আজ পৌঁছে গেছি। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে তারা আমেরিকাকে “কুফরের প্রধান”, “সব অশুভ শক্তির উৎস” এবং “বিশ্বজুড়ে মুসলিম উম্মাহর উপর যেসব বিপর্যয় নেমে এসেছে বা আসবে, সেগুলোর মূল কারণ” বলে অভিহিত করে আসছেন। তারা বহু প্রবন্ধ ও বক্তৃতায় আমেরিকাকে এই উম্মাহর ফেরাউন, ক্রুশের বাহক, নবী ও রাসূলদের হত্যাকারী ইয়াহুদিদের রক্ষক এবং এই যুগের হুবালবলে বর্ণনা করেছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, এ কথাগুলো খুব অল্প কিছু লোকই বোঝে। তবে সব অবস্থায় আলহামদুলিল্লাহ।
    হে ইসলামী উম্মাহ, আজকের এই সময়টা তিরস্কার বা আত্মনিন্দা কিংবা পিছিয়ে পড়াদের ও দায়িত্বহীনদের প্রতি অভিযোগের সময় নয়, যারা জাতির অগ্রপথিক ও জিহাদী ব্যক্তিত্বদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি—যে মহান মানুষগুলো নিজেদের দুনিয়া বিক্রি করে দিয়েছিলেন, নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যাতে তাদের উম্মাহ সম্মানিত, মর্যাদাশীল ও বিজয়ী হিসেবে বেঁচে থাকতে পারে।
    এখন কাজের সময়। বিলম্ব ও দ্বিধা না করে যা হারিয়েছি, তা পুনরুদ্ধার আপনাদেরকেই করতে হবে। আমাদের কথা মন দিয়ে শুনুন, আশা করি এ থেকে মুক্তির পথ পাওয়া যাবে।
    হে প্রিয় উম্মাহ্!, আজ ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তা কোনো প্রতিক্রিয়া নয়—যেমনটা তারা দাবি করে—বরং এটি দীন ইসলামের প্রতি তাদের চিরন্তন শত্রুতারই ধারাবাহিকতা। তারা ইসলাম ও তার রাসূল-কে অস্বীকার করে, যদিও তারা নিশ্চিতভাবে জানে যে, তিনি তাদের কিতাব তাওরাতে নাম, চিত্র ও গুণাবলি সহকারে উল্লিখিত সেই নবী, যাকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন। তারা তাঁর আগমনের আশায় ছিলো, কিন্তু যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে (তাদের গোত্র থেকে) এলেন না, তখন তারা তাঁকে অস্বীকার করলো, তাঁর সাথে শত্রুতা করলো, তাঁকে হত্যার চেষ্টা করলো এবং প্রতারণা করলো। এরপর তারা তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলো এবং মানুষকে তাঁর ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে ধ্বংসযজ্ঞে লেলিয়ে দিলো। কিন্তু আল্লাহ তাদের লাঞ্ছিত করলেন এবং পরাজিত অবস্থায় পিছু হটতে বাধ্য করলেন। আল্লাহর নির্দেশে ও ন্যায়বান ফায়সালার মাধ্যমে রাসূলবানু নাযিরের মতো চুক্তিভঙ্গকারীদেরকে নির্বাসিত করলেন। কুরআন আমাদের কাছে তাদের বিশ্বাসঘাতকতা, কুফরি ও মুহাম্মাদ-এর উম্মাহর প্রতি তাদের বিদ্বেষের কথা বর্ণনা করেছে। খ্রিস্টানরাও একই রকম—আল্লাহ তাদের সবাইকে লাঞ্ছিত করুন!!
