Announcement

Collapse
No announcement yet.

Bengali Translation || AQAP || ইরান ও ইহুদিবাদীদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ সম্পর্কে বিবৃতি || ৩রা মহররম ১৪৪৭ হিজরি | ২৮ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Bengali Translation || AQAP || ইরান ও ইহুদিবাদীদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ সম্পর্কে বিবৃতি || ৩রা মহররম ১৪৪৭ হিজরি | ২৮ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

    مؤسسة الحكمة
    আল হিকমাহ মিডিয়া
    Al Hikmah Media

    تـُــقدم
    পরিবেশিত
    Presents

    الترجمة البنغالية
    বাংলা অনুবাদ
    Bengali Translation

    بعنوان:
    শিরোনাম:
    Titled:



    تنظيم قاعدة الجهاد في جزيرة العرب
    بيان بشأن الحرب التي دارت بين الصهاينة وإيران

    তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতুল আরব
    ইরান ও ইহুদিবাদীদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ সম্পর্কে বিবৃতি

    ৩রা মহররম ১৪৪৭ হিজরি | ২৮ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

    Al-Qaeda in the Arabian Peninsula
    Statement on the Ongoing War between Iran and the Zionists






    روابط بي دي اف
    PDF (323 KB)
    পিডিএফ [৩২৩ কিলোবাইট]






    https://secure.eu.internxt.com/d/sh/file/4e7fa9f5-0659-402a-a655-c35ed9e9b8b6/b4e277e1129f1c615f57df44ea7f17a00c1a3eba4927a981c2 adee0fdc97fa1f


    روابط وورد
    Word (354 KB)
    ওয়ার্ড [৩৫৪ কিলোবাইট]







    https://secure.internxt.com/d/sh/file/b342bfb5-6fc6-48aa-915d-5c591d54bb15/61da8827cbdf9083533f7060c9b61c0463edf4ab4584ddd861 d91960326a5c17


    روابط البانر
    Banner (71 KB)
    ব্যানার [৭১ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/P9ZHkSYB#fezI9lniirYuEayI6RB9UrjqqxQqTa7kBSEkNC3t8 GI
    https://secure.ue.internxt.com/d/sh/file/59acd215-5fa2-4582-9df7-2e12c34bacc6/1b017e23a8f6d69c211b8cd456ece10f137669763b0c0b2ed1 2fc99b05a11f9a

    *****

    তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতুল আরব

    ইরান ও ইহুদিবাদীদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ সম্পর্কে বিবৃতি