    সুতরাং, ইহুদী, খ্রিস্টান, মজুসি ও মূর্তিপূজকদের পক্ষ থেকে মুসলিম উম্মাহর প্রতি যে শত্রুতা প্রকাশ পায়, তা তাদের ধর্ম ও গেঁথে থাকা বিশ্বাস থেকেই উৎসারিত, যা আপনি কোনোভাবেই মুছে ফেলতে পারবেন না—যেমন শয়তানের আদম সন্তানের প্রতি শত্রুতা, ঘৃণা ও ধোঁকার বিষয়টি কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে—ঠিক তেমনি। (তবে, তাদের মধ্যে আল্লাহ যাদের প্রতি দয়া করেছেন এবং যারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তারা ব্যতিক্রম।) ইহুদি খ্রিস্টানেরা শয়তানের মতো, যার আত্মা তাকে বিভ্রান্ত করেছিলো, অহংকার তাকে ধোঁকায় ফেলেছিলো এবং হিংসা তাকে অন্ধ করেছিলো। আপনি যেমন কখনো শয়তানকে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধু ভাবতে পারেন না, তেমনি তার সঙ্গে ‘ভাল সম্পর্ক’ স্থাপন বা ‘পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সংলাপ’ করার চিন্তা করাও অবাস্তব। আর যদি কেউ তা করে, তবে সে প্রতারিত হয়েছে, ধোঁকায় পড়েছে এবং শয়তান তাকে টেনে নিয়ে যাবে ভয়ানক আগুনের গভীরে। অতএব, এদের সাথে একমাত্র বৈধ পথ হলো—যুদ্ধ, তারপর আবার যুদ্ধ এবং কেয়ামত পর্যন্ত যুদ্ধ। আর এ সম্পর্কের প্রকৃতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই আয়াতে কারিমায়:
    وَلَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّى يَرُدُّوكُمْ عَنْ دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُوا ۚ وَمَنْ يَرْتَدِدْ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَـٰئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ وَأُولَـٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
    অর্থ: আর তারা তো তোমাদের সঙ্গে লড়াই করতে থাকবে, যতক্ষণ না তারা তোমাদেরকে তোমাদের দীন থেকে ফিরিয়ে না দেয়—যদি পারে আর কি। আর তোমাদের মধ্যে কেউ তার দীন থেকে ফিরে গিয়ে কাফির অবস্থায় মারা গেলে (এরকম যারা করবে) তাদের কর্মসমূহ দুনিয়া ও আখিরাতে নিষ্ফল হয়ে যাবে। আর তারাই জাহান্নামের অধিবাসী, তাতেই তারা চিরকাল থাকবে। [সূরা আল-বাকারা (২): আয়াত ২১৭]
    সুতরাং, হে মুসলিম উম্মাহ! গাজায় আমাদের ভাইদের অবস্থা ও গোটা অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে কার্যকর সমাধান হলো নিম্নরূপ:
    প্রথমত: এই অঞ্চলের মুসলিম জনসাধারণের দায়িত্ব হলো—আজ গাজায় যা ঘটছে, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। অন্তত ন্যূনতম করণীয় হচ্ছে—নাগরিক অবাধ্যতা (civil disobedience) এবং প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করে সেগুলোর উপর স্থায়ীভাবে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করা। বিশেষ করে, রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতাদের বাসভবনের দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কগুলো, সরকারি কাজকর্ম ও মন্ত্রণালয়গুলোর পথ, বিমানবন্দর, বন্দর এবং মিশর ও জর্ডানের স্থলসীমান্তের প্রবেশদ্বারগুলোর দিকেই এই অবরোধ কেন্দ্রীভূত করা উচিত।
    দ্বিতীয়ত: গোটা অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে হিজাজের ভূমি (বর্তমান সৌদি আরব), সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ইরাক ও কুয়েত—এসব দেশের প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব হলো, যারা তেল, খনিজ সম্পদ এবং এগুলোর রপ্তানি খাতে কাজ করেন, কিংবা ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা সরকারি অফিসে কর্মরত আছেন—তাদের উচিত সম্মিলিতভাবে কর্মবিরতি পালন করা। আর যদি সম্মিলিতভাবে সম্ভব না হয়, তবে ছোট ছোট দলে কিংবা একাকী হলেও তা করা উচিত। সেইসঙ্গে, এ কর্মসূচিকে গণমাধ্যমে তুলে ধরা উচিত—সোশ্যাল মিডিয়া সহ সকল উপলব্ধ মাধ্যমে—যাতে আল্লাহর ইচ্ছায় সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়া যায়।
    তৃতীয়ত: গালফ অঞ্চল—গালফ রাষ্ট্রসমূহ, ইরাক ও সিরিয়ার সব গোত্র ও গোত্রপ্রধানদের দায়িত্ব হলো, যত দ্রুত সম্ভব সকল প্রকার অস্ত্র সংগ্রহ করা, নিজেদের প্রস্তুত করা এবং সেই অনিবার্য দিনের জন্য প্রস্তুত থাকা। সেইসঙ্গে, তারা যেন নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলে, পারস্পরিক সমন্বয় করে এবং গোত্রের যুবসমাজকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির জন্য তৈরি রাখে, যেন যখনই সাধারণ জিহাদের আহ্বান জানানো হবে, তখনই তারা নিপীড়িত ফিলিস্তিনি ভাইদের অথবা শত্রুর কবলে পড়া যেকোনো মুসলিম দেশের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
    চতুর্থত: আলেম, দাঈ ও গোত্রপ্রধানদের দায়িত্ব হলো—উম্মাহর, বিশেষ করে এর যুবসমাজের মনোবলকে জাগ্রত করা এবং তাদেরকে প্রস্তুতির ময়দান ও জিহাদের মাঠে এগিয়ে দেওয়া—যার বিবরণ পরে আসছে।
    পঞ্চমত: উম্মাহর ব্যবসায়ীরা বিশেষভাবে এবং সাধারণভাবে প্রত্যেক সক্ষম মুসলমানের উচিত—যতটুকু সম্ভব, তা কম হোক বা বেশি—প্রস্তুতির ময়দান ও জিহাদের রাস্তায় দান করা; কোনো ভয় বা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছাড়াই।
    ষষ্ঠত: জাতির যুবসমাজের প্রতি আহ্বান, তারা যেন সত্যিকার মুজাহিদদের সারিতে যোগদান করে, বিশেষত তাদের ঐ ভাইদের সারিতে, যারা আল-কায়েদা সংগঠনে রয়েছে। কয়েক দশক হয়ে গিয়েছে তারা আমেরিকান ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে পবিত্র জিহাদ ঘোষণা করেছে। তাদের নেতা ও আলেমগণ তাদের আহ্বানকে তাদের পবিত্র ও নির্মল রক্তে সিক্ত করেছেন। সুতরাং হে যুবসমাজ! তাদের সাথে যোগদান করে প্রশিক্ষণ নাও, প্রস্তুত হও, শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি হও, অস্ত্র চালনা ও যুদ্ধের কৌশল রপ্ত করো, যাতে তোমরা অগ্রসর হতে পারো এবং জাতিকে দীর্ঘদিনের অত্যাচার, অবিচার ও দুর্বল অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পারো। আর পবিত্র স্থানগুলোকে কাফের ও অত্যাচারীদের হাত থেকে মুক্ত করো। তবে যোগদানের আগে পূর্ব সমন্বয় করা এবং যোদ্ধাদের গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
    সপ্তমত: সমগ্র আরব উপদ্বীপের তরুণ ও গর্বিত গোত্রসমূহ, বিশেষত ইয়েমেনের গোত্র ও তার যুবকদের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা যেন মার্কিন বাহিনী ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়, যদি তারা ইয়েমেনের পবিত্র ভূমিতে পদার্পণ করে। আমরা ইয়েমেনের সকল মুসলিম জনগণকেও আহ্বান জানাই, তারা যেন—এই পবিত্র ভূমিকে কাফির ও তাদের দোসরদের কবল থেকে মুক্ত করতে এবং আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করতে শরিয়া সমর্থকদেরকে সাহায্য করে—মানুষ, অস্ত্র, অর্থ ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে।