    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি অন্ধকার ও আলো সৃষ্টি করেছেন। এরপরও কিছু মানুষ তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে, তারা অন্যদেরকে তাঁর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী, সঠিক পথে পথপ্রদর্শক নবী মুহাম্মদ - এর ওপর, তাঁর পরিবার ও সাহাবাগণের ওপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা তাঁদের অনুসরণ করবে তাদের ওপর!
    হামদ ও সালাতের পর বলতে চাই:
    সত্য ও মিথ্যার মধ্যে সংঘাত চিরকাল ছিল এবং কিয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে। সত্য একটি, তাতে কোনো বিভাজন নেই। পক্ষান্তরে মিথ্যা নানা রূপ ও শ্রেণিতে বিভক্ত। কিন্তু মিথ্যার রং-রূপ, তার বৈচিত্র্য যতই থাকুক না কেন, তাতে সত্যের কোনো পরিবর্তন ঘটে না। সত্য অটল ও সুদৃঢ় থাকে—কারণ তা সর্বশক্তিমান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত এবং আমরা তাঁর পক্ষ থেকে প্রেরিত ওহি ধারণ করি, যে ওহির সংরক্ষণের দায়িত্ব তিনি নিজেই গ্রহণ করেছেন—তা হচ্ছে আল-কুরআন ও তাঁর রাসূল -এর সুন্নাহ।
    আর মিথ্যা যতই রূপ পরিবর্তন করুক, যতই নিজেকে সত্যরূপে উপস্থাপন করুক, সত্য তা চূর্ণ করে দেয়। যেমন আল্লাহ বলেন:
    بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَى الْبَاطِلِ فَيَدْمَغُهُ فَإِذَا هُوَ زَاهِقٌ
    বরং আমি সত্যকে মিথ্যার ওপর নিক্ষেপ করি, ফলে তা মিথ্যাকে ধ্বংস করে দেয়। আর তখন মিথ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।”— [সূরা আম্বিয়া (২১), আয়াত নং ১৮]
    ইতিহাস জুড়ে আমাদের মুসলিম উম্মত মিথ্যাবাদীদের আক্রমণের শিকার হয়েছে, যারা তাদের দীন থেকে বিচ্যুত করতে চেয়েছে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু এমন সময়ে প্রতিটি যুগে দাঁড়িয়ে গেছেন আলেম ও মুজাহিদগণ—তারা ভাষা ও অস্ত্রের মাধ্যমে প্রতিরোধ করেছেন। ফলে আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন, সত্য সমুন্নত হয়েছে এবং মিথ্যার ফেনা বিলীন হয়েছে, যদিও তা মানুষের চোখে বড় মনে হতো।
    আমাদের যুগে উম্মতের এক বড় বিপদ হলো—পূর্ব ও পশ্চিমা জালিম শাসকদের অত্যাচার। প্রাচ্যের জালিমদের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই পশ্চিমা জালিমরা নতুন করে শাসন শুরু করে। এর পেছনে সম্ভবত একটি বড় কারণ হলো—উম্মতের দীর্ঘদিনের অসহায়ত্ব, আলেম ও সংস্কারকদের দিকনির্দেশনার অপ্রতুলতা ও তাদের প্রভাবের সীমাবদ্ধতা। কেননা, তাদের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে—কারাবরণ, পিছনে লেগে থাকা ও নজরদারি এবং অপবাদের ঝুলি যেন তাদের পিছু ছাড়ছেই না। একইভাবে মুজাহিদদের চরিত্র হনন ও তাদের প্রতি অনাস্থা তৈরির কাজ হয়েই চলেছে।
    এসব কিছুর পরিণতিতে বহু মুসলমানের মধ্যে বিষয়টি জটিল ও বিভ্রান্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। তারা সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য ভেবে বসে। ফলে মিথ্যার সময়কাল দীর্ঘতর হয়ে যায় এবং অপরাধীরা উম্মতের মধ্যে ধ্বংস ও বিপর্যয় সৃষ্টি করে। এর ফলে উম্মতের মধ্যে সৎ ও বিশ্বস্ত আলেম, নেতা এবং মুজাহিদদের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়—অপরাধীদের পথ উন্মোচন করা, তাদের ষড়যন্ত্র ফাঁস করা, তাদের ব্যাপারে সতর্ক করা এবং মুমিনদের পথ স্পষ্ট করা, সেই পথকে শক্তিশালী করা এবং তার বিজয়ে সহযোগিতা করা তাদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। এ প্রসঙ্গে ইবনুল কাইয়্যিম (রহিমাহুল্লাহ) বলেন:
    আল্লাহ তাআলা বলেন:
    ولتستبين سبيل المجرمين
    এবং (আমি এইভাবে) অপরাধীদের পথ স্পষ্ট করে দেই।” — [সূরা আনআম (৬), আয়াত ৫৫]
    আল্লাহ পাক আরো বলেন:
    وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنۢ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ ٱلْهُدَىٰ وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ ٱلْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصْلِهِۦ جَهَنَّمَ ۖ وَسَآءَتْ مَصِيرًۭا
    যে ব্যক্তি হেদায়াত স্পষ্ট হওয়ার পরও রাসূলের বিরোধিতা করে এবং মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথ অনুসরণ করে, আমি তাকে সে পথেই ছেড়ে দিই, যেদিকে সে মুখ ফিরিয়েছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করি। কতই না নিকৃষ্ট সেই গন্তব্য!” — [সূরা নিসা (৪), আয়াত ১১৫]
    আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে মুমিনদের পথ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, অপরাধীদের পথও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি উভয়ের পরিণাম, উভয়ের কর্ম, উভয়ের অনুসারী ও সাহায্যকারীদের বর্ণনা দিয়েছেন। কারা আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত, আর কারা বঞ্চিত, তাও প্রকাশ করেছেন। কাদেরকে কী কারণে সাহায্য করেছেন এবং কাদেরকে কী কারণে হতাশ করেছেন, সেটাও পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি তাঁর কিতাবে এই উভয় পথ এত সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন, যেন কোনো সন্দেহের অবকাশ না থাকে। তিনি আরও বলেন:
    সাহাবাদের পর যারা এসেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই ইসলামিক পরিবেশে বড় হলেও জাহেলিয়াত তথা অজ্ঞতার বিপরীত রূপ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করেনি। ফলে তাদের অনেকে মুমিনদের পথের কিছু বিষয়কে অপরাধীদের পথের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। এই বিভ্রান্তি তখনই ঘটে, যখন সত্য ও মিথ্যার পথ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান দুর্বল হয়ে পড়ে কিংবা উভয়ের যেকোনো একটির জ্ঞান না থাকে। যেমন হযরত উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: ‘ইসলামের বন্ধন এক এক করে খুলে যাবে, যখন এমন প্রজন্ম ইসলাম গ্রহণ করবে যারা জাহেলিয়াতকে চেনে না।’” এটি ছিল হযরত উমরের গভীর জ্ঞানের পরিচায়ক।
    কারণ, যদি কেউ জাহেলিয়াত ও তার শাসনব্যবস্থা না চেনে—অর্থাৎ জাহিলিয়াত হলো যা কিছু রাসূল এনে দিয়েছেন, তার বিপরীত—তাহলে তার না জানাটা জাহেলিয়াতেই গণ্য হবে। কারণ, জাহেলিয়াত অজ্ঞতারই নাম (জাহল বা অজ্ঞতা থেকেই শব্দটি এসেছে), আর যা কিছু রাসূল -এর দীনের বিপরীত, তা অজ্ঞতা ছাড়া কিছু নয়।
    অতএব, যে ব্যক্তি অপরাধীদের পথ চেনে না, কিংবা তার কাছে সে পথ স্পষ্ট নয়—সে খুব সহজেই ভুল করে বসতে পারে এবং তাদের কোনো পথে হেঁটে ভাবতে পারে—এটা মুমিনদের পথের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের উম্মতের মধ্যে আকিদা-বিশ্বাস, জ্ঞান ও আমলের বহু ক্ষেত্রে এমন বহু বিষয় এইভাবে প্রবেশ করেছে—যা আসলে মুশরিক ও অপরাধীদের পথ, অথচ যারা সেগুলোকে চেনে না, তারা এসবকে মুমিনদের পথ বলে ভেবে নিয়েছে, সেগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং যারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদেরকে কাফের সাব্যস্ত করেছে, এমনকি এমন কিছু হালাল করে ফেলেছে যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল হারাম করেছেন। এমনটাই ঘটেছে অধিকাংশ বিদআতিদের ক্ষেত্রে—জাহমিয়াহ, কাদরিয়াহ, খারেজি, রাফেযি ও তাদের সমগোত্রীয়দের মধ্যে।” — [ইবনুল কাইয়্যিম, “আল-ফাওয়াইদ”]
    আর ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা শক্তিগুলোর—যাদের নেতৃত্বে রয়েছে আমেরিকা—এবং অপরদিকে ইরান ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, এটা আমাদের শত্রুদের মধ্যকার যুদ্ধ। এতে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই, না আমরা কোনো পক্ষভুক্ত। যে কেউ একপক্ষের পক্ষে দাঁড়ায়, সে তো কেবল অন্য পক্ষের জয়লাভের পর নিজের সর্বনাশ ডেকে আনবে। বরং আমরা আল্লাহর কাছে কামনা করি, যেন তিনি উভয় পক্ষকেই ধ্বংস করে দেন!
    ইহুদিদের অপরাধ তো সুপ্রাচীন—নবীদের যুগ থেকেই তাদের কুকর্ম ইতিহাসে লিপিবদ্ধ। আর যেহেতু ইহুদিদের শত্রুতা সুস্পষ্ট ও সকলের নিকট জ্ঞাত, তাই তাদের সম্পর্কে এখানে আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। একইভাবে রাফেযিদের (ইরানিদের) অপরাধও ইসলামের ইতিহাসে সুপরিচিত। তাদের কিছু অপকর্ম স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি—হযরত আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর খেলাফতের অবসানের পর থেকেই তারা উম্মতের মধ্যে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে। ফিলিস্তিন পুনরুদ্ধারের জন্য সালাহুদ্দিন আইয়ুবীর নেতৃত্বে পরিচালিত হিত্তিন যুদ্ধ বিলম্বিত হয়েছিল তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে। তারা সালাহুদ্দিনকে হত্যার জন্য চক্রান্ত করেছিল এবং মিসরকে ক্রুসেডারদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। আবার তাতারিদের মাধ্যমে যখন বাগদাদে খিলাফত ধ্বংস হয়, তখনও তাদের পেছনে ছিল এই ষড়যন্ত্রকারী শিয়া মন্ত্রী ইবনুল আলকামি। এই জাতীয় বহু ষড়যন্ত্রে তারা উম্মতের ক্ষতি করেছে। আমাদের সমসাময়িক ইতিহাসও তার ব্যতিক্রম নয়।