    অষ্টমতঃ কেউ যদি হত্যার সুন্নাতকে পুনর্জীবিত করতে সক্ষম হয় তার কর্তব্য: যারা গাজায় যুদ্ধের সমর্থক (আরবের ইহুদিদের) নেতৃত্বের কাছাকাছি রয়েছে—যেমন মিসর ও জর্ডানের শাসক এবং আরব উপদ্বীপের সকল শাসক, যারা অর্থ সরবরাহ ও লজিস্টিক সহায়তার মাধ্যমে জায়নবাদীদের পক্ষে এই যুদ্ধকে সমর্থন করছে—তাদের ব্যাপারে এক মুহূর্তও দেরি না করে গুপ্তহত্যার মিশন আরম্ভ করে দেওয়া। নিশ্চয়ই এটি বর্তমান সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ। এই শাসকেরা তাদের নির্লজ্জ মিডিয়া চ্যানেলগুলিতে এবং পর্দার সামনে যা বলে, তা দ্বারা কেউ যেন প্রতারিত না হয়। যদি তারা না থাকত, তাহলে গাজা অবরুদ্ধ হতো না, হাজারো মানুষ নিহত হতো না এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতো না। তাই যে ব্যক্তি তাদের সেনাবাহিনীতে আছে এবং তার হৃদয়ে ঈমান আছে; যে ব্যক্তি আল্লাহর শাস্তিকে ভয় পায়—ফিলিস্তিনে তার ভাইদের সাহায্য না করার কারণে—তার এখনই এই পুতুল, নিচ ও ইহুদি ও মুরতাদ শাসকদের রক্ষাকারী সেনাবাহিনীর ভিতরে কিছু করার সময় এসেছে। বিশেষ করে পাইলটদের উচিত ইহুদিদের এবং এই অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা আমেরিকান ঘাঁটিগুলো ও সমুদ্রে অবস্থানরত বিমানবাহী জাহাজগুলো আক্রমণ করা। অন্ততপক্ষে আরব বিশ্বের এই গাদ্দার, দালাল শাসকদের প্রাসাদে আঘাত হানা উচিত। নাপাকির বিধানে কুকুরের মাথা ও লেজের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
    নবম: ইরাক ও সিরিয়ার মুজাহিদ ভাইয়েরা—যারা সুন্নি সম্প্রদায়ের অগ্নিময়, বীর ও সাহসী সন্তান—তাদের কর্তব্য হলো ফিলিস্তিনে নিজেদের ভাইদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা এবং আল্লাহকে ভয় করে অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য অজুহাতে তাদেরকে অসহায় অবস্থায় ফেলে না দেওয়া। আপনাদের আশেপাশের মুসলিমরা প্রতি মুহূর্তে হত্যা, রক্তপাত, রোগ, ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় নিপতিত হচ্ছে। আল্লাহই একমাত্র অভিযোগের স্থল। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!!
    এরপর, আমরা এখন থেকেই একটি প্রাথমিক ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হিসেবে আমেরিকার জমিনে বসবাসকারী প্রতিটি মুসলিমকে আহ্বান জানাই—তা সে আরব বংশোদ্ভূত হোক, আমেরিকান হোক বা অন্য কোনো বংশের হোক—মূল বিষয় হলো তার ধর্ম ইসলাম এবং তার নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। যাদের সংখ্যা আমেরিকাতেই পৌঁছেছে সাড়ে চার মিলিয়ন মুসলিম, আমরা তাদের সবাইকে বলছি: প্রতিশোধ, প্রতিশোধ! আমেরিকান কাফেরদের হত্যার ব্যাপারে কারও সাথে পরামর্শ করবেন না। আপনাদের লক্ষ্য যেন মহৎ হয় এবং টার্গেট যেন কার্যকর হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধীদেরকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে—এই দেখুন ট্রাম্প ও তার ডেপুটি, এই তো তার উপদেষ্টা ও আর্থিক, প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তাদাতা ইলন মাস্ক। আর এই তো তাদের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং তাদের সমস্ত পরিবার। যারাই হোয়াইট হাউসের নীতিনির্ধারকদের সাথে কোনোভাবে সম্পর্কিত বা আত্মীয়, তাদের সবাইকে টার্গেট করুন। গাজায় আমাদের ভাইদের ওপর যা ঘটছে এবং চলছে—নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের উদ্দেশ্য করে গণহত্যা ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড—এর পর আর কোনো লাল রেখা (রেডলাইন) থাকতে পারে না। বদলা নেওয়া এখন বৈধ, বিশেষত যখন তারা ফিলিস্তিন, সিরিয়া, সোমালিয়া ও ইয়েমেনে আমাদের নারী ও শিশুদের হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যখন থামবে, তখনই আমরা থামবো।
    এইতো সিনেট, আসল ইহুদিবাদীদের আস্তানা। এরা হলো সমস্ত অশুভ শক্তির কেন্দ্র, পুঁজ ও কূটচালের গর্ত। এই তো ইহুদিবাদ সমর্থক ও আমেরিকান সরকারকে সমর্থনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো—মাইক্রোসফটের মতো সব কোম্পানি, যারা আমেরিকান সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীকে সহায়তা করে.. এবং যেসব প্রতিষ্ঠান অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করে। এই দেখুন ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলো—এগুলো বৈধ টার্গেট এবং তার মতো আরও যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়, তারাও লক্ষ্যবস্তু আমাদের।
    হ্যাকিং যোদ্ধা, যাদেরকে মুসলিম হ্যাকার বলা হয়ে থাকে, আর পৃথিবীর বুকে যেকোনো স্বাধীনচেতা মানুষদের প্রতি যারা হত্যা ও অপরাধকে ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যান করেন—আপনাদের সামনে রয়েছে আমেরিকা এবং উপসাগরীয় সেই সব রাষ্ট্রের অর্থনীতি, যারা ইহুদি ও আমেরিকানদের সহযোগিতা ও অর্থায়ন করে। এই কাজে আপনারা যেন হাত গুটিয়ে না নেন। কখনো হতাশ হবেন না, কারণ আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে যা ভালো পারি তা-ই করে যাচ্ছি। আপনাদের চেষ্টা ও হাতকে আল্লাহ্‌ বরকত দান করুন, আপনাদের বুদ্ধিমত্তা, ধূর্ততা এবং নিজের জাতির রক্ত ও মুসলিম ভাইদের সম্মান রক্ষার প্রতি যে গর্ব ও অনুরাগ রয়েছে, তা-ও যেন সুরক্ষিত থাকে। কারণ এই যুদ্ধ বহুস্তরবিশিষ্ট ও বহুমুখী, যা আমাদের জাতির সমস্ত শক্তি ও প্রতিভাকে ময়দানে আহ্বান জানায়। আপনারা নিজেদের দীন ও বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা মুসলিম ভাইদের পাশে দাঁড়ান। আজকের দিনে ইসলামী উম্মাহর বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চলছে, তা স্পষ্টভাবেই এক জায়নবাদী-খ্রিস্টান জোটের যুদ্ধ, যা এখন তার আসল রূপ প্রকাশ করেছে। কাজেই উদ্যম আনুন, সংকল্প আনুন—আসুন সবাই একসাথে জেগে উঠি। কারণ বিজয় তো কেবল ধৈর্যের এক মুহূর্ত মাত্র। আর আল্লাহ্‌ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন।
    সুতরাং হে আমেরিকায় বসবাসরত আমাদের মুসলিম ভাইয়েরা, আল্লাহর কসম! কাফির আমেরিকান স্নাইপার টমাস ক্রুক্স যেন আপনাদের চেয়ে বেশি সাহসী ও আত্মত্যাগী না হয়ে যায়—যে লোকটা দুরাচার ট্রাম্পকে হত্যা করতে তার স্নাইপার রাইফেল নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলো; অথবা সেই নাসারানি এলিয়াস রদ্রিগেজ, যে সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ইহুদি দূতাবাসের দুই কর্মীকে হত্যা করেছে; কিংবা আমেরিকান সৈন্য বুশনেল, যে ইহুদি দূতাবাসের সামনে মুসলিম নিধনের প্রতিবাদে নিজেকে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলো। তাহলে আপনারা কোথায় এই সব আত্মত্যাগের সামনে? আল্লাহই একমাত্র সাহায্যকারী।
    যারা জান্নাতে ও আল্লাহর সাক্ষাতে বিশ্বাস করে না, তারাও মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। তাহলে আপনারা যারা আল্লাহর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী, যদি দৃঢ় সংকল্প নিয়ে নিজেদের রবের জন্য নিষ্ঠা সহকারে এগিয়ে যান, তাহলে কত না উত্তম হবে সেই শাহাদাত! আল্লাহর কসম, তা হবে সর্বোত্তম। আর তা হবে আপনাদের দুর্বল ভাইদের জন্য সর্বোত্তম সাহায্য ও সমর্থন। আর যদি আপনারা এটাকে সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করেন, তাহলে তা হবে সর্বোত্তম জিহাদ। আহ! জান্নাতের সুঘ্রাণ! সুতরাং আসুন, আমাদেরকে দেখিয়ে দিন আপনাদের শক্তি ও মুহাম্মাদ-এর উম্মতের প্রতি আপনাদের দায়িত্ববোধ।