    তারা ৯/১১–এর ঘটনার পর তালেবান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে আমেরিকানদের পক্ষে দাঁড়ায়, এরপর আসে ইরাক দখলের ঘটনা। এমনকি বিশ বছরের রক্তক্ষয়ী লড়াই শেষে সুন্নি তালেবানদের ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার পথে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও তারা চালিয়েছে। পাশাপাশি তারা আমেরিকানদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরব উপদ্বীপে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়—যার লক্ষ্য ছিল আহলে সুন্নাহর শক্তিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেওয়া। এসব ঘটনা প্রমাণসহ—চিত্র ও শব্দে—দলিলভিত্তিকভাবে সংরক্ষিত আছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা প্রশংসা করি সেই বিবৃতির, যা বিশ্ব মুসলিম উলামা সংস্থা (রাবেতাতু উলামায়িল আলামিল ইসলামী) থেকে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মুসলিমদেরকে আহ্বান জানানো হয়েছে—এই দুই যুদ্ধরত পক্ষের প্রকৃত চেহারা যেন কেউ ভুলে না যায়। তারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন—এই উভয় পক্ষের ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি শত্রুতা সুস্পষ্ট এবং প্রকাশ্য, যা নবুয়তের যুগ ও খিলাফতে রাশিদার সময় থেকেই চলে আসছে। তাই আমরা এই উলামাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এবং দোয়া করি—আল্লাহ তাদেরকে উম্মাহর সৎ প্রহরী, পথপ্রদর্শক এবং আকীদার রক্ষক হিসেবে কবুল করুন! যেন তারা অপরাধীদের পথ উন্মোচন করে দিতে সদা সচেষ্ট থাকেন!! যদিও ইসলামী শরিয়ত ও মূল্যবোধের দিক থেকে আমাদের দায়িত্ব—গাজা ও ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের পাশে দাঁড়ানো, সকল সম্ভব উপায়ে তাদের সাহায্য করা—তবুও কেবল এই একটি ইস্যুতে আবদ্ধ থাকাটাই বিচক্ষণতা নয়। বরং, এর পাশাপাশি অন্যান্য ইস্যুকেও গুরুত্ব দিতে হবে, কারণ উম্মাহর জন্য ক্ষতির দিক থেকে সেগুলাও কোনো অংশে কম নয়।
    আজ আমাদের দায়িত্ব হলো—একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র ইসলামী উম্মাহ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করা। এমন উম্মাহ যার নিজস্ব পরিচয় আছে, একটি শরিয়ত আছে, যা মানবতাকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের দিকে আহ্বান করে। আমরা যদি একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা রাখি, তাহলে সমগ্র মানবজাতির জন্য কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব—একটি পরিপূর্ণ শান্তিপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। পৃথিবীর সমস্ত জুলুম থামিয়ে দেওয়া সম্ভব—আল্লাহর ইচ্ছায়। আফগানিস্তানই তার জীবন্ত প্রমাণ। আর সেই পথেই চলছে সোমালিয়া, ইসলামী আরব মাগরেব, আরব উপদ্বীপ ও উপমহাদেশে আপনাদের ভাই মুজাহিদগণ। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য আমরা নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:
    ১. আলেম, দাঈ এবং উম্মতের অন্যান্য সকল সংস্কারক ব্যক্তির দায়িত্ব—উম্মতকে রাফেযি ও ইহুদিদের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করা। কারণ, তারা উম্মতের ওপর এক ভয়ংকর অভিশাপস্বরূপ। ইতিহাসজুড়ে মুসলমানদের অধিকাংশ বিপর্যয়ের মূল উৎস এ দু’দলই। এ সত্যটি প্রকাশ করা অপরাধীদের পথ উন্মোচনেরই অংশ। বিশেষ করে আজ যখন সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়গুলো জটিল ও বিভ্রান্তিকর হয়ে উঠেছে, তখন এ দায়িত্ব আরও বড় হয়ে গেছে।
    সুতরাং, এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে—যে কোনো মাধ্যমে, যেভাবেই হোক—যাতে মুসলিমরা বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে, বিশ্বের যেখানেই থাকুক না কেন। একইসাথে মুসলিম জনসাধারণকে এ বিষয়টা জানিয়ে দেওয়াও আলেম ও সংস্কারকদের দায়িত্ব যে, ইসলামের সুহে সাদিক (নতুন জাগরণ) অতি সন্নিকটে; বিজয় ও ক্ষমতা ইসলামকেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে—এটি সেই মহান আল্লাহর প্রতিশ্রুতি, যিনি কখনো ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।