    আমি আপনাদেরকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ইনস্পায়ারম্যাগাজিন নিয়মিত পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এতে রয়েছে প্রচুর মূল্যবান নির্দেশনা, যা প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির জন্য উপকারী হবে। আমরা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, আমেরিকায় ইহুদীদের সংখ্যা কম নয়। প্রায় ছয় মিলিয়ন ইহুদী সেখানে বসবাস করে, যা ফিলিস্তিনে থাকা ইহুদীদের সংখ্যার প্রায় সমান। এমনকি, ফিলিস্তিনের দখলকৃত ভূমিতে থাকা ইহুদীদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি আমেরিকান নাগরিকত্ব ধারণ করে।
    আর হে আমাদের ইউরোপের ভাইয়েরা! আপনাদের সংখ্যা প্রায় ষোল মিলিয়নে পৌঁছেছে। তাই ইহুদীদেরকে কোনো নিরাপদ আশ্রয় দেবেন না, যেমন তারা ফিলিস্তিনীদেরকে কোনো বাসস্থান, আশ্রয় বা শান্তি দেয়নি, এমনকি হাসপাতালেও রোগী, আহত, নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের উপর তারা বোমাবর্ষণ করে চলেছে। তাই প্রতিশোধ নিন, প্রতিশোধ নিন! প্রত্যেকে নিজ নিজ দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী (প্রতিরোধ গড়ে তুলুন)। আল্লাহ আপনাদেরকে সাহায্য করুন, শক্তি দিন, সফলতা দিন এবং সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমার বার্তা হোয়াইট হাউসের সেই নীতিনির্ধারকদের জন্য, যাদের আমরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শুধু অবিচার, নিপীড়ন, হত্যা, ধ্বংস, গণহত্যা, জাতিগত নিধন ও অস্তিত্বের সাফাইয়ের যুদ্ধ দেখেছি। তারা যেখানেই তাদের স্বার্থ দেখেছে, সেখানেই—যেকোনো বাধাকে উৎখাত করতে তারা যুদ্ধের যন্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে—এমনকি যদি তা স্থানীয় জনগণের প্রাণহানির মাধ্যমেও হয়। তাদের কাছে কোনো নীতিবোধ বা মানবতা নেই, যতক্ষণ তাদের বিপক্ষ দুর্বল। তাদের কোনো সমস্যা নেই, যদি লক্ষ লক্ষ প্রাণ ঝরে যায় বা গোটা দেশের শিশু, নারী ও প্রতিটি প্রাণী নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়—এটা তাদের রক্তলোলুপ অভিধানে একটি সহজ ও ঠাণ্ডা মাথার হিসাব। এটাই আমেরিকান মানসিকতা: যতক্ষণ তা আমেরিকার স্বার্থসিদ্ধি করছে বা তাদের ৫১তম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করছে—যেটা তারা একটি আরব-ইসলামি ভূমিতে গড়তে চায়। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায়, তা কখনোই সম্ভব হবে না। আর সেই অহংকারী, নীচ ট্রাম্পের ব্যাপারে বলবো—সে ইহুদি হিসেবে তার পূর্বসূরি বাইডেনকে ফিলিস্তিনি বলে উপহাস করে, অথচ এই অভিশপ্ত বৃদ্ধ বাইডেন ইসরাইলকে সামরিক, আর্থিক ও রাজনৈতিক সমর্থন দিয়েছে। হে অহংকারী, তুমি যখন তোমার পূর্বসূরিকে এভাবে বিদ্রূপ করো, তখন আসলে নিজেকেই প্রকাশ করো—তুমি একজন জঘন্য জায়নবাদী ইহুদি, যে কোনো পরিণতি না ভেবেই প্রচণ্ড জেদ ও আগ্রাসী দাঁত দেখায়। তুমি ক্ষমতায় আসার প্রথম দিন থেকেই তা প্রমাণ করেছো। তুমি ধ্বংস হও! আর আমেরিকা ও তার ইতিহাসজুড়ে অপরাধী, খুনি নীতিনির্ধারকদের জন্য ধ্বংস! এভাবেই আমরা তোমাদের চিনি। স্বাধীন বিশ্বও তোমাদের চিনেছে।
    ইহুদিদের প্রতি আমেরিকার রাজনীতিবিদদের অবস্থান সর্বদাই অটুট সমর্থন ও সহযোগিতার প্রতীক। তাদের সম্পর্ক নিবিড় ও অবিচ্ছেদ্য—যেন একই সংঘে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা সহযোদ্ধা। আমরা যত আমেরিকান শাসককে চিনি বা তাদের সম্পর্কে শুনেছি, তাদের মধ্যে ইহুদিবিরোধী হিসেবে মাত্র একজনকে জানা যায়, প্রায় দুইশ বছর আগের প্রেসিডেন্ট জেফারসন। তিনিই সম্ভবত একমাত্র আমেরিকান শাসক, যিনি ইহুদিদের বিষাক্ত চরিত্র বুঝতে পেরেছিলেন এবং তাঁর জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন এক সত্য উপদেশ দিয়ে, যা সময়ের পরীক্ষায় সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তিনি তখন তাঁর জনগণকে বলেছিলেন: “যদি তোমরা ইহুদিদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে না দাও, তাহলে তারা তোমাদেরকে দাসে পরিণত করবে এবং তোমাদের নিজের দেশেই তোমাদেরকে গোলাম বানিয়ে ফেলবে।” আল্লাহর শপথ! তিনি সত্যই বলেছিলেন। জেফারসনের পর থেকে আজকের এই অহংকারী ও দাম্ভিক ট্রাম্প পর্যন্ত সকল আমেরিকান শাসকের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে এই সত্যটি সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়। তারা সকলেই ইহুদিদের অনুগত দাসে পরিণত হয়েছে, তারা বিশ্বব্যাপী জায়নবাদী-ক্রুসেডার নেতাদের আজ্ঞাবহ অনুসারী হিসেবে তাদের সকল ইচ্ছা বিনা প্রশ্নে পূরণ করে চলেছে।
    হে আমেরিকানরা, তোমরা যদি তোমাদের প্রেসিডেন্ট জেফারসনের উপদেশ মেনে চলতে এবং তাঁর কথার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে, তাহলে কখনোই সেই ভয়াবহ ব্ল্যাক টিউজডেদেখতে না—যেদিন তোমাদের দেশের আকাশে অন্ধকার নেমে এসেছিলো। আর তার পরিণতি তো তোমরাই ভোগ করেছো একের পর এক, এমনকি এখন দেউলিয়া হওয়ার এবং জাতিগতভাবে ধ্বংসের প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছো। আজও তোমরা একই ভুল করছো, বরং আরও ভয়ঙ্কর ও নৃশংসভাবে। হায়! তবুও কি শিক্ষা নেবে না?
    কী নির্লজ্জতা আর স্পর্ধা নিয়ে তোমরা নিজেদেরকে আমাদের জমি ও পবিত্র স্থান কেনা-বেচা, উচ্ছেদ করা এবং সেখানে বসতি স্থাপনের অধিকার দিয়েছো—যেন আমরা তোমাদের সামনে রক্ত-মাংসের মানুষ নই, যেন আমাদের কোনো অনুভূতি, আত্মমর্যাদা বা গর্ব নেই। এতে আশ্চর্যের কী আছে? তোমাদের চরিত্র ও ইতিহাস তো সবার জানা। তোমাদের পূর্বপুরুষদের আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানদের প্রতি আচরণ—যাদের জমি জোর করে দখল করে নেওয়া হয়েছিল—সেটা তো বিশ্ববাসী জানে।
    কিন্তু হে আমেরিকানরা, তোমরা একটা জিনিস বুঝতে ভুল করেছো—আমরা আর দুনিয়ার অন্য জাতির মতো নই। আমরা মুসলিম, ঈমানদার, ত্যাগী ও বীরের জাতি। আল্লাহর শপথ! আমাদের সৈন্যরা মৃত্যু ও শাহাদাতকে তোমরা যেমন মদকে ভালোবাসো, তার চেয়েও বেশি ভালোবাসে। কিন্তু উভয় ভালোবাসা এক নয়! যে আল্লাহর সঙ্গে থাকে, তাঁর হক আদায় করে, তাঁর আদেশ মানে ও নিষেধ থেকে দূরে থাকে, আর কাফির-ফাসিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে—আল্লাহ তাকে নবীদের, সিদ্দিকদের, শহীদদের ও সালেহদের সঙ্গে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দেবেন। আর যে ব্যক্তি তার প্রেমিকাকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, সে শীঘ্রই ফিরে আসবে, তারপর আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসে—সে কি কখনো আমাদের সমান হতে পারে? তোমরা তো আমাদেরকে আফগানিস্তান, ইরাক ও সোমালিয়ায় পরীক্ষা করে দেখেছো—কেমন পেয়েছো আমাদের?