    তাই মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে—তারা যেন তাদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসে। কেননা, দুনিয়ার মুক্তি এবং আখিরাতের চূড়ান্ত সফলতা একমাত্র সেখানেই নিহিত।
    ২. মুসলিমদেরকে তাওহীদের বাণীর ওপর ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ, আমাদের ঐক্যের কারণগুলো আমাদের বিভক্তির কারণগুলোর চেয়ে অনেক বেশি, আর আমাদের শক্তির উপাদানগুলো শত্রুদের সমস্ত শক্তির উপাদানের চেয়েও বেশি—আলহামদুলিল্লাহ। তাই আমাদের কর্তব্য—আমাদের নবী -এর হেদায়াতের দিকে ফিরে যাওয়া
    ৩. বিশ্বের সর্বত্র আহলে সুন্নাহর শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করা এবং তাদেরকে উম্মতের পুনর্জাগরণে প্রস্তুত করা। এছাড়া মুজাহিদদের অবস্থানকে সমর্থন ও সহযোগিতা করা, যারা উম্মতের শত্রুদের মোকাবিলা করছে এবং মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানানো—তারা যেন মুজাহিদদেরকে আশ্রয়, অর্থ ও জনবল দিয়ে সহায়তা করে। কেননা তারাই ইনশাআল্লাহ সেই বীজ, যারা উম্মতের হারানো ইজ্জত ও কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধার করবে।
    ৪. উম্মতের মধ্যে যাদের জ্ঞান, সম্পদ, প্রযুক্তি, চিন্তা কিংবা অন্য যে কোনো সামর্থ্য আছে—তাদের উচিত উম্মতের শত্রুদের থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন হওয়া এবং তাদের সকল সামর্থ্য উম্মতের কল্যাণে, উন্নয়নে ও জাগরণে কাজে লাগানো।
    শেষে আমরা এটাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই—আমাদের এই অবস্থান ইরানের রাফেযি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, কিন্তু সেই সব আহলে সুন্নাহ মুসলিমরা এর আওতায় পড়বে না যারা ইরানে বসবাস করছেন, কিংবা সেই সাধারণ শিয়ারা, যারা ইসলামের ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের রাষ্ট্রের এই যুদ্ধ-প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করছে না। বরং আমরা তাদের জন্য নিরাপত্তা ও এই জুলুম ও দমননীতি থেকে মুক্তির কামনা করি।
    হে আল্লাহ! ইসলামী উম্মাহর জন্য সঠিক ও সুদৃঢ় পথের ব্যবস্থা করে দিন—যে ব্যবস্থায় আপনার ওলিদের সম্মানিত করা হবে, আপনার শত্রুদের অপমানিত করা হবে, সেখানে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা হবে।
    হে আল্লাহ! আপনি আরব ও অনারব সকল জালিম শাসকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিন!! হে আল্লাহ! আপনি ইহুদি, খ্রিস্টান এবং যারা তাদের সাথে সহযোগিতা করে—তাদের ধ্বংস করুন আপনার সেই অপরাজেয় শক্তি দ্বারা, আর আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন আপনার সেই পরাক্রম ও সম্মানের মাধ্যমে, যা কেউ প্রতিহত করতে পারে না।
    اللهم أبرم لأمة الإسلام أمر رشد يُعز فيه أولياؤك ويُذل فيه أعداؤك ويؤمر فيه بالمعروف ويُنهى فيه عن المنكر، اللهم عليك بطغاة العرب والعجم أجمعين اللهم عليك باليهود والنصارى ومن حالفهم اللهم أهلكهم بقوتك التي لا تُغلب وانصرنا عليهم بعزتك التي لا تُرام.
    وسبحان ربك رب العزة عما يصفون وسلام على المرسلين
    والحمد لله رب العالمين



    ******

    مع تحيّات إخوانكم
    في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
    قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
    আপনাদের দোয়ায়
    আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
    আল কায়েদা উপমহাদেশ
    In your dua remember your brothers of
    Al Hikmah Media
    Al-Qaidah in the Subcontinent





  • #2
    আর ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা শক্তিগুলোর—যাদের নেতৃত্বে রয়েছে আমেরিকা—এবং অপরদিকে ইরান ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, এটা আমাদের শত্রুদের মধ্যকার যুদ্ধ। এতে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই, না আমরা কোনো পক্ষভুক্ত। যে কেউ একপক্ষের পক্ষে দাঁড়ায়, সে তো কেবল অন্য পক্ষের জয়লাভের পর নিজের সর্বনাশ ডেকে আনবে। বরং আমরা আল্লাহর কাছে কামনা করি, যেন তিনি উভয় পক্ষকেই ধ্বংস করে দেন!
    আমীন, ছুম্মা আমীন​
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। সকলের পড়া উচিত তাহলে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার থাকবে।
      فَاَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَ انۡتَظِرۡ اِنَّهُمۡ مُّنۡتَظِرُوۡنَ

      Comment

      Working...
      X