    আমরা আশা করি, গণমাধ্যমের কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নীরবতা সত্ত্বেও, দুই দশক পর তোমাদের দেশে শায়খ উসামা (রহিমাহুল্লাহ)-এর বার্তা পুনরায় ছড়িয়ে পড়ার পেছনে যে হিকমাহ (দূরদর্শিতা ও গভীর তাৎপর্য) রয়েছে, তা হলো—আমেরিকার নতুন প্রজন্ম যেন এই বার্তাটি পড়ে, তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে এবং আমাদের ন্যায়বিচারের দাবি যে কতটা সঠিক ও যৌক্তিক—তা যেন বুঝতে পারে।
    হে আল্লাহ, হে সমস্ত প্রয়োজন পূরণকারী, হে দোয়া কবুলকারী, হে বিপদে শান্তি দানকারী—আমাদের ও গাজাসহ দুনিয়ার সব প্রান্তে অবস্থিত নির্যাতিত মুসলিম ভাইদের জন্য তুমি প্রতিটি সংকীর্ণতা থেকে মুক্তির পথ করে দাও, প্রতিটি দুঃখ-কষ্ট থেকে স্বস্তি দান করো এবং তুমি আমাদের ও তাদের অভিভাবক ও সাহায্যকারী হও, হে সকল জগতের প্রতিপালক!
    হে আল্লাহ, তুমি আমেরিকা এবং তাদের মিত্রদের, আর ইহুদিদের এবং তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নাও। হে আল্লাহ, তুমি তাদের সংখ্যা নিরূপণ করে নাও, তাদেরকে গুনে গুনে রাখো, তাদের বিচ্ছিন্নভাবে ধ্বংস করে দাও, তাদের ধ্বংস করো এবং তাদের কাউকেই বাকি রেখো না।
    আর আমাদের শেষ কথা এই যে—সব প্রশংসা আল্লাহ্‌ তাআলারই, যিনি সকল জগতের পালনকর্তা।
    *****


    مع تحيّات إخوانكم
    في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
    قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
    আপনাদের দোয়ায়
    আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
    আল কায়েদা উপমহাদেশ
    In your dua remember your brothers of
    Al Hikmah Media
    Al-Qaidah in the Subcontinent












  • #3
    জাতির যুবসমাজের প্রতি আহ্বান, তারা যেন সত্যিকার মুজাহিদদের সারিতে যোগদান করে, বিশেষত তাদের ঐ ভাইদের সারিতে, যারা আল-কায়েদা সংগঠনে রয়েছে। কয়েক দশক হয়ে গিয়েছে তারা আমেরিকান ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে পবিত্র জিহাদ ঘোষণা করেছে। তাদের নেতা ও আলেমগণ তাদের আহ্বানকে তাদের পবিত্র ও নির্মল রক্তে সিক্ত করেছেন।
    সুতরাং হে যুবসমাজ! তাদের সাথে যোগদান করে প্রশিক্ষণ নাও
    , প্রস্তুত হও, শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি হও, অস্ত্র চালনা ও যুদ্ধের কৌশল রপ্ত করো, যাতে তোমরা অগ্রসর হতে পারো এবং জাতিকে দীর্ঘদিনের অত্যাচার,
    অবিচার ও দুর্বল অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পারো। আর পবিত্র স্থানগুলোকে কাফের ও অত্যাচারীদের হাত থেকে মুক্ত করো।
    প্রিয় ভাইয়েরা, এই বার্তা আমরা নিরাপত্তা বজায় রেখে সাধ্যানুযায়ী ছড়িয়ে দেই ইনশাআল্লাহ
    আল্লাহ সুবহানাহু তা'য়ালা আমাদের তাওফিক দিন
    জিহাদি মানহাজের হেফাযত, মুজাহিদদের হেফাযত থেকেও বেশি গুরত্বপূর্ণ

    কারণ মুজাহিদদের দৌড়-ঝাপ, কুরবানির উদ্দেশ্যই হলো হকের দাওয়াত ও পয়গাম বিজয়ী হোক। কিন্তু মানহাজ যদি খারাপ হয়, সফরের রাস্তা যদি ভুল হয়ে যায়, তখন মুসাফির যতই উদ্দীপনা ও ইখলাসের সাথে পথ চলুক, সে কখনও মনযিলে পৌঁছতে পারবে না। (দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদি মানহাজের হেফাযত - উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ)

    Comment


    • #4
      আল্লাহ সুবহানাহু তা'য়ালা আমাদের তাওফিক দিন
      Last edited by Rakibul Hassan; 5 days ago.

      Comment

      Working...
      X